সিনেমা হোক অথবা বই, কোনোকিছুর গায়েই সাধারণত সুনির্দিষ্ট ট্যাগ জুড়ে দেয়া আমার ঠিক পছন্দ হয় না। কেননা এতে করে সেই সিনেমা দেখার অথবা বইটা পড়ার আগেই সেটা সম্পর্কে পূর্বনির্ধারিত কিছু ধারণা জন্মে যায়, যেটা পরবর্তীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আমরা স্বীকার করি বা না করি, চাই বা না চাই, এই ট্যাগিংয়ের কারণে, সচেতন বা অবচেতনভাবে আমাদের প্রায় সবার মনেই কিছু প্রত্যাশার জন্ম হয়—যার পারদ কখনও তরতরিয়ে তুঙ্গে পৌঁছে যায়, কখনও আবার হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে পড়ে। ব্যক্তিগত অভিমতের প্রেক্ষিতে, আরও যে একটি কারণে ট্যাগিং আমার সচরাচর ভালো লাগে না, তা হলো—এতে করে, আমার মনে হয়েছে, দর্শক বা পাঠকের চিন্তাভাবনা ও কল্পনাশক্তি শুরুতেই একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। একজন দর্শক বা একজন পাঠক হিসেবে যে কেউই আরও একটু স্বাধীনতা প্রত্যাশা করতেই পারেন। কিন্তু তবুও আমরা ট্যাগ করি, আমাদেরই সুবিধার্থে। এবং স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, অনেক সময়ই এটা বেশ কার্যকরও বটে।
'টোয়াইলাইট' আসলে ঠিক প্রথাগত প্রেমকাহিনী না। অথবা সেভাবে নয় কোনো ভৌতিক বা রোমাঞ্চকাহিনী। আবার এতে যে খুব বেশি অভিনবত্ব আছে, সেটাও বলা যাবে না। কারও কাছে এটা শুধুই ইসাবেলা সোয়ান এবং এডওয়ার্ড কালেন-এর গল্প মনে হবে, আবার কেউ কেউ হয়তো এর ভেতর থেকে আরও অনেক গল্প খুঁজে পাবেন। এখানেও ব্যক্তিগত পছন্দ এবং নিয়ন্ত্রিত প্রত্যাশার ব্যাপার আছে।
ইসাবেলা সোয়ান বা 'বেলা' কিছুটা ব্যতিক্রমী এক মেয়ে, যে সাধারণত নিজেকে গুটিয়ে রাখে এবং চারপাশের জগতের সাথে মিশে যাওয়ার খুব বেশি চেষ্টা করে না, বরং নিজস্ব জগত নিয়েই যার আপাত জীবনযাপন। মায়ের পুনরায় বিয়ের পর বাধ্য হয়েই বেলা ওর বাবার কাছে, ওয়াশিংটনের বৃষ্টিমুখর এক ছোট্ট শহর ফর্কসে, চলে আসে। শুরু হয় নতুন স্কুল। নতুন জীবন। এর মাঝেই একদিন হঠাৎ করে পরিচয় হয় এডওয়ার্ড কালেনের সাথে। এডওয়ার্ড শুরু থেকেই বেলার নজর কাড়ে। অন্য কারো সাথে না মেশা সুদর্শন-বুদ্ধিমান-মৃদুভাষী এডওয়ার্ডের প্রতি প্রথম দর্শনেই অন্যরকম এক আকর্ষণ অনুভব করে বেলা, এবং কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারে না। কারণ এডওয়ার্ড বাকি সবার চাইতে কেবল আলাদাই নয়, একই সাথে স্কুলের সবার আগ্রহ ও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতেও বটে। তবে কিছুদিন না যেতেই এডওয়ার্ড ও বেলার মধ্যে ভিন্নধর্মী এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সম্পর্ক যেমন তীব্র ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষার; তেমনি ভয়, দোদুল্যমান দ্বিধা, প্রতিরোধ, অদম্য আকর্ষণ এবং পাগলামিরও। ব্যাকরণবহির্ভূত প্রগাঢ় এই ভালোবাসার শুরুতে অর্ধসত্য হয়ে বারবার আঘাত হানে যে অতৃপ্তি, তা হলো—এডওয়ার্ড একজন ভ্যাম্পায়ার। চিরতরুণ। অমর। তবে তথাকথিত ভ্যাম্পায়ারের মতো ওর কোনো শ্বদন্ত নেই, এমনকি ও রক্তপান করে না। তবে দু'জনের ঘনিষ্ঠতা যতোই বাড়তে থাকে, নিজেকে ততোই ভঙ্গুর মনে হতে থাকে এডওয়ার্ডের। ৯০ বছর অপেক্ষার পর কোনো মেয়েকে এতো পরিপূর্ণভাবে ভালোবাসার পাশাপাশি একইসঙ্গে তাকে হারানোরও যে ভয়, অথবা নিজের প্রতিরোধের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার যে প্রচ্ছন্ন হুমকি, তা আক্রান্ত করে এডওয়ার্ডকে বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু এখানেই থেমে যায় না সব। ঘটতে থাকে নানান ঘটনা-দুর্ঘটনা, উদয় হয় নানান প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা। তখন কাহিনী মোটেও আর আবদ্ধ থাকে না বেলা-এডওয়ার্ডের ভালোবাসার মাঝে, বরং উঁকি দেয় আরও 'অনেক কিছু'। এই সবকিছু শেষে কী ঘটে, তা জানতে বরং সিনেমাটাই দেখে ফেলুন।
'টোয়াইলাইট'-এর শুরুটা তুলনামূলক বেশ ধীর গতির। প্রাসঙ্গিক কিছু ঘটনাবলীর পর সিনেমাটা ভিন্ন মাত্রা পায় যখন স্কুলের ক্যাফেটেরিয়ায় কালেন পরিবারের সদস্যরা প্রবেশ করে। পুরো সিনেমার সেরা কিছু দৃশ্যের মধ্যে এটা একটা। এবং এখানেই বেলার সাথে এডওয়ার্ডের প্রথম দেখা হয়। বেলার চরিত্রে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট বেশ ভালোভাবে উৎরে গেছে বলা চলে। যদিও কয়েকটা দৃশ্যে ক্রিস্টেনকে অস্বাভাবিকরকম আড়ষ্ঠ লেগেছে, যে কারণে চরিত্রের সাথে সামান্য খাপছাড়াও লেগেছে ওকে মাঝে মাঝে। তবে এডওয়ার্ডের চরিত্রে রবার্ট প্যাটিনসন দারুণ অভিনয় করেছে। সামান্য কিছু বিষয় বাদ দিলে আগাগোড়াই রবার্টের অভিনয় ছিলো অনেক প্রশংসনীয়। এর আগে হ্যারি পটার সিরিজের 'দ্য গবলেট অভ ফায়ার' এবং 'দ্য অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স'-এ সেড্রিক ডিগোরির চরিত্রে অভিনয় করা রবার্ট এখানে শুধু ভালো অভিনয়ই করেনি, একই সাথে দুনিয়া জুড়ে অসংখ্য মেয়েভক্তের মনও জয় করে নিয়েছে। দীর্ঘকায়, পরিপাটি, সুদর্শন চেহারার এডওয়ার্ডের চরিত্র রূপায়নে রবার্টের দক্ষতা ফুটে উঠেছে বেলার সাথে আবেগঘন একটি দৃশ্যে, যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি ভয় ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণের প্রাণপন চেষ্টা চমৎকার অভিব্যক্তিতে ধরা পড়েছে রবার্টের অভিনয়ে। যদিও সংলাপে আরও ভালো করার অবকাশ ছিলো। এই সিনেমায় অভিনয়ের পরই ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট এবং রবার্ট প্যাটিনসন বছরের শীর্ষ আলোচিত তারকার তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছে। সিনেমায় বাকিদের অভিনয়ও বেশ ভালো ছিলো।
সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য, যেগুলো অন্যতম আকর্ষণীয় ও শ্বাসরূদ্ধকর হওয়ার কথা ছিলো, সেখানে কিঞ্চিৎ হতাশ হতে হয়েছে। পরিচালক হিসাবে তুলনামূলক নতুন হলেও, এর দায় ক্যাথরিন হার্ডউইককেই বহন করতে হবে। তবে এইসব ত্রুটিবিচ্যুতি উপেক্ষা করে, সামগ্রিক বিচারে সিনেমাকে বেশ উপভোগ্য বলা চলে। যে বিষয়টা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, দেখতে গিয়ে কখনও একঘেয়েমিতে ভুগতে হয়নি। আগাগোড়া সিনেমা বেশ মসৃণগতিতে এগিয়েছে। এবং আরও একটি বিষয় না বললেই নয়, ভ্যাম্পায়ার-সিনেমা বলতে সচরাচর আমরা যা বুঝে থাকি—ভয়ালদর্শন কিছু ভ্যাম্পায়ার থাকবে যারা ভীতিকর শ্বদন্ত বের করে মানুষের রক্ত পান করবে এবং যাদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আক্রান্ত মেয়েরা চিৎকার-চেঁচামেচি করবে বা দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে ছুটোছুটি করবে; এসব দিক বিচারে 'টোয়াইলাইট' একদমই আলাদা এবং এতে এমন ধরনের কিছুই ছিলো না। বরং আশ্চর্যরকম মানবীয় একটা সিনেমা বলতে হবে একে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক দৈর্ঘ্যের এই সিনেমার সাউন্ডট্র্যাকও বেশ চমৎকার, যার কিছু পাবেন এখানে।
প্রায় প্রতিটা সিনেমারই সাধারণত কিছু টার্গেটেড দর্শকশ্রেণী থাকে। সেই নির্দিষ্ট শ্রেণীর প্রত্যাশা পূরণ হলেই সিনেমাটি 'দর্শকনন্দিত' হিসাবে আখ্যা পেয়ে থাকে, অথবা নিদেনপক্ষে 'আলোচিত'।
বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তকুলের মধ্যে যেমন হুলস্থুল ফেলতে সক্ষম হয়েছে 'টোয়াইলাইট', তেমনি সমালোচনার তীরও একে কম বিদ্ধ করেনি। নিঃসন্দেহে কিছু ফাঁকফোকর আছে সিনেমাটাতে। আছে গাঁথুনিতে দুর্বলতা, অভিনয়ে ঘাটতি। নির্মাণশৈলিতেও মুন্সিয়ানার কিছুটা অভাব বোধ করা যায়। কিন্তু তারপরও এই সিনেমা নিয়ে আলোচনা-আগ্রহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। এই সিরিজের পরের সিনেমা 'দ্য টোয়াইলাইট সাগা: নিউ মুন' মুক্তি পেতে যাচ্ছে আর তিনদিনের মাথায়। আগ্রহের শেষ নেই এই সিনেমা নিয়েও। উৎসুক দর্শকদের অপেক্ষা এবং মাত্রাতিরিক্ত উচ্ছ্বাস টের পাওয়া যাচ্ছে এরই মধ্যেই। কারণ মুক্তির পূর্বেই সর্বাধিক টিকিট বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছে এই সিনেমা। গত বছর মুক্তির প্রথম সপ্তাহে 'টোয়াইলাইট' আয় করেছিল ৬৯ মিলিয়ন ডলার, এবং পর্যবেক্ষকদের মত অনুযায়ী সিরিজের নতুন সিনেমা প্রথম সপ্তাহে আয় করবে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার, এমনকি এটা 'ট্রান্সফর্মারস: রিভেঞ্জ অভ দ্য ফলেনস'-এর প্রথম সপ্তাহের ১০৮ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ডও ভেঙে ফেলতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে। এই সিরিজের শেষ সিনেমা 'দ্য টোয়াইলাইট সাগা: একলিপস' মুক্তি পাবে ২০১০-এ। টোয়াইফ্যানরা ইতিমধ্যেই যে জ্বরের উত্তাপে পুড়ছে, তার কিঞ্চিৎ আঁচ এখনই অনুভব করা যায়।
পরিসংখ্যানকে অনেকে এক ধরনের 'মিথ্যা' বলে আখ্যায়িত করলেও, ইন্টারনেট এবং ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের আলোকে এটা বলতেই হবে যে মেয়েদের মধ্যে 'টোয়াইলাইট' সত্যিই অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সিনেমাটার গায়ে 'চিক ফ্লিক' লেবেল মেরে দেয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত হবে, সে বিতর্কে হয়তো আর না যাওয়াই ভালো। তারচেয়ে বরং দেখা যাক, 'নিউ মুন' ভক্তদের পাশাপাশি সমালোচকদের মন জয় করতে কতোটুকু, অথবা আদৌ, সমর্থ হয় কি না।
মন্তব্য
- এডওয়ার্ড রক্ত পান করে তো! ও নিজেই এক জায়গায় বেলাকে বলে যে ভ্যাম্পায়ার সমাজে কালেনরা পরিচিত হলো 'ভেজিটারিয়ান ভ্যাম্পায়ার' হিসেবে কারণ তারা মানুষের রক্ত না খেয়ে অন্য প্রাণীর রক্ত খায়।
বেলাকে পছন্দ হয়েছে, সবদিক দিয়েই।
আপনার রিভিউটা অনবদ্য। সিনেমাটা ততোটা না হলেও এমন রিভিউ পড়লে পুষিয়ে যায়।
২০১২ দেখার নিয়্যত করে রেখেছি সেই শুক্কুরবার থেকে। ব্যাটেবলে হচ্ছে না। আজকে গিয়ে শুনি দশ মিনিট অলরেডি হয়ে গেছে। ফিরে আসলাম বাধ্য হয়ে। কালকে আরেকটা ট্রাই দিবো। সিনেমাটা দেখবোই। আপনার দেখা হলে এইটা নিয়েও একটা বিডিআরীয় রিভিউ দিয়েন বস। আপনার রিভিউ পড়লে মনটা ভরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলে বলতে চাইসিলাম যে মানুষের রক্ত পান করে না। মিশটেক হয়ে গেছে।
বেলাকে আমারও ভাল্লাগসে। দেখতে খুব কিউট আছে। আর অভিনয় যেটা করসে, সেটা ক্যারেক্টারের সাথে মোটামুটি ভালোই গেছে বলে মনে হলো। আরও ভালো করা যাইতো অবশ্য।
'২০১২' এখনও দেখিনি। ডিভিডিরিপ না পেলে নামাবো না। অপেক্ষা করি কয়দিন। একটা ক্যামেরা প্রিন্ট পাইসিলাম। না দেখেই ডিলিট করে দিসি।
আর, কী যে কন না কন! লইজ্জা লাগে না বুঝি?
থ্যাঙ্কু। ভালো থাইকেন।
আহা টোয়াইলাইট! আজকাল খালি কথায় কথায় রবার্ট প্যাটিন্সানকে টেনে আনছি...মান সম্মান আর থাকলোনা...
.আর কৃস্টেনকে কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। প্যানিক রুমের সেই পিচ্চি মেয়েটা আসলেও মনে হয় নিজেকে অনেক গুটিয়ে রাখে, এমটিভি অ্যাওয়ার্ডে ওর কান্ড দেখে তাই মনে হয়েছে। সাধারনত পড়া কোন গল্প বা উপন্যাস সিনেমার পর্দায় দেখলে সবসময়ই হতাশ হই, এবারো হয়েছি। তবে কৃস্টেনের আড়ষ্ঠতাই মনে হয়ে গল্পের বেলা কে অনেকটা ফুটিয়ে তুলেছে। দেখা যাক নিউমুনে জেকাব এডওয়ার্ডকে ছাপিয়ে যায় কিনা...
ভ্যাম্পায়ার/ড্রাকুলা/ভূত/প্রেত/কংকাল এসবের প্রেমে পড়ার দিন আবার ফিরে এসেছে ভাবতেই খুশি লাগে হাহা! আমার মনে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই কোন ছবির প্রধান অভিনেতা মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হলেই অনেকের কাছে সেটা "চিক ফ্লিক" হয়ে যায়! তাছাড়া সুদর্শন নায়ক, সুন্দরী নায়িকা, একগাদা প্রেম এবং হ্যাপী এন্ডিং হলে সেটাও অনেকের কাছেই "চিক ফ্লিক"। এর থেকে মুক্তি নেই
মান-সম্মান নিয়া চিন্তা কইরেন না বস। বরং নিজের পছন্দ প্রকাশ করায় কুণ্ঠিত না হওয়াই শ্রেয়
'চিক ফ্লিক' নিয়ে ঠিকই বলসেন। আর ক্রিস্টিনকে দেখতে আমারও মারাত্মক সুইট লাগসে। ভ্যাম্পায়ার মেয়েগুলাও কুল ছিলো বেশ
দেখা যাক 'নিউ মুন' কী করে দেখাতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রিভিউ অতীব দারুণ, সন্দেহ নেই।
তবে একটা কথা, মূল বইটার টার্গেট অডিয়েন্সই ছিলো টীনেজ, মূলতঃ মেয়েরা। মুভিটা বের হবার পরেও সেটি আরও বেশি সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। পরিসংখ্যান দেখে বলছি না, নিজের চোখে দেখা। টিভি রিপোর্টগুলোতেও যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, বা যাদের সিনেমা হলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করতে দেখা গেছে, তাদের নব্বই ভাগেরও বেশি হলো ১৩ থেকে ১৭ বছরের মেয়েরা, অন্ততঃ আমেরিকাতে। এমনকি কিছু টীনেজ ছেলেদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিলো, যারা বলছিলো যে গার্লফ্রেণ্ড সঙ্গে না থাকলে প্রকাশ্য দিবালোকে ওরা এ ছবি দেখতে আসলে ওদের সমাজচ্যুত হবার সম্ভাবনা ছিলো। তাই এ মুভিকে চিকফ্লিক বলাটা মোটেই জোর করে একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া নয়। এটি আসলেই আগাগোড়া বিশুদ্ধ একটা চিকফ্লিক মুভি। তাছাড়া উইকির এই সংজ্ঞাটা শুধু ধরলেই তো এটা এই শ্রেণীতে পড়ে যায়:
Although many types of films may be directed toward the female gender, "chick flick" is typically used only in reference to films that are heavy with emotion or contain themes that are relationship-based (though not necessarily romantic).
তাই না?
তবে সিনেমা বা বইতে সুনির্দিষ্টভাবে ট্যাগ লাগানোর বিরোধিতা করে প্রথম লাইনে যেটা বলেছেন, সেটার সাথে আমি সাধারণভাবে একমত।
অনেক ধন্যবাদ, যুধিষ্ঠির'দা।
হ্যাঁ, তাই। মেনে নিলাম।
মূল কথাটা অবশ্য 'মূলত পাঠক' বলে দিয়েছেন নিচে। 'চিক ফ্লিক' বলেই কেউ যদি সেটা নিয়ে নাক সিটকায় বা দেখতে আগ্রহী না হয়, তাহলে সেটা সেই দর্শকেরই সীমাবদ্ধতা। কেননা 'চিক ফ্লিক' হলেই যে সেটা দেখার অযোগ্য হবে, তা তো না অবশ্যই।
ভালো থাকবেন।
ভুতের ছবি থেকে আমি ২০০ হাত দূরে থাকি। কিন্তু যে সুন্দর রিভিউ, না দেখে পারছিনা।
এটা তো ভূতের ছবি না। এটা ভ্যাম্পুর ছবি
পাশাপাশি এটা ড্রামা, রোমান্স, থ্রিলার ক্যাটেগরীতেও পড়ে। দেখে ফেলেন।
থ্যাঙ্কু
আহ, এই ছবি দেখেই আমি দু-দুখানা খাইষ্টুপিষ্টু গল্প লিখেছি। ধিক প্যাটিস-নানকে, দুই ঘন্টার ফিল্মে বেলারে জুত কইরা এক্টা কামুড় পয্যন্ত দিতারেনাই, সালা ঘোঁচু!
মনে আছে। 'কামড়' আর 'আঁচড়'। নিজেও পড়সি, অন্যকেও পড়াইসি। :-D
প্যাটিস-নান! হা হা হা। নামটা পছন্দ হলো। বাই দ্য ওয়ে, তিন নম্বর খাইষ্টুপিষ্টু গল্পটা কবে লিখবেন?
খাসা রিভিউ হয়েছে প্রহরীভাই!
টোয়াইলাইট দেখা হয় নি, পার্ট টু দেখবো না ঠিক করে রেখেছি (যদি না পার্ট ১ দেখে খুব বেশি ভালো লাগে)। এই সিনেমাটার বিশেষত্ব হলো এতে স্পেশাল এফেক্টে খুব কম খরচ করা হয়েছে, যেটা এই রকম সাফল্যের গল্পে একটা ব্যতিক্রম। সিনেমা যেহেতু হলিউডে বিশাল ব্যবসা, এখানে টার্গেট অডিয়েন্স স্থির করাটা খুব জরুরি, এবং নিয়ম মেনে করাও হয়। যুধিষ্ঠির যে কথা বলেছেন সেই পথেই এটা অবশ্যই চিক ফ্লিক। তবে আপনার পয়েন্টটা ঠিক, ক্যাটাগরিতে ফেললে সমস্যা আছেই। তবে তার উপর আরেকটা কথা হলো এই যে চিক ফ্লিক হলেই অস্পৃশ্য ভাবাটা দর্শকের সীমাবদ্ধতা। যে সেই ভাবে ভাববে, সে কিছু ভালো সিনেমা দেখার সুযোগ হারাবে। তবে স্ট্যাটিস্টিক্যালি এটা মেলে, ফলে জঁর দেখে এগোলে কিছু ভালো সিনেমা মিস হলেও খারাপ-লাগবেই-লাগবে এমন সিনেমা অনেক কম দেখতে হয়। জঁর ভেঙে দেখতে গিয়ে যখন হাত কামড়েছি তখন এই যুক্তিটার কথা মনে হয়েছে অনেক বার।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু
আমার ধারণা 'টোয়াইলাইট' আপনার ভাল্লাগবে না। এটা আসলে মুডের উপর ডিপেন্ড করবে। তারপরও একটা ট্রাই দিয়ে দেখতে পারেন। আর এই মুভিতে সত্যিই খুব কম খরচ করা হয়েছে স্পেশাল ইফেক্টে। বিশেষ করে নায়ক যখন নায়িকাকে পিঠে নিয়ে গাছের মাথায় উঠে পড়ে (শুনতে হাস্যকর লাগছে নিশ্চয়ই!), সেই দৃশ্যেই টের পাওয়া যায় যে স্পেশাল ইফেক্টের কী ভয়াবহ দুরবস্থা মুভিটাতে।
আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত হলাম। এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম। আপনি সুন্দর করে বলে দিলেন। 'চিক ফ্লিক' হলেই অনেককে দেখেছি তাচ্ছিল্য করতে। এটা আমার কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য লাগে না।
ভ্যাম্পায়ার-সিনেমা বলতে সচরাচর আমরা যা বুঝে থাকি—ভয়ালদর্শন কিছু ভ্যাম্পায়ার থাকবে যারা ভীতিকর শ্বদন্ত বের করে মানুষের রক্ত পান করবে এবং যাদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আক্রান্ত মেয়েরা চিৎকার-চেঁচামেচি করবে বা দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে ছুটোছুটি করবে।
আজকাল ভ্যাম্পায়ার কিন্তু সিরিয়াস জিনিস। বেশ কিছু ছবি হয়েছে এ বিষয়ে যেখানে কোনো দার্শনিকতা উঠে এসেছে রক্তমাখা গল্পের ভিতর থেকে। ক'দিন আগেই কুইন অফ দ্য ড্যামড দেখলাম, ক্লাইম্যাক্সের জগঝম্পটুকু বাদ দিলে দারুণ লেগেছে। হিরোকে (নাম ভুলে গেছি) দেখে মনে হচ্ছিলো এর জন্মই হয়েছে ভ্যাম্পায়ার সাজার জন্য। তারপর আজকাল এইচবিও'র ট্রু ব্লাড রয়েছে, দেখা হয় না নিয়মিত, তবে সমাজতত্ত্বের কথা বলে এই ধারাবাহিকটি, এবং প্রশংসা শুনেছি অনেক। রক্তচোষার সাক্ষাৎকার তো দেখেই থাকবেন, সে ছবিটাও চমৎকার ছিলো। আসলে ভ্যাম্পায়ার যেহেতু মানুষের মতোই দেখতে, সেজন্য সমদর্শী গোষ্ঠিবিবাদের রূপক হিসেবে এটা ভালো মানিয়ে যায়। মিউট্যান্টের গল্পে সেটা একটু জোর করে দেখাতে হয় (এক্স-মেন ৩-এ এ জাতীয় ইঙ্গিত রয়েছে, খুলে না বললেও)।
ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার অসাধারণ একটা মুভি। ড্যামড'এ আরো অনেক কিছু করা যেত। ভ্যাম্পায়ার ক্রোনিক্যলস এর পরের মুভির জন্য বসে আছি। টেইল অব দ্য বডি থিফ এর মুভির জন্য সবাই কান্নাকাটি করছে। দেখা যাক বানায় কিনা।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
"ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার" দেখাই হলো না আজ পর্যন্ত! ডিভিডি দেখসি দোকানে, কেনো যেনো মনে হয় আগ্রহ না পাওয়ার কারণে কেনা বা রেন্ট করা হয় নি। এখন মনে হচ্ছে, দেখতেই হবে!
বাকি যে দুইটার নাম বললেন, সেগুলাও দেখা হয় নাই!
<রাজর্ষি'দা>
ইদানীং এই ধারাটা বদলাচ্ছে বা বদলেছে অনেক, এটা ঠিক। 'কুইন অভ দ্য ড্যামড' দেখিনি। 'ট্রু ব্লাড' নামাচ্ছিলাম। খান ছয়েক এপিসোড নামানোর পর আর নামানো হয়নি, দেখাও হয়নি। আপনার কথা শুনে একটু আগ্রহ বাড়লো। দেখি, এইবার শেষ করে ফেলতে হবে। অনেক নাম শুনেছি এটার। 'এক্স মেন-৩' ভাল্লাগেনি তেমন একটা।
আর এখনও কেন যেন 'রক্তচোষার সাক্ষাৎকার' দেখা হয়নি। আপনার আর ফক্সিয়ালভায়ার কথা শুনে এটা দেখার ইচ্ছা অনেকগুণ বেড়ে গেল। প্রশংসা শুনেছি অনেক এটারও। ডাউনলোড করে ফেলব খুব তাড়াতাড়ি। কতোকিছু যে দেখা বাকি!
এই সিনেমা যে "চিক ফ্লিক" তার বড় সাক্ষী আমি। দিশার কথায় তার সাথে এই সিনেমা দেখতে বসে আমি বার বার ঘুমে ঢলে পড়ে যাচ্ছিলাম। দিশার নানা প্রকার হুমকিতেও আমার ঘুম ঠেকানোর মত কোন উপাদান এই সিনেমাতে পাইনি। শেষ পর্যন্ত পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। পরদিন দিশার অপিনিয়ন নিয়ে জানলাম সিনেমাটা তার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মজা পেলাম জেনে
ভালো দিকটা দেখেন। এই সিনেমা দেখতে বসে ভালো ঘুম পেয়েছে আপনার। যদি কখনও ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে এই সিনেমাটা কিছুক্ষণ দেখতে পারেন।
বিডিআর তাইলে ব্লগও লেখে আজকাল
সিনেমাটা দেখি নাই, দেখার আগ্রহও নাই। তবে আপনার রিভিউ বরাবরের মতোই দূর্দান্ত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জ্বি স্যার।
কখনও দেখার সিদ্ধান্ত নিলেও ভাবীরে পাশে নিয়া দেইখেন।
থ্যাঙ্কু।
ও হরি, এযে প্রহরী---!!!!!
ওয়েল্কাম ব্যাক, বস।
রিভিউ বৃহস্পতি ছূঁয়ে এসেছে...!!!
মাত্র সেদিন ছবিটা দেখলাম। তোমার পর্যবেক্ষন যথার্থ। ছবিটা দেখার মূল আগ্রহ ছিল ক্রিস্টিন স্টুয়ার্টের অভিনয় দেখা। মেয়েটা কেমন জানি একটা odd ball। যেন কোথাও সে নেই। যেন কোন কিছুতেই সে মানাতে পারে না, মানাতে জানে না। তার এই অনায়াস বেখাপ্পাগিরি, আমার ধারনা, 'বেলা'র চরিত্র রূপায়নে বেশ সহায়ক হয়েছে। ক্রিষ্টিনের আরেকটা ছবি সুযোগ পেলে দেখে নিও---Speak। এইটা আসলে টিভির জন্যে তৈরি করা একটা ছবি। এই ছবিটাতে ডেট-রেপের করুণ শিকার এক পঞ্চদশী কিশোরীর চরিত্রে ক্রিস্টিন দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। শুরু না হতেই প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া জীবনের রূঢ়তা, নিজের মাপের চেয়ে বড় দুঃখের ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়ানো এক কিশোরীর জীবনে ফেরার সংগ্রাম---আসলেই, সুযোগ পেলে দেখে নিও।
তোমার মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা
আমি Speak দেখেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছিলো মুভিটা। সংগ্রহে রেখে দিয়েছি। আমি "টোয়াইলাইট" দেখে ভাবছিলাম, এখানেও মেয়েটার চরিত্র একই রকম, খানিক আড়ষ্ট, অন্যদের থেকে আলাদা...। কিন্তু এই দু'টো মুভিতে ক্রিস্টিনের চরিত্র একই রকম হলেও এই ধরনের চরিত্রে সে দারুন অভিনয় করেছে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমি দেখিনি মুভিটা। আপনারা দুইজনই যখন এতো ভালো বলছেন, অবশ্যই দেখব।
<অনিকেত'দা>
ক্রিস্টিন স্টুয়ার্টকে নিয়ে যে কথাগুলো বললেন, আমিও একমত তার সাথে। 'স্পিক' দেখিনি। তবে দেখবো অবশ্যই। দেখে জানাব কেমন লাগল। কাল রাতে '(৫০০) ডেইজ অভ সামার' দেখলাম। দেখা শেষ করে আপনার কথাই মনে হচ্ছিল। আপনার রিভিউটা খুব ভালো ছিল।
সম্ভব হলে 'স্পিক' নিয়ে একটা রিভিউ লিখে ফেলেন।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আমার মতে, এই মেয়েটা আসলে এক এই রকম বিমর্ষ, সবকিচ্ছু থেকেই aloof চরিত্র ছাড়া আর কিছুই ঠিকমত রূপায়িত করতে পারে না, কারণ সে নিজে আসলে ঐরকম আর সসে অভিনয় পারেই না! এটা অবশ্য আমার নিজের মতামত, কারও মানতেই হবে মোটেও তা নয়।
ক্রিস্টিন আছে এমন একটা ভাল সিনেমা হল 'ইন টু দ্য ওয়াইল্ড'। যদিও সে নিজে এখানে খুব ছোট্ট একটা রোল-এ আছে, সিনেমাটা সত্যি কাহিনি নিয়ে তৈরি।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"ইনটু দ্য ওয়াইল্ড" বেশ ভালো লাগসিলো। কিন্তু ক্রিস্টিনকে তো আমি খেয়ালই করি নি!
আমিও একমত। মেয়েটা আসলে বলতে গেলে অভিনয় করতে পারে না। এক্সপ্রেশন নাই তেমন একটা। তাই চুপচাপ চরিত্রগুলাতে মানায়ে যায় কিছুটা।
দারুন রিভিউ!
ছবিটা দেখি নাই, দেখার যে খুব আগ্রহ ছিলো তাও না- তবে এখন চেষ্টা করে দেখতে পারি। আমি স্টুয়ার্টকে প্রথম খেয়াল করি 'ইনটু দ্য ওয়াইল্ড' এ- যদিও খুব ছোট্ট একটা চরিত্রে ছিলো।
আর আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ- 'লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন' সিনেমাটা দেখেন। হলে গিয়ে দেখেন, ডিভিডি কিনেন, ধার নেন বা টরেন্ট করেন- আমি কথা দিতে পারি সবকিছুই সার্থক! আমার প্রিয় ছবিগুলার তালিকায় আছে এখন এটা।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হাই ফাইভ! লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন আমার দেখা সেরা ভ্যাম্পায়ার মুভিগুলার মধ্যে একটা।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইয়েস সার! এটা আমার দেখা সেরা মুভিগুলার মধ্যে একটা।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমার যে ভাল্লাগে নাই !!!! অনেক আশা নিয়ে দেক্সিলাম- দেইখ্যা বস হতাশ হৈসি...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
উপস

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সুহান, এইটা হয় আমার ক্ষেত্রেও। মাঝে মাঝে। বন্ধুদের কাছ থেকে অতি উচ্চ প্রশংসা শোনার পর প্রত্যাশা এতোই বেড়ে যায় যে অনেক সময় হতাশ হতে হয় কোনো মুভি দেখে, অথবা বই পড়ে।
'লেট দি রাইট ওয়ান ইন' হল টুইস্টেড একটা টেল। যাদের এরকম টুইস্টেড কাহিনি পছন্দ, বা সত্যি প্রচুর প্রচুর সিনেমা দেখে, বা একেবারে তুমুল ভ্যাম্পায়ার ক্রে্য আছে, তাদের এইটা জটিল লাগে। আমার ইদানিং টুইস্টেড মুভি প্রীতি হয়েছে, আমার বড় ভাইয়ের কল্যাণে।
সিনেমটা অদ্ভূত, খুব যে ভাল লেগেছে তা নয়, আর কাহিনির কিছু জায়গা কেমন যেন যুক্তিহীন, অ্যাবসার্ড।
এর চেয়ে 'ইন্টারভিউ উইথ আ ভ্যাম্পায়ার' অনেক বেশি ভাল তৈরি মনে হয়েছে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন" সিনেমাটার অনেক প্রশংসা শুনে নামাইসিলাম। দেখসি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গা ছাড়া মোটের উপর তেমন ভালো লাগে নি বোধহয়। কারণ আমি দ্বিতীয়বার সিনেমাটা দেখার আগ্রহ পাবো না।
আমি প্রচুর সিনেমা দেখি, তবে তুমুল ভ্যাম্পায়ার ক্রেইজ নাই, তাই হয়তো ভালো পাই নাই সিনেমাটা তেমন
খেকু'দা যখন এতো ভালো সার্টিফিকেট দিলেন, তাইলে তো অবশ্যই কিছু একটা তো আছেই এর মধ্যে। দেখতেই হবে!
@ওডিন
আমারও আগ্রহ ছিলো না দেখার। কিন্তু কী ভেবে যেন দেখলাম। অনেকের মুখে মহাফালতু শুনে আমারও তেমনই ধারণা ছিলো। কিন্তু আসলে দেখতে গিয়ে খারাপ লাগেনি অতোটা। কিছু অ্যামেচারিশ ব্যাপার-স্যাপার আছে অবশ্যই। কিন্তু মোটের উপর খারাপ লাগেনি।
'লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন' দেখিনি। দেখবো অবশ্যই। দেখে জানাবো কেমন লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার রিভিউ প্রহরী। কিপইটআপ!
........................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু
মুভিটা দেখসি, খারাপ না। মুভির থিকা তোমার রিভিউ বেশী ভাল হইছে। বুঝলাম তোমার কাছে মুভিটা বেশী ভাল লাগছে। তবে আমি এইটারে বলুম এক্টু-অতি-রিভিউ
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুউউব বেশি যে ভাল্লাগসে, তা বলবো না, তবে ভাল্লাগসে
আর আমি কিন্তু 'নায়কের অভিনয়' আর 'ওভারঅল বেশ উপভোগ্য' ছাড়া তেমন কোনো বাড়ায়া প্রশংসা করিনি।
ব্রিটিশ নায়ক যদি অ্যামেরিকান অ্যাকসেন্টে কথা বলার জোর চেষ্টা না চালায়া যাইতো পুরা সিনেমায়, তাইলে হয়তো আরেকটু ভালো অভিনয় করতে পারতো।
যাই হোক, থ্যাঙ্কু আপনারে
রিভিউ তো খুবই ভালো লাগলো প্রহরী। মুভি আমার ভাল্লাগসে, আগেই বলেছিলাম।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
অনেক ধন্যবাদ তিথি আপু।
আপনে তো বস একদম বাণিজ্যিক রিভিউ লেখক হয়ে যাচ্ছেন ...সব সেইরাম সেইরাম রিভিউ মার্তাসেন
আমি দেখি নাই এই মুভি; খুব নাম শুনেছি- কিন্তু দেখা হয় নাই; সবাই একে 'ওয়ান টাইম' মুভি বলছে...
দেখবেন, একদিন হতো আমিও দেখবো...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হা হা হা।
আমিও এতোদিন দেখিনি। সেদিন কী ভেবে ডাউনলোড করে ফেললাম। ভাবলাম দেখি এই মুভি নিয়ে দুনিয়াজুড়ে এতো হাইপের কী আছে। আমার নিজেরও যে খুব উঁচু ধারণা ছিলো, তা না। তবে দেখতে বসে খারাপ লাগেনি। যে মুভি যেমন, সেটা থেকে তেমন প্রত্যাশাই থাকা উচিত। সেই হিসাবে মুভিটাকে জঘণ্য বলবো না মোটেও।
দেখলে গার্লফ্রেন্ডকে পাশে নিয়ে দেইখো।
বসুন্ধরায় আসলে উনারে নিয়া দেখবোনি...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ঠিকাছে।
অনেকদিন পর লিখলেন। এইবার কষ্ট করে কী-বোর্ডটা একটু উঁচু করেন অর্ধ শতক হয়ে গেল আজকে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হুমম, বেশ অনেকদিন পর...
খাইসে, তুমি দেখি আবার...! অনেক অনেক ধন্যবাদ। মনে হয় এই তো সেদিন লেখা শুরু করলাম। পঞ্চাশটা যে হয়ে গেছে, এতেই ভীষণ অবাক আমি।
এই মুভিটা ভয়ানক বাজে আর ১০০% চিক-ফ্লীক। এটাকে নিয়ে review করছেন, তাহলে আরো হাজার হাজার hollywood এর সিনেমা নিয়ে রিview করতে পারবেন। Saw VI, Paranormal Activity,Management এই রকম ম্যালা মুভি পাবেন। আপনার কাজ বেড়ে গেলো ভাইজান।
আরে ভাই এটা নিয়ে রিভিউ লেখার কারণ আছে তো। এতো ব্যাপক আলোচিত একটা সিনেমা, আর বিশেষ করে মেয়েদের এতো পছন্দ! এজন্যই তো...
অনেক ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি তো ইদানীং ৮/১০ গিগার ব্লু-রে মুভি নামাচ্ছেন খালি। প্লিজ 'বেদের মেয়ে জোছনা'-ও নামান। নামায়া আমারে দিয়েন। তাইলে আমি বেমেজো নিয়েও রিভিউ লিখব, কথা দিলাম
স্পর্শ ভাই, আফনে কই?
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ও তো কয়েকদিনের জন্য তুরস্ক গেছে, কারণ ওখানে নাকি...
এই যে আমি এসে গেছি!
প্রহরী তোমার রিভিউ লেখা ভালো লেগেছে। এর আগে নজুভাই এর রিভিউ গুলো এতটা ভালো লেগেছিলো। কংগ্রাটস্।
মুভিটা আমার ছোটো বোন আমাকে জোর করে দেখি য়েছিলো!
তোমাকে কে দেখালো?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তুরস্কতে কেমন সময় কাটলো? যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলে, পূরণ হয়েছে তো?
কতো বড়ো প্রশংসা করে ফেললে, ধারণা আছে? এতো প্রশংসা আমি এখন কোথায় রাখি?
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
ইয়ে মানে...ব্যাপারটা কী জানো...ইয়ে আর কি...দেখে ফেললাম জাস্ট
আফসোস হলো, আমি ভেবেছিলাম দুনিয়ার সব টোয়াইলাইটের বালিকা ফ্যানরা ঝাপিয়ে পড়বে এখানে, কমেন্ট করবে, পরিচিত হবো, বন্ধুত্ব হবে... কিন্তু সে আশা পূরণ আর হলো না
আমার মুভিটা একেবারেই ভাল লাগে নাই। একই বছর ভ্যাম্পায়ার প্রেম নিয়ে দুইটা সিনেমা হয়েছে। আম্রিকায় "টোয়ালাইট" আর সুইডেনে "লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন"। সুয়েডীয়টা দেখার পর টোয়াইলাইট আরও খারাপ লেগেছে। আমি নিজের একটা রেটিং দেই:
টোয়াইলাইট - ৫ এর মধ্যে ১
লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন - ৫ এর মধ্যে ৫
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
হা হা হা। রজার দ্যাট।
তবে এই মুভি যে তোমার ভাল্লাগবে না, সেইটা আমি আগেই বলে দিতে পারতাম, যদি কেউ আমার কাছে জানতে চাইতো
নামানো থাকলেও দেখা হচ্ছিল না। সচলের প্রথম পাতায় ছবির নাম দেখে দেখেই ফেললাম, অতঃপর এসে রিভিউ পড়লাম। ছবিটা দূর্দান্ত না লাগলেও সময় নষ্ট হয়েছে বলব না। ভাল রিভিউ।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আমার মতটাও অনেকটা আপনার মতোই। সিনেমাটা যে খুবই অসাধারণ, না দেখলে জীবন বৃথা, এমন না। তবে দেখতে খুব খারাপও লাগেনি। বরং একদম কোনো প্রত্যাশা ছাড়া দেখতে বসায় ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
টোয়াইলাইটের এক্টা স্পুফ দেক্সিলাম। দেখে মরে যাচ্ছিলাম আরেক্টু হইলেই। কিন্তু ব্যাপক খাইষ্টু। বিজিবি কবুল বললে এইখানে এম্বেড করতে পারি।
আরে ভাই, বিসমিল্লাহ্ বইলা এম্বেড কইরা দ্যান!
তবে এই নে শয়তান!
হা হা হা হা। মারাত্মক হাসি পাচ্ছে দেখে
-আমি এই Twilight নিয়ে চরমভাবে বিরক্ত। আমার বোনতো ওই *** মার্কা হিরোর ভাতের ফ্যান! কাহিনী শুনেই আমার দেখার ইচ্ছা চইলা গেছে।
-আর আপ্নে লুক্টা চ্রম খ্রাপ। এইসব পচা ধসা ফ্লিমের এমন সুপার রিভিও দেন যেন দেখাই লাগবো!! twilight এর লেখক এইটা পড়লে আপ্নারে রেগুলার তার বই ফ্রি পাঠাইবো!
-আপ্নারে কয়েকটা ভালু ছবি দেওয়া লাগবো রিভিও লেখার জন্য! আমার রিভিও যাচ্ছে তাই হয় অথচ অনেকগুলা ভালো ছবি দেখে ফেলছি
-রিভিও ৫ তারা!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
হা হা হা। অন্ততপক্ষে বোনের মন তো রক্ষা করো
লেখিকা যদি এই বই ফ্রি দেয়, তাইলে তো ভালোই। কিনতে হবে না আর। আমি অনেক আগেই বইটা নেড়েচেড়ে রেখে দিসি। কেনার আগ্রহ হয়নি। মুভিটা দেখলাম এই তিনচারদিন আগে।
আমারে কী কী মুভি রিকমেন্ড করবা, বলো। আবার মুভি দেখা শুরু করসি। তুমিও লিখো সময়সুযোগ করে। তোমার একটা রিভিউ পড়সিলাম। 'দ্য বোট দ্যাট রকড' মনে হয়। ভালো লাগসিলো।
যাই হোক, থ্যাঙ্কু
রিভিউ ভাল্লাগসিলো। ভাবলাম দেইখাফেল্মুনাকি! মন্তব্যসমূহ আমাকে সে লোভের হাত থেকে রক্ষা করলো, বলেন, আমিন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মেয়েটা সুন্দর আছে বস। দেখার একটা ট্রাই মারতে পারেন।

অথবা গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেইখেন। তাইলে রথ দেখা, কলা বেচা - দুইটাই হয়ে যাবে
একটা ছেলে এসে একটা মেয়েকে ইয়ে করা বাদ দিয়ে কামড়ে দিয়ে রক্ত খাচ্ছে ব্যাপারটা চিন্তা করলেই হাসি পেয়ে যায়।
এই ভ্যাম্পায়ারটা আবার অন্যরকম। সে মেয়েটার রক্তও খায় না (মানে, পান করে না), আবার ইয়েও করে না
মুভিটা ম্যালা আগেই দেখছি। অনেক ভালো লাগছিলো। ভ্যাম্পায়ারিক ব্যাপার স্যাপারের চেয়ে প্রেম-কাহিনীটাই ভালো লাগছিল বেশি। আর সাউন্ডট্র্যাকগুলাও চ্রম। এখন শুধু 'নিউ মুন' এর অপেক্ষায়।
রিভিউ মারাত্বক হইছে ভাই...খুটিনাটি সবই তুলে আনসেন। খুবই ভালো লাগলো।
যাক, এতক্ষণে একজন রিয়েল টোয়াইফ্যানের সন্ধান পাইসি
আমার কাছেও সাউন্ডট্র্যাক দারুণ লাগসে। অনেকগুলা ডাউনলোডও করসি।
'নিউ মুন' তো রিলিজ পেয়ে গেছে। দেখা যাক এইটার কী অবস্থা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দেখি নাই ... দেখার কোন আগ্রহও হচ্ছে না
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ব্যাপার্না, ম্যান
সকল বাংলাদেশিদের জন্য জানাই:
এখন 'স্টার মুভিজ'-এ 'টোয়াইলাইট' হচ্ছে। আগ্রহীরা ঝাঁপিয়ে পড়ুন দেখতে
ভ্যাম্পায়ার কী?
আচ্ছা এইটা নিয়া ভ্যাটিকান চেতছে ক্যান?
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ভ্যাম্পায়ার মানুষের গলায় দাঁত বসিয়ে রক্ত খায় ঢকঢক করে
এই যে একটা ফোটু দেখেন:

ভ্যাটিকান চেতসে। নেট থেকে পাইলাম খবরটা:
"Monsignor Franco Perazzolo, of the Pontifical Council of Culture, says, "The theme of vampires in Twilight combines a mixture of excesses that as ever is aimed at young people and gives a heavy esoteric element. It is once again that age-old trick or ideal formula of using extremes to make an impact at the box office. This film is nothing more than a moral vacuum with a deviant message and as such should be of concern."
ভ্যাটিকান অবশ্য এর আগেও চেতসে 'হ্যারি পটার' সিরিজ নিয়া, তারপর ড্যান ব্রাউনের 'অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস', 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড' নিয়া।
টোয়াইলাইটের নতুন মুভি 'নিউ মুন'-এর একটা ফোটু দেখেন:
কয়েকজন বন্ধুর সাথে কয়দিন আগে দেখে এসেছি ছবিটা। ছবির চেয়ে আশপাশের ছোট ছোট টীন মেয়েদের হৈ চৈ দেখতে বড় ভালো লাগলো। নিজের যে বয়স হয়েছে সেটা টের পেলাম ওদের চীৎকার দেখে। শেষ দৃশ্যে যখন বলল, উইল ইউ ম্যারি মি? সে সময় টীনগুলোর চিৎকার আর উল্লাস ছিল দেখার মতো।
লেখা বরাবরের মতোই গুল্লি। এতো ভালো লিখলে এতো যত্ন নিয়ে, কম লেখাই ভালো।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই সিনেমা বসুন্ধরার সিনেপ্লেক্সে আনলে খুব ভালো ব্যবসা করবে, নিশ্চিত! তখন হলে গিয়ে আরেকবার দেখতে হবে কী অবস্থা
থ্যাংকু
রিভিউ বড়ই সৌন্দর্য ।
কোনোকিছুর গায়েই সাধারণত সুনির্দিষ্ট ট্যাগ জুড়ে দেয়া আমার ঠিক পছন্দ হয় না। কেননা এতে করে সেই সিনেমা দেখার অথবা বইটা পড়ার আগেই সেটা সম্পর্কে পূর্বনির্ধারিত কিছু ধারণা জন্মে যায়, যেটা পরবর্তীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
সহমত ।
IMDB রেটিং দেখেও মুভি দেখাটা আমার পছন্দ না । সেখানেও প্রভাব এর ধারণা এসে যায়।
Let the right one in মুভিটা দেখছেন নাকি? আমার কাছে খুব ই ভাল লাগছে। রেটিং দিছে খারাপ । অবশ্য রিভিউ ভাল ছিল ।
এই মুভিটা (Let...) ও ভ্যাম্পু নিয়ে।
টোয়াইলাইট মেয়েদের জন্য হলেও এইখানে মেয়েদের Damsel in distress টাইপ করা হইছে। নারীবাদীরা ভাল চেতছে!!!
বই গুলা পড়ে পুরাই হতাশ। প্রথম টা ছাড়া বাকি গুলা মনে রাখার মত কিছু নাই। প্রথমটাও অত ভাল লাগে নাই । চমৎকার একটা প্লট ছিল । মাঝে মাঝে ভাবি রোলিং টাইপ কেউ এই সিরিজ লিখলে কেমন হইত!!
বোহেমিয়ান
'লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন' দেখেছি। আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে।
"টোয়াইলাইট" সিরিজের বইগুলো পড়িনি। পড়া হবে না হয়তো। তবে সিনেমাগুলো দেখব মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সিনেমা আর বই কখনোই এক হয় না। সিনেমা সবাই বানান নিজের মত করে গল্পটা কেমন কল্পনা করেছেন তা থেকে মনে হয়। খুব খুব কম বই থেকে সিনেমা হবার পরেও তা ভাল লেগেছে, এমন একটা হল 'লর্ড অফ দি রিংস', বইটা আমার যেমন পছন্দ ঠিক অতটাই পছন্দ সিনেমা তিনটাই। পিটার জ্যাকম্যান ঐ অত্ত বড় কাহিনিটার সারমর্ম ঠিক রেখে এত সুন্দর ভাবে মূল ঘটনাগুলি বাদ না দিয়ে সিনেমাগুলি তৈরি করেছেন যে কোন ত্রুটি ধরতে পারি না। কিন্তু আরেকটা বড় ব্যাপার মনে হয় লোকেশন আর চরিত্রের বর্ণনা অনুযায়ী সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা। এই জিনিসটাই যারা টোয়াইলাইট সিরিজের মূল বইগুলি পড়েছেন তাদের মতে মুভীগুলিতে চরম ভাবে ব্যর্থ, আর ঐদিকে LOTR Trilogy-র গুলিকে করেছে অসাধারণ, আমি মনে হয় বই পড়েও অত সুন্দর আর অ্যাকুরেটলি কল্পনা করে নিতে পারি নাই স্থান আর চরিত্রগুলি!
টোয়াইলাইট ক্রেযী আমার ছোট বোনগুলি, 'এডু দি ভ্যাম্প' এর দিওয়ানা আমার ফ্ল্যাটমেট/ছোট বেলার বান্ধবী, আর অন্য মেয়ে বন্ধুদের (মায় ছোট চাচী পর্যন্ত!), আমাকে রাজি করাইসে এই সিরিজ পড়ে দেখতে। ভাইসব কী আর বলব দুঃখের কাহিনি, এমনিতেই প্যানপ্যানানি প্রেম কাহিনি ভাল লাগে না, তায় আবার এ হল টীনেজ প্রেম!
কিন্তু আমি কখনোই নিজে না দেখে-পড়ে-শুনে মন্তব্য করব না বলে অনেক কষ্টে এখন পর্যন্ত ৩টা বই পড়েছি। টোয়ালাইট বইতে আসলে বেলা'র চরিত্রটাই আমার বেশি পছন্দ। সেই বেলা'র ক্রিস্টীন আপা যে হাল করসেন, আমার আর বলার কিসুই নাই! বইতে জায়গাগুলি, আর এডু মিয়ার যে বিবরণ আছে, ডিরেক্টর মিয়া টাকা বাঁচাতে গিয়া, নাকি কাজ জানে না বইলা তার চৌদ্দটা বাজাইসে!
স্টেফানি খালা বইয়ের পাব্লিসিটির সময় বলসিলেন যে এই কাহিনি নাকি তিনি স্বপ্নে পাইসেন? আমি বল্পব ভুয়া, এই কাহিনি আদি কাল থেকে চলে আসছে, 'বাফি', 'এঞ্জেল' হিট করার এত পরে আবার একই জিনিস। আর ভ্যাম্পায়ার দের যে অদ্ভূত 'নতুন' বিবরণ, খুব খেয়াল করলে দেখা যাবে এগুলিও রিপিটেড, এমনকি 'ইন্টারভিউ উইথ আ ভ্যাম্পায়ার'-এ এর অনেক কিছুই বলা হয়েছে (যেমন এখন যেটা মনে পড়ছে, চোখের রঙ পরিবর্তনের ব্যাপারটা সম্ভবত বলা হয়েছিল ঐখানে)।
যাই হোক, একটা ব্যাপার হল আমার কিন্তু ৩ নং বইটা - 'এক্লিপ্স' ভালই লেগেছে পড়তে! আমি নিজেও খুব বিস্মিত, কিন্তু এই বই ভাল লাগার কারণ হল স্টেফানি খালা শেষ-মেষ প্যানপ্যানানি বিরহের বাইরেও একটা বেশ মারকুটে অ্যাডিশনাল প্লট এনে হাজির করতে পেরেছেন (আসলে এই বইতে প্রেম-বিরহটাই সাব-প্লট ঐ জন্যেই ভাল লেগেছে মনে হয়!), যেখানে সাস্পেন্স, থ্রিলার, আর স্ট্র্যাটেজি (বাসরে! এই মহিলা স্ট্র্যাটেজি টেনে এনে লিখতেও পারে তাইলে!!
) আছে! আর হল কী, মানে সবার না এডু কেই পছন্দ হয়, আমার না জেক-কে পসন্দ হইসে। এইরকম স্ট্রেইট-ফরোয়ার্ড সত্যবাদী, যা করিব আত্মপ্রত্যয় লইয়া সবার সম্মুখে করিব ছেলেপেলে দেখি না কেনে??
আর মাথাটাও আমার মতই গরম আর ঘ্যাচরাও। 
ভাল থাকেন সবাই। আমার এত্ত বড় কমেন্ট পড়ার কোন দরকার নাই। জাস্ট লিখতে ইচ্ছা হল এই আরকি। এঞ্জয় মুভীস, হ্যাপি ওয়াচিং।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শুরুতেই ধন্যবাদ, বিশাল মন্তব্যের জন্য; এবং একইসাথে দুঃখ প্রকাশ করতেসি এতো দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
"দ্য লর্ড অভ দ্য রিংস" বইটা আমি পড়ি নি। আছে যদিও। পড়বো বলে ভাবসিও। কিন্তু সিনেমাটা আমার দেখা। একবার না। দুইবার বা তিনবার না। কমপক্ষে বার দশেক তো হবেই! তিনটাই। আমার খুব প্রিয় সিনেমাগুলার একটা। এতো চমৎকার খুব কম সিনেমা দেখেই লাগসে। অ্যাডভেঞ্চার আমার ভাল্লাগে। তাছাড়াও সিনেমার কাহিনী, লোকেশন, মেকিং, কস্টিউম, মিউজিক, স্পেশাল ইফেক্টস, সব, সবকিছুই দারুণ। পিটার জ্যাকসন নিজে যেমন খুব খুঁতখুঁতে মানুষ, তিনি বানাইসেনও মনের মতো করেই।
আমি সেটার তুলনায় (তুলনা করাও ঠিক হচ্ছে না) "টোয়াইলাইট"-কে বলবো ওভারহাইপড। বইগুলা আমার পড়া নাই, পড়ার ইচ্ছাও নাই। তাই বলতে পারতেসি না কিছু। এবং মজার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি "নিউ মুন" দেখে আমি কিছুটা হতাশ ও বিরক্ত।
তবে এই কথার সাথে একমত হবো যে, বই থেকে বানানো সিনেমা অনেক সময় ভালো হয় না, আবার উল্টা কথাও বলা যেতে পারে। অনেক কিছুর উপরেই আসলে নির্ভর করে ব্যাপারটা। হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলা পড়ি নি, তবে সিনেমা আমার কাছে ভালো লাগে। প্রথমগুলার তুলনায় শেষের দিকেরগুলা একটু কেমন যেন।
"এক্লিপস" হয়তো দেখবো। কারণ সিরিজের আগের দুইটা দেখসি। আমি মাঝপথে আবার থামতে পারি না। তবে এটাও ঠিক যে তেমন বিশেষ টানও অনুভব করতেসি না যে "সিনেমাটা বের হচ্ছে, দেখতেই হবে!"
কিন্তু আমি এই সিনেমার সাউন্ডট্র্যাকের বেশ ভক্ত! গানগুলা দারুণ। "নিউ মুন"-এর পিয়ানো মিউজিকটা, আলেক্সান্ডার দেসপ্ল্যাট-এর, অসাধারণ! এছাড়াও এডিটরস-এর "নো সাউন্ড বাট দ্য উইন্ড", থম ইয়র্ক-এর "হিয়ারিং ড্যামেজ", মিউজ-এর "বিলং টু ইউ", গানগুলা বেশ ভালো লাগসে। "এক্লিপ্স"-এর গানের জন্য অপেক্ষা করতেসি।
যাই হোক, মন্তব্য আর "লম্বায়িত" না করি। আবারও ধন্যবাদ। সবাই বেশি বেশি সিনেমা দেখেন, উপভোগ করেন, শেয়ার করেন। ভালো থাকেন সবাই।
নতুন মন্তব্য করুন