আমি তখন হাই স্কুলে পড়ি। আমাদের বাসার ঠিক সামনের বাসাতে যে আন্টি থাকতেন, তিনি ছিলেন স্থানীয় গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা, আর তার স্বামী ছিলেন তৎকালীন এলাকার একমাত্র ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক। দুই বাসার মধ্যে ছিল একটামাত্র দেয়ালের ব্যবধান। নিকটতম প্রতিবেশী হিসাবে নিয়মিত যাওয়া হতো তাদের বাসায়, যেমনটা আসত তাদের দুই মেয়েও।
এমনটা অনেকবারই হয়েছে যে, আমি তাদের বাসায় গিয়েছি, আন্টি পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন, আমিও আগ্রহের সাথে পাশে বসে গিয়েছি। সে সময় পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার দিনটা ছিল খুব উত্তেজনার। তাই রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই পরিচিত কারো কারোটা জেনে যাওয়ার মজাও ছিল অন্যরকম।
লক্ষ্য করলাম, পরীক্ষার খাতায় সবাই যে শুধু প্রশ্নের জবাব লেখে, তা নয়, কেউ কেউ "যা খুশি, তা"-ই লিখে রাখত পাতা জুড়ে। যেটাকে বলে "মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখা", তার উৎকৃষ্ট কিছু নমুনা তখন দেখেছিলাম। মনে আছে, একবার দেখলাম একটা খাতায় কিছু গানের কলি লেখা, তাও আবার বাংলা সিনেমার। কেউ কেউ উত্তর জানা না থাকলে প্রশ্নটাই কয়েকবার লিখে রাখত, মনে আশা– যদি কোনওভাবে পরীক্ষকের নজর এড়িয়ে যায়, তাহলে মার্ক তো অন্তত কিছু পাওয়া যাবে। আবার অনেককে দেখতাম কয়েক ধাপ এগিয়ে চিঠি জুড়ে দিত খাতার সাথে। তাতে পাস করিয়ে দেয়ার আকুতির সাথে থাকত পাস না করতে পারলে বাসায় কেমন উত্তম-মধ্যম খেতে হবে, অথবা মাত্রাতিরিক্ত বেপরোয়ারা "বিয়ে হবে না" জাতীয় কথাও লিখে রাখত।
সবচেয়ে মজা পেয়েছিলাম এরকম একটা চিঠি দেখে। প্রায় এক পৃষ্ঠা জুড়ে আকুতির শেষে একটা পা আঁকা ছিল, তার নিচে লেখা– "আপনার পায়ে পড়ি, প্লিজ আমাকে পাস করিয়ে দিয়েন"। পরীক্ষার্থীর আঁকার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলাম, কষ্টও কিছুটা পেয়েছিলাম বিশাল বিশাল গোল্লা পেয়ে তাকে ফেল করতে দেখে।
নিতান্তই বাধ্য না হলে সাধারণত আমি নিজেও কখনও পরীক্ষাতে কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসতাম না। ডাহা চাপা মারতে পারতাম না যদিও, তবে হালকা চাপার সাথে মিশিয়ে দিতাম "ইন্টেলেকচুয়াল গেসিং"। সবসময় যে কাজে দিত তা, সেটা দাবি করব না। আমাদের একটা কোর্স ছিল– "ইসলামিয়াত"। অনেকের কাছেই শুনতাম, স্যার নাকি মোটেও পড়ে দেখেন না, শুধু পাতা গুনে মার্কস দেন। তাই যে কোনো প্রশ্নের উত্তরের শুরুতে কিছু একটা লিখে, মাঝে "আল্লাহ্ মহান, ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম" জাতীয় কথা বারবার লিখে দিয়ে আসলেও কোনো ক্ষতি নেই। সত্যি-মিথ্যা জানি না, এক বন্ধু তো বলেই বসল, সে নাকি ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা, সিনেমার কাহিনীসহ যা খুশি তা-ই লিখে এসেছিল একবার। নিজে নিজে অনেক আয়াতও বানিয়েছিল, আর বেশ ভালভাবে পাসও করেছিল।
সেসব দিন চলে গেছে। এখন আর পরীক্ষা দিতে হয় না, প্রশ্নের উত্তর লেখা নিয়েও আর ভাবতে হয় না। তবুও দিনগুলোর কথা মনে পড়লে মজা লাগে, হাসি পায় বেশ।
নেট থেকে পাওয়া মজার কিছু ছবি জুড়ে দিলাম নিচে।
মন্তব্য
ব্যাপক হৈসে। এক্কেবারে পড়তে পড়তে পিরা গেলাম।
আমার বাবা কলেজ শিক্ষক বলে এরকম মজার অনেক খাতা দেখার সৌভাগ্য আমারও হৈসে। তবে সময় সুযোগ মত সব কিছু একবারে মনে আসেনা। এইজন্য আপাতত কোনটার উদাহরণ দিতে পারতেসিনা
তবে আমার বাসার সামনে দুইটা তো দূরে থাক, এক মেয়ে অলা কোন মানুষও থাকতোনা
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ব্যথা পাওনি তো?
