সমুদ্র বিলাস (পর্ব – ৫)

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বুধ, ২৭/০৫/২০০৯ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে রাত কাটাতে হবে শুনে অবিশ্বাসে আমাদের সবার চোয়াল আক্ষরিক অর্থেই যেন ঝুলে গেল। এমনিতেই আগের রাত প্রায় নির্ঘুম কেটেছে সবার। সেই সঙ্গে তীব্র ঠান্ডা, কুয়াশা আর রাস্তার ঝাঁকি তো ছিলই। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন—প্রায় ঘণ্টা আড়াইয়ের যাত্রাপথে সী ট্রাকেও তেমন একটা বিশ্রাম মেলেনি কারো। এরপর জুটল সেন্ট মার্টিন পৌঁছে রিসোর্ট খুঁজে বের করার এক মহাকাব্যিক অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে, কামরা-বিষয়ক জটিলতা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র-সদৃশ সেই উদ্ভটদর্শন রিসোর্ট-ম্যানেজারের সাথে তর্কে জড়ানোর ইচ্ছা বা শক্তি, কোনোটাই অবশিষ্ট ছিল না আমাদের।

রিসোর্ট-ম্যানেজারের সাথে শুরুতে নওশাদ ভাইই কথা চালাচ্ছিল। এরপর আমরাও যোগ দিলাম। প্রায় দীর্ঘ সময় কথা চালাচালি শেষে আমরা বলতে গেলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিলাম যে, যে কোনো দুই-তিনজনকে বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে মূল রিসোর্টের পাশেই সৈকত-সংলগ্ন কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে রাত কাটাতে হবে। একে তো দল থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে, তদুপরি নিরাপত্তারও একটা ব্যাপার ছিল। আমরা সম্ভাব্য সবরকম বিকল্প নিয়েই আলোচনা করছিলাম কী করা যেতে পারে, এবং সেগুলোর প্রত্যেকটারই গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা বিচার করে, হয় বিবেচনায় রাখছিলাম নয়ত বাতিল করে দিচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য একটা সমাধানে আসা গেল। তিনটার জায়গায় দুটো কামরা রিসোর্টেই যোগাড় করা গেল বহু কষ্টে—তন্বী আপু আর শান্তা আপু এক কামরায় থাকবে, আর আমরা বাকি সাতজন থাকব বড়ো কামরাটাতে। ‘এক রাতেরই তো ব্যাপার’ ভেবে এবং সবাই কাছাকাছি থাকতে পারব চিন্তা করে কেউই আর দ্বিমত করলাম না। কারণ এরচেয়ে ভাল সমাধান আর কোনভাবেই পাওয়া সম্ভব ছিল না।

কামরার আগের বাসিন্দারা চেক-আউট করা এবং এরপর সেগুলো আবার সাফসুতরো করে আমাদের জন্য বাসযোগ্য করার অসহনীয় সময়টুকুতে আমরা রিসোর্টের খোলা জায়গায় ছাউনি দেয়া খাওয়ার জায়গায় গিয়ে বসলাম। আমাদের ধারণা ছিল রিসোর্টের আশেপাশে খাওয়ার কোনো হোটেল পাওয়া যাবে, তাই রিসোর্টে দুপুরের খাবারের কথা আগে থেকে বলা ছিল না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল আমাদের রিসোর্টের আশেপাশে ক্ষেত, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, একটা স্কুল আর খোলা জায়গা ছাড়া কিছুই নেই। তখন মাথায় নতুন চিন্তা হিসাবে যুক্ত হলো খাওয়ার ব্যাপারটা। উপায়ন্তর না দেখে রিসোর্ট-ম্যানেজারকেই বলা হলো কিছু একটা ব্যবস্থা করতে। কিছুক্ষণ আগের কামরা-সংক্রান্ত ছোটখাট যুদ্ধের পর, আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সে কেন যেন কোনো কথা ছাড়াই রাজি হয়ে গেল।

এর মধ্যেই দারুণ অবাক করা একটা ব্যাপার ঘটে গেল। পকেটের ফোন বেজে উঠতেই ভাবছিলাম কে হতে পারে। স্ক্রীনে দেখি সুপ্রিয় সচল সৈয়দ আখতারুজ্জামান ভাইয়ের নাম। কথা বলে জানা গেল তিনিও সেন্টমার্টিনে আসবেন পরের দিন। উনি যে সী-ট্রাকে আসবেন, সেটাতেই আমরা আবার টেকনাফে ফিরে যাব। সময়ের মারপ্যাঁচে পড়ে, দেখা করার জন্য আমাদের হাতে থাকবে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ, হয়ত আধা ঘণ্টাও না। এত দূরে এসে এরকম পরিচিত একজনের সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে, ভাবতেই খুব ভাল লাগছিল।

এরপর নিজেদের কামরায় গিয়ে হাত-পা ছড়িয়ে বসলাম। সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, হাতমুখ ধুয়ে, খাওয়া শেষ করেই সাগরে নামব আমরা। যতক্ষণ সময় হাতে পাওয়া যায়, দাপাদাপি করব, এবং এরপর সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়ানো, আর রাতে বারবিকিউ। সবকিছু চিন্তা করতেই ক্লান্তি যেন দৌড়ে পালাল। বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। রিসোর্টের এক লোক এসে জানিয়ে গেল খাবার দেয়া হয়েছে। সবজি, কোরাল মাছ আর ডাল দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম আমরা। সবাই অসম্ভব ক্ষুধার্ত ছিলাম, খেলামও বেশ তৃপ্তির সাথে। খাওয়া শেষ হতেই, রিসোর্ট-ম্যানেজার একটা রেজিস্টার খাতা নিয়ে এসে, রেকর্ড রাখার জন্য, আমাদের সবার নাম-ঠিকানা-বয়স-ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে নিলো।

সাগরের কাছে...

ছবি ৫.১ – রিসোর্ট থেকে বেরিয়েই সৈকত


সাধারণত প্রথম যে কোনো কিছুর অভিজ্ঞতাই মনে অনেকদিন দাগ রেখে যায়। সময়ের অন্তরালে অনেক কিছু যেমন চাপা পড়ে যায়, তেমনি অনেক কিছুই মনের গভীরে স্থায়ী আসন করে নেয়। প্রতিনিয়ত চলতে থাকা ভাঙাগড়ার মহোৎসব এবং স্মৃতি-বিস্মৃতির দ্বৈরথে, যে স্মৃতি কখনোই ভুলবার নয়, তা হলো—সৈকতের ভেজা বালুতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে আদিগন্ত সমুদ্রের ফেনিল জলরাশির দিকে কখনো অবাক বিস্ময়ে কখনো শিশুর সরলতায় তাকিয়ে থাকা, হাজার সূর্যের উজ্জ্বলতায় ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের রোদের ছটা বয়ে নিয়ে তীরে এসে পরম মমতায় আলতো করে পা ছুঁয়ে দেয়া, সুবিশাল সাগরের বুক আঁকড়ে থাকা অতিশয় ক্ষুদ্র জলযানের দিকে তাকিয়ে থাকা। এ যেন তেলরঙে আঁকা কোনো চিত্রকর্ম। অসামান্য এক দৃশ্যপট, অপার্থিব এক সৌন্দর্য। প্রকৃতির অসীমতার সামনে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করা যায় আমরা মানুষ কতটা ক্ষুদ্র, কতটা অসহায়; উপলব্ধি করা যায় অস্তিত্বের মাঝে অস্তিত্বহীনতা, অথবা অস্তিত্বহীনতার মাঝে অস্তিত্ব।

রিসোর্টটা দ্বীপের মূল অংশ থেকে একটু আলাদা হওয়ায় একটা সুবিধা অন্তত যেটা পাওয়া গেল, রিসোর্টের ঠিক সাথেই বেশ নির্জন একটা চমৎকার সৈকত ছিল। কোনো এক অজানা কারণে মারুফ ভাই আর শান্তা আপু পানিতে না নামলেও, রিসোর্টের অন্যান্য বেশ অনেকেই আমাদের সাথে পানিতে নেমে পড়েছিল ততক্ষণে—যাদের মধ্যে আমাদের বয়সী কয়েকজনের পাশাপাশি মাঝবয়সী কিছু ভদ্রলোক তো ছিলেনই, এমনকি ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মেয়ে কিংবা মহিলারাও ছিলেন, সবার মধ্যেই ভাবনাহীন আনন্দ আর চাপা উত্তেজনার ছাপ ছিল সুস্পষ্ট। পানি ছিল যেমন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, তেমনই ছিল ঠান্ডা। মাঝে মাঝে উঁচু একেকটা ঢেউ এসে আমাদের গায়ের উপর এসে ভাঙছিল। সময়ের হিসেব ভুলে গিয়ে, সবাই মিলে আমরা অনেকক্ষণ পানিতে কাটালাম।

ঢেউ

ছবি ৫.২ – ঢেউ (১)


সাগরের তীর থেকে...
ছবি ৫.৩ – ঢেউ (২)


আমরা যে সৈকতে নেমেছিলাম, সেখান থেকে প্রায় আধা মাইল দূরে মূল সৈকত, যেখানে লোকের সমাগম অনেক বেশি ঘটে। বাকিরা রিসোর্টে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, আমি, রবিন ভাই আর নওশাদ ভাই ঠিক করলাম মূল সৈকতে গিয়েও কিছুক্ষণ দাপাদাপি করব। সময় বেশ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছিল। তাড়াতাড়ি পা চালালাম আমরা। যাওয়ার পথে চোখে পড়ল বালিতে কাঁকড়ার তৈরি করা বাহারী সব নকশা, বিভিন্ন রঙের সব ছোট ছোট ঝিনুক। দারুণ লাগল দেখতে। বেশ কিছু ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছুটে আসলো আমাদের দিকে, তাদের হাতে ঝিনুকের তৈরি নানানরকম জিনিসপত্র, সুদৃশ্য সব পাথর। আমরা কেউই কেনায় আগ্রহী ছিলাম না। আর দ্বীপের বৈচিত্র্য রক্ষার্থে এমনিতেও এসব বেচাকেনা কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়।

