যেমন ইচ্ছে লেখা, নাকি যাচ্ছেতাই লেখা?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: সোম, ২৭/১০/২০০৮ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

অনেকদিন ধরেই বিষয়টা নিয়ে ভাবছি। "ব্লগ", "কমিউনিটি ব্লগ" আর "রাইটার্স ফোরাম"-- কোনটা কী জিনিস, কোনটা কার দরকার। আমার কাছে নিজের কথা নিজের মত করে লিখে রাখাই ব্লগ। অনেকটা ডায়রির পাতায় লেখার মতো, যেমন ইচ্ছে তেমন লেখা-- অর্থাৎ কারো ধার না ধেরে লেখা, মনের আকাশে কল্পনার ঘুড়ি উড়িয়ে স্বাধীনভাবে লেখা। তাহলে কমিউনিটি ব্লগের ব্যাপারটা কেমন হবে? আমি যেভাবে দেখি সেটা হলো নিজের লেখাগুলোতে যখন অন্যের সাথে শেয়ার করার ন্যুনতম উপাদান থাকে তখনই সেটা কমিউনিটি ব্লগের উপযোগি হয়। একইভাবে রাইটার্স ফোরামের লেখাগুলোকে বলা যায় পাঠ-উপযোগি-লেখা যা সবার সাথে শেয়ার করা যায়।

২.

একা একা ব্লগ লেখা থেকেই শুরু হয় ব্লগার্স কমিউনিটি। আপনি একটা ব্লগ লিখলেন সেটা অন্য কেউ পড়ল। তার ভালো লাগল বা না লাগল সেটা সে জানিয়ে গেল। সে হয়তো একদিন একটা ব্লগ লিখল। তারপর একে একে অনেকেই তাদের নিজেদের ব্লগগুলো একটা প্লাটফর্মে প্রকাশ করল। এভাবেই কি কমিউনিটি ব্লগের জন্ম? আগে ব্লগার পরে কমিউনিটি, নাকি আগে কমিউনিটি পরে ব্লগার?

৩.

বাংলা ব্লগের এখন ব্যাপক প্রবৃদ্ধি চলছে। সেদিন কোন এক ব্লগে দেখলাম একজন বলেছেন একটা সময় আসবে যখন সবারই একটা করে ব্লগ সাইট থাকবে। উনি হয়তো সেই সময় বলতে সেটাই বুঝিয়েছেন যখন সবারই একটা করে কমিউনিটি ব্লগ থাকবে যাকে ঘিরে চলবে ব্লগার্চনা।

৪.

ব্লগ বাড়ার সাথে সাথে লেখার পরিমাণ বেড়েছে। এটাকে আমি মোহিতলাল মজুমদারের "পুঁথির প্রতাপের" মতই দেখি। কী-বোর্ড টিপে কয়েকটা লাইন লিখলেই ইদানিং ব্লগ হয়ে যায়, কিন্তু সে ব্লগে কার কী আসে যায়? আরেকটা বিষয় বেড়েছে তা হলো কপি-পেস্ট-ব্লগ। একই লেখক একাধিক জায়গায় একই লেখা প্রকাশ করছেন কত সহজেই। কন্ট্রোল সি দিয়ে শুরু আর কন্টোল ভি দিয়ে শেষ। এত সহজ! সাথে সাথে আরেকটা জিনিস বেড়েছে-- সেটা হলো বর্জ্য।

৫.

ব্লগ একটি গতিময় লেখার-মাধ্যম। এর যেমন ভালো ভালো দিক রয়েছে তেমনি রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতা। অধিকাংশ সময়ই ব্লগের ভালো লেখাগুলো হারিয়ে যায় বর্জ্যের কারণে। প্রাসঙ্গিকভাবেই কথা উঠবে তাহলে কি ব্লগারের কলমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে? হ্যাঁ-- যতক্ষণ বর্জ্য উৎপাদন বন্ধ না হয় ততক্ষণ। তাতেও কাজ না হলে বর্জ্যগুলোকে বাদ দেয়া যেতে পারে।

৬.

ব্লগার্স কমিউনিটি বলি আর রাইটার্স কমিউনিটিই বলি, মূল বিষয় হতে হবে লেখার মান। যেখানে নামের সুগন্ধি নয়, লেখার সুবাশ দিয়েই হবে পরিচয়, ছড়াবে খ্যাতি। কোয়ালিটি লাস্টস ফরেভার। যেমন ইচ্ছে তেমনটাই লিখতে চাই, যাচ্ছেতাই নয়।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম......... একমত ।
নিবিড়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্লগ হিসেবে চিন্তা করলে বর্জ্য বলে হয়তো কিছু থাকে না। সবকিছুর মধ্যেই একজন মানুষের 'কথা' প্রকাশিত হয়। সময়ের সাথে ভালো লেখার সংজ্ঞারও পরিবর্তন হবে, এটাই স্বাভাবিক। কোয়ালিটি জিনিসটার ইউনিভার্সাল সংজ্ঞা দেয়া খুব কঠিন, তবে কোনো পণ্যের টার্গেট গ্রুপ যাতে বেশি খুশি হয়, সেটাই টিকে থাকে, ব্লগের লেখাও এর ব্যতিক্রম না। পাঠকের পছন্দ দিয়েই লেখার মান নির্ধারিত হয়। ব্লগ এদিক দিয়ে সাহসী লেখকদের জন্য এক বিরাট সুযোগ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বিবিসিতে একবার দেখছিলাম, এক সামাজিক নৃতাত্ত্বিক মোবাইল ফোনে লোকজনকে মিসড কল দেয়া, বা অদরকারে ফোন করা, কিংবা এসএমএস পাঠানো, এই ব্যাপারগুলিকে ব্যাখ্যা করেছিলেন এভাবে, আমরা যেহেতু সমাজবদ্ধ জীব হিসেবেই বিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়েছি, তাই গোষ্ঠীর অন্যদের সাথে গ্রুমিংটা জরুরি। কমিউনিটি ব্লগে লেখার ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটা খাটে, আমার মনে হয়। কেবল সচলায়তন নয়, গোটা বাংলা ব্লগমন্ডলেই এ ব্যাপারটা চলে। সচলে হয়তো আমরা কিছুটা কুণ্ঠিত থাকি লেখার মান নিয়ে, এ জন্যে সময় নিয়ে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করি, যাতে একেবারেই নিছক ফালতু জিনিস হয়ে না যায়, যাতে পাঠকের মনে পাঠের স্বাদটা স্থায়িত্ব পায় কিছুকাল। এই স্বারোপিত বাধা যেখানে নেই, সেখানে দেখবেন গানের কলি, খবরের কাগজে প্রকাশিত খবর, সিনেমার লিঙ্ক দিয়ে মানুষ পোস্ট দিচ্ছে, তাতে সাড়াও পড়ছে। এটাও সেই গ্রুমিং, চুলকাচুলকি। ব্লগারদের কাছে অস্তিত্বের জানান দেয়ার মতো একটা ব্যাপার হয়ে গেছে এখন।

এই স্বাধীনতাটুকু অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু পাঠক হিসেবে বিরক্তি ও ক্লান্তি আসে, এমনসব শূন্যগর্ভ লেখা দেখলে হতাশ লাগে। শুধু বিষয়টুকুই জরুরি নয়, উপস্থাপনের শৈলীর গুণেও অনেক লেখা মনরোচক হয়ে ওঠে।

বাংলা ব্লগিঙের সমৃদ্ধি কামনা করি। ভালো সব লেখা পড়তে চাই। পিপিদার পোস্টে জাঝা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সুজঞ্চৌধুরীর আঁকা প্রকৃতিপ্রেমিকের প্রতিকৃতির নিচে আপনার দেয়া "পিপিদা" নামটি বসিয়ে দিলেই খাপে খাপ হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হায় হায় আমি এতো দেরীতে বুঝলাম! হিমুর স্টকে রাশি রাশি শব্দমালা-- ভেবেছিলাম সমঝদার, মজাদার এরকম একটা কিছু। খাইছে খাইছে খাইছে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমার মনে হয়, হিমু ProkritiPremik থেকে পিপিদা বলেছেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হিমু যদি কখনো আপনাকে বলে যে "চলেন তাবলীগে যাই"- এর মাঝেও ভয়ানক কিছু খাছ্ড়া ভাবার্থ পাবেন।
- সহীহ আল ধুগো
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

খেকশিয়াল এর ছবি

তাবলীগে গেলে শালী পাওয়া যাইব ?

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

আছা ধুগোদা মনে করেন আপ্নের বিয়া হইল কারো শালীর লগে, আর আপ্নের বউ আর ওই বাক্তির বউ শুধুই দুই বোন আর কোন কাজিনও নাই । এখন আপ্নের শালী স্থানীয়া বলতে শুধুই ওই লোকের স্ত্রী । কিন্তু আপ্নে তো শালী-পাগল, বউ দিয়া কি হইব ! এখন যে লোক শালী দিয়া আপ্নেরে সাহায্য করল তার বিবাহিত জীবন কি আপনার জন্যই হুমকির মুখে না ?

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নাহ!
কারণ আমি অপরের শ্যালিকারে নিজের বউ বানাতে চাই, অপরের বউকে না! আপনি নিশ্চিন্তে আমাকে আপনার শ্যালিকার নাম্বার (যোগাযোগের) জানাতে পারেন। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

খেকশিয়াল এর ছবি

বউ পাইলেই তাইলে আপ্নের এই 'শালী শালী মোহাম্মদ আলী' রোগ যাইব ? ভালা ভালা .. কিন্তু আমার কাছে কি শালী চান ? মস্করা করেন মিয়া ? আমিও তো একটা বিছড়াইতাছি !

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

হিমু এর ছবি

ঐ হামদার্পো বদনাম করস ক্যান?


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি
হিমু এর ছবি

ঠুয়া চিরন্তনী চিনো?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অভ্রনীল এর ছবি

আমি "যা ইচ্ছে তাই" লিখে যাওয়াটা কে ব্লগ বুঝি, যখন ব্যাপারটা একক হয়ে যায় (মানে ব্যক্তিগত ব্লগ বলতে যা বুঝি সচরাচর)। এরপরের ব্যাপার পাঠকের; তার কাছে ভালো লেগেছে কিনা সেটা সেই ভালো বলতে পারবে। ভালো লাগলে সে আসবে, ভালো না লাগলে মুখ তুলে তাকাবেও না। তবে "যা ইচ্ছে তাই" আর "যাচ্ছেতাই" এর মধ্যে একটা অর্থগত পার্থক্য আছে। প্রথমটার মধ্যে একটা স্বাধীন স্বাধীন ভাব কাজ করে যেখানে পরেরটা স্রেফ ফালতু জিনিস বোঝায়।

যখন ব্লগের ব্যাপারটা "কমিউনিটি" কেন্দ্রীক হয়ে যায় তখন কিছু দায়িত্ববোধও চলে আসে এবং এটা লেখক-পাঠক উভয়ের জন্যই। "যা ইচ্ছে তাই" লিখলেও সেটা অনেকটা কমিউনটি নির্ভর হয়ে যায় অর্থাৎ কমিউনিটি যে ধরনের কৃষ্টিতে অভ্যস্ত, লেখা অনেকটা সে রকম হয়ে যায়। যেমন ধরা যাক ট্রাভেল সম্পর্কিত কোন কমিঊনিটি ব্লগ; সেখানে কেউ যদি কোন রম্য গল্প লিখে দেখা যাবে সেটাও ঝান্ডুদা টাইপের কোন ভ্রমন বিষয়ক লেখা হয়ে গেছে। এইখানে তাই আগেরটার মত পুরোপুরি "যা ইচ্ছে তাই" লেখা হয়ে উঠেনা।

সবাই লিখতে পারেনা, যারা লিখতে পারে তারা সবাই আবার বই ছাপাতে পারেনা। যারা ছাপাতে পারে তারা সবাই আবার পাঠকনন্দিত হতে পারেনা। যারা পাঠক নন্দিত হয় তাদের সবার লেখার মান আবার ভালোনা। তাহলে যারা লিখতে পারে অথচ বই ছাপাতে পারেনা তাদের লেখা কি অধরা থেকে যাবে? সে লেখগুলোকে সহজভাবে প্রকাশ করার একটা মাধ্যম হল ব্লগ। সে সব লেখাকে যে সাহিত্যনির্ভর হতে হবে এমন কথা নেই, সেটা হতে পারে প্রতিদিনকার প্যাচাল অথবা কমিউনিটির বন্ধুদের স্মরণ করে কেবল মাত্র হাই বলা। আর ব্লগার্স কমিউনিটি বলি আর রাইটার্স কমিউনিটিই বলি, দুটোই আমার কাছে সমান মনে হয়। এককালে ফোরামের ধুম ছিলো এখন সেই জায়গায় এসেছে ব্লগ- পার্থক্য তো এইটুকুই। অথবা অন্য কথায় বলা যায় জাল-সতীর্থদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার অন্যতম মাধ্যম হল ব্লগ।

_________________________________
| সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ উড়াধুড়া ব্লগ পড়া বিপজ্জনক। | বাংলা ব্লগস্ফিয়ার

হিমু এর ছবি

লেখা মুদ্রণ করে প্রকাশ কখনো কখনো জরুরি, কিন্তু ব্লগের মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাঠকের প্রতিক্রিয়ায়। আপনি একটা বই লিখলেন, বইটার কাটতি হলো, কিন্তু পাঠক কী ভাবছে আপনার বইটা পড়ে, আপনি যদি না জেনেও স্বস্তি ও সন্তোষের মধ্যে থাকেন, তাহলে বলার কিছু নেই। কিন্তু অনেকেই চান তাঁদের লেখা পড়ে পাঠকরা জানান তাঁদের প্রতিক্রিয়াটুকু। পাঠকের আয়নার দাঁড়ে লেখা মেলে দিয়ে তো লেখকের বসার ইচ্ছে হতে পারে।

এর বিপরীতচিত্রও আছে। পাঠকউদাসীন লেখকও কম নন। তাঁরা লেখার আনন্দেই লিখে বিবাগী হয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরও প্রতিক্রিয়ার মূল্যটুকু বোধ করি কম নয় তাঁদের কাছেও।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলে web2.0 ভিত্তিক সিস্টেমগুলোর মধ্যে টুইটার বলে একটা বিষয় আছে। টুইটারে মানুষ মনের মধ্যে আসা ছোট ছোট কথা, ছোট ছোট চিন্তা, এক লাইনের দুই লাইনের ছড়া, কবিতা লিখে থাকে। বাংলা ব্লগে এখন আসল এই টুইটারেই পরিনত হয়ে যাচ্ছে। সত্যিকার ব্লগিং থেকে দুরে সরে যাচ্ছে সবাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দিগন্ত এর ছবি

একমত, মজার ব্যাপার হল বাংলা ব্লগে টুইটারের মত কোনো ব্লগ নেই। সেই ঘাটতি লেখকেরা পুষিয়ে নিচ্ছেন যেখানে খুশী মাইক্রোব্লগিং করে। সচলে একটা আলাদা মাইক্রোব্লগিং করলে কেমন হয়? মাইক্রোব্লগিং এর বৈশিষ্ট্য হল ব্লগ লেখা হবে কয়েক লাইনে কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা হবে অনেক।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেরকম একটা জিনিস কিন্তু আছে... গপসপ, যদিও আমার খুব একটা ভালো লাগেনি।
...............................
খাল কেটে বসে আছি কুমিরের অপেক্ষায়...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কয়েকদিন আগে তো অণুগল্পের ঝড় বয়ে গেলো সচলায়তনে! হাসি

আসল অণুগল্প তো তাই, মূল লেখা ছোট কিন্তু আলোচনা বড়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ঝরাপাতা এর ছবি

হুম, ভালো প্রস্তাব।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সময় নিয়ে যত্ন করে লেখার চেয়ে যেমন ইচ্ছে লেখাগুলোই বরং ব্লগ পরিমন্ডলে বেশী ভাল্লাগে । একটা এমেচার কিন্তু তরতাজা ঘ্রান ছড়ায় ।

আর যাচ্ছেতাই লেখা?
মনে হয় অনেকটাই নির্ভর করে যে ব্লগসাইটে লেখা হচ্ছে তার পরিবেশের উপর ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার মতে ব্লগ জিনিষটা হলো 'ধর তক্তা মার পেরেক'-এর মতো। 'ব্লগ লিখুন' পাতা খুলুন, কীবোর্ড রেডি করুন, তারপর ঘটাঘট টাইপ করে যান। ব্লগ হলো ইচ্ছেঘোড়া, দেন ছুঁটিয়ে। যাক ব্যাটা যেদিকে খুশী!