তোমার উদাহরণের অপেক্ষায় থাকলাম। মনে করে দিও কিন্তু।
তাতে কী! এই নিয়ে আফসোসের কিছু নাই। তোমার যা পারফরম্যান্সের কথা শুনি, তাতে আমি যারপরনাই ইম্প্রেসড! আর কথায় তো আছেই, ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে
এই ছবিগুলা আগেও দেখসিলাম... কিন্তু তারপরও দেখতে ভালো লাগে আমি এইসব পোলাপাইনের উদ্ভাবনি প্রতিভায় সবসময়ই মুগ্ধ হই!! পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখাই আমার জন্য বিশাল পরীক্ষা...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
জানতাম বেশিরভাগ ছবিই বেশিরভাগের দেখা। তাও দিলাম, কেউ কেউ নাও দেখে থাকতে পারে, আর যারা আগেও দেখসে, আরেকবার না হয় দেখল। এসব তো বারবার দেখলেও ভালো লাগে
আমি তো ভাবসিলাম অন্তত তুমি কিছু এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করবা। আফটার অল, টিচিংয়ে ছিলা। তা, পোলাপাইনের উদ্ভাবনী প্রতিভা নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কিছু নমুনা শোনাও।
বলার মত কিছু নাই ... সাদা খাতা পাইসি প্রচুর... আক্ষরিক অর্থেই সাদা খাতা... অনেকে একই উত্তর তিন চারবার লিখত...
তবে আমার এক কলিগ একবার খাতার মধ্যে প্রেম পত্র পাইসিলো... খাতাটা যে মেয়ের সে পরীক্ষার হলে বইসা মনে হয় কোন কিসুই পারেনাই... ঐ তিন ঘন্টা সে তার প্রেমিকের কাছে প্রেম পত্র লিখতে বসছে... সুদীর্ঘ তিন ঘন্টার প্রেম পত্র লিখসে কিন্তু কোন এক্সট্রা পেজ নেয়নাই!... যাই হোক মেয়ে প্রেম পত্র লিখসে ভালো কথা... প্রেমে মানুষ পড়তেই পারে... কিন্তু খারাপ কথা হইলো সেই মেয়ে প্রেম পত্র খানা খাতা থেকে ছিড়তে ভুইলে গেসে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
বেসম্ভব মজা পাইলাম
প্রেমে পড়লে মানুষ যে বোকা হয়ে যায়, তার আরেকটা প্রমাণ পাওয়া গেল
ব্যাপকস!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধন্যবাদ বাদশা ভাই
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হৈ মিয়া, ওঠো! জামাকাপড় ময়লা হবে
হাহাহাহা আমিও মজা পাইসি, কিছু কিছু আগেই দেখসিলাম তবে 'ওমেন" টা আর এলিফেনট আর লিমিটের টা আগে দেখিনি দারুন লাগল হি হি হি।
লেখাও খুব ভাল লাগল, তোমার আয়াত বানানো বন্ধুর কথা পড়ে হাসতে হাসতে পরে গেলাম,
মনেপরে গেল আমার স্কুল ছিল BRRI তেই আর BRRIর স্কুলে অফিসারদের ওয়াইফরাই ক্লাস নিত, আমার বান্ধবী অনেকের মা রা ছিল আমার টিচার। স্কুলে ডাকতাম মিস আর বাসায় গেলে আন্টি, মাঝে মাঝে স্কুলে দুষ্টামি করলে ভয়ে থাকতাম আজকে সন্ধ্যায় ওদের বাসায় বেরাতে গেলেইতো আম্মু জেনে যাবে। আবার ক্লাস ৩-৪ এ পড়ার সময় হুজুরের কাছে আরবী পড়তাম, আমার হুজুর আবার আমার স্কুলের ধর্ম টিচার ছিল। তো পরীক্খার আগে উনি বলত যাও তো বই টা নিয়ে আসো, তারপর আমার ধর্ম খাতায় কিছু প্রশ্ন মার্ক করে দিত বলত এগুলো বেশি ভাল করে পইরো
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওনি তো?
উওম্যানেরটা আমারও অনেক মজা লাগসে। অনেক হাসছি।
হা হা। তাহলে তো ধর্মে তুমি সবসময় হাইয়েস্ট মার্ক পাইতা নিজে কখনও আয়াত বানাওনি?
বাহ্ প্রহরী, তাহলে এইগুলাই প্রহরা দিচ্ছেন..! বেশ !!
হাহ্ হাহ্ হা...!!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নাম যখন প্রহরী, তখন সবকিছুই তো পাহারা দিতেই হবে
ধন্যবাদ রণ'দা।
মারাত্মক পোস্ট
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতায় অনেক মজার মজার লেখা পেয়েছি তার থেকে একটা শেয়ার করি : প্রশ্ন ছিলো স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রসরতার উপর আলোচনা (যতদুর মনে পড়ে)। তো উত্তরদাতা লিখেছে "স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রতিনিয়্ত অগ্রসর হচ্ছে, কেননা আমরা নিয়মিত অনেক মনীষী জন্মদিয়ে চলেছি যেমন বিমানবালা বা এয়ারহোস্টেস"
অনেক ধন্যবাদ তানিয়াপু
- ভাইরে পেটটা ভইরা হাসলাম, ঈমানে কই।
লগে তানিয়ারটা পইড়াও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঈমানে কইলাম- আপনারে পেট ভইরা হাসতে দেইখা আমার "দিলটা গার্ডেন গার্ডেন হয়া গেল" (কপিরাইট: দৃশাপা)
নিজের কোনো মজার অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করেন না রে ভাই!
- মজার অভিজ্ঞতা তো আমি নিজেই। কৃষি বিজ্ঞান আছিলো আমার দুই চোখের বিষ। অই জিনিষের খাতাতে মনের মাধুরী মিশায়া লেইখা লুইখা দিয়া আসতাম। বেশিরভাগই খাইতাম ধরা, চাপাবাজী তে আর কতো পার পাওয়া যায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উফ্, কৃষি বিজ্ঞানের কথা মনে করায়া দিলেন! আমার অবশ্য বেশি চাপাবাজি করা লাগে নাই এই বিষয়ে, কিন্তু পড়তে ভাল্লাগত না, ফালতুর ফালতু একটা সাবজেক্ট!
