১. উড়াল
শুক্রবারের সকাল। পবিত্র একটা দিন। এইদিনে তো এমন হওয়ার কথা না। তবে এমনটা যে হলেও হতে পারে, তার অন্তত দুটো আলামত পেয়েছিলাম জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। প্রথমেই চেকইন কাউন্টারে দশাসই চেহারার এক মুশকো জোয়ানের মুখে পড়তে হয়েছিল, এবং এরপর ০৫:৪০-এর ফ্লাইট প্রায় পৌণে এক ঘণ্টার বিলম্ব। বিরক্তিকর অপেক্ষার প্রহর শেষে যাওবা বিমানে চড়ে বসেছি, এখন আবার দেখি কী ঝামেলার কারণে দেরি! দুঃশ্চিন্তা হবে না কেন!
পাশের ভদ্রলোক খানিকটা হতাশ হয়েই ততক্ষণে থেমে গেছেন। তাকিয়ে দেখি ক্ষুদে একটা বই হাতে তিনি বিড়বিড় ঠোঁট নাড়িয়ে নিবিষ্ট মনে কী যেন পড়ে চলেছেন। যাক, আমাকে না ঘাঁটালেই হলো। চিন্তাভাবনা একদিকে সরিয়ে আমি সামনে পড়ে থাকা সমস্ত দিনের কথা ভাবি। ভাবি পরিকল্পনা করে রাখা সব সারপ্রাইজের কথা। আর উত্তেজনায় একবার কেঁপে উঠি। ঘড়ির কাটা যখন সকাল সাতটা ছুঁইছুঁই, তখন পাখিটা ঝাঁকি দিয়ে নড়ে উঠল। আশেপাশের যাত্রীদের মধ্যেও স্বস্তির একটা গুঞ্জন শুনতে পাই। তা শুনে আমারও হঠাৎ করেই খুব ভালো লাগতে থাকে।
আমি যাচ্ছি জার্মানি। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, কাসেল-এ। এবং আরো নির্দিষ্ট করলে, সচলাড্ডায় অংশ নিতে। এই আড্ডার আর নতুন করে দেবার মতো ভূমিকা কিছু নেই। ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন এ সম্পর্কে। কিন্তু যেটা এখনও কেউ জানেন না, তা হলো শুধুমাত্র আড্ডা উপলক্ষ্যেই আমার এই ঝটিকা সফর আয়োজন করা। শুক্র-শনি দুইদিন ছুটির সাথে আরো দুইদিন যোগ করে নিয়েছিলাম। আর প্রয়োজন পড়লে তো 'অসুস্থ' হয়ে পড়া যাবেই। কিন্তু তানবীরাপু'র অনুরোধ তো আর ফেলে দেয়া যায় না। সেই সাথে ছিল আরো বেশ কয়েকজন 'ছেলে'ব্রিটি সচলের সাথে দেখা হওয়ার আকর্ষণীয় হাতছানি, যাদের সাথে দেখা হওয়া বা একসাথে আড্ডা দেয়ার কথা, এতদিন কেবল স্বপ্নে জান্নাতি আঙুর আর বেদানা খাওয়ার সুখের সমতুল্য গণ্য করে এসেছি। কিন্তু সেই স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে দেখে আমার বেশ ফুরফুরে লাগে নিজেকে। আমি নিশ্চিন্তে একটু চোখ বুজি।
পাক্কা মিনিট বিশ পঁচিশ পর যখন আমি আবার ছাড়া পেলাম, এয়ারপোর্টের বিশাল ঘড়িতে দেখি তখন সাড়ে ছয়টা পেরিয়ে গেছে। আগে থেকেই জেনে এসেছিলাম কোথায় যেতে হবে। পা চালিয়ে দ্রুত এয়ারপোর্টের বাইরে আসি। নানান টানেল পার হয়ে সামান্য দুরত্বেই এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন। সবুজের উপর সাদা রঙের দিকনির্দেশনা দেখে সেদিকে পা বাড়াই। ভেবেছিলাম খুঁজে বের করা খুব একটা কঠিন কিছু হবে না, কিন্তু বাস্তবে দেখি তা মোটেও সহজ কিছু না। হঠাৎ করেই অস্থির লাগতে থাকে আমার। ঠিক সেসময় আবার চোখ পড়ে সেই চৈনিক বালিকার উপর। লাগেজ নিয়ে সামান্য হিমশিম খাচ্ছে বলে মনে হলো। এগিয়ে গিয়ে 'হাই' বলতেই উজ্জ্বল একটা হাসি দিলো। আমার চাইনিজ জ্ঞানের সামান্য ঝাড়তেই দেখি বালিকার চোখমুখ একটু নেচে উঠল যেন। কথাপ্রসঙ্গে জানাই যে আমি ফ্রাঙ্কফুর্ট সেন্ট্রাল স্টেশনে যাব। শুনেই সে একবার ঘড়ি দেখেই হড়বড় করে কী কী সব বলতে শুরু করল। যা মর্মোদ্ধার করতে পারলাম, তা হলো, আর কিছুক্ষণ পরেই একটা আইসিই (ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস) ট্রেন ছাড়বে। সে-ও ট্রেন ধরবে। তাই আমাকে সাহায্য করার জন্য সানন্দেই রাজি হয়ে গেল সে। এর মাঝেই এইচ১এন১ ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে তার সাথে হাত মিলিয়ে পরিচিত হয়ে নিলাম। নাম ঝেং পিং ইয়্যু। ইংরেজি নাম ক্যাথি। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কালচারাল সায়েন্সে পড়াশুনা করে। সাংহাই বেড়াতে গিয়েছিল নিজের শহরে। আবার ফিরে এসেছে। কিছুদিন আগে আমিও সাংহাইতে এক মাস কাটিয়ে এসেছি শুনে সে তো বিস্ময়ে একেবারে ফেটে পড়লো।