মূল সৈকতে খুব বেশিক্ষণ পানিতে থাকার সময় পেলাম না আমরা। তীর থেকে বেশ দূরে অনেক বড়ো একটা পাথর দেখা যাচ্ছিল, আমরা তিনজন ঠিক করলাম সেই পাথর পর্যন্ত যাব, এরপর ফিরে আসব। কিন্তু সে পর্যন্ত যাওয়াটাও সম্ভব হলো না। সাঁতার জানি না, আর পানিও তখন আমার গলা ছুঁই-ছুঁই করছিল। তীরে ফিরে, ছোট একটা দোকান ছিল, সেখানে বসলাম আমরা। ঠান্ডা কাটানোর জন্য গরম চা খেলাম তিনজন। এরপর আবার পা চালালাম রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। তাড়াতাড়ি গোসল সেরে আবার বেরোবার পরিকল্পনা ছিল, নইলে সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ হবে না।

রিসোর্টে গিয়ে দেখি বাদল ভাই, শামীম ভাই, মারুফ ভাই ইতিমধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছে। নওশাদ ভাই বলল যে সে-ও খুবই ক্লান্ত, তার ঘুম দরকার। শেষ পর্যন্ত রবিন ভাইকে নিয়ে আমি বের হলাম। সৈকতে যেতেই দেখি বেশ অনেক মানুষ। সবাই সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষায়। অনেকেই শেষ মুহুর্তের আলোতে ছবি তোলার কাজ সারছিল। জামিল ভাই আর তন্বী আপুকেও তাদের মধ্যেই পেলাম। আমরাও বেশ অনেক ছবি তুললাম। এক সময় আমাদের কাউকে না জানিয়ে সূর্যটা টুপ করে দূর দিগন্তে সাগরের মধ্যে ডুব দিলো।

সূর্য ডুবছে...

ছবি ৫.৪ – সূর্য ডুবছে অদূরে।


সূর্যপানে...
ছবি ৫.৫ – কী ভাবছে কে জানে!


দার্শনিক!
ছবি ৫.৬ – সাগরতীরে বসে থাকা কোনো এক দার্শনিক!


রবিন ভাই আর আমি ঠিক করলাম জেটি সংলগ্ন বাজারের দিকে যাব। এমনিতেও সন্ধ্যায় রিসোর্টে করার কিছুই ছিল না। তাই যতটা সম্ভব দ্বীপটা ঘুরে দেখতেই আগ্রহ ছিল বেশি। সৈকত ধরে হাঁটতে হাঁটতে শুটকির বাজার চোখে পড়ল। তীব্র গন্ধে টেকা দায়। এক দৌড়ে পার হয়ে গেলাম সে জায়গা। এরপর হঠাৎ করেই সামনে পড়ে গেল ‘সমুদ্র বিলাস’, বহুল আলোচিত হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি। সেই বাড়ির সামনের উঠোন পেরিয়ে, রবিন ভাইয়ের দেখানো পথে চলতে লাগলাম। পথ হারালাম নাকি আমরা, এক পর্যায়ে সে আশংকা হলেও, পরে ঠিকমতোই পাকা রাস্তায় গিয়ে উঠতে পারলাম।

শুটকী'র বাজার
ছবি ৫.৭ – দোকানে সারি সারি শুটকি ঝুলছে।


সমুদ্র বিলাস
ছবি ৫.৮ – হঠাৎ করেই সামনে পড়ে গিয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের ‘সমুদ্র বিলাস’। বেশ অবাক হয়েছিলাম। মজাও পেয়েছিলাম বেশ।


সমুদ্র বিলাস - হু.আহমেদের বাড়ি
ছবি ৫.৯ – সম্পূর্ণ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে, বিখ্যাত এই বাড়িটার ছবি নেয়ার জন্য শাটার টিপতেই দেখি সেখানে মানুষ আছে। জানি না কারা, হয়তবা আমাদের মতোই ঘুরতে গিয়েছিল। এরপর আর দাঁড়াইনি।


বাজারে যাওয়ার পথেই ফোন এলো শামীম ভাইয়ের কাছ থেকে। মাত্রই তার ঘুম ভেঙেছিল। তাকে বললাম নওশাদ ভাইকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাজারের দিকে চলে আসতে। সেখানে আমরা মাছভাজা খাব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সারি সারি সব দোকানে শুধু ছোলা ভাজা, বড়া ভাজা থাকলেও মাছ ভাজা ছিল না। রবিন ভাই বলল সে আগেরবারও যখন এসেছিল, তখন নাকি এমন অবস্থা ছিল না। আমরা দোকানে দোকানে ঘুরে রূপচাঁদা মাছ খুঁজতে থাকলাম। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে এক দোকানে অবশেষে পাওয়া গেল। কিন্তু যে দাম চাইল, তাতে চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। কিছুটা দরদাম করে মাঝামাঝি একটা পর্যায়ে আসা গেল। আমরা টেবিলে গিয়ে বসলাম, ভেতরে তখন মাছ ভাজা চলছিল। মিনিট দশেক অপেক্ষার পর মাছভাজা এলো। দোকানের পিচ্চি ছেলেটাকে বাইরে পাঠালাম ছোলা আর বড়া ভাজা নিয়ে আসতে, মাছের সাথে খাব জন্য। আয়োজন যে বৃথা ছিল না, তা খাওয়ার পর বুঝলাম দু’জনেই। অসম্ভব দারুণ লেগেছিল খেতে।

আমাদের খাওয়া শেষ হতেই নওশাদ ভাইকে নিয়ে শামীম ভাই চলে আসলো। আমরা সবাই মিলে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম বাজারে। ডাব খেলাম। কাছেই ‘ব্লু মেরিন’ রিসোর্ট দেখে সেখানে ঢুকলাম, আমাদের রিসোর্টের তুলনায় রীতিমতো রাজকীয় ব্লু মেরিনের কামরার ভাড়া অনেকটা আমাদের রিসোর্টের ভাড়ার সমান দেখে আফসোসে পুড়লাম। পরদিন ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। নৌকা কোথায় পাওয়া যাবে, স্পীডবোটে গেলে ভাড়া কেমন পড়তে পারে, সেসব বিষয়েও একটু খোঁজখবর নিয়ে রাখলাম।

এরপর ফেরার পথে নওশাদ ভাইয়ের আগ্রহে একটা দোকানে ঢুকলাম আমরা। দোকানে ঢোকার মুখেই আমার হাত আঁকড়ে ধরল শামীম ভাই। কণ্ঠস্বরে চাপা উত্তেজনার আভাস—‘ওই দেখেন দেখেন, আমাদের সী-ট্রাকের সেই সুন্দরী মেয়েটা!’

আরো কিছু ছবিঃ

সাগরের বুকে নৌকা

ছবি ৫.১০ – এই ছবিটা তুলেছিলাম পরদিন সকালে।


সাগরের বুক থেকে...
ছবি ৫.১১ – নৌকা।


সাগরের বুকে নৌকা
ছবি ৫.১২ – আরো একটি নৌকা।


শৈশবের দিনগুলি
ছবি ৫.১৩ – সাগরতীরে খেলছে শিশুর দল...


স্পর্শ
ছবি ৫.১৪ – ভালবাসার স্পর্শ কোথা পাই...


এই পথ যদি না শেষ হয়...
ছবি ৫.১৫ – এই পথ যদি না শেষ হয়...


স্থানীয় ছেলেমেয়েরা
ছবি ৫.১৬ – সাগরের তীরে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা...



(চলবে)


<< পর্ব – ১
<< পর্ব – ২
<< পর্ব – ৩
<< পর্ব – ৪


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

প্রতিনিয়ত চলতে থাকা ভাঙাগড়ার মহোৎসব এবং স্মৃতি-বিস্মৃতির দ্বৈরথে, যে স্মৃতি কখনোই ভুলবার নয়, তা হলো—সৈকতের ভেজা বালুতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে আদিগন্ত সমুদ্রের ফেনিল জলরাশির দিকে কখনো অবাক বিস্ময়ে কখনো শিশুর সরলতায় তাকিয়ে থাকা, হাজার সূর্যের উজ্জ্বলতায় ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের রোদের ছটা বয়ে নিয়ে তীরে এসে পরম মমতায় আলতো করে পা ছুঁয়ে দেয়া, সুবিশাল সাগরের বুক আঁকড়ে থাকা অতিশয় ক্ষুদ্র জলযানের দিকে তাকিয়ে থাকা। এ যেন তেলরঙে আঁকা কোনো চিত্রকর্ম। অসামান্য এক দৃশ্যপট, অপার্থিব এক সৌন্দর্য। প্রকৃতির অসীমতার সামনে দাঁড়িয়ে উপলব্ধি করা যায় আমরা মানুষ কতটা ক্ষুদ্র, কতটা অসহায়; উপলব্ধি করা যায় অস্তিত্বের মাঝে অস্তিত্বহীনতা, অথবা অস্তিত্বহীনতার মাঝে অস্তিত্ব।

কে বলবে এটা ভ্রমন কাহিনী...ভ্রমন্থন যে এভাবে কাব্যরসে মাখিয়ে লেখা যায় বা লিখলেও খেতে লবণ লাগেনা তা আগে জানতাম না!
ছবিগুলোর কথা আর কি বলব! আমার দেখা কক্সবাজারের সেরা ছবি এগুলো।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার দেখা কক্সবাজারের সেরা ছবি এগুলো।

মামুন ভাই এইটা কক্সবাজার না, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মামুন হক এর ছবি

আরে মিয়া পাকনামী করেন হাসি
ছবিগুলা দেখতে দেখতে এত মগ্ন হয়ে গেছিলাম যে কক্সবাজার না সেন্ট মার্টিন তাই ভুলে গেছিলাম, ঈমানে কই...
আর আমি কোন দিন সেন্ট মার্টিন যাই নাই...ভুল কইলেও আমার গুনা নাই

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সেন্ট মার্টিন যান নাই কোনদিন! বলেন কী রে ভাই! এইটা কিন্তু একটা গুনাহ্ করসেন হাসি

এরপর দেশে আসলে সময় করে অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ছবিতে মগ্ন না হয়ে তখন বাস্তবেই মগ্ন হতে পারবেন হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমিও যাই নাই। শুনছি, ঐখানে ডাব খাওন লাগে গেলে। প্ল্যান আছে, বড় হইয়া সেন্ট মার্টিন গিয়া কারো কোলে উইঠা ডাব খামু ডেবডেবাইয়া। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কোলে ওঠার জন্য, আপনার মতো রমণীমোহন ব্যক্তির, ললনার অভাব হবে না নিশ্চিত চোখ টিপি

কারো না কারো শালীরে নিশ্চয়ই পায়া যাবেন ওইখানে গেলে দেঁতো হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

মামুন ভাই এইটা কক্সবাজার না, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

হো হো হো

অবশ্য এক হিসাবে ঠিক আছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হইলো কক্সবাজার জেলায়

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, ঠিক কথা হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামুন ভাই। আপনার ভাল্লাগসে জেনে খুব খুশি হলাম। মাঝে দীর্ঘদিন সিরিজটা বন্ধ রাখসিলাম, আলসেমি করে লেখা হতো না। এরপর আবার নিজের জন্যই লেখা শুরু, কারণ ইচ্ছা ছিল এই একটা সিরিজ অন্তত শেষ করব। আরেকটা কারণ এর আগের শারমীন আপু, রণ'দার মন্তব্য। এবং এবার আপনি - আসলে এ ধরণের মন্তব্যই মাঝপথে লেখা থামাতে দেয় না। হাসি

আমার দেখা কক্সবাজারের সেরা ছবি এগুলো।
কী যে বলেন না! কত বাঘা বাঘা ফটোগ্রাফাররা আছেন এখানে, আমি তো কিছুই না, ছবি তোলার নিয়মও কিছুই জানি না।

ভাল থাইকেন। গরীবের ব্লগে পা রাখার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ। খাইছে

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইবারের ছবিগুলা অনেক পোয়েটিক হইছে। লেখাটাও তাই চলুক

ছবি ৫.৬ এর দার্শনিকেরে কেমন চেনা চেনা লাগে? আমাদের মামুন ভাই নাকি? হাসি

সেন্ট মার্টিনে গিয়ে আমি কেবল মাছ ভাজা আর ডাব খেয়েছি। অন্যকিছু খাইনি। চিপসের মতো মজা করে খেয়েছি ফ্লাইং ফিশ ভাজা আর রাতে খেয়েছিলাম কোরাল মাছের বার্বিকিউ। আহা সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। কাঁকড়া ভাজাও খেয়েছিলাম তবে অতটা জুইতেবল্ লাগে নাই।

এই পর্বটা তো তুলনামূলক তাড়াতাড়িই আসলো। সেই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধইন্যবাদ, নাশু ভাই হাসি

ওইটা কোনো এক দার্শনিক। ইচ্ছা হইল ছবি তুলে ফেললাম খাইছে
আর আমাদের মামুন (হক) ভাই তো কখনো সেন্ট মার্টিনেই যাননি! তাই উনার ছবি হইতেই পারে না‍! চোখ টিপি

পরের পর্ব আসবে অচিরেই। ওইখানে খাইদাইয়ের কথাও থাকবে আশা করি। আরেকবার ধইন্যবাদ আপনারে। ভাল থাইকেন।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

মুখ ফিরিয়ে থাকলেই কী আর নিজের পরিচয় গোপন রয়? লেখাটা চাল্লু। চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী যে বলেন না বস! কে আবার কার পরিচয় গোপন করল! চোখ টিপি

থেংক্যু, মহামান্য 'আইনবিদ' হাসি

তানবীরা এর ছবি

জাহাজ আসার আর লোকদের আসার টাইম জানে রিসোর্টওয়ালারা কিন্তু খাবার রাখে না। আমরাও খাবার নিয়ে দুপুরে সমস্যায় পড়েছিলাম, আলু ভর্তা, ডিম ভাজা আর ডাল খেলাম। যদিও বাজারে যেয়ে খাওয়ার বুদ্ধিটাই মাথায় আসে নাই। পরে প্রত্যেকবার বাজারে খেয়েছি এবং খুব ভালো খেলাম।
বিকেলে বাজারে জিলিপী খাও নাই, জীবন বৃথা তোমার, আমিতো পরদিন আসার সময় সীট্র্যাকে খাওয়ার জন্য আবার কিনে নিয়ে এসেছি।
মানুষযে কি করে যে বেড়াতে যেয়ে দুপুরে ঘুমায় আল্লাহ মালুম।
ছবি দেখবো বাড়ি যেয়ে, অফিস থেকে ছবি দেখা যায় না, তারাও দেয়া যায় না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নাহ্, আপনারে অনেক বুদ্ধিমতী ভাবসিলাম চোখ টিপি
আমরা খাওয়া-দাওয়া সব রিসোর্টেই করসিলাম, কারণ রিসোর্ট থেকে বাজার এতই দূরে যে ওখানে গিয়ে খাওয়া বিশাল ঝামেলার ছিল। তবে পরদিন সকালের নাস্তা বাজারেই করসি, রিসোর্টে করিনি।

