গল্প নয়, সত্যি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: শুক্র, ২১/০৮/২০০৯ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


'পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও।'
—হুমায়ুন আজাদ




মাঝরাতে হুট করে ঘুম ভাঙার পর মাথা সহজে কাজ করে না। ঘোর কাটতে সময় লাগে কিছুটা। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে, কুয়াশার মতো পাতলা অন্ধকারে চোখ সইয়ে নিতে নিতে অসময়ে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ খুঁজি। কানের কাছে যান্ত্রিক মৃদু বিজবিজ শব্দ। কম্পিউটার চালিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছি কখন, টের পাইনি। ঘুম কেন ভাঙল, ভেবে পাই না। হয়ত কোনো শব্দ শুনেছি। কিন্তু কিছুক্ষণ কান পেতেও তেমন কিছু কানে আসে না আর। ঘোরের মধ্যেই মনে হয় যেন দূর থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন কথাবার্তার আওয়াজ, উচ্চস্বরে হাসির শব্দ শুনি। কানের মধ্যে বিরক্তিকর একটানা ভোঁ ভোঁ চলতে থাকে। আড়মোড়া ভেঙে পাশ ফিরি। তখনই বিকট শব্দে গান বেজে ওঠে দূরে কোথাও। সেই সাথে অস্পষ্ট হৈ হুল্লোড়। ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণটা বুঝে ফেলি সাথে সাথেই।

মাথার পেছনের টেবিলের উপর রাখা ল্যাম্পটা জ্বালতে গিয়ে হাতে লেগে মাউসটা নড়ে যায়। কট করে শব্দ হয়ে মনিটর চালু হয়ে যায়। কম্পিউটার থেকে ভেসে আসা আবছা আলো নেচে বেড়াতে থাকে ঘর জুড়ে। হাতড়ে খুঁজে পেতে ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করি। ঘরের বাকি তিনটা বিছানা খালি। মনে পড়ে, আজ শুক্রবার। রুমমেটরা সবাই যার যার বাসায়। শুক্র-শনিবারের এই দিন দুটো আমার ভীষণ প্রিয়। বাসায় যাওয়ার উপায় না থাকায়, সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষার প্রহর শেষে নিজের মতো করে সময় কাটানোর এই সুযোগ আমার কাছে একদম অন্যরকম কিছু। একান্তই নিজস্ব।

আমাদের হলের প্রতি তলায় তিনটা করে ব্লক। প্রতি ব্লকে দশটা করে কামরা। পাঁচতলার যে কামরায় আমি থাকি, সেটা প্রথম ব্লকের শেষ মাথায়। এরপর ছোট্ট একটু খোলা জায়গা পেরিয়ে পরের ব্লক শুরু। প্রতি দুই ব্লকের মাঝের এই জায়গাটুকু অনেকেরই খুব প্রিয়। কেউবা অন্ধকারে চুপচাপ সিগারেট টানে, কেউ কথা বলে ফোনে। অথবা দুটোই। আড্ডাও চলে নিয়মিত। সাধারণত পুরো রাত জুড়েই কাউকে না কাউকে সেখানে পাওয়া যায়। তবে সপ্তাহান্তে হাতেগোণা অল্প কিছু ছেলে ছাড়া হলটা ফাঁকা হয়ে যায়। চারপাশে কেমন যেন ভৌতিক এক নিস্তব্ধতা নেমে আসে তখন। জায়গাটাও তখন ফাঁকা থাকে। মাঝে মাঝে আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়াই। গাছের পাতায় সরসর করে বাতাস বয়ে যায়, সেই ফিসফিসানি শুনি। অথবা নিয়ন আলোয় রাস্তার ধারে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা বিড়াল দেখি। মাঝে মাঝে জোরালো বাতাস চুল এলোমেলো করে দেয়। কখনো বৃষ্টি নামে। আনমনা করে দেয়। এই জায়গাটা জুড়ে আমাদের অনেকেরই অনেক দাবি। অনেক মায়া। অসংখ্য টুকরো স্মৃতি। আর ভালোবাসা।

খোলা জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া শব্দের তীব্রতা বাড়তে থাকলে, উঠে পড়ি বিছানা ছেড়ে। টেবিলের এক কোণায় ঝিমাতে থাকা ঘড়িতে দেখি রাত বারোটা পেরিয়ে গেছে। পায়ে স্যান্ডেল গলিয়ে করিডোরে বের হই। এবার আরেকটু জোরে শোনা যায় গানের শব্দ। নিচের রাস্তা থেকে আসছে। তবে আমার ব্লকের পাশের রাস্তা না। শব্দ আসছে তার পরের ব্লকের ওদিক থেকে। কিছু কিছু শব্দও কানে ঢোকে পরিষ্কার করে। 'আজাদী', 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'...

করিডোর পুরোই ফাঁকা। একটা দুটো লাইট জ্বলছে। দ্রুত পা চালাই শব্দের উৎস ধরে। পরের ব্লকের মাঝামাঝি যেতেই নিজের কামরা থেকে বের হয়ে আসে আমার এক বন্ধু। বিকেলেই দেখা হয়েছিল ওর সাথে। সন্ধ্যার পর বাসায় যাবে বলছিল। যায়নি দেখে অবাক হই খানিকটা। আমাকে দেখে এগিয়ে আসে ও। বিকট শব্দের কারণে ওর সিনেমা দেখায় সমস্যার কথা জানায়। কানের হেডফোন ভেদ করে সদলবলে ঢুকে পড়ছিল বেয়ারা শব্দেরা। মেজাজ ভীষণ খারাপ ওর। বুঝতে পারি অবস্থাটা। কী কারণে আমার ঘুম ভেঙেছে, সেটা জানাই ওকে। ফিক করে হেসে ফেলে ও। কথা বলতে বলতেই এগিয়ে যাই আমরা পরের ব্লকের দিকে।

মোটামুটি যা আন্দাজ করেছিলাম, ঠিক তাই। পাঁচতলার উপর থেকে আমরা দেখতে পেলাম, নিচে রাস্তার উপর একদল পাকিস্তানি উল্লাসে উন্মত্ত। কাবলি পরা, কারো কারো মাথায় টুপি। চেয়ারের উপর কম্পিউটার রাখা ছিল একটা। গানের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল এতক্ষণে। নিচতলার কারো কামরা থেকে লম্বা তার টেনে সেটার পাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্পীকারটা বেশ শক্তিশালী মনে হলো। দুমদাম আওয়াজ। উর্দু/পশতু গান। সেই গানের সাথে তাল মিলিয়ে, মাথার উপর হাত তুলে গোল হয়ে নাচছিল ওরা সবাই। সঙ্গে ইচ্ছেমতো হৈ চৈ। দেখেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য ওদের কাণ্ড দেখে মনে হচ্ছিল যেন এই পৃথিবীতে ওরা ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই, থাকতে নেই। রাতটা যেন শুধু ওদের জন্যই বরাদ্দ করা। রাতদুপুরে অন্যের ঘুম নষ্ট করে এমন গানবাজনা আর নাচানাচির রহস্য বুঝতে পারলাম না। তবুও আমরা দু'জন দেখতে থাকি। দেখি আর মেজাজ খারাপ হতে থাকে আমাদের।

আমাদের ভার্সিটিতে পাকিস্তানি ছাত্রের সংখ্যা একেবারে কম ছিল না। লজ্জাজনক হলেও সত্য যে, তাদের বেশ অনেকের সাথেই আবার আমার খুব ভালো পরিচয়ও ছিল। তবে দিন গড়ানোর সাথে সাথে, যতই তাদের স্বরূপ দেখেছি, পিছিয়ে এসেছি। নেহায়েত বোকা মানুষ জন্যই, তা ঘৃণা বা বিতৃষ্ণায় রূপ নিয়েছে অনেক দেরিতে। তবে ওদের সাথে মেলামেশাকে এক অর্থে নিজের জন্যই একটা শিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করেছি। নইলে জানা হতো না এই প্রজন্মের পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে দেখে, অথবা কীভাবে দেখে বাংলাদেশিদের। ছোট পরিসরে হলেও, সেই শিক্ষা থেকে সামগ্রিক একটা ধারণা পেতে অসুবিধা হয়নি খুব বেশি একটা।

রাগ বাড়তে বাড়তে সাধারণত একটা পর্যায়ে আর সেটা রাগ থাকে না, অসহায়ত্বে পরিণত হয়। আমাদের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকমই। বন্ধু নির্বিচারে ওর ভাণ্ডার থেকে বেছে বেছে গালি বের করতে থাকে। বিরক্তি প্রকাশ করে। আমিও করি। বৃথাই। পাঁচতলা থেকে নিচে নামতে ইচ্ছে করে না কারোরই। তাই অসুবিধার কথা উপর থেকে জানানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের গলার আওয়াজ বেপরোয়া সেই শব্দবলয় ভেদ করে পৌঁছুতে পারে না ওদের কাছে। উপায়ান্তর না দেখে যার যার ঘরে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। ঠিক তখনই চোখে পড়ল করিডোরের এক কোণায় পড়ে থাকা ভাঙাচোরা একটা ছোট্ট প্লাস্টিকের বালতি। আচমকা কুবুদ্ধি খেলে গেল আমাদের মাথায়।

এত বছর পরেও, এখনও মনে পড়ে সেই রাতের কথা, আর মনে পড়লে ব্যাখ্যাতীত একটা আত্মতৃপ্তির বোধ হয়। মনে পড়ে পানি ভরা বালতি কীভাবে ছুড়ে দেয়া হয়েছিল ওদের দিকে, যার কারণে বাকি রাত আর গান বাজেনি কোনো। মনে পড়ে পরদিন আক্ষেপ করে এক পাকিস্তানির বলতে শোনা, 'কে' বা 'কারা' কীভাবে ওদের আনন্দোৎসবে আক্ষরিক অর্থেই 'পানি ঢেলে' দিয়েছিল।

তবে সব ছাপিয়ে যেটা বেশি মনে পড়ে, তা হলো—সেদিন ছিল ১৪ আগস্ট, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এবং আরো মনে পড়ে, সেই রাতে বাকি সময়টা একদম বালিশের মতো ঘুমিয়েছিলাম। গভীর ঘুম। পরিতৃপ্তির এবং অদ্ভুত শান্তির।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আরেকটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো।
বন্ধুসভায় পড়েছিলাম বছর দশেক আগে, লেখকের নাম ভুলে গেছি, গল্পের নাম 'এলার্জি'। স্মৃতি থেকে বলি -

বিদেশের কোন এক ছাত্রাবাসে এক বাংলাদেশী ছাত্র এবং এক পাকি ছাত্র এক রুমে থাকে। তাদের মাঝে প্রবল সখ্য। সব বিষয়ে আলাপ হয়, কেবল '৭১ ছাড়া। এক সামারে পাকি ছাত্রটি দেশ থেকে ঘুরে এলে আসার সময় বাংলাদেশী বন্ধুটির জন্য টি-শার্টও নিয়ে আসে। বাংলাদেশী ছাত্রটি রান্না করলে পাকি ছাত্রটি আয়েশ করে খায়, ভাগাভাগি করে।
একদিন হঠাৎ করে বাংলাদেশী ছাত্রটির গায়ে এলার্জি দেখা দেয়। এই ডাক্তার - সেই ডাক্তার, নানান অসুদেও এলার্জি সারে না। বাড়তেই থাকে। পরে বিখ্যাত এক এলার্জি স্পেশালিস্ট নানান পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানান, এটি বিশেষ এক রকম এলার্জি (ইংরেজী নামটা ভুলে গেছি)। ভীষণ অপছন্দের কারো সঙ্গে চরম অনিচ্ছা সত্বেও দীর্ঘদিন একত্রে থাকলে, রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণার কথা মুখে বলতে না পারলে; এ এলার্জি দেখা দেয়...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থীমটা দুর্দান্ত লাগল। জানি না পড়ার সুযোগ পাব কি না কখনো।

ধন্যবাদ শিমুল ভাই হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ঘুম থেকে উঠার পর আমার হিসু পায়। আপনার ঐ সময় পায় নাই?

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো দেঁতো হাসি হাততালি উত্তম জাঝা! চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বনজঙ্গল ভাই, এত মজা পাওয়া ভালো না। জানেন তো, 'যত হাসি ততো কান্না, বলে গেছেন টুইঙ্কেল খান্না' দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সিমন স্যার, বুস্তার্তেসি না কী কমু, মাত্রই ঘুম থিকা উঠলাম তো... দেঁতো হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নে পড়ে পরদিন আক্ষেপ করে এক পাকিস্তানির বলতে শোনা, 'কে' বা 'কারা' কীভাবে ওদের আনন্দোৎসবে আক্ষরিক অর্থেই 'পানি ঢেলে' দিয়েছিল

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আজকে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আবার পড়ব লেখাটা, আমারও শান্তির ঘুম হবে এই লেখাটা যতবার পড়ব। জটিলস্য জটিল। ফাকির বাচ্চারা নিপাত যাক।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হ বস, ইসলামাবাদের পোলা ওমর, আমাদের সাথেই পড়ত। ও বলসিল কথাটা দেঁতো হাসি

আপনার এত্তোগুলা গড়াগড়ি হাসির ইমো দেখে খুবই মজা পাইলাম। দারুণ নকশা হইসে একটা। হা হা। আর, ঘুম ভালো হওয়ার জন্য কিছু একটা করতে পারলাম জেনে খুশি হইলাম হাসি

ভালো থাইকেন।

পুতুল এর ছবি

পাকিস্তানী কোন ভাল মানুষের সাথে কেন যেন এখনো পরিচয় হলনা।
আরো দুএকজনের সাথে আলাপ করে জানলাম, তাদের অভিজ্ঞতাও আমার মতই।
৭২-এর মিউনিখ অলিম্পিকে হকিতে রানার্স আপ হয়ে মনের দুঃখে মেডেল পায়ে লাগিয়েছিল পাকিস্তানের হকি দল। সেটা সারা বিশ্ববাসী দেখেছে।
অভিমানী জাতি, কোন সন্দেহ নেই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

অভিমানী সন্দেহ নাই - উদাহরণসরূপ আমার আজকের লেখার কথা বাদ দিলেও ওদের লাইভ টিভি থেকে একটা অংশ এখানে দিলাম: যারা উর্দু বোঝেন না তাদেরও দেখতে কোনো সমস্যা হবে না খাইছে -

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ব্যাপক মজা পাইলাম হো হো হো
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পুতুল'দা, ঠিকই বলসেন - অভিমানী জাতি।

আর লেখাতেও উল্লেখ করসি, অনেক পাকিস্তানির সাথেই আমার খুব ভালো পরিচয় ছিল। তাদের বুঝতে/চিনতে অনেক লম্বা সময় নিয়ে ফেলসি। কিন্তু এখন আপনার কথার সাথে একমত হইতে কোনোই দ্বিধা নাই।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনাদের ইলেক্ট্রিক্যাল এর হেডও তো পাকিস্তানী। (এঁনার মেয়ে গুলো নাকি দারুণ সুন্দরী। আমার এক দোস্ত বর্ণনা করছিলো। একবার অ্যারাবিকদের সাথে মাইরপিট লাগলে ওরা সবাই গিয়ে হেড-এর বাসায় লুকায়। আর তখন হেড এর বাসায় পোলাপান রেইড করে নাকি তাঁর মেয়েদের ফ্রেমে আঁটা ছবি ছিনতাই করে নিয়ে আসে।)

তারপর ফতে ভাই!

তবে এই দুজনকেই আমার নেহায়েত ভালো মানুষ মনে হয়েছে। কিংবা আমার সঙ্গে পাকি ব্যবহারের কোনো সুযোগও হয়তো ছিলো না। তবে পাইক্যা স্টুডেন্টগুলোকে আমার কাছে খানিকটা ছাগল টাইপের মনে হয়েছে। দুয়েকটাকে কষে চর মারতেও মন চেয়েছিলো কয়েকবার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দুয়েকটাকে কষে চর মারতেও মন চেয়েছিলো কয়েকবার।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি বস, আপনার তুলনা নাই

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহান এর ছবি

তবে এই দুজনকেই আমার নেহায়েত ভালো মানুষ মনে হয়েছে

ফতে আমিনের কথা জানি না, তবে ইলেক্ট্রিকালের হেডকে সূফী মানুষ মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আসল কথাটা আপনিই বলেছেনঃ

আপনাদের ইলেক্ট্রিক্যাল এর হেডও তো পাকিস্তানী

এটাই আসলে শেষ কথা, সে একজন পাকিস্তানি। পাকিস্তানিদের নিয়ে আমাদের যে "স্টেরিওটাইপিং" বা "জেনেরেলাইজশন" - সেই ধারণাকে আরেকটু পাকাপোক্ত করেই তিনি আপাতত ভার্সিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন !!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংকস শাহান, মন্তব্যের জন্য। কিন্তু আর কতো, এবার তো লেখা শুরু করো! সেবা প্রকাশনী নিয়ে যে লিখতে চাইসিলা, সেটা দিয়েই না হয় হোক হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ধুগো'দা

আপনি এতসব মানুষজনদের চেনেন ক্যাম্নে! অ্যাঁ

হুমম, ফজলে কাইয়ূম ইউসুফ জাই স্যার। আমাদের 'ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স' ক্লাস নিতেন উনি (যদিও পুরা কোর্স নেন নাই)। তাঁর সাথে আমার খুব একটা কথাবার্তা বা ইন্টারঅ্যাকশন ছিল না। উনাকে দেখে আসলেই ভালো মানুষ মনে হতো। যেমনটা ফতেউল আমিন খান সম্পর্কেও আপনি বললেন। আসলে একটা মানুষ ভালো না খারাপ, সেটা বিচার করার মতো কাছাকাছি কখনোই যাওয়া হয়নি উনাদের সাথে। তবে ইউসুফ জাই স্যারকে অনেকেই বেশ পছন্দ করতো। যদিও উনি আর এখন নাই।

ছাত্রদের সম্পর্কে যা বললেন, পুরাপুরি একমত। অধিকাংশই ছিল ছাগলা টাইপের - কথাবার্তা, আচার আচরণ, চিন্তাভাবনা, যাই বলেন না কেন। আপনার তো চড়, আমার একবার একজনরে খুন করতে ইচ্ছা করসিল। এখন মনে পড়লে হাসি পায়, আমি অনেকদূর পরিকল্পনাও করে ফেলসিলাম। পরে কখনো শোনাবনে আপনারে সেই গল্প হাসি

তবে হেডের বাসা থেকে ফোটু ছিনতাইয়ের গল্প জানা ছিল না! বিস্তারিত জানতে চাই। আপনার কাছে কপি আছে নাকি? দেঁতো হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পরে পড়তে হবে.. তারপর মন্তব্য করবোনি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কমেন্টটাতে মজা পাইসি হো হো হো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একটা ঘটনা মনে পড়লো। ১৯৯৬ এর দিকে যখন কম্পিউটার কেনা হলো, তখন খালি পেইন্টব্রাশ দিয়ে আঁকাআঁকি করতে পারি আর বাংলায় টাইপ করতে পারি। তাই দেখে আমার মা বললেন, "এত কালি নষ্ট করিস ন্যা, কালি শ্যাষ হয়্যা গেলে তখন কী করবু?"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ব্যাপক মজা পাইলাম হো হো হো

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, ঠিকাছে। সময় সুযোগ হইলে পরেই পইড়েন। হাসি

অনিকেত এর ছবি

পড়ে বড় শান্তি পাইলাম বস----
আরো ভাল লাগত যদি বালতিতে করে পানি না দিয়ে 'দেহ নিসৃত কোন তরল পদার্থ' ছুঁড়ে মারলে----

যাই হোক, মন্দের ভাল, পানিই সই---

ভাল থেকো,বস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমাদের তো ওরকমই ইচ্ছা হচ্ছিল, তাতে শান্তিও বেশিই পাইতাম, কিন্তু সেইটা করার যে উপায় ছিল না। হা হা হা।

ধন্যবাদ অনিকেত'দা। আপনিও ভালো থাকবেন হাসি

হিমু এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু হিমু ভাই হাসি

মণিকা রশিদ এর ছবি

"আরো ভাল লাগত যদি বালতিতে করে পানি না দিয়ে 'দেহ নিসৃত কোন তরল পদার্থ' ছুঁড়ে মারলে----"
হ!
........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাসি

থ্যাংক্যু মণিকা'দি।

মামুন হক এর ছবি

পাকিদের সাথে কখনই বনিবনা হয়নি, কোনদিন হবেওনা। আমি মিশুক মানুষ হলেও মুক্তিযোদ্ধা জাতির সন্তান হিসাবে পাকিদের কোন দিন বিশ্বাস করতে পারিনি, তারা ফুলের তোড়া নিয়ে এলেও।

তারা ফুলের তোড়া নিয়ে এসেওছিল। আমি তখন হং কং এ প্রায় উদ্বাস্তু জীবন কাটাচ্ছি। খালি হাতে দেশ ছেড়েছি, কী করি কী খাই সেই ভাবনায় দিন যায়। এক রুমে আরও দুই জন দেশী উদ্বাস্তুর সাথে শেয়ার করে থাকি। একদিন বিকেলে হঠাৎ করে পাশের ফ্ল্যাটের দুই পাকি এসে হাজির, সাথে ম্যাক ডোনাল্ডস এর ফিশ বার্গার। কী উদ্দেশ্য আসছিল তা জানতাম না, জানার চেষ্টাও করি নাই। আমার বুভুক্ষু রুম মেটেরা বার্গার খেয়ে কাত। আমি কিছু মুখে দিলাম না। পাকি বলে...খাওনা কেন...হালাল জিনিষ...আমরা তো ভাই ভাই। আমি বিরক্তিতে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।

সে সময় প্রায় রাতেই ঘুম হতোনা। হং কং হারবারে প্রায়ই পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে ক্রিকেট খেলা হতো। বেশির ভাগই ভারতীয় আর কিছু দেশী ছেলেরাও খেলত। পাকিরাও খেলত, তবে হারবারের অন্য দিকে। সেই রাতে খেলা শেষ হতে হতে রাত প্রায় চারটা, সিক্স এ সাইড মিনি টুর্নামেন্ট খেলতাম টেপ টেনিস দিয়ে। একা একা হেঁটে বাসায় ফিরছি। হঠাৎ করে এক গলি থেকে বড় এক সুটকেস হাতে বেড়িয়ে এল এক মেয়ে, হন্তদন্ত হয়ে। নাটকীয় ভঙ্গীতে আমার কাছে এসে বলে ভাইয়া প্লিজ হেল্প মি। ভালো করে তাকিয়ে চিনলাম। জয়া নামের এক মিষ্টি চেহারার নেপালিজ মেয়ে, পাশের বিল্ডিং এর এক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে কাজ করে। ওখানে খেতে গিয়ে আলাপ, টুক টাক বাংলা জানত। জানতে চাইলাম ব্যাপার কী...জয়া বলল সে এয়ারপোর্ট যাচ্ছে, খুব সকালে ফ্লাইট। বাসের জন্য দাড়িয়ে ছিল, কোত্থেকে তিন জন পাকি এসে বলে আমাদের সাথে চলো , গাড়ী আছে, আমরাও এয়ারপোর্ট যাচ্ছি। মেয়েটা রাজী না হওয়ায় রীতিমতো জোর করতে শুরু করল। সে তখন কোন মতে হাত ছাড়িয়ে এক ছুটে বড় রাস্তায় চলে আসে।

আমি ওর সুটেকেসটা হাতে নিয়ে বল্লাম চলো আমি তোমাকে বাসে তুলে দেব। বেচারী ভয়ে আমার হাত আকড়ে ধরল। হংকং এ ইন্দোনেশিয়ান, ফিলিপিনো, ভিয়েতনামিজ সাদা সিধা মেয়েরা তখন নিয়মিত পাকিদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতো। দুই কদম আগাতে না আগাতেই পেছন থেকে পাকিরা এসে হাজির। হায়েনার দলের দুই জন সেই হালাল ফিশ বার্গার ওয়ালা । আমাকে দেখে সেই দুইজন একটু থত মত খেল, তার পর বলে...মেয়েটা নাকি তাদের ভুল বুঝেছে, ওদের কোন বাজে উদ্দেশ্য নেই...ইত্যাদি ইত্যাদি। এদিকে জয়ার মুখ ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আমি পাকিগো কইলাম, ঠিক আছে, আমিই নিয়ে যাচ্ছি ওকে বাসে তুলে দিতে । বলেই হাঁটা শুরু করি। পেছন থেকে একজন বলে তুই কই থাকস আমরা জানি, কাজটা ঠিক করলিনা, আবার দেখা হবে।

আমি শান্ত স্বরে বলছিলাম...ইয়েস শিওর, এনি টাইম, এনি হোয়্যার। ওরা অবশ্য আর কোন দিনই জ্বালাতে আসেনি।

'পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা ফিশ বার্গার নিয়ে আসে, তখনও।'

সাইফ তাহসিন এর ছবি

'পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা ফিশ বার্গার নিয়ে আসে, তখনও।'

মামুন ভাই, আবারো কঠিন দিয়েছেন চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

গুরু গুরু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, মামুন ভাই।
বলার কিছু নাই। পাকিস্তানিরা আসলে এরকমই।
বোঝাই যাচ্ছে আপনার ভাণ্ডারে আরো অনেক কাহিনী আছে পাকিস্তানিদের নিয়ে। লেখেন না সেগুলাও। অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হলে, সিরিজ চালু করতে পারেন একটা। সবারই জানা উচিত, পড়া উচিত এগুলো।

'পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা ফিশ বার্গার নিয়ে আসে, তখনও।'
সত্যিই দারুণ বলসেন চলুক

চশমাওয়ালি এর ছবি

লেখাটা ভাল লেগেছে।
পাকিস্তানীদের নিয়ে কেন জানি কারোই ভাল কোন অভিজ্ঞতা নেই।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু চশমিশ হাসি
আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থেকে থাকলে সেটাও শেয়ার করতে পারেন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আল্লাহ প্রথম বানিয়েছিল ইবলিশ শয়তান। পরে জনসংখ্যা বেড়ে গেলে এক ইবলিশে তখন আর কোন কাজ হয় না।
মাস প্রোডাকশনে গিয়ে তাই আল্লাহ নাজেল করল পাকিস্তানীদের।

অনিকেত এর ছবি

চলুক

মণিকা রশিদ এর ছবি

চলুক .......................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসাধারণ একটা মন্তব্য করসেন আরিফ ভাই।

অনেক ধন্যবাদ। হাসি

মামুন হক এর ছবি

আরিফ ভাই, এই যুগের পাকিদের আকাম নিয়েও যদি খুট খাট লেখি , যেসব কাছ থেকে দেখছি, তাইলেও মহাকাব্য হয়ে যাবে। অবাক লাগে, আসলেই, একটা দেশের মানুষ এত্ত খারাপ কেম্নে হয়?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

উপরে বলতে বলতেই নিচে এসে দেখি এই মন্তব্য। প্লীজ, লেখেন আপনি। জোরালো দাবি জানায়া গেলাম হাসি

দৃশা এর ছবি

ইয়া আল্লাহ এই পোলাডারে এমুন ভাল একখান কাম করার লাইগা উপরে গেলে অন্তত একটা হইলেও হুরপরী দিয়েন।

দৃশা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মাত্র একটা! মন বড়ো করেন আফামনি মন খারাপ
কমপক্ষে সত্তরটা না হইলে কি হয়, বলেন? চোখ টিপি

থাকেন কই আপনে... খোঁজখবর পাওয়া যায় না। আরেকটু নিয়মিত হইলে কী ক্ষতি হয়, কন! ভালো থাইকেন। থেংক্যু।