আমার সাথে ভারি কোনো লাগেজ না থাকায়, ক্যাথির একটা ব্যাগ অনায়াসেই বহন করলাম। সেও বারবার 'শিয়ে শিয়ে' বলে ধন্যবাদ দিতে লাগল আমাকে। স্টেশনে পৌঁছে ঝটপট ভেন্ডিং মেশিনে নিজের টিকিট কেটে ফেললো ও। এরপর ওর সাহায্য নিয়ে আমিও ফ্রাঙ্কফুর্ট সেন্ট্রাল স্টেশনের টিকিট কাটলাম। পাক্কা ৫৩ ইউরো বেরিয়ে গেল হাত থেকে। ৭:০৩-এ আমার ট্রেন ছাড়বে। ক্যাথির সাথে শেষবারের মতো কিছু কথা বলে যোগাযোগের ঠিকানা বিনিময় করলাম আমরা। অল্প সময়ের পরিচয় হলেও বেশ খারাপই লাগল ওর কাছ থেকে বিদায় নিতে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছুলাম ৭:১৪-র দিকে। এরপরের গন্তব্য 'কাসেল সেন্ট্রাল স্টেশন'। খোঁজ নিয়ে জানলাম ৭:২২-এ 'রিজিওনাল এক্সপ্রেস' আছে একটা। সেটা দুই ঘণ্টার সামান্য একটু বেশি সময় নিয়ে আমাকে পৌঁছে দিবে কাসেলে। আবারও টিকিট কেটে ছুটলাম ট্রেন ধরতে। আমার ট্রেন ছিল ১৪ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে। লাল রঙের একট দ্বিতল ট্রেন। এরকম ট্রেন আগে দেখিনি কখনো। গলায় ঝোলানো ক্যামেরাটা বের করে ঘটাঘট কয়েকবার শাটার টিপেই চড়ে বসলাম ট্রেনে। কামরায় চোখ বুলিয়ে দেখে নিলাম একবার। কিন্তু তেমন সুন্দরী কাউকে না দেখে খানিকটা হতাশই হলাম। ক্যাথির কথা মনে পড়ে গেল আবার। ওর চকচকে মসৃন ত্বক, তাতে সেঁটে থাকা হাতা গোটানো গোলাপি রঙের শার্ট আর ব্লু জিন্স, গলায় প্যাঁচানো বাহারী নকশাদার স্কার্ফ, আর পেছনে টেনে নিয়ে বাধা অমাবস্যা-কালো চুল। ধুগো'দা সাথে থাকলে মজাটা কেমন জমতো, ভাবতেই হাসি পায়। হাতের মুঠো খুলে ওর দেয়া ফোন নাম্বার আর ইমেইল ঠিকানা লেখা কাগজটায় একবার চোখ রাখি। এরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে, সীটে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বুজলাম কিছুক্ষণের জন্য।
কাসেল সেন্ট্রাল স্টেশনের বাইরে এসে যখন দাঁড়াই, তখন রাত সাড়ে নয়টার সামান্য বেশি। এদিক-ওদিক তাকিয়ে হিমু ভাইকে খুঁজি। আশা ছিল দেখেই চিনতে পারব। কেননা এতসব সাদা চামড়ার ভেতর উনি চাইলেও কোনোভাবেই বেশিক্ষণ লুকিয়ে থাকতে পারবেন না বলেই ধারণা করেছিলাম। অবশেষে দেখি রাস্তার এক কোণের এক নিউজপেপার স্ট্যান্ডের পাশের অন্ধকারমতো জায়গায় উনি দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছেন। দেখে আমিও বিশাল হাসি দেই একটা। কিন্তু তাঁর চেহারায় কোনো পরিবর্তন না দেখে বুঝতে পারি উনি আসলে আমাকে তখনও খেয়াল করেননি। তাঁর চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করতেই দেখি স্বল্পবসনা এক শ্বেতাঙ্গিনীর দিকে বেশ গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন উনি। হাসি চেপে কাছে যাই তাঁর। মৃদু স্বরে বলি, 'বস, একটু রয়েসয়ে'। শুনেই চমকে ওঠেন উনি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বিশাল থাবায় আমার হাতটা মুঠোবন্দি করে আকর্ণবিস্তৃত একটা হাসি ছুড়ে দেন আমার দিকে। অথচ তাঁর চোখ কিন্তু তখনও সেই স্বল্পবসনার দিকেই। তার পিছুপিছু ঘুরছিল। হিমু ভাইয়ের গায়ে কটকটে কমলা রঙের একটা টি-শার্ট আর জিন্স। কমলা রঙের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানান যে কমলা রঙ তাঁর খুব প্রিয়, বিশেষ করে ওই টি-শার্টটা; এবং নেদারল্যান্ড থেকে আগত তানবীরাপু-দুলাল ভাই-মেঘলা, আর দুই কন্যাসহ দুর্দান্ত দম্পতির আগমন উপলক্ষ্যেই, আন্তরিকতা প্রকাশস্বরূপ তাঁর এই ছোট্ট নিবেদন। অন্তত পকেটবিহীন কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি না পরার জন্য মনে মনে তাঁকে অনেকবার ধন্যবাদ দেই।
আমার যাত্রাপথের খোঁজখবর নেন তিনি। কথাপ্রসঙ্গে আমি তাঁকে ক্যাথির কথা বলি। চৈনিক শুনেই দেখি তাঁর মুখের ভাবাবেগ পাল্টে গেছে। সেটা দেখেই নিজেকে সংযত করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু আফসোস, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। এরপর যে দারুণ বুদ্ধি খাটিয়ে উনি একপ্রকার প্রকাশ্যেই ক্যাথির ঠিকানা লেখা সেই কাগজটা ডাকাতি করে নেন আমার কাছ থেকে, তা আর নাই বা বলি। নিতান্তই বড়ো ভাই। নইলে ছেড়ে কথা বলতাম না নিশ্চিত।
হিমু ভাইকে ট্যাক্সির কথা বলতেই উনি হা-হা করে ওঠেন। বলেন যে সামান্য দূরেই নাকি একটা ট্রাম স্টেশন আছে। সেখান থেকে বলাইদা'র বাসায় নাকি সরাসরি যাওয়া যাবে ট্রামে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তখন বলাই'দার বাসায় বলাই দম্পতি ছাড়াও আছেন আমাদের হাসিব ভাই। বাকি সবার পরদিন পৌঁছানোর কথা ছিল। হিমু ভাইয়ের কথানুযায়ী পা চালাই। ওদিকে বহুক্ষণ আগে প্লেনে খাওয়ার পর আর পেটে কিছু পড়েনি। সেটাও হিমু ভাইকে জানাতেই উনি আবারও হা-হা করে ওঠেন। নিজেই কিনব, বলাতে খুব রাগ করে বসেন। বলেন যে, আমি নাকি উনার মেহমান। উনি থাকতে আমাকে একটা ইউরোও খরচ করতে হবে না। সব উনিই করবেন। আরও বলেন, বলাই'দার বাসায় নাকি লোভনীয় সব খাবারদাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আর বাইরের খাবার খেয়ে তৃপ্তি ও ক্ষুধা নষ্ট করা যেমন উচিত হবে না, তেমনি নাকি পেটে সমস্যা দেখা দেবারও সমূহ সম্ভাবনা আছে। বলেই উনি নিজের পেট চেপে ধরে বললেন আগেরদিন খাওয়া একটা ডোনাট তাঁর পেটের ভেতর কেমন যুদ্ধ করছিল। আমি আর কী বলব। চুপ করে তাঁর পাশাপাশি হাঁটতে থাকি।
প্রায় মিনিট পনের হাঁটার পরে যখন সেই ট্রাম স্টেশনে পৌঁছুলাম, জানা গেল, সেখান থেকে বলাই'দার বাসার ওদিকে কোনো ট্রাম সরাসরি যাবে না। হিমু ভাই চটপটে জার্মানে কী সব বললেন টিকিট কাউন্টারের লোকটার সাথে, তার এক বর্ণও বুঝতে পারলাম না। এরপর মুখটা সামান্য কাতর করে উনি আমাকে বলেন যে আর দুটো স্টেশন পার হলেই আমরা আরেকটা স্টেশন পাবো, যেখান থেকে ট্রাম ধরতে পারা যাবে। এখানে নাকি নিয়ম হলো 'স্টেশন অনুযায়ী ভাড়া'। তাই একটা স্টেশন হেঁটে পার করা মানে বেশ কয়েক ইউরো বাঁচানো। আর পাশাপাশি ভালো শরীরচর্চাও হয়ে যাচ্ছে। হিমু ভাইয়ের কথা শুনে তাঁর বিশাল ভূঁড়িটার দিকে আড়চোখে একবার তাকাই। এদিকে আমার কাঁধের ব্যাকপ্যাকের ওজন তো বেড়ে বহুগুণ হয়ে গেছে। একবার ভাবি নিজেই একটা ট্যাক্সি নিয়ে নিব কি না, কিন্তু হিমু ভাই মাইন্ড করবে ভেবে আর কথা বাড়াই না। মুখ কালো করে আবার হাঁটা ধরি। হিমু ভাই দেখি ফুরফুরে মেজাজে কী একটা গানের কলি গুনগুন করে গাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করতেই গানের কয়েক লাইন গড়গড় করে বললেন। শুধু 'পেয়ার বিন', 'ইয়ার বিন' বুঝলাম। তাতেই আন্দাজ করে নিলাম যে বন্ধু বা প্রেম ছাড়া বিরহকাতর কারো কথা বলা হচ্ছে গানে।
হিমু ভাইকে ধুগোদার কথা জিজ্ঞেস করেই ফেঁসে ফেলাম। দপ করে যেন বারুদ জ্বলে উঠল। মনে হলো যেন ফসফরাসের সাগরে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তুমুল গতিতে তিনি মিনিট কয়েক বলে গেলেন ধুগোদা'র কারণে যে তাঁর কী বেহাল অবস্থা হয় মাঝে মাঝে, সেই কথা বলতে বলতে হিমু ভাইয়ের গলা ধরে আসে। এরপর তিনি শোনান তাঁর ২৮ ইউরো ৪০ সেন্টের সেই করুণরসে সিক্ত কাহিনী। আমি তখন হাঁটতে হাঁটতে নিজের করুণাবস্থাতেই কাহিল। নিদারুণ হতাশায় বিড়বিড় করে বলেই ফেলি, 'উঠা লে ঠাকুর, ইসকো উঠালে...।'
হিমু ভাইয়ের কাহিনীর কথা আর নাই বা বলি। উনি যাওবা আমাকে আরেকটা স্টেশনে হাঁটিয়ে নিয়ে গেলেন, গিয়ে তাঁর কাছেই শুনি সেখান থেকে নাকি বলাইদার বাড়ি হাঁটাপথে ৭/৮ মিনিট, আর ট্রামে গেলে আরো কম সময়ে যাওয়া যাবে কিন্তু ট্রাম আসতেই নাকি লাগবে দশ মিনিটের উপর। শুনে মনের কষ্ট মনেই চেপে সিদ্ধান্ত নিলাম হাঁটাই ভালো।
হিমু ভাই বেশ ভারি গলায় হাসতে হাসতে হাসিব ভাইকে বলেন, 'ওকে তো অনেক জায়গা ঘুরিয়ে দেখালাম। ট্যাক্সিতে আসলে তো আর এতো জায়গা দেখতে পারত না।' এরপর আমার দিকে ঘুরে, 'তাই না? কী বলো?' বাকরূদ্ধ আমি কিছু বলার আগেই হাসিব ভাই তাড়া লাগান ভেতরে যাওয়ার জন্য।
বলাই'দা যে বাড়িতে থাকেন, সেটাকে ছোটখাটো একটা প্রাসাদ বললেও বোধহয় কম বলা হবে। বিশাল এলাকার উপর সেই বাড়ি। বাড়ির সামনে তেমনই বিশাল একটা পার্কিং লট। তিনি থাকেন তিন তালায়। বাড়িটাতে আবার একটা মাত্রই লিফট। লাল রঙের। এবং সেই লিফট আবার এক তালার উপরে নাকি যায় না। উনার বাসায় ঢোকার আগে দুই তলায় একটা মাঠ আছে। সেই মাঠেই পরে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়, যা বলাইদা'র পোস্টের মাধ্যমে এরমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন নিশ্চয়ই। তা, ওই মাঠের পাশেই একটা দরজা, যেটা দিয়ে ভেতরে ঢুকে বামদিকে আরেকটা দরজা আছে। সেই দরজা পেরিয়ে কয়েক ধাপ সিড়ি। এরপর বলাই'দার বাসায় ঢোকা। রীতিমতো রাজকীয় ব্যাপারস্যাপার।
বলাই দম্পতি খুবই অমায়িক এবং অতিথিপরায়ন। আমার ক্লান্ত চেহারা দেখেই ভাবির বোধহয় খুব মায়া হলো। তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে টেবিলে বসে পড়তে বললেন। বলাইদা'ও বেশ ছোটাছুটি করছিলেন দেখলাম রান্নাঘর আর ডাইনিং টেবিলে। নাকে খাবারের সব সুবাস ঢুকতেই খিদেটা চাঙ্গা হয়ে উঠল। ওদিকে হিমু ভাইয়ের দিকে তাকাতেই দেখি উনি একটা মুরগীর পা এক কোনায় ধরে মুখের মধ্যে চালান করে দিলেন। এরপর সেটা চিবুতে চিবুতে বলাইদাকে বললেন কীভাবে আমাকে রাতের কাসেল শহর দেখাতে দেখাতে নিয়ে এসেছেন। কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। কারণ বলাইদা'র অমনোযোগের সুযোগে হিমু ভাই আমার দিকে তাকিয়ে খুব মিষ্টি করে বললেন, কোন নামটা তোমার পছন্দ? 'অতন্দ্র প্রহরী'? নাকি 'অতিথি প্রহরী'?
মন্তব্য
নাহ আমি এবার পুরাপুরি বিভ্রান্ত। প্রহরী আবার ক্যাসেল গ্যালো কখন? হা হা .. কল্পনা ভালই হয়েছে মনে হচ্ছে। বাসায় গিয়ে পড়ে নেব।
কল্পনা না রে ভাই। ইহা বাস্তব। বার্জার অ্যাক্রিলিক পেইন্টের মতোই
শুক্র-শনি তো ছুটি ছিল এমনিতেই। সাথে আরো দুইদিন ছুটি যোগ করেই দিলাম দৌড়। ভাবলাম জার্মানি কখনো যাইনি, আর একসাথে এতগুলো 'বিদেশি' সচলকে কখনো পাব কি না কে জানে। তানবীরাপুও খুব করে ধরলো, তাই আর কি...। পুরাটাই সারপ্রাইজ হিসাবে গোপন করা ছিল এতদিন
হাহাহাহাহা... তাইতো বলি... সেদিন ফোন দিলাম হড়বড় করে কিসব বলেই দৌড় দিলা... তলে তলে জার্মানী! তুমি পারও!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
যাক বুঝসো যে, তাতেই খুশি আমি
এই রহস্যগল্পে প্রচুর তথ্য মনির হোসেনের যোগানো। "কৃতজ্ঞতা স্বীকার মিম-হা" যোগ করে দিও।
দেখি, মনির হোসেনের গল্প লেখানোর জন্যে কাউকে পাওয়া যায় কি না।
- তোর আসলে বাতিক আছে আবুল হোছেন ওরফে আহেম, সন্দেহের বাতিক। তাও অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ। আমি জ্বরে, শরীর ব্যথায় ক্যাঁ-কো করতাছি আসার পর থেকে। আজকে বিকেলের পরে একটু বাইরে গেছি। এসে দেখি এই জিনিষ নামাইছে বিডিআর। তুই কিনা সন্দেহ করলি আমারে!
বিডিআররে তুই স্টেশনে রিসিভ করতে গেছস কি যাস নাই সেইটা মূল কথা না। মূল কথা হইলো, তুই আমারে প্রমাণ ছাড়া হুদাহুদি সন্দেহ করবি ক্যান?
সেদিন তোর পোস্টে 'এক মারা'র মহৌৎসবের পর থেকে দেখতেছি তুই আমার পিছে কিছু হৈলেই তোর উড়োজাহাজ মার্কা কনিষ্ঠ আঙুলটা প্রবিষ্ট করার চেষ্টায় আছস। এইটা ঠিক না। জনগণ এইসব ফ্যাসিস্ট আচরণ রুখে দাঁড়াবে। খাড়া হাসিব ভাই আইয়া নেক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আতঙ্কে হাত পা ...
- ভয় পাসনে খোকা...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আবুল হোছেন = আলেফ হা!বুঝচ্ছো মিম?
- হ। মিশটেক হয়া গেছে বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ধুগো'দা
সেটাই তো। আপনার জন্মদিনের পর থেকে আপনার সাথে তো আমার আর কোনো কথাই হয় নাই। তারপরও কেন লোকজন আপনারে সন্দো করে, বস!
প্রমাণ আছে বস। ওই শ্বেতাঙ্গিনীরে দিয়া পরে হিমু ভাই আমাদের দুইজনের ফোটু তোলাইসে। সেইটা আমার কাছেই আছে
আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হন। তারপর আরেকটা পোস্ট দেন আমাদের সবার মজার আড্ডা নিয়া
@দস্যু হিমু ভাই
থাক না হিমু ভাই, এখন তো আর লুকানোর কিছু নাই। সবাই তো জেনেই গেছে।
আর আপনাকে কিন্তু কমলা রঙে খুবই মানায়। হে হে।
মিম-হা ভাইয়ের গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনিই লিখে ফেলেন
দারুণ লেখা প্রহরী!! তবে, বিশ্বাস হচ্ছেনা জার্মান গিয়েছিলেন সচলাড্ডাতে!!
অতিশয় বিশ্বাসযোগ্য চমৎকার কাহিনী! আপনার রসবোধ ও কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতে হয়।
______________________________
সামনে যদি যাবি ওরে, থাক-না পিছন পিছে পড়ে।
কি যুগ আসলো, সত্যি কথা বললেও লোকজন আজকাল বিশ্বাস করতে চায় না
অসংখ্য ধন্যবাদ। পরিশ্রম সার্থক। লেখা বড়ো না হয়ে গেলে, আরো কিছু কাহিনী শোনানো যেতো অবশ্য
সবই মিছা কথা তার প্রমাণ হইলো কোন ছবি নাই ...পাব্লিক সিলেট গিয়া ছবি দেয়, আর জর্মন দেশে গিয়া খালি গপ্পো!
আছে, বস, আছে। প্রহরী আর মনির হোসেনের নানান ছবি আছে। মনির হোসেন লুক্টা বেচারা প্রহরীরে খাটাইয়া রাখে নাই । এক অতিথি যে এইভাবে আরেক অতিথিরে খাটাইয়া মারে, না দেখলে বিশ্বাস কর্বেন্না।
হিমু ভাই, কি কন না কন, মিম-হা ভাই খুবই ভালু মানুষ। আমারে তো কুনো খাটানিই খাটায়নি। আপনার ফোটুগুলা মনে হয় ভুল আসছে। আবার চেক করে দেখেন
তবে যে ছবিই থাকুক আপনার কাছে, গোপন থাকাই ভালু মনে হয়
- ছবি আছে তো। তাতাপুর পোস্টে দেখেন পেট বাইর করা নীল জামা পরা হাতে বোতল ধরা একটা ফটুক। এইটা কার মনে করছেন? জ্বি হ্যাঁ জনাব, ঠিক ধরেছেন ঐটাই আমাদের বিডিআরের ফটুক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাতে বাভারিয়ান বিয়ারের বোতল থাকলে আর সমস্যা কী! হ, ওইটাই তো আমি
কারণ ওইটা হিমু ভাই যে না, তা তো জামার রং আর ভূঁড়ি দেখেই টের পাওয়া যাচ্ছে
@তানভীর ভাই
মোটেও মিছা কথা না, বস। ছবি তো এমনিই দিলাম না। আফটার অল, ছেলেব্রিটিদের একটা ভাব আছে না? এত সহজে ছবি দিয়া দিলে হয়?
সময় আসলে, সব ছবিই প্রকাশ করা হবে। অপেক্ষায় থাকেন। আইজুদ্দিন
প্রহরীরে আর ধমক ধামক দেয়া যাবে না, মুরুব্বী কিসিমের লেখা দিচ্ছে আজকাল। আমার কাতারে আর নাই।
আইডিয়াটা জোশ লাগলো। মিম-হাকেও এর জন্য ধনেপাতা।
তবে প্রচুর নেটও ঘেটেছে মনে হচ্ছে লেখাটাকে পার্ফেক্ট করার জন্য। খুবই ভালো লাগলো।
চালিয়ে যাও। লাল সেলাম।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- ছাতিপা, আপনেও আমারে সন্দো করলেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার প্রিয় মিম-হা ভাইরে সন্দো করায় তাতাপুরে কইষ্যা মাইনাস
সঠিক। চোখের সামনে দিয়া পোলাডা বড় হইয়া গেল
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
হ। কমপ্ল্যান খাইসি তো খালি, তাই তাড়াতাড়ি বড়ো হয়া গেসি
@তাতাপু
আমি নাকি বুইড়া, এইটা তো বহু আগে থেকেই শুনে আসতেছি অনেকের মুখ থেকে। তাই আমার লেখায় যে একটু বুড়ামি থাকবে, তা তো স্বাভাবিক ব্যাপার
কিন্তু য্যাম্নে আমারে কাতারছাড়া করলা, তাতে দিল পে চোট পাইলাম। কই আমার আবজাব লেখা, আর কই তোমার সুপার মজারু সব লেখা।
যাই হোক, ভালু লাগসে জেনে খুবই প্রীত হইলাম তোমারে অশেষ ধন্যবাদ।
নেট কেনু ঘাঁটবো? আমি তো সত্যি সত্যিই গেছিলাম। সেই বর্ণনাই তো দিলাম
এমনিতেই একটু দেরিতে বুঝি সব। পুরোপুরি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেলাম সত্যি-মিথ্যা চিন্তা করতে করতে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আল্লাহর কাছে পানাহ চান বস, তিনিই দ্বিধা দূর করনেওয়ালা ..................
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
@রেশনুভাই
হা হা হা। চিন্তার ফল বের হলো কিছু?
চমৎকার লেখা।
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অনেক ধন্যবাদ
কেমন একটা খটকা লাগলো। ইতিহাদের পাতায় তো ফ্লাইট দেখাই ০৬:৪০ এ। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সময় ১ ঘন্টা পিছায় দিল????
সারাটা দিনতো দ্বিধাহীন ভাবেই পানাহ+আর=পানাহার করে গেলাম তানবীরাপু। প্রহরী বেটার পোস্ট পইড়া তো নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ওহ্, ডিএসটি নিয়া গণ্ডগোল লাগসে। বাকি সব কিন্তু ঠিকই আছে
নাওয়া-খাওয়া কি এখন 'ব্যাক টু নরমাল' হইসে, নাকি এখনো মাথার উপরেই আছে?
- আমি যেহেতু ঘটনার পরদিন গিয়ে হাজির হয়েছি সুতরাং যারা ঐদিন ছিলেন তারা ঘটনার সত্যতা যাচাই করবেন। সেইদিকে আমি আপাতত গেলাম না।
লেখা জম্পেশ হৈছে। পড়তে গিয়ে কয়েক জায়গায় ফিক করে হেসে দিছি। 'উঠা লে ঠাকুর, ইসকো উঠালে...।' বলতে কি আমারে বুঝানো হৈলো এইখানে? খাড়ান মিয়া, আপনেরেও ইমপিচ মেরে দেওয়ার আবেদন করা হৈবে জনতার আদালতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছি ছি বস, কী যে বলেন। আপনারে উঠায়ে নেয়ার জন্য কেন বলব? তাও আমারে ইমপিচ মারার আবেদন কইরেন না। আপনে না কতো ভালু
লেখা যাই হোক, এতটা হইত না, যদি না...
যাই হোক বস, আপনারে অনেক অ-নে-ক ধন্যবাদ। আপনার ভার্সনের জন্য কিন্তু অপেক্ষা করতেছি
কারণ আমাদের সবার চুক্তি হইল না যে, প্রত্যেকে একটা করে পোস্ট দিব?
হা হা হা ----
দুর্দান্ত হয়েছে বস---!!!
এ লেখার জন্যে হেসে খেলে আমি বিশ লক্ষ তারা দিতে পারি----
এ লেখা যদি জার্মানী না গিয়ে লিখে থাক---তাহলে আর কোন কথা নাই
স্ট্রেইট পঁচিশ লক্ষ তারা----!!!!
হা হা হা। থ্যাংকু বস, থ্যাংকু।
আপাতত বিশ লক্ষ নিলাম। বাকি পাঁচ লক্ষ হাতেই রাখেন, নিব নাকি পরে জানাব আপনাকে
ভালো থাকবেন। ঝটপট আরেকটা গল্প নামিয়ে ফেলেন
আসল ঘটনা তাইলে আমিই বলি! সচলাড্ডা-টাড্ডা কিচ্ছু না! তাতাপু প্রহরীর জন্য মেয়ে দেখে রেখেছে। সে মেয়েকে দেখতেই প্রহরী'র ইউরোপ যাত্রা! যাত্রা পথে শুধু ক্যাসেলে খানিকটা যাত্রাবিরতি দিছে। ওই যাত্রাবিরতির ক্ষণটুকুই সে পোস্টাইছে। আসল ঘটনা চেপে গেছে।
আহেম আহেম! এইবারে মজা পাচ্ছি!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অন্যের দুর্দশায় বেশি মজা পাওয়া ভালু না
আহেম আহেম! এইবারে মজা পাচ্ছি!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পান্থ'দা, আপনি এইভাবে হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন?
এখন তাতাপু যদি না দেয়, তাহলে আমার কী হবে? আপনারে মাইনাস!
কিন্তু আপনি এইসব যাচাইহীন মন্তব্য দেন কেন? লগইন করতে এতোই আলসেমী?
কিন্তু বুঝলাম না, ফেরৎ আসার পরে সবতে আপ্নেরে শামা'পা ডাকে কেনু
দুর্বোধ্য কমেন্ট।
ফাটাফাটি! গুল্লি লেখছ মিয়া ( সৌজন্যে বদ দা)
থ্যাংকু ভাইজান
খালি আপনিই দুনিয়া ঘুরতে পারেন? আমরাও পারি কিন্তু, হুঁ!
আমগো প্রহরী যে জার্মানি গেছিলো তার সাক্ষী আমি। হ, আমিই তো তারে এয়ারপোর্টে সি অফ কইরা আসছিলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
যাক, এতক্ষণে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাট্টিফিকেট পাওয়া গেল। হে জনগণ, এইবার তো বিশ্বাস করেন যে আমি সত্যিই জার্মানি গেছিলাম
আপনাকে 'অকেন অকেন' থ্যাংকু, নাশু ভাই।
যে যাই বলুক আমি কিন্তু বিশ্বাস করেছি। আর তুমি আমারে না বইলা গেছো বেড়াতে সেজন্য মাইন্ড খাইসি।
.............
তুমিতো ড্যান ব্রাউন-কেনান ডায়েল ফেইল! এমন ডিটেইল লিখসো!! সিরিয়াসলি এইবার একটা রহস্য-রোমাঞ্চ গল্প ছাড়ো! শিগ্গীরি
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তুমিই প্রকৃত মুমিন।
থ্যাংকু ভিরু। কিন্তু আমি তো জানতাম না তুমিও আড্ডায় অংশ নিতে আগ্রহী ছিলা। জানলে অবশ্যই সাথেই নিয়া যাইতাম। মিস হয়ে গেল।
..........
হৈ মিয়া, এইটা কী কইলা!
ড্যান ব্রাউন আমার প্রিয় লেখক। 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড'-এর মতো মজা খুব কম বই পড়েই পাইসি।
লিখতে ব্যাপক আলসেমী লাগে তো.. দেখি কী করা যায়...
চমৎকার লেখা। সত্য মিথ্যা বুঝলাম না। বেশ মজার হয়েছে লেখা।
নৈশী।
সত্য-মিথ্যার দরকার নাই, মজা পাওয়াটাই আসল। সেইটা পাইসেন জেনে খুব ভাল লাগল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শিরনাম পড়ে আসলেই চমকে গিয়েছিলাম লেখা সিরাম হইছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চমকাবা তো বটেই। আরো কতো মজা যে করে আসছি, সেগুলা জানলে আরো চমকাইতা।
থেংক্যু
চাপাবাজ
...........................
Every Picture Tells a Story
বলেন কী!
এত কষ্ট করে ঘুরে আসলাম, ঝটিকা এক সফরে। তাও বিশ্বাস করেন না!
চাপাবাজি ভালো হইছে
শুধু ভালো না, দুর্দান্ত হইছে! কয়দিনের প্রিপারেশান লাগলো এই লেখা নামাইতে? স্পর্শ ভাইয়ের কথা ঠিক - ড্যান ব্রাউন ফেইল!
"Life happens while we are busy planning it"
সত্যিই? অনেক ধন্যবাদ
সত্যি বলতে, লেখাটা যে লিখব - এই সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর পুরা লেখাটা লিখতে হয়ত ঘণ্টা দুয়েক লাগসে, বা একটু বেশি। প্রিপারেশনসহ সব মিলায়া কয়েক ঘণ্টার মামলা।
আবার ড্যান ব্রাউনের সাথে তুলনা! বেশি হয়ে গেল না!
পরের পর্বে মিউনিখ আর আল্পস্ বেড়ানোর খবরটি নিশ্চয়ই থাকছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তাই তো ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখেন না তীরুদা, এতদূর গিয়ে আপনাদের সাথে দেখা করে আড্ডা দিয়ে আসলাম, এখন কেউ আমার কথা বিশ্বাসই করে না!
প্রহরী ভাইয়ের মাস্টারপিস...
মিয়া, কী আর কমু- ঢাকায় বইসা ইফতার কর্তে কর্তে যে এই লেখা দিতে পারে...লিখা ফেলান একটা এডভেঞ্চার গফ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
'ঢাকায় বইসা ইফতার' মানে! তুমি কি বলতে চাও আমি স্বপ্নে জার্মানি গিয়ে আড্ডা দিয়ে আসছি? এই যে চৈনিক বালিকা ক্যাথি, সে কি মিথ্যা?
অ্যাডভেঞ্চার গফ্ - জানি না রে ভাই। আমার হাত দিয়ে গল্প বের হয় না। তুমি বা তোমরা যারা অনায়াসে গল্প লিখে ফেলো, তাঁদের লেখা পড়ে খালি আফসোসই হয়।
এই বছরের রেজ্যুলেশনে ছিল একটা উপন্যাস লিখব। সেইটা পূরণ করতে গেলে তো এক আধটু ওয়ার্ম-আপ করে নিতেই হয়। তাই আর কি...
ধন্যবাদ, সুহান।
লেখা সত্যায়িত করা হইলো!
তবে একটা তথ্য বাদ পড়ে গেছে। ৫৩ ইউরোর টিকেটে ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্ট থেকে কাসেল পর্যন্তই আসতে পারার কথা; কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে সেন্ট্রাল ট্রেন স্টেশনে এসে প্রহরী দেখে যে তার কেনা টিকেট গায়েব। ওই চৈনিক বালিকারই কম্মো হবে; সুতরাং তাকে আবারও টিকেট কিনতে হয়।
আর অতিথি করার ঝাড়ি আমার চোখের সামনে দেয়া। মায়া লাগলেও আমিও ভয়ে কিছু কইতে পারি নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- আমিও তাই ভাবছিলাম। এয়ারপোর্ট থেকে হাউপ্টবানহফ ৫৩ টেকা? টেকা কি গাছে ধরে? চৈনিক বালিকা মনেহয় টাকা এদিক সেদিক করে দিছে। [বিডিআর ঝাইড়া কাশুক, চৈনিক বালিকা কীসের 'চার্জ' কাইটা নিলো?]
