প্রথম পর্ব।।দ্বিতীয় পর্ব।।তৃতীয় পর্ব।।চতুর্থ পর্ব
(ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুদিন নেট বিচ্ছিন্ন ছিলাম। তাই দেরী। সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি পঞ্চম পর্ব।)
লাইব্রেরীর বই, সাইকেলে ঘোরা আর হরেক রকম আড্ডায় দিনগুলো ভালই কাটছিল। আজ লিখতে বসে মনে পড়ছে অনেক অনেক কথাই। কিন্তু অতশত লিখতে গেলে আমি সাবপ্লটের কানাগলিতে হারিয়ে যাব। বরং নাইনের হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার পরের সময়ের দিকে নজর দেওয়া যাক। আমাদের শহরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরীর বুদ্ধুদা সেসময় আমাদের স্কুলের সামনে একটা দোকান খুলল। মূলত খাতা-কলমের দোকান। তবে বইও রাখত। দোকানের নাম অ্যালায়েড। আমরা টিফিনের সময় সেখানে যেতাম। কারন সংখ্যায় খুব কম হলেও কিছু গল্পের বইয়ের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুদিনের জন্যে বই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়ে আবার ফেরত দিয়ে দেওয়া। বুদ্ধুদা আমাদের সে সাহায্য করেওছিল। তবে ওটা তো মামাবাড়ি নয়, যে যা খুশি করা যায়। নাসির অবশ্য মাঝে-মধ্যেই বুদ্ধুদার সেই ভয়ানক অগোছালো দোকানটা গুছিয়ে দিত।
নাসিরের সেই সুতোর কাজ দিন দিন কমে আসতে লাগল। কিন্তু একটা নতুন কাজ জোগাড় করা খুব জরুরি ছিল। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কারও কারও বাবার দোকান ছিল বাজারে বা বাস-স্ট্যাণ্ডে। কিন্তু কেন যেন কারও মনে নাসিরকে সেখানে কাজ করার কথা বলতে ঠিক সায় দিত না। আর নাসিরের যা দরকার ছিল, তা হল পার্ট-টাইম কাজ। প্রায় প্রতিদিন স্কুলে নাসিরের মুখে শুনতাম অদ্ভুত অদ্ভুত এক একটা কাজের কথা। কিন্তু যে কাজটা ও শুরু করল সেটা সত্যি খুবই অফবিট। পৌরসভার ‘শেষ যাত্রা’ লেখা যে কাঁচ দেওয়া গাড়িটা ছিল তা ধোওয়ার কাজ। প্রতিদিন সকালে উঠে নাসির সেই গাড়িটার সাথে চলে যেত শহরের একটু দূরে একটা ছোট নদীর ধারে। জায়গাটা নির্জন। আশে পাশে বাড়িঘর নেই। অনেক বড় সেই শূণ্য প্রান্তর আর আরও বড় আকাশের নীচে সেই ছোট্ট নদীর ধারে একটা লাশবাহী গাড়ি আর নাসির। গতকাল যাঁরা গত হয়ে গিয়েছেন এই পৃথিবীর ক্যালেণ্ডার থেকে, তাঁদের মলিনতা আর স্মৃতিমাখা স্পর্শ ঝেড়ে নাসিরের হাত ধরে সেই গাড়ি নতুন করে সেজে উঠত নতুন কারও শেষ যাত্রার প্রতীক্ষায়।
এই দার্শনিকতা তখন কিন্তু এত গভীরভাবে আমাদের ছুঁতে পারেনি। কারন আমাদের কাছে সবচেয়ে আনন্দের ছিল নাসিরের একটা কাজ পাওয়া। আর সেই আনন্দে খাওয়া দাওয়াও হল। এখন যেমন নিদেনপক্ষে একটা বিরিয়ানি না হলে ঠিক খাওয়ানো হয় না, তখন তা ছিল না। বাড়ি থেকে বরাদ্দ সপ্তাহে পাঁচ টাকা। খুব হিসেব করে চলতে হত। সবচেয়ে লোভনীয় ছিল তিন টাকার ক্ষীর মালাই। দুদিন লালা আইসক্রীম খেলে তবে একদিন ক্ষীরমালাইয়ের ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু প্রত্যেক বন্ধু সার্কেলের মত আমাদেরও একজন ছিল, যে অকৃপণ ভাবে আমাদের খাইয়ে গেছে দিনের পর দিন। সে হল রকি শীল। ভেবেছিলাম নাসির ছাড়া কারও কথা বলব না। কিন্তু ওর কথা না বলে থাকতে পারলাম না। একটু তো কৃতজ্ঞতাবোধ আছে না কি! রকি, আমি আর নাসির স্কুলের পাশের নাগের মিষ্টির দোকানে যেতাম। আমাদের আড্ডাস্থল ছিল প্লাইউড দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা। যার কেতাবি নাম কেবিন। গল্প-উপন্যাসের মত সেখানে কারও কোন প্রেম পর্ব ঘটত না। আর মফস্বল শহরে প্রেম করবার জন্যে কেবিন খুব একটা নিরাপদ জায়গাও নয়। সে দিক থেকে ঝোপ-ঝাঁড় অনেক সেফ। তবে কেবিনে যেটা চলত তা হল সিগারেট। তবে নাসির একটু আধটু শুরু করলেও আমরা সে ব্যাপারে তখনও নেহাতই শিশু। নাগের দোকানে এমন এক বিশেষ ধরণের পরোটা পাওয়া যেত যার তুলনা আমি আর কোথাও পাইনি। অণু দাদা খেয়ে দেখলে ইণ্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেটটা দিতে পারবেন। নরম মোটা মোটা পরোটা, অনেকটা নান এর মত। সাথে কোনদিন সোয়াবিনের তরকারি আর কোনদিন সিঙাড়ার ভেতরের সব্জির মত শুকনো আলুর দম। আহা সে কি খাওয়া। তো নাসির ওর নতুন কাজের প্রথম ইনকাম থেকে সেই পরোটা আর রসগোল্লা আর ক্ষীরমালাই খাইয়েছিল। এবারে আশা করি বুঝতে পারছেন সেটা কি বিশাল মাপের ভুরিভোজ ছিল। অবশ্য টিফিনের পরের পিরিয়ডের স্যার মাত্র পচিশ মিনিট লেটের জন্যে অনেক ব্যায়াম করিয়ে আমাদের সেই ভুরিভোজ হজম করিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে যতদিন আমি নাগের দোকানের কেবিনে ঢুকেছি, একটা কান খাড়া রেখেছি টিফিনের ঘণ্টা শোনার জন্যে।
কিন্তু ঐ খাওয়া দাওয়াটাই সার। বছরখানেক পর আমরা যখন ক্লাস টেন এ উঠলাম, তখন নাসিরের সেই কাজটা গেল। ওর জায়গায় পৌরসভা স্থায়ী লোক নিয়োগ করল ফুলটাইম হিসেবে। সেই নাকি পৌরসভার সব গাড়ি পরিষ্কার করবে। অতএব আবার শুরু হল নাসিরের কাজ খোঁজার পালা। অনেককেই অভিযোগ করতে শুনেছি চারদিকে নাকি কাজের আকাল। তবে নাসির কিন্তু একের পর এক কাজ পেয়েছে। হ্যাঁ, সেটা আলাদা কথা যে, ওর কাজগুলো টেকেনি। এবারের কাজটা হল পাহারাদারের কাজ। মহকুমা ক্রীড়াসংস্থার মাঠের একটা কোনে ছিল ট্যাক্সি-মারতির ইউনিয়ন অফিস। নাসিরের কাজ হল রাতে সেই অফিসে থাকা। কাজটা কিন্তু যথেষ্ট ভালই ছিল। আর সত্যি কথা বলতে ওর এই কাজটাকে আমি খুবই ঈর্ষা করতা। কারণ তখন সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায়, বাড়িতে আমার টি,ভি দেখা পুরোপুরি নিষেধ। আর এমনিতেও আমাদের বাড়িতে কেবল লাইনও ছিল না। আর সেখানে নাসিরের সেই রাতে থাকার অফিসঘরে ছিল টি,ভি। তাও আবার উইথ কেবল কানেকশন। আর রাতের বেলার সেইসকল মোহময়ী চ্যানেলগুলোর কথা আমরা নাসিরের কাছ থেকে শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম। তখন কম্পিউটার আমাদের গোটা শহরে হাতে গোনা। ক্লাস নাইন-টেনের ছেলে-মেয়েদের ঘরে কম্পিউটার থাকার তো কোন প্রশ্নই নেই। আর টি,ভি মানে তো বাবা-মায়ের ঘরে বা বসার ঘরে। অতেব শ্রবণেন অর্ধভোজনম ব্যতীত দ্বিতীয় কোন রাস্তা ছিল না।
মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা তখন সামনে। এইসময়কার একটা কথা এখানে না বলে পারছি না। চলছিল ভৌতবিজ্ঞান ক্লাস। আর স্যার ছিলেন প্রচণ্ড রাগী। কিন্তু নাসির কবেই বা কার রাগ দেখে ভয় পেয়েছে। তবে ও কোন রকম গণ্ডগোল করেনি। ও শুধু একটা বিশেষ ধরনের পাথরের সাহায্যে বেঞ্চের পাশের দেওয়ালে ওর নাম খোদাই করছিল। না, ক্লাসে কোন আওয়াজ হয়নি, স্যারও ওকে দেখেনি। কিন্তু হঠাতই পাশের ক্লাস থেকে আরেকজন আরো ভয়ংকর স্যার ভংকর রকম রেগে মেগে আমাদের ক্লাসে ছুটে এলেন। তাঁর হুংকারে আমাদের তো অবস্থা টাইট। হঠাৎ তিনি খুঁজে পেতে নাসিরকে টেনে হিঁচড়ে সামনের বারান্দায় নিয়ে গেলেন আর প্রচুর পেটালেন। বরাবরের মতই নাসিরের কিন্তু ঐসকল মার খেয়ে মুখের অভিব্যক্তির কোন পরিবর্তন হল না। কিন্তু ওকে দেখে মনে হল ও খুব আশ্চর্য হয়ে গেছে। আর মোরাল অফ দ্য স্টোরি কী? কঠিন মাধ্যমে শব্দের গতিবেগ বেশি। আসলে এ ঘরে ঐ আওয়াজটা খুব সামান্য হলেও কঠিন মাধ্যম মানে, দেওয়াল দিয়ে ঐ শব্দ যখন ঐ ঘরে পৌঁছেছে, তখন ঐ স্যার প্রচণ্ড বিরক্তিকর একটা খসখস শব্দ শুনেছেন। আর তার ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। যদিও এই ঘরে আওয়াজটা এত কম কেন ছিল, তা আজও বুঝতে পারিনি। কেউ ব্যাখ্যা করে দিলে ভাল হয়।
সেদিন স্যার নাসিরের সেই বিশেষ পাথরখানি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। আজও তার হদিস নেই। এত বছর পরেও আমাদের স্কুলের ক্লাস টেনের এ সেকশনের সেই দেওয়াল আজও বহন করছে নাসিরের সেই অসমাপ্ত নাম।
(চলবে)
----------------------------------------------------------------------------------------
টাইপো থাকলে বলবেন। শুধরে নেব।
মন্তব্য
কাহিনীর মাঝে মাঝে এমন কিছু অসাধারণ লাইন বরাবর আপনার লেখাকে আবেদনঘন করে।
দ্বিতীয় বাক্যে 'কিন্তু' কি দুইবার হয়ে গেছে? তবে টাইপো ধরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে এই কোট করিনি কিন্তু । আসল কথা হল, কাজ করতে চাইলে কাজ পাওয়া যায় এই দুনিয়ায়। কিন্তু নাসিরের মত কাজ খুঁজে কয়জন ? অথবা কয়জনই বা যেকোন কাজে মানিয়ে নেয়ার ইচ্ছা বা সামর্থ্য রাখে? আপনার বন্ধু 'নাসির'কে যতই আবিষ্কার করছি, শরৎচন্দ্রের 'ইন্দ্রনাথের' কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, যে কিনা শ্রীকান্তকে ছাপিয়ে আমার মনে স্থান করে নিয়েছে সেই ছোটবেলা থেকে।
আপনি শুধু জড়বস্তুর কাঠিন্যকে গোনায় ধরেছেন মনে হয়! পাশের ক্লাসের শিক্ষক আপনাদের থেকে অনেক বেশি কঠিন ধাতু দিয়ে গড়া ছিলেন, আর তাই.................
আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে। এবারেও তা বজায় থাকল।
পড়ার জন্যে আর মন্তব্য করার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
নাসিরের আরও অনেক অনেক জীবিকা সামনের পর্বগুলোতে আসছে।
আর ওখানে প্রথম কিন্তু টা তবে হবে। ঠিক করে দিচ্ছি।
আর শেষ কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন, পাশের ক্লাসের স্যারের কাঠিন্যটাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হবে।
মুহাম্মোদ জাফর ইকবাল এর অনেক কিশোর উপ্যনাসেই নাসির এর মত একজন বন্ধু থাকে। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল কোন কিশোর উপ্যনাস পড়ছি। আপনার লেখার হাত ও অনেক ভাল।
আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক ভাললাগা দিয়ে গেল।
লেখাটা পড়ার জন্যে আর মন্তব্য করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
''অণু দাদা খেয়ে দেখলে ইণ্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেটটা দিতে পারবেন।''
সার্টিফিকেট প্রাপ্তির প্রসঙ্গটা মন্তব্যে এলে খুশি হতাম।
লেখায় যথারীতি (Y)
লেখা এগিয়ে চলুক।
চলেন ওয়েট করি,
দেখা যাক মন্তব্য আসে কিনা!!
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
সাথে থাকবেন আর খুব ভাল থাকবেন।
প্রদীপ্ত, আমি বোধহয় বোঝাতে পারি নি। বলতে চেয়েছি, আপনার লেখাটাকে পরিপূর্ন লেখার মর্যাদা দিতে কোন ব্লগারের নাম এবং সংশ্লিস্ট বক্তব্য লেখায় না এসে মন্তব্যের ঘরে জমা পড়লে ভাল হয়।
এটা একেবারেই আমার মতামত। আপনার লেখাকে আপনার মতো করেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা তো আছিই।
না, না, ব্যাপারটা আমিই বুঝতে ভুল করেছি।
ভেবেছি, অণুদা মন্তব্যে এসে সার্টিফিকেট দেবেন!!
আর লেখাকে পরিপূর্ণতার মর্যাদা দেবার যে ব্যাপারটা বলেছেন, সেটা আমিও ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে ভাবলাম, সচলায়তনের জন্যে লিখছি যখন তখন থাক একটু সচলায়তনীয় ছাপ।
সুচিন্তিত এই মতামতের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
বিষয়টা মাথায় রাখব ভবিষ্যতে।
আর আপনারা আছেন বলেই লেখার তাগিদ আর ভরসা পাচ্ছি।
ইমো দিতে পারছি না। কুর্ণিশ।
ভাই নিলয় নন্দী, আপনার প্রো-পিকটাতে একটা শিশুকে উল্টো ডিগবাজি খেতে দেখছি ক্রমাগত, কি অদ্ভুত সুন্দর! শিশুরা পারেও
আমি প্রধানত কিশোরদের জন্য লিখে থাকি। অধিক জ্ঞান-গম্যি এসে লেখাটাকে যেন ঢেকে না ফেলে, নিজেকে চাগিয়ে রাখতেই ওই প্রো-পিক।
সব মানুষের ভেতরেই তো একটা শিশুসুলভ মন থাকে তাই না !
খেতেই হবে, সবাই এক সাথে মিলেই যাব !
facebook
পড়ে যাচ্ছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পড়ছেন জেনে ভরসা পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
ভালো লাগছে।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপসদা।
ভবিষ্যতেও এভাবেই ভাললাগা জানিয়ে যাবে, আশা রাখলাম।
অবশ্য ভাল না লাগলে, সেটাও জানাতে ভুলো না।
পড়তে ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপনার ভাললাগা আমাকে প্রেরণা আর সাহস জোগাবে।
পাশে থাকুন।
ভাল থাকুন।
পড়তে পড়তে কয়েকটা বছর পিছিয়ে গেলাম। ফ্ল্যাস ব্যাক।
সেই কিশোরবেলা। সেই সদর গভঃ হাই স্কুল। সাগরদিঘীর পার। লাল আইসক্রীম। বারোভাজা। দুষ্টুমি…
তবে আপনার বন্ধুভাগ্য ভীষন ভালো। নাসিরকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
সবশেষে শুভ নববর্ষ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
আমার বন্ধুভাগ্য সত্যিই খুব ভাল। জীবনে চলার পথে আমার সঞ্চয় বলতে সেই সম্পর্কগুলোই।
এরপর কখনও কোচবিহার গেলে আপনার সাথে দেখা করব। নাসিরেরও দেখা করিয়ে দেব। আর হ্যাঁ, সাগরদিঘীর পাড়ে যেটা খেতে আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে তা হল চপ।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
খুব ভাল থাকবেন আর সাথে থাকবেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।
ভালো লাগছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন