সাড়ে চুয়াত্তর ছবিটির কথা কি আপনাদের মনে আছে?
সেই যে মোলায়েম ধুতির খুঁট আলতো তুলে ধরে আলগোছে ভীতু পা ফেলে হেঁটে যাওয়া উত্তম কুমার! আর তার একটু আগে গলিপথে একটা রেশমি রঙিন ছাতা (জিজ্ঞেস করবেন না যেন, সাদাকালো ছবিতে রঙিন ছাতা দেখলুম কি করে) দুলিয়ে মরালী গ্রীবা মেলে ধ্রুপদ সুচিত্রা সেন!
বাংলা ছবির রোম্যান্টিক দৃশ্যর আবির্ভাবের মুহুর্ত ভাবতে গেলে কোন এক অদ্ভুত কারণে ১৯৫৩ সালের এই ছবিটা আমার খুব মনে পড়ে। উত্তম- সুচিত্রার কেউ তখনো প্রতিষ্ঠিত নন। এই জুটির প্রথম ছবিটি অবশ্য তুলসী চক্রবর্তীর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রচুর দর্শকপ্রিয়তা পায়। সাথে ছিলেন বাংলা ছবির হাস্য রসাত্মক চরিত্রের অন্য দিকপাল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। এতোগুলো তারার গুণে একটা ছবি ভীষণ ভালো হবে তাতে আর সন্দেহ কি। আমি এই ভালো ছবিটির প্রেমে পড়লাম। সুযোগ পেলেই ঘুরে ফিরে টেনে টেনে দেখি। দেখতে দেখতে একসময় খেয়াল হল, ছবির বিশেষ একটি জায়গায় আমার অখণ্ড মনোযোগ। ঐ যে, যেখানটায় দেখা যায় সুচিত্রাদের পুরো পরিবার কলকাতায় মাথা গোঁজার কোন ঠাই না পেয়ে তুলসী বাবুর লজিং-এর উপরে (যেখানটায় আবার উত্তম কুমারও থাকে আরকি) একটা চিলেকোঠায় এসে উঠল। মালপত্তর সব এলোমেলো। কিছু টেনে বয়ে উপরে উঠানো হয়েছে। বাকি সব নীচে তখনো পড়ে। বাসা গুছানোর রাজ্যের কাজ বাকী। কাজের লোকটি কেবল একটা তোষক মাথায় তুলে ওপরে বয়ে এনেছে। সুচিত্রার বাবা ভদ্রলোকটি কোন এক কায়দায় একটা খাটের উপর কোনমতে ঐ তোষকটি মেলে দিয়েই ওর উপর এলিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেকি ঘুম! তাকে ঠেলে গড়িয়ে কোনভাবেই আর জাগানো গেলো না। অগত্যা সুচিত্রার মা বেচারি অলস অকর্মণ্য অপদার্থ স্বামীর মুণ্ডুপাত করতে করতে একাই কষ্টেসৃষ্টে বাসা গুছাতে লাগলেন। সুচিত্রা সেনের বাবার ভূমিকায় ঐ চরিত্রটিকে আমার অলস সাম্রাজ্যের এক চূড়ান্ত আদর্শ বলে জ্ঞান হয়। আহা, এই রকম কাজ কর্মহীন, কেবল হাই তুলে হেলেদুলে যদি জীবন পার করে দেয়া যেত!
পাঠক, আমি কি বলতে চাচ্ছি, আশা করছি বুঝে গেছেন ইতোমধ্যে। কি বললেন? জ্বি। ঠিক ধরেছেন। এইটা একটা অলস পুরাণ। অলস মানুষদের জন্য। যেমন তেমন অলস না। একেবারে যাকে বলে কুঁড়ের হদ্দ। অলস মানুষদের কথা শুনলে মনের অজান্তে একটা বিকট হাই উঠে আসে। আহা। আলস্যের উপরে শান্তি নাই। কর্ম (এবং অতি অবশ্যই লেখালেখি) অপেক্ষা আলস্য উত্তম। নবম শ্রেণীতে আমাদের কালে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর একটা কবিতা ছিল-
বেশতো আছি সেই ভালো
দোরের কাছে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটালে কে বলো
হালকা পা'য়ে নাচিয়ে দিয়ে মৌমাছি কি ঐ এলো
বেশ আছি সেই ভালো
কাজের লোকে নিন্দে করে
না হয় বলে ঘরকুনো
আমি বলি তোমরা কি আর,
মৌমাছিদের গান শোনো?
বেশ তো আছি সেই ভালো
ঘরের ভিতর বসে বসে মৌমাছিদের গান শোনার মজাই আলাদা। কাজের লোকেরা এর হদিস পায়না। শুনেছি কাজের লোকেরা নাকি বরাবরই অলসদের ভারী নিন্দে করে। তবে বিল গেটস এর কথা আলাদা। তিনি অলস মানুষদের ঠিকঠাক চিনতে পেরেছেন বলে মনে হয়। দেখুন না তার নমুনা-
I will always choose a lazy person to do a difficult job. because he will find an easy way to do it.
Bill Gates
এই লাইনটা পড়ে আমার অনেক আগে দেখা জ্যাকি চ্যানের একটা ছবির কথা মনে পড়ল আবার। ছবিটার নাম সম্ভবত ... (এই যাহ্। ছবির নামটা ভুলে গেছি)। ছবির শুরুতে বেচারা জ্যাকি এক অলস বোকা বালক। অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠে সে প্রাতঃকর্ম সারার জন্যও ঘরের বাহির হয় না। তার বিছানার পাশে কতোগুলো দড়িদারা ঝুলানো। ঘুম ঘুম হাতে এর একটা ধরে টানতেই দেয়াল ফুঁড়ে একটা কমোডের মতন জিনিস এলো। বেচারা মহা আলস্যে শরীরটা একটু তুলে সেখানে বসে প্রাতঃকর্ম সেরে আবার একটা দড়ি টানতেই ওটা হাওয়া হয়ে গেলো। তার ঘুম তখনো ছোটে নি। এবার আরেকটা দড়ি টানতেই বিছানার নীচে থেকে পাতকুয়া দেখা গেলো। সেখানেও একটা রশি লাগানো। একহাতে রশি টেনে এক বালতি পানি তুলে ফেলল সে নিমেষে। ঐ পানি দিয়ে যা যা করার করে ফেলল। এরপর ফাস্ট কে ব্রেক করা মানে একটু আহার করা দরকার। উহু। জ্যাকি দেখি তার বিছানা থেকে তখনো নড়ে না। বিছানার পাশের দেয়ালে কিছু একটা নাড়াতেই দেখা গেলো ওপাশে সকালের নাস্তা সাজানো রয়েছে। আমি এসব দেখলাম। আর দেখে ভাবলাম, আহা বেচারা। পুরাই স্বর্গের সুখে আছে। শুনেছি সেখানেও নাকি এইরকম মনে ইচ্ছা জাগ্রত হইবা মাত্র সকল আরাম আয়েশের উৎসমুখ খুলে যাবে। আহেম!
বলে রাখি, ছোট বেলা থেকেই বিছানা জিনিশটা আমার ভীষণ প্রিয়। অতি বিচিত্র ভঙ্গীতে শুয়ে বসে সারাদিন মান আমি কাটিয়ে দিতে পারি। একাজে কখনো ক্লান্তি আমায় স্পর্শ করে না। সকালের ঘুম আমার কাছে অমৃত সমান। হাফ মিলিটারি কলেজে আমার সেই সকালের ঘুমই মনে হয় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে ভুল করে ট্রাউজারের উপর হাফ প্যান্ট গলিয়ে জুতোর ফিতা বাঁধতে বাঁধতে প্যারেড গ্রাউন্ডে যাও। তারপর পিটি সুলতানের পিছনে তার মাথার চাঁদির একটু নীচে টিকির মতন একগোছা চুলের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের তত্ত্ব আলোচনা করতে করতে ডাবল মার্চ কর। উফফ।
কলেজের লেজ ফেলে উঁচু ক্লাসে উঠে ভাবলুম, এইবার সকালের ঘুম থেকে রুখবে আমায় কে! আনন্দে বেশি লাফঝাঁপ দেবার আগেই বিজনেস ফ্যাকাল্টির বিল্ডিং রীতিমত উঁচু হয়ে গেলো। ক্লাস শুরু হলে পড়ে দেখি পুরাই তামাকাসা জেবন। অন্য সময় থাকুক আর নাই থাকুক, সকাল আটটার ক্লাস মিস নাই। কুছ পরোয়া নেই। সকাল আটটা নয়টা পর্যন্ত আমি নির্বিবাদে ঘুমুতে লাগলাম। এদিকে সেমেস্টারের এক কোর্সের ১২ টি ক্লাস হয়ে গেছে। আনলাকি থার্টিনতম ক্লাসে ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে এই শর্মা হাজির হল। রোলকল শুনে রেসপন্স করতেই স্যার থেমে গেলেন। বাঁ হাতের তর্জনীতে চশমাটা ঠেলে সামনে তাকিয়ে আমার রোল নম্বরটা আবার ডাকলেন। তারপর সরাসরি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন-
তুমি একটু উঠে দাঁড়াও। তোমাকে দেখি। (আমি কিন্তু কোন অর্থেই দর্শনীয় না। উনি যে তবুও কেন আমাকে দেখতে চাইলেন! ) তুমিকি আমার ক্লাসের ছাত্র?
আমি অতি ভালোমানুষি ভাব ধরে অধোমুখে দাড়িয়ে রইলাম মুর্তির মতন। বোবার শত্রু নাই।
স্যার বললেন, আমার কোর্সের অর্ধেক ক্লাস হয়ে গেছে। ছেলে। বাকী সব ক্লাস করলেও তো তোমার পরীক্ষায় বসার সমান পার্সেন্টেজ হবে না। আমি দেখব তুমি কি করে পরীক্ষা দাও।
স্যার তখন বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডীন। আমি ভাবলাম, এইবার খাইসে আমারে। অতি বিচিত্র সৌভাগ্য ভর করল সেবার আমার উপর। দুই সপ্তাহ পর একদিন স্যার ক্লাসে এসে ঘোষণা দিলেন যে তাঁর ক্লাস এটেন্ডেন্সের খাতাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। (পাঠক, কসম লাগে, খাতাটা কিন্তু আমি হাপিস করি নাই।)
শুয়ে বসে থাকা বাদে সংসারের যাবতীয় কাজেই আমার চূড়ান্ত রকমের অনীহা। সেইসব কাজের সময় উপস্থিত হলে মনের অজান্তেই গেয়ে উঠি -ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু-- । এই গানটির প্রথম চরণ রবি ঠাকুর মশায় বুঝি আমাকে ভেবেই লিখেছিলেন। এতেই শেষ নয়।
ভুল স্বর্গ -এর কথা মনে পড়ে? সেই যে একটা বেকার লোক। যার কোন কাজ ছিল না। সমস্ত জীবন অকাজে আলস্যে কাটিয়েও কি এক ভুল করে সে স্বর্গে চলে গেলো। কিন্তু কথায় বলে- ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। অলস লোক স্বর্গে গিয়েও আলস্য দেখাবে, এতে আর আশ্চর্য কি! সেখানে গিয়ে তার অবস্থাটা একবার দেখুন-
এ বেচারা কোথাও ফাঁক পায় না, কোথাও খাপ খায় না। রাস্তায় অন্যমনস্ক হয়ে চলে, তাতে ব্যস্ত লোকের পথ আটক করে। চাদরটি পেতে যেখানেই আরাম করে বসতে চায়, শুনতে পায়, সেখানেই ফসলের খেত, বীজ পোঁতা হয়ে গেছে। কেবলই উঠে যেতে হয়, সরে যেতে হয়।
এই করে করে সে একসময় কেজো স্বর্গে কাজের মধ্যে বড়ো বড়ো ফাঁক ঢুকিয়ে দিল। স্বর্গের নিয়মে ঘটলো ব্যত্যয়। স্বর্গের প্রবীণরা দেখলেন ভারী বিপদ। অকাজের আলস্যের লোককে স্বর্গে ঠাই দেয়ায় সে স্বর্গের নিয়মে গড়বর ঘটিয়ে চলেছে। শেষমেশ তাকে আবার মর্তে ফেরত পাঠানো হল।
সচল কর্তৃপক্ষ মনে হচ্ছে এইরকম একটা ভুল লোককে ভুল করে তাঁদের হাচল তালিকায় ঢুকিয়ে ফেলেছে। সাধু সাবধান!!
মন্তব্য
অলস পুরাণ ভালা পাইলাম। এমনিতে আমার ধারণা আলস্য একটা কঠিন শিল্প।
এটা একটা সাধনাও বটে!
রম্যরস বেশ বেয়ে বেয়ে পড়ছিল; আমি একটু চেটে নিলাম।
একটুও অখাদ্য মনে হয় নাই।
তাই নাকি! তাইলে একটু নেন। আরও সোয়াদ হৈব!
মজারু
তা আপনি যেরকম আলসে দেখছি, নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ বড়সড় কারণ আছে, নইলে এতবড় পোস্ট তো করতেন না! তাইলে ব্যাপার কী?
শুয়ে বসে থাকতে চাই দেখে অন্য উপায়ে সেই ব্যবস্থা হৈসে!
বছর দুই আগে একটা এক্সিডেন্ট করছিলাম। ঘাড়ে আর ব্যাকবোনে বেকায়দা রকম ব্যাথা পাইসি। দিন দুই আগে কেমনে জানি আবার ব্যাকবোনে ব্যাথা পাইসি। এখন বেড রেস্ট। চিত হয়ে শুয়ে ল্যাপি বুকের উপর তুলে লিখতে লিখতে দেখি লেখা বেশ রিষ্টপুস্ট হয়ে গেছে।
কিন্তু আমার ব্যাথা তো কমতেছে না!!
বলেন কি? এতো বড়ো ভয়ানক কথা
হুম। কি আর করা!!
দারুণ মজার পোস্ট
বলছেন? একটু নিয়া খান তাইলে!!
মজা পেলাম
তবে এতো বড় একটা পোস্ট যখন লিখে ফেলতে পেরেছেন, আপনাকে আমার চেয়ে বেশি অলস বলে মেনে নিতে পারছি না
যাহোক, লিখতে থাকেন নিয়মিত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আম্নে আমাত্তে বেশি অলস!!
(যান নজু ভাই। আমারে অলসের দ্বিতীয় স্থানটা দিয়েন )
ভালো লাগলো ।
লাফাং ঘ্যাচাং
মজারু- ভালু পাইছি
নিজেও আইলসা কিনা-
আমি হাচল হওয়ার পর দুই টা কী তিন টা পোস্ট দিসি। আপ্নে আমাত্তে বেশি অলস?
যাই হোক, লেখা ভাল্লাগসে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মজা লাগলো লেখা পড়ে।
আইলসা নামে যে একজন লিখে, আপনি কি তার থেকে বেশি আইলসা?
সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুপাশিপু
এই ন্যান
(এইবার বলেন - আমি বেশি আইলসা)
ক্যাপচা ম্যাপচার দিগদারির পর থিকা কমেন্ট না কইরা যাইগা, তাই বইল্যা আমার নিক চুরি করতে চান??
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম।
(গুড়)
আমি যে কি আইলস্যা একবার বলতে গেছিলাম, লোকে খালি হাসে, বিশ্বাস করে না
facebook
অণুদা - এইটা কি কৈলেন!! আপ্নে আইলসা? ওরে-- আমি তো তাইলে নাই---
লেখা ব্যপক হইছে পথিক ভাই।পুরাই ঝাক্কাস।
থ্যাঙ্কু বন্দনাপু।
আমার চেয়ে আইলসা নিশ্চয়ই নন?
লেখা মজারু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওরে-- সব্বাই খালি রাম থুক্কু - বড় আইলসা হতে চায়!! কেম্নে কি?
শুক্কুরবার আর শনিবার আস্লেই চরম আইলসা হইতে মুঞ্চায়।
পারিনা কেন
নির্ঝরা শ্রাবণ
কেনু কেনু কেনু!! আইলসামি করার সুযোগ চাই, দেতে হপে!!!
আয় বাবুল বুখে আয়।
সবাই যেভাবে নিজেকে বড় অলস বলে দাবী করছে সেটা পড়ে জসিমউদ্দিনের বাংগালীর হাসির গল্পের "কে বড়?" গল্পটা মনে পড়ল। কিন্তু আমি নিতান্তই অলস বলে টাইপ করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। যারা পড়েছেন তারা তো জানেনই। আর যারা পড়েন নাই তারা অন্যদের কাছ থেকে জেনে নিন।
- কাজী।
আইলসামির পেতিযগিতা হপে একটা। তখন দেখব- কেমন বিছানায় কত ঘুম!!
সবাই যদি এত অলস তবে দেশের জনসংখ্যা সতের কোটি হইলো ক্যামনে?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
বাঙালি কাজে ফাঁকি দেয় বলে কামেও ফাঁকি দিতে হবে?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুমাদ্রী দা, আলোচনা যখন তুললেন, তখন আমাকে সত্য কথা বলতেই হবে।
আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে আসলে বৃটিশ বেনিয়াদের ব্যাপক সূক্ষ্ম কারসাজি আছে। দয়া করে মনে করে দেখেন, ১০০ বছর আগে বৃটিশরা এদেশে রেলগাড়ি আমদানি করল। সেই রেলগাড়ি রাত বিরাতে ঝমঝম করে চলে। এঞ্জিনের বিকট শব্দে লাইনের আশেপাশে বত্রিশ গ্রামের পুরুষ মানুষের ঘুম ছুটে যায়। মাঝরাতে ঘুম ছুটে গেলে ওদের আর কি করার থাকে? ...... এইভাবে একটা দেশের জনসংখ্যা বেড়ে গেলো।
আমাদের সরকার ব্যবস্থায় যারা থাকেন, তারা বৃটিশদের এই কূটকৌশল জানেন বলেই দেখেন না রেলওয়েকে কেমন চেপেচুপে রাখেন।
ইউরোপে পুরুষরা তবে মনে হয় আরও আইলসা। ওদের রেলগাড়ি এসেছে দুইশ বছরেরও বেশী হল, রেলের লাইনও শরীরের শিরা-উপশিরার মত লাখে লাখে, মাগার জনসংখ্যা বাড়ে নাই। রাত বিরেতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ওরা বোধয় উপনিবেশগুলোতে ওদের ষড়যন্ত্রটাকে আরও সফল কীকরে করা যায় তারই ভাবনা ভাবতে ভাবতে রাত পার করে দিত।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাল লেগেছে। আইলসামি চলুক।
বলছেন? যাক। সাহস পাইলাম--
আপনারা হতে পারেন, আমি আলসে নই মোটেই
হ্যাঁ, লগিন করতে ইছা করে না, কমেন্ট করি করি করেও করা হয় না, পরে করব ভেবে জমিয়ে রেখে ভুলে হয়ত যাই, তা বলে আলসে আমি মোটেও নই
হাচলত্ত্ব পাওয়াটা আপনার জন্য সময়ের ব্যাপার ছিল, এটা হয়ে গেছে। নিয়মিত লিখুন, কদিন পরে আপনাকে সচলত্ত্বের অভিনন্দনও জানিয়ে যাব'খন
ভাল থাকুন, অনেক অনেক লিখুন, আমরা অপেক্ষায় থাকলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আপনি কৈ হারিয়ে গেলেন মর্ম ভাই?
আলসে না হয়েও এমন আলসেমি কিন্তু ভালু না!!
তবুও অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।
ভাল লেগেছে।
আপনি বড়ই ভাল লেখেন। হাচলত্ত্বের অভিনন্দন পরাণদা।
নতুন মন্তব্য করুন