কোনো কোনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি অন্ধকারের ফাঁকে ফাঁকে জ্বলে-ওঠা আগুনের দিকে ছুটে যাচ্ছি আমি,
আমাকে তাড়া করছে শীতরাত্রি, আমাকে তাড়া করছে মৃত্যুভয়
আর দেখি শরীরে আগুন নিয়ে তুমি ছুটে আসছো আমার দিকে...
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
কে কাকে চমকাচ্ছে আজ,
কে কাকে মুগ্ধ করছে অবিরত
দীর্ঘ আলাপচারিতার পর
কে বেশী অন্ধকার নিয়ে ফিরে যায়
তোমার চুল ভর্তি লুকানো কথার ছুরি--স্পর্শের ভেতর নিয়ে এসে দেখেছি তোমার ভেতর খেলা করছে এক অদ্ভূত মাতাল পশুর ভালবাসা
ভেতরে আগুন নিয়ে কতদূর উড়ে যাবে তুমি !
এই উত্তেজনা, ভয়--বর্ষাযাপনের ফাঁকে
উঠে আসছে তোমার আমার দীর্ঘ বিরহযাপনের চিহ্ন
মন্তব্য
পুরো কবিতার শরীরে এই লাইনটা দুর্বল ঠেকলো। মানে, বাকী অংশের মধ্যে যে স্মার্টনেস এই লাইনে এসে যেনো সেটা হোঁচট খাচ্ছে।
এই উপমা দুর্দান্ত লাগলো।
বলাবাহুল্য-এ হচ্ছে পাঠকের নিজস্ব প্রতিক্রিয়া মাত্র।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ ভাই, মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। কবিতাটা যে আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন সেটা বুঝা যাচ্ছে। কবিতা লিখতে গিয়ে অনেক সময় কিছু শব্দ, বাক্যকে আমরা প্রশ্রয় দেই, দেই এই কারণে যে আমাদের আসলে কিছু করার থাকে না। তবে সচেতন লেখকমাত্রই এড়িয়ে চলেন এই ধরনের ভাবালুতা। আমার মতো অসচেতন নব্য-কবিতা লিখিয়েরা জেনে-শুনে আগুনে নিজেকে বিসর্জন দেন।
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
কবিতাটা লেখার সময় এই লাইনটা এমনভাবে মাথায় ঢুকে গিয়েছিল যে ঐটাকে উপড়ে ফেলা কঠিন ছিল। তবে লাইনটাকে ঠিক দূর্বল না ভেবে একটা ফাঁদ ভাবা যেতে পারে। কবিতাটা লেখার আগে এই লাইনটিই আমার মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেতো সারাদিন। এই লাইনটিকে ভেঙ্গে পুরো কবিতাটা তৈরী করা। সহজ কথায় বলতে গেলে এই একটি লাইনের ভেতরেই পুরো কবিতাটা ঢুকানো আছে।
সম্ভবতঃ বুঝতে পারছি :)। গল্প লেখার ক্ষেত্রেই এরকম হয় আমার। একটা বাক্য কিংবা বোধ হ্যামারিং শুরু করে। আসলেই ঐটাই প্রান, পরে হাড় মাংস লাগে।
আমি আসলে বলতে চেয়েছি আপনার কবিতার বাকী অংশটুকু এই লাইনের চেয়ে স্মার্ট হয়ে গেছে :)। মানে আমার কাছে এরকম মনে হলো আর কি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মনে হচ্ছে একটা স্বপ্নের বর্ণনা পড়ছি। চিত্রকল্প নির্ভর, খানিকটা স্ট্রেইট ফরোর্য়াড।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ধন্যবাদ
কবিতাটা খুব ভালো লাগলো।
আপনার কবিতাগুলো একটু অন্যরকম। কেমন যেন বিষণ্নতা ছুঁয়ে থাকে। পড়তে ভালো লাগে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বিষণ্নতা!!!! তা বটে !
বানান ভুল হইলো নাকি উজান ভাই ?
এইটা কিন্তু মুর্ধ্য'ণ যুক্ত দন্ত'ন, ন যুক্ত ম না। তবে যদি নিশ্চিত করেন যে দন্ত'ন যুক্ত দন্ত'ন তবে হবে 'বিষন্ন'
এখন এতো দাঁত না শুকিয়ে যদি বলেন কোনটা সঠিক, তাইলে উপকৃত হই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনি যেটা লিখেছেন সেটাই সঠিক বানান। মুর্ধ্য'ণ যুক্ত দন্ত'ন। আমি হাসলাম অন্য কারণে। কবির ভেতরকার ব্যাপারটা যদি পাঠক ধরে ফেলেন তবে ভাবতে হবে সে কবি ব্যর্থ।
নিজের ভেতর ব্যর্থ কবির উপস্থিতি টের পাচ্ছি।
দীর্ঘ আলাপচারিতার পর
কে বেশী অন্ধকার নিয়ে ফিরে যায়...
ভালো লাগলো এটাও। লেখার ব্যাপারে নাশুদার সাথে একমত।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন লাগলো। আমিও তাড়ার উপ্রেই আছি, না জানি কবে লাল নীল তারা দেখি ।
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
দূর্দান্ত
"হামিদা আখতার"
নতুন মন্তব্য করুন