কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে রাত কাটাতে হবে শুনে অবিশ্বাসে আমাদের সবার চোয়াল আক্ষরিক অর্থেই যেন ঝুলে গেল। এমনিতেই আগের রাত প্রায় নির্ঘুম কেটেছে সবার। সেই সঙ্গে তীব্র ঠান্ডা, কুয়াশা আর রাস্তার ঝাঁকি তো ছিলই। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন—প্রায় ঘণ্টা আড়াইয়ের যাত্রাপথে সী ট্রাকেও তেমন একটা বিশ্রাম মেলেনি কারো। এরপর জুটল সেন্ট মার্টিন পৌঁছে রিসোর্ট খুঁজে বের করার এক মহাকাব্যিক অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে, কামরা-বিষয়ক জটিলতা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র-সদৃশ সেই উদ্ভটদর্শন রিসোর্ট-ম্যানেজারের সাথে তর্কে জড়ানোর ইচ্ছা বা শক্তি, কোনোটাই অবশিষ্ট ছিল না আমাদের।
রিসোর্ট-ম্যানেজারের সাথে শুরুতে নওশাদ ভাইই কথা চালাচ্ছিল। এরপর আমরাও যোগ দিলাম। প্রায় দীর্ঘ সময় কথা চালাচালি শেষে আমরা বলতে গেলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিলাম যে, যে কোনো দুই-তিনজনকে বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে মূল রিসোর্টের পাশেই সৈকত-সংলগ্ন কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে রাত কাটাতে হবে। একে তো দল থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে, তদুপরি নিরাপত্তারও একটা ব্যাপার ছিল। আমরা সম্ভাব্য সবরকম বিকল্প নিয়েই আলোচনা করছিলাম কী করা যেতে পারে, এবং সেগুলোর প্রত্যেকটারই গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা বিচার করে, হয় বিবেচনায় রাখছিলাম নয়ত বাতিল করে দিচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য একটা সমাধানে আসা গেল। তিনটার জায়গায় দুটো কামরা রিসোর্টেই যোগাড় করা গেল বহু কষ্টে—তন্বী আপু আর শান্তা আপু এক কামরায় থাকবে, আর আমরা বাকি সাতজন থাকব বড়ো কামরাটাতে। ‘এক রাতেরই তো ব্যাপার’ ভেবে এবং সবাই কাছাকাছি থাকতে পারব চিন্তা করে কেউই আর দ্বিমত করলাম না। কারণ এরচেয়ে ভাল সমাধান আর কোনভাবেই পাওয়া সম্ভব ছিল না।
কামরার আগের বাসিন্দারা চেক-আউট করা এবং এরপর সেগুলো আবার সাফসুতরো করে আমাদের জন্য বাসযোগ্য করার অসহনীয় সময়টুকুতে আমরা রিসোর্টের খোলা জায়গায় ছাউনি দেয়া খাওয়ার জায়গায় গিয়ে বসলাম। আমাদের ধারণা ছিল রিসোর্টের আশেপাশে খাওয়ার কোনো হোটেল পাওয়া যাবে, তাই রিসোর্টে দুপুরের খাবারের কথা আগে থেকে বলা ছিল না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল আমাদের রিসোর্টের আশেপাশে ক্ষেত, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, একটা স্কুল আর খোলা জায়গা ছাড়া কিছুই নেই। তখন মাথায় নতুন চিন্তা হিসাবে যুক্ত হলো খাওয়ার ব্যাপারটা। উপায়ন্তর না দেখে রিসোর্ট-ম্যানেজারকেই বলা হলো কিছু একটা ব্যবস্থা করতে। কিছুক্ষণ আগের কামরা-সংক্রান্ত ছোটখাট যুদ্ধের পর, আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সে কেন যেন কোনো কথা ছাড়াই রাজি হয়ে গেল।
এর মধ্যেই দারুণ অবাক করা একটা ব্যাপার ঘটে গেল। পকেটের ফোন বেজে উঠতেই ভাবছিলাম কে হতে পারে। স্ক্রীনে দেখি সুপ্রিয় সচল সৈয়দ আখতারুজ্জামান ভাইয়ের নাম। কথা বলে জানা গেল তিনিও সেন্টমার্টিনে আসবেন পরের দিন। উনি যে সী-ট্রাকে আসবেন, সেটাতেই আমরা আবার টেকনাফে ফিরে যাব। সময়ের মারপ্যাঁচে পড়ে, দেখা করার জন্য আমাদের হাতে থাকবে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ, হয়ত আধা ঘণ্টাও না। এত দূরে এসে এরকম পরিচিত একজনের সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাবে, ভাবতেই খুব ভাল লাগছিল।
এরপর নিজেদের কামরায় গিয়ে হাত-পা ছড়িয়ে বসলাম। সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, হাতমুখ ধুয়ে, খাওয়া শেষ করেই সাগরে নামব আমরা। যতক্ষণ সময় হাতে পাওয়া যায়, দাপাদাপি করব, এবং এরপর সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়ানো, আর রাতে বারবিকিউ। সবকিছু চিন্তা করতেই ক্লান্তি যেন দৌড়ে পালাল। বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। রিসোর্টের এক লোক এসে জানিয়ে গেল খাবার দেয়া হয়েছে। সবজি, কোরাল মাছ আর ডাল দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম আমরা। সবাই অসম্ভব ক্ষুধার্ত ছিলাম, খেলামও বেশ তৃপ্তির সাথে। খাওয়া শেষ হতেই, রিসোর্ট-ম্যানেজার একটা রেজিস্টার খাতা নিয়ে এসে, রেকর্ড রাখার জন্য, আমাদের সবার নাম-ঠিকানা-বয়স-ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে নিলো।
রিসোর্টটা দ্বীপের মূল অংশ থেকে একটু আলাদা হওয়ায় একটা সুবিধা অন্তত যেটা পাওয়া গেল, রিসোর্টের ঠিক সাথেই বেশ নির্জন একটা চমৎকার সৈকত ছিল। কোনো এক অজানা কারণে মারুফ ভাই আর শান্তা আপু পানিতে না নামলেও, রিসোর্টের অন্যান্য বেশ অনেকেই আমাদের সাথে পানিতে নেমে পড়েছিল ততক্ষণে—যাদের মধ্যে আমাদের বয়সী কয়েকজনের পাশাপাশি মাঝবয়সী কিছু ভদ্রলোক তো ছিলেনই, এমনকি ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মেয়ে কিংবা মহিলারাও ছিলেন, সবার মধ্যেই ভাবনাহীন আনন্দ আর চাপা উত্তেজনার ছাপ ছিল সুস্পষ্ট। পানি ছিল যেমন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, তেমনই ছিল ঠান্ডা। মাঝে মাঝে উঁচু একেকটা ঢেউ এসে আমাদের গায়ের উপর এসে ভাঙছিল। সময়ের হিসেব ভুলে গিয়ে, সবাই মিলে আমরা অনেকক্ষণ পানিতে কাটালাম।
মূল সৈকতে খুব বেশিক্ষণ পানিতে থাকার সময় পেলাম না আমরা। তীর থেকে বেশ দূরে অনেক বড়ো একটা পাথর দেখা যাচ্ছিল, আমরা তিনজন ঠিক করলাম সেই পাথর পর্যন্ত যাব, এরপর ফিরে আসব। কিন্তু সে পর্যন্ত যাওয়াটাও সম্ভব হলো না। সাঁতার জানি না, আর পানিও তখন আমার গলা ছুঁই-ছুঁই করছিল। তীরে ফিরে, ছোট একটা দোকান ছিল, সেখানে বসলাম আমরা। ঠান্ডা কাটানোর জন্য গরম চা খেলাম তিনজন। এরপর আবার পা চালালাম রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। তাড়াতাড়ি গোসল সেরে আবার বেরোবার পরিকল্পনা ছিল, নইলে সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ হবে না।
রিসোর্টে গিয়ে দেখি বাদল ভাই, শামীম ভাই, মারুফ ভাই ইতিমধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছে। নওশাদ ভাই বলল যে সে-ও খুবই ক্লান্ত, তার ঘুম দরকার। শেষ পর্যন্ত রবিন ভাইকে নিয়ে আমি বের হলাম। সৈকতে যেতেই দেখি বেশ অনেক মানুষ। সবাই সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষায়। অনেকেই শেষ মুহুর্তের আলোতে ছবি তোলার কাজ সারছিল। জামিল ভাই আর তন্বী আপুকেও তাদের মধ্যেই পেলাম। আমরাও বেশ অনেক ছবি তুললাম। এক সময় আমাদের কাউকে না জানিয়ে সূর্যটা টুপ করে দূর দিগন্তে সাগরের মধ্যে ডুব দিলো।
