সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যখন আমরা পা রাখলাম, ঘড়ি জানান দিচ্ছিল দুপুর বারোটা পেরিয়ে গেছে। মাথার উপর সূর্যটা তখন অক্লান্তভাবে মৃদু আঁচের আগুন ঢালছিল, তবে তার সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য ছিল থেকে থেকে ভেসে আসা বেশ জোরালো বাতাস। বেড়ানোর জন্য নিঃসন্দেহে চমৎকার আবহাওয়া। কপালে হালকা ঘামের আভাস পেলেও তেমন একটা গরম অনুভব করছিলাম না, তবে পুলওভার পরে থাকারও কোন কারণ ছিল না। খুলে সেটা হাতে নিয়ে নিলাম। ভেবে ভীষণ অবাক লাগছিল মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেও কী ভয়ংকর কুয়াশা আর ঠাণ্ডার সাথে পাল্লা দিতে হচ্ছিল।
সমুদ্র তখন একদম শান্ত। দেখে মনে হচ্ছিল যেন দিগন্তবিস্তৃত এক সুবিশাল নদী। ছোট ছোট ঢেউ এসে ভাঙছিল জেটির পিলারগুলোতে, তাতে বেঁধে রাখা নৌকা আর স্পীডবোটের গায়ে, বালুঢাকা তীরে। সৈকত জুড়ে সবুজে ছাওয়া সারি সারি নারিকেল গাছ। পাশেই অলস রোদ পোহাচ্ছিল বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানো ছিটানো কিছু মাছধরা নৌকা। ইতস্তত হেঁটে বেড়াচ্ছিল কিছু মানুষ।
নওশাদ ভাই ফোনে আমাদের রিসোর্টের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিল। কথা ছিল জেটিতে নাকি তাদের কেউ একজন অপেক্ষা করবে আমাদের জন্য, ভ্যানের ব্যবস্থা করে দিবে এবং পথ চিনিয়ে নিয়েও যাবে। ঢাকার অফিসে বুকিংয়ের সময় এমনটাই জানিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বীপে পৌঁছানোর পর তাদের কারো কোন নিশানাও দেখা যাচ্ছিল না ত্রিসীমানায়। তাই তাদের অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই রিসোর্ট খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা।
শামীম ভাই, নওশাদ ভাই, বাদল ভাই আর আমার ছিল শুধু কাঁধের ব্যাকপ্যাক। আমার আরেক কলিগ রবিন ভাইয়ের সাথে ছিল বেশ বড়সড় এক স্যুটকেস, যা কি না জামিল ভাই-তন্বী আপু এবং মারুফ ভাই-শান্তা আপু দম্পতিদের স্যুটকেসের সাথে অনায়াসে পাল্লা দেয়ার মতো। মাত্র দু’দিনের জন্য এত বড় স্যুটকেস টেনে আনার কী দরকার ছিল তার, সেটা যেমন এক রহস্য ছিল, তবে সেটার ভেতর এত কী ছিল—তা ছিল আমাদের কাছে আরো অনেক বড় এক রহস্যের ব্যাপার। তবে তা উদঘাটনে কাউকেই তেমন একটা উৎসাহী মনে হলো না কারণ আমাদের সবাইকেই তখন ভীষণ ক্লান্তিতে পেয়ে বসেছিল।
সেন্ট মার্টিনে চলাফেরার একমাত্র বাহন হলো মানুষচালিত তিন চাকার ভ্যান, যার কিছু আবার লাল, নীল, সবুজ নানান রকম রঙে রাঙানো, রোদ থেকে বাঁচার জন্য মাথার উপরে বাহারি নকশা করা কাপড়ের ছাউনিও ছিল। আমাদের দলে ছিলাম আমরা মোট নয়জন। তার মধ্যে দুইজন মেয়ে, এবং তাদের বেশ ভারি স্যুটকেস। তাই কমপক্ষে একটা ভ্যান আমাদের লাগতোই। কিন্তু সেসময় ভ্যান পাওয়া খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। প্রথমত, যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, ভাড়া দিতে হবে একশ টাকা; এবং দ্বিতীয়ত, প্রচুর মানুষের ভিড়ে ভ্যান পাওয়াই মুশকিল ছিল। ভাড়া শুনে প্রচণ্ড অবাক হলেও পরে জানলাম এটাই নাকি নিয়ম, যা অনেকটা জোয়ার-ভাটার মতোই পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। যাত্রী নিয়ে সী-ট্রাক দ্বীপে পৌঁছানোর পর এবং তার ঘন্টা দুই আড়াই পর আবার যাত্রী নিয়ে ফেরত যাবার আগে অঘোষিতভাবে দ্বীপের সমস্ত ভ্যানই এরকম অবিশ্বাস্য ভাড়া দাবী করে। কেউ মানুক না মানুক, ভ্যানে চড়তে চাইলে এই ভাড়াতেই রাজি হতে হবে।
এক পর্যায়ে এসে পাকা রাস্তা দুম করে শেষ হয়ে গেল। ভ্যান আর সামনে যাবে না বলে দিলো। আমরা যার যার ব্যাগ নামিয়ে নিয়ে ভাড়া মিটিয়ে দিলাম। আমাদের দেখে আগ্রহী কিছু স্থানীয় পিচ্চি ছুটে এলো। ওদেরকে জিজ্ঞেস করতে ডানদিকে একটা ডোবার পাশেই ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে সরু পায়েচলা পথ দেখিয়ে জানাল আরো সামনে যেতে হবে। অবিশ্বাসের চোখে একবার ওদিকে তাকিয়ে, নিজেদের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম আমরা, এরপর যার যার ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়লাম ক্ষেতের মাঝে। কিছুদূর যেতেই আরেক সমস্যা দেখা দিলো। বালুতে পা দেবে যাওয়ায় হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তন্বী আপু, শান্তা আপু তাদের স্যান্ডেল খুলে হাতে ঝুলিয়ে নিলো।
আমাদের রিসোর্টের নাম ছিল ‘নীল দিগন্তে’। বেশ মনকাড়া একটা নাম। নামে যেমন, দেখতেও বেশ সুন্দর বলা চলে। ছোট ছোট কিছু কটেজ। দুইজনের রুম যেমন আছে, তেমনি আছে দশ থেকে বারোজন থাকার মতো বড় রুমও। পৌঁছেই আমরা ম্যানেজারের সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম। মাথায় গোল হ্যাট, সাদা টি-শার্ট আর খাকি কোয়ার্টার প্যান্ট পরিহিত রোগা শরীরের ম্যানেজারকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন হুমায়ূন আহমেদের নাটক থেকে উঠে আসা জলজ্যান্ত কোন চরিত্র। তার হাবভাব আর কথাবার্তা শুনে আমরা মুখ টিপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলেও, কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে আমাদের বিরক্তি ও মেজাজ খারাপের মূল কারণ হয়ে দাঁড়াল।
(চলবে)
<< পর্ব – ১
<< পর্ব – ২
<< পর্ব – ৩
মন্তব্য
এতদিন পর এইটা কোথা থেকে বের করলেন?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আসলে হঠাৎ করেই মনে হলো যে এই সিরিজটা আমি শেষ করিনি। কিন্তু শেষ করার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই দীর্ঘ বিরতির পর আবার শুরু করলাম। মূলত নিজের জন্যই লেখা। দারুণ স্মরণীয় সেই ট্যুরের কথা লিখে রাখার উদ্দেশ্যেই আবার সিরিজটা চালু করা। আশা করি আর দু'তিন পর্ব যা-ই লাগুক, এবারে শেষ করে ফেলতে পারব।
আরে শেষ হলে পড়বো বলে বসে আছি কবে থেকে, এবারেও 'চলবে'? কী যে করেন!
আরে তাই নাকি! বলেন কী! সিরিজটা তো বেশ পুরাতন। মাঝখানে বিশাল গ্যাপ পড়ে গেছে। তাও যে সেটা আপনার আগ্রহের তালিকায় আছে, এটা জেনে কৃতজ্ঞ হলাম।
অন্য সব লেখা (হয়তো) বাদ। এবারে এই সিরিজটা শেষ করেই ছাড়ব ঠিক করেছি।
ধন্যবাদ পাঠক ভায়া।
প্রহরী, চা, কফি, কাপচিনো, ফ্রেঞ্চ এন্ড আইরিশ কফি শ্যাষ করে চতুর্থ পর্ব ছাড়লো।
প্রহরী, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমরা এই রিসোর্টটাতে গিয়েছিলাম এবং আমার বেশি পছন্দ হয় নাই। সামনের এই লেকটাতে আমি সাপ দৌড়াতে দেখেছিলাম। এটার পাশেই কিন্তু অবকাশ আর সীমানা পেরিয়ে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি তো গরীব মানুষ। চা-ই পাই না, আবার কফি! তবে এইটা ঠিক, অনেক বেশি দেরিতে এই পর্বটা লিখলাম।
সত্যি বলতে, রিসোর্টটা আমাদেরও খুব বেশি একটা পছন্দ হয়নি। তবে আমি যেহেতু প্রথমবারের মতো গিয়েছিলাম সেন্ট মার্টিনে (মূলত প্রথম সাগর দেখা), তাই আমার চোখে তখন ভালো লাগার সংজ্ঞা পুরোপুরি উল্টে গিয়েছিল। মন খুব খুশি-খুশি ছিল তো, তাই অনেক কিছুই সহজভাবে নিয়েছিলাম। এরপর আবার কখনো গেলে, আমি মোটামুটি নিশ্চিত, নীল দিগন্তে রিসোর্টে আর উঠব না।
আহা, আহা---
ইসস, তোমাদের সাথে যদি যেতে পারতাম----!!!!
আমি দেশে আসলে আরেকবার আমার সাথে যেতে হবে--বুঝেছ??
সত্যিই অনিকেত'দা, আপনি সাথে থাকলে নিশ্চয়ই আরো মজা হতো। ওইরকম অসাধারণ পরিবেশে আপনার গান শুনতাম আমরা সবাই গোল হয়ে বসে। আরো জমতো অনেক।
দেশে আসলে আপনার সাথে আরো একটা জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। সিলেটে আপনার সেই 'বন্ধু' টিলা দেখতে যাব
আধুনিক সেন্টমার্টিন ভ্রমন পড়ে আমার পনের বছর আগের প্রথম সেন্টমার্টিনে পা দেয়ার স্মৃতি মেলানোর চেষ্টা করলাম। কত বদলে গেছে নারিকেল জিঞ্জিরা!!
ছবিগুলো অসাধারন সুন্দর। কত কিছু নতুন নতুন হয়েছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার চমৎকার লেখায় আপনার সেই স্মৃতির কথা পড়েছিলাম।
আসলেই অনেক পরিবর্তন এসেছে এখন নারিকেল জিঞ্জিরাতে। ধীরে ধীরে আরো আসবে। এবং সে পরিবর্তন খুব একটা মঙ্গলজনক হবে না বলেই আমার আশংকা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভাই নীড় সন্ধানী। ভালো থাকবেন।
ছবি গুলা সুন্দর। সেন্টমার্টিনে গেলে আমি ডেরা বাঁধি 'ব্লু মেরীন' এ, ওটাই সম্ভবত সবচাইতে ভালো এখন, সার্ভিস চমৎকার।
...........................
Every Picture Tells a Story
'ব্লু মেরিন' আসলেই অনেক সুন্দর। আমি পরে গিয়েছিলাম এমনি দেখতে। আসলেই দারুণ। এরপর আবার গেলে ওখানেই উঠব।
ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই।
রুম নাম্বার ৩০১, খুব খেয়াল
...........................
Every Picture Tells a Story
মানে, আপনি সবসময় ৩০১ নাম্বার রুমে ওঠেন? এই রুম থেকে দূরে থাকতে হবে?
ছবিগুলা খুবই সুন্দর
প্রহরী ভাই তো দেখি রিপ ভ্যান উইঙ্কেল হয়ে গেছেন। একেকটা পর্ব ১০০ বছর পর পর ছাড়ছেন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
থ্যাংক্যু নাশু ভাই
হা হা হা। আসলেই অনেক দেরি করে ফেললাম এই পর্বটা দিতে। আশা করি পরেরটা আসতে আর ১০০ বছর লাগবে না।
তারপর কী হইছিল। কচ্ছপের প্রজনন হইছিল?
ছবিগুলো সুন্দর।
তারপর কী হইছিল জানতে চোখ রাখুন আপনার নিকটবর্তী প্রেক্ষামনিটরে। আসবে, মহাসমারোহে, খুব শিগগিরই
ধন্যবাদ, দ্রোহী ভাই।
ছবিগুলো সুন্দর৷
লেখাটা শেষ হলে পড়বো ৷
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
থ্যাংকু দমু'দি।
ঠিকাছে
সিরিজটা এ বছরে কী শেষ হবে?
ছবিগুলা জোশ
হা হা হা। বাবুর্চিতে একদিন আমারে খাওয়ান, পুরা কাহিনী বলবনে আপনারে, তাইলে আর কষ্ট করে পড়তে হবে না।
ধন্যবাদ শাহেনশাহ'জী।
রিসোর্টে যাওয়ার পথের দৃশ্য, মানে আপনার ৭ নং ছবিটা দেখে পাগল হয়ে গেলাম রে ভাই। সত্যি দুর্দান্ত।
ওখানে স্থানীয় পিচ্চিগুলোর একটা আমাদের গাইড হয়েছিলো। নাম ছিলো বোধহয় ইমাম হোসেন। হেব্বি স্মার্ট। ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলার আগে কয়, ইসমাইল প্লিজ...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বগুড়া থেকে পাবনা যেতে কয়েক ঘন্টা লাগবে। আমি ফোনে আপনার জন্য হেমায়েতপুরে একটা সীট বুকিং দিলাম। তাড়াতাড়ি বাসে উঠে পড়েন
হুমম, পিচ্চিগুলোকে আবার 'ব্যাটম্যান' নামে ডাকা হয়। শুনে খুব মজা পাইসিলাম। আপনাদের ইমাম হোসেন তো দেখি আসলেই খুব ইশমাট ছিল
অসংখ্য ধন্যবাদ (আপনি জানেন কেন)
খিয়াল কইরা!!!
মিলিটারী অফিসারদের আর্দালিকে কিন্তু 'ব্যাটম্যান' বলা হয়।
তাই নাকি! আমাদের দেশে তো সুপারহিরোর কোনো অভাব নাই দেখি!
পাবনা কেনু ভাইজান?
আপনার আসল ধাম বুঝি?
ফোনে আমার টিকিট বুকিং দিলেন মানে, আপনি কি আগেই চলে গেছেন ওখানে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পাবনাতে অনেক ভালু মানুষও থাকে, 'পাগল'দের সাহায্য সেবা করার জন্য
আমি যদি আগেই ওইখানে চলে যাই, তাইলে ফোনে কেন বুকিং দেব?
সরাসরিই তো দিতে পারতাম। নাহ্, আপনার মাথা সত্যি সত্যিই গেছে। তাড়াতাড়ি বাসে ওঠেন তো!
- রিসোর্টের ফটুক দেখে যাইতে মঞ্চাইতেছে। তবে কোনো সুন্দরী ললনার ফটুক নাই বলে কইষ্যা মাইনাস।
লেখাটা পড়ার সময় আগের একটা পর্বের একটা জায়গার কথা মনে পড়ে গেলো। ঝুঁকে ফটুক তুলতে গিয়ে কোনো এক ললনার বাবা তার মেয়েকে বিডিআরের সাথে পরিচয় করায়ে দিচ্ছে- এ জাতীয় কিছু। হায়রে, এই জীবনে বালিকার বাবা মায়েরা কেবল তাদের বালিকাদের ভয় দেখানোর জন্যই ধুগোর নাম ব্যবহার করলো, ইট্টু ভালোবাসাবাসি করার জন্য পরিচয় করায়ে দিলো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেশে আসেন বস, সবাই মিলে প্ল্যান করে যাওয়া যাবে
সুন্দরী ললনাদের দেখলে তো শুধু দেখতেই ইচ্ছা করে, ছবি তোলার কথা মনেই থাকে না!
আমি তো জানতাম আপনি আধুনিক ক্যাসানোভা, আপনে আবার ললনার সাথে পরিচিত হইতে তার বাপের অপেক্ষায় থাকেন নাকি?
এই পর্ব আসতে এত দেরী হলো কেন?
সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরে 'ঝামেলায়' পড়ছিলেন নাকি?
ছবিতে
হা হা হা। হুমম, আলসেমি ছাড়াও একটু 'ঝামেলা' তো ছিলই
থ্যাংকু
সুন্দর লেখা.. আর কয়েকটা ছবি খুবই ভালো; খছ্ঞ। এর মধ্যে (ছ) টা বেশি ভালো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পিপিদা
ভালো থাইকেন।
কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে কচ্ছপদের সাথে সিরাম কোনো ইন্টারঅ্যাকশনে যান নাই তো আপ্নেরা?!
আমার কিন্তু রিসোর্ট-টা হেব্বি পছন্দ হৈছে!
হ্যাঁ, দেখতেই তো।
থাকলে হয়তো শখ ছুটে যেতো।
আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা পুরোপুরি শুনতে তো মনে হয় আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আবার।
ছবি সবগুলোই অনেক সুন্দর হয়েছে!
আর, লেখা তো সত্যনিষ্ঠ ভদ্রলোক সু-লেখা, যথারীতি।
সেন্টমার্টিনের ছবি তো অন্যান্য নানা উতসেই পাওয়া যাইতো।
সফরকারীদের কোনো ছবিই যে দেখা হৈলো না! দুষ্খু লাগে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা হা। কী হইসিল সেইটা আগামী পর্বেই জানবেন। আশা করি খুব দেরি করব না পরেরটা লিখতে (অন্ততপক্ষে কয়েক মাস তো না-ই!)
'ভদ্রলোক সু-লেখা' কী জিনিস?
সফরকারীদের ফোটুক ইচ্ছা করেই দেইনি। এখানে তো এমনকি সবার নামও পাল্টায়া দিসি। একটা গ্রুপ ছবি আছে অবশ্য আমাদের সবার। আপনাকে পরে কখনো দেখাবনে।
অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। ভালো থাইকেন। কথা হবে
৪ (ঘ) এর ঠোলা ভাইয়েরা না থাকলে
ছবিটা মারাত্মক রঙিন হতো
ছবিলেখার জন্য প্রশংসা প্রদান করা গেল
এবং আরো একটা লেখা শেষ করার কথা মনে করিয়ে দেয়া হলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আসলেই।
লজ্জার সহিত প্রশংসা গ্রহণ করা হইল।
এবং সেই অসমাপ্ত লেখাটার কথাও মাথায় আরেকবার ঢোকানো হইল
ওহ্, মন্তব্যকারীকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রদান করা হইল।
এই কথা তো নিশ্চয়ই এদ্দিনে স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারসো যে আমি মানুষ ভালু না? অন্যদের ফুর্তি টুর্তি আমি বেশ খ্রাপ চোখে দেখি
আমি আবার কোন ভ্রমণকাহিনী হলে, সফরসঙ্গীদের ছবি না দেখে লেখার মান বিচার কর্ত্তে পারি না, অতএব ছবি পোস্টাও/পাঠাও
আমিও অনেকটা আপনার মতোই। আসেন, হাত মেলাই
সফরসঙ্গীদের ছবি দেখে আর কী করবেন বলেন, এই লেখার মান তো এমনিতেই বিচারের অযোগ্য।
ঘুরতে ব্যাপক ফুর্তি করছেন, না?
ব্যাপক। চ্রম।
আসলেই বুড়া লেখক হয়ে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে
হুম... বয়স তো কম হল না তার উপর সামনে শালী যোগের সম্ভাবনা আছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চোখ টাটায়া লাভ নাই রে পাগলা, আমার শালী তোমার পাওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নাই
@রায়হান
হুমম
তারপরও ব্যাখ্যা চাই
নতুন মন্তব্য করুন