কৈশোরের সেই দিনগুলি ছিল অসাধারণ - সারাদিন গান শুনতাম। দিন যেত, আর আমি একের পর এক আবিষ্কার করতাম মান্না দের গাওয়া এক একটি গান। গান তো নয় যেন সুরের জাল দিয়ে গেঁথে তোলা শব্দের মালা, যা অবলীলায় প্রকাশ করে আমার মনের একান্ত অনুভূতিগুলো! বাসার পুরানো ক্যাসেট প্লেয়ারে আমি শুনি মান্না দের গান। একবার শুনি, বারবার শুনি, কিন্তু গান পুরানো হয়না। হাত খরচের টাকা জমিয়ে বই কিনি, আর পনের দিনে একটা করে ক্যাসেট রেকর্ড করতে দিই। তখন মান্না দের গানের সবচেয়ে বড় গানের কালেকশন ছিল যে দোকান গুলোতে, মাসে দুইবার সেখানে হানা দেওয়া আমার স্বভাব হয়ে গেছিল। নতুন নতুন (আসলে আমার না শোনা) গান খুঁজে বের করি, আর রেকর্ড করতে দিই। আর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সারা দিন শুনি একের পর এক গান - যদি কাগজে লেখ নাম, জানি তোমার প্রমের যোগ্য আমি তো নই, যে ক্ষতি আমি নিয়েছিলাম মেনে ইত্যাদি। মায়ের প্রিয় গান ছিল সে আমার ছোটবোন।
ছাত্রজীবন শেষে বন্ধুরা যখন ছড়িয়ে পড়লাম নানাদিকে, তখন বারেবারে মনের কানে বাজতো কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই । তখনকার সেই একলা থাকার অনুভূতি আর ফেলে আসা দিনকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য এর চেয়ে যোগ্য আর কোন গান ছিল কিনা আমার জানা নেই। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই সংগ্রামের সময়ও আমার সঙ্গী ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি মান্না দের গান।
একলা চলার পথ শেষে যখন জীবনে যোগ হলো দ্বিতীয় মাত্রা, তখনও আমাদের দুজনকে ঘিরে থাকতো মান্নাদের গান। মনের কথা প্রকাশ করতে আমার একদিকে শুধু তুমি, আমি যামিনী তুমি শশী হে, হয়তো তোমারি জন্য
কিংবা কখনো হাল্কা মেজাজে আমি কোন পথে যে চলি ইত্যাদির শরণাপন্ন হতাম।
কখনো বা মনোমালিন্যের সময়ে কানে আসতো ক ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালোবাসবে। আর প্রায়ই মাঝরাতে চাঁদের আলোয় দুজনে মিলে একসাথে বসে আমার না যদি থাকে সুর তোমার আছে তুমি তা দেবে শুনতে শুনতে মনে হতো "এর কাছে স্বর্গসুধার/ বেশী আছে মূল্য কি আর"।
আমার সারাজীবনে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি মান্না দের গান জড়িয়ে আছে প্রতিটি আনাচে কানাচে। আজ সকালে তাঁর জীবনাবসানের সংবাদ শোনার পর যেন সিনেমার রিলের মতো এক ঝলক দেখতে পেলাম আমার জীবনটা, এবং তার প্রতিটি পর্বে মান্না দের গানের মিশে থাকা। সারা দিন হেডফোন কানে দিয়ে শুধু মান্না দের গানই শুনলাম আজ। খালি মনে হচ্ছে এত অসাধারণভাবে এত দীর্ঘ দিন ধরে যিনি বেঁচে থাকার অন্যতম একটি রসদ জুগিয়ে গেছেন, তিনি আর নেই, আর মনটা বিষাদে ভরে যাচ্ছে। তিনি আজ আবার আকাশের মত একলা।
বিদায় হে প্রিয় শিল্পী - রেস্ট ইন পীস।
মন্তব্য
বিদায় প্রিয় শিল্পী। আপনি থাকবেন হৃদয়ে চিরকাল
যে গানটি বেশি করে মনে পড়ছে, "যদি, এখনও আমাকে শুধু ভালো লাগে, ভালো না বাসো, মন্দ কী", মনে করিয়ে দিচ্ছে হাজার অনুভূতির স্মৃতি
হ্যাঁ, কত গান, কত স্মৃতি!
____________________________
মান্না দের সাথে পরিচয় হয়েছিল ছোট বেলায়, যখন তেমন কিছু বোঝার বয়সই হয়নি। আমার বাবা তখন কফি হাউজ বাজাতেন প্রতিদিন। কিছু ঠিক কিছু ভুল লিরিকে গানটা মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল অজান্তেই। আরেকটু বড় হবার পর অন্য সব গানগুলো বোঝার ক্ষমতা তৈরি হল, তখন গানের কথাগুলো অনেক দাগ কেটেছিল মনে।
শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা
যেমন কথা, তেমন সুর, আর তেমনই অসাধারণ গায়কি!!
____________________________
'আমি যামিনী তুমি শশী হে' গানটি প্রথমবার শুনে মাথা নষ্টের যোগাড় হয়েছিল। সারাদিন শুনতাম আর গুনগুন করতাম। 'কে প্রথম কাছে এসেছি' , 'ইয়ে রাত ভিগি ভিগি' এসব গানতো জীবনের সাথে মিশে গেছে অন্য রকম মাধুর্য নিয়ে! দুদিন ধরে মাথায় ঘুরঘুর করছিল 'হয়তো তোমারি জন্য'।
'আয় খুকু আয়' গানটি বাসায় শোনা যেত না, আমরা বোনেরা কেঁদে ফেলতাম, বাবা মাও কান্না লুকোতেন! ওটা শোনা ছেড়ে দিয়েছি তাই।
কফি হাউজের আড্ডার মত হারিয়ে গেলেন শিল্পী, রেস্ট ইন পীস ।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
হ্যাঁ, জীবন আর গানকে আলাদা করা দুস্কর।
মন্তব্যের জন্য
____________________________
ও হরি, হেমন্তের গানটির সাথে মান্না বাবুকে গুলিয়ে ফেলেছি। খুবই দুঃখিত এবং লজ্জিত। আশা করি সকলে ক্ষমা করবেন
আমাদের জীবনের শুরুতে মা, মাটি, গাছ, জল ইত্যাদি চেনার মতোই অনিবার্য ছিলো মান্না দে'কে চেনা। না চিনে উপায় নেই। চারপাশে যতো মামা, চাচা, খালা সকলেই মান্না দে' শোনেন। শুধু শোনেন বললে ভুল হবে, সারাক্ষণ শোনেন। তাই চাই বা না চাই, মান্নাদে শুনতে বাধ্য আমরা।
একসময় মনে হতো মান্না দে'র সব বুঝি শুনে ফেলেছি। কী সব ন্যাকু ন্যাকু প্রেমের আর বিরহের গান গায় লোকটা... এসব শুনলে লোকে স্মার্ট বলবে না বুঝি, তাই মান্না দে শোনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু একসময় আবিষ্কার করলাম, মান্না দে'র কিছুই শুনিনি আসলে। লোকটা এতো এতো এত্তো গান গেয়েছেন! এবং এতো বিচিত্র সব গান! হুট করে আবিষ্কার করলাম মান্না দে'র অল্প কিছু গান ছাড়া কিছুই শুনিনি!
আবার শুরু হলো মান্না দে শোনা। নতুন করে। নতুন করে আবিষ্কার করলাম তাঁকে। আবিষ্কার বলা ভুল, এখনো মনে হচ্ছে অনেক কিছুই শুনিনি।
মান্না দে'র মৃত্যু আমাদের এক অন্যতম স্মরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- একমত।
মন্তব্যের জন্য
____________________________
ধন্যবাদ প্রফেসর সাব
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষী দাদা।
____________________________
তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম, থাকতাম চাঁদপুরে। সেখানে এক বড়ভাই ছিলেন যিনি বয়সে আমার চেয়ে ১০-১২ হবেন, আমাকে খুবি স্নেহ করতেন একটু ভালো ক্রিকেট খেলতাম বলে। উনি গান গাইতেন ও ভালো, এক সন্ধ্যায় আমরা কয়জন মাঠে বসে গল্প করছিলাম, তখন আমি উনাকে একটা গান গাইতে বললাম। গাইলেন কফি হাউসের সেই আড্ড়া গানটা, দু লাইন যাওয়ার পরি দেখি উনার চোখ দিয়ে অনরবত জল পড়ছে আর গলা ভীষন ভারী হযে যাচ্ছে। গানটা শেষ করতে পারেন নি, কেউ কিছু বলছিলো না বলে আমি ও কিছু জিজ্ঞেস করিনি ভয়ে। আমি ঠিক বুঝিনি তখন কেন তিনি এতো কান্না করলেন গানটা গাইতে গিয়ে। কিন্তু আজ এখন বুঝি কেন কান্না করেছেন, সেই কান্না এখন আমার চোখে চিকমিক করে।যতবারি এইগানটা শুনি উনার মুখটা ভেসে উঠে চোখে, উনার মতো গড়িয়ে জল না পড়লেও চোখের কণায় জল টলমল করে আর মনের ভিতর অনন্ত এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়।
আমি ঠিক জানি না আরো কারো কোন গান আবেগকে নিয়ে, স্মৃতিকে নিয়ে এমন বেদনা সৃষ্টি করতে পেরেছে কিনা? মান্না দের গান নিয়ে আসলে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। উনি বাংলা গানের চিরকালের বেদনা আর বিষাদের সম্রাট, উনি ছাড়া বাংলা গান অসম্পূর্ণ। এমন একজন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবেনা যিনি মান্না দের কফি হাউস গানটা জীবনে গুনগুন করে গাননি, স্মৃতিকাতর হয়ে নীরবে চোখের জল ফেলেন নি।
মান্না দে বেঁচে থাকবেন কফি হাউসে, মান্না দে বেঁচে থাকবেন পাথরে লেখা নামে নয় হৃদয়ে লেখা নামে, যে নাম চিরকাল রয়ে যাবে।
মাসুদ সজীব
- সত্য।
মন্তব্যের জন্য
____________________________
হে প্রিয় ব্যানার্জী। অসাধারণ হয়েছে ব্যানারটা। আপনার পছন্দ করা ছবি আর আমার নির্বাচিত ছবি এক হয়েছে দেখে খুব ভালো লেগেছে।
____________________________
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।
নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে
নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যাণ্ডের গীটারিস্ট গোয়ানীস ডিসুজা
ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে
পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যানসারে
জীবন করে নি তাকে ক্ষমা হায় ।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে
শুনেছি তো লাখ্ পতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়া সে
গাড়ীবাড়ী সবকিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল
বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে
নির্বাক শ্রোতা হয়ে
ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো ।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা
চারমিনারটা ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায়
এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক
কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু হয়ে জমিয়ে আড্ডা মেরে
সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম ।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ
মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হোল না কোথাও ছাপা
পেলনা সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোশালে ‘অ্যামেচার’ নাটকে
রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ
কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো ।
সেই সাত জন নেই আজ
টেবিলটা তবু আছে
সাতটা পেয়ালা অজোও খালি নেই
একই সে বাগানে আজ
এসেছে নতুন কুঁড়ি
শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপনের রোদ ওঠে এই কফি হাউসে
কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কত জন এল গেলো
কতজনই আসবে
কফি হাউসটা শুধু থেকে যায় ।
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।
(সুরঃ সুপর্ণ কান্তি ঘোষ, শিল্পীঃ মান্না দে)
হাসান রাকিবুল
- See more at: http://www.ebanglalyrics.com/375#sthash.yl67BTB4.dpuf
____________________________
মান্না দে কে নিয়ে সবার অনুভুতিই কমবেশী একই রকম। বিদায় হে মহান যুগ স্রস্টা।
____________________________
facebook
আবার হবেতো দেখা, এই দেখা শেষ দেখা নয়তো!
তুহিন সরকার।
মরণের পরে দেখা হবে কিনা জানি না, এ জীবনে আর দেখা হওয়ার আশা নেই - গানের মাধ্যমেই দেখতে হবে উনাকে।
____________________________
তাৎক্ষনিক মূল্যায়নে এটুকু হয়ত বলা যেতে পারে, বাংলা গানের ক্লাসিক্যাল সুরের ভেতরে মান্না দে অত্যন্ত সার্থকতার সাথে আধুনিকতার প্রাণ-সঞ্চারণ করেছিলেন এবং তা ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছিল। তাঁর সুরবাণীতে উঠে এসেছিল খাঁটি বাঙ্গালির প্রেম-বিরহ-দুঃখ-সাংসারিক টানাপোড়ন-কষ্ট-যাতনা-আনন্দ ও মুক্তির অভিলাষ। ক্ষুদ্র পরিসরে সেসব নিয়ে কেউ হয়ত আলোচনা করবেন এই প্রতীক্ষাতে আছি। জীবনের জলসাঘরে নামে ওঁর একটি আত্মজীবনী বেরিয়েছে। চাইলে সেখানে শিল্পীর ভেতরের মানুষটিকে হয়ত চিনে নেয়া যাবে। সাড়ে চার হাজারেরও বেশী গান গেয়েছেন এই রাজাধিরাজ। আজ মুকুটটাতো পড়েই আছে, রাজাই শুধু নেই।
http://rokomari.com/book/44293;jsessionid=8866CDD5BE837410F55365C2C01BA227
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________
আমাদের বালক বেলা থেকে আমাদের বড় হয়ে ওঠা, রোমান্সের অস্ফুট আভাস থেকে প্রেমের উদ্দাম জোয়ারে ভাসা - সব, সব, সব-সব-সব-সব স-অ-অ-ব মান্নাদের গান-ময় হয়ে।
লেখা ভাল লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা দাদা।
____________________________
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মান্না দে চলে যাবার কদিন আগ থেকে আশংকা করছিলাম এই খবরটার। আমার খুব প্রিয় কিছু স্মৃতি আছে মান্না দের গান নিয়ে। বিশ বছর আগ থেকে শুরু করে এই সময় পর্যন্ত মান্না দে বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে আমার স্মৃতির সঙ্গী হয়ে ছিল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লিখে ফেলুন না ওগুলো নিয়ে।
____________________________
মান্না দের শেষ জীবনের কিছু ঘটনা পড়ে মর্মাহত হলাম।
পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো।
জানি না কেমন করে কী হয়েছিল, কিন্তু অন্যপক্ষের মতামতটা জানতে পারলে হতো।
____________________________
আসলে সেই সময়টায় চলে এসেছি যখন ছেলেবেলায় চেনা- আর একটু বড় হয়ে জানা নায়ক-মহানায়কদের বিদায় জানাতে হয়। এখন কেবল হারানোর সময়...
শ্রদ্ধা...
ঐ যে বলে না, বনের অর্ধেকটা পর্যন্ত ঢোকা যায়, তারপরে তো এগোনো মানে বন থেকে বের হয়ে যাওয়া। এটাও বোধহয় সেইরকম - এখন বের হয়ে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
____________________________
নতুন মন্তব্য করুন