মজার ব্যাপার কি জানেন, উদ্ধৃত করা লাইনগুলো কিন্তু স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদেরই লেখা। "মিসির আলি UNSOLVED"-এর একটি গল্পে১, গল্পের ছলেই "Stefan Grey" নামক এক লেখকের "Windows of the mind"২ বই সম্পর্কে কথাগুলো বলেছেন তিনি, এবং যা সম্পর্কে তাঁর অভিমতও প্রকাশ করেছেন এভাবে — 'বিজ্ঞানের নামে অবিজ্ঞানের ব্যবসা।'
সত্যি বলতে, দেশের পড়ুয়া পাঠকসমাজের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে যিনি হুমায়ূন আহমেদ পড়েননি। অথবা তাঁর সৃষ্ট জনপ্রিয় চরিত্র "মিসির আলি" সম্পর্কে জানেন না। হুমায়ূন আহমেদের লেখায় প্রায়শই ঘুরেফিরে এসেছে মিসির আলির কথা। রহস্যের আঙিনায় যার দুর্নিবার পদচারণা, বলা যায় তিনি নিজেও প্রতিটা লেখায়ই আবির্ভূত হয়েছেন অনেকটা রহস্যের ঘেরাটোপেই। পেশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর, মিসির আলির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তি, মানুষের মন, আচরণ এবং নানাবিধ অলৌকিক ঘটনা। তিনি ভালোবাসেন যুক্তির মাধ্যমে প্রকৃতিতে লুকিয়ে থাকা নানান রহস্যের মোড়ক উন্মোচন করতে, মানুষের মনের গহীনে প্রোথিত কুসংস্কার ভাঙতে, অতিপ্রাকৃত বা আধিভৌতিক ঘটনাবলীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজতে। কিন্তু সবসময় যে তিনি সফল হন, তা কিন্তু না। অনেক সময়ই তাঁকে হার মানতে হয় অসীম ক্ষমতাধর প্রকৃতির অতল রহস্যের কাছে। সমাধান করতে না-পারা এইসব রহস্যগুলো, লেখকের ভাষ্যমতে — মিসির আলির "কিছু গৌরবময় পরাজয়", নিয়েই আবর্তিত হয়েছে "মিসির আলি UNSOLVED"।
সূচিপত্র বিহীন বইটাতে গল্প আছে মোট আটটি। সবগুলোই লেখা হয়েছে "গল্পের ভেতর গল্প" অথবা "গল্পের ভেতর গল্প এবং তার ভেতর গল্প" ধরন অবলম্বনে। যেমন একদম শুরুর গল্প, "সিন্দুক"-এ মিসির আলি এবং লেখকের স্বাভাবিক কথোপকথনের বুনটের মাঝেই শুরু হয় মূল গল্প, মিসির আলির জবানিতে। এ-গল্প মিসির আলির শৈশবের, যাতে উঠে এসেছে তাঁর বাবার রহস্যময় এক সিন্দুকের কথা। লোহা কাঠের তৈরি বিশাল এক সিন্দুক, যার ভেতর কী আছে, মিসির আলি জানতেন না, জানতেন না তাঁর বাবাও। মিসির আলি শুধু তাঁর বাবাকে দেখেছেন মাত্রাতিরিক্ত সতর্কতায় সিন্দুকটাকে আগলে রাখতে এবং ধীরে ধীরে মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে। তবে ঘটনা সাংঘাতিক মোচড় খায় যখন বাবার মৃত্যুর পর চাবিবিহীন সিন্দুকের মালিকানা প্রাপ্তির একটা পর্যায়ে, অলৌকিকে বিশ্বাস না করা যুক্তিবাদী মিসির আলির যুক্তির ভিত নড়ে ওঠে অবিশ্বাস্য এক ঘটনায়।
একই রকম লেখার ধরন অনুসরণ করা হয়েছে "ফ্রুট ফ্লাই" এবং "রোগভক্ষক রউফ মিয়া" গল্প দুটোতেও। তুলনামূলক দুর্বল "ফ্রুট ফ্লাই" মূলত মিসির আলি এবং হাবলু মিয়ার গল্প। হাবলু মিয়া আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী, যার বলে সে দু'হাত মুঠো করে চাইলেই যে কোনো ফল তার মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। তার পরীক্ষা নিতে গিয়ে মিসির আলি নিজেই বিস্মিত হয়ে যান যখন তাঁর ফরমায়েশ অনুযায়ী তাঁরই চোখের সামনে হাবলু মিয়া মুঠোর মাঝে একটা আম এনে হাজির করে। তবে গল্পের শেষ নয় এখানেই।
আর শিরোনামেই পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়, "রোগভক্ষক রউফ মিয়া"-তে বলা হয়েছে কোনো এক রউফ মিয়ার কাহিনী, যে কি-না পেশায় ডাক্তার না হয়েও সম্পূর্ণ নিশ্চয়তার সাথে বিভিন্ন মানুষের রোগ সারায়। ব্যতিক্রমী এই চরিত্রের রোগ সারানোর পদ্ধতি ততোধিক ব্যতিক্রমী। যে কোনো রোগ "ভক্ষণ" করে সে রোগীকে সারিয়ে তোলে। অদ্ভুত এই পদ্ধতি বিজ্ঞান স্বীকার না করলেও, মিসির আলি যখন নিজেই উপলব্ধি করেন রউফ মিয়ার কিছু কর্মকাণ্ড, ঘটনা দানা বাধে নিদারুণ নিস্পৃহতায়।
"লিফট রহস্য" এই বইয়ের অন্যতম চমকপ্রদ গল্পগুলোর একটি। এতে চিকিৎসাধীন এক তরুণীর কথা বলা হয়েছে, যে কোনো এক ছুটির দিনে আপাত জনমানবশূন্য একটি ভবনের লিফটে উঠে কোনো এক কারণে তীব্র ভয় পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই মেয়েটি, লিলি, সহজে মুখ খুলতে চায় না, কেন সে ভয় পেয়েছিল, কী এমন দেখেছিল সে, আর কী-ই বা ঘটেছিল সেই লিফটে? তার ভয় দূর করতে সাহায্য করতে গিয়ে মিসির আলি বরং খুঁজে পান রহস্যের মাঝে অদ্ভুত আরেক টানটান রহস্য।
বাকি গল্পগুলোও লেখা হয়েছে চমৎকার আকর্ষণীয় ঢঙে। মিসির আলির স্নায়ু টান করা সব ঘটনা এবং তার মাঝে মিশে যাওয়া অন্য চরিত্রগুলোর শোনানো গল্পে বুঁদ হয়ে যেতে সময় লাগে না এতোটুকুও। সেই বিচারে "সোনার মাছি" এবং "ছবি" সম্ভবত এই বইয়ের সবচেয়ে দারুণ দুটো গল্প।
"সোনার মাছি" এগিয়েছে মিসির আলির পিএইচডি থিসিসের গাইড প্রফেসর নেসার আলিংটন ও তাঁর স্ত্রী অ্যানিকে ঘিরে। এখানে নেসার আলিংটন শুনিয়েছেন ভীষণ আগ্রহোদ্দীপক এক টেলিপোর্টেশনের ঘটনা। সেইসাথে সেটাকে মুড়ে দিয়েছেন সোনালি রঙের একটা এম্বার খণ্ডের রহস্য দিয়ে, যার মাঝে আটকে পড়া মাছিটিও সোনালি, রোদ পড়লে যা সোনার মতোই ঝলমল করে ওঠে। সঙ্গত কারণেই সোনার মাছি নামের এই বস্তুর প্রতি অ্যানির আকর্ষণ কি কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব?
একইভাবে "ছবি"-তে মিসির আলি শুনিয়েছেন একজন জামাল সাহেব ও তার মেয়ে ইথেনের গল্প, এবং জামাল সাহেব আবার শুনিয়েছেন স্ত্রী জেসমিনের সাথে তাঁর পরিচয়ের তীব্র উত্তেজনাময় এক গল্প। দৈব কিন্তু ভীষণ রকম অদ্ভুত ঘটনাক্রমে পরিচয় ঘটা এই পরিবারের গল্পে আছে পাঁচ সংখ্যাটাকে ঘিরে তৈরি হওয়া ব্যাখ্যাতীত রহস্যের ছোঁয়া।
"হামা-ভূত" গল্পটি, ধারণা করা যায়, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের৩ উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে, যে খবরটি লেখক নিজেই উল্লেখ করে দিয়েছেন গল্পের শেষে। এখানে মূলত দুটি গল্প বলা হয়েছে। হামা-ভূত আপেক্ষিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও, মূল ঘটনা ভিন্ন, যা অতীন্দ্রিয় ঘটনার লৌকিক ব্যাখ্যা প্রদানে পারঙ্গম মিসির আলিকেও হতবাক করে দেয়।
এই বইয়ের সবচেয়ে দুর্বল গল্পটি, আমার মনে হয়েছে, "মাছ"। মূল চরিত্র তুমুল বাচাল মোহম্মদ সামছু, তার ছোট্ট মেয়ে জাহানারা বেগম এবং রহস্যময় দুটো মাছ নিয়েই এগিয়েছে গল্পের কাহিনী। কিন্তু কাহিনীর কারণেই হোক অথবা মূল ঘটনা থেকে বারবার মনোযোগ বিচ্যুত করা পার্শ্ব বর্ণনা, এই গল্পটি কেন যেন জমে ওঠেনি খুব একটা।
একটা কথা হয়তো অনেকেই মানবেন, মানুষ জন্মগতভাবেই রহস্যপ্রিয়। অলৌকিক বা পরাবাস্তব ঘটনাবলীর প্রতি আমাদের সহজাত আকর্ষণ ঠিক সেভাবে ছকে ফেলে হয়তো বোঝানো বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না; কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে যতোই অবিশ্বাস্য ঠেকুক না কেন, এইসব ঘটনাগুলো আমাদের ভেতরের অজানা কোনো স্থান স্পর্শ করে ফেলে অনায়াস নৈর্ব্যক্তিকতায়। রহস্য, মূলত অমীমাংসিত রহস্যের প্রতি এই ঝোঁক, এই আগ্রহকেই মূল উপজীব্য করা হয়েছে "মিসির আলি UNSOLVED" বইটিতে।
একনাগাড়ে ছাইপাশ লিখে ক্রমাগত পাঠকদের বিরাগভাজন হয়ে ওঠা হুমায়ূন আহমেদের এই বইটিকে গড়পড়তা তাঁর অন্যান্য সাম্প্রতিক লেখাগুলো থেকে এগিয়ে রাখব অনেকাংশেই। এর মূল কারণ হয়তো ওই রহস্যের হাতছানিই। চমকপ্রদ সব গা ছমছম করা কাহিনী নিঃসন্দেহে পাঠককে আনন্দ দিবে বলে ধারণা করা যায়। এমনকি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন লেখক স্বয়ং। কাহিনীর চমৎকারিত্বের পাশাপাশি আরও যে বিষয়টি নজর কাড়ে, তা হলো দুর্দান্ত গতিময় লেখনী। পড়া শুরু করার পর ৮৫ পৃষ্ঠা (পুরো বইটি ৯৪ পৃষ্ঠার) জুড়ে লেখা আটটি গল্প শেষ করতে খুব একটা সময় লাগে না। পাশাপাশি মোহাবিষ্ট পাঠক যে অনেক জায়গাতেই আচ্ছন্ন হবেন রহস্যময়তায়, সেটাও বলা যায়। যদিও এরপর প্রশ্ন উঠতে পারে পাঠ শেষে প্রাপ্তি নিয়ে। সেই অর্থে হয়তো তেমন কোনো আহামরি প্রাপ্তি নেই। কিন্তু খুব হিসেবী না হয়ে, ভালো লাগাই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে নিশ্চয়তার সাথে বলা যায়, লেখক তা-তে উৎরে গেছেন বেশ ভালোভাবেই, অন্তত এবারের মতো। তবে সেইসাথে এটাও অবশ্যই উল্লেখ করা প্রয়োজন, যতটুকুই ভালো লাগে বইটি, তারপরও সামান্য অতৃপ্তি রয়েই যায় যে, লেখক চাইলেই আরো অনেক ভালো হতে পারতো।
হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অল্প কিছু বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ছাড়া, বর্ণনা বা সংলাপ, সবই খুব স্বাভাবিক বলে মনে হয়; অনেকটা আটপৌরে দৈনন্দিন জীবনের মতোই, তেমন একটা আরোপিত মনে হয় না। তারপরেও দু'একটা গল্পে কিছু কিছু বর্ণনা বাহুল্য মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অপ্রাসঙ্গিক ওই অংশগুলো ছেটে ফেললে হয়তো বইটি প্রাণ পেতো আরও বেশি। তারপরও গল্পচ্ছলে বলা টুকরো টুকরো এসব কথোপকথন বা বর্ণনা হয়তো চাইলেই উপেক্ষা করা যায়, তেমন অসুবিধার কারণ সৃষ্টি ছাড়াই। তবে বইটির বেশ কিছু জায়গায় ইংরেজি শব্দের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার চোখে পড়ার মতোই।
১৩০ টাকা মূল্যের কাকলী প্রকাশনীর এই বইটির মুদ্রণ, বাধাই বেশ দারুণ। সেইসাথে রয়েছে ধ্রুব এষের করা মনকাড়া প্রচ্ছদ। বড়ো বড়ো হরফে "UNSOLVED" শব্দটি কোনো এক অজানা প্রশ্নবোধক অথবা প্রশ্নবিদ্ধ আকর্ষণে বুঝি টানতে থাকে সমস্ত সত্তা জুড়ে। সবশেষে তাই বলা যায়, অবসরের কিছুটা সময় বইটির পিছে ব্যয় করলে মনে হয় না খুব একটা ঠকতে হবে।
২নেট ঘেঁটে একই নামের এই বইটার সন্ধান পাওয়া গেছে, যদিও এটার লেখক ফ্রাঙ্ক ব্রেনান, স্তেফান গ্রে নন। মোট পাঁচটি গল্প আছে বইটিতে, যার একটা গল্প থেকে 'রোগভক্ষক রউফ মিয়া' লেখা হলেও হয়ে থাকতে পারে।
৩খবরটি প্রকাশিত হয় ২০০৯-এর ১৩ মে। পাবেন এখানে। তবে কেউ যদি রহস্যের আমেজ নষ্ট না করে আগে গল্পটি পড়ে নিতে চান, তাহলে এটা এখন না দেখাই শ্রেয়।
মন্তব্য
বইটা পাঠিয়ে দাও। জ্বর হলে পড়ব। জ্বরের জন্য আমি সব সময় হুমায়ূন আহমেদ ষ্টকে রাখি। সহজ পাচ্য।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মেইলে পাঠায়া দিসি
হুমায়ূন আহমেদের বই 'নাপা এক্সট্রা'-র চেয়েও কার্যকর নাকি? এই কথা ওঁর কানে গেলে তো বইয়ের দাম বাড়ায়া দিবে
আমাদের বাঙ্গালিদের স্বভাবই হল এটা, যার খাই তারি বদনাম করি। যার লেখা সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় সঙ্গ দেয়, তার লেখা নিয়ে বাজে মন্তব্য না করলেই কা না?
মজা পেলাম!
অনেক ধন্যবাদ, নাম-না-জানা অতিথি
_____________________________________________
"যে কথায় কবিতা জন্মাতো সে-কথার শিরায় শিরায় বিষ, এক-একটা কথার ছোবলে কবিতার খাতা পুড়িয়ে দিস..."
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
থ্যাংকু বস
হু.আ. এর সর্বশেষ ভালো লাগা বই হচ্ছে 'বলপয়েন্ট' - যেটা অনেকটা আত্মজীবনী কিসিমের। উনার বইয়ের সুবিধা হইলো- ইফতারের আগে আগে পড়া যায় () মানে মাথা খাটানোর তেমন কিছু নাই আসলে- তবে তার লেখা বেশ কিছু ছোট গল্প আমার প্রিয় গল্পগুলার তালিকায় থাকবে।
... মিসির আলির একদম শেষের বইটা পড়ে মনে হইসিলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মিসির আলিকে অলৌকিকে বিশ্বাস করানোটা ইখুব পর্যোজন হয়ে পড়েছে, বিরক্তিকর লাগসিলো...।
আর একদম প্রথাগত ঢং এ কীভাবে দুর্দান্ত রিভিউ লেখা যায়, তা আপনার কাছ থেকে শিখলাম...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
'বলপয়েন্ট' আমি পড়িনি। তবে পরিচিত কিছু মানুষের মুখে যা শুনসি, তাতে তো সার্টিফিকেট পাইসি - 'ফালতু'! আমি প্রায় কয়েক বছর পর হুমায়ূন আহমেদের কোনো বই পড়লাম। এইটা।
হুমায়ূন আহমেদকে যতোই গালি দেই না কেন আমরা, তারপরও কেন যেন একটা আগ্রহ কাজ করে। বইটা হাতে নিলে ছাড়া যায় না। তবে একটা সময় ছিল যখন হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর বই আগ্রহ করে পড়সি, ভালোও লাগসে। প্রথম দিককার বইগুলা দিয়ে সে যে নাম কামাইসে, তা দিয়েই এখনও কাটতি। চিন্তা করা যায়?
রিভিউ ভাল্লাগসে জেনে খুশি হলাম খুব। অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার বুক-রিভিউ ! প্রহরী, এ অঙ্গনকে অবশ্যই আপনি সমৃদ্ধ করতে পারেন। অভিনন্দন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক বড়ো কমপ্লিমেন্ট দিয়ে দিলেন, রণ'দা। খুশি লাগছে খুব
চেষ্টা করব, মাঝেমাঝে লেখার। অন্তত দুটো বই (হুমায়ূন আহমেদের না) এখনও পড়ে আছে যেগুলোর রিভিউ লিখব ভেবে রেখেছি বেশ অনেকদিন হলো। কিন্তু ঠিক সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারছি না।
অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ লিখেছো। প্রচন্ড গতিময়।
হুমায়ুন আহমেদের অতিপ্রাকৃত ছোটো গল্প গুলো একধরণের মুগ্ধ বিষ্ময় নিয়ে পড়ি সব সময়। কেমনে সে এরকম একেকটা আইডিয়া করে ভাবলে অবাক লাগে। 'মিসির আলী UNSOLVED' মিসির আলী সিরিজে একটা অনন্য সংযোজন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
থ্যাংকস, ম্যান
তোমার কাছ থেকে নিয়েই তো পড়লাম বইটা। সে-জন্য আরেকটা থ্যাংকস। আমি বরাবরই রহস্যগল্পের বিরাট ভক্ত। ভৌতিক কাহিনীগুলোও খুব টানে আমাকে। এ ধরনের সিনেমাও খুব পছন্দ করি। আর মিসির আলি তো আমার ভালো লাগা চরিত্রগুলোর একটা। এক ধরনের মুগ্ধতা কাজ করতো যখন পড়তাম পুরনো মিসির আলিগুলো। বহু বছর পর এই বইটা দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ পড়লাম আবার।
যাই হোক, তোমার সাথে চিন্তাভাবনার বেশ কিছু মিল পাই মাঝে মাঝে।
- বইটা পড়েছি। গল্পগুলো ভালো লেগেছে। আপনার রিভিউটা অনন্য সাধারণ লাগলো, আসলেই।
হামাভূতের কাহিনীটা নিয়ে একটু খটকা লাগছে। জলপরীরা মাসুদকে যদি ফেরতই দিবে তাহলে মাঝনদীতে কেনো? একটু কষ্ট করে তীরে পৌঁছে দিলেই পারতো! তীরে অচেতন অবস্থায় আধাজল-আধাডাঙ্গায় ফেলে রাখলেই পারতো!
অনেক আগে সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী বলে একটা পত্রিকা বের হতো। যুগান্তর কি দেওয়ানবাগীর জায়গা দখল করতে যাচ্ছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাংকস, ধুগো'দা। বইটা পড়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো লেগে গেল তো, তাই ঝোঁকের মাথায় লিখে ফেললাম হুট করে। বেশি সময় নিয়ে বা চিন্তাভাবনা করে লিখতে গেলে হয়তো হতো না কিছুই। কারণ হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভালো লেগেছে, এটা বলতে, এখন মনে হচ্ছে, কিছুটা সাহস লাগে
হুমম, হামা-ভূত নিয়ে খটকা আছে আমারও। তবে একটা জিনিস বিশ্বাস করি, প্রকৃতিতে ব্যাখ্যাতীত প্রচুর ঘটনা ঘটে, যা আমাদের কাছে অলৌকিক মনে হয়। হয়তো এগুলোর যথার্থ ব্যাখ্যা আমরা এখনও জানি না। হয়তো এগুলোরও লৌকিক ব্যাখ্যা আছে, যা একদিন উন্মোচিত হবে। তবে তার আগ পর্যন্ত, এগুলো তো 'অলৌকিক'-ই, তাই না?
ভূত বিশ্বাস করি না, যতোই বলি না কেন, অতিপ্রাকৃত অথবা গা ছমছম করা রহস্যময় কোনো ঘটনা শুনতে বরাবরই ভালো লাগে। তাই একেবারে 'অবাস্তব গাঁজাখুরি' বলে উড়িয়ে দেই না কোনোকিছুই (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। বলছি না যে এগুলো বিশ্বাস করি, তবে জানতে/পড়তে/শুনতে ভালো লাগে।
ওহ, গল্পগুলো আপনারও ভালো লেগেছে জেনে খুশিই হলাম।
রিভিউটা একেবারে ঝরঝরে সুন্দর৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অনেক ধন্যবাদ, দমু'দি।
একটা মজার কথা বলি, বহুদিন পর সেদিন আবার বুদ্ধদেবের বাবলি বইটা পড়লাম। পড়তে গিয়ে দেখি, বাবলির ভালো নাম 'দময়ন্তী'। একটা জায়গাতেই ছোট্ট করে উল্লেখ করা ছিল। খুব মজা পেয়েছি।
বই এখন পাব কই ? নেটে কোথাও পাওয়া যায় ?
আপলোড করে দিলাম। দেখেন তো এখান থেকে নামাতে পারেন নাকি। নাইলে আমাকে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসটা মেসেজে দিয়েন। পাঠায়া দিবোনে।
অ-নে-ক ধন্যবাদ
অফিস থেকে ব্লক করা, বাসায় যেয়ে নামাবো
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আমারেও পাঠান না!
মিসির আলির এই বইটার কথা শুনে তুলিরেখার একটা কথা মনে হলো। কিছু দিন আগে তিনি একটি কোলাজ গোত্রের গল্পাংশ-সংগ্রহ সচলে পোস্ট করেছিলেন, তাতে লিখেছিলেন যে ঐ গল্পগুলো লিখতে শুরু করে আর শেষ করতে পারেন নি তাই ঐ ভাবেই পোস্টালেন। হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলিকে নিয়ে লিখতে বসে যেই যেই ক্ষেত্রে কোনো ব্যাখ্যা সাজাতে পারেন নি, এই বইটা মনে হয় তারই সংকলন। ওঁর আদ্ধেক লেখারও বাজার দর আছে, কাজেই ফেলে না রেখে আনসল্ভড বলে ছাপিয়ে দিলেই হটকেক।
খুবই বাস্তব এবং গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা, সম্ভবত সেটাই ঘটে থাকতে পারে এখানে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
<সাইব্বাই>
হয়তো, হয়তো বা না। স্বয়ং লেখক ছাড়া কে-ই বা বলতে পারেন...
<রাজর্ষি'দা>
হুমম, মনে আছে তুলি আপুর পোস্টটার কথা।
এটা ঠিক যে, হুমায়ূন আহমেদের বাজার দর এখনও মারাত্মক। আমার কাছে মনে হয়েছে, উনি বরাবরই নতুন পাঠকদের টানতে পারেন। অস্বীকার করার উপায় নেই, আমাদের অনেকেরই পাঠোভ্যাস গড়ে উঠেছে এই হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েই। একটা পর্যায়ে গিয়ে রুচি বদলে যায়, পাঠের পরিধি বিস্তৃত হয়। তখন আর এ ধরনের হালকা লেখা আমাদের মনে দাগ কাটে না।
আপনার ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য অবশ্যই। এমনটা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমার কাছে আরেকটা জিনিস মনে হয় যে, মিসির আলিও তো একজন সাধারণ মানুষ। এমন তো না যে তাঁর জীবনের প্রত্যেকটা রহস্যই সে সমাধান করতে পারবে বা লৌকিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবে। সে তো আর ঈশ্বর না। লেখক হয়তো এই চিন্তা থেকেও লিখে থাকতে পারেন বইটা। তাই 'অমীমাংসিত' রহস্যগুলো নিয়ে যে বইটা এসেছে, সেটাকে কোনোভাবেই ছোট করছি না।
আর আমার মনে হয়, একটা রহস্য ততক্ষণই 'রহস্য', যতক্ষণ পর্যন্ত সেটার সমাধান পাওয়া না যায়। একবার সমাধান পেয়ে গেলে তো আর সেটা রহস্য থাকলো না। সেটা একটা 'ঘটনা' হয়ে গেল।
রিভিউ দারুণ লাগলো, প্রহরী, জোস!
হুমায়ুনের এই একটা জিনিসই এখনো আমি পড়ি, মিসির আলী। শেষ দুটা অবশ্য একেবারেই যা-তা! দেখি এটা পড়ব।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অসংখ্য ধন্যবাদ, খেকুদা
আমি শেষ দুইটা পড়িনি। আপনার তো রহস্য/রোমাঞ্চ/হরর গল্প অনেক ভাল্লাগে। পড়ে দেখেন এইটা, ভালো লাগলেও লাগতে পারে।
ভালো রিভিউ মানেই ভালো উস্কানি ... ভালো হইসে
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
রিভিউ খুবই ভাল হয়েছে প্রহরী, বইটা পড়তে ইচ্ছা করতেছে এখন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আপনি তো রিভিউয়ের গুরু। আপনার লেখা রিভিউগুলো কী দারুণ যে হয়! আপনার ভালো লেগেছে জেনে সাহস পেলাম।
বইটা পড়লে, নিজ দায়িত্বে পড়বেন। যদি হুমায়ূন আহমেদে চরম অ্যালার্জি থাকে, তাহলে না-ও পড়তে পারেন
অনেক ধন্যবাদ, কনফু ভাই।
পুনশ্চ. একটা রিভিউ নিয়ে কথা হয়েছিল আমাদের, মনে আছে নিশ্চয়ই। ওটার কদ্দূর কী অবস্থা?
বইটা পড়ি নাই, পড়বো না সম্ভবত। তবে আপনার রিভিউ ভালো হইছে... নিয়মিত করলেই পারেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিকাছে, সাহস দিলেনই যখন, মাঝে-সাঝে চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ, ভাইজান
বহুত দিন লেখেন না কিছু... আপনার সেই পুরনো মজার মজার লেখাগুলা সত্যিই খুব মিস করি।
-হু আ এর বই আজকাল অধিকাংশ সময়ই হতাশ করে।
-দারুন রিভিও হইছে! বইটা তার এক দশমাংশ ভাল হইলে হয়!!
-----------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
কথা ঠিক। হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ বই-ই এখন হতাশাজনক। প্রত্যাশা পূরণ হয় না। যদিও আমি কয়েক বছর পর ওঁর কোনো বই পড়লাম।
রিভিউ ভাল্লাগসে জেনে খুশি হইলাম। ধন্যবাদ
আর, বইটা যদি পড়ো-ও, তাইলে জানায়ো কতো শতাংশ ভালো লাগল।
আপনার লেখাটা পড়েই চোখে পড়লো সেজান ভাইয়ের ব্লগস্পটে হু. আ-কে নিয়ে বিরাট সাইজের একটা লেখা। পড়ে ফেললাম তার স্মৃতিচারণ। সঙ্গে কোথাও কেউ নাটকের একটা ক্লিপ। লেখাটা আমার খুব পছন্দ হয় নাই, তবু লিঙ্কটা এখানে দিলাম, মনে চাইলে হু. আ. ভক্তরা পড়তে পারেন
http://sezanmahmud.blogspot.com/
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'কোথাও কেউ নেই' আমার অসম্ভব ভালো লাগা একটা নাটক।
লিংকটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সময় করে পড়ে দেখবনে।
ধন্যবাদ । পড়ার চেষ্টা করবো।
দলছুট।
===========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।
আপনাকেও ধন্যবাদ
বাংলায় ভালো বুক রিভিউয়ার খুব-ই কম। এমন রিভিউ পেলে তাই হামলে পড়ি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বিরাট একটা কথা বলে ফেললেন বস। অবশ্য আপনার মতো বিশালদেহী মানুষের কাছ থেকে এমন বিরাট কথা অস্বাভাবিক না মোটেও
আর, আমার উপর হামলা না করে রিভিউয়ের উপর করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জানে বেঁচে গেলাম
পুনশ্চ. আপনার কিন্তু আমাকে একটা জিনিস পাঠানোর কথা ছিল। ফোনে বলসিলেন। ভুলে গেছেন নাকি?
প্রহরী ভাইয়ের দেয়া লিঙ্কটা থেকে নামায়া পুরা বই ৪৫ মিনিটে পড়ে ফেললাম- আসলেই ভালো লাগসে। বহুদিন পর হুআ এর একটা ভালো লেখা পড়লাম...।
'মাছ' নামের একটা গল্প বাদে প্রতিটা লেখাই ভালো লাগসে। খুব ভালো ...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
৪৫ মিনিটেই শেষ! এইটাই বলসিলাম যে এই বইটা খুব তাড়াতাড়ি পড়ে শেষ করা যাবে।
আর আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, অধিকাংশ মানুষই কিন্তু পুরা বইটা পড়সেন, যাদের ভালো লাগেনি (পড়ার পর), তাঁরাও। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, হুমায়ূন আহমেদ যা-ই লিখুন না কেন, তা আমাদের জন্য আগ্রহের বিষয়। খারাপ লাগলে, পুরাটা শেষ করেই গালি দেই আমরা। মাঝপথে 'বোরিং/ফালতু' লাগার কারণে পড়া থামাই না। কারণ একবার শুরু করলে, আপনাআপনি ওঁর বইগুলো শেষ হয়ে যায়।
যাই হোক, ভাল্লাগসে জেনে ভালো লাগল। কারণ 'মাছ' বাদে বাকি গল্পগুলা আমারও কম-বেশি ভাল্লাগসে।
আরো কয়টা রিভিঊ লিখে ফেলূন। বই বাছতে ভাল লাগবে। সবাইকে লিপিকা পড়ানোর চেষ্টা কি করা উচিৎ না?
সুরঞ্জনা!
ঠিকাছে, সবার কাছ থেকে এমন অনুপ্রেরণা পেলে তো লেখার আগ্রহ হয়ই। চেষ্টা করে দেখব এরপর, অনেকেরই পছন্দের কোনো বই নিয়ে লেখার। আমি কিন্তু এখনও লিপিকা পড়িনি। তবে এটা অবশ্যই মানবো, সবাইকে জোর করে ধরে-বেঁধে এই বইটা পড়ানো উচিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব শিগগীর তোমার কাছ থেকেও কোনো একটা লেখা আশা করি।
মাছ গল্পটা আমিও বুঝতে পারিনি, তবে বাকি গল্পগুলো ভালোলাগা নিয়ে পড়লাম। ধন্যবাদ বই্য়ের জন্য।
'মাছ'-টা একেবারেই জমেনি। বাকিগুলো আমার কাছে খুব খারাপ লাগেনি। ভালোই লেগেছে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
বইটা পড়া হবে কি না জানি না, তবে রিভিউ বেশ ভাল্লাগসে।
"রোগভক্ষক রউফ মিয়া" জাতীয় কনসেপ্টটা দ্য গ্রীন মাইল মুভিতেও ছিলো মনে হয়। ওখানে রউফ মিয়ার নাম ছিলো জন কফি।
অনেক ধন্যবাদ, যুধিষ্ঠির'দা।
এই সিনেমাটা এখনও দেখা হয়নি। তবে দেখার প্রবল ইচ্ছা আছে। কখনও দেখলে, মিলিয়ে দেখব সিনেমার সাথে গল্পের মিল কতটুকু...
ভালো থাকবেন।
হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্পসমগ্র পাওয়া যায়, অনেক মোটা ... ঐটার একেবারে শুরুর দিকে কিছু অতিপ্রাকৃত গল্প আছে, অসাধারণ ... দুইএকটার নাম মনে আছে, যেমন ছায়াসঙ্গী, দ্বিতীয়জন, উইজা বোর্ড [এই তিনটা নিয়ে নাটক হয়েছিল টিভিতে, তাই নাম মনে আছে] ... আরেকটা গল্প আছে, নাম ভয় ... ঐটাও একটা মাস্টারপিস মনে হয় আমার কাছে ...
মিসির আলী আনরিসল্ভড পড়লাম ... রহস্য গল্প হিসেবে দুইএকটা বাদে সবগুলিই বেশ ভালো লেগেছে, কিন্তু মিসির আলী হিসেবে ভালো লাগে নাই ... জ্বীন-কফিল আর বৃহন্নলা দিয়ে যে যুক্তিবাদী মিসির আলীর ইমেজ তৈরি হয়েছিল তাকে এভাবে অলৌকিকতাবাদী বানানোর দরকার দেখি না ... মিসির আলী ছাড়াই এই গল্পগুলি আসতে পারতো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ছায়াসঙ্গী আর ওইজা বোর্ডের কথা মনে আছে। কী ভয়টাই না পাইসিলাম নাটক দেখে। আর মিসির আলির পুরাতন বইগুলাও খুবই দারুণ ছিল। অসাধারণ লাগতো। 'ভয়' গল্পটার কথা মনে আছে। সত্যিই ক্লাসিক!
আমি উপরে যেমন একবার বলসি, আমার মনে হইসে, মিসির আলিও সাধারণ একজন মানুষ। সব রহস্যের সমাধান যে সে করতে পারবে, তা না। আর প্রকৃতির সব ঘটনার ব্যাখ্যা এখনও আমরা জানি না। তাই মিসির আলিকে যদি 'একজন সাধারণ মানুষ' হিসাবে দেখানো হয়ে থাকে এই বইটাতে, যে কিছু রহস্যের কূলকিনারা খুঁজে পায়নি, তা আমার কাছে খুব বেশি খারাপ লাগে নাই। বরং একটা দুইটা বাদ দিয়ে সব গল্পই বেশ উপভোগ করসি (অবশ্যই কিছু বাহুল্য বর্ণনা বাদ দিয়ে)।
সবচেয়ে বড়ো কথা, একদমই কোনো প্রত্যাশা ছিল না বইটার কাছে। এ কারণেই হয়তো ভাল্লাগল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ছরি, টাইপো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ব্যাপার্নাহ্
প্রহরী-----
তুমুল রিভিউ
'ফাটাফাটি' পেরিয়ে ১০০ মাইল!! হা হা হা ---
না, বস আসলেই খুব ভাল লাগল। তোমার রিভিউগুলো আমার খুব ভাল লাগে---সেটা বইয়ের হোক,চলচ্চিত্রের হোক বা গানের হোক। সমালোচনা করতে গিয়ে তুমি শুধু প্রথামত খারাপ দিকটা নিয়ে কথা বলনা। তুমি জানো কখন কোথায় কাকে কতটুকু সম্মান দিতে হয়।'ভাল' অংশটাকে তো ভাল করে বলোই, 'খারাপ' অংশটাও বড় ভাল করে লেখো তুমি।
তুমি আরেকটু ঘন ঘন রিভিউ দিলে আমাদের মত অনেকে খুব উপকৃত হতাম।
অনিকেত'দা, অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভাল্লাগসে জেনে খুব খুশি হলাম।
অনুপ্রেরণা পেলাম। চেষ্টা করব মাঝে মাঝে টুকটাক রিভিউ জাতীয় কিছু লেখার (যদিও রিভিউ লেখার কোনো যোগ্যতা হয়তো আমার নেই, মূলত ব্যক্তিগত মতামতটাই লেখার চেষ্টা করি)।
আসলে এই লেখাতেও কিন্তু বইটার যেসব খারাপ দিক চোখে পড়েছে, বলেছি। তারপরও সেগুলো হয়তো তেমন একটা তীব্র হয়নি জন্য, 'ভালো লেগেছে' জাতীয় মেসেজটা বেশি প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে।
যাই হোক, ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আরও একবার।
ঝরঝরে রিভিউ, বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি হলো মনে।
অনেক ধন্যবাদ, হিমু ভাই। বাকি সব বাদ দিলাম, অন্তত বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে পারলাম জেনে খুশিই হইলাম
যাক, অনেক গালি খাবো জেনেও মন্তব্য করতেছি। আশাকরি মাইন্ড খাবা না। আমার কথা তো আর ধর্মগ্রন্থ না, পাগলের প্রলাপ ও বলতে পারো।
তোমার রিভিউ এসেছে দেখে বইটা নামালাম, তারপর বইটা পড়লাম। তারপর তোমার রিভিউ পড়লাম। নিঃসন্দেহে তোমার রিভিউটা মানগত ভাবে বইটার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। বইটা পড়তে গিয়ে কয়েকবার মেজাজ খারাপ হয়েছে। প্রথমত অপ্রয়োজনীয় ইংরেজীর ব্যবহার, এই বই যদি তোমার ভালো লেগে থাকে লেখনীর গুনে, তাহলে কিন্তু বলব তোমাকে কেউ কিছু খাইয়ে দিয়েছে। অবশ্য পুরাটাই আমার ভ্রান্ত ধারমায় বশবর্তী হয়ে ভাবা কথাও হতে পারে। লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে, শাওন লিখেছে, হুমা ছাপাইসে। আমার ভালো লাগে নাই, বুঝতেই পারতেস। গল্প বলার ধরনটাও মু জা ইকবালের কাছ থেকে ধার করা। লেখক তার চরিত্রের মুখোমুখি। এখানেই আমার প্রথম বিরক্তির শুরু। তারপর একের পর এক অযৌক্তিক বা* ছা* দিয়ে লিখে গেলেন লেখক। এর চেয়ে হাজার গুনে ভালো লেখা সচলের অনেকে লেখেন।
প্রথম গল্পটাকে নিয়েই নাহয় কিছু বলি, যে জিনিষগুলা আমার চোখে লেগেছে। অজস্র বানান ভুল, আমার মত বানান কানা লোকের চোখেও যদি লাগে, তখন কেমন লাগে বল? তারপর ইংরেজী শব্দ তো আগেই বললাম, তাও উচ্চারন ভুল। গল্পগুজবের কথা বলতে গিয়ে হুমা বললেন, "বিদেশিদের কাছে গুজবের কোন গুরুত্ব নাই!" গুজবের উপরেরি মিডিয়া ব্যবসা করতেছে, VH1 এ যাবতীয় কাউন্ট-ডাউন হয় এইসবের। অন্যান্য চ্যানেল ও আছে। মিসির আলির বই মানে তো অলৌকিক কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আসবে, তা না করে এখানে পীর-ফকিরদের মত অলৌকিক বুজ্রুকির বর্ননা করেছেন গল্পটিতে। সিন্দুকের চাবি রূপা দিয়ে বানানো, ভাইরে সোনা আর রূপা নমনীয় ধাতুদের অন্যতম (যদি ভুলে গিয়ে না থাকি), নুহাশ পল্লিতে বাস করতে করতে আমাদের লেখক বাস্তব ভুলতে বসেছেন বলে মনে হল। আর আধাফুট চাবি কোমরে বেঁধে একজন মানুষ ঘুরে বেড়ায়, ঐ চাবির বাড়ি খেয়েই তো ঐ চরিত্রের ... ... ....
তাছাড়া কোন চমক পাইলাম না, পুরা বইটাতে। চরম বিরক্ত হইলাম পড়তে পড়তে। হয়ত মিসির আলীকে টেনে না আনলে এতটা খারাপ লাগত না। হয়ত সমস্যা আমার মাঝেই। অনেকেই দেখলাম বলল, বইটা ভালো লেগেছে। খালি আব্জাব লেখেই ছাড়েন নাই হুমা, প্লটও দেখলাম একটু এদিক সেদিক থেকে ধার করেছে।
যাক, আজাইরা প্যাচাল পাড়লাম অনেক। ভালো থাক। তোমাকে ধন্যবাদ দিতে হবে এ কারনে যে তোমার কারনে বইটার খবর পেলাম। আর তোমার কি পড়ে ভালো লাগবে না লাগবে সেটা একান্তই তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কোন কিছু ভালো বললেই ভালো হবে বা খারাপ বললেই খারাপ হবে এমন না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুব বিপদের মধ্যে আছেন সাইফ ভাই। রাণীমার দেশ থেকে তীব্র আক্রমণের শিকার হৈতারেন।
ঠিকাছে, এত ডরাইলে তো চুপ মাইরা থাকতাম। সমালোচনা করলে পাল্টা জবাব তো শুনতে হবেই, কেউ ভালো যুক্তি দিলে সেটা পরে হ্য়ত এই বই পড়তে গিয়ে পাওয়া যন্ত্রনাটা কিছুটা লাঘব হবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চুপ না মাইরা থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সাইব্বাই। হুমায়ূন আহমেদের বইটা পইড়া যে যন্ত্রণা পাইসেন, সেইটা লাঘবের জন্য বরং অন্য একটা বই আপনারে পড়তে দিব। মেইলে পাঠাবনে। পইড়া জানায়েন কেমন লাগল।
<হিমু ভাই>
প্রথমে একদমই বুঝতে পারিনি কার কথা, কী বলতে চাইসেন। পরে বুঝসি
<সাইব্বাই>
রিভিউ ভাল্লাগসে জেনে খুব খুশি হইলাম। অনেক ধন্যবাদ। এবার...
আমি কিন্তু কোথাও লিখিনি যে বইটা আমার শুধুমাত্র লেখনীর গুণে ভাল্লাগসে। আমি ভালো লাগার কারণ উপরে কয়েকটা মন্তব্যে বলসি। পোস্টেও লিখসি - '.... হুমায়ূন আহমেদের এই বইটিকে গড়পড়তা তাঁর অন্যান্য সাম্প্রতিক লেখাগুলো থেকে এগিয়ে রাখব অনেকাংশেই। এর মূল কারণ হয়তো ওই রহস্যের হাতছানিই।' আমার রহস্য/রোমাঞ্চ/ভৌতিক গল্প ভাল্লাগে। বিষয়বস্তুর কারণেই হয়তো বইটা ভালো লাগসে। আরেকটা কারণ হলো, এই বই থেকে আমার কোনোই প্রত্যাশা ছিল না। আমি পরিচিতদের কাছ থেকে হুমায়ূন আহমেদের সাম্প্রতিক বইগুলা সম্পর্কে শুনসি। তাতে করে ভাবসিলাম এইটাও হয়তো 'ফালতু' হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিষয়বস্তুর প্রতি আমার আগ্রহ বইটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। এরপর আসে লেখনীর কথা।
লেখনীর কথা যেটা বলসি, সেটা হলো - 'দুর্দান্ত গতিময় লেখনী।' এটা বলার কারণ হলো বইটা পড়তে সময় লাগে না খুব একটা। একই আকারের অন্য কোনো বইয়ের চাইতে এই বইটা অনেক তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদের বর্ণনা একঘেয়ে লাগে না। হতে পারে বহুল পুনরাবৃত্তিতে তা এখন চর্বিত চর্বন, তারপরও পড়ার সময় এক টানে পড়ে ফেলা যায়। তাই বলতে চাই-
প্রথম গল্পে আমি কিন্তু 'প্রচুর' বানান ভুল পাইনি। সম্পূর্ণ নির্ভুল লেখা, দাবী করছি না যদিও। আর ইংরেজি শব্দ কিন্তু এই গল্পে খুব বেশি নাই-ও। বরং অন্য কিছু গল্পে অহেতুক ইংরেজি শব্দের ব্যবহার আমার চোখে পড়সে, যেটা উল্লেখও করসি পোস্টে। শুধু তা-ই না, 'বাহুল্য বর্ণনা'-র কথাও বলসি। বলসি 'অতৃপ্তি'-র কথাও। আরও বলসি 'পাঠ শেষে তেমন আহামরি কোনো প্রাপ্তি নাই', তবে ভালো লাগার বিচারে, আমার কাছে খুব বাজে মনে হয় নাই বইটাকে।
মিসির আলিকে আমি এই বইতে সাধারণ একজন মানুষ হিসাবেই দেখসি। সব রহস্যই যে তিনি সমাধান করতে পারবেন, তা তো না-ও হতে পারে। কোথাও না কোথাও তো তিনিও হার মানতে পারেন। কারণ একজন মানুষ (যে কোনো মানুষ) নিজের কর্মক্ষেত্রে তো সবকিছু সবসময় সঠিকভাবে না-ও করতে পারেন, হোন না কেন তিনি সে বিষয়ে খুব দক্ষ।
আপনি হুমায়ূন আহমেদকে একদমই পছন্দ করেন না, সেটা মন্তব্যেই পরিষ্কার করসেন। আমার ধারণা, আপনার কাছে বইটা এতোটা খারাপ এবং 'সম্পূর্ণ চমকহীন' লাগার, এবং এভাবে লেখক ও বইয়ের উপর খাপ্পা হয়ে চড়ে বসার এইটাই একমাত্র কারণ। নইলে, আমার কাছে মনে হইসে, এই বইতে যে আটটা গল্প আছে, সেগুলার চাইতেও তুলনামূলক কম ভালো লেখা সচলায়তনে পড়েই আপনার কাছে তা খুবই ভাল্লাগসে, এর আগে।
[সেটাও স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ তো আগেই বললাম, সবার পছন্দ তো আর একরকম না। সবার সবকিছু ভাল্লাগবে, তা-ও না।]
সমস্যা হলো 'হুমায়ূন আহমেদ'। নামটা থেকে আমাদের যে প্রত্যাশা, সেটা বাস্তবে অধিকাংশ সময়ই পূরণ হয় না জন্যই এতো গালাগালি করি আমরা ওঁকে।
আপনি আপনার মতামত, যে কোনো সময়, নির্দ্বিধায় জানাবেন। আর আমার মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না। কোনো কথা চেপে রাখার চাইতে খোলাখুলি আলোচনা ভালো, এই বিশ্বাস থেকেই বললাম কথাগুলা। যদি কোনোভাবে আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতেসি। কারণ সে উদ্দেশ্য আমার মোটেও ছিল না। লম্বা-চওড়া মন্তব্য করার কারণও সেটা। আপনাকে পছন্দ করি জন্যই করা। নইলে হয়তো আপনার কথাগুলার জবাব না দিয়ে ছোট্ট করে ধন্যবাদ দিয়ে সরে যেতাম।
ভালো থাকেন। নিয়মিত লেখেন
সাইব্বাই আর অপ্র দুজনের মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেই জাঝা... নিজেদের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করাই ভালো, পেটে কথা নিয়ে পরে গার্গল করে বের করলে কখনই কাজের কাজ হয়না...
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এক চিমটি লবণ দিয়ে কুসুম-কুসুম গরম অবস্থায় গার্গল করলেও না?
ধন্যবাদ।
যাক তোমার জবাবের জন্যে অপেক্ষা করতে করতে তো কেশ সাদা হয়ে যাইতেছিল, তবে জবাবটা পড়ে ভালো লাগছে, এখন মনে হইসে যে, হুজুগের বশে লেখ না রিভিউটা। তবে হ্যা পছন্দ অপছন্দের কথা সরাসরি বলতে কোনই অসুবিধা নাই আমার। এমনিতেই সকলের চক্ষুশুল, তাই বলে তো আর আমার রঙ পালটায় যাবে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা। উপরের মন্তব্যগুলার জবাব দিতে দিতে দেরি হয়ে গেল। যাই হোক, সাদা চুলগুলা কালো করে নেন। কলপের টাকা পাঠায়া দিবোনে
মাইন্ড খান নাই জন্য থ্যাংক্যু।
পছন্দ-অপছন্দের কথা সবসময়ই মন খুলে বলবেন। রঙ পাল্টানোরই বা কী দরকার বলেন? যেমন আছেন, যেমন থাকতে ইচ্ছা করে, তেমনই থাকেন। ভালো থাকেন।
কাউকে কথা শুনানোর পরে প্রতি উত্তর শুনে যদি মাইন্ড খাই, তাইলে কিন্তুক হেমায়েতপুর ছাড়া আর থাকার জায়গা নাই। আচ্ছা, ইদানিং আর হেমায়েতপুরের নাম শুনি না, হাসপাতালটাকি বন্ধ হইয়া গেছে? আর ট্যাকা কই? কলপ কিনুম!!
হুমার কয়েকটা নতুন বই বের হইছে, কওথাও পাইতেসি না, পাইলে লিংক দিও তো!! আমি নাম দিতেছি
দিঘির জ্বলে কার ছায়া গো
হিমুর বাবার কথামালা
সানাউল্লার মহা-বিপদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হেমায়েতপুর যাওয়ার খুব শখ হচ্ছে নাকি? আমার দেশের বাড়ির পাশেই। বইলেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারটা মেইল কইরেন। পাঠায়া দিবোনে
আপনি হুমায়ূন আহমেদের বই খুঁজতেসেন! তাও আবার নতুন বের হওয়া বই! পচাইলেন নাকি, বুঝলাম না
প্রহরীর মন পুলিশ পুলিশ। ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার তো দিয়ে রাখসি সেই কবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুম (হুমা না কিন্তু!)
দুর্দান্ত রিভিউ । বই এর লিংক টা দেন প্লিইইইইইইজ ।।।।।।।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই লিংকে ক্লিক করে বইটা ডাউনলোড করতে পারবেন। এতেও সমস্যা হলে জানাবেন, ইমেইলে পাঠিয়ে দিব।
অতন্দ্র প্রহরীর লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে কিন্তু কোন কিছুই আমাকে হু আ এর বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবে বলে মনে হয় না। আমি যার লেখা পড়ি তার কাছে আমার একটা অন্যরকম প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু হু আ আমার সেই প্রত্যাশা কখনয় পুরুন করতে পারেন নাই। আমি বরাবর আশাহত হয়ে ফিরে এসেছি তার কাছে থেকে। ইংরেজী শব্দ তাকে ব্যাবহার করতেই হবে কারন ভাষা গত মুন্সিয়ানা তার জানা নেই। তার বই কিছুটা পত্রিকা পড়বার মত। সকালে পড়ুন রাতে ভুলে যান। পাঠকের ও জাত আছে, আর সে জন্যই আমি সব দিলেই গিলতে পারিনা। আর আমি জাকে পছন্দ করি না তার সমালোচনা ও করি না। একবার চিন্তা করেছিলাম একটা প্রোগ্রাম বানাব সি++ দিয়ে যেটা দিয়ে হু আ এর সব বই বানিয়ে ফেলা যাবে সুধু কিছু চরিত্র এদিক সেদিক করে। সম্ভব শুধু এই লেখকের লেখা নিয়েই প্রোগ্রামিং করা সম্ভব। আত্ম উপলব্ধি বলতে যা বোঝায় এবং সমালোচনা ত তিনি লেখক সমাজ থেকে কম পান নাই সে জন্যই হয়ত তিনি লিখেছেন
উদ্ধৃতি
"এইসব বই বাজেয়াপ্ত হওয়া দরকার। এবং এ ধরনের বইয়ের লেখকদের কোনো জনমানবহীন দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়া দরকার। তাদেরকে সেখানে খাদ্য দেওয়া হবে। লেখালেখি করার জন্য কাগজ-কলম দেয়া হবে। তারা কোনো বই লিখে শেষ করামাত্র ক্যাম্পফায়ারের আয়োজন করে লেখা পোড়ানো হবে। আবর্জনা মুক্তি দিবস উপলক্ষে গানবাজনার উৎসব হবে।"
বোঝেন যখন লেখেন কেন? এই মানুষটি যত কম লেখবে পাঠক সমাজ তত উপকৃত হবে। সব সামাজেই কিছু কুলাঙ্গার থাকে লেখক সমাজে হু আ সেই রকম কেউ আমার কাছে।
অতন্দ্র প্রহরীর কাছে অনুরোধ সে যেনো "সাজাহান সাকিদার" এর কিছু বই এর সমালোচনা করে যেমন "শ্মশান যাত্রীর নরক উল্লাশ", "বত্রিশ বিঘা ধানী জমি", "উল্টরথ"। অনেক বেশি মজা পাব তাহলে। সবার সাথে একমত, চালিয়ে যাও কিন্তু বই ...
গরীব
সাউথ কোরিয়া
বস, আসলে এ ব্যাপারে কিন্তু আপনার সাঠে একমত নই। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন অভাব তার আছে বললে একটু বেশি হয়ে যায়। তার পুরান বইগুলো কিন্তু আমি এখনও পড়ি, আর আমি একাই না, আরো অনেকেই পড়েন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কেমিস্ট্রি শিক্ষার সাথে বাংলা ভাষাগত কোন সম্পর্ক নেই।
একজন মানুষের ভাষা গত জ্ঞান তার লেখনিতেই পাওয়া যায়। কিছু লেখনি তার ভাল কিন্তু বাংলা সাহিত্যে তার অবদান কতটুকু সেটা অনেক বড় প্রশ্ন, লেখনি গুলো ভাল কিন্তু মানের দিক দিয়ে তা কতটা উঁচুতে সেটা অনেক বড় প্রশ্ন আমার কাছে।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
ডিগ্রী দিয়েই কি কারো পড়াশুনার পরিধী জানা যায়? হুমার সাহিত্যে পড়াশুনার পরিধী অনেক বড়, আর কেউ যদি প্রমান করতে পারেন যে, আসলে সে যে সব রেফারেন্স দেয়, সব ভুয়া তাহলে হুমাকে আমি জোকার নায়েকের পাশে বসিয়ে দিব। সেরকম করেন বলে মনে হয় নি।
আর কারো সাহিত্যের মান নির্ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, এব্যাপারে হয়ত লীলেন ভাই, বা শোমচৌ-দা ভালো বলতে পারবেন। আর আরো ভালো পারবেন রিটনদা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
<সাইব্বাই>
আজকেও কথা হচ্ছিল কিছু বন্ধুর সাথে যে, হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোতে প্রায় সময়ই ভালো কিছু বইয়ের রেফারেন্স পাওয়া যায়। এরপরের কথাটা ছিল, ছাপা বইতে সেগুলোর হাইপারলিংক পাওয়া গেলে আরও ভালো হতো
<গরীব>
আমারও মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদের বর্তমান বইগুলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মোটেও কোনো অবদান রাখছে না। তবে প্রশ্ন হলো-
বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার মতো ভাষাগত দক্ষতার মাপকাঠি তাহলে কী? এবং সেটা কে/কারা নির্ধারন করবেন?
বর্তমান লেখকদের মধ্যে কারা এই অবদান রাখছেন? স্রেফ আগ্রহের কারণেই মতামত জানতে চাচ্ছি।
<গরীব>
সব পাঠকেরই অধিকার আছে তাঁর নিজস্ব পছন্দানুযায়ী বই বাছাই করার, পড়ার; খারাপ লাগলে প্রকাশ করার, এবং অবশ্যই, ভালো লাগলে সেটাও। তাই জোর করে কেউ কাউকে বলছে না, অন্তত আমি তো নই-ই, যে বইটা পড়তে 'হবে-ই'।
এমন কোনো প্রোগ্রাম লিখতে পারলে, নিঃসন্দেহে সেটা একটা অবিস্মরণীয় ও যুগান্তকারী ব্যাপার হবে। প্রোগ্রামিংয়ের ইতিহাসে সেটা 'কোডাক্ষরে' লেখাও থাকবে। অনেক শুভকামনা রইল।
মতামত প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সাজাহান সাকিদারের বইগুলো কোথায় (কিনতে) পাওয়া যাবে?
<অতন্দ্র প্রহরী>
সাজাহান সাকিদারেকে আপনি চেনেন কারন আমি জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগের এক জায়গাতে বলতে শুনেছি তিনি আপনার একজন পছন্দের ব্যক্তিত্ব। আমি ও তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি তাই এই দূর পরবাসে ও তাকে মাঝে মাঝে স্মরন করি। আমি তার বই গুলোর পান্ডুলিপি গুলো সংগ্রহ করছি। প্রচার বিমুখেও লেখক তার স্বত্ত ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন এবং আমি তার বই গুলো খুব জলদি অন্তর্জালে তুলে দেবো, তখন লিংক দিয়ে দেবো। অনেক দূরে আছি তাই অনেকটা অন্যের উপর নির্ভরশীল, প্রতিজ্ঞা করতে পারছিনা কবে আপলোড করতে পারব।
অন্য কিছু নিয়ে আর মন্তব্য করছিনা।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
আমি তো স্রেফ এটাই জানতে চাইলাম যে কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে তাঁর বইগুলো...
অনেক ধন্যবাদ।
রিভিউ খুবই সুন্দর হয়েছে।
সমস্যা হল আমি হুমায়ুন আহমেদ এর বই ও খুব বেশি পড়ি নাই। মিসির আলি-র একটা দুইটা বই মনে হয় পড়েছিলাম। এই বইটা ডাউনলোড দিলাম, পড়ে দেখব...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অনেক ধন্যবাদ।
ঠিকাছে, পড়ে দেখ কেমন লাগে...
বইটা ডাউনলোড করে পড়লাম। কাজটা গর্হিত, সন্দেহ নাই। মূছর্না ডট কম তো লেখকদের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।
ছবি গল্পটার আইডিয়া ভালো লেগেছে আমার কাছে। কিন্তু কিশোরী-তরুণীর হুলুস্থুলু আবেগ নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যবাণিজ্য এতো গভীর যে গল্পটা ইথেনের আবেগ চটকাতে গিয়ে জোলো হয়ে গেছে কিছুটা। প্লটটা দারুণ।
বাকি গল্পগুলি কমবেশি সাধারণ। মিসির আলির গল্পের চমক তাতে তেমন একটা নেই।
দেবী আর নিশীথিনীর কথা মনে পড়ে গেলো। একটা সময় গিয়ে নিজেকে আর অতিক্রম করা যায় না, মানুষকে তখন থামতে হয়।
আফসোস লাগে তখনই যখন অসাধারন কিছু বই লেখার পর এইসব বা*ছা* পড়তে হয়!
অপ্রঃ রিভিউ বইয়ের চেয়ে ভালো হয়েছে!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
<বালিকা>
আফসোসও লাগে, আবার পড়ো-ও দেখি!
কী বলবো বুঝতেসি না... ধন্যবাদ!
একমত বস!! আর লেবু না চটকায়ে হুমা এর উচিৎ নতুন চরিত্র আনা, তাহলে আমরা তুলনা করব না অন্তত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
<সাইব্বাই>
নতুন চরিত্র না হোক, অন্তত 'ভালো' কিছু সুখপাঠ্য বই লেখা উচিত হুমায়ূন আহমেদের। তাঁর মতো একজন লেখক, মানলাম না হয় প্রকাশকদের চাপে পড়ে 'যা-তা' লিখে দেন, কিন্তু তাই বলে কি নিজের মনের খোরাকের জন্য অথবা পাঠকের কথা ভেবে দুই-চার-পাঁচ বছরে একটাও বই লিখবেন না যেটা পড়ে সব শ্রেণীর পাঠক প্রশংসা করবে? আরেকটা 'নন্দিত নরকে' লেখা সত্যিই কঠিন, হয়তো অসম্ভব-ও, কিন্তু তার কাছাকাছিও যেতে পারবে না আর কোনো বই? এসব ভাবলে খারাপ লাগে। কারণ শৈশবে প্রচুর পড়া এই লোকটার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি।
<প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই>
হুমায়ূন আহমেদের নাটক গত কয়েক বছর ধরেই আমার অসহ্য লাগে। এত্তো বিরক্তিকর! তাই দেখি না। 'কোথাও কেউ নেই', 'বহুব্রীহি', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার'... এগুলোর পর ওঁর তেমন মনে রাখার মতো নাটক আর আসেওনি মনে হয়।
'শঙ্খনীল কারাগার', 'শ্রাবণ মেঘের দিন' ছাড়া তেমন সিনেমা-ও না।
<হিমু ভাই>
'ছবি' গল্পটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। এই কাহিনী নিয়ে কোনো সিনেমা বানানো হলে, হয়েছে কি-না জানা নেই, নিশ্চয়ই দেখতে আগ্রহী হবো।
'দেবী' আর 'নিশীথিনী', বিশেষ করে 'দেবী' পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। ভয়ও পেয়েছিলাম অনেক, সে-সময়। ওই ধরনের বইগুলো আবারও যদি হুমায়ূন আহমেদ লিখতে(পারতে)ন...
গল্পটা আসলেই সিনেমা বানানোর উপযোগী।
অনেকদিন আগে একবার হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক দেখেছিলাম বিটিভিতে, সেখান মিসির আলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আবুল হায়াত। নাটকটির নাম সম্ভবত "অন্য ভূবন" বা "অন্য ভূবনের ছেলেটি", একটি মৃত বালক তার খালাকে হন্ট করতে থাকে, সে কাহিনী নিয়ে। বিপাশা হায়াত ছিলো খালার ভূমিকায়। বিটিভির সেই পুরনো সেটে যে কী ভয়ঙ্কর হরর-রহস্য নাটক তৈরি করা সম্ভব, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু মিসির আলি গল্প দিয়ে খুব চমৎকার কিছু টেলিফিল্ম করা সম্ভব, যদি চিত্রনাট্য আর নির্দেশনায় হুমায়ূন বা শাওন বাদে অন্য কেউ থাকেন।
আমার একটা নাটকের কথা মনে আছে, ভৌতিক, হুমায়ূন আহমেদের নাকি ঠিক মনে নাই। একটা দৃশ্য দেখা যায় অনেকটা এরকম, জানালা খোলা থাকে, হু হু করে বাতাস আসে, পর্দা উড়তে থাকে, মৃত কার যেন আসার কথা ছিল (সে ফোন করতো, ফোন বাজতো অনবরত, এমনকি আনপ্লাগ করার পরও...), শেষ পর্যন্ত বাতাস থামে, দেখা যায় খাটের উপর কিছু রাখা, বোঝা যায় সে সত্যিই এসেছিল। পুরোপুরি সেভাবে ঠিক মনে নাই। তবে এরকম আবছা-আবছা মনে পড়ে। আপনি যে নাটকের কথা বললেন, সেটা এটাই নাকি, বলতে পারি না। পরিষ্কার যেটা মনে আছে, তা হলো ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম নাটকটা দেখে। ঠিকই বললেন, বিটিভির সেটে যে এমন নাটক বানানো সম্ভব, কল্পনা করা যায় না..
এইটা আমারো মনে আছে ... আফজাল হোসেন ছিল সম্ভবত, নারী চরিত্রটা কার সেটা মনে নাই ... আর বিছানার উপর সম্ভবত কদমফুল পড়ে থাকে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
নারী চরিত্রে ছিল মনে হয় সুবর্ণা... (তুমি বলার পর মনে হচ্ছে) আফজাল মনে হয় মারা যায় অ্যাকসিডেন্টে... তারপর যোগাযোগ করে টেলিফোনে... বিবাহ বার্ষিকীতে মনে হয় ফুল দিয়ে যায় বিছানার উপর... এরকম কিছু মনে হচ্ছে আবছা আবছা...
যতদূর মনে পড়ে, নাটকের নাম ছিল 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল'----
আবুল হায়াত অভিনয় করেছিলেন। সূবর্ণা ছিলেন। আফজালের ব্যাপারে নিশ্চিত না। মনে আছে সুবর্ণা এখানে তার মৃত প্রেমিকের(!) যন্ত্রণায় পড়েছিলেন। ভুতটা মরার পরেও সুবর্ণাকে ছাড়ছে না (ফরিদীকে দেখে তার শিক্ষা নেয়া উচিৎ )। আবুল হায়াত মিসির আলী চরিত্র করে ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও টাক মাথায় তাঁকে মিসির আলীর চেয়ে প্রফেসর শঙ্কু বলেই বেশি মনে হচ্ছিল।
নাটকের ক্লাইমেক্সে মিসির আলী সুবর্ণাকে বলেন যে তার মৃত প্রেমিককে দেখা করতে আসার জন্য অনুরোধ করতে। আমাদের সবাইকে ভয়ে কাঁটা করে দিয়ে সেই কিম্ভুত আসলেই রাজী হয়। নির্ধারিত দিনে সুবর্ণা অপেক্ষা করছিলেন---ভয় নিয়ে নয়--এক ধরনের ব্যাকুল প্রত্যাশা নিয়ে। দেখা গেল ভুত এলো না ঠিকই কিন্তু সুবর্ণার বিছানায় রেখে গেল তার প্রিয় কদম ফুল আর না-হওয়া-বিয়ের আংটি। এইদেখে মিসির আলী বলেন যে, আংটিটা আসলে 'ছেলেদের' আঙটি! পুরনো প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে ছেলেদের আঙটি রেখে যাবার মানে হয় না। কাজেই খুব সম্ভবত যে এই 'কাজ' করেছে সে আসলে মেয়ে (সুবর্ণা??)। অবশ্য তিনি মাথা নাড়তে নাড়তে এটাও বলেছিলেন---ঢাকা শহরে কদম ফুল খুব একটা সুলভ নয়। একজন মেয়ের পক্ষে চট করে সেটা খুঁজে বের করা মুস্কিল।
এই এইটুকুই মনে ছিল-----
- আবুল হায়াত না, ঐ চরিত্রে ছিলেন হুমায়ুন ফরিদী নিজে। তাঁর একটা ডায়ালগ মনে আছে আমার। জটিলতার সমাধান করতে চেয়েছিলেন বলে তাঁকে একবার চরম অপমান করেন সুবর্ণার স্বামী (খুব সম্ভবতঃ ওটা আফজালই ছিলেন)। পরে যখন আবার তাঁর কাছে সুবর্ণার স্বামীকে ফিরে যেতে হয়। তখন আগের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইতে গেলেই ফরিদী বলে ওঠেন, "মানুষের খারাপ ব্যবহার আমার মনে থাকে না, ভালোটা থাকে!"
নাটকে সুবর্ণার প্রেমিককে কখনোই দেখানো হয়নি। কেবল টেলিফোনে কথা বলতে শোনা গেছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উঁহু, ঐটা আবুল হায়াত ... আমি মোটামুটি নিশ্চিত ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
- হৈ ব্যাটা, এই নাটক যখন দেখায় তখন আমি নিজেই পড়ি প্রাইমারী ইশকুলে। আমার নিজেরই যেখানে আবছা আবছা মনে আছে, সেখানে তখন নার্সারীতে থাকা কিংকু ক্যামনে নিশ্চিত করে মনে রাখে? মাইর লাগামু কৈলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই নাটক টিভিতে বহুবার দেখাইসে ... মনের মুকুরে না কি জানি একটা স্লট ছিল, খালি পুরান নাটক দেখাইতো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
<কিংকং>
হুমম, 'মনের মুকুরে'। জোস জোস সব নাটক দেখাইত। এখনকার নাটকগুলা দেখলে মনে হয় টিভির ভেতর থেকে একেকটারে বাইর কইরা কঠিন মাইর লাগানো উচিত এদের।
<ধুগো'দা>
আপনার তো নাকি স্মৃতিতে ব্যাড সেক্টর। ফলস্বরূপ প্রায়ই ডিলিটেড সীন বের হয়। তাইলে আবার দাবি করেন ক্যাম্নে যে সবকিছু মনে রাখবেন?
মিম-হার বয়স হয়েছে না!
বয়স হওয়ার কারণে, উনার যে বয়স হয়ে গেছে, এইটাই মনে হয় উনি ভুলে গেছেন
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা
এই কথাটাই হু আ তাঁর কোন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ... কাস্টিং করেছিলেন নওয়াজীশ আলী খান মনে হয় ... তখন নাকি হুমায়ূন বলেছিলেন যে মিসির আলীর টাকমাথা হলে চলবে না ... নওয়াজীশ বলেছিলেন, মিসির আলীর মাথায় যে টাক নাই সেটা আপনি কোথাও লেখেন নাই, এখন কাস্টিং ফাইনাল, এসব বলে লাভ নাই ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
'কোথাও কেউ নেই' নাটক সম্পর্কে শুনসিলাম যে, নওয়াজীশ আলী খান (তাই তো মনে হয়)-এর সামনে হুমায়ূন আহমেদ বসে ছিলেন। অনুষ্ঠানের সময়সূচি ছাপাতে হবে। নাটকের নাম ঠিক ছিল না। নওয়াজীশ আলী খান ওই মুহূর্তে নাটকের নাম চাইলেন। হুমায়ূন আহমেদ কিছুক্ষণ ভেবে একটা কাগজে লিখে দিলেন - 'কোথাও কেউ নেই'। নওয়াজীশ বললেন, 'কোথাও কেউ নেই মানে? আমি তো আপনার সামনেই বসা।' তখন হুমায়ূন আহমেদ তাঁকে বলেন যে, ওটাই তাঁর নাটকের নাম।
নাটক হোক বা সিনেমা, আমার এই ধরনের ছোট ছোট কাহিনী জানতে খুব ভাল্লাগে। জানতে ইচ্ছা করে কীভাবে বানানো হলো সিনেমাটা বা নাটকটা। তাই সিনেমার ডিভিডির বোনার ফীচারসগুলো দেখি, মেকিং, সাক্ষাৎকার। আর নাটকের ক্ষেত্রে টুকটাক খবরের কাগজে যা আসে...
<অনিকেত'দা>
আর, প্রফেসর শঙ্কুর কথাটা পড়ে খুব একচোট হাসলাম
মূছর্না ডট কম জিন্দাবাদ। সাইটের নাম বলার জন্য ধন্যবাদ। মুজতবা, মাসুদ রানা থেকে টিনটিন - সবই একসাথে পেলাম
'দরিদ্র ডট কম' - এখানেও পাবেন অনেক বই।
আরে!!! তুমি তো দেখি চমৎকার রিভিউ লেখো! এতোই ভালো যে অনেকদিন পরে আবার হু আ'র বই পড়ার আগ্রহ হচ্ছিলো। যদিও, বাকিদের মন্তব্য টন্তব্য পড়ে বুঝলাম না পড়লেও অসুবিধা নাই - কিন্তু তোমার রিভিউটা ফাটাফাটি
ধুর। শেষ পর্যন্ত আর কামিয়াব হইতে পারলাম না। আপনারে যদি বইটা পড়ায়া ছাড়তাম, তাইলে হয়তো নিজেরে সার্থক ভাবতাম।
যাই হোক, রিভিউ ভাল্লাগসে জেনে খুশি হইলাম খুব। অনেক ধন্যবাদ।
তা, এই বছর আর নতুন কোনো লেখা দিবেন না?
আর দেরি না কইরে আমার মেইলে বইটা পাডান দি, বিডিআর বাই
হুউম।
যথারীতি, সেমি-ফর্মাল ফুল-সিন্সিয়ার রিভিউ। চৌদ্দআনাই উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার খাতায় লেখা ব্রড-কুয়েশ্চ্যানের উত্তর আদায় করার মতো। তবে, ক্লাসের হায়েস্ট মার্ক গ্যারান্টেড।
আপনাকে বাংলিশ পীড়ন আর না দিয়ে, এইবার সম্পূর্ণ নির্ভেজাল বাংলায় বলি-
(ধ্যাত্তেরি! এই দেঁতো বাংলা হাসিটা হাসতে গেলেও আবার নেপথ্যে একটা ইংরেজি অক্ষর লিখতে হয়!)
সুন্দর! সুখপাঠ্য!! ভালো!!!
হুমায়ূন আহমেদের একটা ছোট গল্প আমার অনেকই পছন্দের- 'চোখ', যেটা একবার জনকণ্ঠ'র এক বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজনে গল্পকারদের প্রিয় গল্প ছাপানোর এক পর্যায়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটা প্রিয় গল্প হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। আর, এমনিতে ওটা পড়ার আগে টিভি-তে দেখেছিলাম ওই গল্পেরই অবলম্বনে হুমায়ূন আহমেদেরই নাট্যরূপ ও পরিচালনায় নাটক 'নিমফুল'। দু'টো রূপই তার অনেক বিরল ভালো কাজ ব'লে মনে হয়েছে আমার কাছে।
আর আমার আবার মিসিরটিসির মিস্টিরিটিস্টিরি বেশি একটা ভালু লাগে না, যদিও 'এক্স-ফাইলস' দেখতাম অপলক চোখে।
আবার, সুন্দর পোস্টের জন্য সাধুবাদ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক ধন্যবাদ। উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রথম পত্রে কিন্তু ৭৫ পাইছিলাম
বাংলিশের কথা বলে তো মনে করায়া দিলেন যে, আপনার একটা পোস্ট দেয়ার কথা ছিল। আর তো দিলেন না
যাই হোক, আপনি যেভাবে কথা বলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেভাবেই মন্তব্য করবেন (অন্তত আমার লেখায়)। নইলে যে 'সাইফুলাক্বর্খান্সাহেবীয়' (একটু বদলালাম) মন্তব্য মিস হয়ে যায়!
'চোখ' গল্পটা কি ওইটা নাকি যেটাতে এক লোক মিসির আলিকে বলে যে তার বউ তার চোখে পেন্সিল ঢুকিয়ে দেয়। ওই লোকের এক চোখ পাথরের বা কাঁচের থাকে মনে হয়। খেয়াল নাই ভালোমতো।
এক্স-ফাইলস কিন্তু আমার খুবই প্রিয় টিভি সিরিজগুলার একটা। ৭টা সিজন দেখে বসে আছি। বাকিগুলা শেষ করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।
পোস্টের শুরুতেই উদ্ধৃত করা লাইনগুলোতে এক জায়গায় 'দেওয়া/দেয়া' নিয়ে গণ্ডগোল করে ফেলসি। কিন্তু পোস্ট হাপিশ হওয়ার ভয়ে পরে আর এডিট করিনি। এই বিষয়ে, আমার আগের পোস্টে, আপনার মন্তব্যটা মনে আছে, থাকবে। থ্যাংক্যু।
যাই হোক, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
ঐ বইটাতে তিনটা গল্প ছিলো। চোখ, জ্বিন কফিল আর স্বপ্ন (সম্ভবত)। তিনটাই চালু গল্প। মিসির আলী নামটার আকর্ষণই অন্যরকম ছিলো তখন। কে জানে, এখন পড়লে হয়তো নানা ত্রুটি খুঁজে পাবো। বইটার নাম কি কারো স্মরণে আছে?
না হিমু, ওটা মিসির আলী ছিল না। অ.প্র.কে দেয়া জবাবটাতে বিস্তারিত দেখেন। আর, মিসির আলীও আমার বেশি পড়া হয়নি। আপনি যে-বইয়ের কথা বলছেন, সেটার নামও বলতে পারছি না।
----------------
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হিমু ভাইয়ের উল্লেখ করা বইটা মিসির আলির-ই। নাম 'ভয়'। তিনটা গল্প আছে। 'চোখ', 'জ্বীন-কফিল' এবং 'সঙ্গিনী'। পড়ে দেখতে পারেন। পুরনো মিসির আলি তো। হুমায়ূন আহমেদের লেখা তখন তুলনামূলক অনেক ভালো ছিল। কিছুটা হলেও ভালো লাগতে পারে।
আমি মিসির আলী'র ব্যাপার-টা না করছি সেই গল্পটার ব্যাপারে, যেটার কথা আমি বললাম। সেই গল্পে মিসির আলী ছিল ব'লে কিছুতেই মনে হচ্ছে না। 'চোখ' নামে তার দুইটা গল্পই ছিল কি না- কে জানে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হুমম, আপনার উল্লেখ করা গল্পটাতে মিসির আলি ছিল না। তবে গল্প দুইটার নাম মনে হয় একই।
আর, মিসির আলিকে নিয়ে লেখা 'ভয়' বইয়ের প্রথম গল্পটার নামই 'চোখ', এইটা নিশ্চিত।
<হিমু ভাই>
আপনার মন্তব্য পড়ার সাথে সাথে বইয়ের নাম মনে পড়ে গেছে। 'ভয়'। আসাধারণ একটা বই। আমার খুব প্রিয়। বইটার কথা বিশেষ করে মনে আছে, কারণ ক্লাস ফাইভে (নাকি ক্লাস এইটে... এইটা নিয়ে একটু কনফিউজড) বৃত্তি পাওয়ার পর আমার ফুপা বইটা উপহার দিয়েছিলেন। সাথে করে বইয়ের দোকানে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেটা খুশি সেটা বেছে নেয়ার সুযোগ ছিল। আমি প্রচ্ছদ দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ওই বইটাই নিবো।
আগ্রহী কেউ পড়তে চাইলে, বইটা পাবেন এখানে।
বই যেহারে পিডিয়েফায়িত হচ্ছে, হুমায়ূন সাহেবের উচিত প্রকাশায়তন থেকে হালাল বই বের করা ।
খুবই ভালো আইডিয়া। প্রচ্ছদের উপর বড়ো বড়ো করে লেখা থাকবে "১০০% হালাল বই"
কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
কাগুকে মূর্ছনা ডট কমের ইউআরএলটা পাঠাইলে মনে হয় ঘন্টার কাজ ৫০% হয়ে যাবে। প্রকাশায়তনের ইউআরএল পাঠালে আরো ২৫%। বাকি ২৫% কাগুর হাতে।
কাগুর ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলে, মূর্ছনা ডট কমের লিংকটা তাঁকে মেইল করে দিতাম
সেদিন স্পর্শর সাথে আলাপ করছিলাম যে, হুমায়ূন আহমেদকে ব্লগিংয়ে (সচলায়তনে) আনতে পারলে কেমন হতো। কথায় কথায় বলছিলাম যে, হয়ত তিনি এমন একটা ব্লগ লিখতেন যে, গভীর শুনশান রাতে তাঁর হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় এবং তিনি দেখতে পান শাওনের পাশে কে যেন বসে আছে, এবং তিনি তাকাতেই সে উঠে বের হয়ে যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর হয়তো কয়েকজন তাঁকে কষে মাইনাস দিতো। এরপর তিনি মন খারাপ করতেন, কে কে তাঁর পোস্টে মাইনাস দিলো, এই নিয়ে
তবে আমার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ব্লগিংয়ে আসলে দারুণ একটা ব্যাপার হতো।
স্যার, আমি দ্বিমত পোষণ করি।
ওনারা দীর্ঘদিন সিমপ্লেক্স কমিউনিকেশনে অভ্যস্ত। ওনারা বই লেখেন, কাগজে লেখেন, লোকে পড়ে। যে জায়গায় একটা লেখা দেয়ার মিনিট দশেকের মধ্যেই নানারকমের সোজাবাঁকা কথা শুনতে হয়, সে জায়গায় তাঁরা টিকতে পারবেন না। হুমায়ূন সাহেব নিজেকে রহস্যপুরুষ দাবি করে ব্লগমণ্ডলের কোথাও কিছু লিখলে কেউ না কেউ তাকে গিয়ে "খুউপ খিয়াল কৈরা" কিংবা "চৌক্ষে পানি আয়া পড়লো" বলতোই। আর তিনিও মনক্ষুণ্ন হতেন। কী দরকার খামাখা বেচারাদের পেইন দিয়ে?
কিন্তু স্যার, উনারা ব্লগিংয়ে আসলে, ব্লগিং ব্যাপারটা আরেকটু ভিন্ন মাত্রা পেত মনে হয়। আর, হুমায়ূন আহমেদের যে লোকজনের কথায় কিছু যায় আসে না, তা তো তিনি বহু আগেই প্রমাণ করে ফেলেছেন। নইলে তিনি দিনের পর দিন যে-সব অখাদ্য-কুখাদ্য লিখে যাচ্ছেন, তা কেন? লোকজনের কথা গায়ে মাখলে মনে হয় না তিনি সে-সব লিখতেন। আর জাফর ইকবাল স্যারের ব্যাপার আলাদা। তাঁর বিশাল ভক্ত পাঠকগোষ্ঠী আছে। এবং সচলায়তন যেমন প্ল্যাটফর্ম, এখানে আমার মনে হয় বেশিরভাগ সচলই উনার চিন্তাধারা, ভাবনাগুলোকে স্বাগত জানাবে, একমত হবে। তবে ভিন্নমত অবশ্যই আসবে। আসতে বাধ্য...
তবে 'মাইনাস' পেলে উনাদের মনেও যে সুনামির তাণ্ডব হবে না, তা জোর দিয়ে বলতে পারি না। কারণ ইতিপূর্বে এই ইস্যুতে কাউকে কাউকে এমন কিছু ব্যাপারস্যাপার করতে দেখেছি, যা মোটেও ধারণা বা কল্পনা করিনি। তাই বলতেই হয়, এই দুনিয়ায় সবই সম্ভব...
কবি দীন মোহাম্মদ (আল্লা তাকে ভবিষ্যতে ভেস্তে নসিব করুন) বা চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী (আল্লা তাকে ভবিষ্যতে ভেস্তে নসিব করুন)-এর মতো নিজস্ব ব্লগ খুলে তাঁরা হয়তো ব্লগিং করতে পারেন, বা কে জানে, হয়তো করবেন, কিন্তু কমিউনিটি ব্লগিঙে আমার মনে হয় না তাঁরা আগ্রহী হবেন। তবে সচলায়তনে তাঁরা লিখতে চাইলে কোনো সমস্যা দেখি না।
আমারও মনে হয় তাঁরা হয়তো কমিউনিটি ব্লগিংয়ে আগ্রহী হবেন না। অথবা বলা যায়, ব্লগিংয়েই আগ্রহী হবেন না। তবে যদি তাঁরা লিখতেন, অন্যরকম ব্যাপার হতো একটা। পাঠক হিসাবে খুশিই হতাম।
অতন্দ্র প্রহরী - আর একবারও যদি পড়াশোনা কিংবা রেজাল্ট বিষয়ক তোমার কৃতিত্বের কথা শুনি, তোমাকে আমি সায়ানাইড - না, না আর্সেনিক ভর্তি চকোলেট খাওয়াবো, অল্প অল্প করে ধুঁকে ধুঁকে মরতে মরতে টেরটা পাবা
আমরা যারা ৭৫/৭৬ পাই নাই তারা আর মানুষ না, না??!!
সক্কালবেলাতেই তোমার ব্যাদ্দপী দেখে আমি স্তম্ভিত! যাও, এক্ষুণি ভালো দেখে তিনটা গান মেইল করো আমাকে!!!!
হা হা হা হা। আপনার চকলেটের অপেক্ষায় থাকলাম। গতবার আনা চকলেটগুলা দারুণ ছিল। এইবার আরেকটু বেশি করে আইনেন
আসেন আপনার মন ভালো করে দেই! আমি রসায়ন প্রথম পত্রে কতো পাইসিলাম জানেন? ৪২ বা ৪৩ (৭৫ এর মধ্যে)!
গানগুলা শুনে জানায়েন কেমন লাগল। তাইলে আরও পাঠানো হবে। তবে, আমাকে 'ডিস্কো বান্দর' পাঠানোর যে রিকোয়েস্ট করসেন, সেটা রাখতে পারলাম না। আমি এইসব গান কাউকে পাঠাই না
@ অ.প্র.
আমি বোধ হয় ৭৩ পাইছিলাম। যান, আপনে আমার চে' ২ নাম্বার বেশি ভালো ইস্টুডেন আছিলেন!
পোস্টের ব্যাপারে আর আশাবাদী হৈতে বা করতে পারতেছি না আসোলে। এর মধ্যে আবার লম্বা একটা ছুটি নেয়ার চিন্তা করতেছি সচল থেকে।
না, 'চোখ' মিসির আলী'র না। চোখ হৈলো ঐটা, যেইখানে মনা ডাকাত ধরা পড়ে এবং ডাকাতির শাস্তি হিসেবে তার চোখ তুলে ফেলা হয় খেজুরকাঁটা দিয়ে!
নাটকটাতে ডাকাতের চরিত্রটা করছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। ঐ যে, আমিরুল হক চৌধুরী ডাকাত ধরার গল্প বলতে গিয়ে যে বিশাল ইতিহাস পাড়তেছিল প্রতিবার শুরু থেকে- "সে এক বিরাট ইতিহাস! আমার ঘরে ছিল না কেরোসি, বউ কেরোসি'র বোতল হাতে দিয়া বললো - ..." মনে পড়ছে?
দেওয়া/দেয়া নিয়ে প্রীত বোধ করছি।
ইওয়ারোয়েল্কাম!
আপনেও ভালো থাকেন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাই নাকি! দ্বিতীয় পত্রে কতো পাইসিলেন?
আমি নিজেও বেশ কয়েক দিন থেকেই ভাবতেসিলাম লম্বা ছুটি নেয়ার কথা। কিন্তু পারতেসি না। এদিকে কতো কাজ জমে আছে...
তবে একেবারে ছুটি না নিয়ে অল্প সময় হলেও দিতে পারেন এখানে, সেটাও কিন্তু মন্দ না।
হুমম, মনে হচ্ছে মনে পড়সে।
৬৭ মনে হয়।
এখনই তো অল্পের চে'ও কম সময় দিতে পারি!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি পাইসিলাম ৫০ আর ৭১ ( ...
আমি পাইসিলাম ৭৫ আর ৭৬
থাক হিমু ভাই, দুঃখ কইরেন না। আপনি তারপরেও বিরাট বস
মাধ্যমিকে তো তাও অব্জেক্টিভ দিয়া A+ পাইসিলাম () কিন্তু নটরডেম থেইকা উচ্চ মাধ্যমিকে পাইলাম A- (মানে ৬০ এর ঘরে)
... বুঝেন এইবার, আমি হালায় এককালে আবার "শব্দশিল্পী" নামে লেখতাম
--------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমারে কেউ বীট দিতে পারবে না ... ইন্টারে বাংলায় পাইসি ৬০ আর ৫৫, টোটাল ১১৫, গ্রেডিং সিস্টেম হইলে বি পাইতাম, জীবনে কোথাও এপ্লাই করা লাগতো না
এসেসসিতেও একই অবস্থা, অব্জেক্টিভে বলে বলে সিক্স পিটায়েও সব মিলায়ে একশো একান্ন মনে হয়; যেখানে আগেপিছে সব লেটার মাইরা বইসা আছে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
<কিংকং>
বাঁইচা গেছো তো মিয়া...
আমি ১৯ টা অবজেকটিভ ভুল করে এসএসসিতে পাইসিলাম ১৫৬, রচনামূলকে একটু ভালো করসিলাম আর কি, নাইলে পুরাই ধরা
<সুহান>
অবজেক্টিভ ফালতু! আমার বহুত নাম্বার খাইসে
হ, তোমার এখনকার নামটাই ভালো হইসে। কারণ 'শব্দশিল্পী' টাইপের নাম নিলে, দায়িত্বটাও অনেক বাড়ে। এতো প্রেশার নেয়া খুব টাফ
(অতন্দ্র) বাপ্রে (হরী)!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এ আর এমন কী... মুখ বন্ধ করেন ভাইজান, মাথা ঝাঁকানি থামান...
চমৎকার রিভিউ!
...............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
অনেক ধন্যবাদ।
অনেকদিন কোনো গল্প-টল্প লিখছেন না যে..
পড়েছি বইটি। ভালো লাগেনি। মিসির আলির আমেজ পুরোপুরি অনুপস্থিত মনে হয়েছে আমার।
হুমম... এখানে আগের সেই মিসির আলিকে খুঁজতে গেলে সত্যিই হতাশ হতে হবে
আচ্ছা হুমায়ুন আহমেদের "নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, হিমুর কিছু কিছু গল্প, শুভ্রর কিছু কিছু গল্প এইসবের পরে এখনকার খাজা খাজা লেখাগুলো পড়লে খারাপ লাগে না? মনে হয় না লেখক হিসাবে ভদ্রলোক নিজের নামকেই খুন করলেন?
আমি অনেকগুলো লেখা পড়লাম, তিথির নীল তোয়ালে থেকে শুরু করে জরীর বিয়ে, আমার আছে জল, জলপদ্ম, মানবী, অহক, জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প এইসব অনেক। কোনোটাই পদের লাগলো না। বারে বারে আগের লেখাগুলোর বিশেষ করে নন্দিত নরকের লেখার সঙ্গে তুলনা করি আর মনখারাপ হয়ে যায়।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আসলেই খারাপ লাগে। আমি একবার এক সচলের সাথে সারা রাত জেগে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী 'ঝগড়া' করেছিলাম হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে। তিনি কেন এসব লেখেন ইদানীং, কেন উনি লেখক হিসাবে, মানুষ হিসাবে তাঁর দায়বদ্ধতা এড়ান, কেন 'ভালো' কিছু লেখেন না বা লেখার চেষ্টাও অন্তত করেন না, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বুঝতেই পারছেন, এমন আলোচনা থেকে কোনো প্রাপ্তি থাকে না। কারণ ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের কানে কখনও কথাগুলো পৌঁছাবে না, পৌঁছালেও কিছু হবে না।
আমি 'শঙ্খনীল কারাগার' পড়ছিলাম আজ। কী লেখা ছিল তখন, আর এখন কী অবস্থা! আশ্চর্য পতন! আর 'নন্দিত নরকে' তো একটা ক্লাসিক। আমার কেন যেন মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ যদি এই একটা বইও শুধু লিখতেন, উনাকে বহু মানুষ বহু বছর ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতো।
যে সচলের সাথে "ঝগড়া" করলেন সারারাত, তিনি কি মত বদলালেন?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে নাহ্, তিনি বদলানোর মানুষ না।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
খাইতে দিলে বসতে চাই এর মত একটা আবদার করি , হু আহমেদ এর মা'র লেখা বইটার লিংক আছে কারো কাছে ?
একটু দেরিতেই জানাচ্ছি, বইটার (আয়েশা ফয়েজের 'জীবন যেরকম') লিংক পাইনি আমি।
যদি দেশেই থাকেন, তাহলে কিনে ফেলুন না হয়। আর বাইরে থাকলে অবশ্য আলাদা কথা। দেখি, যদি পেয়ে যাই কোনোভাবে, তাহলে জানাব।
উদ্ধৃতিঃ
"হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভালো লেগেছে, এটা বলতে, এখন মনে হচ্ছে, কিছুটা সাহস লাগে।"
..........আমার ধারণা কম বেশী সবারই মনের কথা এটা। তাঁর লেখালেখি ভাষাগত দিকবিচারে অথবা জীবনচারণায় আমাদেরকে তেমন কিছু শিক্ষা দেয়না ঠিকই কিন্তু তাঁর গুটিকতক বই পড়ে টুকরো অবসর কাটাতে মন্দ লাগেনি। দেবী, আয়নাঘর, নিশীথিনী, রূপালী দ্বীপ এরকম আরও কিছু বই এর উদাহরণ। কিশোর সময়টা এইসব বই মাথাটা খেয়ে নিয়েছিলো, তারপর বেশ অনেক বছর উনার কোন বই-ই পড়া হয় নাই।
আপনার রিভিউটা চমৎকার লাগলো, ডাউনলোড করলাম, সময় করে পড়ে দেখবো। ধন্যবাদ।
সেটাই। আহামরি প্রাপ্তি হয়তো তেমন একটা থাকে না তাঁর বই থেকে, কিন্তু অবসর কাটাতে কিন্তু মন্দ লাগে না। তাঁর বইগুলো বের করে চোখের সামনে ধরলে কখন যে পুরোটা শেষ হয়ে যায়, টের পাওয়া যায় না। পড়া শেষ হলে হয়তো গালি আমরা ঠিকই দেই, কিন্তু মাঝপথে কিন্তু কেউ থামি না।
ছোটবেলায় তাঁর অনেক বই পড়সি। সেই সময়কার যে ভালোলাগাটা আছে, সেটা এখনও পুরাপুরি দূর হয়ে যায়নি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
পড়লাম। সেই বাবদ প্রহরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি আগে।
আমার মিসির আলি সিরিজ খুব ফেভারিট নয় (যদিও প্রচুর পড়েছি ), কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ ভালো লাগতো। অনেকে ফর্মূলার কথা বলেন ওঁর প্লটে, ভুল বলেন না, কিন্তু কোনো লেখক জনপ্রিয়তার ফর্মূলা আবিষ্কার করতে পারলে তাঁকে আমি বিশেষ কৃতিত্ব দিতে আগ্রহী। যাক, এই বইটার কথায় আসি। শুরুতে তেমন সুবিধার লাগছিলো না, পরের দিকে কিছুটা ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে পস্তিয়েছি এমন নয়। তাছাড়া বাংলা ফিকশন আজকাল এমন কিছু সুউচ্চমানে বাঁধা থাকে না যে এটা আলাদা করে খারাপ লাগবে, তবে সে নিতান্তই ব্যক্তিগত মত। কয়েকটি গল্প বেশি ভালো লাগলো, যেমন 'ছবি'। একটা জিনিস খারাপ লাগলো, তাড়াহুড়োয় হামাভূত গল্পে প্রশান্ত চরিত্রটির নাম এক জায়গায় 'প্রকাশ' হয়ে গেছে। এতো লোকে পড়বে যে বই তাতে আরেকটু যত্ন থাকলে ভালো হতো।
হুমায়ূন আহমেদ আমার ছোটবেলার অন্যতম প্রিয় লেখক। অনেক পড়েছি এক সময়। এখন আর পড়া হয় না
বাংলাদেশে তো তেমন কোনো রহস্য গল্প বা ভৌতিক গল্প কেউ লেখেন না মনে হয় খুব একটা। অন্তত তেমন কিছু আমার হাতে আসেনি। তাই হুমায়ূন আহমেদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ দিতেই হয়। সমস্যা একটাই - প্রত্যাশা। উনার লেখার মান অনেক পড়ে গেছে তো, তাই আগের লেখার সাথে তুলনা করলে, হতাশ হতে হয়।
'ছবি'-টা আমারও খুবই পছন্দের। অনেক মজা করে পড়েছি গল্পটা।
আপনার কাছ থেকে একটু ভিন্নধর্মী চিন্তা ও মতামত পাওয়া গেল। ভালো লাগল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বইটা পড়লাম, ছবি, লিফট আর হামাভুত ভাল লাগল।
তবে গল্পগুলো কেমন জানি সম্পূর্ণ মনে হল না। তিনি রহস্যকে জিইয়ে রেখেছেন, ঠিক আছে, কিন্তু কায়দাটা ঠিক মনে ধরলো না। দেবী, নিষাদ এর মিসির আলীর কাছে আরো বেশী আশা করেছিলাম।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
'ছবি'-টা বেশি জোস।
কিছু কিছু গল্পে আমারও মনে হইসে যেন গাছে তুলে মই কেড়ে নেয়ার মতো ব্যাপার। আরেকটু থাকলে ভাল্লাগত...
(স্পয়লার এলার্ট এবং অফ টপিক)
এই পোস্ট একটিভ থাকতে থাকতেই আমার বহু পুরাতন একটা প্রশ্ন করি - অনেককে জিগ্গেস করেছি - কেউ বলতে পারে না -
অনেক আগে হুমায়ুন আহমেদের একটা ছোট গল্প পড়েছিলাম - গল্পের শুরু হয় এক মিউজিয়ামে এক ছবি দেখে এক লোকের তার বৌয়ের কথা মনে পড়ে যায় - এর পর ফ্ল্যাশ ব্যাকে মূল কাহিনীতে চলে যায় যেখানে দেখায় বউ তার এক বৃদ্ধ শিক্ষককে চিকিত্সার ছুতায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে কিন্তু আসলে তার প্রেমে হাবুডুবু - সে জন্য জামাইকে ঔষধ বলে বিষ খেতে দেয়.
গল্পটার নাম ভুলে গেছি - মনে অনেক দাগ কেটেছিলো - কারো মনে আসলে প্লিজ মনে করিয়ে দিয়েন (কোন বইতে পাব তাও জানিয়েন - একটা ছোট গল্প সংকলন ছিলো - আশা করি সেই বই স্বপ্নে পড়িনি ).
গল্পটা আছে, এটা ছাড়া আর কিছুই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। ওইটা আমারও খুব পছন্দের একটা গল্প - নাম খুব সম্ভবত 'তোমাকে', আমি পড়েছিলাম শ্রেষ্ঠ গল্প সংকলন এ।
<স্নিগ্ধা'পু>
'তোমাকে' তো মনে হয় ওই বইটা, যেখানে তিন বোন থাকে - নীলু, বিলু, সেতারা। ওদের মা স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়। এই তো এইসব নিয়েই... একদম শেষে বিছানার উপর নীল খাম থাকে একটা...
গল্পের নাম "কল্যানীয়াসু"। মস্কোতে ট্রেটয়াকভ আর্ট গ্যালারীতে একটা পেইণ্টিং-এ প্রিন্সেস তারাকনোভার ছবি দেখতে গিয়ে গল্পটার শুরু। গল্পটা আমার কাছে আছে "হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের গল্প" বইতে। আমার খুব প্রিয় গল্প এটা।
এই বইতে আরও দুয়েকটা চমৎকার আর প্রিয় গল্প আছে।
ঠিক! দুটো ইনফর্মেশনই ঠিক করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির!
অসংখ্য ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির
কোথাও ই-বুক পেলাম না - মুর্চনাতেও নাই
মন খারাপ না করে আপনার ইমেইল চেক করেন।
পেয়ে খুশি হলেও - পড়ে আবার খুব মন খারাপ হলো, খুবই।
ভাল রিভিউ।
আরে, আপনার মতো পড়ুয়া পাঠকের কাছে ভালো লাগলে তো বিরাট ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর তিনটা হইলেই হয় কিন্তু
এতো কমেন্টের ভীড়ে...আমার টাও রইলো- "দুর্দান্ত প্রিভিউ হয়েছে"।
এতোদিন পর এটা খুঁজে বের করার জন্য ও পড়ার জন্য, এবং অবশ্যই, মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বইটা পড়লাম।
"ছবি" আর "লিফট" - বেশ ভাল লেগেছে...
ইদানিং কী ছবি দেখছেন না ?, বই পড়ছেন না ?
আপনার রিভিউ ভাল পাই
এতোদিন পর খুঁজে বের করে পড়লেন, মন্তব্য করলেন, তারজন্য অনেক ধন্যবাদ।
সিনেমা তো প্রচুর দেখা হয়। বইও পড়ি বা পড়ার চেষ্টা করি নিয়মিতই। দেখি, সময় করে লিখব হয়তো আবার রিভিউ। ভালো থাকবেন। আবারও ধন্যবাদ
আয়েশা ফয়েজের "জীবন যেরকম" বইটার লিঙ্ক কেউ পেলে দেবেন বলে আব্দার করছি, এই বইটারে একটা ঐতিহাসিক দলিল বিবেচনায় পড়ব, আগ্রহ কতটুকু মিটবে জানি না
এই বইটা খুঁজতেই এইখানে আসা, সুবাদে এই দীর্ঘ মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য অংশ পড়া হল। মিসির আলীর বইটা নামালাম, পড়ে মতামত জানাব, রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক দেরিতে দেখলাম, দুঃখিত। বইটা আমার কাছে হার্ড কপিতে আছে। একজন নিয়েছে যদিও পড়তে। স্ক্যান করা হয় নি। করলে দেয়া যেতো আপনাকে।
রিভিউ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। মতামত, সময় পেলে, জানাবেন। ভালো থাকুন।
সুখী গন্ডারনামা টু দুখী গন্ডারনামা, অতঃপর রয়েসয়ে খোঁজা, মিসির আলি থেকে সচলে প্রত্যাবর্তন। প্রহরীকে সেলাম।
ভালু পাই সচল।
নতুন মন্তব্য করুন