এই জিনিস তো আমি নিজেই কতবার করছি গার্হস্থ্যবিজ্ঞান আর ইসলামিয়াতের খাতায়।
মাধুরী শ্রীদেবী সব মিশাইয়া দিস্তায় দিস্তায় লিখতাম আর কঠিন নাম্বার পাইতাম। ইসলামিয়াতে বহু কষ্টে খালি একটা আয়াত আরবীতে শিখা যাইতাম আর জায়গা বেজায়গা সব জায়গায় লিখা ভরাই ফেলতাম, ভদ্দরলুক তো আর পইড়া দেখত না, খালি দেখত মাইয়া তো মাশাল্লাহ বহুত জ্ঞানী! সুরা কেরাত লিখা ফাটাইয়া ফেলাইসে। আর গার্হস্থ্যবিজ্ঞানে জায়গায় জায়গায় মূলা-গাজর লতা পাতা, আর খানা খাদ্যের ছবি আঁইকা রঙ্গিলা খাতা জমা দিতাম।
লেখা চ্রম হইছে।
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আপনে তো দেখি সব ওস্তাদের বড় ওস্তাদ
আমি নিজে একটা কাজ করতাম স্কুলে থাকতে। রচনা, ভাব-সম্প্রসারণে অমুক মনীষী এইটা বলসেন, তমুকে এইটা বলসেন.. এইসব মনের মাধুরী-ক্যাটরিনা-সোনম-দীপিকা মিশায়া লিখতাম, আর সবসময় ফাটায়া মার্ক পাইতাম
তবে কখনই দিস্তা দিস্তা লিখতে পারতাম না। আমার হাতের লেখা খুব ছোট তো। এইচএসসি পরীক্ষার হলে আমার আশেপাশে ইনভিজিলেটররা কিছুক্ষণ পরপর ঘুরে ঘুরে আসত, আর খাতার দিকে তাকায়া থাকত। পরিসংখ্যান পরীক্ষার সময় এরকম একজন কিছুক্ষণ আমার লেখা দেখে ধমকায়া উঠল, "হাতের লেখা এমন জিরার গুঁড়ার মতো কেন?" ঝাড়ি খায়া আমি তো তখন কী বলব, বুঝতেসিলাম না
আপনারে চ্রম্র ধ্রন্রব্রাদ্র
আরে ! বিডিআর ভাই দেখি ফাটাফাটি সব ছবি যোগাড় করেছেন। কিছু অবশ্য দেখেছিলাম আগেই কিন্তু এমন মজার জিনিস বারবার দেখলেও পুরানো হয়না।
বুয়েটের এক বন্ধু আমাকে একবার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাধারণ বিজ্ঞান পরীক্ষার খাতা পাঠিয়েছিল স্ক্যান করে। কোত্থেকে পেয়েছিল সে ঠিক জানিনা। পড়তে পড়তে তো আমার অবস্থা খারাপ হাসতে হাসতে। ছবি হিসেবে দিতে পারলে দিয়ে দিতাম। বিডিআর ভাইকে ধন্যবাদ।
-------------------------------------
--------------------------------------------------------
সেটাই, এগুলো বারবার দেখাতেও পুরনো হয় না। আপনার কাছে স্ক্যানড কপিটা থাকলে দিয়ে দেন না এখানে, দেখি। দেখে আমরাও একটু হাসি
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাই ভূঁতের বাচ্চা।
আমার কাছে আসলে পিডিএফ ফাইল হিসাবে আছে। জেপিজিতে কনভার্ট ক্যামনে করুম জানিনা আরকি ! দেখি আপনার ইমেইল যোগাড় করতে পারলে দিমুনে আফনারে।
-------------------------------------
--------------------------------------------------------
একটা বুদ্ধি দেই। পিডিএফ ফাইলটা ওপেন করেন। নরম্যালি তো হ্যান্ড টুল সিলেক্টেড থাকে। আপনি টুলস মেনুতে গিয়ে "স্ন্যাপশট" সিলেক্ট করেন (ক্যামেরার মতো আইকন আছে দেখবেন)। এরপর দেখবেন মাউস পয়েন্টারটা "+ (প্লাস)" সাইনের মতো হয়ে গেছে। যে অংশটুকু সিলেক্ট করতে চান, মাউস চেপে ধরে ড্র্যাগ করে সিলেক্ট করেন। সেটুকু অটোম্যাটিক কপি হয়ে গেল। এরপর "পেইন্ট" ওপেন করেন। সেখানে পেস্ট করেন (কন্ট্রোল + ভি)। তারপর জেপিজি (বা অন্য কোনও) ফরম্যাটে সেভ করেন এবং সেটা আপলোড করে দেন এখানে। সচলায়তনে ছবি কীভাবে দেয়, সেটা তো নিশ্চয়ই জানেন।
মওকা পেয়ে একটু লেকচার দিয়ে ফেললাম আর কী। কিছু মনে করবেন না
ইসলামিয়াত"। অনেকের কাছেই শুনতাম, স্যার নাকি মোটেও পড়ে দেখেন না, শুধু পাতা গুনে মার্কস দেন। তাই যে কোনো প্রশ্নের উত্তরের শুরুতে কিছু একটা লিখে, মাঝে "আল্লাহ্ মহান, ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম" জাতীয় কথা বারবার লিখে দিয়ে আসলেও কোনো ক্ষতি নেই। সত্যি-মিথ্যা জানি না, এক বন্ধু তো বলেই বসল, সে নাকি ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা, সিনেমার কাহিনীসহ যা খুশি তা-ই লিখে এসেছিল একবার। নিজে নিজে অনেক আয়াতও বানিয়েছিল, আর বেশ ভালভাবে পাসও করেছিল।
একবার িহনদুধর্ম পরীক্ষার খাতা য় এক বড় ভাই সংসকৃত পাট এ সাজন সিনেমার গান লেেখ েলটার মার্কস পেয়েেছন ,সত্যি ।
"সাজন" সিনেমার গান লিখে লেটার মার্কস!
বুয়েটে কিছু হিম্যানিটিজের কোর্স পড়তে হয়। এমনই একটা কোর্স ছিল গর্ভমেন্ট। কিছু পোলাপান আছে যারা সায়েন্স পড়েছে একটাই কারনে, ইংরেজীতে লিখা লেখি বেশী নাই। এরকম এক পোলা কার কাছ থেকে শুনল এই সাবজেক্টের টীচাররাও পড়াশোনা করেছেন বাংলা মাধ্যমে। ক্লাস টেস্টে ইংরেজীতে এত বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে না পেরে ধুমসে বাংলায় লেখা শুরু করেছে। ম্যাডাম এসে দেখে সে ঝড়ের বেগে বাংলায় উত্তর লিখে যাচ্ছে। ম্যাডাম কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থেকে বললেন, "এরপর থেকে কিন্তু ইংরেজীতে লিখবা"। ছেলেটাও মুচকি হেঁসে জ্বী ম্যাডাম বলে চালাতে লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হা হা হা। এইটা তো আরো বেশি মজার কাহিনী
এ'টা দেখে আমার একটা মজার ঘটনা মনে পড়লো। আমার এক বন্ধু আছে, সালমান। অসম্ভব রকমের শার্প ছেলে কিন্তু পাগলাটে ধরণের।
বছর খানেক আগে যখন আমাদের কোর্স ছিলো কন্ট্রোল সিস্টেম, তখন আমরা দুইজনই ক্লাসে বিরস বদনে বসে থাকতাম, ক্লাস করতে তেমন ইচ্ছা করতো না। এইদিকে কোর্স টিচার ছিলেন আমাদের এক লিজেন্ডারী বড় ভাই ( যিনি বর্তমানে বার্কেলেতে আছেন)। উনি আমাদের ব্যক্তিগতভাবেই বেশ ভালো মত চিনেন। তাই ক্লাস না করলেও মুশকিল, আবার ক্লাসে বসে লেকচার না তুলে বসে থাকলেও মুশকিল - নাম ধরে ডেকে রসিকতা শুরু করে। তো যাই হোক, উনি কন্ট্রোল সিস্টেমের লুপ-পাথ এসব বোঝাচ্ছেন, আর সালমান তার নিজের মত করে কিছু কাজ করলো। ছবিটার লিঙ্ক এখানে দিলাম, কন্ট্রোল সিস্টেম যারা পড়েছেন তারা হয়তো মজা পাবেন...
http://photos-h.ak.fbcdn.net/photos-ak-snc1/v890/208/23/895150580/n895150580_5028431_3496.jpg
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার কন্ট্রোল সিস্টেম ছিল। এইজন্য আরো বেশি মজা লাগল। আপনার বন্ধু সালমানকে ।
১...
ফার্স্ট ইয়ারে ঢুকার পর ল্যানে এই জিনিস দেখে চেয়ার থেকে পড়ে যাবার দশা হইছিল। মাঝখানে সাইরাইজে ক্লাস নিসিলাম- পোলাপানের কাছে হিট হওয়ার জন্য সাইন, আর ফাইভের টা বোর্ডে আইকা দেখাইছিলাম।
২...
উলটা পালটা আমিও লিখতাম পচুর পরিমানে। একবার ইসলামিয়াত পরীক্ষা। হজ্জ নিয়ে কী জানি একটা বড় প্রশ্ন আসলো। আমি লেখা শুরু করলাম-
হজ্জ মুসলিম উম্মার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। হজ্জে যেতে হলে প্রথমে এয়ারপোর্টে যেতে হয়, তারপর প্লেনে উঠতে হয়। প্লেন থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখা যায়...(আরও কয়েক লাইন)
তারপর আবার পেছনে থেকে লেখা শুরু করলাম- এইভাবে প্রায় তিন চার পাতা। স্যার তাও টের পায় নাই।
৩...
বাংলার মোয়াজ্জেম স্যার একবার ক্লাসে বসে এসএসসির বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখছেন। হঠাৎ করে এক খাতা আমাদের উদ্দেশ্যে মেলে ধরলেন। সেখানে দশ টাকার একটি নোট স্কচটেপ দিয়ে লাগানো। নীচে লেখা- "স্যার প্লিজ আমাকে পাস করিয়ে দিন। তাছাড়া আমার বিয়ে হবে না।"
৪...
অনেক্কিছু মনে পইড়া গেল।
=============================
১...
তুমি তো দেখি বস
২...
হেভি মজা পাইলাম। আমি কখনো এইসব লিখতে পারতাম না। পারি আর না পারি, প্রাসঙ্গিক যা-ই মনে থাকত, তা-ই লিখে দিয়ে আসতাম। তবে তোমার এই মহা উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রশংসা না করলেই না
৩...
যাক, তাইলে আমি একলাই এইসব দেখিনি, তুমিও দেখসো। তবে টাকার ব্যাপারটা নতুন। মজা পাইলাম এইটাতেও
৪...
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মজা লাগল
দুইজন না- একজনও যদি আসত।
কলেজে ক্লাসে বসে স্যার পরীক্ষার খাতা কাটার সময় কারো নাম্বার দেখে ফেললে তাকে নাম্বারটা জানানোর জন্যে রীতিমত যুদ্ধ লেগে যেত। পরীক্ষার রেজাল্ট কিংবা নাম্বার অফিসিয়ালি জানার আগে জেনে যাওয়ার মাঝে অনেক বেশি মজা।
জিনিসপাতি দেইখা ব্যপক আমোদ পাইলাম। কিছু কিছু আগেই ল্যানে দেখছি। জানেনই তো- আইইউটির ল্যান একটা জিনিস।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কী যে কও মিয়া, তোমার সম্পর্কে যা শুনি, তার অর্ধেকও যদি সত্যি হয়, তাইলে তো তোমার একজন দুইজন না, বহু বহুজন নিয়ে হিমশিম খাওয়ার কথা
আসলেই, নাম্বার আগেই জেনে যাওয়ার মধ্যে যে কী মজাই না ছিল!
আইইউটির ল্যান তো পুরাই বসিক! এখন অনেক মিস করি
আইইউটির ল্যান আমিও মিস করি...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আরেকটা মজার কাহিনী মনে পড়লো। লেভেল টু টার্ম ওয়ানে আমাদের ছিলো Sociology। একদিন ক্লাসটেস্টে প্রশ্ন আসলো, ক্যাপিটালাইজেশন কী ?
আমার এক বন্ধু, বেচারা আলাভোলা - অঙ্কে মাথা ভালো আর খেলাধূলার ফ্যান। ও স্বাভাবিকভাবেই পড়ে আসে নি, এইদিকে সারা জীবনেও ক্যাপিটালাইজেশনের নাম শুনেনি।
ও খাতায় লিখলো, অতিরিক্ত উন্নতির ফলে সারা দেশই ক্রমশ রাজধানীর (ক্যাপিটাল ) মত উন্নত হয়ে যাচ্ছে। এরই নাম ক্যাপিটালাইজেশন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হাহাপগে
৬৪/১৬ > ৬ গুলো কেটে দিলে ৪/১
৯৫/১৯ > ৯ গুলো কেটে দিলে ৫/১
...
একটা অংক ক্লাসে এমন অনেক কিছু দেখেছিলাম।
অংক শাস্ত্রে তো দেখি এরা ভয়াবহ দক্ষ
টিচাররা খাতার বান্ডিলের দড়ি খুলে চোখ বন্ধ করে একটা লাত্থি মারেন
যেগুলো উড়ে গিয়ে একেবারে দূরে পড়ে ওগুলোরে দেন ফার্স্ট ক্লাস মার্ক
যেগুলো মাঝামাঝি জায়গায় জড়োসড়ো হয়ে থাকে (বেশিরভাগ) ওগুলোরে দেন সেকেন্ড ক্লাস মার্ক
আর যেগুলো ছেচড়ের মতো বান্ডিলের জায়গায় পড়ে থাকে তার অর্ধেক থার্ড ক্লাস আর অর্ধেক ফেইল
এই হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার স্টাইল
(আমার না। একজন অধ্যাপকের ভাষ্য)
০২
খাতা যে টিচাররা ঠিকমতো দেখে না তার প্রমাণ আমি নিজে
খাতা দেখলে একেকটা ক্লাশ আমাকে আশিবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হতো আমি নিশ্চিত
কারণ আমার আগাগোড়া পলিসিটাই হলো- পরীক্ষার জন্য পড়তে হয় না
খালি লিখতে হয়
তবে সেজন্য হাতের লেখা হতে হবে আমার মতো জঘন্য রকমের খারাপ
যাতে টিচার তার বাপ কেন পোলারে ডেকে এনেও একটা বাক্য কমপ্লিট পড়তে না পারে
আর হিবিজিবি লেখার মাঝখানে সুন্দর করে কিছু সাব হের্ডি জুড়ে দিতে হবে
ব্যাস
০৩
ফিল্মে পড়ার সময় আমার এক টিচার মার্ক ফাইনাল করার আগে প্রতিটা খাতা স্টুডেন্টদের সাথে ডিসকাস করতেন পেন্সিল দিয়ে মার্কিং করে
ওই পরীক্ষার পুরোটাই আমি দিয়েছি গোল্লা পাওয়ার মতো করে
কিন্তু পাতা ফাঁকা নাই আর পাতার মধ্যে সাব হেডিংয়েরও অভাব নাই
আমি জানতাম তিনি খাতা ডিসকাস করবেন
তাই প্রশ্নগুলো পরে পড়ে ঠিকঠাক করে নিলাম
ডিসকাশনের দিন তিনি একেকটা প্যারাগ্রাফ দেখান আর জিজ্ঞেস করেন_ এখানে কী লেখা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি
আমি বিনীতভাবে বলি_ স্যার আমার হাতের লেখা খারাপ তো। তাই বোঝা যাচেছ না। এটা হবে এই এই...
বলে আমি প্রতিটায় সঠিক উত্তরটা দিয়ে যাই আর উনি নম্বর বসিয়ে যান
পরে দেখা গেলো আমি ওই পেপারে সর্বোচ্চা নম্বর পেয়েছি
০৪
নাইন টেনে পড়ার সময় আমাদের এক টিচার এসএসসির গণিতের খাতা আমাদের দুজনকে দিয়ে দেখাতেন
আমাদেরকে একটা নোট বই ধরিয়ে দিয়ে বলতেন খাতার উপর পেন্সিল দিয়ে মার্কিং করতে
তিনি পরে সেগুলো দেখে কলম দাগাতেন
আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভুল অংকগুলা কেটে শুদ্ধ করে দিতাম নোটবই দেখে দেখে
(আফটার অল সিনিয়রদের প্রতি একটা দায়িত্ব আছে না?)
০৫
আমাদের পরিচিত এক ইংরেজি শিক্ষিকা
প্রতিটা খাতা ৫ টাকা রেটে তিনি তার বোনের মেয়েকে দিয়ে দেখান
সেই মেয়েটাও পড়ে ইস্কুলে
একবার খবর পাওয়া গেলো
প্রতি খাতা দুইটাকা রেটে দেখে দেয়ার জন্য ঠিকা দিয়ে দিয়েছে বাসার কাজের বুয়াকে...
