চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাইশ বছর হয়ে গেল বাড়ি ছাড়া। শহরে শহরে ভেসে বেড়াচ্ছি খড়কুটোর মতো কারণে অকারণে।
৯০-র ঝড়ে ঘরটি উড়ে গিয়েছিলো । নতুন করে ঘরটি আর মেরামত করা হয়নি। একমাত্র মা ভুলে যাননি সেই ভাঙা বাড়িটির কথা। মাস শেষে যেদিন বেতন তুলে দেই তাঁর হাতে, মনে করিয়ে দেন ডি পি এস-এর টাকাটা ঠিকঠাকমতো জমা দিয়েছি কি না।
মা টাকা জমাচ্ছেন। সেই পুরাতন বাড়িটি মেরামত করে তিনি ফিরে যাবেন গ্রামে। এই শহর তার ভাল্লাগে না।
এই শহরে আকাশ নেই।
শুধু আমরা তিন ভাইবোন জানি, বাড়িতে আমাদের আর ফেরা হবে না। এই শহর আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে।
উজানগাঁয়ে আমরা আর কখনোই ফিরে যাব না।
[ বাড়িতে যাওয়া হয় মাঝে সাঝে। খুব অল্প সময়ের জন্যে, দু-তিন দিনের বেশি কখনোই থাকা হয় না। এরই ফাঁকে এই ছবিগুলো তোলা, ছবির মধ্যে দিয়ে আমার সেই হারানো শৈশবকে খোঁজে ফেরা হয়তো ]
এই, সব ভুলে যাওয়া মানুষের মধ্যে লুটিয়ে পড়া সন্ধে
তুমি যদি আমাকে চিনতে পেরে থাকো,
তবে দাও, আমাকে এবার বাড়ি ফিরে যেতে দাও
হাত ধ'রে ঘরে ফিরিয়ে দাও আমাকে !
- জয় গোস্বামী
(কবিতার কিছু অংশ পরিবর্তিত)
কোনো-কোনো জলবাহী মেঘ শুষে নিচ্ছে ভোর--প্রিয়তম মুখ
সেইসব প্রিয়তম মুখের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে বসে থাকি--
ভাবি, এই হারিয়ে যাওয়া মুখগুলো
সরল বৃক্ষের মতো কতোকাল ঠিকে থাকবে মহাকালে
-'সে যদি তোমাকে মেঘে দেয় উত্থান?'
বৃষ্টিতে, আমি বৃষ্টিতে খানখান
-জয় গোস্বামী
আমার এই হাত, এ কত ধৈর্য জানে, তোমরা জানো?
জানো তোমরা, আমার এই চোখ জানে কত ধরনের পথ চেয়ে থাকা?
-জয় গোস্বামী
আমি খাদের পর খাদ লাফিয়ে এসেছি আমি
বেঁধেছি গানের পর গান
আমি রাত্রিবেলা দাঁড়িয়ে উঠে চুম্বন করি চাঁদকে আর আমার
পা ধুইয়ে দেয় সমুদ্রের জল তোমরা আমাকে ভয় দেখিও না
--জয় গোস্বামী
আমাকে ডাকতে-ডাকতে চলে যাচ্ছ আমি আর একটা হাওয়া ধরে
খুঁজতে-খুঁজতে ফিরে আসছি এই স্বপ্নে, যেখানে
ঝরে পড়ছে মুঠো-মুঠো সাদাহলদেলালকমলা ফুল
-জয় গোস্বামী
আকাশে আকাশে এত রঙ লাগাবার পর
মাঠে মাঠে ফসল আর বনে বনে এত ফুল জাগানোর পর
দিনের শেষে কোথায ফিরবো আমি ? কার কাছে ?
---জয় গোস্বামী
মন্তব্য
এই রকম ভয়ঙ্কর ভালো ছবির প্রসঙ্গে মন্তব্য হয় না! সবগুলোই সুন্দর, তবে সর্ষেক্ষেতেরগুলো দেখে সবচেয়ে ভালো লাগলো। আপনি তো মশাই জিনিয়াস !!
ছবি গুলো অনেক ভালো। জয়ের কবিতার মতোই...
ঐ গাঁয়ে আমাদের কোনো বাড়ি নেই। তবে ছবিকথা'র আয়োজনে বাড়ির জন্য ভীষণ মন খারাপ হলো।
কি কমেন্ট করবো বুঝতে পারছিনা! তাই রেটিং দিলাম ৫।
শাওন, দারুন
...........................
Every Picture Tells a Story
অনিন্দ্য, অসাধারণ, অতুলনিয়।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
শহর গ্রাম যেখানেই হউক, প্রানবন্ত মানুষগুলো তাদের প্রানের রঙ ঠিকই খুঁজে নেয়। তোমার ছবিতে সেই প্রান খুঁজে পাওয়া যায়।
********
চড়ুই
অসাধারণ ছবি.. লেখার শিরোনামে বানান ঠিক করতে হবে।
প্রত্যেকটা ছবি এতোটাই চমৎকার যে ভালোলাগাটা প্রকাশ করার মতো উপযুক্ত কোনো বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছি না।
ছবির কথা বলতে গিয়ে লেখার কথা বলা হয়নি। একদম ছুঁয়ে গেলো। আপনার আরো অনেক লেখা/ছবি পড়ার/দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
মূলত পাঠক, ধন্যবাদ। জিনিয়াস ছাড়া জিনিয়াসদের চেনা মুশকিল।
নীল, ধন্যবাদ। জয়ের কবিতার কাছে আমার এইসব নস্যি।
পান্থ, ধন্যবাদ। এ ছাড়া আপনাকে আর কিছুই বলার নাই।
আকতার ভাই, পুরো ৫ দিয়ে দিলেন!
মুস্তাফিজ ভাই, ধন্যবাদ। এইটা "দারুণ" বলার কারণে না। এইটা সচলের খোঁজ আমাকে জানানোর কারণে।:)
কীর্তিনাশা, ভাই একটাই কথা। লেবু চা টা একটু তাড়াতাড়ি শেষ করেন।
চড়ুই, মানলাম। কিন্তু সেটা ফ্ল্যাটে বসে বাঁশি শোনার মতো ব্যাপার হয়ে কি দাঁড়াবে না?
প্রকৃতিপ্রেমিক, ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যে। একটা বিন্দু কত বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটিয়ে দিল।
ভাটির মানুষ আমি,চিনিলাম উজানের শাওন।ছবি-লেখা সবইতো লাজওয়াব।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই, ধইরা ফালাইলেন!
শোনেন আগে থেকেই বলে রাখি, তাড়াতাড়ি পরের পোস্টটা ছাড়েন। কোয়ালিটির সাথে কোয়ান্টিটির কোনো বিরোধ নাই।
তা বটে ! কিন্তু কোয়ান্টিটির সাথে নিজের যে একটা বিরোধ থেকেই যায়।
অতন্দ্র প্রহরী, ভালোলাগার কথা না বললেও চলে। ঐটা বুঝা যায়। আপনার কথাগুলো আমাকে ছুঁয়ে গেল।
কবিতার মতো সুন্দর ছবি! সাদাকালো পানিতে ঝাপানোর দু'টা, মেয়েটার মুখ, গরুর গাড়ি ...... অসম্ভব সুন্দর!
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা।
ওয়াও!
অসাধারণ!
অসাধারণ!!
অসাধারণ!!!
ধন্যবাদ
আগে আপনার লেখা পড়েছি। ভালো লাগাটাও জানিয়েছিলাম। পরবর্তী লেখার অপেক্ষাতেও ছিলাম।
কিন্তু হায়, আমি জানতামই না আপনে যে এতো ভালো ফটোগ্রাফার। তাশকি খেয়ে চেয়ে রইলাম।
অনেকদিন পরে আজকে একটু ব্লগানোর সময় হাতে ছিলো। ভাবছিলাম আজকে নাহয় একটা ছবি পোস্ট দেই... কিন্তু এখন মনে হইতেছে এতো এতো অসাধারণ ফটুরেদের ভীড়ে আমার বেয়াদবি করাটা ঠিক হবে না।
আর হ্যাঁ... প্রিয় কবি জয় গোস্বামীতে আপনার দখল দেখে আরো মুগ্ধতা বাড়লো...
সব মিলিয়ে আসলে কিছু বলার নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"অনেকদিন পরে আজকে একটু ব্লগানোর সময় হাতে ছিলো। ভাবছিলাম আজকে নাহয় একটা ছবি পোস্ট দেই... কিন্তু এখন মনে হইতেছে এতো এতো অসাধারণ ফটুরেদের ভীড়ে আমার বেয়াদবি করাটা ঠিক হবে না।"
ব্লগাইতে কোনো সমস্যা নাই। কবিতার মতো ছবিও অনেকরকম। ছবি নিয়ে আপনার ব্লগটা দেখলাম। ভাল লেগেছে।
অসাধারন সব ছবি
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ
সর্ষে ক্ষেতে বাচ্চাদের ছবিগুলো এক কথায় অপূর্ব। ছোটবেলায় ভিউকার্ড জমাতাম। এখন আবার সেই ইচ্ছে জাগছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
শুনিয়া আনন্দিত হইলাম। আমার সাথে সাথে আজাদ সাহেবও আনন্দিত হওয়ার কথা। তার সেই পুরাতন ব্যাবসাটা যদি আবার ফিরিয়া আসে এই ভেবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অসম্ভব ভাল লাগল, বিশেষ করে সাদাকালো গুলো।
ধন্যবাদ
সচলে সব সেরা সেরা মানুষদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকুক, সেটাই চাই। আশা করি নিয়মিত হবেন।
শেকড় ছিন্ন করে ফেলবার গল্প পড়লে, মনে হলে, বারবার
শ্যমল( গঙ্গোপাধ্যায়)'র এই জীবনের যতো মধুর ভুলগুলি র কথা মনে পড়ে সব আগে ... অ-সাধারণ দরদমাখা সেই হাহাকারলিপি !
ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। - আপনার এই লেখাটা পড়ে, ছবি দেখে, আবার মনে পড়লো । নষ্টালিজিক ক'রে তুললেন শাওন ।
কাল/ পরশুই কায়সার ( টি.এম আহমেদ কায়সার)'র সঙ্গে কথা হচ্ছিলো । বলছিলো, কি এক অভিমানে আপনি, চ্যবণ, আর কোথাও লিখছেন না । নেই কোন ছোট কাগজের সঙ্গে !
আজ এখানে দেখে ভালো লাগছে খুব । নিয়মিত হবেন আশা করছি ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনি এখানে আছেন জানতাম না। ভাললাগলো। কায়সার ভাই আছেন কেমন? বেশকিছুদিন হল উনার সাথে আলাপ হয় না।
আপনার ভাললাগা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। শব্দপাঠের খবর কি?
ছবি,লেখা সবমিলিয়ে দুর্দান্ত।
আপনাকে কি চিনি কোন প্রকারে?
ভালো থাকুন,সচলায়তন ঋদ্ধ হোক আপনার লেখায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার সাথে আমার দু'একবার দেখা হয়েছিল মনে হয় তবে ঐভাবে পরিচয় হয়নি।
এতো অসম্ভব সুন্দর ছবি! ৫ তারকা দিলেও এসব পোস্টে মন ভরে না...
উজানগাঁ কি সুনামগঞ্জে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ। উজানগাঁ সুনামগঞ্জে।
ভাষা খুঁজে পাই না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনারেও তো আমরা খুঁজে পাই না। কই থাকেন আজকাল ??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমারো প্রশ্ন সেটাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাষা খোঁজার দরকার কি? বন্দুক হাতে থাকলে ভাষার কি দরকার? গুলি করেই জানান দেয়া যায়।;)
ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি কিছু না বলি, তাহলে কি আপনি বুঝে নিতে পারবেন, আপনার লেখা, ছবি আর জয়ের কবিতা, সবকিছু মিলিয়ে কি ভয়ংকর মুগ্ধ আমি !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বুঝতে পারলাম।
ধন্যবাদ শিমুল।
ফেরাটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ছবি, লেখা অসাধারণ লেগেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমিও একমত। অসম্ভব নয়।
একটা ছবি যে কতখানি অনুভূতি তৈরি করতে পারে, এই ছবিগুলো দেখলে তা অনুমান করা যায়। অসম্ভব ভালোলাগায় ভরে গেল মনটা। কবিতা আর ছবি মিলে মুগ্ধতার এক যাদুকরী বলয় তৈরি করেছেন আপনি।
দূর্ভাগ্য আমার এমন একটা পোস্টকেও তারা চিহ্ন দিতে পারছি না কেবল অতিথি বলে।
তবে আকাঙ্ক্ষা রইল পরবর্তী পোস্ট দ্রুত পাবার।
সালাহউদদীন তপু
তারা লাগবে না। আপনি আপনার ভাললাগা জানিয়েছেন তাতেই খুশি আমি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
কী অসম্ভব সুন্দর ছবি সব
এতো সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ
সুন্দর।
ট্যাকা থাকলে ক্যরেমা কিন্তাম...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছবি তোলার ইচ্ছে থাকলে নিজের "ক্যরেমা" না থাকলেও চলে। আমি ক্যামেরা কিনেছি কয়েক মাস হবে।
এই ছবিগুলো গতবছরের কিছু এর আগের বছরের। বন্ধু-বান্ধবের ক্যামেরা ধার করে নিয়ে ছবিগুলো তোলা।
ওয়াও! পাগলা সব ছবিরে ভাই!! ধন্যবাদ, চোখটা আরাম পাইলো!
আপনি কি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নাকি? নাহ, আপনার ফ্লিকর পেজটা তো একটু ঘুরে আসা লাগে!
ওরে বাপরে, আপনার ফ্লিকর-এ তো আরো হাজারো সারপ্রাইজ। ভাবছিলাম ঘুমামু, ধুউর!
আর আমার প্রশ্নটার উত্তর পেয়ে গেছি।
উত্তর কি পেলেন, জানতে ইচ্ছে করে ....
দুস্ত...
শাওন দা, আপনার লিখার হাত যে এত ভাল, তা তো কখোনো বুঝতে পারি নাই। আপনার ছবিগুলির প্রশংসা করার মত আমার রুচিবো্ধ আছে, কিন্তু খুব একটা ভাষা জানা নাই। আপনার লেখা আমাকে নিয়ে গেল একেবারে আপনার গ্রামের বাড়িতে। জীবনের খুব কাছ দিয়ে গেলাম মনে হল। ভীষন ভাল লাগলো।
অসাধারণ সব ছবি!!
সঙ্গে উপরি পাওনা দুর্দান্ত সব কবিতার টুকুনাংশ...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেউ ফিরতে চায় শৈশবে কেউ বা গ্রামের বাড়ী । শহুরে জম্ম কম্ম পাব্লিকের কি আছে ভাবছি ।
কবিতার লাইনগুলো পড়া থাকলেও এত সুন্দর করে সাজানো সুস্বাদু লাগেনি আগে কখনো। অপূর্ব!! যেমন ছবি সাথে সাথে লাইনগুলোর হাসি কান্না। আপনার ছবির ভক্ত ছিলাম আগেও, আবারো মুগ্ধ হলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক কথায় অসাধারণ...
'নৌকো থেকে বৈঠা পড়ে যায় জলের তলায়..
কালো ছাইরঙা জল একবার ঢেউ দিয়ে অন্ধকার,
এখন কোথায় আছে সেই বৈঠাখানি?
দুটো কৌতুহলী মাছ, দু’ খন্ড পাথর, লক্কড়, সাইকেল ভাঙা গোল আংটির পাশে পাঁকে গাঁথা চারানা আট আনা।
অন্ধকারেওদের চোখ জ্বলে। এই জলে থেকে থেকে এখন ওরাও কোন প্রাণী।
হারানো বৈঠার কাছে পৌঁছে দেখি, তার দু-ধারে জন্মেছে পাখনা, পিঠে কাঁটা, নাকে খড়গ, আর
খড়গের রজ্জুর সঙ্গে বৃহৎ নৌকোটি বেঁধে নিয়ে,
বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে ঝাপসা জলমগ্ন ভূমন্ডল পেরিয়ে সে চলেছে আবার।'
#নৌকো থেকে বৈঠা পড়ে যায় – জয় গোস্বামী
তারা দাগিয়ে গেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
...
নতুন মন্তব্য করুন