সবাই বলে – দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নাকি ভার্সিটি জীবন সবথেকে উপযুক্ত। এসময় স্কুল বা কলেজ জীবনের মত অত কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকতে হয় না, আবার চাকরি বা বিবাহিত জীবনের “সময় নাই” ধরণের ঝামেলাও পোহাতে হয় না। কিছুটা স্বাধীনতার পাশাপাশি ঘুরতে যাওয়ার টাকা নিয়ে ভাবতে তো হয়ই না। কিন্তু আমি আমার জীবনের এই “উপযুক্ত” সময়টা পার করলাম ঘরে বসে কয়েক হাজার সিনেমা দেখে। আমার বন্ধুরা যেখানে সিনেমা দেখত নানান কাজের অবসরে, আমি সেখানে সিনেমা দেখার অবসরে টুকটাক কাজ করতাম – যার মধ্যে ক্লাসে যাওয়া ছিল অন্যতম। তাই তিন বছর আট মাসের ভার্সিটি জীবন শেষ করে আমি যখন বাস্তব জগতে পা রাখলাম, তখন বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি বলতে আমার ঝুলিতে ছিল উত্তরা (আইইউটি-বাসীর সবচেয়ে নিকটবর্তী বিনোদন কেন্দ্র), কালে-ভদ্রে ঢাকা (ডিভিডি কেনা ছিল মূল উদ্দেশ্য) আর “দূরে কোথাও” বলতে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বান্দরবন।
দুই সেমিস্টারের মাঝের বন্ধে অথবা বছর শেষের তিন মাসের বিশাল লম্বা ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য, আমার বন্ধুরা সিলেট, চিটাগং, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটিসহ নানান জায়গা নিয়ে পরিকল্পনা করত। আমি শুনতাম, তারপর আবার মন দিতাম সিনেমা দেখায়, অথবা ছুটিতে কতগুলো সিনেমা দেখা যায়, সেগুলো কোথা থেকে যোগাড় করা যায় – সেসব নিয়ে ভাবতাম। ওরা ঘুরে ফেরত আসার পর, আমি ওদের ছবি দেখতাম, গল্প শুনতাম। আমার জীবন যে পুরাটাই বৃথা, ঘুরতে না গিয়ে জীবনের কী বিশাল ভুল যে করলাম, এবং এর কারণে আমাকে পরবর্তী সব ঘোরাঘুরি থেকে যে সসম্মানে বয়কট করা হবে – সেসব ব্যাপারে লেকচার ও হুমকিসহ ভয়ংকর পঁচানি খেতাম ওদের কাছ থেকে। কিন্তু এরচেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হল – সেটা নিয়ে আমার ভেতরে বিন্দুমাত্র আফসোস কাজ করত না! বরং ওদের হতাশ করে আমি আবার বসে যেতাম সিনেমা দেখতে।
কিন্তু ভার্সিটি জীবন শেষে, আমার ঘোরাঘুরির ঝুলির দৈন্যদশা দেখে খানিকটা আফসোস যে হয়নি, তা না। বেশ ভালরকমই হয়েছে। তবে সঙ্গত কারণেই সেটা চেপে যেতাম বন্ধুদের কাছ থেকে। বরং উল্টা ওদের পঁচাতাম– সিনেমা না দেখে ওরা জীবনে কী বড় ভুলটাই না করেছে। বলাই বাহুল্য, আমার এই একক সাহসী প্রচেষ্টা আদপে পাত্তাই পেত না ওদের কাছে।
দিন গড়াল, বাস্তব জগত (বেকার জীবন) থেকে কঠিন-বাস্তব জগত (চাকরি জীবন)-এ প্রবেশ করলাম। দিন আরো গড়াল। গত বছরের শুরুতে অফিসের পিকনিকে টাঙ্গাইল যাওয়া ছাড়া আমার আর ঘুরতে যাওয়া হল না কোথাও। মাঝে অফিসের কয়েকজন মিলে নেপাল যাওয়ার একটা পরিকল্পনা করেও নানান জটিলতায় শেষ পর্যন্ত আর বাস্তবায়িত হল না সেটা। বিভিন্ন সময় অফিসের আড্ডাগুলোতে যখন ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা উঠত, আমি চেহারায় এমন একটা ভাব নিয়ে তাল মেলাতাম, কলিগদের মনে হত – না জানি পুরা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি আমি। অথচ খানিক লজ্জা, খানিক সংকোচে কাউকে মুখ ফুটে বলতে পর্যন্ত পারতাম না যে, আমার দুই যুগব্যাপী এই সুদীর্ঘ জীবনে সাগর দেখিনি কখনো!
হঠাৎ করেই আমার এই লজ্জা, সংকোচ বা হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বন্ধুসম এক কলিগ সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার ট্যুরে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিল। ক্রিসমাসের একটা ছুটি ছিল, সাথে সাপ্তাহিক দুইদিন যোগ করলেই তিনদিন হয়ে যায়। আর কোনভাবে যদি পরের রবিবার “অসুস্থ” হয়ে যাওয়া যায়, তাহলেই ছুটিটা গড়ায় পাঁচ দিনে, যেহেতু নির্বাচন উপলক্ষ্যে একদিন বন্ধ থাকবে অফিস। তবে মূল পরিকল্পনা “তিন দিন ছুটি” মাথায় রেখেই করা হয়েছিল। আরেক কলিগ শোনামাত্রই লাফিয়ে উঠল, সে সাথে সাথে রাজি। কাছাকাছি বয়সের হওয়ার কারণে আমাদের তিনজনের মধ্যে খুবই ভাল সম্পর্ক। ওদের দুইজনকে রাজি দেখে আমিও উৎসাহ পেলাম।
কোথাও যাবার প্রস্তাব পেলে সবার আগে যে প্রশ্নটা আমি করি – কে কে যাবে – সেটা করলাম। দেখা গেল, আমার প্রস্তাবদাতা কলিগ, ওর ছোটবেলার এক বন্ধু, সেই বন্ধুর দুই কলিগ (দুজনেই বউসহ), সেই দুইজনের মধ্যে আবার একজনের বন্ধু – এই সাতজন আর আমাদেরই আরেক কলিগ, মোট আটজন যাওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত। এতগুলো অদেখা-অচেনা মানুষের সাথে যাব কী না, গেলেও কতটা মজা হবে, সেসব নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। আবার সাগর দেখার এমন দারুন সুযোগ হাতছাড়া করতেও মন সায় দিচ্ছিল না। কারণ এই সুযোগ হারালে আবার কবে সময়-সুযোগ হবে, কে জানে! তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, সাথে সাথে হ্যাঁ বললাম না, বা বলা ভাল, বলতে পারলাম না। দুটো দিন সময় নিলাম ভাবার, কারণ ক্রিসমাসের পরদিন একটা সচলাড্ডা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেটাতে উপস্থিত থাকার সুযোগটাও হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলাম না।
এদিকে হাতে সময় ছিল না একদমই। সব দিক সামলাচ্ছিল আমার কলিগের বন্ধু। মাইক্রোবাস ঠিক করা থেকে শুরু করে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী সী-ট্রাকের টিকেট কাটা, ঢাকা অফিস থেকে সেন্ট মার্টিনে রিসোর্ট বুক করা, এরকম অনেকগুলো বিষয় সে একাই দেখছিল। তাই যাব কী যাব না, সেটা নিশ্চিত করে জানানোর জন্য চাপ পড়ল আমার উপর। আমিও অত চিন্তাভাবনার ভেতর না গিয়ে, স্বভাববিরূদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যে, সাগর দেখতে যাব আমি!
(চলবে)
মন্তব্য
বস, আগ্গুন সিদ্ধান্ত নিছেন। আমিও সাগর দেখি নাই। আই মীন গত চাইর বছর যাবৎ দেখি নাই আরকি। ক্যামনে দেখুম, এই বালের প্রবাস জীবনে পইড়া রইছি চাইর চাইরটা বছর ধইরা। সব সৃষ্টিহীন জীবন!
ললনা-মহিলা কোনো ঘটনাই বাদ দিয়েন না বস। আপনেই তো আমার ভরসা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও এখন মনে করি যে আগ্গুন সিদ্ধান্তই নিছিলাম। দুঃখ কইরেন না বস, দেশে আইসা পড়েন। তারপর মনের সাধ মিটায়া সাগরে চুবানি খায়েন
সব তো আর বলা যায় না, দেখি কতটুকু কী বলতে পারি
আমি আবার "ভরসা" হইলাম ক্যাম্নে!
- ভরসা হৈলেন, কারণ ক্যামেরা আছিলো আপনের হাতে। আর পোস্টও কর্তাছেন আপনে। আপনে এই গরীবের দিকে না তাকাইলে আর কে তাকাইবে, আপনেই কন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লজিকে যুক্তি আছে দেখি
ক্যামন দেখলেন?
...........................
Every Picture Tells a Story
এই তো ভাইয়া, খুবই ভাল। দেখি লেখার চেষ্টা করব পরের পর্বগুলোতে যতটুকু পারি।
ইসস সেন্ট মার্টিনে যাওয়া হয়নি গতবার যখন গেলাম এর পরের লেখায় সুন্দর ছবিগুলো এ্যাড কইরো।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পরের বার দেশে আসবা যখন, তখন অবশ্যই যেও। খুবই সুন্দর একটা জায়গা।
হুমম, ছবিগুলো, যেগুলো সুন্দর বলসো তোমরা, অ্যাড করব পরের পর্ব থেকেই
নারিকেল জিঞ্জিরা (সেন্ট মার্টিন) যারা যায় নাই তাদের জীবনটা পুরা পুরি ফাও। তাদের অতি সত্ত্বর কুয়ার পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরা উচিৎ।
ভূমিকা ভালো হয়েছে। পরের লেখার সাথে ছবিও চাই, প্রহরী ভাই!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কুয়া কোথায় পাবো
আপনি আর অতন্দ্র কি দুজন একি সময়ে গেসিলেন নাকি?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কুয়া না পেলে সমস্যা নাই। গ্লাস বা কাপ দিয়েও চেষ্টা করে দেখতে পারো
নাহ্, নাশু ভাই তো লাস্ট উইকেন্ডে ঘুরে আসলেন, আর আমি গিয়েছিলাম "গত বছর"
হা হা হা।
পরের লেখায় ছবি দেব কিছু, ভাবছি। থ্যাংকু কীর্তিনাশা ভাই
কন কি, তিন বছর আট মাসে ভার্সিটি জীবন শেষ! হালায় আমরা বিবিএ-এমবিএ মিলে পাঁচ বছরের পড়া আট বছরে শেষ করলাম। আমাদের 'প্রাইভেট' বন্ধুরা চাকরিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হয়ে গেলেও আমরা 'পাবলিক'রা এখনো এক্সিকিউটিভই হয়ে আছি।
শুধু লেখায় মন ভরবে না। ফুটুকও পোস্টান।
আট বছর!! ওই সময়ে তো আমরা চাইলে দুইটা বিএসসি আর একটা এমএস প্রায় শেষ করে ফেলতে পারতাম
তবে আসলেই, এই সেশন জট ব্যাপারটা খুবই খারাপ। পড়াশুনার পাট তাড়াতাড়ি চুকিয়ে ফেলাই ভাল। না হলে এক পর্যায়ে আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়, মানসিকভাবেও অনেকে ভেঙে পড়ে।
পরের পর্বে ফুটুক আসবে।
এই রকম পিচ্চি পিচ্চি পর্ব দেয়া চলবে না। প্রতিটি এপিসোড যথেষ্ঠ লম্বা এবং সচিত্র হতে হবে। একি "পাণ্ডবের চীন দর্শন" পেয়েছেন নাকি? ওসব ভুজুং ভাজুং এখানে চলবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কী যে বলেন পান্ডব'দা! আপনার মত দারুন বর্ণনা লিখতে পারলে তো কথাই ছিল না, পাতার পর পাতা জুড়ে শুধু লিখেই যেতাম। পরের পর্ব কতটুকু লম্বা হবে জানি না, তবে সচিত্র হবে, এটুকু বলতে পারি।
আমার প্রিয় সিরিজ "পান্ডবের চীন দর্শন"-কে ভুজুং ভাজুং বলার জন্য তেবরো পেতিবাদ জানালাম
চক্ষু মেলিয়া বসিলাম...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চক্ষু বন্ধ না করিয়া কতক্ষণ বসিয়া থাকিতে পারেন, সেই চেষ্টা করিব কী?
নাহ্, আমি ভেবে দেখলাম কিছুদিন ধরে তোমার বাড়াবাড়ি রকমের স্ফূর্তি হচ্ছে। অতি শিগগীরই তুমি যাতে বসের ঝাড়ি খাও, অথবা প্রেমে পড়ো - সেই 'দু'আ' জানানো হলো ...
সচলের ছোট ভাইদের স্ফুর্তি দেখিয়া যেসব বড় ভইনেরা এরম অভিশাপ দেয় তাহাদের প্রতি তেব্র নিন্দা জ্ঞাপন করিলাম।
বিডিআর বেশি বেশি স্ফুর্তি করেন। আর এসব স্ফুর্তি দেখিয়া যাহারা হিংসায় জ্বলে, তাহারা জ্বলিয়া পুড়িয়া ছাড়খাড় হউক।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দুই দিনের দুনিয়া, সব কিছুরে গুল্লি মাইরা স্ফূর্তি কইরাই মরি
@ স্নিগ্ধা আপু
এই ভেবে ভেবে যে সময় নষ্ট করতেসেন, সেই সময়ে চাইলে আপনিও কত্ত স্ফূর্তি করতে পারতেন, হিসাব করসেন?
আপনার কোনও দু'আ-ই কাজে আসবে না, স্যরি। কারণ আমার বসের কাছে ঝাড়ি খাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নাই (সে মাটির মানুষ, ঝাড়ি মারা কারে বলে- জানেই না), আর আমি প্রেমে পড়ি না (তবে প্রেম মাঝে মাঝে আমার উপর পড়ে)
এই তো, আপনিও তবু আমার আগেই সাগর দেখেই ফেললেন অবশেষে!
হ্যাঁ/না, আমিও এই আড়াই-যুগী জীবনেও সাগর দেখিনি এখনও! বিলিভ ইট অর নট!! কী জানি আদৌ দেখা হয় কি না বর্তমান জনমের কস্মিন কোনো ভবিষ্যত্ যুগে!!!
তাও তো আপনি ভার্সিটিযোগী ওই স্বর্ণযুগে না ঘুরে ঘরে ব'সে হাজার হাজার সিনেমা দেখে জীবনটাকে রেহাই দিয়েছেন ব্যর্থ হওয়ার হাত থেকে! আমি তো বান্দরবনও যেমন যাইনি, তেমনি ঘরোয়া বান্দর হয়ে উকুন বাছতে বাছতে সিনেমাগুলোও দেখিনি!
মেরা কেয়া হোগা রে ভাই?!
শিরোণাম দেখে ঢুকতে ঢুকতে কেন যেন মুচকি হাসছিলাম হুমায়ূনীয় আবেশে!
কিন্তু, আপনার নামটা আরো একবার চোখ ড'লে দেখে নিয়ে পড়াটা শুরু করেছি থেকেই চোখে লেখা-অক্ষরমালার সাথে সাথে আপনার হাসিমুখ দেখছিলাম, ইন ফ্যাক্ট আপনার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে আপনার যেকোনো লেখা পড়ার সময়ই এভাবে আপনার ট্রেডমার্ক হাসি-সমেতই পড়ি আমি [যেমন ক'রে কি না নাটকে চিঠি পড়ার সময় লেখার মাঝখানে একটু জায়গা গোল হয়ে তার মাঝে পত্রলেখকের মুখ দেখা যায়! ;)]।
বাস্তব জগত আর কঠিন-বাস্তব জগতের তত্ত্বটা হেভি ভাল্লাগছে আমার।
থাম'স আপ!
লেখা বেশ ভালো লাগছে। লিখতে থাকেন, আপনার চোখে আমিও একটু সমুদ্র দেখে ফেলি চামে চেয়ে বামে ।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বলেন কী সাইফুল ভাই! সত্যিই সাগর দেখেননি? বান্দরবনেও যাননি, সিনেমাও তেমন একটা দেখেননি... কী করসেন ওই সময়কালে, বলেন তো!
আপকা নাম্বার ভি আয়েগা মেরে ভাই। তবে আগে জানলে, সাগর দেখতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকেও বলতাম, সত্যি
হা হা হা। নাটক-সিনেমার চিঠি পড়ার স্টাইলে আমার পোস্ট পড়েন জেনে খুব মজা পেলাম। সেইসাথে, কমপ্লিমেন্ট হিসাবে ঝোলায় ভরলাম
বিশাল মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যগুলো সবসময়ই খুব আগ্রহ নিয়ে মজা করে পড়ি (ওই হাসি-হাসি মুখেই)। দেখি, যদি "চা খেতে না উঠি", তাহলে হয়ত কিছু-মিছু লিখে সাগর দেখাতে পারব আপনাকে (অন্ধের হাতি দেখার মত করে হলেও)
ভাল থাকবেন।
না, সত্যিই দেখি নাই সাগর। একটা সাগর সপ্তাহে পাঁচ-ছয়দিন দেখি, সেইটা হইলো আমার সমকক্ষীয় কলিগ- অন্যতম 'সিনিয়র কপিরাইটার'।
ওই সময়কালে বারোমাসী হাইবারনেশন-এ ছিলাম, এখনও ম্যাক্সিমাম টাইম-ই সেই প্রক্রিয়াতেই থাকি বস্তুত।
আপনার হাসি অক্ষয় থাকুক- এ-ই চাই।
অনেক ধন্যবাদ। তবে, সাইফুলের সাগরদর্শন বোধ করি অন্ধের হাতিদর্শন-এর চেয়ে বেটার কিছু হবে না সত্যি। চোখ-চশমা সব ঠিক থাকতে যে দ্যাখে না, তার তো গণ্ডগোল একদম হেড-কোয়ার্টারে!
ভালো থাকেন অপ্র। কথা হবে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা। তাহলে তো আমিও স্কুলে থাকতেই সাগর দেখতাম প্রায় প্রতিদিন! (আমার এক বন্ধুর নাম ছিল সাগর)
নেক্সট যেদিন দেখা হবে, অথবা যেদিন আপনার অফিসে হানা দেব, সেদিন আপনার হাইবারনেশন সম্পর্কে সব ডিটেইল শুনব। বলতে হবে কিন্তু (অতিমাত্রায় গোপন না হলে)
আজ রাতে আশা করি এই লেখার পরের পর্ব চলে আসবে। আমি যে অলসের অলস! সেদিন রাতে ওইটুকু লিখেই এতদিন আর লেখার ধারে-কাছেও যাইনি
বেস্ট অভ লাক ফর ইয়োর সাগর দেখা, সাইফুল ভাই। ভাল থাইকেন।
অফিসে হানা দিতেই পারেন যেকোনো দিন [কিংবা রাতেও পেয়ে যেতে পারেন হঠাত্, জানেনই তো আমি অফিস-কামুক ;)], কিন্তু কসম লাগে ভাই- হাইবারনেশনের গল্প বলতে নাই। ওই কথা কইয়া লাভ নাই। এইটুকু বুঝছেন তো, যে আমি আপ্নের চেয়েও বেশি অলস! তাইলেই অইবো। আমি এক লেখা একদিন শুরু করলে পরের অংশ যদি এক বছরের মধ্যে লিখে ফেলি হঠাত্, তাইলে সেইটা একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য অর্জন বটে!
আপনিও ভালো থাকেন। অফিসে চলে এসেন একসময়, সত্যিই। জাস্ট একটা ফোন দিয়ে আগে একটু জেনে নিয়েন কী অবস্থার মধ্যে বাস করতেছি আমরা নন্দিত-অফিস-নরকে। সবুজ বাতি দেখাইলেই রওনা দিয়া দিবেন খালি।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অফিস-কামুককে হানা দিতে অন্তত রাতে যে যাব না, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি
খাইছে, যে কসম দিয়ে দিলেন, এরপর আর জিজ্ঞেস করি কিভাবে! যে কোনো একদিন ফোন দিয়ে তাহলে চলে আসবনে। আড্ডা দেয়া যাবে তাহলে। ভাল থাকবেন
জরুর। স্বাগতম।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি যখন প্রথম সাগর দেখি- তখন সত্যিকার তাব্দা খেয়েছিলাম। বিয়োন্ড ইমাজিনেশন যাকে বলে। পরের পর্ব কই?
=============================
কাহিনী শোনাও।
পরের পর্ব বিপুল সমারোহে আসিতেছে...
পাবলিক এতো জোশ পায় সিনেমা দেখে! আমি কেন পাই না! নিশ্চয়ই কিছু গড়বড় আছে আমার ভিত্রে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
পরের লাইনটাতেই তো লেখা ছিল যে, এসব কথা বলে আমি পাত্তাই পেতাম না ওদের কাছে! তাহলে তো মনে হয়, সিনেমা দেখায় মাত্রাতিরিক্ত জোশ পাওয়ার ভেতরেই গড়বড় কিছু একটা আছে হয়তো
আপনার তো ভাই সিনেমার চেয়েও বর্ণাঢ্য আর জোশিলা জীবন। সিনেমায় আমরা যে জীবন দেখে জোশ পাই, সে জীবন যদি আপনি নিজেই যাপন করেন, তাহলে সিনেমায় জোশ পাবেন কোত্থেকে, বলেন!
মন্তব্য পেলে এমনিতেই ভাল লাগে, কিন্তু এটা অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া জন্য অনেক বেশি ভাল লাগল। এতদিন দেখিনি, কী ভেবে আজ ঢুকলাম, তাতেই চোখে পড়ল! ধন্যবাদ সন্ন্যাসী'দা।
নতুন মন্তব্য করুন