আমার প্রথম লেখা কি নিয়ে লেখা যায় চিন্তা করতেই মাথায় এলো আমি প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে। মাঝে দেশে গেছি ঠিক, কিন্তু এবার প্রায় এক বছর হতে চলল দেশে যাই না। ছিলাম মালায়শিয়া, কাজের স্বার্থে এলাম অস্ট্রেলিয়া। একা একটি মেয়ের এমন যাযাবর অবস্থা হয়ত অনেকেই মেনে নিতে পারে না, তাই বন্ধু-দের নানা আশঙ্কা আমাকে নিয়ে। সবার প্রশ্ন, আমি কি আর দেশে ফিরে যাবো? অনেকে বুদ্ধি দেয়---দেশে ফিরে কিছু হবে না, বাইরে সেটেল হয়ে যাও। অনেকে আরো এক কাঠি সরেস, বলে "সাদা চামড়া'র কাওকে বিয়ে করে ফেল"। বন্ধু-দের আবদার পূর্ণ কথার উত্তর প্রায় আমার এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু ভাবি আসলেই তো, তিন বছরেই আমার অনেক পরিবর্তন, জীবন টা আসলেই ছন্নছাড়া হয়ে গেল।
মাঝে মাঝেই চিন্তা করি স্কুল-এর কথা, কতো না মজার ছিলো সে সময়টা। আমার এক স্কুল-এই পুরো বারো বছর কেটেছে, নার্সারি থেকে এস.এস.সি., তাই বন্ধু-রাও ছিলো এক পুরো সময় জুড়ে। ভাগ্যবান আমি, সে বন্ধুরাই আমার এখনো আপন। নিয়ম-এর মাঝে থেকেও অনেক দুরন্তপনা সম্ভব,সেটা আমাদের কাহিনী শুনলে বুঝা যাবে। কলেজে গিয়েও আমরা এক দল, আর বাকি-রা দূর থেকে নানা কথা। মেয়েরা বেশি দিন এক গ্রুপ-এ থাকতে পারে না, ঝগড়া হবেই একদিন, এই সব নানা গসিপ। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি, তারা তো জানত না আমরা কখন থেকে এক সাথে। পরে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে অনেক বন্ধু হলো আরও, এখানেও আমরা ভাগ্যবান, তারা সবাই এখনো আমাদের কাছের, নিয়মিত খোঁজ পাই সবার। অনেকে পাস করে টিউটর, কেও ব্যাঙ্কার, কারো সামনে গ্র্যাজুয়েশন। অনেকেই আবার বাইরে আসার সুযোগের অপেক্ষায়, দেশে থাকতে রাজি নয় কেও। আবারো ভাবি, জীবন টা অনেক বদলে গেলো।
জানি না দেশে গিয়ে সবার দেখা পাবো কিনা, পেলেও কি তারা আগের মত আছে আর? দেশের বাইরে এসে আমার যেমন বদলে যাওয়ার কথা ছিলো, আমি তা পারি নি। আমি এখনো স্বপ্ন দেখি কলেজ মাঠে আড্ডা দেয়ার, ঝুম বৃষ্টি-তে সবাই ভিজে ভিজে ঝাল মুড়ি খাওয়ার,সুবর্ণ-তে ঢাকা-চিটাগাং আসা যাওয়ার, ছুটিতে এক-একজনের বাসায় দিনভর গল্প করার, বলতে গেলে আজ আর শেষ হবে না। এই মুহুর্তে শুধু মনে পড়ছে জীবনানন্দের কটি লাইন----
"আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়".......
মন্তব্য
আগের মতো পাওয়াটা খুব কঠিন। আমরা এখন যে তীব্র গতির যুগে বাস করছি, প্রতিটি মানুষই বদলাচ্ছে দ্রুতবেগে।
একটাই সান্ত্বনা- মানুষ বদলালেও প্রকৃতি আমাদেরকে কাছে টেনে নেয় ঠিক আগের মতোই। এখনো টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ আগের মতোই লাগে, বদলায়নি একটুও। এখনো খেতের আল চুইয়ে পানি উপচে পড়ে নদীতে।
দেশে ফিরে মানুষগুলো হয়তো পাবেন আগের মতোই, কিন্তু প্রকৃতির টান যে বদলায়নি, সে ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও তাই আশা করি, বন্ধু-দের সঙ্গ আবার পাবো আগের মতোই। দেশকে নিয়ে আশা-ও পূর্ণ হবে একদিন।
আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়".......
ফেরাটা আশা করি খুব শীঘ্রই হবে।
দৃশা
কোনও মানুষই কখনো আগের মতো থাকে না... সে কেবল জড় পদার্থের কাজ...
মানুষ তার নিজের পরিবর্তনের সাথে অন্যের পরিবর্তনকে খাপ খাইয়ে নেয়... আর কেউ কেউ আশা করে আমি বদলাবো বাকি সবাই থাকুক আগের মতো...
যদি তাই হয়... তাহলে
কেম্নে কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তিন বছরেই আমার অনেক পরিবর্তন, জীবন টা আসলেই ছন্নছাড়া হয়ে গেল।
এই পরিবর্তন টা আমার অবস্থানের, সহজ কথায়- দেশের বাইরে আসা,নিজের জীবন নিজে বইতে শেখা। ক্যারিয়ার-এর কথাও বলা যায়। আমি বাইরে আসাতে আপন মানুষরাও অনেক ভিন্ন দৃষ্টি-তে দেখে। আরো মজার ব্যাপার,দেশে নিজের ঘরেই আমি অতিথিঃ)।
জানি না দেশে গিয়ে সবার দেখা পাবো কিনা, পেলেও কি তারা আগের মত আছে আর? দেশের বাইরে এসে আমার যেমন বদলে যাওয়ার কথা ছিলো, আমি তা পারি নি।
এই বদলে যাওয়া হলো আমার মনের। আমি এখনো পারি নি বাস্তব্বাদী হতে, পারি নি বিদেশে থেকে যাওয়ার চিন্তা করতে। প্রতি মুহুর্তে মনে হয়---আমি কেন এলাম দেশ ছেড়ে......
ধন্যবাদ অনেক আপনাকে, এত ব্যাস্ততার মাঝেও এ লেখা পড়ে দেখবার জন্য।
সচলায়তনে স্বাগতম জানাই। নতুন নতুন লেখায় আমাদের মুগ্ধ করুন আর দ্রুত সচল হোন এই কামনা রইলো।
-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ।মনে হচ্ছে সচলে লেখা সার্থক হলো।
খুব টাচি, আপনার দেশেকে মিস করা লেখায় খুব ফিল করলাম, সুন্দর লিখেছেন। এই কিছুদিন হল আমি আমার ছোটবেলার স্কুলের বন্ধুদের একসাথে সবাইকে খুজে পেলাম ফেসবুকে, কিযে ভাল লাগল বোঝাতে পারবনা, এত বছর পর সেই ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল, কত মজা করতাম, কি সুখের ছিল সেই দিনগুলি কেন যে আমরা বড় হয়ে যাই
আচ্ছা আপনি অস্ট্রেলিয়ার কোথায় আছেন?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন। ফেসবুক-এ আমারো খোঁজ মিললো অনেক হারিয়ে যাওয়া কলেজ ফ্রেন্ড-দের। দেখে মজাই লাগে, অনেক কিছু ঘটে গেছে দেখে
আমি ক্যানবেরা তে আছি। ইন্টার্ন করছি UNSW@ADFA তে। ৪ মাসের স্কলারশীপ, ১ মাস চলে গেছে এর মাঝেই।আপনি মনে হয় সিডনি তে।
লেখা ভাল লাগল।
দেশে ফিরে গেলে হয়তো আগের মতন সব ফিরে পাওয়া যাবেনা। আসলে এটাই তো কঠিন বাস্তবতা আমাদের জীবনে। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। আমাদেরকেই গুছিয়ে নিতে হয় নিজেদের জীবনকে সময়ের স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে। আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা।
[ভূঁতেঁরঁ বাঁচ্চাঁ]
একজন মেয়ে বিদেশ বিভূঁইয়ে একা একা জীবন সংগ্রামে। আমার মা শুনলে, নিশ্চয়ই অবাক হবেন (আমার মা খুবই সাদামাটা গাঁয়ের বধু, যে তার মেয়েকে ঢাকা শহরে পড়তে পাঠায়নি, একা কেমনে থাকবে বলে)। বলবেন, অ্যাঁরে, মেয়েটার তো সাহস আছে। সাহসী প্রিয়াংকা, সচলে, আপনাকে স্বাগতম। আপনার যাপিত জীবনে দৈনন্দিনতার সাহসী গল্পগুলোর পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
হেহে, আমি সাহসী বলা যায় না হয়ত, বলা উচিত জেদী।।তবে একটা কথা অবশ্যই বলা প্রয়োজন এখানে, আমার সব কিছুর পেছনে আছে বাবা-মা'র অন্ধ বিশ্বাস আর সহযোগিতা। তাঁদের সাপোর্ট ছাড়া আমার এত দূর আসা----অসম্ভব-ই বটে।
ধন্যবাদ পোস্ট-টি পড়ার জন্য।
সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন। দেশকে আগের মত পাবেন না, এটা মেনে নিয়েই আমাদের এই প্রবাস।
অনেক ধন্যবাদ। সচলের কিছু লেখক-এর লেখা আমি কখনো মিস্ করি না, আপনি তাদের একজন।
ফিরে আসুন।
বিদেশে বেশীদিন থাকলে আপনার হৃদয়-মন যে সংস্কৃতিতে তৈরী তার থেকে চিরবিচ্ছিন্ন হবেন। একজন পুরুষ সাংস্কৃতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হলে সে শুধু নিজেকে হারায় কিন্তু নারী সাংস্কৃতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হলে শিশুরা বিচ্ছিন্নতা নিয়েই বেড়ে ওঠে। বিচ্ছিন্নতার ভবিষ্যৎহচ্ছে কল্পে বসবাস।
এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন:
The Future of Nostalgia
by Svetlana Boym
এক মার্কিন প্রবাসী রাশীয়ান শিক্ষীকার চমৎকার বিশ্লেষন।
আবার বলছি ফিরে আসুন।
যেখানকার মানুষ ভাল সেখানে বসতি গড়ুন, যেখানকার জিনিস ভাল সেখানে নয়!
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
আমি শুনেছি দেশ ছেড়ে চলে যাবার পর প্রথম বছরটা মন দেশে ফেরার জন্য আকু পাকু করতে থাকে। ধীরে ধীরে সেটা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু সচলের কিছু মানুষ দেখে সেই কথাটার আর ভিত্তি খুঁজে পাইনা। দেশে ফিরে আসুন...ওই জাহান্নামে থেকে কি লাভ?
ব্লগের শিরোনাম দেখে একটা কথা মনে পড়লো। এই নিয়ে "শিরোনামহীন" শিরোনামে লেখা সচলে ব্লগের সংখ্যা এইটা সহ তিন (আমার দেখা মতে...আরও থাকতে পারে)। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ব্লগের শিরোনাম খুঁজে পাই না। সেদিন নিজেও দিসিলাম "শিরোনামহীন" শিরোনাম। পরে আগের পোস্ট গুলার সাথে মিলে যাবে দেখে দিসিলাম "শিরোনাম নাই"
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
লেখার শিরোনাম নিয়ে এই কথা টাই আমার মাথায় আসছে অনেক পরে, ততক্ষনে লেখা জমা পড়ে গেছে ;( আসলে আমার এই চিন্তা-গুলো'র কোনো শিরোনাম হতে পারে, সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবে আশা করি , ভবিষ্যতে আর শিরোনাম নিয়ে ক্যাঁচাল লাগবে না
আর হ্যাঁ, ফিরে আমাকে যেতেই হবে। অন্য কিছু বাদ দিলেও আমার স্পন্সর কোম্পানী আমাকে ছাড়বে না...হেহে
একবার কোনাকিছু ছেড়ে গেলে সেখানে আর ফিরে না আসাই ভালো
কারণ ফিরে আসা হয় অনেক বেশি প্রত্যাশা নিয়ে
কিন্তু ফেরা মানুষকে হতার বেশি দিতে পারে না কিছুই
সময়ের সাথে দেশ বদলায়, দেশের মানুষ বদলায়, মানুষের মূল্যবোধ বদলায়, জীবন বদলায়... কিংবা সব ঠিক থাকে... বদলায় শুধু প্রবাসী আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী। দেশে গিয়ে নতুন করে সব শিখতে হয়, চিনতে হয়। শেকড় আলগা হওয়া আমাদেরকে দেশ যতটা টানে ততটা দূরেও ঠেলে। তাই অনেকদিন পর দেশে ফিরে প্রতাশা আর প্রাপ্তির হিসেব আর মেলে না। আর সেই হিসেবের গড়মিল মেনে নিয়েই আমাদের ভালোবাসা অম্লান থাকে...থাকবে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
থার্ড ইয়ারে উঠেই ক্লাসমেট সব ছক কষা শুরু করে দিসে। কোন দেশে যেতে পারলে ভাল , কোন ইউনিভার্সিটির ডিমান্ড বেশি , কোনটায় টিউশন ফি কম ইটিসি ইটিসি।
আমার দেশের বাইরে যাবার কথা ভাবলেই কেমন দম আটকে আসে
আল্লাহই জানে কি আছে কপালে।
ব্লগর ব্লগর ভাল লাগলো। নিয়মিত লিখুন। ধন্যবাদ।
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তার্পরে?
তারপরে সিরিজ আকারে আসিতেছে...হেহেহে, দেখি চলে যাওয়ার সময় হয়ে আসলো বলে। ৪ বছরের ঘটনা সব এখানেই লিখে যাবো ভাবছি (যদি আপনারা পড়েন আর কি )
আপনি লিখেই দেখুন না, কেমন করে পড়ি। দরকার হলে মুখস্ত করে শোনাবো।
- হেহ হেহ হেহঃ
এনাদার ভিকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূ গো ভাই, ভিকি বলতে কি ভিকারুন্নেসা বুঝাইলেন?? তাইলে বলি আমার স্কুল কলেজ সব চট্টগ্রামে। আমি ভিকি নই
- ভিকি বলতে ভিকারুন্নেসা ঠিকই আছে, কিন্তু এইখানে ভিকি সেই ভিকি না। এই ভিকি হলো ভেউ কান্না!
আপনি তো তাও অনেক লাকী। যাইবেন গা। আমরা যারা পড়ে আছি তারা তো একসময় না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে যাবো। বাইরের দেশ আয়েশ, সুবিধা দিলেও মনের শান্তি দেয় না, দিবেও না কখনো। আর নিজের দেশ? এতোবছর পর ফিরে গেলে ঘটে ছন্দপতন। নিজেকে ফিরে পেতে সমস্যা হয়। মনেহয় নিজভূমে পরবাসী! আমরা যারা প্রবাসে আসার রঙিন স্বপ্নের হাতছানির ফাঁদে পা দিয়েছি তাদের জীবনটা গেছে। এখন বয়স কম তাই বুঝা যাচ্ছে না। যখন সময় হবে তখন আর কেঁদে কেটে কূল পাওয়া যাবে না।
সেদিন একজন বয়ষ্ক ভদ্রলোককে দেখলাম বাজারে যাচ্ছেন ট্রলিব্যাগ টেনে। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো। হঠাৎ তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেলেন ভদ্রলোক। একটা সিমেন্টের বেঞ্চের ঠিক পাশে। পাশের রাস্তা দিয়ে সকাল বেলার তাড়ায় অনেকেই হেঁটে চলে যাচ্ছে। একটু হা-হুতাশও বুঝি করেছে। কিন্তু কেউ তার ছকে বাঁধা সকালের ব্যস্ততায় দাঁড়িয়ে বৃদ্ধকে উঠানোর রিস্ক নেয়নি। এখানে পাঁচ মিনিট দেরী হলে বাস মিস হবে, তখন কাজে, বিদ্যালয়ে ১৫ মিনিট বিলম্ব! বাধ্য ঘড়ি কাঁটাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখানো এক বাঙ্গালই সেই বৃদ্ধকে টেনেটুনে তুলেছে। গায়ে লেগে থাকা ময়লা নিজের হাতে ঝেরে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছে কোথাও লেগেছে কীনা, বাকীটা পথ যেতে পারবে কীনা ইত্যাদি।
এই বয়সে তো একদিন এই বাঙ্গালও পৌঁছাবে। হয়তো এমনি করে রাস্তার পাশে পড়েও যাবে ঠুশ করে। তখন কে টেনে তুলবে সেই বাঙ্গালকে? সময়ের ইতিহাস বলে পরিস্থিতি তো আরো খারাপই হবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন