খাল কেটে বসে আছি কুমিরের অপেক্ষায়। কুমির এলোনা, এলো বুনো হাতি। সেই বুনো হাতির পিঠে চড়ে নিঝুম দ্বীপে গিয়েছিলাম গাভীর পা পেঁচিয়ে পদ্মগোখরার দুধ খাওয়া দেখব বলে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে পা ব্যথা হয়ে গেল তাও দুধ খাওয়া শেষ হয়না। অবশেষে গামারি গাছের উপর যখন আকাশ থেকে তারাটা খসে পড়ল তখন তার খাওয়া শেষ হল। তারপর পাঁচ পায়ে ভর দিয়ে সরসর করে ঢুকে পড়ল বাঁশের আরার ভিতর। আকাশের তারা খসে পড়ায় গামারির গা দিয়ে গলগল করে পড়া রক্তে নীল হয়ে গেল পুকুরের জল। তাই দেখে খোয়াজখিজির বেরিয়ে এলো লাঙল আর জোঁয়াল নিয়ে। মধ্যরাতে সূর্য উঠল অন্ধকার গগণে। আর খোয়াজখিজিরের রুপার থালায় ভেসে উঠল কচুরীর ফুল; টলোমল, টলোমল।
শেষমেষ বিরক্ত হয়ে চলে এলাম গগনশিরিশের চূড়ায়। ভূবন চিল ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। তাই নারকেল গাছের পাতা গুনতে গুনতে কোটরে পেঁচার কোটরে থামলাম-- সেখানে কেউ নেই। মনের ভেতরে নয়, মেহগনির ঝাড়ে হঠাৎ ঝড় উঠল। বন-খঞ্জন লেজ নাচাতে নাচাতে এসে হাতে ধরিয়ে দিল আগামী দিনের পঞ্জিকা।
তারপর-- পঞ্জিকা হাতে ভোরের অপেক্ষায়।
মন্তব্য
দারুণ কল্পনাশক্তি আপনার।
লেখাটাকে আবোল তাবোল মনে হলো না মোটেই।
ঈর্ষা হচ্ছে।
..............................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
প্রপ্রে ভাই,
ঘি খায়া মুডে আছেন মনে হইতেছে কল্পনায় আঁকিবুঁকি কাটতেছেন। পইড়া খুব আরাম পাইছি, কিন্তুক কিচ্ছু বুঝি নাই মধ্যরাতে সূর্য উঠল মধ্য গগণে...তাইলে আবার ভোরের প্রতীক্ষায় ক্যামনে থাকেন!!! এই কাহিনীর শানে-নযুল যদি বলতেন...তাইলে হয়ত মাথায় ঢুকত!
=============
"কথা বল আমার ভাষায়, আমার রক্তে।"
ঘী খায়া আসলে ঘুম ধরতেছেনা তাই...
মধ্যরাতের সূর্যকে চাঁদ মনে করতে পারেন, আর সেটার প্রতিবিম্ব পড়েছে খোয়াজখিজিরের থালার উপর।
শানে নূযুল হল নির্ঘুম সময় কাটছে; আর জ্বীনের বাদশা'র সাইপান ঘোরা দেখে হিংসে হচ্ছে। সেই পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে ভাবছিলাম সাইপান আমেরিকার আশে পাশে কোথাও হবে হয়তো। পরে গুগল ম্যাপে দেখি সেটা বাংলাদেশের মতই দূরে। তাই আবোল তাবোল বকলাম আরকি।
থ্যাংকু। দারুণ লিখছেন কিন্তু। খোয়াজখিজির নামটা খুব পরিচিত। খিজির (আঃ) নামে কি কোন নবী ছিল?
হুম। সাইপান বাংলাদেশের কাছে। দেশী ভাইদের জন্য আগে আম্রিকা আসার সহজ রাস্তা ছিল সাইপান।
জ্বীনের বাদশা সাইপান গেল, আপনিও ঘরের পাশে হাজার দ্বীপ থেইকা ঘুরে আসেন। মন ভাল হবে, জ্বীন ভাইও আপনেরে তখন হিংসা করবে। ফটুক দিলাম। বেড়ায়ে এসে এইখানে ছবিসমেত পোস্ট দিয়েন।
হাজারো ধন্যবাদ। আপনি ভাই জ্ঞানী মানুষ-- অনেককিছু জানেন। ছবিটা দেখে খুবই অবাক হয়েছি। ভীষণ লাইভ। দেখি এই সামারেই যাওয়া যায় কিনা।
সর্বনাশ!! সাইপান যাত্রা আনডু কইরা এখানে যাইতে হইব ,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
- আগ্গুন, এইটা আগ্গুন হইছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে হয় বিড়ির আগ্গুন
- বিড়ির আগুন না বস। একেবারে দাবাণল.... আগ্নেয়গিরির লাভা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কঠিন মারলেন ,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ফাটাফাটি লেখা হয়েছে, খুবই আনন্দ পেলুম। আমিও মাঝে মাঝে উদ্ভট কল্পনা করি এমন...
পড়ে যদিও মনে হচ্ছে ঘাসপাতার প্রভাব
কিন্তু কল্পনা দারুণ
ঘাসপাতা ছাড়াই যে অবস্থা, থাকলে তো মনে হয় .. ঐযে কী যেন বলে-- ঘাসপাতার নৌকা পাহাড় দিয়ে চলে।
খোয়াজখিজিরের কথা মনে করিয়ে দিলেন।
(বিপ্লব)
অতকিছু যখন ক্যালেন্ডারের বাইরে করলেন তাহলে পঞ্জিকা ধরে ভোরের অপেক্ষা করে আবার লোকটাকে কেরানি বানিয়ে দিলেন কেন?
এটা ঠিক হয়নি
- হ, আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পঞ্জিকা বাদ দিয়া প ছাইড়া একটা গ সহযোগে কিছু যোগ করা যায় কীনা ভেবে দেখার আহ্বান জানাই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিপ্লব!
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আবারো একটা অসাধারন কবিতা পড়া হলো! দারূন! আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো এই জায়গাখানি, "আকাশের তারা খসে পড়ায় গামারির গা দিয়ে গলগল করে পড়া রক্তে নীল হয়ে গেল পুকুরের জল। তাই দেখে খোয়াজখিজির বেরিয়ে এলো লাঙল আর জোঁয়াল নিয়ে। মধ্যরাতে সূর্য উঠল অন্ধকার গগণে।"
নতুন মন্তব্য করুন