স্যাঁতস্যাঁতে পোড়োবাড়ি, বৃষ্টির দুপুর
এক কাণে দাঁড়ানো গুটিকত কিশোর
অবেলায় মেঘ দেখে থমকে দাঁড়ায়
নিজেরে আড়াল করে দেয়ালের ছায়ায়।
লোকজন ছাতা নিয়ে হাঁটাচলা করে
কেউ কেউ বসে আছে চুপচাপ ঘরে।
এখানে ওখানে মেঘ গড়েছে পুকুর
বুড়োবাম ব্যাঙ বাঁধে কোরাসের সুর ।
পৃথিবীটা সাঁতরায় জলের ধারায়
সূর্য আঁচল টানে খুব লজ্জায়।
এ ওরে খুব করে দেয় ভিজিয়ে ।
সাধ্য নেই পাতারো থাকে লুকিয়ে।
পাঁচিলের ফাঁক গলে বৃষ্টির জল
সুড়সুড়ি দেয় গাঁয়ে- হাসি টলমল ।
নাম নাই, ধাম নাই, বৃষ্টির সারি
বাজাতে বাজাতে ঢোল এসে গেল বাড়ি !
অতিথি এলে বুঝি দূরে থাকা যায়?
স্বাগতম জানাতে শিশুরাও ধায়।
একপা দুপা যেতেই নেচে আসে ধারা
রিমঝিম সুরগুলো প্রাণে দেয় সারা
কাঁদামাটি মিশে থাকে শিশুদের গায়ে
ভেজা হাওয়া তেড়ে আসে কাগজের নায়ে ।
কাহাঁতক এভাবে বসে থাকা যায়
ভেজার উৎসবে না ভেজাই দায়
ভাবতে ভাবতে আসে বুড়ো বাঁশ পাতা
খুশিতে নাতি-পতি বলে যায় কথা।
মন দোলে, তরু দোলে, দোলে উঠে বিশ্ব
এক সাথে নাচে-গায় যত গুরু শিষ্য।
গোল হয়ে একমনে ঠিক করে সবে
আজ এখানেই তবে মেঘ-মেলা হবে।
ঝাঁপি-টাপি নিয়ে পাড়া বসে পড়ে মেলায়
দূর বন থেকে কেয়া চড়ে আসে ভেলায়।
বেলুন-বাঁশি-ভেঁপু কি নেই এখানে
দোকান বসে গেছে ফুলের বাগানে।
মেলায় যাবে বলে ঘর ছাড়ে শিশু
দাওয়া থেকে লোকগুলো ডাকে শুধু পিছু ।
বোকা ছাড়া আর কে করে এত ভুল
মেলা দেখে দৌড় দেয়; গায়ে লাগে হুল?
কোলাকুলি, গলাগলি শত বন্ধুতে
সবাই হচ্ছে জড়ো মেঘ-মেলাতে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন