• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ভোরের অপেক্ষায়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: শনি, ১৩/০৬/২০০৯ - ৬:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দৌড়াচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে। চারপাশে ঘন জঙ্গল। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা। চুলের সিঁথির মতো সরু একটা আঁকাবাঁকা পথ ধরে দৌড়াচ্ছিলাম। তবে কোথায় কখন যে সেটা হারিয়ে ফেলেছি, টেরও পাইনি। মাঝে মাঝে বিজলী চমকাচ্ছে। বৃষ্টির বেগও বেশ বেড়েছে হঠাৎ করেই। পিচ্ছিল হয়ে আছে চারপাশ। এর মাঝেই কয়েকবার পিছলে পড়েছি। হাত পায়ের চামড়া ছিলে গেছে অনেক জায়গায়। জ্বালা করছে। কিন্তু সেদিকে নজর দেবার মতো অবস্থা নেই, এমনকি কোনো ব্যথাও অনুভব করছি না। পেছনে পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি। বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে মনে হচ্ছে। কারণ গাছের পাতায় বৃষ্টির আওয়াজ আর অবিরাম বজ্রপাতের মাঝেও ছুটন্ত পায়ের আওয়াজ আর উত্তেজিত ফিসফাস শুনতে পাচ্ছি মনে হলো। কেউ যেন খিলখিল করে হেসে উঠল। একটানা দৌড়িয়ে খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। আর কতক্ষণ ধরা না দিয়ে ছুটতে পারব, বুঝতে পারছি না। একবার ধরা পরলে যে কী হবে, ভাবতেই শিউরে উঠলাম! অজান্তেই ছোটার গতি বেড়ে গেল কিছুটা। বুকের ভেতরে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে কেউ। আশেপাশে কোথাও বিকট শব্দে গাছের ডাল ভেঙে পড়ল। কড়াৎ করে বাজ পড়ল আবার। কয়েক মুহুর্তের জন্য দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে গেল চারপাশ। হঠাৎ করেই শিরদাড়া বেয়ে তীব্র ভয়ের ঠান্ডা একটা স্রোত বয়ে গেল। মনে হলো যেন বোধশক্তিহীন কোনো জড় বস্তুতে পরিণত হয়ে গিয়েছি। রাস্তা হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেছে এখানে। জঙ্গল পেছনে ফেলে বেরিয়ে এসেছি খোলা জায়গায়। কয়েক পা সামনেই বিশাল এক খাদ। খাদের গভীরতা বোঝা যায় না। শেষ রক্ষা আর হলো না। যে গতিতে দৌড়াচ্ছিলাম, তাতে করে প্রাণপন চেষ্টা করেও তাল সামলাতে পারলাম না। একদম শেষ মুহুর্তে পা হড়কালো। ততক্ষণে আমি মরিয়া হয়ে চারপাশ হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি যদি কোনো কিছুতে হাতটা আটকায়। বৃথা চেষ্টা। হাতের নখ উপড়ে গেল, কিন্তু তবুও পিছলে যাবার গতি রুখতে পারলাম না। পতন অবধারিত বুঝতে পেরে কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেল ভেতরটা। চিৎকার বেরিয়ে এলো, দুনিয়া কাঁপিয়ে। খাদের অতলে তলিয়ে যাচ্ছি, চারপাশ শূন্য, হাত পা ঝাপটিয়েও ধরার কোনো কিছু পেলাম না। ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি ...

ঠিক এরকম মুহুর্তে চিৎকার দিয়ে ঘুমটা ভেঙে গেল। হাপরের মত ওঠানামা করছে বুক। সারা গা ঘামে জবজব করছে। খুট করে টেবিল ল্যাম্পটা অন করলাম। বিছানার পাশে রাখা ঘড়িতে দেখি রাত সাড়ে তিনটা গড়িয়ে গেছে। দূরে কোথাও বাজ পড়ার শব্দ হলো। বাইরে বেশ ভালরকম ঝড় হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। বাতাসের কানফাটানো শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। জানালাটা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বিকট শব্দে বাড়ি খাচ্ছে।

প্রবল পানির পিপাসা পেয়েছে। হাত বাড়িয়ে গ্লাসটা ধরে দেখি খালি। হঠাৎই মনে পড়ল রানু পানি খেয়েছিল। রানুর কথা মনে পড়তে, ঘাড় ঘুরিয়ে মেঝের দিকে তাকাতেই দেখি নিথর পড়ে আছে ও। টেবিল ল্যাম্পের আলোয় রানুর অবয়ব পুরোপুরি ফুটে ওঠে না। তবুও ওর এলোমেলো চুল আর ফর্সা গলার কাছে লাল হয়ে থাকা হাতের ছাপ যেন স্পষ্ট দেখতে পেলাম। হাতটা জ্বালা করতেই তাকিয়ে দেখি রানুর নখের আঁচড়ের দাগ। অনেক ধস্তাধস্তি করতে হয়েছে। এতটুকুন শরীরে যে কোত্থেকে এত শক্তি পেল ও, কে জানে। তবে শেষ মুহুর্তে বোধহয় বুঝতে পেরেছিল। বাধা দেয়নি আর তেমন। বরং তীব্র অবিশ্বাস নিয়ে কেমন অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। ওর সেই দৃষ্টি এখনো যেন ভেতরে ঘুরপাক পাচ্ছে বেরোবার পথ না পেয়ে, খুঁজে বেড়াচ্ছে বিয়ের সাত বছর পরেও কী এমন ভুলের মাশুল দিতে হলো ওকে।

কাঁপা কাঁপা হাতে সিগারেট ধরালাম একটা। রানুর দিকে অপলক কয়েকটা মুহুর্ত তাকিয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণ আগে দেখা দুঃস্বপ্নের কথা মনে পড়ে গেল। উঠে জানালার পাল্লা বন্ধ করে দিলাম। তাতে শব্দের বেগ কিছুটা কমল। যদিও ততক্ষণে ঘরের ভেতর অনেকখানি ভিজে গেছে। সিগারেটটা কেমন বিস্বাদ লাগছে মুখে। কয়েক টান দিয়েই ফেলে দিলাম।

মাথার ভেতর ভোঁতা একটা অনুভূতি নিয়ে ঘুমাতে গেলাম আবার। ঘুম এলো না আর। প্রবল অস্বস্তি আর চাপা যন্ত্রণা অনুভব করলাম। বুঝলাম বাকি রাতটা নির্ঘুম কাটবে। একবার ভাবলাম উঠে পানি খেয়ে আসব কি না, কিন্তু পরক্ষণেই রাজ্যের ক্লান্তি ভর করল শরীরে, মনে হলো–থাক না, কী দরকার!


মন্তব্য

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঠান্ডা মাথায় কেন খুন করলেন রানুকে? (চিন্তিত)

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এইটা পাঠকের জন্য চিন্তার খোরাক। :-)
আপনে ভাইবা নেন নিজের মতো কইরা কী কারণে খুন করা হইসে রানুরে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সমস্যায় ফালাইলেন। (চিন্তিত)

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনে না মাষ্টোর! আপনার আবার সমস্যা কী! মনের মাধুরী মিশায়া কিছু ভাইবা নেন :-p

শাহান এর ছবি

খুব বড় মাপের লেখকেরা কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক সময় সাইকো সাইকো কান্ডকারখানা ঘটায় .... বি.ডি.আর. তুমিও কি শুরু করলা নাকি? :D

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শাহান, আমি তো (বড় মাপের) লেখক না। তবে মাঝে মাঝে যে কিছু সাইকোগিরি করতে ইচ্ছা করে না, তা কিন্তু না! ;-)

নিডো খায়া অনেক কাজ হচ্ছে তোমার বোঝা গেল। চিন্তাভাবনা দেখি অন্য লেভেলে চলে গেছে। :-p

নিবিড় এর ছবি

শেষ পর্যন্ত আইনের লোক হয়ে নিজেই আইন ভাংলেন (মনখারাপ)


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাংলায় কও! :-s

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জটিল লিখছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থেংক্যু নজু ভাই :-)

গৌতম এর ছবি

আমার মনে হয় লেখক স্বপ্নের ভেতর স্বপ্ন দেখেছেন। চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠার মুহূর্তে আসলে শুরু হয় মূল স্বপ্ন। এর আগেরটা ছিলো মূল স্বপ্নের ভেতরেরই আরেক স্বপ্ন।

প্রশ্ন হলো, বিডিআর এমন স্বপ্ন দেখলো কেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, এইভাবে তো চিন্তা করে দেখিনি! দারুণ বললেন তো! হুমম, এখন মনে হচ্ছে স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন হতে পারে তো ব্যাপারটা।

আমারও প্রশ্ন হলো, এমন স্বপ্ন বিডিআর দেখল কেন? ;-)

ধন্যবাদ গৌতম'দা। ভাল থাকবেন।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হুমমম

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"হুমমম" মানে কী বস? :-p

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আপ্নের ফিউচার টা কইলেন, ঐটা বুঝলাম :D

রেনেট এর ছবি

আপ্নের হইসে কি খোলাসা কইরা কন্তো! সেদিন কারে জানি বিষে নীল করতে চাইলেন, আইজকা আবার কারে জানি মাইরাই ফালাইলেন...

ঘটনা খারাপ (ইয়ে)
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার আসলেই কী যে হইসে! :-(

কয়দিন ধইরা খুন করতে ইচ্ছা করতেছে কাউরে। পার্টনার দরকার। হেল্প করবেন নাকি বস? ;-)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শুরুটা পড়েই মনে হচ্ছিলো এটা স্বপ্ন হতে পারে। স্বপ্নগুলো খুব সংক্ষিপ্ত হয় বলেই কিনা, বাক্যের গঠনও সংক্ষিপ্ত ছিলো। মূল জায়গাটা আসলে গল্পে রানুর আগমনের পর। ওখান থেকে পড়া শুরু করে কেমন যেনো কোনো পরিচিত গল্পের একটা ছায়া খুঁজে পেলাম।

গল্পের বুনট চমৎকার লেগেছে। পড়ার সময় ভিজ্যুয়ালাইজ করছিলাম ঘটনাটা। গল্প মনে হয়নি একদমই। মনে হচ্ছিলো চলমান কোনো দৃশ্য! এর আগের স্বপ্নটাও তাই। এরকম (দুঃ)স্বপ্ন প্রায়শঃই আমার দেখা হয় বলেই কিনা, খুব রিলেট করতে পারলাম।

বিডিআর গল্প লেখায় ভালো করে একটা ট্রাই দিবেন নাকি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ও ধুগো'দা, আপনার কমেন্ট পইড়া লইজ্জা পাইলাম। কিমুন জানি সিরিয়াস সিরিয়াস টোন...! :-p

অনেক ধন্যবাদ বস। আপনার মতামত জেনে খুব ভাল লাগল। খুশি হইলাম। গল্পটা সম্পর্কে বলি।

এই গল্পটার দুঃস্বপ্নের অংশটা আজ থেকে অনেক বছর আগে (মনে হয় ছয়/সাত কি আট বছর) লিখসিলাম। বড় গল্প বা উপন্যাসে রূপ দেয়ার ইচ্ছা ছিল সেটাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেশ অনেকদূর লিখে আমি সেটা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু দুঃস্বপ্নের অংশটা মাথায় গেঁথে গেছিল। এরপর সচলায়তনে লেখালেখি শুরু করার পর অতিথি থাকা অবস্থায় একটা বড়ো গল্প লেখায় হাত দিছিলাম। 'ঘোলা কাচের প্রতিবিম্ব'। সেখানে এই দুঃস্বপ্ন দিয়েই কাহিনী শুরু হয়। সেটাই হঠাৎ করে চোখে পড়ল কয়দিন আগে। গুগলে অন্য একটা লেখা সার্চ করতে গিয়ে নিজের এই লেখাটা পেয়ে যাই। তারপর শুরুর অংশটা নিয়ে একটা ঘষামাজা করে সামান্য বদলিয়ে এই গল্পরূপ দেই। জানি, তেমন আহামরি কিছু হয়নি। তবুও দুঃস্বপ্নের অংশটা আমার নিজেরই ভাবতে বা কল্পনা করতে ভাল লাগে। নিজেও আগে অনেক দুঃস্বপ্ন দেখতাম তো, তাই।

কী যে বলেন, আমি গল্প কেন, কিছুই ঠিকমতো লিখতে পারি না। স্রেফ খোঁচাখুঁচি করি শব্দ নিয়ে। তবুও আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম অনেক। পরবর্তীতে কোনো গল্প লিখতে গেলে আরো যত্নবান ও সচেতন থাকতে হবে। আবারও ধন্যবাদ। :-)

অনিকেত এর ছবি

বস,

গল্পটা বেশ ভাল এগুচ্ছিল।স্ত্রী কে মেরে ফেলে ফেলে আমাদের "হুমা"(হুমায়ুন আহমেদ) এক সময় বিস্তর হাত পাকিয়েছেন। 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ' একটি উদাহরণ।
এই কারণে সমস্যা হয়েছে কী জানো? স্ত্রী কে মেরে ফেললেই মনে হয় খুনী, থুক্কু, লেখক "হুমা"। তোমার স্বপ্নের অংশটুকু আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। মানে, বর্ণনাটা খুব জীবন্ত !! আতঙ্ক, ত্রাস আর অবসাদের ককটেল খুব ভাল হয়ে ঊঠে এসেছে।

কিন্তু গল্পের টার্ণিং পয়েন্ট হল শেষ প্যারাগ্রাফটুকু। আমি জানিনা কতজন আমার সাথে একমত হবেন এইখানে। কিন্তু আমার মতে ঠিক এই জায়গায় তুমি সবার চেয়ে আলাদা একটা জায়গায় গল্পটা কে নিয়ে গেলে। আমার মনে পড়ছে---তোমার আরেকটা গল্পের কথা। সেইটার উপসংহারেও এইরকম একটা মোচড় ছিল।

আরো আসুক, প্রহরী---আমরা দ্বার খুলে অপেক্ষায় আছি----!!

তুলিরেখা এর ছবি

হুমা বলেন নাকি? হি হি হি! :-))

----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমা! আমিও মজা পেলাম :-p

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনিকেত'দা। আপনার এই ধরনের বিস্তারিত মন্তব্য বরাবরই খুব ভাল লাগে।

উপরে ধূগো'দাকে বলা কথাগুলো থেকে গল্পটার কথা কিছুটা জানতে পারবেন। তবে, নতুন করে লিখতে গিয়ে কেন যেন এভাবেই লিখে ফেললাম। কারণ শুধু দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার কথা লিখতে চাইনি, একটু ভিন্ন কিছু যোগ করতে চেয়েছিলাম। তাই আর কী এই বউকে খুন করা। তবে আমার কাছে গল্পের মূল ফোকাস এই খুন না। বরং গল্পের 'আমি'র নির্লিপ্ততা, বা 'আমি'কে ফুটিয়ে তোলাই উদ্দেশ্য ছিল।

লেখার পর, বিশ্বাস করবেন কি না, আমারও 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ'-এর কথাই মনে হয়েছিল। কিন্তু আর বদলাতে ইচ্ছা করল না।

ব্যক্তিগতভাবে আমারও দুঃস্বপ্নের অংশটুকু খুব ভাল্লাগে। কারণটা উপরের মন্তব্যেই বলেছি। আর শেষ প্যারাগ্রাফটুকু আপনার কাছে চমকপ্রদ লেগেছে জেনে খুশি হলাম। চেষ্টা থাকবে, ভবিষ্যতে কিছু লিখলে আরেকটু ভালভাবে, সময় নিয়ে কিছু একটা লিখব।

বরাবরই উৎসাহ প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই প্রশ্রয় আর প্রশংসার কারণেই এইসব লেখার সাহস করতে পারি :-)

আপনার সেই সায়েন্স ফিকশন কিন্তু আজো পেলাম না! :-(

তানবীরা এর ছবি

প্রহরী অভিনন্দন, আস্তে আস্তে পাক্কা হস্ত হচ্ছে। কিন্তু মেরে ফেলে দিয়ে শান্তিতে কেউ ঘুমায় না জানালা খোলা রেখে। আমার মনে হয় প্রহার করে কিংবা "অন্য কিছু" করে মেঝেতে ফেলে রেখেছে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খালি কুচিন্তা, না! 'অন্য কিছু' মানে কী, তাতাপু? পিলিজ, বুঝায়া দাও না! :-D

কিন্তু মেরে ফেলে দিয়ে শান্তিতে কেউ ঘুমায় না জানালা খোলা রেখে।
একমত হইতে পারলাম না। গল্পের আমি কিন্তু 'শান্তিতে' ঘুমায়নি। সে স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন দেখসে। রানুর হাতের খামচিতে হাত জ্বালা করায়, সে স্বপ্নে আছাড় খেয়ে হাত-পা ছিলে যাওয়া দেখসে। জানালা তো বেখেয়ালে খোলা থাকতেই পারে। আর ঘুমটাও তো ক্লান্তিতেও আসতে পারে। মানসিক ধকল বা ধস্তাধস্তিতে শারীরিক ধকলও আছে কিন্তু।

যাই হোক, হস্ত পাক্কা হচ্ছে কি না জানি না, তবে সবার উৎসাহ-অনুপ্রেরণায় নতুন কিছু লেখার আগ্রহ পাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ আপামনি :-)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চুলের সিঁথির মতো সরু একটা আঁকাবাঁকা পথ এই উপমাটা আমার ব্যাপক মনে ধরেছে। আর গল্পটাও খুব ভালো হইছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

উপমাটা প্রথমে ছিল না। পোস্ট দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে মাথায় আসে, তখন এইটা ব্লগ লেখার উইন্ডোতে এডিট করে দেই। আমারও পছন্দের লাইন এইটা।

অনেক ধন্যবাদ, বিস্ময়কর গল্পকার বালক :-)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিস্ময়কর গল্পকার বালক টা আবার কী?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিস্ময়কর কিছু প্রতিভা থাকে না? যাদেরকে 'চাইল্ড প্রডিজি' বলা হয়। অনেকটা সেইরকম। আর আপনার প্রতিভা গল্প লেখাতে বেশি ফুটে ওঠে। তাই বললাম আর কি :-p

মামুন হক এর ছবি

গল্পটা পড়ে মনে হলো পোকার খেলায় খুব দক্ষ, একে একে কয়েকটা কার্ড খেললেন, লোকজনরে ভয় দেখাইলেন, ভুল পথে নিয়া গেলেন, তার পর ক্লাইমেক্স বাড়াইয়া দিয়া লাস্ট বেটের পরিমাণটা অনেক উপ্রে উঠাইয়া দিয়া মজা দেখতে লাগলেন। এখন মাথা খাটাও, কার্ড গুনে দেখ , নাইলে ফোল্ড করে লেখকরে জিতিয়ে দাও।
আমি প্রহরী ব্যাটারে এবার জিতাইয়াই দিলাম :) তার হাতে সম্ভবত রয়্যাল ফ্লাশ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মামুন ভাই, আপনার মন্তব্যটা খুউব খুউব স্পেশাল লাগল। আমার পাওয়া এ যাবতকালের অন্যতম 'স্পেশাল' কমেন্ট। একদম অন্যরকম।