লীলেন'দা, প্রথমেই বলি- আপনার যত কাহিনী, আপনি কিন্তু চাইলে এইটা নিয়ে একটা সিরিজও চালু করে ফেলতে পারেন
০১.
আমিও এরকমই শুনেছিলাম। এমনকি আমাদের ইসলামিয়াত কোর্সের টিচার সম্পর্কে শুনেছিলাম তিনি নাকি চোখ বন্ধ করে কয়েকটা খাতা র্যান্ডমলি বেছে নেন, এরপর সেগুলোকে "এ-প্লাস" দিয়ে বাকি সবগুলোতে "এ" দেন।
০২.
০৩.
আপনার বুদ্ধিটা চরম
০৪.
হা হা। আমিও এরকম কাজ করতাম। ওই আন্টি মাঝে মাঝে আমাকে নৈর্ব্যক্তিকের খাতা দেখতে দিতেন। অনেক প্রশ্নের উত্তরে দেখতাম অনেকেই খালি রেখে দিয়েছে, আমি সুন্দর করে সেগুলোর গোল্লা ভরাট করে দিতাম, তারপর খাতা দেখে মার্ক বসাতাম।
০৫.
এইটা পুরাই ক্লাসিক
"প্রতি খাতা দুইটাকা রেটে দেখে দেয়ার জন্য ঠিকা দিয়ে দিয়েছে বাসার কাজের বুয়াকে..."
মডার্ন ফিজিক্সের এক ক্লাসটেস্টে এমন এক প্রশ্ন আসলো কেউ কিচ্ছু পারিনা। মার্কস দেয়ার পর দেখা গেলো আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে ভাল , মাঝারী ভাল, শুধু মাঝারী সবাই জিরো, ২/৩/৭ পেয়েছে। সর্বোচ্চ পেয়েছে এমন একজন অন্যগুলোর সাথে তুলনায় যার নেগেটিভ পাওয়ার কথা। ঘটনা হলো আমরা সবাই যেখানে উত্তর লেখার চেষ্টা করেছি সে সেখানে প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছে। প্রশ্নের আকৃতি ও তার হাতের লেখা দুইটা মিলে এক পৃষ্ঠা হয়ে গেলো। তার প্রাপ্তি ১৪ নাম্বার
আজকে বুঝলাম আমাদের খাতাগুলো কে দেখেছিলো
ইসলামিয়াতের শিক্ষকেরা উত্তরের সাইজ দেখে নাম্বার দেন - সবার ক্ষেত্রে তা সত্যি হয়তো নয়, তবু এই ধারণাটির সত্যতা নিজে পেয়েছি একাধিকবার, শুনেছি অন্যদের মুখেও।
ছবিগুলো আবারও দেখে খুব মজা লাগলো। মানুষের ক্রিয়েটিভিটি আসলেই অসীম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সত্যতা কীভাবে পেলেন - নিজে কখনো ইসলামিয়াতের শিক্ষক হয়ে, নাকি খাতা জুড়ে মনের মাধুরী-ওলগা মিশিয়ে লিখে?
কিঞ্চিৎ অফটপিকে বলি - আপনার বান্ধবীর তালিকায় ওলগা থেকে থাকলে, আমার তরফ থেকে ওকে 'হাই' বলে দিয়েন, আর বলবেন বন্ড গার্ল হিসাবে ওকে আমার বেশ লেগেছে
একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ হিসাবে আপনার পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ সঠিক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
এখানেও হিন্দি ছবির প্রভাবমুক্ত হতে পারলেন না!
যতো ওলগাকে চিনতাম, চিনি এবং চিনবো, সবাইকে আপনার "হাই" যথাসম্ভব গাঢ়- ও গভীরভাবে পৌঁছিয়ে দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
আমি "ক্রিয়েটিভ" মানুষ - ঠিকই বলেছেন। সমস্যা/সিন ক্রিয়েট করতে আমি নিরলস
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হিন্দি ছবির প্রভাব কই দেখলেন রে ভাই! খালি মাধুরীই চোখে পড়ল, ওলগা দেখলেন না? আর আপনার হঠাৎ কেন যে মনে হল আমি হিন্দি ছবির পোকা, তা মাথায় ঢুকছে না
আমি শেষ হিন্দি ছবি দেখেছি কয়েক মাস আগে। আর গত বছরে মনে হয় চার পাঁচটা হিন্দি ছবিও দেখিনি। তাই আপনার ভ্রান্ত ধারণার অবসান হোক।
থাক, অত কষ্ট করতে হবে না আপনাকে, সব ওলগাকে দরকার নাই, বন্ড গার্ল ওলগাকে "হাই" জানালেই হবে (আলগাভাবেই জানায়েন, বেশি নিবিঢ়ভাবে জানানোর দরকার নাই)।
আপনারে তো আজ পর্যন্ত সমস্যা/সিন ক্রিয়েট করতে দেখিনি। তাই মিছামিছি চাপা মাইরেন না। সব ব্যাপারেই কৃতিত্ব দাবি করা ভাল কাজ না, তাহলে আমাদের মতো গরীবদের নিজের বলতে কিছু থাকে না আর
আমাদের সময় এইচ এস সি অর্থনীতি সেকেন্ড পেপারে একটা আলাদা বিভাগ ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা আর তার সম্ভাব্য সমাধান লিখো। হক - রহমানের বই ছিল সে সময় জনপ্রিয়। আমরা পরীক্ষা দিতাম হক - রহমান - তানবীরা। বাংলাদেশে মাশাল্লা সমস্যার অভাব নেই, খালি পয়েন্টের উপড় পয়েন্ট বানানো হইছে কথা। তুই কয়টা দিসিছ ও ১৫টা আমি আঠারোটা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"হক-রহমান-তানবীরা" না বলে "হক-রহমান-তালুকদার" বলেন, বেশি ভালো শোনাবে!
পয়েন্টের কথা বলাতে মনে পড়ল, ছোটবেলায় স্কুলে রচনা লিখতে গেলে যে যতগুলা পারত, পয়েন্ট বাড়াত। বিশ মার্কের রচনায় পোলাপান পারলে বিশটা পয়েন্ট বানায়, যাতে বেশি মার্ক পাওয়া যায়। স্যাররাও সেইরকমই! ঠিকই মার্ক বেশি দিত!
"প্রহরী, তুমি প্রহরী" (চিত্রাঙ্গদা স্মর্তব্য)
খুব হাসলাম, বস। ছবিগুলো কিছু দেখেছিলাম। কিছু নতুন।
কিন্তু সবগুলো একসাথে পেয়ে আবারো ভাল লাগল।
"শুভ'দা, তুমি শুভ'দা" (আপনার মতো করেই বললাম)
ছবিগুলো দেখে আমিও অনেক হেসেছিলাম। আপনার ভাল লাগায় আমারও অনেক ভাল লাগল
আমাদেরও ধর্ম টিচার পাতাগুনে নম্বর দিতেন। তাই ওইখানে বেশি বেশি পাণ্ডিত্য ফলাতে পারতাম। কিন্তু সেইসব পাণ্ডিত্যময় ভাষা আজ আর মনে নাই।
কিসুই মনে নাই?
তাইলে আপনার পান্ডিত্যের নমুনা দেখতাম কিসু
আমার বাবা যেহেতু স্কুল শিক্ষক ছিলেন তাই আমারো খাতা দেখা বিষয়ক দারুন দারুন সব অভিজ্ঞতা আছে।
তবে সবচেয়ে মজার যে ঘটনা সেটা ঘটেছিল আমাদের গ্রামের স্কুলে। আমি ঘটনাটা শুনেছিলাম আমার এক ফুপাতো ভাই-এর কাছে যে কিনা ঐ স্কুলেই পড়তো।
তো তাদের ১ম সাময়িক পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরনের একটা প্রশ্ন ছিল - পদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যেকটির উদাহরন সহ ব্যাখ্যা দাও।
এখন সমস্যা হলো প্রশ্ন পত্রে ছাপার ভুলে প'এর পরে একটা আকার (া) পড়ে গিয়েছিল। শিক্ষকের নির্দেশে সবাই সে শব্দ শুদ্ধ করে পদের প্রকারভেদের উত্তর দিচ্ছিল। কিন্তু এক ছেলে বোধহয় সে আদেশ শুনতে পায়নি। সে ঐ প-এ আকার যুক্ত শব্দকেই শুদ্ধ ধরে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে তার উত্তর লিখে দিল।
সঙ্গাটা ছিল অনেকটা এরকম - যে বায়ু পেটের ভিতর উৎপন্ন হইয়া উপর দিকে যাওয়ার রাস্তা না পাইয়া নিচের দিক দিয়া শব্দ করিয়া অথবা শব্দ ছাড়া বহির হয় উহাকে াদ বলে।
সেই ছেলে উক্ত জিনিসের প্রকার ভেদ উদাহরন সহ আলোচনা করেছিল। তা আর এখানে উল্লেখ করলাম না, বেশি স্থুল হয়ে যেতে পারে ভেবে।
আপনার পোস্ট দারুন হয়েছে। খুব হেসে নিলাম একচোট
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বেসম্ভব মজা পাইলাম
এই কাহিনী পরে কোনো আড্ডায় শোনাতে হবে। থ্যাংকু কীর্তিনাশা ভাই
খাতা দেখা নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি।একবার ইতিহাস পরীক্ষায় শের শাহ সম্পর্কে প্রশ্ন এসেছে, তার কাজকর্ম ও সেই কাজের গুরুত্ব ফলাফল এইসব নিয়ে প্রশ্ন। কেন জানিনা একটা প্রচলিত ধারনা ছিলো ইতিহাসে যে যত বিরাট করে লিখতে পারবে ততই বেশী নম্বর পাবে। তো একজন উত্তরে বিশাল রচনা লিখেছে-শুরু করেছে একেবারে বাল্যকাল থেকে-"শের শাহকে বাল্যকাল হইতেই সকলে খুব ভালোবাসিত। আর ভালোবাসিবে নাই বা কেন? যে যাহা বলিত, তিনি তাহাই করিয়া দিতেন। গ্রামের কোনো বৃদ্ধ হয়তো তাহাকে বলিল-আহা শের, আমাকে ভীমনাগের সন্দেশ আনিয়া দাও। আর কয়দিনই বা বাঁচিবো-খাইয়াই মরি। শুনিয়া শের শাহ তত্ক্ষণাত্ সন্দেশ আনাইয়া বৃদ্ধকে নিজ হস্তে খাওয়াইতেন। ------" এইভাবে এক কাল্পনিক উপন্যাসপ্রায় রচনা চার পাঁচ পাতা!!!
আসলেই, মানুষের প্রতিভা আর কল্পনাশক্তির কোনো শেষ নাই
ভাই রে! কই যাই!
আমার বোন টিচার থাকার সময় তার সঙ্গে বসে কিছু খাতা দেখেছিলাম। সেখানে ইতিহাসের খাতায় ভাস্কো দা গামাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে কত ধরনের ক্রিয়েটিভ লেখাই যে সবার হাত দিয়ে বেরিয়ে এসেছে... সেটা দেখে হাসতে হাসতে কুটোপাটি!
একজনের কথা এখনো খেয়াল আছে। সে লিখেছিল, ভাস্কো দা গামা খুব রাগি মানুষ। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় ভীষণ ঝগড়া হয়। রাগের চোটে জেদি মানুষ ভাস্কো দা গামা যখন দেখলেন, কিছুতেই তার মাথা ঠাণ্ডা হচ্ছে না, তখন তার জাহাজটা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন... তারপর সোজা চলে আসেন ভারতে...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
যাদের মাথায় এসব আসে, তারা তো নিশ্চয়ই কম বুদ্ধিমান না! নইলে এমন কল্পনাশক্তি কোত্থেকে পায়?! আফসোস, এসব প্রতিভার যথার্থ মূল্যায়ন হয় না
এই বিষয় নিয়া হাসাহাসি করেন?
পরীক্ষার খাতায় লেখা প্রেমপত্র নিয়া কিন্তু বাংলা সাহিত্যে বিরাট একটা ঘটনা আছে।
(অনেক চেষ্টাতেও লেখকের নামটা মনে করতে পারতেছি না, গলা পর্যন্ত এসে আটকে আছে, 'ম' দিয়ে শুরু তার নাম)
বঙ্কিমের আমলের সেই বিখ্যাত লেখক... স্ত্রী মারা যাবার পরদিন ছিলো তার পরীক্ষা... অসম্ভব মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনো পরীক্ষাতেই কিছু লিখতে পারলেন না। সবগুলো পরীক্ষাতেই তিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে অনেক কথা লিখলেন, লিখলেন মনের অনেক আবেগ।
পরে সেই লেখাগুলো নিয়ে একটা পুস্তক প্রকাশ হয়। বইটার নাম 'অমর প্রেম'। বইমেলায় গেলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের স্টলে বইটা পাবেন আশা করি। দাম খুবই কম। ছোট্ট অল্প পাতার বই। কিন্তু ভাষা খুবই বঙ্কিমিয়। বইটার সাহিত্যমূল্য বিরাট। বাংলা ক্লাসিক সাহিত্যের অন্যতম এক উদাহরণ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বুঝলাম, আপনি এই পুস্তিকা পড়েই প্রেমপত্র লেখা শিখসেন
আপনার কাছ থেকে নিয়েই পড়ে ফেলবনে এক সময়। তবে আমি তো আপনার মন্তব্য দেখে হতাশ। ভাবলাম নিজের কত কাহিনী শোনাবেন, তা না...
আমি তো মূর্খ মানুষ... পরীক্ষাই দিছি জীবনে অল্প কয়ডা... পরীক্ষার খাতা বিষয়ক কাহিনী আমি কই পামু?
তবে পরীক্ষা না দেওয়া বিষয়ক কাহিনী আমার ম্যালা আছে... আমার পরীক্ষার ইতিহাস ব্যাপক করুণ (ন/ণ ঝামেলায় পতিত হইলাম), তবে সেগুলোর গল্প আমার চেয়ে আমার এক বন্ধু অম্লান বেশি ভালো বলতে পারে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনে কন আর অম্লান কন যেই কন...মাগার কেউ তো একজন কন...অম্লান বদনে কন, কওয়া ভাল ওম্লান বদনে লিখা ফেলান।
......................................................।
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এমনিতেই লোকজন আমারে মূর্খ বলে... তার উপর সেসব বেইজ্জতি কাহিনী লিখলে আমারে আর সচলে ঢুকতে দিবো না কেউ...
ভাইরে... আমি অশিক্ষিত মানুষ... চ্রম অশিক্ষিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@ নজু ভাই
একমাত্র আপনি নিজেই নিজেরে মূর্খ বলেন, এছাড়া আমি কিন্তু আর কারো কাছেই শুনিনি। তাই বেশি ধানাই-পানাই কইরেন না। কাহিনী শোনান। আপনার চ্রম চ্রম কাহিনী সবাই জানতে আগ্রহী
যদি নিজের কাহিনী শোনাতে খুব সমস্যা মনে করেন, তাহলে বলার দরকার নাই। আপনি বরং সৈয়দ দেলগীরের চ্রম কাহিনীগুলা শোনান
ণ-ই ঠিক আছে।
ভাগ্যিস সেই আমলে বুয়েট ছিল না, আর এই ব্যক্তি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন না। বুয়েটে পরীক্ষা দেওয়া আর পুলসিরাত পাড়ি দেওয়া এক ব্যাপার। খাতা দেখতে দেয় না! চ্যালেঞ্জ করলে বলে "আমরা পুণরায় নিরীক্ষা করে দেখেছি যে সব ঠিক আছে"। যেই একটা সিমেস্টার ছিলাম, সেটায় এই ঝামেলায় পড়েছিলাম। অংক পরীক্ষা আজগুবি গ্রেড এলেও কিছু করার ছিল না। রাগে, দুঃখে প্রথম সুযোগেই ভাগলাম।
এখন নিয়ম বদলেছে কীনা জানি না। হয়তো।
বুয়েটে এই অবস্থা ছিল নাকি! যাক, তাহলে তো ভেগে গিয়ে বেঁচে গেছ
এদিক দিয়ে আমাদের তেমন সমস্যা হয়নি কখনও। কারণ ফাইনাল ছাড়া আমাদের বাকি সব পরীক্ষার খাতাই ক্লাসে দেখানো হতো। যোগে ভুল থাকলে, অথবা কোথাও কম মার্ক পেলে, স্যারকে দেখানো যেত। সেটা যদি তিনি যথার্থ মনে করতেন, তাহলে নাম্বার অ্যাডজাস্ট করে দিতেন। তাই সাধারণত কখনই কারো কাছে শুনিনি যে উদ্ভট নাম্বার বা গ্রেড পেয়েছে কেউ।
নতুন মন্তব্য করুন