হায় হায়, জিলাপী খাওয়া হয় নাই। বলতেছেন? ঠিকাছে, পরেরবার গেলে অবশ্যই খাব। আপনার নাম নিয়া দুইটা না হয় বেশিই খাব দেঁতো হাসি

আমারও কথা এইটাই, বেড়াইতে গেলে কেউ ঘুমায় নাকি! আমি মানুষটা যদিও মহা আইলসা, তারপরও আসল সময়ে টুকটাক মাস্তি ঠিকই করতে পারি, ঘুমটুম বাদ দিয়া।

কী অফিসে চাকরি করেন যে ছবি দেখা যায় না, ফ্লীকার ব্লকড নাকি?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাতাপু'র অপিশ থেকে নাকি কী কী সব সাইট টাইট দেখা হইতো আগে, তাই বড়কর্তা হাবুইট্টা, পাইকারী দরে সব ডট জেপিজি থাকে এমন সাইট দিসে বন্ কইরা। এইটা জাকাজা ইন্টেলিজেন্সের গোপনীয় খবর! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, বলেন কী! কেমন মাছ-মাছ গন্ধ লাগে! চিন্তিত

এই ঘটনা আমাদের তাতা'পু কেন এতদিন গোপন করে গেলেন, সেই সম্পর্কে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ। আপনের ফুসলানিতে আলোকপাত করি, করে তারপর মাইর খাই আরকি!

তাতাপু বিরাট ডেন্ডারাস পারসন। হল্যাণ্ড থেকে আইসা আমারে পিটাইয়া থুইয়া যাবে। এইটাও জাকাজা ইন্টেলের খবর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, এত ডরাইলে হয় নাকি? বইলা ফেলান আসল ব্যাপারটা কী। ঘটনার সাথে তাতাপু'র সম্পৃক্ততা নিয়া মুন্নী সাহার মতো ডেঞ্জারাস একটা রিপোর্ট পেশ করেন তো খাইছে

একখান ফ্রী টিপ (কপালের না, চাপচুপও না চোখ টিপি) দেই: তাতাপু'র পায়ের নাগাল থেকে দূরে থাকবেন সবসময়। উনি খুব ভাল লাইত্থালাইত্থি করতে পারেন বলে শোনা গেছে গোপন সূত্রে দেঁতো হাসি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অসাধারণ সব ছবি! উত্তম জাঝা!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লব'দা। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

বাহ্ প্রহরী ভাই, ভেবেছিলাম শেষ হলে পড়বো কিন্তু ছবিগুলো দেখে আর দেরি করা গেলো না। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, পাঠক'দা হাসি

সমস্যা হলো কম কথায় লেখা সারতে পারি না, তাই এত টানতে হচ্ছে লেখা। নইলে কবেই শেষ হয়ে যেত! ভাবছি, কিছু কিছু জিনিস স্কিপ করে, আর দুই এক পর্বেই শেষ করে দেব।

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার হয়েছে - যেমন ছবি তেমনি লেখা। এইজন্য আপনাকে উত্তম জাঝা!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভুতুম।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনি তো দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার হয়ে উঠেছেন, প্রহরী ! অ্যাঁ
মাইন্ডব্লোয়িং সব ছবি তুলেছেন !!
"সৈকতের ভেজা বালুতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে .....অথবা অস্তিত্বহীনতার মাঝে অস্তিত্ব"
এই প্যারাটা অসাধারণ লাগলো। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি তো দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার হয়ে উঠেছেন, প্রহরী !
অ্যাঁ

লইজ্জা দিলেন খালি খালি, আফামনি মন খারাপ

তারপরও, ধন্যবাদ দিয়ে আর খাটো করলাম না আপনারে চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

আপনার ছবি তুলার হাত যেভাবে দিন কে দিন ভাল হচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে চারুকলার প্রভাব আপনার উপরে বাড়ছে চোখ টিপি
লেখা ভাল লাগছে, পর্ব গুলা আর তাড়াতাড়ি ছাড়লে আর ভাল লাগত হাসি
নাশুদার মত ছবির দার্শনিককে আমারো দেখি চিনাচিনা লাগে চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হৈ ব্যাটা, আবার চারুকলা! রেগে টং

লিখতে আলসেমি লাগে। দেখি, পরের পর্ব লেখা শুরু করতে হবে তাড়াতাড়ি। আর, নাশুদা'র মতো দেখি তুমিও ভুল করলা! হাসি

তোমার খবর কী? কচিকাঁচারা সব ভাল আছে তো?

রায়হান আবীর এর ছবি

বড় ভাই, আরও পাঁচটা পর্ব নামায়ে ফেলেন। জটিল হচ্ছে। চ্রম একটা ভ্রমণ কাহিনির বই হয়ে যাবে।

আর ছবিগুলার কথা কী বললো। অসাধারণ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরো পাঁচটা! ভ্রমণকাহিনীর বই! মাথা ঠিক আছে?‍! কী কও না কও মিয়া। আমি তো কোনমতে শেষ করতে পারলে বাঁচি খাইছে

থেংক্যু। জন্মদিনে ভালই ঘুড্ডি উড়াইলা নিশ্চয়ই? চোখ টিপি

অনিকেত এর ছবি

বস,
অসাধারন লেখা---সাথে অসাধারন সব ছবি!!! ছবির মাঝে ৫.৪,৫.৬,৫.১০ আর ৫.১১ একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর!!

খুব ভাল লাগল!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, অনিকেত'দা। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও যে কী ভীষণ ভাল লাগল! হাসি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

শর্মা খেতে খেতে এই গল্পগুলো শুনলে আরো ভালো লাগবে। ডাকেন না একদিন,শুনি।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। শোনা কথা, ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়! চোখ টিপি

তারচেয়ে চলেন তারেকরে ধরি... ৫০-৫০ ভাগ।

সাইফ এর ছবি

লেখার ধার বেশী না ছবির, এখনও বোঝার চেষ্টা করতেছি, ২ টাই দুর্দান্ত হয়েছে, আসলেও আরো ৫ টা পর্ব নামায় একটা বই বানায় ফালান, ঐটা হবে সেন্ট মার্টিনের শ্রেষ্ঠ ভ্রমনপাঠ্য, প্রহরীদা জিন্দাবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখায় ধার নাই একটুও, এইটা নিশ্চিত। ছবিতে হালকা থাকলেও থাকতে পারে। জায়গাটাই এমন সুন্দর, চোখ বন্ধ করে ক্যামেরায় শাটার টিপলেও দেখবেন ধারালোরকম সুন্দর সব ছবি উঠবে হাসি

বই বানাব আমি! বিশাল লজ্জা পাইলাম রে ভাই লইজ্জা লাগে

আপনার অসম্ভব উদার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুণ!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

রানা মেহের এর ছবি

ছবিগুলোতো জটিল হয়েছে রে
৫.১ আর ৫.১৩ দেখে তো আমি হাবলু হয়ে গেছি
কাহিনীটাও জমেছে হেভি

[চামে চিকনে নিজেরো একটা ছবি ঢুকিয়ে দিলি,না? কামেল ছেলে] দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

৫.১ আর ৫.১৩ দেখে তো আমি হাবলু হয়ে গেছি
যে যা, সে কি সেটা নতুন করে হতে পারে? চোখ টিপি

নিজের ছবি কই দিলাম! নাশুদা আর নিবিড়ের মতো দেখি তোমারও ভুল হচ্ছে! তবে আমি কামেল ছেলে শুনে খুশি হইলাম দেঁতো হাসি

সিরাত এর ছবি

কাহিনী পড়লাম, অফিসে ফ্লিকর ব্লকড হওয়ায় ছবি দেখতে পারলাম না। হয়তো বাসায় গিয়ে দেখবো। কাহিনী ভালই লাগলো, বিশেষ করে দার্শনিক ধরণের প্যারাগুলি। চলুক মামুন ভাইয়ের কোয়োট করা প্যারাটা বেশি ভাল লেগেছে!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভাল লাগল জেনে আমারও অনেক ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

s-s এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগছে এই পর্বে এসে। হয়তো বছের আটেক আগে সেই যাওয়াটাকে মনে করতে পেরে । তখন কিন্তু কব্জি ডুবিয়ে শুধু রূপচাঁদা খেয়েছিলাম, আর সমুদ্রের হাওয়ায় এতো ক্ষিদে বাড়ে যে কি বলবো!! দারূণ অভিজ্ঞতা ছিলো ধূ ধূ সৈকতে গভীর রাতে কানে হেডফোন লাগিয়ে দলছুট এর "কি আমাকে দিয়েছিলে বঙ্গোপসাগর" গানটা হাজার খানিক বার শোনা, অত তারার মধ্যে পুরো গানটার মানেই বদলে যায় --

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

তানবীরা এর ছবি

গানটা জটিল, কার গাওয়া ??

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এইটা একটা প্রশ্ন করলেন তাতা'পু? আসলেই জানেন না কার গাওয়া??!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আহা, আপনার সেই পুরাতন স্মৃতির কিছুটাও যে জাগিয়ে দিতে পেরেছি, তা জেনে লেখাটা সার্থক মনে হচ্ছে। গানটা অনেকদিন পর শুনলাম। অন্যরকম ভাল লাগল। আপনি ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য। হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

লেখা আর ছবিগুলো দেখে মোহিত হয়ে গেলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তীরুদা। খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভাল থাকবেন। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সাঁতার জানেন না?! অ্যাঁ
আর, তা-ও কি না পাথর দেখে টার্গেট করে রওনা দিলেন কলম্বাস! অ্যাঁ অ্যাঁ
আবার গলা-পানি পর্যন্ত চলেও গেছিলেন! অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ
মনে রাখলেন ক্যামনে এতদিন পরে পর্যন্ত এত ডিটেইল! না কি নোট রাখছিলেন লেখার জন্য? হাসি
সত্যিই, এইবার বেশি ভালো লাগলো আরো।
আসোলেই লেখা-ও আগেরগুলোর চে' বেশি পোয়েটিক হয়েছে।
আর, ছবি ৫.৬-এ আমারও চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সাঁতার আসলেই জানি না, কিন্তু এতে এত অবাক হইলেন যে! হুমম, গলা পানিতে চলে গেছিলাম, তবে আরো বহুদূর গেলেও পানি ওই গলা পর্যন্তই থাকত। তারপরও আর ঝুঁকি নেইনি। তীরে ফিরে আসছিলাম। হাসি

নাহ্, নোট রাখিনি। এখনও আমার সব ডিটেইলই মনে আছে বলতে গেলে। আশংকা ছিল, লিখতে গেলে সব গুলায়া ফেলব হয়ত এতদিন পর। কিন্তু দেখলাম যে হালকা দুইএকটা বিষয় বাদ দিলে (যেমন ধরেন, কয়টার সময় রাতের খাবার খাইছিলাম, ছেঁড়া দ্বীপ যাইতে নৌকার ভাড়া কত দিছিলাম, এইসব) সবই প্রায় মনে আছে। হাসি

অনেক ধন্যবাদ, খান ভাই। শুরু থেকেই সাথে আছেন, মূল্যবান মন্তব্য করতেছেন, খুবই খুশি হইছি। ভাল থাইকেন। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সবাই মিলে জাতীয় ষড়যন্ত্র করে আমারে এক্টা খান্ভাই-ই বানায়া দিলেন! মন খারাপ
হ, আমিও জীবনে প্রথম সমুদ্রে যে নামছিলাম পাতায়া'য়, দেখলাম যে গলাপানি অনেকদূর পর্যন্ত গলাপানিই, কিন্তু ঢেউ থাকলে নিঃসাঁতার কারোই রিস্ক নেয়া ঠিক না।
হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

- আপনার নাম?
- খান। সাইফুল আকবর খান।

কী, নিজেরে একটু জেমস বন্ড জেমস বন্ড লাগে না? চোখ টিপি

আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণের কাহিনী আজ পর্যন্তও লিখলেন না! খুব আশা করে ছিলাম লেখাটার জন্য মন খারাপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাবছি, আমার বিয়ার ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কন্ট্রাকটা কী বিডিআর ভাইকে দিমু? চোখ টিপি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সেই কনট্র্যাক্ট যদি হঠাত্ দ্যাও-ও, ভুলেও বিয়া দরবার হলের ধারে-কাছে কইরো না কিন্তু।
ঠাস কইরা গুলিগালাজ শুরু কইরা দিতে পারে তখন! চোখ টিপি
ক্যামেরার বদলে আবার বন্দুক দিয়া শুট করবো অনুকূল পরিবেশ পাইলেই।
খাইছে
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা, মজা পাইলাম। দেঁতো হাসি

তবে সাইফুল ভাই, আমারে এত ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। আমি আপাদমস্তক নিরীহ মানুষ। একটা লাঠিও ভাঙতে পারি না চোখ টিপি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ, সবার সম্পর্কেই তো নিরীহ মানুষই জানতাম ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে পর্যন্ত! খাইছে
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি আবার কী করলাম! ইয়ে, মানে...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পান্থ'দা, এই তাহলে ঘটনা? বিয়ে করবেন জন্যই আজকাল আপনাকে সচলায়তনে দেখা যায় না? এই নিয়েই ব্যস্ততা? তাহলে অনেক অনেক শুভকামান থাকল আপনার জন্য। আর, কন্ট্র্যাক্ট নিয়ে আমরা না হয় পরেই আলোচনা করব চোখ টিপি

কতদিন গল্প-টল্প দেন না... তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন গল্পের ঝাঁপি নিয়ে হাসি

সিরাত এর ছবি

দেখা হল ছবিগুলো! হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পথ যদি না শেষ হয় ছবিটা দেখে মনে পড়লো, ঠিক এইরকম একটা ছবি আমিও তুলছিলাম বছর কয়েক আগে। কিন্তু সেটা এখানে দেওয়া যাবে না, তাইলে পান্থ রেজা হার্টফেল করবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি থাকেন কই আজকাল? ব্যস্ততা শেষ হবে কবে? সচলায়তনে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি মিস করি অনেক।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইহার মানে কী? চিন্তিত

তুলিরেখা এর ছবি

আহ! আ:। আহহহহহহহহহহহ
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মনে হলো যেন অ...নে...ক উপর থেকে পড়ে গেলেন! হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

দারুণ ছবি৷ লেখাও বেশ৷
সেন্ট মার্টিন জায়গাটা খুব সুন্দর না?
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু দমু'দি। জায়গাটা আসলেই সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর, ঠিক যেন ছবির মতো।

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ !!!!!! ছবিগুলো একেবারে ইয়ে!!!!!!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকু দ্রোহী'দা।

ছবিগুলো একেবারে কিয়ে? হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।