পর্ব ১ ।। পর্ব ২ ।। পর্ব ৩
(আজ নাসিরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ওকে উপহার দিতে গিয়ে চটজলদি এই পর্বটা লিখলাম। তৃতীয় পর্বে আপনাদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো এর পরের পর্ব থেকে অবশ্যই কার্যকর করব।)
নাইনে ওঠার পর আমার স্বাধীনতা একটু বাড়ল। সাইকেল নিয়ে একটু আধটু এদিক ওদিক যাওয়া আসা শুরু হল। একদিন গিয়ে দেখে এলাম নাসিরের বাড়ি। মানে ওর মামার বাড়ি। আমাদের শহরের এক প্রান্তে। তার ওপাশে ধূ-ধূ ফাঁকা মাঠ। নদীর ঘাটে যাবার রাস্তা। অবশ্য বাঁশের বেড়া দেওয়া ওদের বাড়ি দেখে আশ্চর্য হবার কিছু আর ছিল না। এভাবেই ঘোরাঘুরি করতে করতে একদিন আমাদের কী মনে হল রামকৃষ্ণ মিশনের ভেতর ঢুকলাম। খুবই ছোট সেই আশ্রমে একটাই টিনের ঘর। তার ভেতর একটা আলমারিকে সম্বল করে চলছে লাইব্রেরী। বইগুলো নাড়চাড়া করে দুজনে দুজনের দিকে তাকালাম। বুঝতে পারলাম অনেক ভাল ভাল খাদ্যের সন্ধান পাওয়া গেল। তারপর থেকে মন-আত্মা-কর্মযোগ-রাজজোগ এসব নিয়ে প্রচুর গবেষণা করে ফেললাম। বিবেকানন্দের ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে ঠিক করে ফেললাম বড় হয়ে বিবেকানন্দই হতে হবে। এখানে বলে রাখি, বিবেকানন্দের বিতর্কিত দিকগুলো তখন আমরা অবশ্যই জানতাম না। কিন্তু অত ভাল ভাল কথা পড়ে বিবেকানন্দকে নিরপেক্ষ ভাবে মূল্যায়ন করতে না পারলেও উঁচু একটা আদর্শ গঠনে কোন অসুবিধে হয়নি। কিন্তু আশ্রমের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুব একটা মধুর থাকল না বেশিদিন। কারন ভক্তির বাড়াবাড়ি আমাদের কখনই ভাল লাগত না। কারও বা কোন মতবাদ দ্বারা বেশি আপ্লুত হয়ে গেল স্বাধীন ভাবনারা আর ডানা মেলতে পারেনা। জন্ম নেয় গোঁড়ামি। আর এই বিষয়টাকে নাসির সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করত। ওর মনে হল সেখানে ভক্তির চাপে এত ফুল জমে যে দূরত্ব অনেক বেড়ে যায়। আরেকবার নাসির আমাকে বাঁচিয়ে দিল 'গোত্রভুক্ত' হওয়ার হাত থেকে। আজ বুঝতে পারি, নাসির না থাকলে আমি হয়তো এতদিনে টিপিকাল বিবেকানন্দ-ভক্ত হয়ে পড়তাম আর স্ববিরোধী বিবেকানন্দের পরিচয় পেয়ে অযৌক্তিক প্রত্যাঘাত করতে গিয়ে পরিণত হতাম এক গোঁড়া মৌলবাদীতে।
ঐ বইগুলো পড়ার ফলে আমাদের খিদে বেড়ে গেল। মনস্তত্ব বা আধ্মাতিকতার বইয়ের প্রয়োজন বেড়ে গেল বেশি করে। আমি লক্ষ্য করতাম আমার মধ্যে একটা উন্নাসিক মানসিকতা সবসময় কাজ করত। আমি জানতাম অনেক কম বয়সে আমরা অনেক ভারি ভারি বই পড়ছি। তাই নিজের মধ্যে একটা গর্ব অনুভব করতাম আর আমার বিভিন্ন আচরণে প্রচ্ছন্ন চেষ্টা থাকত সেই জ্ঞান জাহির করার। কিন্তু আশ্চর্য হয়ে দেখতাম নাসিরের মধ্যে সেসবের বালাই নেই। আমি ওকে দেখে মুগ্ধ হতাম কিন্তু ওর মত হতে পারতাম না।
