রাশেদের বাবা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: সোম, ০৫/০৪/২০১০ - ৩:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


..............রাশেদের বাবার সবকিছুই খুব বিরক্তিকর। তিনি যখন ফোনে কথা বলেন, এতোই জোরে বলেন যে, যদি কেউ তাঁর কোনও ফোন দরকার নেই ভেবে বসেন, তাহলে তাকে দোষ দেয়া যাবে না আদৌ। একবার তো রাশেদের ছোট খালা ফোনে রাশেদের বাবার হ্যালো শুনে ভয় পেয়ে হাত থেকে ফোনটাই ফেলে দিয়েছিলেন। পরে সেটা নিয়ে খুব হাসাহাসি হয়েছিলো। তবে রাশেদের বাবার সামনে কেউ ভুলেও হাসাহাসি করে না, বা মজা করে না। তাঁকে সবাই খুব ভয় পায়। কারণ খুব অল্পেই রেগে যান তিনি। আর একবার রেগে গেলে তাঁকে থামানো খুব কষ্ট হয়ে যায়। তখন তিনি আরও চিৎকার করে কথা বলতে শুরু করেন। শুধু কথাতেই না, তিনি সবকিছুতেই প্রচণ্ড শব্দ করেন। তিনি বিকট শব্দে খাবার খান। ঘুমের মধ্যে বিকট শব্দে নাক ডাকেন। এমনকি বিটিভির বিদঘুটে সব ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দেখে তিনি বিকট শব্দে হেসে ওঠেন। আবার যখন টিভি চ্যানেলগুলোতে টক শো দেখেন, তখনও বিকট চিৎকারে গালিগালাজ করেন। সেসময় তাঁকে দেখে মনে হতে পারে তিনিই দেশের পরিস্থিতি দেখে কষ্ট পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি, এবং তাঁর হাতে কোনও তলোয়াড় ধরিয়ে দিলে তিনি নির্ঘাত কচুকাটা করবেন দেশের সব রাজনীতিবিদকে। রাশেদের মা তখন ছুটে এসে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পুরো পরিবারে একমাত্র রাশেদের মা-ই তাঁকে কড়া কথা বলতে পারেন। অন্যরা ভয়ে তাঁর সামনে মিইয়ে থাকে একদম।

..............রাশেদরা তিন ভাইবোন। ছোট বোন মিতু আর বড়ো ভাই রায়হান। রায়হান কলেজে পড়ে। রাশেদ ক্লাস ফোরে। মিতু এখনও স্কুলে যায় না। বাসায় রঙিন ছবিওয়ালা বই নাড়াচাড়া করে শুধু। রাশেদের বাবা যখন মিতুকে পড়াতে বসেন, ভয়ে ওর মুখটা শুকিয়ে এতোটুকু হয়ে যায়। তখন রাশেদের মা কোনও কাজের ছুতোয় রাশেদের বাবাকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেই মিতুকে পড়াতে বসেন। কখনও আবার পাশের বাসার জহির আঙ্কেলের সাথে তাঁকে গল্প করতে পাঠিয়ে দেন। মাঝে মাঝে রাশেদের বাবা রাশেদকেও পড়াতে বসেন। তখন রাশেদ যা জানে, ভয়ে তা-ও ভুলে বসে থাকে। রাশেদের বাবা তখন রেগে গিয়ে চিৎকার শুরু করেন। রাশেদ এতোটুকু শব্দ না করে চুপচাপ বসে থাকে আর ওর বাবা অনর্গল বকে যেতে থাকেন, রাশেদের ভবিষ্যত কতোটা অন্ধকার এবং এভাবে পড়াশুনা না করলে কীভাবে ও পাড়ার মোড়ের বাদামবিক্রেতা জগলুর মতো হয়ে যাবে, আর ময়লা তালিমারা শার্ট গায়ে দিতে হবে। রাশেদের কান গরম হয়ে যায় এসব শুনে। আর ও কাঁদতে থাকে। তখন আবারও রাশেদের মা ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি এসে উল্টো রাশেদের বাবাকে বকাবকি শুরু করেন। এমন পর্যায়ে রাশেদের বাবা-মার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া শুরু হয়ে যায়, এবং মাঝেমাঝে তা বেশ বিকট আকার ধারণ করে। তখন তাঁরা নানান বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতে থাকেন, এবং একটা সময়, কী নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত, তা-ই আর মনে থাকে না কারও। রাশেদের বাবা মানুষটা আকারে ছোটখাটো হলে কী হবে, ঝগড়ার সময় তিনি ভয়ংকর মূর্তি ধারণ করেন। রাশেদের তখন কার্টুন ছবির কথা মনে হয়, যেখানে বদমেজাজী দুষ্টু লোকের হুমকিধামকিতে চারপাশ প্রবল দুলুনিতে কাঁপতে থাকে।

..............রাশেদ বাসায় ওর কোনও বন্ধুকে আনে না কখনও। অবশ্য ওর বন্ধুরাও খুব একটা আসতে চায় না। শুধু পরিবারের মানুষজনই না, রাশেদদের আত্মীয়স্বজন বা ওর বন্ধুবান্ধবরাও রাশেদের বাবাকে প্রচণ্ড ভয় পায়। তাঁর সামনে কেউ সহজ হতে পারে না কেনো যেনো। রাশেদের বাবা যতোক্ষণ বাসায় থাকেন, পুরা বাসা খুব শান্ত হয়ে থাকে। রাশেদরা তিন ভাইবোনই ভয়ে তটস্থ থাকে একদম। তখন শুধু রাশেদের বাবার কথাবার্তা শোনা যায় মাঝেমাঝে। প্রতিদিন সকালে রাশেদের বাবা অফিসে যাওয়ার পথে রাশেদকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যান। রাশেদ তখনও ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকে। ওকে রেখে বাবা চলে যাওয়ার পরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ও।

..............রাশেদ স্বভাবে কিছুটা চুপচাপ প্রকৃতির। এ কারণে স্কুলে ওর শিক্ষকরা বেশ চিন্তিত। একাধিকবার ওর বাবা-মার সাথে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা এই ব্যাপারে। রাশেদের বাবা তখন বাসায় ওকে ধমকাধমকি করলেও, ওর মা ওকে আদর করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, নিজেও বোঝার চেষ্টা করেছেন ওর এই চুপচাপ থাকার কারণ। রাশেদের সাথে কথা বলে ওর মার ধারণা হয়েছে রাশেদের বাবার ভয়েই হয়তো নিজেকে গুটিয়ে রাখে ও। রাশেদের বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে যে স্বাভাবিক উৎফুল্লতা থাকে, সেটা ওর মধ্যে তো নেইই, বরং ওর বাবার চিৎকার করে কথা বলা বা রাগী স্বভাবের কারণে যদি ও নিজেকে এভাবে নিজের মধ্যে গুটিয়ে নেয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সেটা ওর উপর কী প্রভাব ফেলবে, সেটা ভেবে রাশেদের মা খুব দুঃশ্চিন্তা করেন। রাশেদকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার কথা বলায় রাশেদের বাবা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন তা। তাঁর কথা হলো ছেলে শান্তশিষ্ট হলেই বরং ভালো। হৈ-হট্টগোল না করে যতোক্ষণ ঠিকমতো পড়াশুনা করবে রাশেদ, ততোক্ষণ নাকি চিন্তা করাটা অনর্থক।

..............রাশেদদের কোয়ার্টারের মাঠে বিকালে ছোট ছেলেমেয়েরা খেলে। রাশেদ মাঝেমাঝে ওর ঘরের জানালা দিয়ে বা বারান্দায় গিয়ে ওদের খেলা দেখে। খেলাধুলায় ওর আগ্রহ বলতে গেলে একদমই নেই। এরচেয়ে বরং ঘরে বসে গল্পের বই পড়তে ওর বেশি ভালো লাগে। রাশেদের বাবা খুব রাগী হলেও, তিনি সবসময়ই রাশেদকে অনেক গল্পের বই কিনে দেন। সেসব বই পড়ে রাশেদ কল্পনার জগতে হারিয়ে যায়। বইয়ের নানান চরিত্রে নিজেকে কল্পনা করতে খুব ভালো লাগে ওর। একদিন বিকালে রাশেদকে ঘরে চুপচাপ বসে বই পড়তে দেখে, ওর মা বলতে গেলে জোর করেই ওকে খেলতে পাঠিয়ে দিলেন। ইচ্ছা না থাকলেও, শুধু মায়ের জোরাজুরিতেই খেলতে যায় ও। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হাত কেটে যাওয়ায় বাসায় ফিরে আসে রাশেদ। দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় হাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে ওর হাতে। রাশেদের মা দেখেই অস্থির হয়ে গেলেন। তিনি টিভিতে রান্নার একটা অনুষ্ঠান দেখছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে ঝটপট ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন তিনি রাশেদকে। যাওয়ার পথে রিকশাতে রাশেদ খুব শান্ত চেহারায় বসে থাকলো। এতোটুকু ব্যথার চিহ্ন বা কান্নার ছাপ নেই ওর চেহারায়। বড়োদের মতো গম্ভীর মুখে বসে থাকলো ও মায়ের হাত ধরে।

..............ডাক্তার দেখে জানালেন সেলাইয়ের প্রয়োজন নেই। অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষত পরিষ্কার করে তিনি শুধু ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিলেন ক্ষতটা। বললেন দিন দুয়েকের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তারের কাছ থেকে বাসায় ফেরার পথে রাশেদের মা ওকে আইসক্রিম কিনে দিলেন। সেটা খেতে খেতে রাশেদ ওর মাকে বললো বাবাকে কিছু না জানাতে। এতোটুকুন ছেলের মুখে এমন কথা শুনে রাশেদের মায়ের কান্না পেয়ে যায়।

..............তবে চেষ্টা করেও রাশেদের বাবার কাছ থেকে বিষয়টা লুকিয়ে রাখা গেলো না। অফিস থেকে বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আর টিভি দেখে, তিনি রাশেদকে পড়ানোর জন্য ডাকলেন। রাশেদ খুব ভয়ে ভয়ে ওর ইংরেজি আর অংক বইটা নিয়ে বাবার সামনে এসে দাঁড়ায়। তখনই তাঁর চোখে পড়ে রাশেদের হাতের ব্যান্ডেজ। বিকট হুংকার দিয়ে ওঠেন তিনি প্রথমে, তারপর শুরু হয়ে যায় তাঁর চিৎকার। রাশেদের মা সাথেসাথেই ছুটে আসেন। কিন্তু রাশেদের বাবাকে শান্ত করা যায় না কিছুতেই। বারবার জানতে চান তিনি কী হয়েছে, কীভাবে কাটলো। রাশেদ ভয়ে কোনও কথা না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। রাশেদের মা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জবাব না পাওয়ায় তিনি রাগের মাথায় ঠাস করে রাশেদের গালে চড় বসিয়ে দেন একটা। রাশেদ শুধু কেঁপে ওঠে আর নিঃশব্দে কাঁদতে থাকে। রাশেদের মা তখন ওকে ওর ঘরে পাঠিয়ে দেন। ঘরে গিয়েও রাশেদ ঠিকই শুনতে পায় ওর বাবা আর মা ঝগড়া করছেন। ওর খুব ভয় আর খারাপ লাগতে থাকে। কানে শুধু বাবার চিৎকার ভাসতে থাকে। মনে হয় যেনো ওর কারণেই বাসায় এতো অশান্তি।

..............ব্যথা পাওয়ার কারণেই হোক, বা ভয়ে, সে রাতে রাশেদের বিশ্রীরকম জ্বর আসলো। রাশেদ আর রায়হান একই ঘরে থাকে। অনেক রাতে শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রায়হান দেখে রাশেদ বমি করে দিয়েছে বিছানাতেই। রাশেদের গায়ে হাত দিতেই জ্বরের তীব্রতা অনুভব করতে পারে ও। রাশেদের গায়ের চাদরটা সরিয়ে রেখে মাকে ডাকতে যায় রায়হান। মিতু বেশিরভাগ সময় বাবা-মার সাথেই ঘুমায়। ওকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে রাশেদের বাবা-মা দুজনেই ছুটে আসেন রাশেদের ঘরে। রাশেদের মা ওর মাথায় পানি দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর ওর বাবা কেমন হতচকিত হয়ে বসে থাকেন ওর পাশে। রাশেদ মলিন চেহারায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে শুধু। মাথার উপর পাখাটা অলস ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ তুলে ঘুরতে থাকে। চারপাশে উদ্বিগ্ন কিছু মুখ। রাশেদের কানে কেমন একটা শূন্য ভোঁওওওও আওয়াজ চলতে থাকে। কিছুক্ষণ পর রাশেদকে ভীষণ অবাক করে দিয়ে ওর বাবা বিকট শব্দে কেঁদে ওঠেন। রাশেদ ঘাড় ঘুরিয়ে অবাক চোখে তাকায় বাবার দিকে। বাবাকে কখনও এভাবে দেখেনি আগে ও। এতোটুকুন বয়স থেকে রাশেদ তাঁকে চিৎকার করে কথা বলতে দেখেছে শুধু, কিন্তু এভাবে কাঁদতে দেখেনি কখনও। রাশেদের ভেতরের অভিমান, কষ্ট সব মোমের মতো পুড়ে যায়। রাশেদের বাবা ওর ছোট্ট হাতটা নিজের মুঠোয় পুড়ে, ওর কপালে-মাথায় হাত বোলাতে থাকেন। কান্নাজড়ানো গলায় কী সব বলেন, রাশেদ বুঝতে পারে না সব। এই প্রথম রাশেদের কাছে বাবার চিৎকার বিরক্তিকর লাগে না। বরং বাবাকে কেমন শিশুর মতো লাগে ওর কাছে, যেনো ভীষণ অভিমানে কান্নাকাটি করছে। হাত বাড়িয়ে রাশেদ বাবার গলা জড়িয়ে ধরে। বলতে চায় যে আর কখনও পড়ে গিয়ে হাত কাটবে না ও, ব্যথা পাবে না, অনেক সাবধানে খেলবে এখন থেকে। কিন্তু ওর ঠোঁট শুধু কেঁপে ওঠে ঈষৎ, কোনও শব্দ বের হয় না। কেবল পরম নির্ভরতায় বাবার গলা জড়িয়ে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকে রাশেদ।


মন্তব্য

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ভাল লাগল প্রহরী।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, অনিন্দিতা আপু। অনেকদিন পর ফিরেই আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো। হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

রাশেদের বড়ো ভাইয়ের নাম রায়হান হইলে এইটা হবে "রায়হানের বাবা"। দেঁতো হাসি
বিপদে রাগী বাবাদের অন্যদিকটা বেরিয়ে আসার ব্যাপারটা চমৎকার লাগলো। তবে গল্পে "রাশেদ" বা "রাশেদের বাবা" অনেক বেশিবার উচ্চারিত হয়েছে মনে হলো। আরেকটু কমালে বোধহয় ভালো শোনাবে বেশি।
(মাইচ্চে! বুদ্ধিওয়ালা লোকজনের মতো কমেন্ট কইরা ফেললাম মনে হয়। খাইছে)
...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গল্পটা মূলত রাশেদ এবং ওর বাবাকে নিয়ে। এখানে রায়হান, মিতু, রাশেদের মা ততোটা গুরুত্বপূর্ণ না। তাই "রাশেদের বাবা" বলা হয়েছে। রাশেদের দিক থেকে চিন্তা করে। খেয়াল করবেন, এখানে কোথাও সম্বোধন করা হয়নি কোনও। কোথাও বলা হয়নি "রাশেদের বাবা, কী করছেন?" অথবা "রাশেদের মা, একটু শুনে যাও তো"। সম্বোধনের ক্ষেত্রে হয়তো "রায়হানের বাবা/মা" বেশি মানানসই হতো।

হ্যাঁ, "রাশেদ" এবং "রাশেদের বাবা" অনেক বেশিই এসেছে। কিছুটা ইচ্ছাকৃত, কিছুটা হয়ে গেছে। রাশেদের বাবা-মার সরাসরি নাম ব্যবহার না করায় "রাশেদ" অনেক বেশি এসেছে গল্পে। তবে চাইলে বেশ কিছু জায়গায় কমানো যায়। পরে হয়তো কখনও যদি গল্পটা নিয়ে আবার বসি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই অনেক কিছু এডিট করবো।

আপনার "বুদ্ধিওয়ালা মন্তব্যে"-র জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

নিবিড় এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমিও তাই বলি দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

বাহ্, একই দিনে পান্থদা, অপ্রদা.. বোথ আর ব্যাক!! (তালিয়া)

গল্পে উত্তম জাঝা!

সীমান্ত থাকুক সুরক্ষিত.. খাইছে

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিছক কাকতাল চোখ টিপি

অনেক ধন্যবাদ, তিথী। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

অসাধারণ! পড়তে পড়তে চোখের কোন ভিজে গেল। রাশেদের বাবা একেবারে আমার বাবার মত!!

কেন যে আমাদের বঞ্চিত কর, না লিখে না লিখে!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রাশেদের বাবা আসলে কোথাও না কোথাও আমাদের অনেকের বাবার মতোই। আমার তো অন্তত তাই ধারণা।

তোমার ভালো লেগেছে, এতোটা স্পর্শ করেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আমার ক্ষুদ্র ব্লগ ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রশংসা পেলাম তোমার কাছ থেকে। অনেক ধন্যবাদ হাসি

এই গল্পটাও, বলবো, আরও অনেক ভালো করা যেতো, যাবে। তাড়াহুড়োতে লেখা, তাড়াহুড়োতে পোস্ট করা। মজার কথা শুনবা? গল্পটা কীভাবে লেখা হলো, সেটা বলি। কাল রাতে আবার "হাউ আই মেট ইয়োর মাদার"-এর পুরাতন একটা পর্ব দেখছিলাম - "লিটল মিনেসোটা"। সেখানে ফুটবলার "রাশাদ টারকেনটন"-এর নাম আসে। তাছাড়াও মাথার পাশে কদিন থেকে "আমার বন্ধু রাশেদ" পড়ে আছে। বাজে বাঁধাই ও মুদ্রণ প্রমাদের কারণে বইটা অর্ধেকের বেশি পড়ে আর পড়তে ইচ্ছা করছে না। মাথায় তাই "রাশেদ" নামটা ঘুরছিল। আজ অফিসে সুযোগ পেয়ে ফাঁকিবাজি করলাম (ভাগ্যিস আমার অফিসের কেউ সচলায়তন পড়ে না বা আমাকে এখানে চেনে না)। রাশেদ নামটা দিয়ে এই গল্পটা শুরু করে ফেললাম। কোনও প্ল্যান ছিলো না, প্লট ছিলো না। যা মাথায় আসবে, লিখবো - ভেবেছিলাম। এটা তারই আউটকাম। দেঁতো হাসি

অফিসে বসেই লেখা, অফিসে বসেই পোস্ট করা। (প্রতিদিন এমন ফাঁকিবাজির সুযোগ পেলে মন্দ হতো না!)

স্পর্শ এর ছবি

আহ্‌ অফিসে বসে লেখার মজাই আলাদা। আমার নিজেরো অনেক গুলো প্রিয় লেখা অফিসে বসে লেখা। আমি কোথায় কী লিখি সেই খোঁজ নিতে গিয়ে অফিসের কয়েকজন সচলায়তন পড়া শুরু করল। এর পরে এক সময় দেখলাম পুরো অফিসই সচলের নীড়পাতা একটা ট্যাবে খুলে বসে আছে। একসময় কর্তৃপক্ষ অফিসে সচল ব্লক করতে বাধ্য হয়। সে ছিলো কামরাঙ্গা, গোলরুটি, বেক্কল ছড়াকার, নিমকির যুগ। পুতুল, তীরন্দাজ ভাই একের পর এক গল্প লিখতেন। আরো কত সব দারুণ দারুণ লেখা। নতুনরা তো সেই দিন দেখেই নি। তখন একেকটা পোস্ট দিতাম আর ভাবতাম এতসব অসাধারণ লেখার মধ্যে কী নিদারুন ছন্দপতন ঘটালো আমার এই আব্‌জাব!

দু'হাতে লিখতে শুরু করোতো ফিরে আসুক সেসব দিন। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মনে করায়া দিলা! সচলায়তনের নতুনরা হয়তো জানবেও না কী দারুণ একটা সময়ই না গেসে তখন! এখনও দারুণ সব লেখা আসে, কিন্তু কামরাঙা, গোল রুটি, বেক্কল ছড়াকারের ছড়াগুলা খুব মিস করি। তালিকা আরও বড়ো করা যাবে চাইলে।

তুমিও তো দুই হাতে আবজাব লেখা ছেড়ে দিলা!

স্পর্শ এর ছবি

বানান শিকারীদের ভয়ে লেখা মেখা আটকে গেছে মনে হয়। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধুর মিয়া! এইসব চিন্তু বাদ্দিয়া লেখো তো আবার নিয়মিত! হাসি

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

পড়ার পর প্রথম যে কথাটা মনে হয়েছিল উপরে শিমুলাপু বলে দিয়েছে। অনেক অনেক রাশেদ!

চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, গ্রহচারী হাসি

ভালো থাকবেন।

নাশতারান এর ছবি

গল্প পছন্দ হয়েছে। রাশেদের বাবাকে পছন্দ হয় নাই। মন যতোই নরম হোক, এমন মেজাজী বাবা আমার ভালো লাগে না।

[ তলোয়াড় > তলোয়ার ]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

চোখ বটে আপনার!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, বুনো।
হুম, মেজাজী বাবা কারই বা ভাল্লাগে! এইসব বাবার মেজাজের আড়ালের নরম চেহারাটা বুঝতে বুঝতে যে অনেক সময় পেরিয়ে যায়... ততোদিনে শৈশব-কৈশোর কোথায় যে চলে যায়... তা আর ফিরে পায় কে!

লেখার সময়ই চোখে লাগছিলো। ধন্যবাদ, ভুল ধরিয়ে দেয়ায়। তবে আরেকটা ভুল এড়িয়ে গেছেন! "দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় হাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে ওর হাতে।" পরেরবার যেনো এসব না এড়ায়! দেঁতো হাসি মজা করলাম।

নাশতারান এর ছবি

মজা করলেন কেন? চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এমনি হাসি
শোনেন, ভুল দেখলেই ধরায়া দিবেন। আমি এইসবে কিছু মনে করি না। বরং কেউ দেখায়া দিলে ভালোই হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখা পড়ে পড়ুম, আগে রাইটরার্স ব্লক থেকে বের হয়ে আসার কারণে বিডিআরকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"রাইটার্স ব্লক" তো গুণী আর বিখ্যাত সব লেখকদের হয়। আমি তো তার কোনওটাই না। এদ্দিন ভেরেন্ডা ভাজলাম চোখ টিপি

থ্যাংকু। মাঝেমাঝে লেখালেখির কথা মনে করায়া দেয়ার জন্য। হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

রাশেদ মোশারেফ-এর গল্প ভালো লাগলো। সেই জনৈক বালিকাকে বেশি সময় না দিয়ে লেখালিখি চালিয়ে যান সীমান্ত প্রহরী। চোখ টিপি
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। থ্যাংকু থ্যাংকু। কিন্তু আমার তো সময় দেয়ার মতো কেউ নাই দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

এইখানে রাশেদ মোশাররেফ কে টানলেন কেন পান্থদা চিন্তিত
@অপ্রভাই
বহুতদিন আপনার কোন খবর নাই তাইলে আজকাল এই কাজ করেন, না চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার খবর নিতে হইলে তো তোমারে ফ্রি থাকতে হবে। তুমি নিজেই কচিকাচা নিয়া ব্যস্ত। কারও খবর নেয়ার টাইম আছে নাকি? খাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পড়লাম। লেখাটা পড়ে যে কারো বাবার কথাই মনে পড়বে।

আমার বাবা সবসময় কারণে অকারণে চিৎকার না করলেও বেশ রাগীই ছিলেন। আর সহোদরদের মাঝে তাঁর শাসনের সিংহভাগ যেতো আমার পিঠেই। আব্বাকে কাঁদতে দেখছি আমি দেশ ছাড়ার সময়। এর আগে দেখছি বলে মনে পড়ে না। আব্বা রেগে গেলে ভয়ের চোটে কাঁপতাম আমিও। অথচ রিটায়ার করার পর কেমন জানি হয়ে গেলেন। এখন কাউকে ধমকান না, জোরে কথাও বলেন না। রাগ করাও মনে হয় ভুলে গেছেন। আমাকে চড় দেয়ার হুমকি দেন না, হাতে জালি বেত নিয়ে আমাকে খোঁজেন না। ফোন করলে খালি বলেন, "তোর শরীর ভালো? আসবি না?..."
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা পড়ে যে কারো বাবার কথাই মনে পড়বে।
এমনিতে এমন আহামরি কিছু হয়নি এটা, তেমন কিছু লিখিও না, কিন্তু যদি এই গল্প পড়ে বাবার কথা মনে পড়েই থাকে, তাতেই আমার সার্থকতা। হাসি

হুম, একটা পর্যায়ে এসে বাবারা খুব নরম হয়ে যান। আমাকেও এখন আর বকাঝকা শুনতে হয় না, চোখ রাঙানি দেখতে হয় না, পড়তে বসার কথা বলে না আর কেউ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রাশেদের বাবাকে ডেকে এনে প্রহরীকে একটা জোরদার ধমক দেওয়ানো উচিত। কেন এতদিন পর পর লেখে...

লেখা উমদা হইছে। ভাল্লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। আর ধমক... আলসেমি লাগে খুব হাসি

অনেক থ্যাঙ্কু। আপনিও কিন্তু অনেকদিন আপনার ট্রেডমার্ক লেখা লিখতেসেন না...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভাল লাগল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাঙ্কু, শুভাশীষ'দা হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

লেখা ভাল হইছে, পড়তে আরাম লাগে।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সময় নিয়া পড়ার জন্য থ্যাঙ্কু, বড়ো ভাই হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমার বাবা রেগে গেলে একটু জোরে কথা বলেন। সেদিন ফোনে কী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেখি গলা চড়ে যাচ্ছে। আমি বললাম, আস্তে কথা বলুন আপনার শরীর খারাপ হবে। উনি কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললেন, আমি এভাবেই কথা বলি। তারপর থেকে আর জোরে কথা বলেননা। একটা বয়স পরে বাবারা ছেলেদের বন্ধু হয়ে যায়, তাই না?

লেখা খুব ভাল লাগল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকই বললেন, একটা বয়স পরে বাবারা ছেলেদের বন্ধু হয়ে যায়। খুবই সত্য কথা। বাবাকে নিয়ে একটা পোস্ট লিখে ফেলেন না। আমার খুব পছন্দের একটা বিষয় এটা। আমি এই বিষয়ে কোনও লেখা পেলে, আগ্রহের সাথে পড়ে ফেলি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, বাউলিয়ানা হাসি

সচল জাহিদ এর ছবি

সব গম্ভীর বাবাদের ভেতরেই হয়ত কোমন একটি মানুষ লুকিয়ে থাকে যার দেখা আমরা কেউ পাই কেউ পাইনা। লেখা ভাল লেগেছে প্রহরী।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকই বললেন, জাহিদ ভাই। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

প্রহরী যে শুধু ডাউনলোডই করে না, লেখেটেখেও সেইটাই তো ভুলতে বসেছিলাম! যাক আগামীতে মনে রাখানোর দায়িত্বে ফাঁকি মেরো না হে ছোকরা!

লেখা খাসা লাগলো। বিশ্লেষণ অনেক রকম হয়ে গেছে দেখলাম, তাই আর ঐ রাস্তায় গেলাম না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে! আপনি কোত্থেকে! দেখলেন তো, আপনাকে বেমালুম ভুলে বসে আছি! তা, এইবার যে আপনার নিজেকে মনে করানোর দায়িত্ব নিতে হয়! চোখ টিপি

ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত সমালোচনা আশা করি আপনার কাছ থেকে (সবার কাছ থেকেই)। ভালো থাকবেন। আর অবশ্যই ব্যস্ততা কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা লিখবেন। একটা রিভিউই না হয় দেন! আগে আপনার রিভিউ পোস্টগুলার জন্য সত্যিই খুব আগ্রহ করে বসে থাকতাম। মুভি দেখতে, পড়তে, মুভি নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন।

মর্ম এর ছবি

বাবারা কি রাগী হয়? নাকি রাগ দেখায়?

সময়ের সাখে সাথে বাবারা বদলায়? নাকি আড়াল থেকে বেরোয়?

মন খারাপ হলো, তবু ভালো লাগলো গল্পটা।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার মনে হয় যতোটা না "রাগী" হন, তারচেয়ে বেশি "রাগ দেখান"; এবং সময়ের সাথে সাথে তাঁরা মূলত আড়াল থেকে বেরিয়ে আসেন হাসি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এই লোকটা কে?... এ সচলে লেখে কবে থেকে? আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও পরিচিত সচলের মাঝেতো একে খুঁজে পেলাম না! আশ্চর্য! ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কবি বলেছেন, "এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান"। এ কারণেই তো... চোখ টিপি

খোঁজার জন্য ধন্যবাদ! খাইছে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্টু ভালু ছেলে, এতদিন পর লেখা দিলে যে ভুলেই গিয়েছিলাম তুমি সচলে লেখ! তবে দারুন লাগল, এজন্যেই না লিখলে পিছনে পিছনে ঘুরি ফ্যা ফ্যা করে।

ছোট্ট প্রশ্ন, তলোয়াড় না তলোয়ার?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ধন্যবাদ, সাইব্বাই। পড়লেন, মন্তব্য করলেন এবং বেশ কয়বার গুঁতাইসেন, সবকিসুর জন্যই হাসি

আপনি লেখেন না কেনো? ছবিব্লগ দিয়ে পাশ কাটাইতেসেন খালি! স্মৃতিচারণমূলক কিছু লেখেন আবার।

"তলোয়ার" হবে। আমার ভুল হইসে বানানটা। হাসি

বোহেমিয়ান এর ছবি

বাবারা তো এমন ই!
বাবাদের সাথে কিছুটা দূরত্ব থাকে আমাদের অনেকের ই, কিন্তু তাঁরা যে যে কতটা আপন, কত না বলা কথা বুকে রাখেন আমাদের জানতেও দেন না , শুধু কাজের/দরকারের/বিপদের সময়টুকুতেই তাঁরা হাজির থাকেন!

খুব সুন্দর । চলুক
ওয়েল্কাব ব্যাক দেঁতো হাসি

আরো চাই

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনিও খুব সুন্দর করে বললেন। ভালো লাগলো কথাগুলো হাসি

থ্যাঙ্কু। আসবে। আরও মাস তিনেক যাক তো! দেঁতো হাসি

মামুন হক এর ছবি

ভালো লাগলো প্রহরী। তবে এতদিনের বিরতির পরে আমি আরও বিস্ফোরক কিছু আশা করেছিলাম। বিষয়বস্তু, ঘটনার বিস্তার আর রাশেদ শব্দের অতিব্যবহারে গল্পটা গল্পের মতোই লাগলো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আশাহত কইরা থাকলে, স্যরি। সবার ভেতরে তো আর সহজাত আগুনটা থাকে না। আমি চাইলেও বা চেষ্টা করলেও এর বেশি হয়তো লিখতে পারবো না কখনওই। সবারই তো নির্দিষ্ট একটা সীমানা থাকে হাসি
ট্যাগে "গল্প" উল্লেখ করলেও, বাস্তবে এটা স্রেফ একটা গল্প-প্রচেষ্টা মাত্র। আমি নিজেই জানি সেটা।

তারপরও ভালো লাগসে জেনে খুশি হইলাম। পরবর্তীতে কোনও গল্প লিখলে আরও যত্নবান হবো। এরচেয়ে বেশি হয়তো কিছু হবে না। তারপরও চেষ্টা তো থাকবেই।

অনেক অনেক থ্যাঙ্কু, মামুন ভাই, মন্তব্যের জন্য হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো।

তোমরা ইয়াং ম্যান এত কম কম লেখো কেনো? জানো, তোমাদের মত বয়সে আমরা... (ইয়ে মানে-র ইমো হবে)
হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাঙ্কু! হাসি

হা হা হা। অনেকদিন তো বিশ্রাম নিলেন, এইবার আপনার একটা পোস্ট দেয়ার সময় এসে গেছে কিন্তু। এই বছরের মধ্যে যেভাবেই হোক, আপনার পোস্ট সংখ্যা ১১ থেকে ২০ এ নিতে হবেই হবে! (এপ্রিল চলে। এখন থেকে প্রতি মাসে একটা করে লেখা দিলে ডিসেম্বর মাসে আপনার মোট পোস্ট ২০ হবে) দেঁতো হাসি

শরতশিশির এর ছবি

প্রথমবার যখন পড়ি তখন নিজের বাবার কথা মনে হচ্ছিল, মন খারাপ হয়ে গেছিলো দেখে আর কিছু বলিনি।

''রাশেদের বাবা'' বলাটা একটু কমিয়ে দিয়ো পরে, নইলে বাদবাকি ঠিকই আছে। ভাল হয়েছে।

তোমার কয়েকটা লেখা আগে পড়েছি। তোমার সহজভাবে লেখার সহজাত প্রতিভা আছে, সেটা ধরে রেখো।

ভাল থেকো। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জানি গল্প হিসাবে খুব ভালো কিছু হয়নি, তারপরও এই যে লেখা পড়ে কারও কারও নিজের বাবার কথা মনে পড়ে গেছে, এতেই ভালো লাগতেসে হাসি

আসলে আমার এক বদভ্যাস হলো লেখা শেষ করে সাথে সাথে পোস্ট করে দেয়া। অন্তত কিছুটা সময় নিলেও, অনেক কিছুই চোখে পড়ে। এখন যেমন পড়তেসে এটার। তাড়াহুড়া কমাতে হবে এরপর থেকে (যদি পারি) হাসি

তাই নাকি? থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু দেঁতো হাসি

আপনিও ভালো থাকবেন।

(চকলেট আর বিরিয়ানির কথা ভোলেন নাই আশা করি!)

শরতশিশির এর ছবি

না, আমার বাবা কিন্তু খুব অন্যরকম - বেজায় মিশুক, দিলখোলা আর একদম রাগী না। আব্বু ছাড়া বরং আমার নিজের এতদূর আশাই হতো না - হি ইজ সো সাপোর্টিভ। আমার মনে হচ্ছিল যখন লাস্ট সামারে এয়ারপোর্টে বিদায় দিচ্ছিলাম - আমি আর আম্মু শক্ত হয়ে ছিলাম কিন্তু আব্বু আমাকে 'খোদাহাফেজ' বলে যেভাবে কেঁদে উঠেছিল, দেখো আমি এখন নিজেই মনে করে কাঁদছি! কাজেই, বাবা আমার জন্য অন্য ব্যাপার - আমার লাইফ, আমার ইন্সপিরেইশান, আমার ফ্রেন্ড।

এডিট করা জরুরি, তারপরও তো কতকিছু চোখে পড়ে না অনেকসময়।

(এঁ! এইসব কী বলছো? ''ম্যায় কাহা হু''? ) চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি তো তাহলে খুব বন্ধুসুলভ বাবা পাইসেন একজন। দারুণ একটা ব্যাপার এটা হাসি
বাবাকে নিয়ে লেখেন না একটা পোস্ট। জানতে ইচ্ছা হচ্ছে তাঁর ব্যাপারে। প্লিজ লেখেন সময় করে।

আপ কাহা হো? এইসব স্মৃতিভ্রংশের অভিনয় না করলেও হবে। আমি জানি আপনি ঈমানদার। আর ঈমানদাররা তো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে না দেঁতো হাসি

শরতশিশির এর ছবি

আব্বুকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। তবে এইভাবে পারসোনালি না, আমি ঢাকায় আসলে বাসায় এসো, তখন নিজে দেখতে পারবে। উনি আর দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সেটা নিয়ে। আমি ফোনে বলেছিলাম লেখতে কিন্তু লেখতে চায় না। আমি গিয়ে যদি কথা রেকর্ড করি বা জোর করে লেখালে যদি কাজ হয়। দেখা যাক।

বিরিয়ানি হবে, চকলেট-ফকলেট হবে না। ওজন একটা ব্যাপার হবে, আর আমি এখনও টিকিট কিনি নাই, কাজেই ম্যালা ঝামেলা আছে মাথায়। আপাততঃ ওসব নিয়ে বিজি।

ভাল থেকো। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকাছে। দেখা হলে তো গল্প শোনা হবেই। তবে চেষ্টা করেন বাবাকে নিয়ে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার।

হা হা হা। যাক, এতোদিনে আপনাকে সিরিয়াস করা গেলো। এতোদিন তো একেবারে উড়িয়েই দিতেন! দেঁতো হাসি

আপনিও ভালো থাকুন। উড়াল দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন হাসি

বর্ষা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ বর্ষাপু হাসি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এই প্রথম রাশেদের কাছে বাবার চিৎকার বিরক্তিকর লাগে না। বরং বাবাকে কেমন শিশুর মতো লাগে ওর কাছে, যেনো ভীষণ অভিমানে কান্নাকাটি করছে। হাত বাড়িয়ে রাশেদ বাবার গলা জড়িয়ে ধরে। বলতে চায় যে আর কখনও পড়ে গিয়ে হাত কাটবে না ও, ব্যথা পাবে না, অনেক সাবধানে খেলবে এখন থেকে। কিন্তু ওর ঠোঁট শুধু কেঁপে ওঠে ঈষৎ, কোনও শব্দ বের হয় না।

চলুক

___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, জুলিয়ান ভাই হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা পড়া শুরু করেছিলাম এক-ঘন্টা আগে... বিদ্যুৎ চলে গেলো...
লগিন করে বাকি অংশ পড়লাম...

দারুণ একটা ছোটদের গল্প হয়েছে এটা...

বিশেষ করে

রাশেদ এতোটুকু শব্দ না করে চুপচাপ বসে থাকে আর ওর বাবা অনর্গল বকে যেতে থাকেন, রাশেদের ভবিষ্যত কতোটা অন্ধকার এবং এভাবে পড়াশুনা না করলে কীভাবে ও পাড়ার মোড়ের বাদামবিক্রেতা জগলুর মতো হয়ে যাবে, আর ময়লা তালিমারা শার্ট গায়ে দিতে হবে।

এই জায়গাগুলো পুরো মু-জা-ই স্যারের চমৎকার বাচ্চাকালের কিশোড় উপন্যাসের কথা মনে করিয়ে দেয়...

_________________________________________

সেরিওজা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখা শুরু করার আগে আমার মাথাতেও ছিল যে, কিছুটা হলেও যেন ছোটদের গল্প হিসাবে লিখতে পারি। কিন্তু কাজটা খুব কঠিন। পড়তে যতোটা সহজ লাগে ছোটদের গল্প, লিখতে মোটেও তা না। তাই তেমন কিছুই হয়তো হয়নি। কিন্তু লিখতে গিয়ে আমার ভাল্লাগসে। নিজের অল্প কিছু স্মৃতি (সেগুলো এদিক-ওদিক বদল) আর অনেকটুকু কল্পনা মিশিয়ে লেখা জন্যই হয়তো।

মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আমার ভীষণ প্রিয় একজন লেখক। তাঁর ছোটদের উপন্যাসগুলো পড়লে খুব মুগ্ধ হই। কীভাবে যে লেখেন উনি! তাঁর লেখায় বাড়াবাড়ি নেই কোনও, সহজ সব শব্দচয়ন, কিন্তু সব মিলিয়ে কী গভীর তার প্রভাব! হ্যাঁ, কিছুটা সচেতনভাবেই চেষ্টা করসি তাঁর মতো সহজ সব শব্দ ব্যবহার করতে। পাশাপাশি কিছুটা আবেগ ঢেলে দিতে। আমি জানি, তেমন আহামরি কিছুই হয় নি, তারপরও এই যে লেখাটা পড়ে তোমার জাফর স্যারের লেখার কথা মনে পড়ে গেল, এটাকেই বিরাট একটা প্রাপ্তি হিসাবে ধরে নিলাম।

থ্যাঙ্কস, সুহান। হাসি

কনফুসিয়াস এর ছবি

গল্পটা ভাল লেগেছে। চলুক
তবে পরিণতির তুলনায় প্রস্তুতিটা একটু দীর্ঘ হয়ে গেছে মনে হলো। বাবার রাগের বর্ণনা পড়তে গিয়ে একটা পর্যায়ে একটু অস্থির লাগা শুরু করে।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, কনফু ভাই হাসি

সমালোচনাটুকু আন্তরিকতা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করে নিলাম। ঠিকই বলসেন। পরে কখনও যদি এটাকে ঘষামাজা করি, তাহলে আপনার বলা পয়েন্টটা মাথায় নিয়েই করবো হাসি

ভালো থাকবেন। আপনার নতুন গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রিয় অপ্র
এই গল্পটা তখন পরা হয় নাই সময়ের অভাবে, কিন্তু আরেকটা কারণ ছিল গল্পের নাম, পড়েই 'আমার বন্ধু রাশেদ'-এর কথা মনে হচ্ছিল, বইটা পেয়েছিলাম ক্লাস টেনের টেস্ট পরীক্ষার শেষদিনে, শুধু ভাল বই হিসেবে নয়, আছে অনেক মজার ছোট-বড় কাহিনি এই বইটা ছুঁয়ে। মন্তব্যগুলো পড়তে গিয়ে দেখি নামকরণের পেছনে সেই বইটার হাত আছে আসলেই। আশা করি এতদিনে চমৎকার বইটা পড়া শেষ হয়েছে?

আমার বাবা বন্ধু মানুষ, যার সাথে নিয়মিত যুক্তিপূর্ণ তর্কাতর্কি চলে। এক অর্থে আমি বাবার মতই আগাগোড়া। আর মোটামুটি সবাই জানে আমরা দুজনাই আবেগ-টাবেগ প্রকাশ করতে অপারগ একেবারেই। খাইছে
প্রথম যেবার বিদায় নিলাম বছর দুয়েক আগে, অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলাম আমি, খালি অফিসের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবার সময় বাবার শেষ না করা কথাটা ছিল অনেকটা এরকম 'এবারই প্রথম একা ছেড়ে যাচ্ছি...'
দ্রুত নেমে গিয়েছিল আর আমি উঠে গিয়েছিলাম উপরে, কর্মচাঞ্চল্য আমাকে আমার বাবারই সন্তান প্রমাণে ব্যস্ত রেখেছিল। আজকে অনেকদিন পরে মনে পড়ল সেই স্মৃতি আর তারপরের মনে পড়ল একা একা টিকে থাকার সেই প্রাথমিক নির্মম প্রচেষ্টা! হায়রে! কতটা কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম আমরা দুজন সেদিন ভাবাবেগ প্রকাশের! ভাগ্যিস ব্যস্ত ছিলাম দুজনাই! নাইলে কেলেঙ্কারীয়াস হইত না! অ্যাঁ

যাই হোক, অফিসে বসে কেউ যদি এমনভাবে লিখতে পারে, তাইলে চুপচাপ ঘরে বসে অনেককিছু ভাবতে ভাবতে না জানি আরো কত দারুণ লেখা নামিয়ে ফেলতে পারে। নিয়মিত পড়তে দেবার আশা রইল এরপর থেকে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিজের পুরাতন লেখা দেখা হয় না আমার। বিশেষ এক কারণে এই পোস্ট আজ খুললাম জন্য এই মন্তব্য প্রায় ৩ বছর পর চোখে পড়ল।

বন্ধু-বাবা তো খুবই ভালো। বাবার সাথে সম্পর্ক বন্ধুর মতোই হওয়া উচিত বলে মনে করি। তারপরও কিছু মানুষ থাকে, যাদের সম্পর্ক এমন না। সেসব মানুষের উদ্দেশ্যে এই গল্পটা।

এতদিন পর কী আর বলব। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর, "আমার বন্ধু রাশেদ" আমার পড়া শ্রেষ্ঠতম বইগুলোর একটা। এটাকে র‍্যাপিড রিডারে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফ্লাইন) এর ছবি

চমৎকার একটা গল্প পড়লাম। তবে গল্পটা অতি নির্মম পরিণতির দিকে যায় নি দেখে ভালো লাগলো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক দেরিতে হলেও আপনার মন্তব্যটা দেখলাম আজ। ভালো লাগল। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, মৃত্যুময় ঈষৎ। ভালো থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।