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

চ্রম হয়েছে। দারুণ, হৃদয়ছোয়া ভাষা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, নুহিন। একজন কবির কাছ থেকে ভাষা সম্পর্কে এমন প্রশংসা পাওয়া তো দারুণ খুশির ব্যাপার। ভালো থাকবেন হাসি

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

কই থাকো ইদানিং, অনেক কম কম দেখি যে। পরীক্ষা শেষ হয়নি? নাকি কচিকাচা নিয়ে ব্যস্ত? চোখ টিপি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ইশশিরে! গতকাল রাতেই না তোমাকে এক আন্টীর কথা বলছিলাম! খাইছে

লেখাটার মাঝে সবচেয়ে ভালো লাগলো ভাষার ব্যবহার... এতো নরম আর সুন্দর ভাষায় এভাবে বাঁশ দেবার বর্ণনা চ্রম হইসে... খাইছে

তুমি লুকটা দেখি ভালু! খাইছে

---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম খাইছে

তাই নাকি? থ্যাংক্যু থ্যাংক্যু দেঁতো হাসি
আর আমি তো ভালু মানুষ। তাই বাঁশ দিলেও, সেটা সুন্দর করে ড়্যাপিং পেপারে মোড়ায়া দেই। হা হা হা।

কোনো সন্দেহ ছিল নাকি? চোখ টিপি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"তুমি লুকটা দেখি ভালু!"
অবুঝ বালিকা কার কথা কয়? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তা দিয়া আপনার কী, জনাবা? দেঁতো হাসি
ভালু মানুষরে তো চিনলেন না, খালি হাত ভাঙার হুমকিই দিয়া গেলেন। এইবার চিনে রাখেন। ভুল যেনু আর না হয় খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

এক পাকিস্তানির বলতে শোনা, 'কে' বা 'কারা' কীভাবে ওদের আনন্দোৎসবে আক্ষরিক অর্থেই 'পানি ঢেলে' দিয়েছিল।

খুব ভল লগলো।

নৈশী।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নৈশী হাসি

বালক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পাকিস্তানী ছাত্ররা বাংলাদেশের মাটিতে গান-বাজনা করে ১৪ই আগস্ট উদযাপন করে, আর বাংলাদেশিরা ২৫শে মার্চ পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলি।

সবই যুগের হাওয়া।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সত্যিই, সবই যুগের হাওয়া মন খারাপ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

বড়ই নরম জায়গায় টোকা দিলেন। বিদেশে এসেই পাকিস্তানীদের আসল চেহারা দেখতে পেয়েছি। ওদের সম্পর্কে কিছু বলতে গেলেই মাথার ভিতর কি যেন দপদপ করে জ্বলে ওঠে, ঘাড় ব্যথা করে, হাতের তালু মুঠিবদ্ধ হয়ে যায়। তাই এদের নিয়ে পারতপক্ষে কিছু বলতে চাইনা। এদের ভন্ডামী দেখলে গা জ্বলে যায়। কোনএকদিন সময় পেলে সেইসব গল্প বলা যাবে।
ভালকথা-এই ঘটনাটি কি বাংলাদেশে ঘটেছিল?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অবশ্যই বলবেন জাহিদ ভাই। অনুরোধ বলেন, বা দাবি, জানালাম এখানে। সেইসাথে আগ্রহভরে অপেক্ষায় থাকলাম শোনার জন্য।

হ্যাঁ, ঘটনাটা বাংলাদেশেই ঘটা। কয়েক বছর আগে।

অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন আপনি।

তানবীরা এর ছবি

পাকিস্তানীরা এই হল্যান্ডে নিজেদের বউ মেয়েদের সাথে যা অবস্থা করে, তাতে একাত্তরতো ওদেরকাছে স্বাভাবিক ব্যাপার।

হুমম, হইতো হল্যান্ডে, রাত এগারোটা বাজার পর হৈচৈ, দিতো নেইবার পুলিশে ফোন কইরা, জলসাঘরে ঢুকাইয়া।

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাই নাকি! কী করে? বিস্তারিত জানতে চাই।

হা হা হা। জলসাঘরে ঢুকলেও এদের শিক্ষা হবে না মনে হয় খাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বিডিআর— এর এই লেখাটা অনেক প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। করা হয়নি আগের মন্তব্যে। লেখাটায় ভাষা, শব্দ আর বাক্যের ব্যবহারে অসম্ভব মুন্সীয়ানার ছাপ রয়ে গেছে। বলা হয়নি, এমন বুননে যে রোজনামচা লিখতে পারে, সে কেনো আমাদেরকে তাঁর অন্য ধাচের লেখার অভিজ্ঞতা স্পর্শ করতে দিবে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লইজ্জা লাগে

কী যে কন না কন! খাইছে
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভবিষ্যতে চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু লেখার। আসলে সবার এতো এতো ভালো লেখা পড়তে পড়তেই সময় চলে যায়। নিজের আর লেখা হয় না তেমন কিছু। এই লেখায় একটা এক্সপেরিমেন্ট করেছি। গল্পের ঢঙে কাহিনীটা বলার চেষ্টা করেছি। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম খুব।

ভালো থাকবেন হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পাকিস্তান আমলে এদেশের স্কুলে পাঠ্য এক সমাজবিজ্ঞান বই দেখার সুযোগ হয়েছিল যেখানে মোটামুটি এমন বলা হয়েছিলঃ

"কখনো কখনো জাতি রাষ্ট্র গঠন করে যেমন, ইরান; আবার কখনো কখনো রাষ্ট্র জাতি গঠন করে যেমন, পাকিস্তান"।

নৃতত্ত্ববিদরা এমন ব্যাখ্যায় নড়েচড়ে বসলেও আমার কাছে পাকিস্তানীদের দেখে এই কথাটা সত্য বলে মনে হয়েছে। এই রাষ্ট্র আসলেই এক বিশেষ "জাতি" তৈরি করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনদিন দেখা যাবে বলে মনে হয়না। এই জীবনে যতগুলো পাকি দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে তাতে দেখেছি ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে কোন পাকিকে ভদ্রলোক বা ভালো মানুষ বলার কোন উপায় নেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার সাথে একমত, আমার কাছেও কথাটা সত্য মনে হয়। সম্ভব হলে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করুন না আমাদের সাথে।

ধন্যবাদ পাণ্ডব'দা। ভালো থাকবেন। হাসি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কেরোসিন আছিল না?
কেরোসিন ঢাইলা তারপর আমারে একটা মিসকল দিতা, আমার কাছে লাইটার ছিল!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। তখন তো আর জানতাম না এইটা। এখন জানা হলো। নেক্সট টাইম খবর দিবনে আপনারে দেঁতো হাসি

আপনারে বিশেষ ধন্যবাদ (জানেন তো কেন) হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পিঠ চাপরাইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সানন্দে গ্রহণ করলাম দেঁতো হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পাকিদের জন্য জল চিকিৎসার চেয়ে শাহেনশান সিমনের প্রস্তাবিত পদ্ধতির পক্ষে ভুট দিলাম।

লেখা চ্রম!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। তা যা বললেন! পরবর্তীতে কখনো সুযোগ পাইলে না হয় ভেবে দেখা যাবে। দেঁতো হাসি

অনেক ধন্যবাদ, বলাই'দা।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
খুবই খুবই মজা পাইলাম, প্রহরী। হো হো হো
আপনার বর্ণণার ধরণ আমার চমৎকার লাগে।
দৃশ্যগুলো স্পষ্ট দেখতে কোনো সমস্যা হয় না।
এটাও দেখলাম। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মজা লাগসে জেনে আমিও মজা পাইলাম।
যেমনটা পাইসিলাম আপনার আত্মজীবনীমূলক লেখা 'ন্যাড়া কাহিনী' পড়ে। দেঁতো হাসি

বিরাট এক প্রশংসা করে বসলেন, আপামণি। হজম করি দাঁড়ান। ওহ্, তার আগে বলে নেই, আপনারে অনেক অনেক থ্যাংক্যু। খাইছে

তানভীর এর ছবি

চলুক এই পোস্টটা এতক্ষণ চোখে পড়ে নি!

বিদেশে দু' চারটা পাক্কু ডলা দিয়ে চরম আনন্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা তো বিডিআরের মতো এতো শৈল্পিক, ভদ্র ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। ইদানিং পন্ডিতদের ভাষায় যাকে বলে "সংবেদনশীল" হবার চেষ্টা করছি। আগে বিডিআরের মতো লিখতে শিখি, তারপর...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শৈল্পিক, ভদ্র, সংবেদনশীল - গালি দিলেন নাকি বস বুঝলাম না দেঁতো হাসি

মজা করলাম। আপনি আপনার অভিজ্ঞতাগুলা লিখে ফেলেন ঝটপট। অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাইকেন। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রকৃত ঘটনার চেয়ে লেখাটা অতি অসাধারণ। তবে আমি আরেকটু কঠিন ট্রিটমেন্ট আশা করেছিলাম। সে যাই হোক, যতটা হয়েছে সেটাও খারাপ না।

পাকিদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ধুগো'র মতই। পড়ালেখায় ভালো তেমন কাউকেই দেখিনি। বরং আবুল টাইপের বেশী দেখেছি। তবে আমি যখন হ্যামিল্টনে, তখন একজনের সাথে আমার ভালো পরিচয় ছিল। প্রবাসে প্রথম দিকে উনি অনেক সহায়তা করেছেন। নানা রকম পরামর্শ দিয়ে, নানা সময়ে তার গাড়ি দিয়ে অনেক সুবিধা নিয়েছি। বহুবার তার বাসায় দাওয়াত খেয়েছি।

একদিন রাতে তার বাসায় দাওয়ার খেতে গিয়েছি। সেখানে তার কিছু বন্ধুও এসেছে। উনি আমার থেকে ১০ বছরের বড়। তার বন্ধুদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার মিরপুরে ছিলেন বলে জানালেন। তাদের একজন যখন জানলেন আমি বাংলাদেশের, এবং মিরপুরে থাকি, তখন বেশ উৎফুল্ল হলেন বলে মনে হলো। কিন্তু পরক্ষণেই "বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী লাভ হয়েছে" প্রশ্নটা শুনে যখন প্রচন্ড বিরোক্তি প্রকাশ করে আমি উত্তর দেয়া শুরু করলাম, তখন আমার পাকি বন্ধুটি তাদেরকে ইশারায় থেমে যাওয়ার অনুরোধ করলেন। নাহলে হয়তো সেরাত্রে কিছু একটা হয়ে যেত।

আমার সেই বন্ধুটিকে ধন্যবাদ দেই তার দূরদৃষ্টির জন্য, এবং কোনদিনও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার বিপরীতে কোন কথা না বলার জন্য। বরং তার মধ্যে একধরনের সহমর্মিতা লক্ষ্য করেছি।

বন্ধুটির এরকম মনোভাবের কারণ বুঝতে আমার বহুদিন লেগেছে-- যখন জেনেছি গ্রোত্র বা গোষ্ঠীগত কোন এক বিবাদের কারণে তাকে নিজের দেশ ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমাতে হয়েছিল। আসলে যার যায় সেই বোঝে অন্যের দু:খ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এই লেখার জন্য এতটা উদার প্রশংসা পেয়ে সত্যিই বেশ উৎসাহিত হলাম, এবং একই সাথে আনন্দিত হাসি

আমাদের সাথে যে সব পাকিস্তানি ছিল, তাদের মধ্যে মাত্র দুইজন ছিল যাদের বলা যেতে পারে 'ভালো ছাত্র'। কিন্তু বাকিরা, আমার সন্দেহ হয় ওরা সত্যিই এখানে পড়তে এসেছিল কি না। ওই যে বললেন, আবুল, অনেকটা ঠিক তা-ই।

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমার আরো বেশ অনেক অভিজ্ঞতা আছে এদের নিয়ে। দেখি, কখনো লেখার ইচ্ছা বা সুযোগ হলে, লিখব। ভালো থাকবেন, প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে। সেই সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার কিন্তু একটা ছবিপোস্ট দেয়ার সময় এসে গেছে (বা পার হয়ে যাচ্ছে) হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপাতত ছবি টবি দেয়া সম্ভব না প্রহরী। তেমন সুযোগ নাই। রোজা চলে এসেছে ফলে বাইরে ঘোরাঘুরি একটু কঠিন। সাড়ে পনর ঘন্টা দিন, বুঝতেই পারছো। তবুও সুযোগ চলে আসলে চেষ্টা করবো। পড়াশুনা নিয়েও একটু সময় দিতে হবে হাসি

তোমরা লিখে যাও। তোমার সাথে আরো যে দুই তিনটা ছিলো সেগুলার খবর কি?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ছবি দেয়া সম্ভব না হলে, পরবর্তী দাবি কবিতা হাসি

'দুই তিনটা' মানে কি ওই 'ভালো ছাত্র' পাকিদের কথা জিজ্ঞেস করলেন? তাই যদি হয়, একজন সৌদি আরবে চাকরি করতেছে, আরেকজন কানাডায় মাস্টার্স। এছাড়াও পরিচিতদের মধ্যে একজন ইউকে'তে অড জব করে, একজন দুবাইয়ে চাকরি, একজন পাকিস্তানের তালেবান অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকায় রাইফেল হাতে লড়াই... বাকিদের খোঁজ জানি না। আগ্রহ নাই। যোগাযোগও নাই।

এর মধ্যে সৌদিতে আছে যে, এই ছেলে বেলুচিস্তানের। ভালো ক্রিকেট খেলত। আচার-ব্যবহার ভালো ছিল। কখনো উল্টাপাল্টা ত্যাড়া কথা বলে নাই (অন্তত আমার সাথে)।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরে না.. পরিচিত মানে রায়হান আবীর, পরিবর্তনশীল, শিক্ষানবিশ (এই তিনটা সহ তোমাকে আমি একই গোত্রের মনে করি দেঁতো হাসি )

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। এইটাও যে মাথায় আসে নাই, তা না। কারণ কমেন্টে লিখসি 'দুইজন', আপনি জিজ্ঞেস করলেন 'দুই তিনজন', তখনই আন্দাজ করসিলাম ব্যাপারটা। তবুও শট নিলাম। এবং ভুল। দেঁতো হাসি

ওদের ফেয়ারওয়েল হয়ে গেল এই কয়দিন আগে। বেচারারা মনে হয় শোক ভুলতে পারতেসে না। বহুত মনোকষ্টে আছে। সামনে আবার ফাইনাল পরীক্ষা। তারপর আইইউটি ছাড়তে হবে... সব মিলায়া আর কি... খাইছে

ওদের কাছে খবর পৌঁছায়া দিবনে যে, আপনি খোঁজ করসেন। হাসি

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক বলেছেন-

প্রকৃত ঘটনার চেয়ে লেখাটা অতি অসাধারণ।

সহমত।
চলুক
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু ভাইজান। তবে, এই মন্তব্যটা কিন্তু সাইফুলাক্বর্খানীয় হয় নাই দেঁতো হাসি

মজা করলাম। ভালো থাইকেন হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যাক, নকল ক'রে হৈলেও তাইলে অন্যরকম কিছু করতে পারছি। দেঁতো হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসাধারণ একটা পোস্ট। চলুক

আমাদের প্রহরী ভাই'র হাতে সত্যিই যাদু আছে। নইলে এত ঝরঝরে সুন্দর লেখা বাইর হইলো কেমনে দেঁতো হাসি

আর পাকিদের ওয়াটার থেরাপি দেয়ার ফলাফল সরূপ আপনাকে আইসক্রিম থেরাপি দেয়া হবে। মানে যেদিন দেখা হবে সেইদিনই আইসক্রিম খাওয়ানো হবে। খালি মনে করায়া দিয়েন। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী যে বলেন। খালি খালি লজ্জা দেন দেঁতো হাসি

আপনি মহান। অতি সত্ত্বর আপনার কাছ থেকে আইসক্রীম আর আগের পাওনা মিষ্টি যোগাড়ে নেমে পড়ব। 'অকেন অকেন' ধন্যবাদ আপনারে খাইছে

অণুগল্প দিচ্ছেন না অনেকদিন। এবার কিছু লেখেন...

রাফি এর ছবি

আফসোস আমি কোন পাকি'রে চিনি না।
ঘটনা পইড়া তৃপ্তি পাইলাম...

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আফসোস না রে ভাই। এইটা একটা আশীর্বাদ। যত পারবেন দূরে থাকবেন ওদের থেকে। ওদের নতুন করে চেনার কিছু নাই।

ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

মন্তব্য দাগায়ে গেলাম!! দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আচ্ছা। ধন্যবাদ। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।