এর তার বই নিয়ে সব পড়া শেষ হয়ে গেল কিছুদিন পর। দরকার পড়ল আরও বড় ভাণ্ডারের। এমন সময় আমাদের বাড়িতে একটা চিঠি এল। বাড়িতে চিঠি এলে তা খুলে পড়ার লোভ আমি সামলাতে পারতাম না। চিঠিটা এসেছিল মহকুমা পাঠাগার থেকে। বাবার যে পুরোন কার্ডটা আছে সেটা অনেকদিন রিনিউ করা হয়নি। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে। আমি বাবাকে রাজি করালাম কার্ড রিনিউ এর ব্যাপারে। আর অবশ্যই তার সাথে আমার কার্ডের ব্যাপারটাও সেট করে ফেললাম। মানে আমার আর নাসিরের মিলিয়ে হল তিনটে কার্ড। লাইব্রেরীয়ান কাকু বাবার বন্ধু হওয়ার সুবাদে বাবার কার্ডে বই আনতে আমার কোন অসুবিধে হত না। প্রথম দিন লাইব্রেরীতে ঢোকার অভিজ্ঞতা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আনন্দে চোখে জল এসে গেছিল প্রায়। এত এত বই। তাও আবার ফ্রি তে পড়া যাবে! পৃথিবীতে এর চেয়ে ভাল জায়গা যে আর একটাও নেই সেই বিষয়ে আমি আর নাসির একমত হলাম। ঘনাদা-টেনিদা-ফেলুদা আর নয় এবারে হাত দিলাম ‘বড়দের বই’ এর দিকে। ফলাফল যা হবার তাই হল। জীবনবিজ্ঞান বইয়ের নীচ থেকে আমার বাবা আবিষ্কার করলেন বুদ্ধদেব গূহের একটু উষ্ণতার জন্য। অংক খাতার ভেতর আরণ্যক। পরীক্ষার আর একমাস বাকি ছিল। আমার লাইব্রেরী যাওয়া বন্ধ হল। লাইব্রেরীয়ান কাকুকে এও বলে দেওয়া হল যেন নাসিরকেও এই একমাস কোন বই না দেওয়া হয়। আমাদের ছোট শহরে সবাই সবাইকে চিনত প্রায়। এগুলো তারই সাইড-এফেক্ট। এই সকল এফেক্ট নিয়ে আরও কথা পরে বলছি।
এমন সময় একদিন রাতে যখন আমার অংক করার একদম ইচ্ছেই ছিল না আমার চোখ গেল তাকের দিকে। অনেক পুরোন মোটা মোটা পুজর সংখ্যা আর অনেক অনেক দেশ পত্রিকা। পেয়ে গেলাম গুপ্তধন। ছোটবেলা বাবা যখন এই দেশ পত্রিকাগুলো থেকে ধারাবাহিক উপন্যাস মাকে পড়ে শোনাত আমি তার আগের সংখ্যাটাতে কলম দিয়ে দাগাদাগি করতাম। এখন আমার নিজেরই রাগ হচ্ছিল সেই দাগগুলোর ওপর। এভাবেই পড়ে ফেললাম সাতকাহন। আর হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষায় আমার রেজাল্ট হল শোচনীয়।
আশ্চর্য ব্যাপার! এবারে দোষ গিয়ে পড়ল নাসিরের ওপর। ঠিক করলাম এর জবাব অ্যানুয়ালিতে দেব।অবশ্য সে জন্যে আমাদের লাইব্রেরী যাওয়া কমেনি। আমরা নিজ দায়িত্বে লাইব্রেরীর বইগুলোকে সাজিয়ে রাখতাম। পুরোন বইগুলো ঝাঁড়পোছ করতাম। আর যেটা করতাম সেটা বলা কি নিরাপদ হবে? হ্যাঁ, যেটা ভাবছেন ঠিক তাই। তবে চোর হলেও আমাদের মূল্যবোধ ছিল। আমরা এটাও মানতাম লাইব্রেরীর বই সবার এবং সবার তা পড়ার অধিকার। কিন্তু আমরা নিজেরা নিজেরাই জেনে গেছিলাম যে, আমাদের চেয়ে ভাল আর কেউ ঐ বইগুলোর মর্যাদা দিতে পারবে না। তাই যে যে বইগুলো তিন কপি করে ছিল তার সবচেয়ে ছেঁড়া-ফাটা কপিগুলো আমরা অনেক পরিশ্রমে নিজেদের সংগ্রহে আনলাম। আমি এখনো হলফ করে বলতে পারি, সেই বইগুলো কেউ কোন্দিন তুলত না আর খুঁজেও পেত না। বরঞ্চ আমি আর নাসির মিলে অনেককে ওগুলো পড়তে দিয়েছি। (যেহেতু সচলায়তনের মূল পাঠক বাংলাদেশের তাই সাহস করে বললাম। আপনারা আবার পাঁচ কইরেন না যেন।) আমাদের কির্তীকলাপে (অবশ্যই কুকির্তীগুলো নয়) খুশি হয়ে সেবার জেলা বইমেলাতে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল বই চয়েস করতে। আমরা তো মহা খুশি। যে স্টলেই যাই, সাবডিভিশন লাইব্রেরীর কথা বললে ভাওই খাতির করে! সেই বোধহয় আমাদের জীবনে প্রথম সম্মানলাভ। মনের সুখে বই কিনে লাইব্রেরীর রিজার্ভ করা অ্যাম্বাসাডারে চেপে ফিরে এলাম বাড়ি। সেই দিনটা আজও আমার আর জীবনে অন্যতম স্মরণীয় দিনগুলোর একটা।
(চলবে)
----------------------------------------------------------------------------------------
আমার কথা বোধহয় বেশি বলা হয়ে গেল। আসলে ঘটনাগুলো এমন ভাবে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে যে আলাদা করতে পারছি না।
মন্তব্য
দারুন লাগলো। এক নিমিষে পড়ে ফেললুম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সাথে থাকুন।
ভাল থাকুন।
আরো বইয়ের নাম জানতে চাইছি।
ঘ্রানে যদি অর্ধভোজন হয়, শ্রবণেও যৎকিঞ্চিত।
সেই সময়টাতে আমরা খুব বেশি করে পড়তাম সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখাগুলো। যেমন লোটাকম্বল, অচেনা আকাশ, শ্বেত পাথরের টেবিল, ইতি পলাশ, ইতি তোমার মা। এছাড়া মনে পড়ছে সমরেশ মজুমদারের উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, বুদ্ধদেব গূহর কোয়েলের কাছে, মৈত্রেয়ী দেবীর ন হন্যতে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, অলৌকিক জলযান, আবুল বাশারের অগ্নিবলাকা, আকাশলীনা, কালকূটের কোথায় পাব তারে, এই সব। মানে সোজা কথায় যা পেয়েছি সামনে তাই গিলেছি।
তবে এতদিন পরে কোনটা আগে কোনটা পরে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
এবারে আপনার লিস্টি ঝাড়েন দেখি।
প্রদীপ্ত, আপনার লিস্টটা পড়ে মনে পড়ে গেল বছর দেড়েক আগেই ছোটবেলার পড়াপড়ি নিয়েই ছয় পর্বের একটা ধারাবাহিক ব্লগরব্লগর লিখব বলে পরিকল্পনা করেছিলাম। এখন দেখছি নতুন করে হিসেবে বসতে হবে।
উফ ! একটা উপন্যাসের নাম মনে করিয়ে দিলেন- ইতি তোমার মা।
সত্যি, 'ইতি তোমার মা' যে মনের কোন জায়গায় আঘাত করে তা যে পড়েছে শুধু সেই জানে।
ভালো লাগল,
তবে, এই সকল এফেক্ট নিয়ে আরও কথা পরে বলছি। এইটা কেমন জানি খাপে খাপ বসে নি।
নাসিরকে শুভেচ্ছা ।
facebook
ঠিকই বলেছেন। একদম ঠিক।
তাড়াহুড়া করার ফল।
সম্পাদনা করব কি? কী বলেন?
আর নাসিরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
পড়ছি। চমৎকার চলছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।
পরবর্তী পর্বগুলোতেও এই ভাবেই পাশে থাকুন।
পড়লাম সবগুলোই
এত উদাসীনতার মধ্যেও কষ্ট করে এতগুলো পর্ব পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরের পর্বগুলোও পড়তে হবে কিন্তু।
আপনার সিগন্যাল সাহস জোগাল।
খুব ভােলা লাগেলা,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
দারুন লাগলো।
চলুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
রাজামশাইকে অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যে।
আপনারা যখন পাশে আছেন অবশ্যই চলবে।
শরীর কেমন এখন?
জ্বর নেই, তবে, কাঁশিতে খুব কষ্ট পাচ্ছি। চট্টগ্রামে খুব বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। আপনাদের ওদিককার খবর কি?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমাদের এখানে কয়েকদিন আগে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
আমার মোডেম উড়ে গেছিল বাজ পড়ে।
তাই মাঝে দুদিন নেট বিচ্ছিন্ন ছিলাম।
এখনও প্রায় প্রতিদিন রাতেই বৃষ্টি হচ্ছে।
বই কিনে যেমন কেউ দেউলে হয় না, বই চুরি করে তেমনি কেউ কলঙ্কিত হয় না যদি নিজে পড়া ও অন্যদের পড়ানোর উদ্দেশ্যেই সেই চৌর্যকর্ম সংঘটিত হয়ে থাকে। আমাদের স্কুলের লাইব্রেরিতেও দেখেছি অপঠিত হয়ে পড়ে আছে কত বই। পাঠকের হাতের স্পর্শবঞ্চিত হয়ে অযত্নে অবহেলায় কি করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে সেই মহামূল্যবান বইগুলো! তবু নিয়মের বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে আমরা তাদের বাঁচাতে পারিনি।
লেখা চলতে থাকুক, প্রদীপ্তদা!
তাইলে বলতেছেন যে ফাঁসি হব না। কি কন?
যথারীতি মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ক'দিন নেট বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ফিরে এসেই একসাথে পড়ে ফেল্লাম দুটো পর্ব। আপনার কৈশোরের সোনার দিনগুলোর স্মৃতিচ্চারণ মনকে নাড়া দিল। চলুক। পরের কিস্তি কবে?
আমিও মাঝে দুদিন নেট বিচ্ছিন্ন ছিলাম।
কী যে অসুবিধা।
যাই হোক, ফিরে এসে মনে করে যে পড়েছেন তার জন্যে ধন্যবাদ।
আসলে বাড়ি যাচ্ছি নববর্ষে।
ওখান থেকে ফিরে লিখব।
ধন্যবাদ দাদা।
ভাল লেগেছে
আপনার ভাল লেগেছে জেনে, আমারও ভাল লাগছে।
আপনার অভিযোজন কাহিনীও দারুণ লেগেছে।
আপনার তালিকা থেকে দুই একটা ছাড়া প্রায় সবগুলো বই আমার পড়া । একসময় দীর্ঘদিন দেশ পত্রিকার গ্রাহক ছিলাম, সেই সুবাদেও অনেক উপন্যাস পড়া হয়েছে । হঠাত একদিন ইচ্ছা হল বই এর নাম লিখে রাখি কি কি বই পড়লাম । প্রায় চারশর মত বই এর নাম লেখার পর নাম লিখা বাদ দিয়ে দেই । এক সময় ভাবতাম মানুষ বই না পড়ে থাকে কি করে, এখন নিজেরই আর তেমন করে পড়া হয় না, শুধু জমানো ছাড়া, একদিন পড়ব বলে
লেখা ভালো হয়েছে, যদিও মনে হল খানিকটা তাড়াহুড়া করেছেন
আমার পড়াও অনেক কমে গেছে।
গত দু-তিন মাসে কোন বড়সড় উপন্যাস পড়া হয়নি।
তবে জমাতে থাকুন।
সময় আবার আসবে নিশ্চই।
ততদিন শুধু বইয়ের ক্ষিদেটাকে জিইয়ে রাখতে হবে।
দারুন লাগছে, ছালিয়ে যাও বস, পরের পর্ব এর জন্য বসে রইলাম
তবে একটু পারিপারশিক বর্ণনা থাকলে আরও জিবন্ত হত বলে আমার মনে হয় ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দারুন লাগছে, ছালিয়ে যাও বস, পরের পর্ব এর জন্য বসে রইলাম
তবে একটু পারিপারশিক বর্ণনা থাকলে আরও জিবন্ত হত বলে আমার মনে হয় ।
পড়তে তো ১০ সেকেন্ড ও লাগে না, !!!
আপনি অনিয়মিত ভাবে বড় করে লিখেন, আধপেটা থাকলে মনটা খিচড়ে থাকে।
মাফি চাই রাজামশাই।
এর পরেরটা সময় নিয়ে লিখব।
কিছু বলেন দাদা।
খালি খাইলে হব?
মূল্যবোধসম্পন্ন চোর!
নাসিরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নাসিরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই জানাব।
আর 'মূল্যবোধসম্পন্ন চোর' কথাটা ঠিকই বলেছেন।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
পড়লাম। ভালো লাগছে ভাই। লিখতে থাকো।
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ, লিখব আরো।
তবে মাঝখানে নববর্ষ থাকায় মনে হয় এর পরের পর্বটা দিতে একটু দেরী হবে।
ভালো লাগচে দাদা, চালিয়ে যান। পুরোটা চমচমের আদ্ধেক্টা দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলুম
পড়ার জন্যে আর ভাল লাগাটা জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু চমচম আদ্ধেকটা কেন?
নতুন মন্তব্য করুন