শুরু কথাঃ "স্ফটিক পৃথিবী" নামে আমার একটি আনকোড়া কবিতার পাণ্ডুলিপি আছে যেটাকে নিয়ে চলছে ঘষা-মাজা। কবিতাটি সেখান থেকেই নেয়া।
এক কণা ধুলোর আশ্রয় মিলেছিল পাতায়
সর্ম্পক গভীর গাছের সাথে তবু ক্ষুদ্র বলয়
সবকিছু তার সীমানার বাইরে মনে হয়
তবু কি এক আশা তাকে জাগায়
শত অণু স্বপ্ন আঁকে পৃথিবী দেখার নেশায়।
অতঃপর সুযোগ এসে যায়
সাহসী হতে হয় নিরুদ্দেশী এই যাত্রায়
বুকের ভেতর জানার নেশা মাদল বাজায়
রাতের প্লার্টফর্মে যাত্রী ধুলো এবার দাঁড়ায়।
উঠে পড়ে ট্রেনে; চোখ রাখে জানালায়
শিশিরের ট্রেন যায় পাতা থেকে পাতায়
বিস্মিত চোখে ধুলো শুধু তাকায়
দেখে পৃথিবীর অলিগলি, ঘাসে ঘাসে ছুঁয়ে থাকা মায়ায়
ভোরের আলো এসে চোখ তার ধাঁধাঁয়।
আচানক বিস্ময়ে জলের দেয়াল থেকে দুবাহু বাড়ায়
জেনে যায় সে গন্তব্য এখানেই শেষ নয়
শিশিরের ট্রেন যাবে আরেক বিহ্বলতায়।
ধুলো চলে যায় শিশিরের সাথে অদৃশ্য অজানায়
জন্ম নেয়া অসাধারন ধুলোকে সবাই ভুলে যায়
পাতারা ভুলে না কিছুই - তারা থাকে অপেক্ষায়
আবার যদি শিশিরের ট্রেন ধুলোকে ফেরায়।
মন্তব্য
ভালো লাগলো কবিতাটি! আপনার বক্তব্য প্রকাশের উপকরণ একেবারেই অন্যরকম।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
একদিন ঘুম থেকে উঠে ঠিক করলাম আজ থেকে নিরামিষভোজী হবো। অবশ্য বাড়ির সবাই আমাকে কবিগুরুর তরিকা ধরেছি বলে নানান কথাই শুনিয়েছিল। যাই হোক যেহেতু এটা স্বইচ্ছায় ছিল আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম ঘাস, ধুলা-বালি, শিশির, পিঁপড়া, পোকা-মাকড় এসব নিয়ে ভাবছি আর কবিতা লিখছি। শিশির দেখলে মনে হচ্ছে ট্রেন, ঘাস দেখলে সবুজের প্রাসাদ, হেঁটে গেলে মনে হচ্ছে ঘাস ব্যথা পাচ্ছে। তো ভাবলাম এসব ঘাস-লতা-পাতা নিয়ে সব লেখা একসাথে করে ফেলব।
আপনার ভালো লাগলো দেখে ভালো লাগলো আমার। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
আমিও অল্পবিস্তর কবিতা লিখি। পড়িও বটে। সমালোচনামূলক মন্তব্য যদি গ্রহণ করনে তাহলে বলি- কবিতাটির আবহ তৈরির জন্য বেশি সময় নেয়া হযেছে। মানে একটু বেশি কথা যেনো বলা হয়েছে কবিতার শুরুর দুই স্তবকে। এই কথাগুলোকেই আরো আঁট করে বলে যেতো?
আচানক বিস্ময়ে জলের দেয়াল থেকে দুবাহু বাড়ায়
জেনে যায় সে গন্তব্য এখানেই শেষ নয়
শিশিরের ট্রেন যাবে আরেক বিহ্বলতায়। - এই স্তবকটা চমত্কার।
মানুষ দুখ পেতে পারে। দুখ পেয়ে ক্ষুব্ধ হতে পারে। এই কারণে সমালোচনামূলক মন্তব্য দিতে দ্বিধাগ্রস্ত।
আপনি যদি আহত হয়ে থাকেন তাহলে আমার মন্তব্যটি মুছে দেবেন। সেটুকুই যথোচিত জবাব হবে।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
দাদা,
সমালোচনা আমার কাছে একটা লেখার মূল্যায়ন বলে মনে হয়। আমি নিজেও সমালোচকের দলে তাই আমি জানি একজনের সমালোচনা এটাই প্রমাণ করে যে সে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছে এবং ভেবেছে। আমার লেখা মানুষকে ভাবাবে এটাই সামান্য লেখক হিসেবে আমার পাওয়া।
প্রত্যেক শব্দের শেষে "য়" থাকবে এটাই ছিল আমার লক্ষ্য। তো এটা করতে গিয়ে অনেক জায়গায় ছাড় দিয়েছি, কিছু যোগ করেছি। তবে আপনার কথা আমার মাথায় থাকবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
শেষ দুই প্যারা খুবই চমৎকার লাগল।
নতুন মন্তব্য করুন