জিতায়া দেওয়ার জন্য অনেক ধইন্যবাদ। আশা করি পরের বার আপনি জিতবেন :-)

অনীক আন্দালিব এর ছবি

লেখার শুরুতে সিঁথির উপমাটি চমৎকার। সাথে বাক্যগুলো যেভাবে গড়ে উঠেছে, তাতে একটা চাপা উড্বেগ টের পাওয়া যায়। এখানে আপনার লেখার দক্ষতা। আবার মাঝামাঝিতে এসে স্ত্রীর ব্যাপারে যে খুনের বিষয়টি, সেটি পুরনো এবং উপস্থাপনায় খুব চমক না থাকলে তা অতটা অন্যরকম হতে পারে না। এখানে আপনি আরো কাজ করতে পারেন।

এমনকি পাঠকের উপরে ছেড়ে দিতে চাইলে, স্ত্রী খুন হয়েছে কি হয়নি সেটাও একটা রহস্য করে রেখে দিতে পারেন। অনেকটা পরাবাস্তবতার আবহ তৈরির চেষ্টা। সেক্ষেত্রে গল্পটা অন্যরকম সৌকর্য পাবে বলেই মনে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, অনীক।

হুমম, স্ত্রীর মৃত্যু অতি পুরাতন, বহুল ব্যবহৃত, বিশেষ করে আমাদের হুমায়ূন আহমেদের কল্যানে আরো বেশি। তাই এই অংশটাতে চাইলে আরো কাজ করা যেত, অন্য কোনোভাবে হয়ত উপস্থাপন করা যেত, অথবা অন্য কোনোভাবে ঘটনা সাজানো যেত।

শেষের কথাগুলোও ভাববার মতো। আপনার মতামত মাথায় থাকল। এই গল্প হয়ত আর নতুন করে লেখা হবে না। তবে পরবর্তীতে কিছু লিখলে, অবশ্যই মাথায় রাখব আপনার কথাগুলো। তারপরেও সীমিত সামর্থ এবং লেখার সীমাবদ্ধতার কারণে ভুলভাল থেকে যাবে হয়ত।

ভাল থাকবেন। আবারও ধন্যবাদ :-)

সাইফ এর ছবি

পতন অবধারিত বুঝতে পেরে কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেল ভেতরটা। চিৎকার বেরিয়ে এলো, দুনিয়া কাঁপিয়ে। খাদের অতলে তলিয়ে যাচ্ছি, চারপাশ শূন্য, হাত পা ঝাপটিয়েও ধরার কোনো কিছু পেলাম না। ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি ..

এইখানটায় এসে আমারও গলা শুকায় গেল, ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন গীটারের ১নং তারের সর্বোচ্চ নোটে সোলো বাজতে ছিল, ভয়ংকর এক অনুভূতি। আপনাকে (জাঝা) ছাড়া আর কিছুই দিতে পারলাম না :( , ভোট দেবার ক্ষমতা নাই :(

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভোট লাগবে না, আপনার মন্তব্যই যথেষ্ট, সাইফ ভাই। আমি গীটার বাজাইতে পারি না, তাই ১ নং তারের সর্বোচ্চ নোট কেমন শোনায়, বলতে পারি না, তবে তা যে যথেষ্ট টেনশন আর উদ্বেগ তৈরি করে, আন্দাজ করলাম :-)

অনেক অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই। ভাল থাইকেন। আর আপনার মাথায় কিলবিল করা সব কাহিনী খুব তাড়াতাড়ি লিখে ফেলেন :-)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হায় হায় আমাদের এমন শান্ত শিষ্ঠ লক্ষী প্রহরী এমন মারামারি লেখা লিখল কিভাবে :s
লেখাটা খুব ভাল লিখস, কিন্তু আরো জানতে ইচ্ছা করতেসে কেন এমন করল?

