এতগুলো পর্ব ধরে যাঁরা সাথে থেকেছেন, পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার আর নাসিরের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি শেষ পর্ব। রোজকার জীবনে হারিয়ে থাকা একটা ছেলের জীবনের গল্পকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা সত্যিই তুলনাহীন।
নাসিরের প্রথাগত পড়াশোনা সেই যে থমকে গেল, আর শুরু হয়নি। আর বরাবরের মত এবারেও সেই জেরক্স এর দোকানের কাজটাও স্থায়ী হয়নি। ওর পরবর্তী কর্মক্ষেত্র হল একটা ব্যাগের দোকান। সে দোকানে ব্যাগের পাশাপাশি আরও নানারকম স্টেশনারি সামগ্রী পাওয়া যেত। সময়টা দুহাজার চার সাল। আমাদের উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স শেষ। আমি ভর্তি হয়ে এসেছি হলদিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সেমিস্টার শুরু হতে কিছুদিন বাকি। মাঝের সেই দিনকটা আমরা এনজয় করলাম পুরোপুরিভাবে। মুখে হাসি লেগে থাকত সবসময়। কিন্তু একটা চাপা কষ্ট বুকের ভেতর চিন-চিন করে উঠত মাঝে মাঝেই। হয়তো রায়ডাকের ব্রিজের পারে বেশ ভালই আড্ডা-ইয়ার্কি চলছিল। হঠাৎ করে কেউ কথা বলতে বলতে একটু নিস্প্রভ হয়ে গেল। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা এই নিজের শহরে নিজেকে কেমন যেন আগন্তুক মনে হত মাঝে মাঝেই। তখনও মোবাইল আসেনি আমাদের মফস্বল শহরে। একবার হলদিয়া চলে গেলে নাসিরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বলতে শুধু চিঠি। আর বছরে দুবার ছুটিতে বাড়ি আসা। প্রায় আটশ কিলোমিটার দূর থেকে তো আর চাইলেই চলে আসা যাবে না দুদিনের ছুটিতে বা সপ্তাহশেষে। আমি আর নাসির আমরা দুজনেই জানতাম সেই দিনটা একদিন আসবে। এ যেন ধীর গতিতে কিন্তু নিশ্চিতভাবে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে হেঁটে যাওয়া।
আর সেই দিনটা একদিন এসেও গেল। সারাদিন গোছগাছ সেরে সন্ধ্যেবেলা সাইকেল চেপে পৌঁছে গেলাম রায়ডাকের ব্রিজে। রাত ফুরোলেই বেড়িয়ে পড়া এক নতুন জীবনের দিকে। আর আমাদের ছোট শহরের নিয়ম মেনে এই যাওয়াটা অনেকটাই শেষ যাওয়ার মত। কারণ বাকি জীবনে যখনই ফিরে আসব সেটা হবে ঘুরতে আসার মত। একবার চলে এলে আর কি সেভাবেই ফিরে যাওয়া যায়? আমার ছোট্ট শহরের ক্ষমতা খুবই সামান্য। আমার চাকরী, আমার উচ্চশিক্ষা কোনটাই আমায় দেবার সামর্থ তার নেই। এক অমলিন শৈশব আর অনেক অনেক আবেগমাখা বন্ধুত্ব সে আমায় দিয়েছে। জানিনা তাকে আমি কি ফিরিয়ে দিতে পারব। মাথার ওপর তারাভরা আকাশ। ঘন। গাঢ় কালচে-নীল। আমরা বসে ব্রিজের ঠিক মাঝখানে রেলিং ঘেঁসা পায়ে চলার রাস্তাটায়। নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে রায়ডাক। চারদিন শুনশান। নিশ্চুপ। মাঝে মাঝে অনেক গর্জন করে ব্রিজের ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে বড় বড় ট্রাক। সে কোন প্রান্ত থেকে মাল নিয়ে তারা ছুটে যাচ্ছে আসাম-অরুণাচল-মেঘালয়-নাগাল্যাণ্ড-মিজরাম-ত্রিপুরার দিকে। আবার কেউ বা মাল নামিয়ে খালি হয়ে ফিরে যাচ্ছে ঘরের দিকে। তাদের চাকায় লেগে আছে অনেক অনেক ছাপ। তাদের ভারে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে আমাদের পুরোন ব্রিজ। কেঁপে উঠছি আমরা। তারপর আবার শূণ্যতা। নীরবতা। নির্জনতা। বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা। চোখ শুকনো খটখটে। সেদিন বলতে গেল কোনও কথাই বলিনি আমরা। অনেক রাতে নাসিরের সাথে ফিরে এলাম বাড়ি। পরদিন সকালে পাড়ি দিলাম অন্য এক দুনিয়ায়। নাসিরের কাছে রেখে এলাম অনেক অনেক স্মৃতিমাখা আমার সাইকেল।
একই জায়গায় থেকে, ঘুরে-বেড়িয়ে, আড্ডা মেরে উদযাপিত হয় যে বন্ধুত্ব তার ইতি সেখানেই। আমার লেখার ইতিও এখানেই হতে পারত। কারন আমার এই ঘটনার ঘনঘটা ভরা স্মৃতিকাহিনীর ঝুলি প্রায় নিঃশেষ। শুধু মনের অনুভূতির কথা বলে লেখা ভারাক্রান্ত করতে চাইনা। তবু স্ট্যাটাস আপডেটের মত করে আরও কয়েকটা কথা বলে আপনাদেরকে নিয়ে আসি এই দুহাজার বারোতে।
নাসির স্বভাবতই ঐ ব্যাগের দোকানেও থিতু হতে পারেনি। ওর অনেকগুলো হকের টাকা আটকে রেখেছিল মালিক। সেখান থেকে ও চলে গেছিল একটা পি,সি,ও তে। কিন্তু পি,সি,ও বুথের সেই রমরমা দিন তখন প্রায় অস্তমিত। ঘরে ঘরে চলে এসছে টেলিফোন। নাসিরের গল্পের বই পড়া কিন্তু চলছিল পুরোদমে। উপনিষদ, কোরাণ থেকে নিষিদ্ধ উপন্যাস। প্রফুল্ল রায় থেকে গলদা চিংড়ি চাষ। ফ্রয়েড থেকে মনুসংহিতা। বিজ্ঞানের আবিষ্কার থেকে হাঁসুলি বাঁকের উপকথা। রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ থেকে মেসমারিজম। সর্বত্র ছিল ওর অবারিত গতি। কিন্তু পেটের টান বড় টান। এর আগে যেসব খুচ-খাচ কাজ ও করেছে তা দিয়েই বিয়ে দিয়েছে ওর বোনের। এবারে নাসির পাড়ি দিল দিল্লী। যেভাবে হাজার হাজার বেকার ট্রেনের জেনারালের কামরা বোঝাই করে ছুটে চলে কাজের আশায়, ঠিক সেভাবেই। কিন্তু ওর ভবিষ্যত লেখা ছিল অন্যভাবে। দিল্লী থেকে ফেরার পথে ও হলদিয়ায় আমার সাথে দেখা করে এসেছিল। কয়েকদিন ছিল আমার মেসে। ওখানেই শেষ করে এসেছিল ‘বিবর’।
আমরা রাতভর আড্ডা মেরেছিলাম সে কটাদিন। বহুদিন আগে ফেলে আসা দিনগুলো যেন আবার জ্যান্ত হয়ে উঠেছিল। ওকে ঘুরিয়ে দেখালাম আমাদের ঝাঁ-চকচকে কলেজ, ক্যাফেটেরিয়া, জিম, ল্যাব, ক্লাস। ততদিনে আমার মোবাইল হয়েছে। নাসিরও নেব নেব করছে। তুফানগঞ্জ ফিরে নাসির কাজ শুরু করল সেই বুদ্ধুদাদের দোকানে। ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরী। আমার মা নাসিরকে একপ্রকার হুমকিই দিয়ে দিল, “এইবার যদি আবার কাজ ছাড়িস, তোর কপালে দুঃখ আছে”।
না, সেই কাজ নাসির আজও ছাড়েনি। তবে সেটা আমার মায়ের বা আমার হুমকির কারণে নয়। বইয়ের টানে। যে টান নাসিরকে আগলে রেখেছে জগতের হাজারো ঝঞ্ঝাট থেকে, সেই টানই ওকে জুগিয়েছে কাজের ক্ষেত্রে স্থায়ীত্ব। আজ প্রায় ছ-বছর হল নাসির সেই দোকানেই আছে। আমাদের সেই শহরেই। ওর হাত ধরে বেড়েছে গল্পের বইয়ের ব্যবসা। প্রত্যেক পাঠকের পছন্দ-অপছন্দ বুঝে নাসির বই আনিয়ে দেয় কলকাতা থেকে। মাঝে মাঝে দোকানের হয়ে মাল করতে নিজেও যায়। তাই বলে এটা ভাবার কারন নেই যে, বাধা-বিপত্তি সব কেটে গেছে। ওর বোনের বিয়েটা টেকেনি। তালাক হয়ে গেছে। অবশ্য সেটা হয়ে এক দিক থেকে ভালই হয়েছে। রোজকার অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে সালমা। ওর দাদা ওকে এনে রেখেছে নিজের কাছে। ভর্তি করে দিয়েছে সেলাই স্কুলে। নাসির স্বপ্ন দেখছে ওর বোনকে স্বাবলম্বী করে তোলার। তারপর আরেকবার বিয়ে দেবার। নাসিরের মাকে এখন আর কাজ করতে হয়না। কিছুদিন আগে অ্যাক্সিডেন্টে পায়ে চোট পাওয়া নানাও এখন ওর কাছেই থাকে। শহর থেকে একটু দূরে ও জমি কিনে নিজের বাড়ি বানিয়েছে মুলিবাঁশের বেড়া দিয়ে। তার মেঝেটা কাঁচা। চারদিকে বাঁশবন। জলের কষ্ট। কিন্তু সেখানেই প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে নতুন স্বপ্নরা। নাসির স্বপ্ন দেখছে নিজের স্বাধীন ব্যবসার।
এদিকে আমি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কদিন রিসেশনের বাজারে হাবুডুবু খেয়ে হলদিয়া থেকে কলকাতা হয়ে শিলিগুড়ি এসে থিতু হয়েছি। আমার শহর, নাসিরের শহর তুফানগঞ্জের থেকে মাত্র চার ঘণ্টার দূরত্বে। গতবছর সেই সহপাঠিনীর সাথেই বিয়ে হয়েছে। নাসির তাতে ফুল দায়িত্ব নিয়ে খেটে মরেছে। আমার জন্মদিনে শিলিগুড়িতে আমাদের এখানে এসে থেকে গেছে তিনদিন। আমার বউএর বানানো কেক খেয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে গেছে। আমরা একসাথে অনেক ঘুরেছি, থ্রি ডি তে টিনটিন দেখিয়েছি নাসিরকে। এখন মাঝে-মধ্যে ছুটকো-ছাটকা ছুটি পেলে বাড়ি যাই। বউকে বাড়িতে বাবা-মায়ের জিম্মায় রেখে আমি নাসিরের সাথে বেড়িয়ে পড়ি সেই রায়ডাকের ব্রিজে, বাঁধের পারে। বাবা-মা আমাদের এখানে এলে নাসিরকে অবশ্য এখনও আমাদের গোটা বাড়ির পাহারাদারির দায়িত্ব পালন করতে হয়। কারণ অন্য কাউকে রেখে এলে বাবার শান্তিতে ঘুম হয়না রাতে। যাই হোক এবারে শেষের কথায় আসা যাক।
নাসির পড়েছে অনেক, বলেছে অনেক কম ওর কথা লোকে শুনেছে আরও অনেক কম। আমার এই ছোট জীবনে আমি অনেক অনেক মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছি। অনেক জেলার, অনেক রাজ্যের, অনেক জাতের, অনেক বিত্তের মানুষ দেখেছি। কিন্তু নাসিরের মত কাউকে দেখিনি। আশা রাখি দেখতেও পাব না। জীবনের প্রতি আমার সমস্ত অভিমান গলে জল হয়ে যায়, যখন জীবনকে আমি নাসিরের সাপেক্ষে বিচার করি। নাসির এখন আর কলার উঁচু করে ঘোরে না।
কিন্তু আমার আমার চোখে ও চিরকাল সেই কলার উঁচু ছেলেটা।
----------------------------------------------------------------------------------------
(সমাপ্ত)
মন্তব্য
সেই কলার উঁচু ছেলেটার (নাসির) জন্য অনেক শুভকামনা।
আর আপনার জন্য তো শুভকামনা রইলই। এরকম আরও সিরিজ এর অপেক্ষায়।
---- স্বপ্নখুঁজি
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করব আরও লেখার।
অসাধারন লাগলো ভাই। সুন্দর আপনার লেখার ধরন। তরতর করে আগায়, আটকায় না। লিখে যান।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য আমাকে প্রেরণা যোগাবে।
খুব ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।
শেষ?
কোথাও না কোথাও শেষ করতে হ্য়, বুঝি।
তবুও মনে হয়,আরেকটু চললে বেশ হত।
ঠিকই বলেছেন দীপালোক ভাই।
কোথাও না কোথাও শেষ করতে হয়।
আরেকটু তো চলছে, তবে সেটা বাস্তবে।
হয়তো আবার কোনদিন নাসিরের সিরিজ শুরু হবে। তখন সেখানে জায়গা পাবে এখনকার কথাগুলো।
আজ যা ভীষণভাবে বর্তমান, কাল সেটাই হবে অতীত, আমাদের ইতিহাস।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্যে।
ভালো থাকবেন।
শেষটায় এসে একটা মোচড় দিয়ে গেলো। সেই সাথে অনেক কথা মনে পড়ে গেলো অনেক বন্ধু সম্পর্কে।
তোমার এখানে গেলে কখনো নাসিরের সাথে আড্ডা মারার ইচ্ছে রইলো। ভালো লেগেছে গোটা লেখাটাই। নাসিরের জন্য অনেক শুভকামনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
যখন খুশি সময় করে চলে এসো দাদা।
কথা দিলাম, নাসির থেকে শুরু করে এই স্মৃতিকথার প্রত্যেকটা জায়গাতেও আপনাকে নিয়ে যাব।
সিরিজ জুড়ে সাথে থাকার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারন লাগল সিরিজটি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্যে।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
শুভ কামনা। লেখা চলতে থাকুক !
facebook
অসংখ্য ধন্যবাদ অণুদা সিরিজ জুড়ে পাশে থাকার এবং উৎসাহ দেবার জন্যে।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
শেষ হয়ে গেল? খুব ভালো লাগছিল সিরিজটা । নাসিরের জন্য শুভকামনা, শুভকামনা আপনার জন্যও ।
হ্যাঁ শেষ তো হল, তবে এখনকার মত।
জীবন যেহেতু বাকি তাই এই সিরিজটাও বাকি।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
শেষ পর্বটাও অনেক ভালো লাগলো। নাসিরের জন্য শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
নাসির আর তার এমন একজন সহৃদয় বন্ধু দুজনের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
রাইখা গেলাম, পরে পড়ুম।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
পৈড়েন কিন্তু।
মিস করলে কথা খারাপ আছে কইলাম।
প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও একটানে একসাথে সবগুলো পর্ব পড়লাম। যদি বলি, আপনার লেখার হাত অসাধারণ, কথাটা বিশ্বাস করবেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনি যে সময় করে এতগুলো পর্ব একসাথে পড়েছেন সেটাই আমার কাছে অনেক বড় সম্মানের। আসলে সবগুলো পর্ব একসাথে পড়লে তবেই পুরোপুরিভাবে উপভোগ করা যায়। তবে সময়টা সবার কাছেই একটা ফ্যাক্টর।
এবার বলি আপনার প্রশ্নটার উত্তর।
নিজের লেখার প্রতি বিশ্বাস আমার ছিল। কিন্তু এও জানি আমার বিশ্বাসে বা দু-চারজন বন্ধুর প্রশ্রয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসা যায় না। সচলায়তনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যে, এখানে আমি আপনাদের মত বিদগ্ধ পাঠক পেয়েছি। আপনাদের সমালোচনা, আপনাদের প্রশংসা দুটোই আমার কাছে একইভাবে মূল্যবান।
তবে আপনি যেভাবে উৎসাহ দিলেন তা আমি কোনদিন ভুলব না। এ আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া।
খুব ভাল থাকুন। আর ভবিষ্যতেও সময় বের করে পাশে থাকুন।
শুভেচ্ছা।
ভালো লেগেছে সিরিজ। আপনার লেখা আরও এগিয়ে যেতে থাকুক
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যের প্রেরণায় পরের লেখা শুরু করব।
ভালো থাকবেন আর পরবর্তীতেও পাশে থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
আপনাদের বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হোক।
আর আপনার লেখা এভাবেই চলতে থাকুক।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে! বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধজয়ী বীর দুর্লভ! জটিল এই পৃথিবীতে জীবনযুদ্ধে জয়ীরাই সত্যিকার বীর। নাসির আমার চোখে তেমন একজন বীর। কলার উঁচু করার সত্যি তার দরকার নেই। যেহেতু এক স্বভাবজাত শ্রদ্ধা আদায় করে নিতে সক্ষম হয় আমাদের সকলের। হয়ত আমাদের সকলের জীবনেই কোন না কোন নাসির আছে; কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা তাদের দেখতে পাইনে, দৃষ্টিসীমার আড়ালে অনাবিষ্কৃতই থেকে যায় তারা। কিন্তু আপনি দেখেছেন আপনার অসাধারণ মানস-চক্ষু দিয়ে, আপনার আটপৌরে লেখন ভঙ্গি আর সংবেদনশীল ভাষা নাসিরকে অন্যদের মত হারিয়ে যেতে দেয়নি, 'শ্রীকান্তের' ইন্দ্রনাথের মত সে জ্বলজ্বল করছে পাঠকের হৃদয়ে!
একটি ইচ্ছের কথা দিয়ে শেষ করি। আমার খুব সাধ জাগে, নাসিরকে দেখি, আবিষ্কার করি একটি সত্যিকারের কলার উঁচু ছেলেকে, রায়ডাকের ব্রিজে, বাঁধের পরে!
মামুন ভাই, আপনি শুরু থেকেই আমার লেখাকে যেভাবে উৎসাহ এবং প্রশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন তার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে যে তুলনাটা আপনি টেনেছেন তাতে আমি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছি।
চলে আসুন একবার এখানে। ঘুরে-ফিরে দেখে যান। কথা দিলাম দারুণ লাগবে।
আপনার প্রশ্রয় ভবিষ্যতেও পাব তা জানি।
বারবার ধন্যবাদ জানিয়ে আর ছোট করছি না, তার চেয়ে এই নিন (গুড়)
জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাস "দুষ্ট ছেলের দল" এর বিলুর কথা মনে পড়ল। যদিও বিলুর পরিণতি আরেকটু নাটকীয় ছিল।
ভালো লাগল। নাসিরের জন্য শুভ কামনা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নাসিরকে শুভকামনা জানাবার জন্যে আর লেখাটা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
অসাধারণ এই সিরিজটার আমি প্রথম থেকেই নীরব পাঠক ছিলাম, কি এক অসাধারণ মুগ্ধতা ঘিরে থাকত যখন আপনার গল্পগুলা পড়তাম, আর নিজের ফেলে আসা ছোটবেলা দেখেতে পেতাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্য ।
নীরবতা ভেঙে মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি তো ভাবতাম আমার লেখার কোন নীরব পাঠক নেই-ই। যাই হোক একটাই অনুরোধ, এর পর থেকে কিন্তু ছোট হোক, বড় হোক একটা মন্তব্য চাই। আপনাদের মন্তব্যগুলোই কিন্তু আমার অর্জন। তাই বঞ্চিত করবেন না।
খুব ভাল থাকুন
শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন