অদিনের পিঠের নাকি স্বাদই আলাদা। কিন্তু সেই স্বাদ প্রদানের উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট নয়। আসলে এটা হল আমার আলস্যের একটা যুতসই অজুহাত। সেই কবে শান্তিনিকেতন আর পৌষমেলা ঘুরে এসে ভেবেছিলাম একটা ছবিব্লগ পোষ্টাব। কিন্তু মহামান্য অরফিয়াস ভাই সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়ে দিলেন রবি দাদুর শান্তিনিকেতন নামে। আমি ভাবলাম থাক, আর শখ করে নিজের মান-সম্মান খুইয়ে কাজ নেই। পরে দেখা যাবে। এই করে করে হয়ে গেল এত দেরি। এখন যখন দেখলাম অনেক দিন হল কিছু পোষ্টানো হয় না ভাবলাম একবার দেখা যাক কোন চিপা পাওয়া যায় কিনা। দেখলাম অরফিয়াস ভাই পৌষমেলার ছবি দেন নাই। আহা, তাইলে চান্স একটা আছে।
যাক, এইবারে কাজের কথায় আসি। উপরে যে দুইরকম পিঠার ছবি দেখলেন তাদের নাম নিশ্চই কাউকে বলে দিতে হবে না। আসলে পৌষমেলার কথা মনে পড়লেই এই ছবিটাই আমার মনে প্রথমে আসে। আসলে আমি আবার একটু পেটুক কিনা। তা পৌষমেলায় আরেকটা জিনিসের চাহিদা এবং যোগান অফুরন্ত। তা হল বিভিন্ন রকমের ব্যাগ।
অবশ্য যুগের প্রভাব কোথায় না থাকে। শুধু যে শান্তিনিকেতনী ঝোলা আর হাতে বানানো ব্যাগ পাবেন তাই নয়, ইয়া বড় বড় মেশিনে তৈরী ব্যাগ ও পাবেন। তাদের আর ছবি দিয়ে কাজ নেই। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িরই তাকে বা খাটের তলে ওগুলান দু-এক পিস আছে।
বীরভূমের শান্তিনিকেতন ছাড়া আরেকটা জায়গা বিখ্যাত, হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসেবে। তারাপীঠ। রবীন্দ্রনাথ কালীভক্ত ছিলেন এরকম কোন প্রমাণ আমার জানা নেই। কিন্তু শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় গেরুয়া বা আলখাল্লাধারী বাউলদের মাঝে 'রক্তবর্ণের বস্ত্রাবৃত' একজন সাধুবাবাকে দেখে মনে হল, একটা ছবি তুলতেই হবে। তার সেই অদ্ভুত চোখদুটো দেখে ভাবলাম এইবারে আমার ফটুরে হবার পালা।
গ্রামীণ মেলার গন্ধ এখনও লেগে আছে যে মেলার গায়ে সেখানে গেরস্থালীর জিনিস পাওয়া যাবে না, তা কি হয়? যা যা চান, সবই পাবেন।
মাসিমা-কাকিমারা যতক্ষন দরদামের যুদ্ধ করতে থাকবে ততক্ষনে আপনি শুধু শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিরক্ত না হয়ে বরঞ্চ মুখমিষ্টি করে নিন।
চিনি খাবেন না গুড় খাবেন তা অবশ্য আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই সেব্যাপারে আমি আর মতামত না দিই।
এইবারে চলেন অন্য কিছু দেখি। যদিও মেলাতে খাওন-দাওনের ব্যাপারটা বাদ দিলে পিচ্চিদের আর মহিলাদের জন্যেই আয়োজন বেশি, তবুও ছেলেদের জন্যেও কিছু জিনিস আছে দাদা। দেখেন তো টুপিগুলা কেমন লাগে?
এই ইস্পেশাল টু-ইন-ওয়ান টুপিতে টুপিরও কাজ হবে আবার রাতেরবেলা টাক মাথায় হঠাৎ গজানো একরাশ চুল দেখিয়ে বউকে চমকেও দিতে পারবেন। অবশ্য সে সাধ থাকলে কালোটা কেনাই ভাল।
বাবা যখন টুপি নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত, আমি দেখলাম একটা সুন্দর মিষ্টি দৃশ্য। টুপির দোকানটা ছিল মেলার একটা ধারে। তার পেছনে একটু ফাঁকা জায়গায় সাত-সাতটা বাচ্চা কুকুর তাদের মাকে ঘিরে কাড়াকাড়ি করছে নিজেদের খাবারের ন্যায্য ভাগ পেতে। মাতৃত্বের কোন ভাষা হয় না, জাত হয় না। এমনকি মানুষ-পশু ব্যবধানও হয় না। যদিও আমার বন্ধু বলেছিল আমি যেন আর কুকুর বিড়ালের ছবি তুলে বড় ফোটোগ্রাফার হওয়ার চেষ্টা না করি, কিন্তু সে দৃশ্য দেখে আমি সেই সাবধানবাণী বেমালুম ভুলে গেলাম।
আরেকটা জিনিস মেলায় প্রচুর দেখলাম। অবশ্য এইটা সব মেলাতেই প্রচুর দেখা যায়। জায়গায় জায়গায় বাদামের পাহাড়।
ভাবলাম বাদামের গাড়ি, বাদামওলা, ধোঁয়া শুদ্দা একখান সেই ছবি তুলি। ওমা ওঠানোর পর দেখি বাদাম ভাইয়ার মুখটাই দেখা যায় না। তবু আপনাদের দেখাই সাহস করে। ছবিটা আমার খুব প্রিয় কিনা, তাই।
এইবারে আবার টিপি দিলাম শাটারে। হুমম, এইবারে মুখখান আসছে।
রঙ্গীনই তুলছিলাম, কিন্তু ভাব মারার জন্যে সাদা-কালো কইরা পোষ্টাইলাম। গালি দিয়েন না যেন।
এইবারে প্রায় বিকেল বিকেল হল। দেখি একজায়গায় সাদা পাথরের বাসন-কোসনে সুন্দর রোদের আলো এসে পড়েছে।
ওদিকে দেখি গানের আসর জমে উঠেছে।
" _ _ _
যাহারও লাগিয়া খাটিয়া মরিনু
সেও তো ভুলিয়া যাবে রে
আর না হবে মোর মানব জনম
পাষাণে ভাঙিলে মাথা রে
প্রাণবান্ধব রে
দাও দেখা দয়া করে
_ _ _"
গায়ক বাউলের মুখের ছবিও নিয়েছিলাম, কিন্তু উল্টাদিকে আলো থাকায় সব কালো ভূত হয়ে গেছে।
অনেকেই টাকা পয়সা দিচ্ছে। যে যার সাধ্যমত। না দিলেও কেউ কিছু বলবে না।
কিছুক্ষন গান শোনার পর মনটা কেমন যেন কোথায় একটা হারিয়ে গেল।
অবশ্য বেশিক্ষণ আমার হারিয়ে থাকা হল না।
দেখি আমার পেছনে দিদি আর ভাইয়ে খুব ঝগড়া চলছে। মা বাধ্য হয়ে ভাইকে একটা ছোট গাড়ি কিনে দিলেন আর দিদি বসে পড়ল হাতে মেহেন্দি পড়তে। না, না এ সেই আঁকানো মেহেন্দি নয়। আঁকালে খরচ অনেক বেশি, আর অত সময় কি ভাই দেবে ? এ একদম রেডিমেড। কপি আর পেষ্ট।
লক্ষ্য করে দেখুন, পেছনে মা আর ভাইকে দেখা যায়। গাড়িটাও।
সবই তো হল, কিন্তু এবারে আবার খিদে খিদে পায় যে। যাই তবে, একটু রসগোল্লা খাই।
এইখানেও আরেক চমক। সাধারণত মেলায় তো দেখি অ্যালুমিনিয়ামের ইয়া বড় বড় ডেচকি। কিন্তু এখানে আবার ইস্টাইল আছে। পিতলের ডেচকি।
আমার কথা ছাড়েন, তয় আপনি যদি বেশি মাত্রায় স্বাস্থ্যসচেতন হন, এই মিস্টি না খাওয়াই ভাল। অবশ্য আমি বলি কি, খাইয়াই ফেলেন।
জানেনই তো সেই প্রবাদখান "ডরাইলেই ডর _ _"
মিষ্টির দোকানে বসে থেকেই লোকটাকে দেখেছিলাম। সাবানের ফেনা দিয়ে বুদ বুদ বানিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। কাউকেই কিনতে দেখলাম না। শুধু পিচ্চিরা কেউ কেউ সেই বুদবুদগুলো লাফিয়ে ধরার চেষ্টা করছে। ভাবলাম, কীভাবে লোকটার সংসার চলে ? নিজের খাওয়াটুকুই কি রোজ জোটে ? তার ওড়ানো বুদবুদে ভেষে বেড়ায় রামধনুর রঙ। সেই রঙে ভেসে বেড়ায় হরেক রকম স্বপ্ন। কিন্তু সেও কি স্বপ্ন দেখে ? ক্রমাগত ফু দিতে দিতে তুবড়ে যাওয়া তার ভাঙা-চোরা গাল দেখে ভরসা হয় না। আমি তবু কিনে নিলাম একটা স্বপ্ন তৈরীর মেশিন।
মেলার ছবি এখানেই শেষ হতে পারত। আরও অনেক লম্বাও হতে পারত। কিন্তু প্রধানত পৌষমেলাকে তুলে ধরব বলে সার্কাস, নাগর-দোলার ছবি দিয়ে পোষ্ট আর বড় করলাম না। কিন্তু যেহেতু মেলা আর জীবন দুটো নিয়েই আমার এ ছবিকাহিনী, তাই আর কয়েকটা ছবি ধৈর্য ধরে দেখুন।
মেলা ঘোরা শেষ করে বোলপুর স্টেশনে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছি। বসে বসে এতক্ষন তোলা ছবিগুলো দেখছি। হঠাৎ বুঝতে পারি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে কারা যেন আমার ক্যামেরার ছবিগুলো দেখছে। ওরা তিনজন প্ল্যাটফর্মের স্বনিযুক্ত ঝাড়ুদার। তবে ভাববেন না আমি ঘুরে তাকাতে ওরা পালিয়ে গেল। যথেষ্ট স্মার্ট ভাবে একজন আবদার করল একটা ছবি তুলে দিতে হবে। দিলাম।
ফটো উঠেই ওরা দৌড়ে এল কেমন উঠেছে দেখতে। দেখল। ব্যাস খুশি।
সেই মুহূর্তে আমার এত আদরের, শখের ক্যামেরাটাকে অকাজের মনে হল। ইস, যদি একটা ইন্সট্যাণ্ট পোলারয়েড ক্যামেরা থাকত ! ওদের হাতে দিয়ে আসতে পারতাম একটা কপি। এবারে ওদের ময়লা ফেলার গাড়ির একটা ছবি তুলে দিতে বলল। সেটাও তুলে দিতে ওরা হাসিমুখে বিদায় নিল।
ওরা ছবিগুলোর কপি নিতে পারল না ঠিকই কিন্তু ওরা আমার সাথে রয়ে গেল।
ট্রেন চলে এল।
এবারে উঠতে হবে। বিদায় জানাতে হবে শান্তিনিকেতনকে, পৌষমেলাকে।
হঠাৎ দেখি ওরা তিনজন চিৎকার করে বিদায় জানাচ্ছে। আমিও টা টা দিলাম।
ট্রেন ছেড়ে দিল। আমি ক্যামেরা চোখে নিয়ে শেষ বারের মত ওদের আরেকটা ছবি নিতে গেলাম। তিনজনের একজন সেটা খেয়াল করে উপহার দিল একটা জগত ভোলানো হাসি।
পরে যতবার সেই হাসি দেখেছি, নিজের সব না-পাওয়া জনিত কষ্ট ভুলে গেছি। ধন্যবাদ দিয়েছি নিজের জীবনকে। শুধু বুঝতে পারিনি একটাই কথা। কীভাবে ও পারল এত সুন্দর করে হাসতে ? ওদের জীবনে মেলা নেই, মিষ্টি নেই, খুরমা নেই, সার্কাস নেই, খেলনা গাড়ি নেই, পিঠে নেই। আরও অনেক অনেক কিছুই নেই। তবু কীভাবে ঐ হাসিটা টিকে গেছে?
তখন সূর্য ডুবেছে। আমার ট্রেন ছুটছে আমাকে নিয়ে। মনটা কেমন যেন হু হু করছে। নিজেকে কেমন যেন অক্ষম, একা মনে হচ্ছে। কানে বাজছে বাউলের গান আর চোখ ছুঁতে চাচ্ছে ঐ দূরের দিগন্তকে। ঐ যে দূরের তালগাছ, সেই কি আমি ?
মন্তব্য
হে ভ্রাত, ভাষার বাহুল্য কিন্তুক না হইলেও চলে !
আহ, পিঠা!
facebook
থুক্কু বলিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। ভবিষ্যতে এই পরামর্শ স্মরণে রাখিব।
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের ঊর্ধ্বাভিমুখে সঞ্চালনা করিবার চিত্র মুদ্রিত করিবার নিমিত্ত আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করিবেন। উহাই আমাকে প্রেরণা যোগাইবে।
শেষের লাইনটা মনে হলো যেন আমার লেখার কথা ছিল।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই কেমন যেন একটা লাগছিল।
খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ছবিগুল অনেক সুন্দর। তবে বৈশাখী মেলার কথা মনে পড়ে গেল। হরেক রকমের মিষ্টি , বাহারি সব সবসময় না পাওয়া খেলনার সমাহার, রেডি মেট মেহদি ছাপ, গরম বাদাম, মাটির পাত্র আরও কত কি !
দারুন লাগলো প্রদীপ্ত দা।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের গ্রামীণ মেলাগুলো অনেকটাই একইরকম। কিছু কিছু বিশেষত্ব কোন কোন মেলায় থাকে। কিন্তু মূল সুরটা একই। সে কোন কাল থেকে এভাবেই চলে আসছে মেলা।
যদিও জানা নেই বিশ্বায়ন আর নগরায়ন মিলে কতদিন একে টিকে থাকতে দেবে !
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
৮ নাম্বার-- সুন্দর, খুবই সুন্দর। মনিটরেই বাচ্চাগুলোকে ছুঁয়ে দিলাম।
আপনি তো খুব খারাপ লোক, ছবি দেখানোর নাম করে শেষের দিকে এসে মনটাই খারাপ করে দিলেন।
যাই হোক, ফটুরে হওয়ার দরকার নেই। এরকম সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে ছোটছোট গল্প গুলো তুলে আনুন। অবশ্য যারা লেখাটা পড়বেন কেবল তারাই এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন খারাপ করে দেবার জন্যে দুঃখিত।
যারা লেখাটা পড়বেন না তারা হয়ত আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হবেন।
আর ফটু্রে হওয়া আমার কম্মো নয়, ঐ সাধ জাগে মাঝে মধ্যে।
খুব ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
পিঠা আর রসগোল্লার ছবিতে কইষ্যা মাইনাস। আপনার দিলে কি ভাই কুনো রহম নাই নাকি? আমার লালাগ্রন্থি পুরা পাগলা হয়ে গেছে
হিল্লোল
ছরি ছরি ভাইয়া।
মাফি মাফি দেন।
ভাল থাইকেন।
দুর্ধর্ষ। ......
বোলপুরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কখনো। অচিরেই আসছি মনে হয়...
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
চলে এসো। দেরি কোরো না।
তবে এখন ওখানে গরম। শীতকালটাই আদর্শ সময়।
ভাল লাগলো। বাবল এর ছবি দেখে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম। শিশুগুলো কি সহজ!
মেলা আর ছেলেবেলা সমার্থক
ঐ ছবিটা দেখে আমিও চুপ করে থাকি।
আর শেষ কথাটা যথার্থ বলেছেন।
মেলা আর ছেলেবেলা সমার্থক। মেলার নাম শুনলেই মনটা কেমন একটা আনন্দে ডুবে যেত। তাই না?
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
আহ! প্রখম ছবিটা!! কবে আবার শীতকাল আসবে? এখনো বানিয়ে খাওয়া যায়, তবে সেটা অবিচার হবে! ভাপা পিঠে শীতেই মানায়।
সুন্দর লেখা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এই তো শীত এল বলে।
আর একটু ধৈর্য ধরুন।
লেখা পড়ার ও ভাললাগা জানানোর অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
প্রথম ছবিতেই তো খিদা লাগিয়ে দিলেন।
আর বাচ্চাটার ভুবন ভোলানো হাসি- এককথায় মনে গেঁথে গেল।
লেখা আর ফটুকবাজি
নির্ঝরা শ্রাবণ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন কিছুদিন খিদে চেপে রাখুন।
এই তো শীত এলো বলে।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
আরে দাদা লিখা ছবি খাবার দিয়া মাত করে দিলেন দেখি!
..................................................................
#Banshibir.
তাই নাকি? মাত করছি নাকি?
তাইলে তো বিশাল খুশির খবর।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে এই তিনটা জিনিসই আমি খুব ভালু পাই কিনা।
লিখা, ছুবি তুলা আর খাওন-দাওন - এই তো জীবন, কী কন ?
লেখা আর ছবি
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাইয়া।
আপনার ছড়ার কিন্তু আমি বড় ভক্ত।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই! নীড়পাতায় ঢুকতেই অমন একটা ছবি দেখানর জন্য ফাঁসি চাই!
আসেন ফাঁসি দিতে তখন মুখে পাটিস্যাপ্টা আর ভাপা পিঠে গুঁজে রাগ জল করে দেব।
ভাল থাকবেন দাদা।
অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
আমি আসলে পৌষ মেলা এবং হোলি দুটোই মিস করেছি!! হোলি তো মিস করলাম তাও ৩ দিনের জন্য !! আপনার ছবি ও লেখা দুটোই দারুন হয়েছে। বিশেষ করে ৩,১০,১২,১৩,১৭,২০। আর এক নাম্বারের ছবির কথা কিছু বলবোনা, ওটা কৌস্তভদা বলে দিয়েছে।
[আমারে কাঠগড়ায় দাড়া করায় দিলেন দাদা !! হে, হে ]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌষমেলা তো থাকে মাত্র তিন দিন।
অফিসের ছুটি পাবার ঝামেলায় আমিও সেটা মিস করে গেছিলাম।
তবে মেলা থাকে মোটামুটি একমাস। এটা অনেকটা ভাঙা মেলার মতন।
উৎসাহ দেবার জন্যে এবং বিশেষ করে নম্বর দিয়ে ভালো লাগা ছবির কথা জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আর কাঠগড়ার কথা যদি বলেন তবে বলব, আপনি দাড়া না হইলে আমি বোধহয় শুইয়াই থাকতাম এখনও।
পিঠা না পাইলে এই জীবন আর রাখব না
আরে আরে কন কী?
জীবন না রাখলে পিঠা পাইবেন ক্যামনে?
মন্তব্যের জন্যে
''আমার কুটির'' যাওয়ার পথে একটা ফাঁকামতন জায়গায় একটা মেলা বসে, ওখানটায় বাউলদের গানের আসরও বসে। এই মেলাটা কোথায় বসেছিল? শেষের ছবিটা দেখে একটু স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। শেয়ালদা থেকে দার্জিলিং এক্সপ্রেস চলছে, হেমন্তের অবারিত ধানক্ষেতের ভেতর দিয়ে, বেখেয়ালে মনে হয় যেন একটা জাহাজ হেলে দুলে চলছে দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেতের সমুদ্রের উপর দিয়ে। এক নম্বর ছবিটা দিয়ে মনটা আরও খারাপ করে দিলেন, শীত আসতে ঢের দেরী।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
এই মেলাটা বসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শুরু হবার আগে ডান দিকের মাঠটাতে। আর হ্যাঁ বাউল গান বীরভূমের মাটিতে, বাতাসে। পৌষমেলার প্রধান আকর্ষনও ওটাই। তবে তার মজা নিতে গেলে মূল মেলার তিনদিন ওখানে থাকতে হবে। আর তা ছাড়া, বছরের যে কোন সময় বীরভূমের যে কোনও প্রান্তে একটু ঘোরাঘুরি করলে বাউলের দেখা পাবেনই পাবেন। গ্যারাণ্টি।
দার্জিলিঙ মেলে কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিলেন?
ওটা দেখলে মন খারাপ আমারও হয়। যদিও অনেক দেরী তবু শীত আসছে এই ব্যাপারটাও তো আনন্দের তাই না?
আমার তো শীত যাচ্ছে ভাবলেই খারাপ লাগে।
মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ভালো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবি ব্লগ দারুণ হয়েছে! আপনার পর্যবেক্ষণ সত্যি অসাধারণ! সবচেয়ে ভাল লাগল ২০ নং ছবিটি! আমাদের দেশের পথ শিশুদের দেখেছি, এত বঞ্চনা, কষ্টের পরও ওদের ঠোটের কোনে লেগে থাকে স্বর্গীয় হাসি!
আপনার পর্যবেক্ষিত ও অভিজ্ঞতা-সঞ্চিত লেখা চলতে থাকুক, প্রদীপ্তদা! ভাল থাকবেন!
বরাবরের মত এবারেও পাশে থাকার জন্যে এবং উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আপনিও খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ছবিগুলো দারুন, বিশেষ করে শিশুগুলোর ছবি।
আপনার লেখা (গুড়) , এত সহজ ভাষায় এত সুন্দর লেখেন।
সম্মানিত বোধ করছি।
আপনার মন্তব্য আমাকে প্রেরণা যোগাবে।
খুব ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ছবিগুলো দারুণ। হিংসা জাগানোর মত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হিংসা কইরেন না পিলিজ।
আসেন
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছাসহ
(গুড়)
আপনার ছবি তোলার হাত দারুন।
১, ১২ আর ১৩ তে তার প্রমাণ আছে।
কী ক্যামেরা দিয়ে তুললেন? একটা ক্যামেরা কিনতে মুঞ্চায়।
অনেক ধন্যবাদ নিলয়দা।
নম্বর উল্লেখ করায় আরও ধন্যবাদ।
আমারটা নিকন পি ৫০০
প্রোজিউমার ক্যামেরা।
ডি এস এল আর কেনার পয়সাও নাই জ্ঞানও নাই।
তবে এইখান দিয়া শেখা শুরু করা যায়। ম্যানুয়াল সেটিংস আছে।
মন যখন চায় ঝাঁপ দিয়া দেন।
ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা
১। ছবির সাথে কিছুটা গল্প থাকলেই ভালো। তাতে ফটুরে কাম লেখক আসলে কী দেখেছিলেন, পাঠক কাম দর্শককে কী দেখাতে চেয়েছেন, গল্পটা কী ছিল সবই জানা হয়ে যায়। এতে ফটুরে কাম লেখক আর পাঠক কাম দর্শকের মধ্যে যোগাযোগটা সহজতর হয়।
২। বাংলাদেশে যে হাজারো রকমের মেলা-প্রদর্শনী হয় সেগুলো দেখলে আমার মনে হয়, দেশে একটা মেলাই আছে - বৈশাখী মেলা। বাকী সব মেলা-প্রদর্শনী ঐ বৈশাখী মেলারই ছোটখাটো হেরফের। প্রচুর নামডাকওয়ালা শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলাও দেখি সেই বৈশাখী মেলা-ই। এই মেলাটার আলাদা বৈশিষ্ট্য কী? জায়গাটা শান্তিনিকেতন বলে? নাকি অন্য কিছু?
৩। পিঠার ছবি দেখে একটু ভয় পেলাম। পাটিসাপ্টা আর ভাঁপা পিঠাকে ফুড কালার (নাকি ফেব্রিক ডাই!) দিয়ে এমন ক্যাটক্যাটে রঙ করার দরকারটা কী ছিল? একবার এক মেলাতে আমি আর এক বন্ধু ঠিক করলাম যে মেলার সবচে' অস্বাস্থ্যকর খাবারটা খাবো। বন্ধুটা আবার ডাক্তার, সুতরাং সে যে ঠিক জিনিসটা বের করতে পারবে সেই ভরসা ছিল। শেষে খুঁজে দেখা গেল সবচে' অস্বাস্থ্যকর খাবারটা হচ্ছে প্লাস্টিকের প্লেটে করে বেচা রসগোল্লা। আমরা মুরগীর কলিজাওয়ালা মানুষ, তাই রসগোল্লাগুলো খাবার সাহস আর করে উঠতে পারিনি। আপনার দেয়া রসগোল্লার ছবি দেখে সেই কথা মনে পড়লো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১) আপনার এই উপদেশটা ভবিষ্যতে অবশ্যই মাথায় রাখব। আসলে প্রথমবার ছবিব্লগ দিচ্ছি তো, তাই ব্যালান্সে গণ্ডগোল করে ফেলেছি। রপ্ত করতে একটু সময় লাগবে। তবে এটাও ঠিক আমি একটু বেশি করে লিখতে চেয়েওছিলাম। তাই ছবিকাহিনী নাম দেওয়া। যাই হোক আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২) আসলে মেলার চরিত্রগত বিশেষত্ব বলতে লোকসঙ্গীত, প্রধানত বাউল গান। ৭ঐ পৌষ থেকে তিনদিন মূল মেলাটা চলে। সেসময় বাউলগানের আসর ছাড়াও শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদেরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে। তবে আমি ছুটি ম্যানেজ করতে না পারায় দেরি করে পৌঁছেছিলাম। এমনিতে মেলা প্রায় গোটা মাস ধরেই চলে। আর এর উৎপত্তিগত বিশেষত্ব বলতে দবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণের দিন ছিল ৭ঐ পৌষ। আবার শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের উদ্বোধনের দিনটিও ছিল ৭ঐ পৌষ। সেই সূত্রেই মেলার সূত্রপাত করেছিলেন তিনি। আর অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের খ্যাতির আলো মেলাটিকেও বিখ্যাত করেছে।
তবে, দিনে দিনে এই মেলা তার আগের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে শিকার হচ্ছে শহুরে মানুষের হুজুগের। কলকাতার অনেক তথাকথিত 'বাবু' আছেন, যাঁরা সারাবছর বাড়িতে, পার্টিতে ইংরিজি ছাড়া কথা বলেন না মান হারাবার ভয়ে, কিন্তু এই সময়ে শান্তিনিকেতনে যান ঐতিহ্যের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে সংস্কৃতিমনস্কতা প্রমাণ করতে।
৩) না, না ওগুলো রঙ নয় দাদা, গুড়। মিষ্টি করার জন্যে ওপর থেকে ছড়ানো।
তবে হ্যাঁ ১০০% গ্যারাণ্টি দেবার মত সাহস আমার নেই। আর মেলার পিঠে বলুন আর রসগোল্লা, অস্বাস্থ্যকর যে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবু আমার মত পেটুক হলে মুহূর্তের জন্যে সেসব ভুলে যায় সবাই, আর তাতেই পরে বিপত্তি।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভাল থেকবেন।
শুভেচ্ছা।
ভাপা পিঠার ছবি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।
চলে আসুন, খাওয়াব কথা দিচ্ছি ।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ছবিসহ একটা গল্প হতে পারতো! তবু ভালো লাগলো।
ছবিসহ গল্প পরে চেষ্টা করব।
আর ভাল লাগা জানিয়ে যাবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
ছবি আর গল্প বলার ঢং খুব ভাল লাগল । বাচ্চাদের ছবি এবং শেষের কথাগুলো মনটা বিষণ্ণ করে দিল । আর বাবল হাতে লোকটার ছবি যেন তাঁর জীবনের অনেক না বলা কথা বলে দেয় ।
আসলে জীবনটাই এরকম কিনা।
খুশির সাথে দুঃখ, কী বলেন?
বাবল নিয়ে লোকটার ছবিটাই এখানকার সবগুলো ছবির মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আমার সবচেয়ে পছন্দের।
আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
রসগোল্লা কিংবা কটকটি-মটকটি না, আমার চোখ আটকে আছে ভাপা পিঠার বাসনে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লা জবাব জনাব, কী চোখ আপনার !!
আপনে তো আমার ফটুর মান বাড়ায়ে দিলেন।
খুব ভাল থাকেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
২০০৪ এর শীতকালে গিয়েছিলাম শান্তিনিকেতন। তবে সেযাত্রায় পৌষ মেলাটা কপালে জুটলো না। একটা আপশোষ ছিল।
ছবি দেখে আর আপনার প্রাণবন্ত বর্ণনায় সে আপশোষ গ্যালো কেটে ।
আরেকবার প্ল্যান করে চলে যান।
মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
ছবিগুলো দারুণ হয়েছে। বর্ণনও ভাল।
উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা থাকল।
একটা ছবির অভাব বোধ করলাম আর তা হলো পুরো মেলার একটা ছবি। এটা ছাড়া অসম্পূর্ণ মনে হলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
হুমম, ঠিকই বলেছেন।
আসলে একটা উঁচু জায়গা দেখে উপরে উঠতে হত।
যাই হোক মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
সব ছবিকে টেক্কা দেয়া ছবি কিন্তু প্রথম ছবিটা। একেবারে লুল ঝরিয়ে দিয়েছে। আর লেখায় তো উত্তম/জাঁঝাঁ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে কি, আমার নিজেরও একই অবস্থা।
লেখা নিয়ে একটু সংশয়ে।
অনেকে ভাল বলেছেন, অনেকে বলছেন লেখা কম থাকলেই ভাল হয়।
কী যে করি
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন