বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়িতে করে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম নীলগিরির উদ্দেশ্যে। চাঁদের গাড়ীতে সাধারণত সবাই পিছনে বসে। হুডখোলা জিপের পেছনে দুইপাশে টেম্পোর মত মুখোমুখি বসার জন্য লম্বা বেঞ্চ পাতা। সেখানে বসে পাশের বা উপরের লোহার ফ্রেম ধরে ব্যালান্স ঠিক রাখা আর পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথের রূদ্ধশ্বাস সৌন্দর্য উপভোগ করা আমাদের মত ছা-পোষা মানুষের জন্য রীতিমতো এডভেঞ্চার!
আমার কোলে একুশ মাসের রিয়ান থাকায় আমি বসেছিলাম গাড়ির ভেতরে চালকের পাশের আসনে। সেও এক অভিজ্ঞতা! আবশ্যকীয় জিনিস ছাড়া গাড়ির ভেতরে আর কিছু নেই। স্টিয়ারিং হুইল, ব্রেক –এক্সেলারেটর –ক্লাচ, আর গিয়ার – ব্যস! রিয়ার ভিউ মিরর অবশ্য আছে বহাল তবিয়তে। কিন্তু স্পীডোমিটার বা আর কিছুর কোন বালাই নেই! আমাদের চাঁদের গাড়ির চালকটি খুবই অল্প বয়েসী – বিশ/বাইশ বছর হবে। এই তরুণ ছেলেটি যে রকম দক্ষতার সাথে পাহাড়ি পথ বেয়ে নিয়ে গেল চাঁদের গাড়িটিকে, রীতিমতো শ্রদ্ধা এসে গেলো তার গাড়ি চালানোর উপরে। ভাড়া নিয়ে বাক-বিতন্ডার সময়ে সে যে রকম মুখ চালাতে জানে, সেরকমই সে তুরন্ত গাড়ি চালাতেও জানে! আলাপ করে জানলাম তার বাড়ি কুমিল্লা, কিন্তু সে ছোটবেলা থেকেই আছে বান্দরবানে। তার মতো আরো কয়েকজন আছে যারা এসেছে সমতল থেকে, কিন্তু পাহাড়কে ভালোবেসে থেকে গেছে পাহাড়েই!
ভালোবাসবার মত জায়গাই বটে! বান্দরবান শহরটা ছাড়িয়ে এসে প্রথম বাঁকটা ঘুরেই দেখতে পেলাম পিচ ঢালা পথটা নেমে গেছে সামনে, কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে বাঁক নিয়ে হারিয়ে গেছে পাহাড়ের এক কোলে, কিন্তু আরেকটু দূর গিয়ে আবার মুখ বের করেছে অন্য আরেকটা বাঁকে। এই দুই বাঁকের মাঝে সবুজে ছাওয়া পাহাড়ের গা ছাড়া আর কিছু নেই - ঝপ করে নেমে গেছে! ঢেকুর তোলার মত ছোট্ট একটা ঝাঁকি দিয়ে আমাদের গাড়িটা ঐ পথে পড়তেই শিরশিরে একটা কাঁপন অনুভব করলাম বুকের ভেতরে। অদ্ভুত এক পুলকে ছেয়ে গেল ভেতরটা। মনে হল ধন্য জন্ম আমার, জন্মেছি এই দেশে!
কিছুদূর এগিয়ে এসে উপস্থিত হলাম পাহাড়ের কাঁধ মতো একটা জায়গায়। এখানে এক পাশে পাহাড়ের গা ঢালু হয়ে নেমে গেছে নীচে, গিয়ে মিশেছে একটা উপত্যকায়। সেখানে কয়েকটি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে ঝিরঝির করে বয়ে চলেছে একটি নদী। গাড়ির চালক জানাল এটি শঙ্খ নদী। এখানেই মিলনছড়ি পুলিশ চেক পোস্ট। গাড়ি থামিয়ে আমাদের নাম ঠিকানা লিখে দিতে হল।
পাহাড়ি উপত্যকার মাঝে শঙ্খ নদী
শঙ্খ নদী - একটু কাছে
মিলনছড়ি পুলিশ চেক পোস্ট
এরপর আবার রোমাঞ্চকর পথচলা। মাঝে মাঝেই চোখে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে বানানো ক্ষেত। কোথাও দেখলাম শণের মত নমনীয় এক ধরণের গাছ লাগানো হয়েছে। গাড়ির চালক জানালো এগুলো দিয়ে নাকি ঝাড়ু তৈরী করা হবে। আবার দেখলাম অনেক জায়গায় কলার বাগান করা হয়েছে।
পাহাড়ের গায়ে কলার বাগান
শুধু সামনের পথই নয়, পিছনে ফেলে আসা পথের দিকে তাকালেও একই রকম রোমাঞ্চ জাগছিল মনে। এই মাত্র যে রাস্তা বেয়ে উঠে বা নেমে এলাম, তা ভিন্ন এক সৌন্দর্য নিয়ে শেষ বিকেলের মিইয়ে আসা আলোতে পড়ে ছিল। একের পর এক পাহাড়ের সবুজ শরীর, আর তার মাঝে মাঝে হঠাৎ দেখা দিয়ে মিলিয়ে যাওয়া পথের রেখা, সেই সাথে অস্তগামী সূর্যের ধূপছায়া আলো – সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল আমি যেন এলিসের মতই আয়নার ভেতর দিয়ে অচেনা ভূবনে এসেছি, কিংবা কোন মায়াবী পর্দা সরিয়ে ঢুকে পড়েছি এক স্বপ্নের জগতে!
ফেলে আসা পথ (যাওয়ার দিনে আলোক স্বল্পতার কারণে ছবি ভালো আসেনি। ফেরার পথে তোলা)।
আমরা বান্দরবান থেকে রওনা দিয়েছিলাম বিকেলে, ফলে রাস্তাতেই সন্ধ্যা নেমে এলো। আর কয়েকদিন পরে পূর্ণিমা। তাই সন্ধ্যার পরপরই মায়াময় চাঁদ উঠলো আকাশে। জ্যোৎস্নার কোমল আলোয় ভেসে গেলো পাহাড়ি উপত্যকা আর আমাদের সামনের পথ। আবছা আলোয় রাস্তার একপাশে নেমে যাওয়া খাদ খুব রহস্যময় লাগছিলো। আর যখন কোন পাহাড়ের চূড়ায় উঠছিলাম, তখন দূরের পাহাড়ে জ্বলতে থাকা নিঃসঙ্গ আলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো কৈশোরে পড়া কোন এডভেঞ্চার বইয়ের সবটুকু মাধুর্য নিয়ে।
চাঁদের আলোতে ভিজতে ভিজতে এক সময় পৌঁছে গেলাম নীলগিরি। আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত কটেজগুলিতে বোঁচকা-বুঁচকি সব রেখে একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম আশে পাশটা একটু ঘুরে দেখতে। এখানে একটু বলে রাখি আমাদেরকে প্রায় তিনগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছিল কটেজগুলোর জন্য। কারণ একটাই। আমাদের জন্য বুকিং করে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনির এক কর্মকর্তা। কিন্তু যেহেতু আমাদের সাথে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ নেই, তাই নাকি আমাদেরকে ভাড়া দিতে হবে বেশি! বেশি বলে এত বেশি!! আজব!!
আমাদের জন্য বরাদ্দ কটেজ।
রাত জেগে আড্ডাবাজির উপযুক্ত স্থান।
যাই হোক, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ভুলে গেলাম আর সব কিছু। চাঁদের রূপালী আলো যেন এক মায়াবী চাদরে মুড়ে রেখেছে সবকিছু। এমনকি আমাদের বহন করে আনা চাঁদের গাড়িটিকেও এই চাঁদের আলোয় অন্যরকম মনে হচ্ছিল। জ্যোৎস্না প্লাবিত পাহাড়, আশেপাশের উপত্যকা আর দূরে আবছা উঁকি দেয়া অন্য পাহাড়ের মাথা – সবকিছু কেমন যেন অপার্থিব মনে হচ্ছিল।
চাঁদের আলোয় চাঁদের গাড়ি।
চাঁদের পাহাড়!!
চন্দ্রাহতের মত আমরা ঘুরে বেড়ালাম পাহাড়ের চূড়ায়, এদিক থেকে ওদিকে। হয়তো সারা রাতই পার করে দিতে পারতাম এই মোহময় আলো-আঁধারীতে রহস্যময় মনে হতে থাকা পাহাড়ি কন্দরের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু সাথে থাকা বাচ্চাগুলোর ঘুম পেয়ে গেছে, তাই আর বেশিক্ষণ থাকা হলো না বাইরে। চাঁদমামাকে গুডবাই করে দিয়ে যে যার কটেজে এসে শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের টানা যাত্রার ধকলে বাচ্চাদের চেয়ে আমরা যে কম কাহিল হইনি, সেটা বুঝলাম বিছানায় পিঠ ঠেকা মাত্র ঘুম চলে আসায়।
ভোরে বিছানা ছাড়ার পর ঘুম ঘুম চোখে জানালার পর্দা সরিয়েই থ হয়ে গেলাম। মুহূর্তেই ঘুম উধাও চোখ থেকে, তার জায়গায় এসে জড়ো হলো অপার বিস্ময়, অপরিমেয় ভালো লাগা আর অশেষ মুগ্ধতা। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আমাদের নীচে ভেসে রয়েছে সারি সারি মেঘ! হ্যাঁ, আমরা চলে এসেছি মেঘের রাজ্য ছাড়িয়ে আরো উপরে আর মেঘের দল জড়ো হয়েছে আমাদের থেকে বেশ নীচে! সারাজীবন মাটির কাছাকাছি থেকে উপরে মুখ তুলে দেখে এসেছি মেঘের আনাগোনা কিংবা পেঁজা তুলোর মত মেঘদলের গদাইলস্করি চালে চলাফেরা। এতদিন ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা সেই মেঘের দলকে আজ প্রতিবেশীর মত জানালার পাশে দেখে আমাদের বিস্ময় যেন আর বাধ মানছিল না!
প্রতিবেশী মেঘ।
মেঘের রাজ্যে।
আর এরপর সেই স্বর্ণালী মুহূর্ত। এক্কেবারে আক্ষরিক অর্থেই যেন স্বর্ণালী। মেঘের রাজ্যের ওপার থেকে প্রথমে ছুটে এলো সোনালী বর্শার মত আলোর কিছু রেখা। সাদা মেঘের বিস্তীর্ণ সমুদ্রের দূর কিনারা গোলাপী হয়ে উঠলো, আকাশ হয়ে উঠলো ডিমের কুসুমের রঙে রাঙা। আস্তে আস্তে ফর্সা হয়ে ওঠা আকাশে হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেলো রঙের খেলা। যেন সাদাকালো চলচ্চিত্র চলছিল, আচমকা শুরু হয়ে গেলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সম্পূর্ণ রঙীন ছবি। লক্ষ কোটি আলোর রেখা উদ্ভাসিত করে তুললো আকাশের সীমানা। দ্রুত রং পাল্টে লালিমায় ভরে গেলো পুরো পূর্বাকাশ। আর তারপরই নীলচে পাহাড় চূড়ার ওপার থেকে টুপ করে উঠে এলো সূর্য। সাথে সাথে পট পরিবর্তিত হয়ে মেঘের রাজ্য হয়ে উঠলো রূপকথার দেশ। আমাদের পায়ের নীচে ধবল মেঘের সারি, এখন ধল প্রহরের আলো মেখে অপার্থিব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সামনে অনেকগুলো পাহাড়ের নীলচে মাথার আবছায়া, আর তাদের উপরে সদ্য উদয় হওয়া দিবাকর। বিস্ময়ে বাক রহিত হয়ে মুগ্ধ আবেশে শুধু তাকিয়ে রইলাম প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যের দিকে।
পাহাড়ে সূর্যোদয়। (ফটো ক্রেডিটঃ আতিক ভাই)
সূর্যোদয়ের পরে। (ফটো ক্রেডিটঃ আতিক ভাই)
সূর্যোদয়ের পরে। (ফটো ক্রেডিটঃ MAQ ভাই)
আজি এ প্রভাতে রবির কর। (ফটো ক্রেডিটঃ MAQ ভাই)
এরপর সকালের আলোতে ঘুরে বেড়ালাম পাহাড়ের এ মাথা থেকে ওমাথা আবার। রাতের সেই রহস্যময়তা নেই এখন, কিন্তু আছে অসামান্য সৌন্দর্য।
পাহাড় চূড়ায় কটেজ ছাড়া তাঁবুও ফেলা আছে রাত্রি যাপনের জন্য।
আর আছে হেলিপ্যাড।
চোখে পড়লো রাত্রে পাড়ি দিয়ে আসা পথ।
ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে অনুভব করলাম বেশ খিদে পেয়ে গেছে। এখানে সকালে বরাদ্দ বিন্নি ধানের খিচুড়ি আর ডিমের তরকারি। বেশ উপাদেয় রান্না। আর পাহাড়ি হাওয়ায় খিদেও পেয়েছিল বেশ।
জম্পেশ করে খেয়ে দেয়ে নিয়ে আমরা আবার ব্যাগ গোছগাছ করে নিলাম। নীলগিরিতে আমাদের থাকার পালা শেষ।
ফেরার পথে গাড়ি থামালাম এক পাহাড়ি বাজারে। মূলত ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যেই রাস্তার পাশে এই বাজার। পাহাড়ি তেঁতুল, বরই, পেঁপে প্রভৃতি নিয়ে রাস্তার একপাশে বসেছেন কিছু পাহাড়ি তরুণী।
আরেকপাশে হাতে বোনা চাদরের পসরা সাজিয়ে বসেছেন আরো কয়েকজন।
তাদের মাঝে একজন দেখি চরকাতে সুতো কাটছেন।
এরকম এক বাজারে একজনের কাছ থেকে পেঁপে কিনলে তিনি আমাদের জন্য সেটি ছিলে, কেটে ফালি ফালি করে দিলেন। আমরা বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলাম পাহাড়ি পেঁপের স্বাদ।
তারপর সেই একই পথ ধরে আরেকটি রোমাঞ্চকর যাত্রার শেষে আমরা এসে পৌছালাম বান্দরবান শহরে। আমাদের মাইক্রোবাস এখানেই অপেক্ষা করছিল, পরের গন্তব্য কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সমতলে এসে আবার পিছন ফিরে তাকালাম। আকাশে হেলান দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে নীলচে চূড়ার সবুজ পাহাড় সারি, পাহাড়ের গায়ে আবছা দেখা যায় পাহাড়ি গ্রাম।
বাচ্চাদের সাথে সাথে আমরাও হাত নাড়লাম – বিদায় পাহাড়, আর পাহাড়ি ভাই-বোনেরা। তবে চিরবিদায় অবশ্যই নয়। আমরা আবার আসবো, বারবার আসবো। ঘুরে ফিরে বিভিন্ন জায়গায় যাবো, আর বারবার বলবো - “আমাদের দেশটা এত সুন্দর!!!”
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________
গতকাল ছবি দেখতে পাচ্ছিলুম না... দারুন হে প্রোফেসর
আমরা থেকেছিলাম তাঁবুতে। শীতকালে যাওয়ায় মেঘ পাইনি, আবার যেতে হবে। ইচ্ছে ছিল নৌকায় দুদিন কাটিয়ে (জাফরস্যারেদের মতন) জলপথে ফিরব। কিন্তু সময়ের হিসাব ভুল হয়ে গিয়েছিল। সাঙ্গু নদী আমরা পেরিয়েছি পায়ে হেঁটে, হাটুপানি ছিল, কিন্তু প্রচণ্ড স্রোত। এখন বোধ হয় ওই জায়গায় ব্রিজ হয়ে গেছে একটা ( আমরা কি এই সাঙ্গু চেয়েছিলাম!) তবে পরিস্কার আকাশের কাছে থেকে বহুদিন পর তারা দেখেছিলাম... একটা বিশাল উল্কাও দেখেছিলাম ঐ কোনার প্ল্যাটফর্মের মতন জায়গাটা থেকে। আর, বিন্নি ধানের ঐ খিচুড়ি এখনও মিস করি... আহা, কি মায়াবী সেসব দিন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হৈ মিয়া - এই গল্প প্যাটের ভিতরে লুকাই থুইয়া বইয়া আছেন!!!
আর কিছু না হোক, পায়ে হেঁটে শঙ্খ (সাঙ্গুর থেকে শঙ্খই আমার বেশী ভালো লাগে) পাড়ি দেয়া আর উল্কা দেখা নিয়ে গল্প না হোক, অন্তত: একটা কবিতা তো দেবেন!!
আমরাও তো শীতের শেষে গিয়েছিলাম! যাক, তাহলে কপালটা ভালো বলতে হবে -
____________________________
বাহ, কদিন আগে গেছিলাম, আবার যাচ্ছি সামনে সপ্তাহে।
facebook
নতুন লেখার আশায় থাকলাম তাহলে।
____________________________
দারুণ হয়েছে!
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ রাজু ভাই। আপনার রাশান সুন্দরীদের দেখা কবে পাবো?
____________________________
এমন আরো ভ্রমণ কাহিনী পড়তে চাই প্রোফেসর। লেখা,ফটুকের জন্য
ঝাপাইয়া পড়ে মাত্তর একটা ভানাম্ভুল পাইলাম
উত্তোরত্তর>উত্তরোত্তর
খিঁচুড়ি অনেক ঝাল? পেঁপে খুব মিষ্টি ছিল নাকি? চাদরের/শাল দাম কেমুন র্যা?
বিশ্বাস করেন, লেখা রিভিউ করার সময় বারবার আপনার কথা মনে হচ্ছিল, মানে আপনার ভুলতাড়ুয়ার কথা। খুব সতর্ক ছিলাম বানানের ব্যপারে। তার পরও বিসমিল্লাতেই গলদ করে ফেলেছি দেখছি!
ঠিক করে দিলাম। থ্যাঙ্কু।
খিচুড়ি ঝালই ছিল, বেশ ঝাল। পেঁপের স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে মনে হয়। চাদর কিনিনি তো! দাম জানি না। দেখি আমাদের দলের আপাদেরকে জিজ্ঞেস করে, উনারা নিশ্চয়ই বলতে পারবেন।
____________________________
বায়নামতিদি,
ঝাঁপ দিয়ে পড়া তো? মানে তাহলে বানানটা ঝাঁপাইয়া হওয়ার কথা না?
এবং খিঁচুড়ি নয়, খিচুড়ি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাপ্রে পুলিশদির উপ্রে দারোগাদি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হুম, আমি বলতে চেয়েছিলাম বাঘের উপরে ঘোঘ। তার আগে আপনিই আরেকটা জম্পেশ উদাহরণ দিয়ে দিলেন!!
____________________________
ঘটমা না জেনেই হাসাহাসি করে এনার্জি লস করা বুদ্ধিমানের কাজ নহে!
এমনটা কিন্তু ইচ্ছেকৃতভাবেই লিখছি রে তিথী। বলা ভালু একজন গেনিলুকের দ্বারা জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়েই গেনের আলু ছড়াইয়া দেবার একটা প্রয়াস ছিল তার মতে বেশি বেশিতে চন্দ্রবিন্দু দিয়ে জোড়ালো করতে হয়। আর সেভাবে ইয়া আলি বলে ঝাঁপাইয়া পড়ে হাত পা ভাঙবো নাকি এই বুড়ি বয়সে! পুলিশ ফুলিশ কি র্যা?
যাহ! আর কারো টাইপোর কথা বলবো না। ভুল বানামে লিখে সচল ভাসায়ে দেও , আমার কী!
কী বলেন দিদি - আপনার লেখায়ই না ব্যপক উৎসাহিত হয়ে দারোগাগিরি শুরু করেছি - বিশেষ করে বদনবইয়ে। এখন আপনিই পিছিয়ে গেলে চলবে কী করে? এভাবে গাছে তুলে মই কেড়ে নেয়া মানি না মানবো না!!
____________________________
উৎসাহ জারি থাকুক প্রোফেসর
হুমম... ভুলতাড়ুয়া জারি থাকুক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"শঙ্খ নদী" - কি সুন্দর নাম! এই পোস্ট-এর মতই। আরো বেড়াবেন, আর এই রকম অনেক পোস্ট দেবেন এই আকাঙ্খা জানাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা।
____________________________
ভালো লাগলো ঘোরাঘুরি পোস্ট
"কবে যাবো পাহাড়ে, আহারে আহারে"
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ। যান, ঘুরে আসুন, মেঘলা মানুষের যদি মেঘ পাহাড় ভালো না লাগে, তবে কার লাগবে?
____________________________
সুন্দর
ধন্যবাদ।
____________________________
নীলগিরিতে রাত্রিযাপন হয়নি তবে এবার যাবো ভাবছি। লেখা দারুণ হয়েছে প্রোফেসর ভাই। আমাদের দেশটা আসলেই অনেক সুন্দর।
চলে যান, খুব ভালো লাগবে। আর ফিরে এসে লেখা দেবেন অবশ্যই।
____________________________
বছর তিনেক আগে গিয়েছিলাম।
লেখা আর ছবি দুইটাই দূর্দান্ত
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ধন্যবাদ তাহসিন রেজা।
____________________________
সেই কবে গিয়েছিলাম! নস্টালজিক করে দিয়েছেন! আরো লিখুন।
-দেব প্রসাদ দেবু
নস্টালজিক করে দিলাম নাকি? লিখুন না সে কথা।
____________________________
পাহাড় নিয়া কিসসু আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। সব ছবির হাট...মতান্তরে ফটুশপ!!
তাপ্পরেও লোভে পইরা গেলাম। ল্যাখায় পাঁচতারা। ফটুতে সাড়ে পাঁচ তারা। লাস্ট বান্দরবনে গিয়া অনেক স্মৃতি নিয়া ফেরত আইছি। ফ্রি হিসাবে ম্যালেরিয়াও আনছি। এইবারে কি আনতে পারি দেখি। অফিসে ছুটির দরখাস্ত দিয়া দিলাম।
হ, ফটুশপ একটা অভিশাপ!!!
পড়ে কমেন্টানোর জইন্যি আপনেরে ছয়তারা।
এইবারে গিয়ে জবরদস্ত একটা ল্যাখা আনবেন।
____________________________
নীলগিরিতে গিয়েছিলাম, রাতে থাকা হয়নি যদিও।
কয়েকটা ছবি চমৎকার!
লেখাও ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীপু।
____________________________
আপনার লেখা পড়ে আর ছবি গুলো দেখে যেন মন ছুটে গেল..... পালাই পালাই অবস্থা
তানু
পালান না, পালিয়ে ঘুরে আসুন ঐ পাহাড় থেকে। আর আমাদের জন্য পোস্ট দেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
____________________________
পাহাড় আর সমুদ্র এই দুই দলের মধ্যে আমি সবসময় পাহাড়ের দলে। পর্বত আমাকে যতটা টানে সমুদ্র ততটা না। আপনার পোষ্ট দেখে পাহাড়ের জন্য মনটা এই অসময়ে টনটন করতে শুরু করলো। ওই পাহাড়গুলো আমার ভীষণ পছন্দের পাহাড়। এত কাছে, তবু তারে ছুঁতে পারিনা টাইপ ভালোবাসা বোধ করি ওদের দেখলে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"পাহাড় আর সমুদ্র এই দুই দলের মধ্যে আমি সবসময় পাহাড়ের দলে।" - খুব ভালো লাগলো কথাটা।
ধন্যবাদ।
____________________________
পাহাড়ের টানে বান্দরবন ছিলাম বলে দেরিতে পড়লাম পোষ্ট। পাহাড়ের সবুজাভ এখন নেই তারপরও আপনার পাহাড়ের ছবি, রাতের চাঁদের ছবিগুলো দারুন এসেছে। ভ্রমন চলুক, বগালেক-ক্রেওকারাডং ঘুরে আসুন, ভালোলাগা আর বিস্ময় আরো বাড়বে।
মাসুদ সজীব
আপনার লেখা নিয়ে পোস্ট দেন, আপাতত আপনার লেখার মাধ্যমেই দেখি।
____________________________
আমি এখনও যাইনি ...... এই দুঃখ কোথায় রাখি?
আপনার চোখ দিয়েই দেখার চেষ্টা করলাম প্রো ভাই , দারুন লাগল পড়তে।
দেখবেন একদিন আমিও...... ...... ...... নাদের আলি, আমি কবে বড় হব?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরে, আপনার পাহাড়ে চড়ার পোস্ট পড়েই না উৎসাহিত হয়ে এই পোষ্ট লিখলাম!!!
____________________________
ভালো লেগেছে লিখাটা, ছবিগুলিও সুন্দর। ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে লিখাটা, ছবিগুলিও সুন্দর। ধন্যবাদ।
সদস্যনামঃ Jon Rulz
জন রুলজ (ঠিক লিখলাম তো? আসলে এখানে ইংরেজীতে নাম লিখতে ভালো লাগে না)।
____________________________
নীলগিরি যাবার পথে এই স্থানটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল একজন সাংবাদিিক। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলকটি...[img][/img]
।
শ্রদ্ধা সেই সাংবাদিক ভাইয়ের জন্য।
আর আপনার জন্য
আছেন কেমন আপনি? অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে (মানে মন্তব্য পড়লাম)।
____________________________
নতুন মন্তব্য করুন