আমাদের খাওয়া শেষ হতেই নওশাদ ভাইকে নিয়ে শামীম ভাই চলে আসলো। আমরা সবাই মিলে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম বাজারে। ডাব খেলাম। কাছেই ‘ব্লু মেরিন’ রিসোর্ট দেখে সেখানে ঢুকলাম, আমাদের রিসোর্টের তুলনায় রীতিমতো রাজকীয় ব্লু মেরিনের কামরার ভাড়া অনেকটা আমাদের রিসোর্টের ভাড়ার সমান দেখে আফসোসে পুড়লাম। পরদিন ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। নৌকা কোথায় পাওয়া যাবে, স্পীডবোটে গেলে ভাড়া কেমন পড়তে পারে, সেসব বিষয়েও একটু খোঁজখবর নিয়ে রাখলাম।
এরপর ফেরার পথে নওশাদ ভাইয়ের আগ্রহে একটা দোকানে ঢুকলাম আমরা। দোকানে ঢোকার মুখেই আমার হাত আঁকড়ে ধরল শামীম ভাই। কণ্ঠস্বরে চাপা উত্তেজনার আভাস—‘ওই দেখেন দেখেন, আমাদের সী-ট্রাকের সেই সুন্দরী মেয়েটা!’
আরো কিছু ছবিঃ
মন্তব্য
কে বলবে এটা ভ্রমন কাহিনী...ভ্রমন্থন যে এভাবে কাব্যরসে মাখিয়ে লেখা যায় বা লিখলেও খেতে লবণ লাগেনা তা আগে জানতাম না!
ছবিগুলোর কথা আর কি বলব! আমার দেখা কক্সবাজারের সেরা ছবি এগুলো।
মামুন ভাই এইটা কক্সবাজার না, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আরে মিয়া পাকনামী করেন
ছবিগুলা দেখতে দেখতে এত মগ্ন হয়ে গেছিলাম যে কক্সবাজার না সেন্ট মার্টিন তাই ভুলে গেছিলাম, ঈমানে কই...
আর আমি কোন দিন সেন্ট মার্টিন যাই নাই...ভুল কইলেও আমার গুনা নাই
সেন্ট মার্টিন যান নাই কোনদিন! বলেন কী রে ভাই! এইটা কিন্তু একটা গুনাহ্ করসেন
এরপর দেশে আসলে সময় করে অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ছবিতে মগ্ন না হয়ে তখন বাস্তবেই মগ্ন হতে পারবেন
- আমিও যাই নাই। শুনছি, ঐখানে ডাব খাওন লাগে গেলে। প্ল্যান আছে, বড় হইয়া সেন্ট মার্টিন গিয়া কারো কোলে উইঠা ডাব খামু ডেবডেবাইয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোলে ওঠার জন্য, আপনার মতো রমণীমোহন ব্যক্তির, ললনার অভাব হবে না নিশ্চিত
কারো না কারো শালীরে নিশ্চয়ই পায়া যাবেন ওইখানে গেলে
অবশ্য এক হিসাবে ঠিক আছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হইলো কক্সবাজার জেলায়
...........................
Every Picture Tells a Story
হুমম, ঠিক কথা
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামুন ভাই। আপনার ভাল্লাগসে জেনে খুব খুশি হলাম। মাঝে দীর্ঘদিন সিরিজটা বন্ধ রাখসিলাম, আলসেমি করে লেখা হতো না। এরপর আবার নিজের জন্যই লেখা শুরু, কারণ ইচ্ছা ছিল এই একটা সিরিজ অন্তত শেষ করব। আরেকটা কারণ এর আগের শারমীন আপু, রণ'দার মন্তব্য। এবং এবার আপনি - আসলে এ ধরণের মন্তব্যই মাঝপথে লেখা থামাতে দেয় না।
ভাল থাইকেন। গরীবের ব্লগে পা রাখার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
এইবারের ছবিগুলা অনেক পোয়েটিক হইছে। লেখাটাও তাই
ছবি ৫.৬ এর দার্শনিকেরে কেমন চেনা চেনা লাগে? আমাদের মামুন ভাই নাকি?
সেন্ট মার্টিনে গিয়ে আমি কেবল মাছ ভাজা আর ডাব খেয়েছি। অন্যকিছু খাইনি। চিপসের মতো মজা করে খেয়েছি ফ্লাইং ফিশ ভাজা আর রাতে খেয়েছিলাম কোরাল মাছের বার্বিকিউ। আহা সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। কাঁকড়া ভাজাও খেয়েছিলাম তবে অতটা জুইতেবল্ লাগে নাই।
এই পর্বটা তো তুলনামূলক তাড়াতাড়িই আসলো। সেই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেক ধইন্যবাদ, নাশু ভাই
ওইটা কোনো এক দার্শনিক। ইচ্ছা হইল ছবি তুলে ফেললাম
আর আমাদের মামুন (হক) ভাই তো কখনো সেন্ট মার্টিনেই যাননি! তাই উনার ছবি হইতেই পারে না!
পরের পর্ব আসবে অচিরেই। ওইখানে খাইদাইয়ের কথাও থাকবে আশা করি। আরেকবার ধইন্যবাদ আপনারে। ভাল থাইকেন।
মুখ ফিরিয়ে থাকলেই কী আর নিজের পরিচয় গোপন রয়? লেখাটা চাল্লু।
কী যে বলেন না বস! কে আবার কার পরিচয় গোপন করল!
থেংক্যু, মহামান্য 'আইনবিদ'
জাহাজ আসার আর লোকদের আসার টাইম জানে রিসোর্টওয়ালারা কিন্তু খাবার রাখে না। আমরাও খাবার নিয়ে দুপুরে সমস্যায় পড়েছিলাম, আলু ভর্তা, ডিম ভাজা আর ডাল খেলাম। যদিও বাজারে যেয়ে খাওয়ার বুদ্ধিটাই মাথায় আসে নাই। পরে প্রত্যেকবার বাজারে খেয়েছি এবং খুব ভালো খেলাম।
বিকেলে বাজারে জিলিপী খাও নাই, জীবন বৃথা তোমার, আমিতো পরদিন আসার সময় সীট্র্যাকে খাওয়ার জন্য আবার কিনে নিয়ে এসেছি।
মানুষযে কি করে যে বেড়াতে যেয়ে দুপুরে ঘুমায় আল্লাহ মালুম।
ছবি দেখবো বাড়ি যেয়ে, অফিস থেকে ছবি দেখা যায় না, তারাও দেয়া যায় না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নাহ্, আপনারে অনেক বুদ্ধিমতী ভাবসিলাম
আমরা খাওয়া-দাওয়া সব রিসোর্টেই করসিলাম, কারণ রিসোর্ট থেকে বাজার এতই দূরে যে ওখানে গিয়ে খাওয়া বিশাল ঝামেলার ছিল। তবে পরদিন সকালের নাস্তা বাজারেই করসি, রিসোর্টে করিনি।
হায় হায়, জিলাপী খাওয়া হয় নাই। বলতেছেন? ঠিকাছে, পরেরবার গেলে অবশ্যই খাব। আপনার নাম নিয়া দুইটা না হয় বেশিই খাব
আমারও কথা এইটাই, বেড়াইতে গেলে কেউ ঘুমায় নাকি! আমি মানুষটা যদিও মহা আইলসা, তারপরও আসল সময়ে টুকটাক মাস্তি ঠিকই করতে পারি, ঘুমটুম বাদ দিয়া।
কী অফিসে চাকরি করেন যে ছবি দেখা যায় না, ফ্লীকার ব্লকড নাকি?
- তাতাপু'র অপিশ থেকে নাকি কী কী সব সাইট টাইট দেখা হইতো আগে, তাই বড়কর্তা হাবুইট্টা, পাইকারী দরে সব ডট জেপিজি থাকে এমন সাইট দিসে বন্ কইরা। এইটা জাকাজা ইন্টেলিজেন্সের গোপনীয় খবর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে, বলেন কী! কেমন মাছ-মাছ গন্ধ লাগে!
এই ঘটনা আমাদের তাতা'পু কেন এতদিন গোপন করে গেলেন, সেই সম্পর্কে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে
- হ। আপনের ফুসলানিতে আলোকপাত করি, করে তারপর মাইর খাই আরকি!
তাতাপু বিরাট ডেন্ডারাস পারসন। হল্যাণ্ড থেকে আইসা আমারে পিটাইয়া থুইয়া যাবে। এইটাও জাকাজা ইন্টেলের খবর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে, এত ডরাইলে হয় নাকি? বইলা ফেলান আসল ব্যাপারটা কী। ঘটনার সাথে তাতাপু'র সম্পৃক্ততা নিয়া মুন্নী সাহার মতো ডেঞ্জারাস একটা রিপোর্ট পেশ করেন তো
একখান ফ্রী টিপ (কপালের না, চাপচুপও না ) দেই: তাতাপু'র পায়ের নাগাল থেকে দূরে থাকবেন সবসময়। উনি খুব ভাল লাইত্থালাইত্থি করতে পারেন বলে শোনা গেছে গোপন সূত্রে
অসাধারণ সব ছবি!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব'দা।
বাহ্ প্রহরী ভাই, ভেবেছিলাম শেষ হলে পড়বো কিন্তু ছবিগুলো দেখে আর দেরি করা গেলো না।
অনেক ধন্যবাদ, পাঠক'দা
সমস্যা হলো কম কথায় লেখা সারতে পারি না, তাই এত টানতে হচ্ছে লেখা। নইলে কবেই শেষ হয়ে যেত! ভাবছি, কিছু কিছু জিনিস স্কিপ করে, আর দুই এক পর্বেই শেষ করে দেব।
চমৎকার হয়েছে - যেমন ছবি তেমনি লেখা। এইজন্য আপনাকে ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভুতুম।
আপনি তো দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার হয়ে উঠেছেন, প্রহরী !
মাইন্ডব্লোয়িং সব ছবি তুলেছেন !!
"সৈকতের ভেজা বালুতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে .....অথবা অস্তিত্বহীনতার মাঝে অস্তিত্ব"
এই প্যারাটা অসাধারণ লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লইজ্জা দিলেন খালি খালি, আফামনি
তারপরও, ধন্যবাদ দিয়ে আর খাটো করলাম না আপনারে
আপনার ছবি তুলার হাত যেভাবে দিন কে দিন ভাল হচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে চারুকলার প্রভাব আপনার উপরে বাড়ছে
লেখা ভাল লাগছে, পর্ব গুলা আর তাড়াতাড়ি ছাড়লে আর ভাল লাগত
নাশুদার মত ছবির দার্শনিককে আমারো দেখি চিনাচিনা লাগে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হৈ ব্যাটা, আবার চারুকলা!
লিখতে আলসেমি লাগে। দেখি, পরের পর্ব লেখা শুরু করতে হবে তাড়াতাড়ি। আর, নাশুদা'র মতো দেখি তুমিও ভুল করলা!
তোমার খবর কী? কচিকাঁচারা সব ভাল আছে তো?
বড় ভাই, আরও পাঁচটা পর্ব নামায়ে ফেলেন। জটিল হচ্ছে। চ্রম একটা ভ্রমণ কাহিনির বই হয়ে যাবে।
আর ছবিগুলার কথা কী বললো। অসাধারণ...
আরো পাঁচটা! ভ্রমণকাহিনীর বই! মাথা ঠিক আছে?! কী কও না কও মিয়া। আমি তো কোনমতে শেষ করতে পারলে বাঁচি
থেংক্যু। জন্মদিনে ভালই ঘুড্ডি উড়াইলা নিশ্চয়ই?
বস,
অসাধারন লেখা---সাথে অসাধারন সব ছবি!!! ছবির মাঝে ৫.৪,৫.৬,৫.১০ আর ৫.১১ একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর!!
খুব ভাল লাগল!!!
অনেক ধন্যবাদ, অনিকেত'দা। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও যে কী ভীষণ ভাল লাগল!
শর্মা খেতে খেতে এই গল্পগুলো শুনলে আরো ভালো লাগবে। ডাকেন না একদিন,শুনি।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হা হা হা। শোনা কথা, ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়!
তারচেয়ে চলেন তারেকরে ধরি... ৫০-৫০ ভাগ।
লেখার ধার বেশী না ছবির, এখনও বোঝার চেষ্টা করতেছি, ২ টাই দুর্দান্ত হয়েছে, আসলেও আরো ৫ টা পর্ব নামায় একটা বই বানায় ফালান, ঐটা হবে সেন্ট মার্টিনের শ্রেষ্ঠ ভ্রমনপাঠ্য, প্রহরীদা জিন্দাবাদ।
লেখায় ধার নাই একটুও, এইটা নিশ্চিত। ছবিতে হালকা থাকলেও থাকতে পারে। জায়গাটাই এমন সুন্দর, চোখ বন্ধ করে ক্যামেরায় শাটার টিপলেও দেখবেন ধারালোরকম সুন্দর সব ছবি উঠবে
বই বানাব আমি! বিশাল লজ্জা পাইলাম রে ভাই
আপনার অসম্ভব উদার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ!!!
ছবিগুলোতো জটিল হয়েছে রে
৫.১ আর ৫.১৩ দেখে তো আমি হাবলু হয়ে গেছি
কাহিনীটাও জমেছে হেভি
[চামে চিকনে নিজেরো একটা ছবি ঢুকিয়ে দিলি,না? কামেল ছেলে]
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নিজের ছবি কই দিলাম! নাশুদা আর নিবিড়ের মতো দেখি তোমারও ভুল হচ্ছে! তবে আমি কামেল ছেলে শুনে খুশি হইলাম
কাহিনী পড়লাম, অফিসে ফ্লিকর ব্লকড হওয়ায় ছবি দেখতে পারলাম না। হয়তো বাসায় গিয়ে দেখবো। কাহিনী ভালই লাগলো, বিশেষ করে দার্শনিক ধরণের প্যারাগুলি। মামুন ভাইয়ের কোয়োট করা প্যারাটা বেশি ভাল লেগেছে!
ভাল লাগল জেনে আমারও অনেক ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখাটা ভালো লাগছে এই পর্বে এসে। হয়তো বছের আটেক আগে সেই যাওয়াটাকে মনে করতে পেরে । তখন কিন্তু কব্জি ডুবিয়ে শুধু রূপচাঁদা খেয়েছিলাম, আর সমুদ্রের হাওয়ায় এতো ক্ষিদে বাড়ে যে কি বলবো!! দারূণ অভিজ্ঞতা ছিলো ধূ ধূ সৈকতে গভীর রাতে কানে হেডফোন লাগিয়ে দলছুট এর "কি আমাকে দিয়েছিলে বঙ্গোপসাগর" গানটা হাজার খানিক বার শোনা, অত তারার মধ্যে পুরো গানটার মানেই বদলে যায় --
গানটা জটিল, কার গাওয়া ??
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এইটা একটা প্রশ্ন করলেন তাতা'পু? আসলেই জানেন না কার গাওয়া??!!
আহা, আপনার সেই পুরাতন স্মৃতির কিছুটাও যে জাগিয়ে দিতে পেরেছি, তা জেনে লেখাটা সার্থক মনে হচ্ছে। গানটা অনেকদিন পর শুনলাম। অন্যরকম ভাল লাগল। আপনি ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
লেখা আর ছবিগুলো দেখে মোহিত হয়ে গেলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেক ধন্যবাদ তীরুদা। খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভাল থাকবেন।
সাঁতার জানেন না?!
আর, তা-ও কি না পাথর দেখে টার্গেট করে রওনা দিলেন কলম্বাস!
আবার গলা-পানি পর্যন্ত চলেও গেছিলেন!
মনে রাখলেন ক্যামনে এতদিন পরে পর্যন্ত এত ডিটেইল! না কি নোট রাখছিলেন লেখার জন্য?
সত্যিই, এইবার বেশি ভালো লাগলো আরো।
আসোলেই লেখা-ও আগেরগুলোর চে' বেশি পোয়েটিক হয়েছে।
আর, ছবি ৫.৬-এ আমারও
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাঁতার আসলেই জানি না, কিন্তু এতে এত অবাক হইলেন যে! হুমম, গলা পানিতে চলে গেছিলাম, তবে আরো বহুদূর গেলেও পানি ওই গলা পর্যন্তই থাকত। তারপরও আর ঝুঁকি নেইনি। তীরে ফিরে আসছিলাম।
নাহ্, নোট রাখিনি। এখনও আমার সব ডিটেইলই মনে আছে বলতে গেলে। আশংকা ছিল, লিখতে গেলে সব গুলায়া ফেলব হয়ত এতদিন পর। কিন্তু দেখলাম যে হালকা দুইএকটা বিষয় বাদ দিলে (যেমন ধরেন, কয়টার সময় রাতের খাবার খাইছিলাম, ছেঁড়া দ্বীপ যাইতে নৌকার ভাড়া কত দিছিলাম, এইসব) সবই প্রায় মনে আছে।
অনেক ধন্যবাদ, খান ভাই। শুরু থেকেই সাথে আছেন, মূল্যবান মন্তব্য করতেছেন, খুবই খুশি হইছি। ভাল থাইকেন।
সবাই মিলে জাতীয় ষড়যন্ত্র করে আমারে এক্টা খান্ভাই-ই বানায়া দিলেন!
হ, আমিও জীবনে প্রথম সমুদ্রে যে নামছিলাম পাতায়া'য়, দেখলাম যে গলাপানি অনেকদূর পর্যন্ত গলাপানিই, কিন্তু ঢেউ থাকলে নিঃসাঁতার কারোই রিস্ক নেয়া ঠিক না।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
- আপনার নাম?
- খান। সাইফুল আকবর খান।
কী, নিজেরে একটু জেমস বন্ড জেমস বন্ড লাগে না?
আপনার থাইল্যান্ড ভ্রমণের কাহিনী আজ পর্যন্তও লিখলেন না! খুব আশা করে ছিলাম লেখাটার জন্য
ভাবছি, আমার বিয়ার ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কন্ট্রাকটা কী বিডিআর ভাইকে দিমু?
সেই কনট্র্যাক্ট যদি হঠাত্ দ্যাও-ও, ভুলেও বিয়া দরবার হলের ধারে-কাছে কইরো না কিন্তু।
ঠাস কইরা গুলিগালাজ শুরু কইরা দিতে পারে তখন!
ক্যামেরার বদলে আবার বন্দুক দিয়া শুট করবো অনুকূল পরিবেশ পাইলেই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা হা, মজা পাইলাম।
তবে সাইফুল ভাই, আমারে এত ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই। আমি আপাদমস্তক নিরীহ মানুষ। একটা লাঠিও ভাঙতে পারি না
হ, সবার সম্পর্কেই তো নিরীহ মানুষই জানতাম ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে পর্যন্ত!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি আবার কী করলাম!
পান্থ'দা, এই তাহলে ঘটনা? বিয়ে করবেন জন্যই আজকাল আপনাকে সচলায়তনে দেখা যায় না? এই নিয়েই ব্যস্ততা? তাহলে অনেক অনেক শুভকামান থাকল আপনার জন্য। আর, কন্ট্র্যাক্ট নিয়ে আমরা না হয় পরেই আলোচনা করব
কতদিন গল্প-টল্প দেন না... তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন গল্পের ঝাঁপি নিয়ে
দেখা হল ছবিগুলো!
এই পথ যদি না শেষ হয় ছবিটা দেখে মনে পড়লো, ঠিক এইরকম একটা ছবি আমিও তুলছিলাম বছর কয়েক আগে। কিন্তু সেটা এখানে দেওয়া যাবে না, তাইলে পান্থ রেজা হার্টফেল করবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি থাকেন কই আজকাল? ব্যস্ততা শেষ হবে কবে? সচলায়তনে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি মিস করি অনেক।
- হরিপ্পা...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইহার মানে কী?
আহ! আ:। আহহহহহহহহহহহ
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মনে হলো যেন অ...নে...ক উপর থেকে পড়ে গেলেন!
দারুণ ছবি৷ লেখাও বেশ৷
সেন্ট মার্টিন জায়গাটা খুব সুন্দর না?
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
থ্যাংকু দমু'দি। জায়গাটা আসলেই সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর, ঠিক যেন ছবির মতো।
দারুণ !!!!!! ছবিগুলো একেবারে ইয়ে!!!!!!!!
থ্যাংকু দ্রোহী'দা।
ছবিগুলো একেবারে কিয়ে?
নতুন মন্তব্য করুন