গল্পের শুরুটা দুই বন্ধুকে নিয়ে। প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক বছর আগের। স্থান ইতালির একটি ছোট শহর। এই দুই বন্ধুর একজন গুইডো। অভিনয়ে রবার্তো বেনিনি। তিনিই এই সিনেমার পরিচালক এবং অন্যতম গল্পলেখক। প্রথমার্ধে সিনেমাটি চলে হালকা চালে। গুইডোর প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এবং সপ্রতিভ ব্যবহার বেশ কিছু অনাবিল হাসির মুহূর্ত তৈরি করে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকা ডোরার(ডোরা চরিত্রে বেনিনির রিয়েল লাইফ স্ত্রী নিকোলিটা) প্রেমে পড়ে গুইডো। স্কুল পরিদর্শক সেজে ডোরার স্কুলে গিয়ে তৈরি করে মারকাটারি হাসির দৃশ্য। ডোরার পরিবার ছিল উচ্চবর্গের। তারা ইহুদীও নয়। এদিকে গুইডোর কাজের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। একটা বইয়ের দোকানের লাইসেন্স পাবার জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হোটেলে ওয়েটারের কাজ করে দিন গুজরান করে। তার ওপর গুইডো ইহুদী। ডোরার ধনী, সম্ভ্রান্ত, উচ্চবর্গীয় মা চান একজন উচ্চপদস্থ সিভিল সার্ভেন্টের সাথে ডোরার বিয়ে দিতে। ঘটনাচক্রে সেই অফিসারটির কাছেই গুইডো লাইসেন্সের জন্যে গিয়ে এক কেলোর কির্তী বাধিয়ে এসেছে। এ পর্যন্ত শুনে বা দেখে আপনাদের মনে হতে পারে এটা একটা নিতান্তই লাভ-কমেডি ছাড়া আর কিছু নয়। যেনতেন প্রকারেণ গুইডো আর ডোরার বিয়ে হবে। ব্যাস, খেল খতম।
কিন্তু না। আপনাদের অনুমান আংশিক সত্য। ডোরাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে গুইডো। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। তারপর নয়। হঠাতই আমরা একধাপে এগিয়ে যাব কয়েকটা বছর। দেখব গুইডো বইয়ের দোকান খুলতে পেরেছে। গুইডো আর ডোরার একটা ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। তার নাম যশোয়া। সেদিন তার চতুর্থ জন্মদিন। সারা বাড়ি সাজানো হয়েছে। কিন্তু তখনই ঘটে গেল এক আঘটন।
জার্মান সেনারা সমস্ত ইহুদীদের ট্রেনে বোঝাই করে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠাতে থাকে। ডোরা ইহুদী না হওয়া সত্ত্বেও ট্রেনে চেপে বসে। ক্যাম্পে নারী আর পুরুষদের জন্যে আলাদা আলদা ব্যবস্থা। সারি সারি লোক মাথা নিচু করে হেঁটে চলেছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। আর কোনদিন তারা তাদের সুস্থ জীবন ফিরে পাবে কিনা কে জানে। কার জীবনের আয়ু আর কদিন বা কঘণ্টা কেউ জানে না। কর্কশ কদাকার সেনারা চিৎকার করে আদেশ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু যশোয়ার ছোট্ট নরম মন তখনও আসন্ন বিপদের আঁচ করতে পারেনি। একসমকার প্রাণচঞ্চল গুইডোকে এবারে আমরা দেখব এক দায়িত্ববান বাবা হিসেবে। আচরণে সেই একই হাব-ভাব। কিন্তু ভেতরে লুকোন এক অব্যক্ত যন্ত্রণা।
এক বিশালকায় বাঁজখাই গলার সেনা অফিসার এসে নির্দেশ দিয়ে গেল ক্যাম্পের নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে। কিন্তু স্বেচ্ছায় দোভাষী নিযুক্ত হয়ে গুইডো যা অনুবাদ করল সেটা যে মিথ্যে তা যশোয়া ছাড়া আর কারও বুঝতে বাকি থাকল না। যশোয়াকে গুইডো বোঝালো পুরো ব্যাপারটাই একটা খেলা। প্রত্যেকে সেখানে পয়েন্ট যোগাড় করতে গিয়েছে। যে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি হাজার পয়েণ্ট জোগাড় করে ফেলবে তাকে প্রথম পুরষ্কার হিসেবে একটা সত্যিকারের ট্যাঙ্ক দেওয়া হবে। প্রতিদিনের শেষে পয়েন্ট হিসেব করে যার পয়েণ্ট সবচেয়ে কম হবে তার পিঠে একটা কাগজ সাঁটা থাকবে যাতে লেখা থাকবে “বুর্বক, গাধা”।
গুইডো যশোয়াকে আরও বোঝায় যে, সে যদি মাকে দেখতে চায়, খিদে পেলে খাওয়ার জন্যে বায়না করে আর ঘরের ভেতর লক্ষী ছেলে হয়ে লুকিয়ে না থাকে তবে তাদের পয়েণ্ট কাটা যাবে। কোমল শিশুমনের সরলতায় আর গুইডোর অভিনয়ের স্বাভাবিকতায় যশোয়া তার বাবার কথা নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়। এরপর থেকে যতবার যশোয়া কিছু একটা সন্দেহ করে ততবার গুইডো নতুন নতুন খেলার নিয়ম বলে কঠিন, কদর্য সত্যকে আড়াল করে চলে। নরম ফুলের মত শিশু মনকে কনসেনট্রেশন ক্যম্পের ভয়াবহ আতংক থেকে রক্ষা করতে, তার প্রাণ বাঁচাতে এক অসহায় বাবার এই আপ্রাণ চেষ্টা মনের কোথায় যেন আঘাত করে নিষ্করুণ ভাবে।
শেষে কি হল তা বলে আপনাদের দেখার আনন্দকে(!) মাটি করব না।
আসুন এবারে প্লট বাদে সিনেমাটির সম্বন্ধে অন্য কতগুলো কথা জানাই। সিনেমাটির কিছু অংশ বেনিনি তাঁর পারিবারিক ইতিহাস থেকে নিয়েছেন। বেনিনির জন্মের আগে তাঁর বাবা তিন বছর একটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে কাটিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যাণ্ড প্রিক্স পায় লাইফ ইজ বিউটিফুল। ঐ একই বছর অস্কারে সাতটি বিষয়ে মনোনয়ন পায় সিনেমাটি। মিউজিক, ফরেন ল্যাংগুয়েজ ফিল্ম এবং বেস্ট অ্যাক্টর, সবমিলিয়ে তিনটে অস্কার পায় ছবিটি। মিউজিকে ড্রামাটিক স্কোরের জন্যে অস্কারটি পান নিকোলা পিয়োভানি। আর সেরা অভিনেতার অস্কার অবশ্যই রবার্তো বেনিনির। এছাড়াও যে বিভাগগুলোতে মনোনয়ন পেয়েছিল ছবিটি সেগুলো হল পরিচালনা, চিত্রনাট্য, সম্পাদনা, এবং সেরা ছবি।
শেষ করার আগে সিনেমাটির একটি দৃশ্যের কথা বলি।
একটি কেকের দোকানের সামনে নোটিশ ঝোলানো থাকে ইহুদী আর কুকুরদের প্রবেশ নিষেধ। যশোয়া অবাক হয়ে বাবাকে তার কারণ জিজ্ঞেস করে।
যশোয়া – বাবা, ইহুদী আর কুকুরেরা কেন ওদের দোকানে ঢুকতে পারবে না?
গুইডো – এটা ওদের পছন্দের ব্যাপার সোনা। আমি কি বলব? এটা যার যার পছন্দের ব্যাপার। এই সামনেই একটা কাপড়ের দোকান আছে। ওরা লিখে রেখেছে স্প্যানিশ আর ঘোড়ারা ওদের দোকানে ঢুকতে পারবে না। আরেকটু সামনে একটা ওষুধের দোকান আছে। আমি আমার চাইনিজ বন্ধু আর তার ক্যাংগাড়ু নিয়ে সেখানে যেতে ওরা ঢুকতে দিল না। এটা যার যার পছন্দের ব্যাপার সোনা।
যশোয়া – কিন্তু আমাদের দোকানে তো সবাই আসে !!
গুইডো – বল সোনা তুমি কাদের পছন্দ করো না?
যশোয়া – আমি আরশোলা একদম পছন্দ করি না।
গুইডো – ঠিক আছে। আমি খারাপ লোকেদের পছন্দ করিনা। তাহলে কাল থেকে আমাদের দোকানে লিখে দেব খারাপ লোক আর আরশোলাদের প্রবেশ নিষেধ।
কি অদ্ভুত সংলাপ তাই না?
লাইফ ইজ বিউটিফুল – সত্যিই এক অনন্য সৃষ্টি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র -
আই, এম, ডি, বি,
উইকিপিডিয়া
মন্তব্য
ছবিটা আবার দেখতে ইচ্ছে করছে... কই পাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার হার্ড ড্রাইভ এ আছে। আমি আজকে আবার দেখে তানিম ভাইরে কাহিনী বলে দিবোনে, আপনি লম্বু কবির কাছ থেকে কাহিনী শুনে নিয়েন
এইটা আমার বড় পছন্দের ছবি।
এইভাবে বলে দিয়ে আপনি দেখি নজরুল ভাইয়ার ক্ষতি করতে চাইতেছেন।
না, এইডা তো ঠিক না। একদম ঠিক না।
ওরে, এই সিনেমা আমি দেখছি তো!
"আবার" মানে পুনরায় দেখার খায়েশ হইছে...
ভালো সিনেমা তো বার বার দেখতে হয় তাই না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাকে ফেবুতে মেসেজ করেছি একটা।
ঐটা দেখেন।
দারুন লাগল। আমারও দেখতে মন চায়।
ঃঃঃ স্বপ্নখুঁজি ঃঃঃঃ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে এবং এই সুযোগে সবাইকে বলি, যাদের দেখতে মন চায় আমাকে একটা মেইল করেন।
pradiptamay1 অ্যাট gmail.com
নেটফ্লিক্সে আছে দেখলাম। প্রায় পাঁচের কাছাকাছি রেটিং। এখনই ইনস্ট্যান্ট কিউতে জুড়ে নিচ্ছি। ছবি দেখে লেখা পড়বো।
তাড়াতাড়ি দেখে ফেলুন।
আর দেখে কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না।
সেরা চলচ্চিত্রগুলোর একটি! আমিও লিখব পরে একটা রিভিউ চিন্তা করে রেখেছি।
বেনিনির অস্কার পাওয়ার মুহূর্তটি মনে পড়ছে।
facebook
লিখে ফেলুন জলদি।
অপেক্ষায় থাকলাম।
অন্যতম প্রিয় মুভি। রবার্তো বেনিনির ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম এই মুভি দেখে। তবে এরপর অনেক আগ্রহ নিয়ে তার পরের ছবি "টাইগার এন্ড দ্য স্নো" যোগার করে দেখেছিলাম। মন ভরে নি, হয়তো প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল বলে। তবে এটাও দেখার মতই, ইরাকের যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত http://www.imdb.com/title/tt0419198/
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন, একবার প্রত্যাশার পারদ অনেক উপরে উঠে গেলে, পরে অল্পেতে মন ভরে না।
"টাইগার এণ্ড দ্য স্নো" আমাকেও দেখতে হবে।
তবে প্রত্যাশা একটু কম নিয়েই দেখব।
যুদ্ধ নিয়ে এত অসাধারণ ছবি খুব একটা বেশি হয়নি । যারা যুদ্ধ নিয়ে গ্র্যান্ড narrative এর বাইরে ছবি দেখতে চান , তারা মালেনা , লাইফ ইজ বিউটিফুল এর পাশাপাশি টি উইথ মুসুলিনি দেখতে পারেন । সব ছবি ইতালিয়ান ।
গ্র্যান্ড narrative এর বাইরে ছবি করার জন্য ইতিহাস বিকৃত করা লাগে না ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন হাসান ভাইয়া।
গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের বাইরে ছবি করার জন্য ইতিহাস বিকৃত করতে হয় না ।
টি উইথ মুসোলিনি দেখতে হবে।
আপনি তৃতীয়জন হিসেবে সাজেস্ট করলেন।
এত সুন্দর- এত মায়া...!!! অনেক প্রিয়...
ধন্যবাদ আপনাকে...
কড়িকাঠুরে
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
এটা আমার অনেক বেশি পছন্দের একটা মুভ্যি। মিউজিক ট্র্যাকগুলোও অসাধারণ। Beautiful that way গানটা অনেক শুনি। লিরিকটা খুব বেশি পছন্দের।
দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোন ॥ ফেইসবুক ॥ গুগলপ্লাস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি মিউজিক ট্র্যাকগুলোও দারুন।
আসলে সমস্ত দিক মিলিয়েই এটা একটা অনন্য সৃষ্টি।
আমার দেখা সেরা সিনেমা! কোন ভায়োলেনট গ্রাফিক্স ছাড়আই যুদ্ধের বিভীষীকা এত দারুণ ভাবে দেখানো খুব কঠিন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
গুইডো যেমন বাবা হিসেবে যশোয়ার সামনে থেকে সব ভায়োলেন্স দূরে রাখার চেষ্টা করে তেমনি বেনিনি একজন পরিচালক হিসেবেও দর্শকদের সামনে থেকে গোটা সিনেমা জুড়ে সেই বিভীষীকা দূরে রাখেন সচেতন ভাবেই।
কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের অত্যাচার মোটা দাগে খালি চোখে না দেখিয়েও গুইডোর অসহায়তার সাথে আমাদের মিলিয়ে দেন। আর সেই অসহায়তার মধ্যেই ফুটে ওঠে যুদ্ধের অভিঘাত।
চোখের জলের চেয়েও দুঃখ চাপা হাসি অনেক বেশি নাড়া দেয়।
খুব টাচি একটি মুভি!!!
ঠিক। কোথায় গিয়ে যেন আঘাত করে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
লেখা পড়ে মুভিটা দেখার ইচ্ছে চাগিয়ে উঠলো।
দেখে ফেলুন জলদি। দেরি করবেন না।
লেখা পড়ে যে আপনার ইচ্ছে চাগিয়ে উঠল তাতেই আমার লেখা সার্থক হল।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
এটা আমার আদার হাফ হাসির সিনেমা মনে করেছিল প্রথমে। আমি যদিও জানতাম কাহিনী তবুও বলিনি। সিনেমার শেষে বেচারী কাঁদতে কাঁদতে হয়রান।
খুবই ভাল সিনেমা, আর রিভিউও চমৎকার।
আমার ক্ষেত্রেও ঠিক একই গল্প।
মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
এ ছবিটা যে কী ভাল লেগেছিল!
সত্যি, দারুণ।
আমি তো ভেবেছিলাম আগে নিশ্চই কেউ এটা নিয়ে লিখে ফেলেছে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ না পেয়ে ভাবছি আমিই প্রথম।
দেখতে হবে। রিভিউ ভালো লেগেছে।
অবশ্যই দেখবেন।
তবেই তো আমার লেখা সার্থক।
আমি জানতাম এটা অনেকেরই দেখা, আমারই দেখতে দেরি হয়ে গেছে।
তবু লিখেছি যদি একজনও বাকি থেকে থাকে!
বেশ কয়েকজনকে পেয়ে গেলাম। জলদি দেখে ফেলুন।
আর মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
এই ছবি আমি নিতান্ত বাধ্য হয়ে দেখসি। আমার পরিচিত প্রায় সবাইকে দেখলাম এই ছবি দেখে ফেলসে এবং এটা না দেখলে নাকি জীবনই বৃথা এইরকমই ছিলো তাদের মনোভাব। জীবন তো আর এমনি এমনি বৃথা হইতে দেয়া যায় না। একদিন তাই আমিও 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' দেখে ফেললাম। বেশি এক্সপেক্টেশন ছিলো বলেই হয়ত এই ছবি আমার কাছে অত ভালো লাগে নি- ওভাররেটেড মনে হয়েছে।
আসলে খুব খুব বেশি প্রত্যাশা নিয়ে বসলে এরকম হতেই পারে।
স্বাভাবিক।
ভালোর তো শেষ হয়না, তাই না!
মন্তব্য জানানোর জন্যে
খুব খুব ভালোলাগা একটা মুভি।
আমার কাছেও তাই।
ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা।
এই ছবিটা নিয়ে আমার বলার কিচ্ছু নেই। বলতে চাইলেও কিছু বলতে পারবো না। এই আফগানিস্তানে বসেই ৫ বছর আগে ছবিটা দেখেছিলাম জাতিসঙ্ঘের এক বড়কর্তা বন্ধুর সুপারিশে। আমার ফেসবুকে পছন্দের তালিকায় খুব বেশি কিছু জিনিসের নাম না থাকলেও লাইফ ইস বিউটিফুল সেখানে আছে এবং থাকবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই এই সিনেমাটা মনকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়, যা ভাষায় ব্যক্ত করা কঠিন।
আপনার আফগানিস্তান সফর নিরাপদ এবং সফল হোক এই কামনা করি।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
সিনেমা অত্যাধিক ভালো। লিখাও অতি উপাদেয় হৈছে
..................................................................
#Banshibir.
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
'লাইফ ইজ বিউটিফুল' প্রিয় ছবির তালিকায় অনেক দিন; তালিকা থেকে সরবেও না মনে হয় না কোনদিন! এমনই সংবেদনশীল কাহিনী আর অভিনয়ের দ্যুতি ছবিটিতে!
রিভিউ ভাল হইছে, প্রদীপ্তদা!
মামুন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
সিনেমা আর বই রিভিউ পারতপক্ষে পড়িনা, নিজের দেখা/পড়া না হলে। এই সিনেমাটা যে কী অস্মভব দুর্দান্ত একটা সিনেমা সেটা যে দেখেনি তাকে বোঝানো মুশকিল, সিনেমাটা কেমন এইটা কাওকে বলাও মুশকিল, আমি শুধু বলি যে দেখ! সম্প্রতি ডাউনলোড করেছিলাম সংগ্রহে রাখার জন্যে, তখন বাবাকে দেখালাম সিনেমাটা। আমি নিজে দেখেছিলাম অস্কার জেতার পরপরই। শেষ হবার পরে কতক্ষণ যে স্তব্ধ হয়ে ছিলাম... শুরুটা যেমন হালকা আর মজার, মাঝে থেকে শেষ পর্যন্ত তেমন হালকা মজার মাধ্যমেই রূঢ় বাস্তবতা আর কষ্টের জিনিসগুলোকে এত স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়তো শুধু বেনিনিই পারেন। কাঁদতে কাঁদতে হাসতে শেখা কাকে বলে তা এইটা না দেখলে বোঝানো যাবে না। আর একবার অতখানি কষ্ট পেতে রাজি না, তাই এইটা আবার কখনো পারতপক্ষে দেখতে চাই না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন। এই সিনেমা যে দেখেনি। তাকে বোঝানো খুবই কঠিন।
আর বেনিনির অভিনয় সত্যিই অতুলনীয়। বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে যায়।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন