শনিবার, অক্টোবর, ১১, ২০০৮।
গত কয়দিন বেশ ঠান্ডা ছিল। প্রকৃতিতে শীতের আগমনি প্রস্ততি চলছে। রাতে ৩-৪ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে আসে। সকালে ঘাসের গায়ে শিশির শুকাতে ঢের সময় লাগে। শীত আসি আসি করছে কিন্তু পুরোপুরি আসছেনা। একটানা কয়দিন ঠান্ডার পর গতকাল থেকে আবার একটু গরম পড়েছে। শনিবারের সকালটা তাই খরচ করে এলাম বাড়ির পাশের ন্যাচার পার্কে।
মাত্র ১০ মিনিটের ড্রাইভ। অজিবওয়ে ন্যাচার পার্ক। কোন সংরক্ষিত পার্ক নয়, পুরোদস্তর বন, যাকে বলে ফরেস্ট। ঢুকতেই হাতের ডানপাশে নালার মত জলাশয় যা রাস্তা আর পার্কটাকে আলাদা করেছে। বোঝাই যায় শীতে এর পানি বরফে পরিণত হয়। বরফ মনে হয় ততটা শক্ত হয়ে জমেনা। বড় করে নোটিশ টানানো-- "স্কেটিং করার জন্য নিরাপদ নয়"। শীতে কেমন হয় তা দেখে যেতে হবে।
বউকে ইউনিভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আব্বা-আম্মা আর মেয়েকে নিয়ে এসেছি। সামনে বউয়ের মিডটার্ম, তার উপর একগাদা খাতা দেখা বাকি। আমাকে গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, রাজি হইনি।
বনের ভেতরে ঢুকতেই পার্ক'স কানাডার ছোট্ট অফিস। দুজন সেখানে কাজ করছে। এদের একটা বিষয় আমার কাছে অবাক লাগে: প্রত্যেকটা ন্যাচারাল সাইটেই ছোট্ট একটা অফিস থাকবে, সাথে লাগোয়া মিউজিয়াম। সেখানে আছে সেই পার্কে যেসব গাছপালা, পাখি, জীব-জানোয়ার পাওয়া যায় তাদের ছবিসহ তালিকা; দুই একটা স্টাফ করা প্রাণি, কাঁচের ঘরে ড়্যাটল স্নেক অথবা কচ্ছপ। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। বাড়তি হিসেবে আছে একটা বড়সর খরগোশ আর একটা এ্যাকুয়ারিয়াম। এ্যাকুয়ারিয়ামে 'কই' নামের মাছ। নামে 'কই' হলেও এটা বাজারের কৈ না, কাঁটাবন মার্কেটের শৌখিন মাছ-- 'কই'।
মেয়েকে ওখানে রেখে আমি বেরিয়ে পড়ি ক্যামেরা হাতে। শনিবার আজ। বাচ্চাদের নিয়ে সবাই এসেছে। সাথে এসেছে ওদের কুকুরগুলো। সাপ্তাহিক এই আগন্তকদের হৈ চৈ আর কোলাহলে পাখিরা যে আশেপাশে নেই তা বুঝলাম। তাই নালার ধারে যাই কচ্ছপের সন্ধানে। সেদিন বেশ কয়েকটা নকশী কাছিমের ছবি তুলেছিলাম। নকশী কাছিম হলো পেইন্টেড টার্টল (Painted turtle)। জানিনা বাংলা নামটা আগে কেউ দিয়েছে কীনা। ওটা নিয়ে পরে আরেকটা লেখা দিব।
পাওয়ার মধ্যে পাওয়া হলো চিপমাঙ্ক। গাছের গুঁড়ির ভেতরে যে ওটার আবাস তা আগে না দেখলে বুঝতেই পারতামনা। আমাকে দেখেই মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে গেল। অনেক্ষণ বসে থাকার পরে আবার দেখা মিলল। সেই সাথে কায়দা করে তুলে নিলাম ওটার ছবি।
এই জিনিস আমি ঢাকার বোটানিক গার্ডনেও দেখেছি। দৌড়ানোর সময় লেজ তুলে পালায়। অসম্ভভ ক্ষিপ্র ওদের চলাচল। এই দেখা দেয় তো এই হাওয়া। পিঠে তিনটা স্ট্রাইপ থাকে বলে এরা থ্রি-স্ট্রাইপড চিপমাঙ্ক।
উপরে পরিস্কার নীল আকাশ। গাছের পাতার ফাঁকে আকাশ যেন চেয়ে থাকে। ম্যাপল গাছের সবুজ পাতারা কদিন পরেই হলুদ কিংবা লাল হয়ে ঝরে পড়বে। তাই সব খানেই একটা পরিবর্তনের ছোঁয়া। এর মাঝেও থেমে নেই জীবনের গতি। তেমনি নাম না জানা এক গাছের নতুন পত্রমঞ্জরী ধরা দেয় আমার ক্যামেরায়। কী গাছ জানিনা। হয়তো ম্যাপলেরই কোন এক প্রজাতি। সে যাই হোক, তাতে আমার কী আসে যায়?
একসময় টল গ্রাস ফরেস্টে এসে পড়ি। লম্বা লম্বা ঘাসের বন। এত ঘন যে হাঁটা-পথ (ট্রেইল) না থাকলে এগুনো অসম্ভব হতো। দুই ধারে মাথা পর্যন্ত উঁচু ঘাস আর মাঝে মাঝে নানা ধরনের এ্যাস্টার ফুলের দল। কোনটা বড়-পাতা এ্যাস্টার, কোনটা লম্বা-সাদা এ্যাস্টার। অধিকাংশেরই নাম জানিনা। ভাগ্যিস এসব দেশে সুন্দর সুন্দর ফিল্ডগাইড থাকে। না হলে কার কাছে শিখতাম হরেক রকমের জংলি ফুলের নাম!
বনের এ প্রান্তে অনেক ফুল। আর ফুল থাকলেই থাকবে ভ্রমর। উড়ে চলছ এক ফুল থেকে আরেক ফুলে-- ক্লান্তিহীন। আমি তুলে যাই ছবির পর ছবি।
দুপুরের একটু পরে ভাবলাম অনেক হয়েছে। আজ থাক। অতপর বাসায় ফেরা। কাল আবার মেয়েকে নিয়ে বেরোতে হবে অন্য কোন পার্কের উদ্দেশ্যে।
মন্তব্য
আপনি সত্যিই প্রকৃতিপ্রেমিক। সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা আপনার। সুন্দর সুন্দর!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খুশী হলাম ভাই।
ছবি গুলো সুন্দর লাগল ।
নিবিড়
ছবিগুলো সুন্দর লেগেছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনি যে আমার ব্লগে ছোঁয়া দিয়েছেন তাতেই খুশী
আপনে মিয়া ক্যামেরাবাজী নিয়া পোস্ট ছাড়েন। অনেক দিন ধইরা শিখার ইচ্ছা। লগে অরূপের কমেন্টগুলিও জমবে ভালো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাই কী যে বলেন। আপনারগুলা তো ঠিকই আছে। আর পাখির ছবি ৩০০ মিমি দিয়েও ততটা ক্লোজআপ করা সহজ না। আপনার জুমের কারণে হয়তো কিছুটা শার্পনেস হারায়, কিন্তু আপনার ছবি ঠিকই আছে।
আপনি ফোকাসিংটা একদম পারফেক্ট করার চেষ্টা করেন। পাখির জন্য মনে হয় AI Servo ফোকাসিং ভাল। AI focusএ অনেক সময় ফোকাস করা হয়, কিন্তু তোলার ঠিক আগেই হয়তো পাখি নড়েচড়ে বসল যেটা একটা সমস্যা হতে পারে। তবে আপনার কোনটাতে ভালো লাগবে সেটা আপনিই ঠিক করে নিবেন।
আরেকটা বিষয় আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন সেটা হলো ফোকাস পয়েন্ট। 40D তে 9 point অটো ফোকাস, কিন্তু পাখির জন্য এটা আমার মনে হয় একদম চলেনা। পাখির ছবির জন্য আমি 1 point অটো ফোকাস সেট করে নেই। (ম্যানুয়ালে Selecting the AF Point সেকশনে এটা আছে)। 1 পয়েন্টে ফোকাসিং ভালোমত করা যায়, বিশেষ করে পাখি যখন গাছপালা বা ডালপালার মধ্যে থাকে।
আপনি হয়তো এগুলা জানেন, তার পরেও শেয়ার করলাম। আপনি কিছু আমার জন্য শেয়ার করেন। শেষমেষ আপনার দেয়া কমেন্ট (যেটি আপনি আমার প্রথম লেখায় করেছিলেন) আপনাকে মনে করিয়ে দেই:
মন খুলে ছবি তুলুন
সময় নিয়ে ছবি তুলুন
ভালোবেসে ছবি তুলুন
ছবি তোলার উদ্দেশ্যেই ছবি তুলুন
আপনি লিখেছিলেন:
40D + EF 28-135mm IS USM
বাপরে বাপ Mark II! তা এটা কি 5D না 1D? 300র একটু কমে তুলে দেখেন।
চমৎকার বর্ণনা, মনে হচ্ছিল যে আপনার সাথে হাঁটছি।
Buke ফটোগ্রাফি তো মনে হচ্ছে ভালই চর্চা করছেন। লোভ লাগে ... কিন্তু অলসতায় ক্যামেরার ব্যাটারি পাল্টানো হচ্ছে না।
উইকএন্ডে যেদিকে খুশি বেড়িয়ে পড়াটা খুব মিস করি এখানে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আপাতত অলসতা মনে করে দূঃখ কমানোর চেষ্টায় রত।
ঢাকায় ছবি তোলার মত সুস্থির হওয়ার সময় কোথায় ... .... আর ছিনতাই-এর সম্ভাবনার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
সময় কাটে ট্রাফিক জ্যামে ..... তখন আর ছবি তোলার ইচ্ছা থাকে না .... (মানিব্যাগ/মোবাইল ছিনতাই হওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে যায় ) । বাকী সময় দৌড়ের উপর ..... । এখানে সুস্থির হতে আরো বছরখানেক লাগতে পারে মনে হয়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ইশ্, ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যায়।
ছবি গুলো যার পর নাই সুন্দর হয়েছে
এতো শার্প হয়েছে কিভাবে! কি ক্যামেরা দিয়ে তুলেছেন ছবি গুলো?
.................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
ছবিগুলো খুব সুন্দর, বিশেষ করে শেষের ছবিটা। হ, আর দুইটা ছবি বেশি দিলে ক্ষতি কি ছিল? ক্যামেরা বিষয়ে আমি খুবই কানা-খোঁড়া। শুধু জানতে চাই ডিজিটাল ক্যামেরায় কি এইরকম ছবি তোলা সম্ভব? এইরকম ফোকাস করে, পিছে ব্লার করুম কেমনে?
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
ডিজিটালেই তো সহজ তানভীর ভাই। এরকম ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করতে চাইলে সাবজেক্টের খুব কাছে থেকে ছবি তুলতে হবে। ক্যামেরায় যদি এ্যাপারচার আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আপারচার বাড়িয়ে দিতে হবে (মানে এপারচার নাম্বার কমিয়ে ৫.৬ বা ৪ বা আরো কমাতে হবে)। সাথে জুম করে নিলে আরেকটু কাজ হবে। ম্যানুয়াল ফোকাস অপশন থাকলে সবচেয়ে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে শুধু এক্সপোজার (কতটা আলো ঢুকতে দেবেন আর কতটা স্পীডে ছবি তুলবেন) নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হয়ত কিছু ট্রায়াল-এন্ড-এরর পদ্ধতিতে এগুতে হবে।
শেষের ছবিটা ভালো লাগছে শুনে খুশী হলাম। কিন্তু এই ছবিতে টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। সামান্য ওভার এক্সপোজড হয়েছে। মানে হলো যতটা আলো ঢোকা উচিৎ ছিল তার থেকে একটু বেশী ঢুকেছে।
ধন্যবাদ। চেষ্টা করে দেখবো এরপর।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
আপনি আসলেই প্রকৃতিপ্রেমিক! লেখা-ছবি - দুটোই চমত্কার।
পুনশ্চ. প্রকৃতিতে গিয়ে সুজঞ্চৌধুরী অঙ্কিত আপনার প্রতিকৃতির যথার্থতা প্রমাণ করেননি তো?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনি আবার ঐটা মনে করিয়ে দিলেন. মাঝে মাঝে যে করতে ইচ্ছে করেনা তা নয়, তবে যায়গা মত করার সুব্যবস্থা আছে, তাই .. কী আর করা।
নির্বচন সুন্দর! কাজেই কাজগুলোও হয়েছে তেমন। চলুক না আরো কিছু ছবি তোলার কলাকৌশল নিয়ে আলাপ!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- রঙিলা কাউট্টা - পেইন্টেড টার্টলের জন্য আমার দেওয়া নাম।
ফটুক/লেখা নিয়ে কী আর বলবো! মুরুব্বীরা সবইতো বলে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রঙিলা কাউট্টা-- ভালো বলেছেন। মনে থাকবে।
নয়নাভিরাম' শব্দটা মনে হয় এই পোস্টের কমেন্টের জন্য পারফেক্ট ।
জোস ছবি। আপনেরা কি আমাকে ক্যামেরা কিনতে কন?
কিনার শখ থাকলে এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন
এই লেখাটা পড়ে মজা পেলাম: http://photo.net/equipment/building-a-digital-slr-system/
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লেখাটা মনে হয় বেশ পুরানা। আমার ক্যামেরার কথা নাই তবে সবকিছু বেশ বিস্তারিত লিখেছে। বেশ ভালো।
স্তম্ভিত হয়ে গেলাম আপনার ছবি দেখে।
এমন শার্প ছবি কি করে তুলছেন,বস। আপনারটা DSLR মনে হয়, নাকি?
দুর্দান্ত হয়েছে। শুধু ছবি দিয়ে একটা আলাদা পোষ্ট দেন----
অনিকেত ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে। এর পর থেকে শুধু ছবির ব্লগই দিতে হবে, লেখার বিষয় তো তেমন নাই
ছবিগুলো অনন্যসাধারণ। পোস্টটা আসলেই নয়নাভিরাম। প্রকৃতি আর প্রাকৃতিক বর্ণনা। খুব ভাল লাগলো।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ছবি তো তিনটাই অসাধারণ !
তবে তিন নম্বরটার মতো দুর্দান্ত ছবি খুব কমই দেখেছি আমি।
সত্যি, প্রকৃতিপ্রেমিক আপনার নিক হবে না তো আর কার হবে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অতি আহলাদিত। থ্যাংকয়্যু।
প্রেমিক ভাই, দুর্দান্ত ছবিগুলো কীভাবে তুললেন বললেই যে ব্যাখ্যা হাজির করবেন তার মাথামুণ্ডু কিছুই ঢুকবে না আমার মাথায়।
তারচে' পোস্টে ছবি আপলোড করবো কীভাবে পদ্ধতিটা একটু বলবেন কি ? ফাইল আপলোড করে প্রিভিউতে দেখালেও পোস্টে আসে না। কারণটা কী বলবেন ?
আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, কারণ আপনি ছবি পোস্ট দিয়েছেন বলে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনাকে মেইল দিয়েছি। এগুলা ফ্লিকার থেকে লিংক দেয়া।
অনটেস্ট সফল।
আপনার কার্যকর পরামর্শের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ছবিগুলো অসাধারণ!
শখ করে ক্যামেরা (সনি ডব্লিউ-১৫০) কিনলাম, কিন্তু এখনো ছবি তোলার কায়দা-কানুন সব জানি না!
এমনকি আপনাদের ছবি সংক্রান্ত বেশিরভাগ আলোচনাও বুঝি না। এমন কোন ওয়েবসাইট কি জানা আছে আপনার যেখানে খুব সহজে ফোটোগ্রাফীর বেসিক নিয়মগুলো শেখা যাবে?
_______________
বোকা মানুষ
ছবি তোলার কোনো নিয়ম নাই। আপনি যা খুশি তুলতে থাকেন। তারপরে তোলা ছবিগুলো নিয়ে নিজেই বিচার করেন কী করলে কী হইতে পারতো। তার পর টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
আমি আসলে ওই টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলার কথাই বলতেসিলাম। ছবি এমনিতে তুলি অনেক। কিন্তু এখনো বুঝি না কোন পরিবেশে কোন রকম ক্যামেরার সেটিং থাকা ভাল। তারপর আলোর কারসাজি, আর অ্যাপারচার না কি সব টেকনিক্যাল ব্যাপার-স্যাপার বললেন, ওইগুলা সম্পর্কেই জানতে চাইতেসিলাম। সহজ কথায়, কোন পরিবেশে, ক্যামেরার সেটিংয়ের কোন অপশন কিভাবে বদলাইতে হয়, সেই সম্পর্কে জ্ঞান দরকার। আমি তো সব অটোমেটিক মোডেই তুলি
_______________
বোকা মানুষ
ছবিগুলা দারুণ !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অসাধারণেরও চেয়ে একটু বেশি।
আপনার তিন নম্বরটা কিছুদিন টানা দেখতে চাই, এজন্যে ডেস্টটপ বেকগ্রাউন্ডে নিয়ে নিলাম। রাগ করলেন না তো! stretch-এ একটু ভচকাইয়া গেল যদিও, তাও দেখতে ম্যালা ভাল্লাগতেছে। মনিটরটাই যেন রঙিন রঙিন হইয়া গেল।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
শুনে খুবই আনন্দিত হলাম। কোন সমস্যা নাই। চাইলে আরো বড় করে আপনাকে মেইল করতে পারি, ফলে ভচকাবে না, মচকাবেনা
ভাই এত এত কমেন্ট পড়ে বেশ খুশী লাগছে আবার ভয়ও হচ্ছে। এত কমেন্ট সইবে তো!
নতুন মন্তব্য করুন