স্ন্যাপিং টার্টলের (Snapping Turtle) নাম শুনলে প্রথমেই মনে হয় কারো বিশেষাঙ্গ কেটে নেয়ার ঘটনা। গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম খোদ জার্মানীতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আ্যনানোভার দেয়া খবর পড়তে পারেন। ১৫ বছরের বালক সাঁতার কাটার সময় তার বিশেষাঙ্গে এই বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ কামড়ে দিয়েছে। তারপর যা হবার তাই হয়েছে।
সেদিন বিকালে মেয়েকে ডে-কেয়ার থেকে নিয়ে আসার সময় দেখি রাস্তার পাশে একদল ছেলেমেয়ে জটলা করেছে। এখন সামার ভ্যাকেশন চলছে; তাদের স্কুল নাই, কাজ কর্ম নাই। কাছে গিয়ে দেখি একজন রাস্তার পাশের নর্দমার মধ্যে নেমে দাঁড়িয়ে কী যেন খুঁজছে। জিজ্ঞেস করলাম ব্যপার কি? ছোট আরেকটা মেয়ে উত্তরে যা বলল তার সারমর্ম হল- একটা স্ন্যাপিং টার্টল সেখানে ডুব মেরে আছে। আমি আগ্রহী হয়ে টার্টলটা তুলতে বললাম। আমার মেয়েকে দেখাবো সেটাই ইচ্ছে। সাথে সাথে ছেলেটা নর্দমার পানির মধ্যে হাতানো শুরু করল এবং মুহূর্তের মধ্যেই প্রায় ৫-৬ কেজি সাইজের একটা টার্টল তুলে আনল।
স্ন্যাপিং টার্টল উত্তর আমেরিকায় বিশেষত কানাডার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে পাওয়া যায়। সুপেয় পানির টার্টলের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড়। লেজ ও পায়ের গড়ন অনেকটা কুমিরের মত। অধিকাংশ সময় পানির নিচেই পড়ে থাকে। কেবল ডিম পাড়ার সময় এর স্থলে উঠে আসে। তাই জুনের শেষ আর জুলাইয়ের শুরুর দিকে এদেরকে দেখা যায়। ছোট মাছ, উভচর ও অন্যান্য খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে।
রাস্তার অপর পাশেই আরো কয়েকজন ছেলেমেয়ে বসে ছিল। কচ্ছপটা তোলার পরে তারাও এগিয়ে এলো। সবার দেখা হয়ে গেলে ওটাকে আবার জায়গামত ছেড়ে দেয়া হল।
আমি চলে এলাম বাসায়। চিন্তা করলাম কীভাবে স্কুলের বাচ্চারা তাদের পরিবেশের নানা উপাদান সম্পর্কে অবগত। শুধু নাম ধাম নয়, কেন সে পানি থেকে উঠে নালায় এসেছে তাও তারা জানে! জানে কীভাবে এদের সংরক্ষণ করতে হয়। ছোট্ট একটা দীর্ধশ্বাস নিজের অজান্তেই বেরিয়ে এলো। পুরা ব্যাপারটাই বাংলাদেশের কোন এক রাস্তার পাশে ঘটলে কী হতো সেটা চিন্তা করলাম। না থাক, অত চিন্তা করে লাভ নেই।
ছবির সূত্র: http://museum.gov.ns.ca/mnh/nature/turtles/snap.htm
মন্তব্য
- বাংলাদেশের রাস্তার পাশে ঘটলে টার্টলরে পিটায়া ভর্তা বানায়া ফেলতো, আবার কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইন্টারেস্টিং!
কচ্ছপ আমার ভীষণ প্রিয় একটা প্রাণী - কেন তার কোন উত্তর আমি নিজেও জানি না! কিন্তু, এই স্ন্যাপিং টার্ট্যল টার কাঁটা কাঁটা খোঁচা খোঁচা চেহারাটা ভালোবাসতে পারলাম না
সেইতো, আমাদের দেশে 'শিক্ষা' কেন যা বাস্তবতা থেকে এতো দূরে!
আমাদের দেশে ভালো সবকিছুই অস্তিত্বের সংকটের মুখোমুখি।
জার্মানীর খবরটা পড়ে ভয় পেলাম।
আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- আমিও ভয় পাইসি। বালকের নাম এইচ দিয়ে শুরু নয়তো! এই নামে আমার এক দোস্ত তো জার্মানীতেই থাকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী ব্লগার? ডরাইলা?
কে বা কাহারা এই পোস্টে আরো একটি সুন্দর ছবি যোগ করেছে। ধন্যবাদ।
এই হইলো ঘটনা।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন