সূর্যে দিবি ডুব- তুই এমন কথাও বলিস
চাঁদকে নিয়ে ইচ্ছেমতো ফুটবলটাও খেলিস
আস্ত প্রজাপতিটাকে মুঠোর মাঝে পুরে
আবার তাকে উড়িয়ে দিস মুঠো থেকে দূরে।
গাছটাকে তুই বানাস ঘোড়া- লাগাম ধরিস হাতে
দিগ্বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে ছুটিস মাঠে মাঠে
কদম ফুল তোর পায়ের কাছে- ঠিক যেন সব নুড়ি
আকাশ সাগর থমকে দেখে তোর চালানো ঘুড়ি।
আবোল তাবোল বাতাস আসে জাহাজ ঘুড়ির চোখে
নাবিক তুই! সাধ্য কার এমন আছে রাখবে তোকে রুখে!
ভূত-পরী, দেও-দৈত্য দানব ওসব কি আর মানিস
ওদের গিয়ে ধরবি ঠিকি -এসব আমায় বলিস
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তোর কাছেই হার মানবে
তুই ছাড়া ঐ শিশুগুলো আর কে খুঁজে আনবে?
ঘুমের সময় জড়িয়ে ধরে এসব বলিস আমায়
ঘুমপাড়ানী গান পারেনা একটু তোকে থামায়।
কে লড়েছে, কে কেঁদেছে এসব শোনা চাই
একলাফেতে উঠবি বসে “ চলো তবে যাই।
কান্না-কাটি বন্ধ করার মন্ত্র আমি জানি
ঢাল-তলোয়ার বানিয়ে দেব মিষ্টি বাকরখানি।"
আমায় দিবি কৃষ্ণচূড়া সবুজ পাহাড় ছেঁকে
পিসি পাবে রূপার কাঠি অচিন পুরী থেকে
দাদুর জন্য আনবি বাটা মুক্তো দিয়ে গড়া
এক পলকের কাজ তোর মুক্তা যোগাড় করা।
বাবার জন্য সোনার কেল্লা, রূপার কেল্লা ঘুরে
আনবি তবে বিশাল ঘড়ি সোনা দিয়ে মুড়ে ।
আরো কিসব করবি! সেসব তোর মুখেতে শুনে
“পাগল ছেলে!” সবাই বলে “কিসব চিন্তা মনে!”
তুই কি জানিস মা কি ভাবে এমন ছেলে পেয়ে
আমার ঘরে আসলি ঠিকি হাজার পথ বেয়ে।
তারার দেশ, নদীর দেশ পেছনে সব ফেলে
একা একাই চলে এলি এই আমারি কোলে!
ভয় না পেয়ে যেমন তোর শুরুই হলো চলা
এখন তুই কুঁকড়ে যাবি এমন কি যায় বলা?
ভয় পাওয়া সব পাখির ছানার নীড় হোক তোর বুকে
হোঁচট খাওয়া মানুষ দাঁড়াক তোর মুখটি দেখে।
তুই তো আমার ছোট্ট-মেঝ-বড়ো বেলার বীর
বুড়ো হলেও দেখিস যেন না নামে এই শির !
মন্তব্য
বাহ্ বেশতো! ভালো লাগল। আমি জানিনা এটা আপনার নিজের খোকা কে নিয়ে লেখা কিনা, তাহলে তার জন্যও শু্ভকামনা রইল!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই দেরীতে লিখতে হলো।
নিজের ছেলে এখনো হয়নি। তবে পরিবারে ছেলে বাচ্চার সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে ওদের নিয়ে কবিতা লেখা হয়ে গেলো।
আপনার শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
বাহ্, দারুন। এমন "মায়ের ছেলে" হওয়া তো বিশাল একটা ব্যাপার।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
সব মাই আসলে অসাধারন। সেই অর্থে আমরা সবাই বিশাল সৌভাগ্যের অধিকারী।
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
Thanks Nil!
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
ধন্যবাদ
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
নতুন মন্তব্য করুন