আমি লাস্ট বেঞ্চে ওর কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম আগেরদিন ও চুপ করে ছিল কেন। জানলাম, ও বললেও কেউ ওকে বিশ্বাস করত না বলে ও চুপ ছিল। কারন ও তো মার্কা মারা বাজে ছেলে। এরপর থেকে ওকে আর বাজে ছেলে বলে ভাবতে পারতাম না আমি। কারন আমি বুঝে গেছিলাম মার্কা মারা বাজে ছেলে বলে কিছু হয় না।
এর বেশ কিছুদিন পরের ঘটনা। ভূগোল স্যার সেদিন ছুটিতে থাকায় হেড স্যার এলেন ক্লাস নিতে। হেড স্যার ক্লাসে এলে সবার প্রথমে তল্লাশি করতেন সবাই বই এনেছে কিনা। আর সেদিনই আমি বই আনতে ভুলে গেছি। স্যার ক্লাসে ঢুকেই প্রথমে পেছনের বেঞ্চ থেকে নাসিরকে এসে ফার্স্ট বেঞ্চে আমার পাশের ফাঁকা জায়গায় বসতে বললেন। তারপর যারা বই আনেনি তাদের বেঞ্চের ওপর উঠে দাঁড়াতে বললেন। আমার তখন ভয়ে পা কাঁপছে। হঠাৎ দেখি নাসির আমার ব্যাগের ওপর ওর ভূগোল বইটা রেখে নিজে উঠে দাঁড়াল। আমি সেদিনও সেই ইমজের কথা ভেবে সত্যিটা গোপন করে গেলাম। আর আমার চোখের সামনে নাসির হাত পেতে বেত খেল। মনের ভেতর খুবই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু সত্যি স্বীকার করার সাহস আমার ছিল না।
আমি বেশ ভালই বুঝতে পারছিলাম যে, আমার ভালমানুষিটা আর ওর বাজে ছেলে মার্কা ইমেজ ব্যাপারটা আদতে দুজনেরই মুখোশ। মনে হচ্ছিল আমি ভণ্ড আর আমার মত সমাজের সব ভালমানুষগুলোই আসলে ভণ্ড। আর আমাদের মত তথাকথিত ভদ্রমানুষেরা যাদের অভদ্র-ইতর বলে গোত্রভুক্ত করে থাকি তারাই আসল খাঁটি মানুষ। নাসিরের কাছে আমার কাপুরুষতার জন্যে ক্ষমা চাইতে গেলে ও কিন্তু আমার এই যুগান্তকারী উপলব্ধিকে খুব একটা আমল দিল না। ওর মতে ব্যাপারটা আরও ডায়নামিক। আমি নাকি এক ধরনের গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আরেক ধরনের গোঁড়ামিতে ঢুকে যাচ্ছি। সেদিনের সেই আলোচনা গোটা টিফিনেও শেষ হয়নি। ছুটির পর আবার আমরা কিছুক্ষন গল্প করি। নাসিরকে সেদিন আমার মনে হয়েছিল একটা আবিষ্কারের মত। ওর সাথে গল্প করাটা ছিল একটা দারুণ অনুভূতি। আমি এক একেকটা ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছচ্ছি আর ও আমার অবস্থানকে নস্যাৎ করে আরও নিরপেক্ষ আরও ডায়নামিক অবস্থানে চলে যাচ্ছিল। বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমার মনে হল নাসিরের চেয়ে বড় দার্শনিক পৃথিবীতে আর নেই। পরে বুঝেছিলাম সেটাও আমার অতিরঞ্জিত এবং আবেগময় এক সিদ্ধান্ত। তবে একটা জিনিস আমি ঠিকই বুঝেছিলাম। আমার পড়ার বইয়ের বাইরে এবং ফেলুদার বইয়ের বাইরে আরও একটা বিশাল জগত আছে। সেখানে আমি নিরক্ষর আর নাসির ফার্স্টবয়। কী সেই দুনিয়া? তাকে জানার আগ্রহে আমার অজান্তেই আমি আর নাসির বন্ধু হয়ে যাই।
নাসিরের মধ্যে আমি এক অদ্ভুত সচ্ছতা দেখতে পাই। আর সেই সচ্ছতার সামনে আমার এতদিনকার ভাল বন্ধুদের আর ততটা ভাল বলে মনে হয় না। ফলাফলস্বরূপ আমি আর নাসির সেকেণ্ড বেঞ্চে পাশাপাশি বসতে থাকি। আমাদের সেই ক্লাসঘরটায় ফার্স্ট বেঞ্চের পাশে কোন জানালা না থাকায় ব্যাপারটা স্যারেরা মেনে নিয়েছিলেন। আমি জানতাম আমার বাবা কোনদিন আমাদের বন্ধুত্ব মেনে নেবে না। তাই সবসময় চেষ্টা করতাম একটু লুকিয়ে ওর সাথে মেশার। অনেকটা প্রেম করলে যেরকম লুকিয়ে মিশতে হয় সেরকম। (যদিও পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমার বিনীত অনুরোধ সেরকম কিছু খোঁজার চেষ্টা করবেন না। তবু যদি কেউ করেন তবে ‘তদজনিত প্রসূত’ হতাশার দায়িত্ব আমার নয়।) কিন্তু বোরিং ক্লাসগুলোতে আমাদের যে কুটকুট গল্প চলত তাকে উপেক্ষা করার মত সংযম আমার ছিল না।
এদিকে, বাবার কাছে আমার এই অধঃপতনে যাবার সূচনাকাল সূচিত হয়ে গিয়েছিল অনেকের দ্বারা। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পর বাবা আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি নিশ্চিত ছিলাম বাবা আমাকে কি বলতে পারেন। কিন্তু আমাকে সম্পূর্ণ অবাক করে বাবা বলে দিলেন যাই করি না কেন, যার সাথেই মিশি না কেন, নিজে যেন ঠিক থাকি। তাহলেই সব ঠিক। সেদিনই আমার বাবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আমি প্রথম থিওরির বাইরে প্র্যাকটিক্যালি অনুভব করলাম।
(চলবে)
----------------------------------------------------------------------------------------
কথা বলার ভাষায় লিখতে গিয়ে অনেক ইংরেজী ব্যবহার হয়ে গেল। সমালোচনা কাম্য।
মন্তব্য
ভালো লাগছে। সামনের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এতক্ষন কোন মন্তব্য না পড়ায় টেনশনে ছিলাম।
আপনার মন্তব্যে ভরসা পেলাম।
আশা রাখি আপনাকে পরবর্তী পর্বগুলোতেও পাশে পাব।
ভালো লাগছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখাটা পড়ার ও মন্তব্য করার জন্যে
অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
পড়ছি এবং ভাললাগাটা জানিয়ে গেলাম। পর্বগুলো আরেকটু বড় হলে মন্দ হয়না।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার এই ভাললাগা জানিয়ে যাওয়াটা যে আমার কাছে কত বড় প্রেরণা তা শুধু আমিই জানি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বড় করিনা পাঠক হারাবার ভয়ে।
এমনিতেই বেশি একটা মন্তব্য পাই না, তার ওপর যদি আরও বড় করি,
দেখা গেল সবাই আমারে একলা ফালাইয়া চইলা গেল।
তবে আপনি যখন অভয় দিলেন, এর পরের পর্বটা আরেকটু বড় দেব।
ভালো লাগছে। বেশ।
চলুক।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপসদা ।
সিগ্ন্যাল যখন দিয়েছ, চলবে নিশ্চই ।
ভাল থেকো ।
শুভেচ্ছা ।
দারুণ
নাসিরের গল্প চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাইয়া।
আপনার মন্তব্য আমাকে প্রেরণা আর সাহস যোগাবে।
আশা রাখি ভবিষ্যতের পর্বগুলোতেও আপনাকে পাশে পাব।
খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
দুটো পর্ব একসাথে পড়লাম। দারুণ লাগলো, চলুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
সাহস পেলাম।
অবশ্যই চলবে।
আপনাদের এক একটা মন্তব্য আমাকে পরের পর্ব লেখার উৎসাহ যোগায়।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ঘটনাপ্রবাহ ভাল লাগছে।
facebook
অনেক ধন্যবাদ অণু দা।
আশা রাখি এর পরের পর্বগুলোও ভাল লাগবে।
এটা অনেক ঘাট ঘুরে আজকের আমাদের সময়ে এসে থামবে।
শুধু ভয় হল, এত ঘাটের জল খেয়ে কজন পাঠক যে অবশিষ্ট থাকবেন!!
আসলে নতুন নতুন লিখছি তো, তাই মন্তব্যের জন্যে আমি তীর্থের কাক ।
চমৎকার এগুচ্ছে। দুপর্ব একসাথে পড়লাম। এই পর্বে গতি বেশী। ভালো লেগেছে দু পর্বই। চলুক।
লেখা পড়ার আগে আপনার মন্তব্য পড়েই আমার অসম্ভব ভালে লেগেছে। বাকী পর্বগুলোও পড়ার আশা রাখি।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাকী পর্বগুলো পড়ার জন্যে আগাম ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুব খুব ভাল লাগল।
এবারে বেশ সাহস পাচ্ছি।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
ভালো লাগা তো আগের পর্বেই জানিয়েছি, এখন সেই ভালো লাগা আরো গতিময় হচ্ছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তাই তো ভাবছিলাম, এই পর্বে আপনার মন্তব্য নেই কেন?
ভাবলাম, যাও বা কয়েকজন পাঠক পেয়েছিলাম, তাও হারিয়ে ফেললাম।
আশা করি প্রতি পর্বে আপনার ভাললাগা জানিয়ে যাবেন কষ্ট করে।
ভাল থাকুন।
পড়তে ভাল লাগছে, লিখতে থাকুন (আরেকটু বড় হলে মন্দ হয় না )
খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য।
আর বললেন যখন তাহলে এর পরের পর্বটা একটু বড় দেব।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।
কতো মুখোশ, না?
নাসিরকে ভালো লাগছে।
সেইসাথে ভালো লাগলো আপনার বাবাকেও। তাঁকে শ্রদ্ধা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুন্দর বলেছেন আপনি। মুখোশের সারি।
আর নাসিরের ব্যাপারে যত শুনবেন তত অবাক হবেন।
ওর বিচিত্র জীবনের একটা টুকরো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
সাথে থাকুন, অনেক গল্প এখনও বলা বাকি।
ভেবেছিলাম এই পর্বটা বোধহয় আর পড়লেন না !
কিন্তু মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম।
ভাল থাকবেন।
দুটো পর্বই পড়েছি। বর্ণনের সাবলীলতা মন কেড়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা রাখি ভবিষ্যত পর্বগুলোতেও হতাশ হবেন না।
সাথে থাকুন আর খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
এগোতে না এগোতেই খতম?
আরেকটু লম্বা দম নিয়ে বসুন না!
আপনার বাবার জন্য
আপনার জন্য
নাসিরকে কিছু দিলেন না দাদা?
মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম।
এইবারে দম নিয়ে বসছি।
পরেরটা বড় হবে।
সাথে থাকবেন কিন্তু।
দুটো পর্বই ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেলাম।
খুব ভাল লাগল।
আশা রাখি পরের পর্বগুলোও ভাল লাগবে।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
ভালো লাগছে। অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
এই দুই পর্বের মত পরের পর্বগুলোতেও পাশে থাকুন।
আগের পর্বে আপনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম,
একটু দেখবেন।
খুব ভাল থাকুন।
আরেকটু বড় আকারে চলুক।
অনেক ধন্যবাদ ।
বললেন যখন পরের পর্ব বড় হবে।
ভাল থাকুন।
সাথে থাকুন।
শুভেচ্ছা।
ভালো লাগছে, চলুক।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।
বাংলা সিনেমায় অজস্রবার শোনা এই ডায়লগ শুনে না হেসে পারলাম না। দুই পর্বই ভালো লাগল বেশ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠিকই বলেছেন।
আসলে লিখতে গিয়ে মাঝে মাঝেই বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি।
এটা তারই ফল ।
ভাল থাকবেন ।
আর অবশ্যই পরবর্তী পর্বগুলোতেও পাশে থাকবেন।
এই পর্ব ও চমৎকার লাগল । আরেকটু বড় করলে পারতেন
সবাই দেখি বড় করতে বলছে।
এরপর থেকে অবশ্যই বড় হবে।
পড়ার ও মন্তব্য করার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
সাথে থাকুন।
ভালোলাগায় গতি মিশে গেলে তাকে বেগবান ভালোলাগা বলে।
সেই বেগে আরো বেগান্তিক যুক্ত করে পরের পর্বটি জলদি ঝেড়ে লিখে ফেলুন।
চলছে চলুক___
বাহ, খুব সুন্দর বললেন তো কথাটা ।
অনেক ধন্যবাদ।
পরের পর্ব জলদি আসছে।
পাশে থাকুন দাদা।
চলুক
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় দাদা।
অভয় যখন দিলেন অবশ্যই চলবে।
খুব ভাল থাকুন।
অনেক শুভেচ্ছা।
খুব মজা পাচ্ছি। লেখা কিন্তু থামানো যাবে না।
খুব নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি আপনার লেখা পড়ে। নিজের অনেক নীচুত্ব মনে পড়ে মাথাটা নীচু হচ্ছে আর চোখের জলও নীচেই পরছে।
আপনাদের কাছ থেকে এতটা সাড়া পাব ভাবিনি।
সত্যি বলছি।
অবশ্যই লিখব।
এই লেখা আজকের সময়ে এসে তবেই থামবে।
আমিও আমার অনেক নীচতার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যেই এই লেখায় হাত
দিয়েছি বলতে পারেন।
আর ভাল-মন্দ নিয়েই তো আমরা মানুষ, তাই না?
যদি অনুতাপে চোখের জল পড়ে তাহলে তাতেই সব গ্লানি ধুয়ে যায়।
খুব ভাল থাকুন।
আর প্রতি পর্বেই মন্তব্য চাই কিন্তু।
শুভেচ্ছা।
চলুক
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাদের প্রতিটা মন্তব্য আমাকে অনেক অনেক অনুপ্রেরনা যোগাচ্ছে।
এভাবেই সাথে থাকুন।
আর খুব ভাল থাকুন।
সচলে গত বেশ কয়েকদিন ঠিকমতো ঢুকতেই পারিনি অন্যান্য আকাজের চাপে। যখনই পারছি তখনই পিছিয়ে গিয়ে শুরু করছি পড়া। ৫ পৃষ্ঠা থেকে ৩ পৃষ্ঠায় হয়তো আসছি; তারপর আবার যখন সচলে বসছি দেখছি ৩ পৃষ্ঠায় যে লেখাটা পড়তে পড়তে রেখে গেলাম সেটা আবার ৫ নং এ চলে গেছে। এই সিরিয়ালেই আপনার প্রথম টা পড়লাম আজকেই, সেখাঙ্কার লিঙ্ক ধরেই দ্বিতীয়টাও পড়া হয়ে গেল।
ভাল লাগছে লেখা। আর আপনার সচল হওয়ার খবরে প্রথমে একটু হিংসে হলেও, লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম কেন আপনি মাত্র দু'টো লিখেই সচল কিন্তু আমি না। তাই হিংসে বিদেয় নিল নিজ থেকেই। অভিনন্দন আপনাকে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
আপনার লেখাগুলোর একটা তালিকা contact এট সচল বরাবর পাঠাবেন প্লিজ?
অবশ্যই।
আমি একবার পাঠিয়ে দিয়েছি আগেও।
আবার পাঠাচ্ছি।
যাঃ,
আমি ভুল করে ভেবেছিলাম যে আমাকে উদ্দেশ্য করেই মন্তব্যটা।
তদানীন্তন ভাই, এটা আপনাকে বলা। জলদি তালিকা বানিয়ে পাঠিয়ে দিন।
আর মুর্শেদ ভাইয়া, দুঃখিত।
তবে আমার মেলটাও একবার দেখবেন প্লিজ।
প্রদীপ্ত, আপনার হাতের আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখাটা কিন্তু তালিকায় যোগ হয় নি।
কোন লেখা সেটা আপনি জানেন।
জানি
পাঠিয়ে দিয়েছি ।
অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে সম্মানিত বোধ করছি।
খুব ভাল লাগল এত বড় একটা মন্তব্য পেয়ে।
আমিও মাঝে মাঝে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আপনার মতই দশা হয়।
ভাগ্যিস আপনি মেকাপ দেবার জন্যে পিছিয়েছিলেন!
আর সত্যি বলছি, হাচল হয়ে আমিও খুব লজ্জা পেয়েছি।
আর সেই লজ্জা ঢাকতেই সিরিজ শুরু করেছি।
আজকে আমি হাচল হয়েছি, দুদিন পরে আপনিও হবেন।
অতিথি, হাচল, সচল বড় কথা নয়। আমাদের সবার ভেতর ভাল লেখা পড়ার এবং লেখার যে খিদেটা আছে, সেখানেই আমাদের বন্ধুত্ব, আমাদের সম্পর্ক।
হিংসে বিদেয় করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তী পর্বগুলোতেও সাথে থাকুন।
আর আসুন
ধন্যবাদ আপনাকেও। আর আমি ভুলে হাচল লিখতে সচল লিখে ফেলেছিলাম আগের পোস্টে। আশা করি খুব শিঘ্রই আমার এই ভুলটাকে আপনার লেখার গুনে আপনি সঠিক করে তুলতে পারবেন। ভাল থাকবেন।
চেষ্টা করব দাদা।
নাসিরের মতো আমারও একটা বন্ধু ছিলো। আমাদের সবারই হয়তো আছে।
অশেষ ধন্যবাদ দাদা।
ঠিকই বলেছেন আপনি।
আমাদের প্রত্যেকেরই হয়তো এরকম বন্ধু থাকে।
যারা আপাতভাবে ততকালীন সময়ে অনুজ্জ্বল থেকেও চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকে আমাদের মন আর স্মৃতির আকাশে।
এঁদের প্রত্যেকের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ কুর্নিশ।
আপনি খুব ভাল থাকুন।
আর অবশ্যই পরবর্তী পর্বগুলোতে পাশে থাকুন।
শুভেচ্ছা।
পড়ে যাচ্ছি নিয়মিত!
আর মনে হল, পর্বগুলো আরেকটু বড় হলে পড়তে ভাল লাগবে!
আসল কথা কি, লেখা ভাল হলে বড় বা ছোট'র ব্যাপারটা আর মনে থাকে না! কাজেই লিখতে থাকুন, পাঠকের ভাল লাগলে লেখার শেষ পর্যন্ত পাঠক নিজ দায়িত্বেই পৌছেঁ যাবেন!
শুভেচ্ছা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ঠিকই বলেছেন, একদম খাঁটি কথা। আসলে লেখা ভাল কিনা সে ব্যাপারে একটু সংশয়ে ছিলাম তো, তাই ছোট দিয়েছিলাম। এর পরেরটা বড় আসছে। তারপর যদি সকলে বলেন তো আরও বড় দেব।
আপনাদের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই এগোব।
সাথে থাকবেন।
খুব ভাল থাকুন।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
অসুস্থ থাকার কারণে বেশ কদিন সচলে ঢুকিনি। তাই, দেরীতে পড়লাম।
বেশ লিখেন তো আপনি।
চালিয়ে যান।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হ্যাঁ, আমিও ভাবছিলাম আপনি কোথায় গেলেন !
প্রার্থনা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
আর সচল থাকুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
লেখা এক্টূ বেশী ছোট বলে মনে হচ্ছে। আমার স্কুলবেলার কথা বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় পর্বটা আরেকটু বড় করে লিখেছি।
আসলে স্কুলবেলাটাকে এত মিস করি আর এত ভালবাসি যে, মনে হয় ওখানেই ফিরে যাই।
ছোট ছোট দুঃখ, পরীক্ষার টেনশন, খেলা, গল্পের বই, আইস্ক্রিম, আচার, রেজাল্ট, নতুন বইয়ের মলাট আর পাতার গন্ধ, সব মিলিয়ে এখন অব্দি আমার কাছে জীবনের সেরা সময়।
বেশ জোরেই এগছ্ছিল। হঠাৎ ফুরিয়ে গেল। পরের টার জন্নে আবার গুছইয়ে ব্সলুম।
নতুন মন্তব্য করুন