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শান্তশিষ্ট লক্ষ্মী প্রহরী! হা হা হা। :-))

জানতে চাইলে হবে না তো, মাথা খাটাতে হবে। নিজের মতো করে ভেবে নাও কেন এমনটা করল রানুর সাথে। হয়ত রানুর প্রেমহীন অনুভূতি কষ্ট দিত খুব, হয়ত রানুর কোনো সম্পর্ক ছিল অন্য কারো সাথে, হয়ত গল্পের 'আমি' পরকীয়া করত, হয়ত স্রেফ সাইকোগিরির বশে, হয়ত... আসলে অনেক কিছুই কিন্তু হতে পারে।

অনেকদিন পর কমেন্ট করলা। নিয়মিত হবা আবার, আশা করি। ভাল থাইকো :-)

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পর অতন্দ্র প্রহরীর লেখা গল্প পড়লাম।
এবং মুগ্ধ হলাম... (Y)

আগামীতে আরও গল্প পড়তে চাই।
অভিনন্দন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

(লইজ্জা)

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার। বিশাল ভাল্লাগল। অনুপ্রেরণা দিলেন অনেক। আশা করি চেষ্টা করব ভবিষ্যতে অন্য কোনো গল্প লেখার। :-)

আপনার গল্প অনেকদিন পাই না। প্লিজ লেখেন কিছু।

রায়হান আবীর এর ছবি

সারাক্ষণ শুয়ে থাকায় ইদানিং ব্লগে মন্তব্য করা হয় না তেমন। আজকে উঠে বসার ফাকে জানিয়ে দিয়ে যাই, "কঠিন লিখছেন মিয়া"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এত আইলসা হইলা কবে মিয়া! অলস কমিটির চেয়ারম্যান বানায়া দেয়া উচিত তোমারে! x-(

যাই হোক, ধইন্যবাদ :-)

ফারুক হাসান এর ছবি

অসাধারণ গতিশীল একটা গল্প পড়লাম। (Y) প্রহরীর গল্প আরো পড়তে চাই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে সিরাজী ভাই যে! খুব আফসোস হচ্ছে সেদিন আপনার সাথে দেখা হলো না। যদি জানতাম যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, তাহলে অবশ্যই দেখা করতাম সেদিন আজিজে। মিস হয়ে গেল :-(

গল্পটা আপনার ভাল্লাগছে জেনে খুব খুশি হইলাম। অনেক ধন্যবাদ। ভাল্লাগল অনেক।

আপনার নতুন গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। ভাল থাইকেন।

ফারুক হাসান এর ছবি

আমিও সেদিন মনে মনে আপনাকে খুঁজছিলাম। যাইহোক, গল্প লেখা থামাইয়েন না যেন!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আহারে, বিশাল মিস হয়ে গেল। আশা করি পরের বার অবশ্যই দেখা হবে। ভাল থাইকেন সিরাজী ভাই।

গল্প লেখা চালায়া যাওয়ার চেষ্টা করব :-)

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

:O

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এত অবাক কেন রে ভাই? :-s
মুখটা বন্ধ করেন, পরে না আবার কোনো পোকা ঢুকে যায় ;-)

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

পোকার মায়রে .. . ;)
বুঝেন নাই?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, এইবার বুচ্চি :-p

কীর্তিনাশা এর ছবি

ইদানিং অনেক কিছুই মিস হয়ে যাচ্ছে......... (মনখারাপ)

এই চ্রম গল্পটাও মিস হয়া গেছিল।

প্রহরী ভাই গল্প লেখা থামায়েন না। আপনারে দিয়া হবে, সত্যি কইতাসি (চলুক)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

(লইজ্জা)

থেংক্যু নাশু ভাই :-)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।