এয়ারপোর্টে শিল্ডের কথা বলা হইলো। অমুক দিকে এগজিট, তমুক দিকে পায়খানা, ঐ দিকে ফুডকোর্ট, সেই দিকে ইশটিশন— ইত্যাদি লেখা জিনিষটা তো সবুজ না, নীল। নীলের মধ্যে সাদা অক্ষর। বিডিআরের সোর্স হয় এয়ারপোর্ট গেছে হাতে গুইণা একবার আর নাইলে ব্যাটা পুরাই রঙান্ধা।
লেখায় আরও বেশ কিছু অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা গেছে পোস্টে। তবে বলাই'দা যেহেতু সত্যায়িত করে দিছেন, হেরপর আর কোনো কথা নাই। আফটার অল, আমরা হইলেও হৈতে পারি ভায়রা ভাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইয়ে মানে (মাথা চুলকানো চলছেই...) তাই তো.. ক্যাম্নে যে কী হইল.. তখন কি আর আমি আমাতে ছিলাম রে ভাই? পাশে ক্যাথির মতো একটা আগুন মেয়ে থাকলে দিনদুনিয়া আর মাথায় থাকে না...
বালিকারে আপনি কী মনে করছেন, শুনি? সে 'চার্জ' নিবে কেনু? আমার ক্যাথিরে আপনি অপমান করলেন!
সে তো চার্জ-ফার্জ ছাড়াই....
ইয়ে.. আমার নীল আর সবুজে গণ্ডগোল পাকায়া যায়। মনে আছে ফেসবুকে আমার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের ছবির অ্যালবামের কথা? ওইখানে একটা ফোটু ছিল পানির। যেটারে আমি নীল বলতেসিলাম, কিন্তু আসলে তা ছিল সবুজ। এইখানেও একই কেইস রে ভাই...।
আর কী অসামঞ্জস্য, বলেন দেখি
আপনি আমার কাসেল ভ্রমণকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন, না? আপনার ক্ষমা নাই। আপনারে ইমপিচ করা লাগবে।
@ বলাই'দা
আপনার কাছ থেকে সত্যায়িত হওয়া মানে তো নোটারি দ্বারা সত্যায়িত করার চাইতেও বেশি অথেনটিক
ইয়ে মানে, আসলেই... কীভাবে যেন টিকিটটা হারায়া ফেলসিলাম... (মাথা চুলকাই)
দেখলেন তো ভাই, হিমু ভাইয়ের চোখ রাঙানি আর শাসানিতে কিছুই বলতে পারিনি তখন। আপনি সাক্ষী। আমি রোজ হাশরের ময়দানে এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার চাই
এই পোস্ট সম্পর্কে নিন্দুকেরা যে, যা-ই বলুক না কেনো, আমি লেখককে পুরো ক্রেডিট দেবো। তিনি আড্ডায় শামিল ছিলেন কি ছিলেন না, সেটা আসলে নিন্দুকের বক্তব্যেই থাকুক। আড্ডায় তিনি উপস্থিত ছিলেন নাকি ব্যক্তিগত/চাকুরিগত/প্রেমগত প্রয়োজনে আড্ডার বাইরে ছিলেন, সেইটা আলোচ্য না। কিন্তু তিনি ভ্রমন পথের যে বর্ণনা দিলেন, তাতে আমার অন্তত বিশ্বাস করতে অসুবিধা নেই যে তিনি এ যাত্রা কাসেল পর্যন্ত এসেছিলেন। পরের বার হয়তো সশরীরে দেখা হয়ে যাবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করলাম!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক অনেক টু দ্য পাওয়ার ইনফিনিটি পরিমাণ অনেক ধন্যবাদ
দেখা হবেই হবে আশা করি... কাসেলে না হয় ঢাকায়... দুনিয়া অনেক ছোট রে ভাই।
আরেকবার স্পেশাল ধন্যবাদ আপনাকে। কেন, তা তো জানেনই
বুঝলাম, দেশের ছেলেব্রেটিদের আর ভালু লাগে না আপনার। >
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
কী যে কও না!
আমি তো মনে-প্রাণে বাঙালি। এবং ছেলেব্রিটি/মেয়েব্রিটি সবই আমার খুউব ভাল্লাগে
পোস্ট দেয়ার বেশ অনেক ঘণ্টা পর চোখে পড়ায় আর এডিট করিনি। বানান ভুল আছে কিছু। যেমন-
অণুসরন --> অনুসরণ
সিড়ি --> সিঁড়ি
নেদারল্যান্ড - নেদারল্যান্ডস
এছাড়াও একদম শেষে, পরদিন দেখা হওয়া মানুষের তালিকায় ভুলে ধুগো'দার নাম বাদ পড়েছে। দুঃখিত।
লেখায় প্রসঙ্গক্রমে আসা আড্ডার ভূমিকা আছে এখানে, বলাইদা'র বাসায় আয়োজিত ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা এখানে।
এই আড্ডা নিয়ে আরো দুটি পোস্ট: তানবীরাপুর লেখা এবং তীরু'দার লেখা।
পুরাই চাপাবাজি পোস্ট। প্রহরী মোটেই সচলাড্ডায় যায় নাই। আমার কাছে প্রমাণ আছে। তবে সে যে জার্মানি গেছিল সেইটা কথা সত্য। ঘটনা হইছে কি এয়ারপোর্টে হিমুভাইরে খুঁজে না পেয়ে সে ঐ চৈনিক তরুণীর সাথে জুটে গিয়েছিল। তারপর কি কি হল সেইসব এইখানে না বলি... এমনিতে রোজা রমজানের দিন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনি এতকিছু জানলেন ক্যাম্নে, অ্যাঁ?
আমার ক্যাথির কথা আর মনে করায়া দিয়েন না। হিমু ভাই ওর সব কন্ট্যাক্ট অ্যাড্রেস নিয়ে নিসে আমার কাছ থেকে... আপ্সুস
নতুন মন্তব্য করুন