সুতরাং যথাসময়ে আমরা ছয় পরিবার চট্টগ্রাম অভিমূখী তূর্ণা নিশীথায় চেপে বসলাম। কর্তা, গিন্নী আর মাথাপিছু, থুড়ি – পরিবারপিছু, খান দুখানা সকল আনন্দ বেদনার উৎস ( মানে পিচ্চি পাচ্চি বাচ্চাগুলো)। সব মিলিয়ে তা মন্দ হলোনা – জনা তেইশেক মোটামুটি সব বয়সী বাচ্চার দল যন্ত্র শকটের প্রথম শ্রেণীর একটা কামরার বেশীর ভাগ দখল করে হাউকাউ শুরু করে দিলাম। যাত্রার আনন্দটা সবার মধ্যেই এমনভাবে ফুটে উঠেছিল যে আমরা সবাই তখন আসলে বাচ্চাই হয়ে গেছিলাম! দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আমার একুশ মাস বয়সী ছেলে থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ আতিক ভাই পর্যন্ত সবার মাঝেই বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনা। তবে যাত্রা শুরু করার আনন্দটা থিতিয়ে এলো ট্রেন ভৈরব বাজার অতিক্রম করতে না করতেই। মনে যতই পুলক জাগুক না কেন, রাত তো আর কম হয়নি। তার উপর সারাদিন অফিস আর স্কুল করে সবাই মোটামুটি ক্লান্তই হয়ে ছিলাম। তাই ট্রেনের ছন্দোময় দোলায় দুলতে দুলতে আর ঝক ঝকাঝক ঘুম পাড়ানী সুর শুনতে শুনতে কখন যে চোখে ঘুম নেমে এসেছে টেরই পাইনি।
চোখ মেলতেই দেখি সকাল হয়ে গেছে আর ট্রেন থেমে আছে। যাব্বাবা, চট্টগ্রামে চলেই এলাম নাকি! নাহ, তাহলে যাত্রীদের মাঝে বোঁচকা বুঁচকি নামানোর তাড়া নেই কেন? ইতি উতি চেয়ে বোঝার চেষ্টা করছি কোথায় আমরা। একটু পরে জানলাম এটা চট্টগ্রামের আগের ষ্টেশন। “লাইন ক্লিয়ার” পায়নি বলে ট্রেন বাবাজী নট নড়ন চড়ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ঘন্টাখানিক ধরে। কতক্ষণ থাকতে হবে তাও বলা যাচ্ছে না। মেজাজটা খারাপ হলেও কিচ্ছু করার নেই। মনে মনে রেলওয়ের মুন্ডুপাত করতে করতে কামরা সংলগ্ন বাথরূম থেকে হাত মুখ ধুয়ে এলাম একে একে। তাও ভাগ্য ভালো যে অপেক্ষাকৃত ছোট বাচ্চাগুলো তখনও ঘুমাচ্ছে। না হলে নরক গুলজার করে ছাড়তো নির্ঘাৎ! তবে বিধাতা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সদয় হাসি দিলেন। ট্রেন ছেড়ে দিলো আর ছোটগুলো যারা ঘুমের মধ্যে নড়েচড়ে উঠছিল, আবার ঘুমে তলিয়ে গেলো।
চট্টগ্রামে পৌঁছাতে বেশী দেরী হলোনা আর। ষ্টেশনে গাড়ি তৈরীই ছিলো। আমরা ঝটপট অফিসের গেস্ট হাউসে পৌঁছে ভাল মতো ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে, বাচ্চাদেরকে খাইয়ে নিজেরাও প্রাতঃরাশ সেরে নিলাম। বড়দের খাওয়ার ফাঁকে দেখি বাচ্চারা নিজেদের মত খেলা শুরু করেছে। আর কি, সুযোগ পেয়ে আমিও ওদের সাথে বরফ-পানি খেলায় নেমে গেলাম। ওরাও বোধহয় মজা পেলো এই ধেড়ে বাচ্চাটাকে খেলায় পেয়ে। শুধু তাই না, সুযোগ পেয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিলো কেন ওরা বাচ্চা আর আমি বড়! পরে সময় সুযোগ পেলে না হয় বর্ণনা করা যাবে আমার সে বালখিল্যতার কথা আর ওদের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার কাহিনি।
গেস্ট হাউস থেকে দুই মাইক্রোবাস ভর্তি হয়ে আমরা রওনা দিলাম বান্দরবনের পথে। কিন্তু যাত্রার শুরুতেই বিপত্তি – আমাদের সামনের মাইক্রোবাসকে ট্রাফিক পুলিশ আটকে দিয়েছে। ওর নাকি কী একটা কাগজে সমস্যা আছে! তবে এই সব সম্ভবের দেশে সামান্য একটা কাগজ কী আর আটকে রাখতে পারে মাইক্রোর ড্রাইভারকে? যথারীতি যে দেবতা যে ফুলে সন্তুষ্ট, তাকে সেই ফুলই উৎসর্গ করে ছাড়া পেলো সে। তবে ততক্ষণে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় একটি ঘন্টা! এরপর আরো দেড় ঘন্টা ব্যয় হলো চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক জ্যাম থেকে বের হয়ে কর্ণফুলী ব্রিজে আসতে। চমৎকার একটি নির্মাণের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে কর্ণফুলীর ঘোলা পানি, আর আশেপাশে নোঙ্গর করে আছে অনেকগুলি জলযান। বিশাল বিশাল জাহাজগুলি দেখে বাচ্চাদের প্রশ্ন সমুদ্র ছেড়ে এরা নদীতে কী করছে?
কর্ণফুলী ব্রীজ পার হয়ে তারপর শুধুই ছুটে চলা। কিছুক্ষণ পরে বামদিকে দিগন্তরেখাকে ঢেকে দিয়ে পাহাড়ের নীলচে মাথার আধো ইশারা দেখে আকুল নয়নে তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। তারপর যখন বাম দিকে বাঁক নিয়ে এগিয়ে চললাম সেই পাহাড় সারির দিকেই, অদ্ভুত পুলকে পুলকিত হয়ে উঠলো মন। আজীবন সমতলের মানুষ আমি, বেড়ে উঠেছি পদ্মা পাড়ের সমভুমিতে। গাছের সারি ছাড়া প্রকৃতির কোন সৃষ্টি যে দিগন্তের নেমে আসাকে আড়াল করে দৃষ্টি ঢেকে দিতে পারে, সে অভিজ্ঞতাই হয়নি কখনো। অপার বিস্ময়ে তাই তাকিয়ে রইলাম সামনে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা পাহাড়ের সারির দিকে। কিছুক্ষণ আগে যা ছিল দিগন্ত আড়াল করা নীলচে রেখা, তাই কিছুক্ষণ পরে হয়ে উঠলো আকাশছোঁয়া পাহাড়ের সারি। দূর থেকে ক্রমশ কাছিয়ে এসে সামনের পথ পুরোটা জুড়ে ফেলতে খুব বেশী সময় নিলো না গিরিসারি। তার পরেই দেখি ঐ পাহাড়সারির প্রথমটির গা বেয়ে উঠতে শুরু করেছি আমরা! কী আশ্চর্য, একটু আগেই যে পাহাড় আমাদের দৃষ্টিপথ আটকে রেখেছিল, এখন সেটা আমাদের পায়ের নীচে, আর দৃষ্টি আটকে রেখেছে এখন নতুন একটা পাহাড়!
পাহাড়ের গায়ে কখনো চড়াই, কখনো উৎরাই বেয়ে, আঁকাবাঁকা পথে বিপজ্জনক বাঁক পেরিয়ে আমাদের গাড়ী চলেছে, আর ক্ষণে ক্ষণে আমি শিহরিত হয়ে উঠছি। জীবনে এটাই আমার প্রথম পাহাড় ছোঁয়া। প্রথম প্রেমের মতই আমাকে বিহ্ববল করে রেখেছিল প্রথম পাহাড়ে আসার অভিজ্ঞতা। উঁচু পাহাড়ের গা বেয়ে একবার উঠে যাচ্ছি, চূড়ায় উঠে গিয়ে আশেপাশের চূড়াগুলোকে এক নজর দেখে নিয়ে আবার নেমে আসছি! নামার সময় দৃষ্টি পথ রোধ করে রাখছে অন্য পাহাড়ের সবুজে ছাওয়া শরীর! সমতলের মানুষের কাছে এ এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা!
তবে রাস্তায় একটা ব্যপার দেখে খুব খারাপ লাগল। বেশী বিপজ্জনক বাঁকগুলোতে রাস্তার পাশে বিশেষ জায়গায় বড় বড় আয়না লাগানো আছে, যেন বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে দেখা যায়। কিন্তু বেশীরভাগ জায়গাতেই দেখলাম আয়না নেই, না হলে ভাঙা! আমাদের ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করাতে বললো দুষ্টু ছেলেপিলের কাজ, বিশেষ করে পিকনিক পার্টির। ঢিল ছুঁড়ে কাঁচ ভেঙ্গেছে তারা! মনে হলো, আমরা এমন কেন? কেন আমরা যেকোন কাজ করার আগে এর ফলে অন্যের কী ক্ষতি হবে না হবে চিন্তা করিনা?
পাহাড়ের গা বেয়ে বেয়ে আমরা যখন বান্দরবন শহরে এসে পৌঁছুলাম, তখন সূর্যদেব পশ্চিমে একটু হেলে পড়েছেন। বান্দরবনে ঢোকার পথেই বড় করে সাইনবোর্ড টাঙানো – সম্প্রীতির বান্দরবন। সব জাতিগোষ্ঠীর ছবি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে এখানে সবার মাঝে বিরাজ করছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সত্য হলে কী ভালোই না হবে!
বান্দরবন শহরটা শঙ্খ নদীর পাড়ে। স্থানীয়রা ডাকে সাঙ্গু। এখন শীতকালে একটা শীর্ণতোয়া নদীর রূপ নিয়েছে। অথচ বর্ষাকালে নাকি দুকূল ছাপিয়ে প্রবাহিত হয়। এখনকার চেহারা দেখে মনেই হবে না এই ছিমছাম স্রোতস্বিনী বর্ষায় প্রমত্ত রূপ ধারণ করে। মনের চোখে দেখার চেষ্টা করলাম সেই রূপটা। কিন্তু পারলাম না। আসলেও এমন শান্ত নদীর প্রবল চেহারা না দেখলে আন্দাজ করা দুষ্কর!
ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখা ছিল, একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ সেরে আমরা ক’জন চাঁদের গাড়ির খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম। একজনের সাথে ঢাকা থেকে কথা বলা ছিল। কিন্তু এখন তার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। তাই বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজে গেলাম। বান্দরবন শহরে চাঁদের গাড়ির স্ট্যান্ড এক জায়গাতেই। সেখানে গিয়ে শুনি ঢাকা থেকে যার সাথে কথা বলছিলাম, সে কী এক পারিবারিক সমস্যার কারণে জরূরী ভিত্তিতে বাড়ি গেছে। অবশ্য অন্য আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে আমাদেরকে নীলগিরিতে পৌঁছে দেয়ার জন্য। কিন্তু সে ব্যাটা আবার ভাড়া হাঁকছে বেশি! অনেক দরদাম করার চেষ্টা করলাম। চেষ্টা করলাম অন্য গাড়ি ভাড়া করারও। কিন্তু এরা খুবই একাট্টা দেখলাম। অন্য কেউ যাবেও না, গেলেও একই ভাড়া নেবে। মহা মুশকিল তো! মগের মুল্লুক নাকি? তারপরই মনে হলো আসলেই তো তাই! মুল্লুকটা মগদেরই বটে!
তবে শেষমেষ একটা মধ্যবর্তী দামে রফা হলো। আমরা আমাদের বোঁচকা বুঁচকি সহ উঠে পড়লাম চাঁদের গাড়িতে। শুরু হলো দারুন রোমাঞ্চকর আরেক দফা পাহাড় বাওয়া, যেটার কাছে আগের অভিজ্ঞতাটা আসলে কিছুই না।
(চলবে?)
আমাদের চাঁদের গাড়ি
মন্তব্য
নীলগিরিতে ওঠার জন্য আমরাও অপেক্ষা করছি, পরের পর্বেই উঠে যাবো
কী অদ্ভুত!
আমি ঢিল ছুঁড়ে রাস্তার টিউবলাইট ভাঙতেও দেখেছি ছেলেপেলেদের।
আমাদের বিনোদনের(!) জন্য এই সব অসুস্থ্য কাজগুলো করা বাদ দিতে হবে,
আমদের সচেনতনতা জিনিসটা খুবই অদ্ভুত। এই ঢিল মারনেওয়ালারা হয়ত রাজনীতির আলোচনায়
দেশের ভালো(!) হয় এটা করলে বা ওটা করলে বলে ঝড় তুলছে
শুভেচ্ছা
হ্যাঁ, আমরাই ঢিল ছুঁড়ে কাঁচ ভাঙি, ট্রেনের ভেতরে বসে থাকা মানুষকে মারি, বেড়াতে গিয়ে আবর্জনা ফেলে প্রকৃতিকে কলুষিত করি, আর চায়ের কাপে ঝড় তুলি। জাতি হিসেবে আমাদের দৈন্যতাকেই প্রকাশ করি প্রতি নিয়ত!
আপনাকেও শুভেচ্ছা মেঘলা মানুষ।
____________________________
'এই যে এলাম শঙ্খনদীর তীরে' - নদীর ছবি দেখে গানটা মনে হল!
বান্দরবান গেছি সেই কবে, স্কুলবেলায়! আবার যাবার ফুরসত হচ্ছেই না, আর আপনি মশাই কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন। পরের পর্বে চমৎকার সব ছবি দিয়ে লঙ্কাগুড়ো দিবেন নিশ্চয়ই! সেই অপেক্ষায় রইলাম
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
ইয়ে, আমার ছবি তোলার হাত মোটেই ভালো নয় - তাই লঙ্কাগুঁড়ো দেয়ার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কতখানি সফল হবো বলতে পারছি না!
এই নেন, একগাদা দিলাম।
____________________________
কক্সবাজার, বান্দরবান, নীলগিরি আম্মো গেছি। তবে আপনার লেখা থেকে অদেখা অনেক কিছুই দেখা ও জানা হবে অবিশ্যি।
ওরে নারে! এভাবে প্রত্যাশার পারদ আকাশে তুললে কী করে হবে গো ভাবনাদাদা! আমার তো এখন পরের পর্ব লিখতেই ভয় লাগছে!
আর আপনার যে পর্যবেক্ষণ, আমি তার কাছে তো নস্যি! আপনার যাওয়ার পরে নতুন কিছু তৈরি হয়ে থাকলে হয়তো অদেখা কিছু বলতে পারবো, কিন্তু এছাড়া আর পারবো কি না জানি না।
অনেক অনেক
____________________________
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
নেন, নেন।
____________________________
দিব্বি গাড়িতে বসে থেকে পাহাড় ছোঁয়া হয় বুঝি? মানিনা মানবো না
আয়না ভাঙবার কাহিনি শুনে আয়নামতির কষ্ট এবং রাগ হলো!
চলবে মানে কী? পাবলিক সেন্টু নিয়ে ছিনিমিনি চলবে না
পরের পর্ব তাত্তাড়ি দিবেন
আহা দিদি, একটু কাব্যি করার চেষ্টা করলাম, তাও তোমার সইলোনা? আমিও মানি না -আমার এই প্রচেষ্টার গোড়ায় জল ঢেলে দেয়ার অপচেষ্টার বিরূদ্ধে শ্লোগান দিলুম!!
আয়নামতি তো আয়নামতি, এরকম বর্বরোচিত কাজ দেখলে যে কারো মাথায় আগুন লেগে যাবে। (অনুপ্রাসটা জব্বর হইসে দিদি)
তাড়াতাড়িই দেবার চেষ্টা করবো, তবে আমি আবার লেখালেখিতে বড়ই অলস কী না, তাই আগেই একটু ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
একগাদা
____________________________
আর ও ছবি চাই, ২০০৬ এর দিকে গেছিলাম বন্ধুরা মিলে, এত সুন্দর জায়গা। এতদিনে দেখতে কেমন হল মিলিয়ে দেখতে হবে আপনার পোস্টে।
আমি খুব একটা ভালো ছবি তুলতে পারি না, তাই বলতে পারি না কতখানি কী দেখাতে পারবো এখনকার নীলগিরির।
অনেক অনেক বন্দনাদি।
____________________________
facebook
-
খাড়ান, আপনার লাইনে আসলাম বলে!!
____________________________
আদিপর্ব চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ দাদা। আপনার লেখা পাই না বেশ কিছু দিন, ব্যস্ত নাকি?
____________________________
হ্যাঁ, একটু অসুবিধায় ছিলাম। কিছুক্ষণ আগে একটা জমা দিয়েছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
যাই দেখে আসি আপনার রঙিন পাথর ঘূর্ণির নতুন নকশা।
____________________________
খুব সুন্দর!
অনেক ধন্যবাদ রনক বেগ।
____________________________
প্রোফেসর সাহেব ফাডাইলাইছেন! ট্রেনের লাইন কিলিয়ারিং থেকে আয়না ভাঙা-দেবতার ফুল সন্তুষ্টি কোনটাই বাদ যায়নি বর্ণনায়। অবজারবেশান ক্ষমতা সবারই মোটামুটি থাকে, কিন্তু সেটিকে গুছিয়ে লিখা বেশ দূরহ, আপনি সেটি করেছেন।
চলবে মানে কি প্রোফেসর? থামলে খবর আছে কইলাম! তাইলে কেম্নে জানমু-
প্রোফেসরের পর্যুদস্ততা বলে কথা!
-দেব প্রসাদ দেবু
ধন্যবাদ দেবু দা। (লজ্জা পাবার ইমো হবে)
____________________________
আমিও গিয়েছিলাম বছর কয়েক আগে ।
লেখা খুব সুন্দর । পরের পর্বের অপেক্ষায়
তাহসিন রেজা
ধন্যবাদ তাহসিন।
____________________________
ধন্যবাদ। অনেক দিন পর নিজের দেশটাকে আপনার চোখে দেখলাম।
ফাহিমা দিলশাদ
আরে, ধন্যবাদ তো আমি দেব - কষ্ট করে পড়েছেন আর ততোধিক কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন বলে। যাই হোক, দিয়ে যখন ফেলেছেন, তখন নেন।
____________________________
চলুক।
আপনার সাথে আরেকবার ঘুরে আসা যাক স্বপ্ন পাহাড়ে!!
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
____________________________
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অসাধারণ! অসাধারণ! আমিও কবিতা লিখি কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমি আসলে লিখতে পারি না।
ফাহিমা দিলশাদ
মগের মুল্লুক অভিযানের পরবর্তী পর্ব কিন্তু যদি আসা চাই, লাইনে আছি
.........জিপসি
ধন্যবাদ জিপসি। আপনারা এত সুন্দর করে ভ্রমন কাহিনি লেখেন যে তারপরে আর ভ্রমন কাহিনি লেখার সাহস থাকে না!! তবে উতসাহ দেবার জন্য দেবারজন্যধন্যবাদ।
____________________________
ধুর মিয়া, নীলগিরির ছবি দেখিয়ে নস্টালজিক করে দিলেন তো!
চট্টগ্রামের ছবি তো ছবি, নামঠিকানা শুনলেও কলজে খাঁ খাঁ করে এখন। [ফ্যাঁচ ফ্যাঁচানির ইমো]
পরের পর্ব চাই, জলদি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীপু। পরের পর্ব আসিতেছে।
____________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(অসাধারন)⁴! আমার আর কবিতা লেখা উচিৎ না।
ফাহিমা দিলশাদ
অসাধারণ তো হবেই রবি বাবু বুড়োটা সেই কোন কালে সকলের মনের কথা লিখে বসে আছে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চলবে মানে দৌড়াবে!
এই গল্প লুকিয়ে রেখেছিলেন থলের মধ্যে? তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন দেখি
আপনেরে হিংসা, আমি এখনও বান্দরবন যাইনি
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনি যে একখান কাহিনি ঝেড়েছেন, আর সাথে সেরাম ছবি - তাতে করে লিখতে গেলে তো ভয় লাগে!
____________________________
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
____________________________
ভালু পাইলাম। তয় এই মাসের ২৪ তারিখ রাতে যাইতাছি বান্দরবান, দুই চোখ যেদিক যায় - যামুগা! মু হা হা হা হা ...
আমার একটা সৌভাগ্য হইছে যে, আমি ছয়টা ঋতুতেই বান্দরবানরে দেখছি। তবে বর্ষার বান্দরবানের মতো এতো সুন্দর দুনিয়াতে খুব কমই আছে। আর সাঙ্গুর উপরে নৌকায় বইসা সূর্যাস্তের দৃশ্যটা মরার পরেও ভুলবো না ... আকাশ কমলা, সাঙ্গুর পানিও কমলা, কেমন যেনো পাগল পাগল লাগতেছিলো ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অনুপম দা আপনাদের গন্তব্য কোন দিকে? আমরা আসছি ২৫-২৬ তারিখে বান্দরবনে, গন্তব্য সাকা হাফং।
মাসুদ সজীব
ভাইরে, লিখে ফেলেন কাহিনিটা। আর ঘুরে আসার পরে আরেকটা। অপেক্ষায় থাকলাম।
____________________________
আপনার সাথে চান্দের গাড়িতে উঠে বসলাম আর আপনি বলছেন চলবে কিনা? জলদি চালান নইলে পাবলিক ডাকতেছি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
উরি বাবা, ডরাইসি! থাক থাক, লোক ডাকা লাগবে না, নীড়দা বলেছেন এতেই আমি যারপরনাই আনন্দিত! পরের পর্ব আসিতেছে।
____________________________
নীলগিরি অপূর্ব সুন্দর। যদি সুযোগ পান বগালেক ঘুরে আসবেন কখনো, রুমা বাজার থেকে বগালেক যাওয়া যায় চাঁদের গাড়িতে। সেই পথের চেয়ে ভীতি জাগানিয় এবং ভয়ংকর সুন্দর পথ আপনি গাড়িতে আর কোথাও ভ্রমন করতে পারবেন না। সেই পথ ধরে ক্রেওকারাডং হয়ে জাদিপাই যদি হয় গন্তব্য তাহলে তো সেটা হয়ে থাকবে চির-স্মরণীয়। আমরা যাচ্ছি ২৫ তারিখ রিমিক্রি-তিন্দু-নাফাকুম হয়ে সাকা হাফং। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
মাসুদ সজীব
দিলেন তো লোভ লাগিয়ে! যান, ঘুরে আসুন, এসে লেখা দিন।অপেক্ষায় আছি।
____________________________
নতুন মন্তব্য করুন