কিন্তু কমিউনিটি ব্লগ বা রাইটার্স ফোরাম ছায়ায় এই সুযোগটা অনেকটাই সীমাবদ্ধ। এখানে লেখাটা নিজে লেখলেও সেটা কেবল নিজেরই জন্য হয় না। মতামতের আদান-প্রদানের মতো কেমন যেনো একটা সূক্ষ্ন ব্যাপার থাকে এখানে। আর সেজন্যই বোধকরি অধিকাংশ জনগণ একটু 'সমঝে' লেখেন এসব জায়গায়।

আমি নিজে অবশ্য ব্লগ আর কমিউনিটি ব্লগ বা রাইটার্স ফোরামকে এক জায়গায় বসিয়েই আমার ইচ্ছেঘোড়া ছুঁটাই। যে কারণে আমার সবগুলো লেখাই হয় হঠাৎ, এক বসায়, এক টানে। এমন কি রিভিশন দেওয়ার ও ধৈর্য্য হয় না। আর একই কারণে হয়তো আমি আজীবন ধুসর গোধূলিই থেকে যাবো, প্রকৃত কমিউনিটি ব্লগার বা রাইটার হবার যোগ্যতা আমাকে মানাবে না! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শামীম এর ছবি

প্রথমআলো ব্লগ দেখে আপনার এই কথাগুলো আমার মনেও ঘুরঘুর করছিল।

ব্যক্তিগত ভাবে আড্ডাবাজি টাইপের লেখা পড়তে বেশিরভাগ সময়ে ভাল লাগে না। সযত্নে প্রস্তুত করা এবং চিন্তার খোরাক যোগায় এমন লেখাগুলো পড়তেই ভালো লাগে। তাই নিজে লেখার সময়ও চেষ্টা চলে আসে যে, যেটা নিজে পছন্দ করি না সেটা যেন অন্যকে না দেই।

আর ঘুরে ফিরে সচলায়তন পড়ার এটাই একটা মূল কারণ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার জন্য বোধহয় একটা বিজ্ঞাপনের ভাষা প্রযোজ্য...
'আমি তো এমনি এমনি ব্লগাই'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমিও তো এমনি এমনি মন্ত্যব্বাই !!

(একেবারেই অন্যপ্রসঙ্গঃ নজরুল ছেলেটা বেএএএশ ভালো দেঁতো হাসি )

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যেমন ইচ্ছে তেমন লেখাতেই আমার সহমত। তবে তা অবশ্যই পাঠযোগ্য হতে হবে। ভেবে, অনেক সময় নিয়ে ব্লগ লিখলে সেটা আর ব্লগরব্লগর থাকবে বলে মনে হয় না, তা হয়ে যাবে কোনো ম্যাগাজিনের জন্য মুদ্রণযোগ্য লেখা। আর সে সময় প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে তিনি ম্যাগাজিনকে বেছে নিতে পারেন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একমত @ অছ্যুৎ বলাই

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা বিষয় কি লক্ষ্য করেছেন? কিছুদিন যাবত "বাংলা ব্লগ" বা "বাংলা কমিউনিটি ব্লগ" বা "বাংলা রাইটার্স ফোরাম" এগুলোতে পাঠকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেশ কমে গেছে। এই আমাদের সচলের কথা ধরুন। আগে যে কোন লেখাতে (আমার লেখার কথা বলছি না) দু'দিন না যেতেই "১০০ বার পঠিত" দেখা যেত। আর আজকাল সাত দিন গেলেও "৫০ বার পঠিত"-এর দেখা পাওয়া যায় না। নতুন রূপের সচলে হয়তো একই আইপি দিয়ে এক লেখাতে বার বার প্রবেশ করলেও তা একবারই দেখায়। কিন্তু তারপরও এত স্বল্পবার পঠিত কেন এটা বুঝতে পারছি না। অবস্থা বোঝার জন্য আরো তিনটা বাংলা ব্লগে গিয়ে দেখি ওখানে অবস্থা আরো খারাপ সেখানে "১৫ বার পঠিত"ও খুব কম দেখা যায়। বাংলা ব্লগার বা ব্লগ পাঠকদের কি তাহলে কোন ধরনের অনীহা এসে গেল? অথবা পাঠকরা কি ব্লগের মান নিয়ে হতাশ? অথবা অন্য কোন কিছু কি ব্লগের জায়গা একটু একটু করে দখল করে নিচ্ছে?



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আকতার আহমেদ এর ছবি

@ষষ্ঠ পাণ্ডব
সচল মেইলে যেটা জেনেছিলাম তা হলো অতিথি পাঠকের হিটগুলো গণনা করা হচ্ছেনা আপাতত।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার মনে বড়ই দুঃখ -

একটা মনের মতো ব্লগ আজ পর্যন্ত লিখতে পাড়লাম না। মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

সময়োপযোগী একটা লেখা। ব্লগ মানে যা ইচ্ছে তাই লেখা এই ধারণার সাথে আমি একমত কিন্তু নিজের প্রতি নিজের একটা শ্রদ্ধাবোধ ব্লগারের থাকা দরকার। নইলে অন্তঃসারশূন্য লেখার সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

বিপ্রতীপ এর ছবি

মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি ব্লগের পুর্বশর্ত। তবে সে স্বাধীনতার অপব্যবহারই হচ্ছে বেশির ভাগ কমিউনিটি ব্লগ সাইটে...। ঠিক এজন্যই সচলায়তন ছাড়া অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে লিখি না ...

একই লেখক একাধিক জায়গায় একই লেখা প্রকাশ করছেন কত সহজেই। কন্ট্রোল সি দিয়ে শুরু আর কন্টোল ভি দিয়ে শেষ। এত সহজ! সাথে সাথে আরেকটা জিনিস বেড়েছে-- সেটা হলো বর্জ্য।

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই,
আপনার সাথে এই জায়গাটাতে দ্বিমত পোষন না করে পারছি না। একজন লেখক যখন একটা লেখা লিখেন তখন তিনি নিশ্চয়ই চান তার লেখাটি বেশ সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌছাক। এতে কিন্তু একজন ব্লগার বা লেখকের আর্থিক বা অন্যকোনভাবে লাভবান হবার উপায় নেই।
ব্লগ কি সেই আলোচনায় যাবো না...আগেই বলেছি ব্লগের পুর্বশর্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা। তবে 'আমি আইজকা পোলাও খাইছি' এই টাইপের লেখা কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশের পক্ষপাতী নই কোনভাবেই। এগুলোকে একটি কমিউনিটি ব্লগের বর্জ্য বলতে কোন আপত্তি নেই আমার। তবে একই লেখা একাধিক জায়গায় প্রকাশকে এক বাক্যে 'বর্জ্য' হিসেবে আখ্যায়িত করার কোন যুক্তিযুক্ত কারন নেই। ব্লগ সময়ের কন্ঠস্বর। একটি ব্লগ অনেক সময় সামাজিক দায়বন্ধতা থেকেও লেখা হয়। সুতরাং সেই লেখাটি যদি অন্য সাইটে প্রকাশ করেন একজন লেখক তাহলে সেটা 'বর্জ্য' হয়ে যায় না। যেমনঃ সচলায়তনের দায়িত্ব শুধু নিজেদের মাঝে লেখালিখি না। সচলায়তনেরও একটি সামাজিক দায়বদ্ধতাও নিশ্চয়ই আছে। আরোও পাঠকের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য সচলায়তন কর্তৃপক্ষও কিন্তু বই বের করছেন ইন্টারনেটে প্রকাশিত লেখাগুলোকে. বাছাই করেই..। তাহলে কি সেই লেখাগুলো বর্জ্য হয়ে যাবে? সেটারও মূখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু আরোও বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌছে দেয়াই। তাই নয় কি?

সচলায়নে নীতিমালা একই লেখা একই সঙ্গে ৭২ ঘন্টার মাঝে অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশকে সমর্থন করে না। প্রতিটি ব্লগ কিংবা রাইটার্স কমিউনিটি যাই বলুন একটি আলাদা স্ট্র্যাটেজি থাকে...নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকে...। অনেক সাইটে সেই নীতিমালার কোন প্রয়োগ নেই। সচলায়তনে প্রয়োগ আছে বলেই এতোটা পরিচ্ছন্ন আছে। নীতিমালা অপব্যবহার ঠেকায়। সেই নীতিমালায় লেখাটি প্রথম পাতায় থাকবে কিনা সেটা নির্ধারন করে, লেখার মান নয়। আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি এই লেখায় লেখার মান এবং নীতিমালাকে একই পাল্লায় মেপেছেন .. ।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিকের লগে আমিও পুরা একমত না।

"যাচ্ছেতাই" লেখা যায় না সব ব্লগে। সচলায়তন ব্যতিক্রম। এখানে অনেক ভালো লেখাও পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। কিংবা সময়াভাবে পাঠক এড়িয়ে যায়। তবুও এখানে যা খুশি (মনোমুগ্ধকর) লেখার সার্বিক প্রচেষ্টা লক্ষ্যণীয়। বর্জ্য যে একেবারেই আসে না তাও নয়। দেখা গেছে পাঠকের ভালোবাসায় তা অনেকসময় চাপা পড়ে যায়।

তবে কথা সত্য- ব্লগার্স কমিউনিটি বলি আর রাইটার্স কমিউনিটিই বলি, মূল বিষয় হতে হবে লেখার মান। যেখানে নামের সুগন্ধি নয়, লেখার (সুবাস) দিয়েই হবে পরিচয়, ছড়াবে খ্যাতি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রেজওয়ান এর ছবি

ব্লগের আওতা বেশ ব্যাপক। এবং ব্লগিং প্লাটফর্মগুলোও এখন সহজলভ্য। কাজেই আমরা লেখার এক জোয়াড় দেখতে পাচ্ছি। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এতে তো অনাকাঙ্খিত লেখা থাকবেই। থাকবে নানা চাওয়া পাওয়া, নানা স্বাদ, আকাঙ্খা।

এখানে যাচ্ছেতাই ও বর্জ বলে যা ভাবা হচ্ছে তা হয়ত ব্যক্তিগত ভাবনা। যিনি ঐসব হাল্কা(?) বিষয় লিখছেন তার কাছে হয়ত ব্যাপারটি অন্যরকম মনে হয়। তবে কমিউনিটিই ঠিক করবে যে কমিউনিটিতে লেখাগুলো কেমন হবে।

যেখানে সচলায়তনে "অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি" উল্লেখ করে দেয়া আছে সেখানে সবারই প্রত্যাশা থাকে সাহিত্যমানের ভাল কিছু লেখা পড়ার। কিন্তু তাই বলে কি আমরা লেখকের ব্যক্তিগত জগৎ, খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানবোনা? সেটাইতো ব্লগ আর চিরাচরিৎ সাহিত্য/সংবাদ মাধ্যমগুলোর পার্থক্য। কাজেই এই বিতর্কগুলো চলতেই থাকবে।

তবে আমি মনে করি লেখকরাই তাদের যোগ্যতা দিয়ে তার পাঠক তৈরি করে নেবে। সচলায়তনে আমার কিছু পছন্দের লেখক আছে যারা যে প্লাটফর্মেই লিখুন না কেন আমি তাদের লেখা পড়ব। কাজেই মনে হয় সময় এসেছে ঐসব লেখকের নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করার (অনেকেরই ব্লগস্পটে একাউন্ট আছে)। আমি নিজে প্রচুর ব্লগ পড়ি আরএসএস ফিডের মাধ্যমে। সচলায়তনে ব্যক্তিগত ব্লগারদের জন্যে আরএসএস ফিড সুবিধা পেলে এ সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।

"অধিকাংশ সময়ই ব্লগের ভালো লেখাগুলো হারিয়ে যায় বর্জ্যের কারণে।"

কমিউনিটি ব্লগিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আমি সম্পূর্ণরুপে একমত। আমাদের কাছে তো অফুরন্ত সময় নেই ভাল লেখা খুঁজে বেড়ানোর। আমাদের অচিরেই ভাবতে হবে দেশীপন্ডিতের মত সম্মিলিত (স্বেচ্ছাসেবী) উদ্যোগকে যা আসলে বিভিন্ন ব্লগ থেকে ভাল লেখাগুলোকে তুলে ধরে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

রানা মেহের এর ছবি

ভালো লেখা।
বিপ্রতীপের সাথে সহমত। আর সহমত রাফির সাথে।
দেশীপন্ডিত আইডিয়াটা কিন্তু চমতকার।
সচলায়তন একটু ভেবে দেখবে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ফালতু লেখা দেখলে মাঝেসাঝে খুব মেজাজ খারাপ হয়। কিন্তু করার কিছুই নাই। মানুষে অনেক সময় চুলকা-চুলকি মার্কা পোস্টই পড়তে বেশি পছন্দ করে। সচলের মাহাত্ম্য এখানেই, অন্তঃসারশুন্য লেখাগুলো যেখানে প্রকাশিত হয়না; তাইতো এখানে ব্লগ পড়ে অনেক মজা পাই। ভাল লেখা পড়তে চাই সবসময়।
পিপিদা, পোস্ট ভাল হয়েছে।

--------------------------------------------------------

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ব্লগার্স কমিউনিটি বলি আর রাইটার্স কমিউনিটিই বলি, মূল বিষয় হতে হবে লেখার মান। যেখানে নামের সুগন্ধি নয়, লেখার সুবাশ দিয়েই হবে পরিচয়, ছড়াবে খ্যাতি। কোয়ালিটি লাস্টস ফরেভার। যেমন ইচ্ছে তেমনটাই লিখতে চাই, যাচ্ছেতাই নয়।

একমত। খুবই সহজ করে একদম মনের কথা বলেছেন।

এই বেলা (বিপ্লব) দিয়ে গেলাম।

জয় হোক!!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

রণদীপম বসু এর ছবি


ব্লগ শব্দটার আগে দিয়ে যখন কমিউনিটি শব্দটা বসে যায় তখন ব্লগ আর কমিউনিটি ব্লগ এক থাকে কী করে ! একই যদি হতো তাহলে আলাদা একটা শব্দ জুড়ে দেওয়ারই বা মানেটা কী ?

আমি কিন্তু দুটোকে এক করে দেখছি না। সব পাখিই প্রাণী, কিন্তু সব প্রাণীই পাখি নয়। যেমন ইচ্ছে লেখার খাতাটাই ব্লগ। এটা স্বাধীন এবং সার্বভৌম। ব্যক্তিগত ব্লগগুলোকে আমরা এ পর্যায়ে ফেলতে পারি। কিন্তু যখনই কমিউনিটি ব্লগ হয়ে যাবে, তখনই কমিউনিটির কিছু পছন্দ অপছন্দ শর্ত এখানে জুড়ে যাবে। নিজের ব্লগে নিজস্ব দায়বদ্ধতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্রিয়াশীল থাকে। নিজস্ব ব্যক্তিত্বের মতো। কিন্তু কমিউনিটি ব্লগে আরোপিত দায়বদ্ধতাগুলো প্রভাবশালী থাকে। ইন্টারেকশারেকশানের বিষয়টা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরও বটে।
কমিউনিটির চরিত্র দিয়েই ঐ ব্লগের শর্তগুলো ক্রিয়াশীল হয়। তাই এক একটা কমিউনিটি ব্লগের চরিত্র একেকরকম। একই ব্লগার বা লেখক একেক ব্লগে একেক আচরণ যে করেন, তা সম্ভবত এজন্যেই।


একই লেখা বিভিন্ন ব্লগে লিখলে বর্জ্য হয়ে যাবে, এ কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত আমার। তাহলে মৌলিক প্রশ্নটাও সামনে চলে আসে। আমরা লিখি কেন ? এবং তা প্রকাশ করতে চাই কেন ?
আমরা কেউ কি এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে বাংলা ব্লগিংয়ের সমস্ত পাঠক সচলায়তন পড়েন, বা সবগুলো ব্লগ পড়েন ? এটা কি আদৌ সম্ভব ? আপনি আমি সচলায়তনের সবগুলো পোস্ট কি পড়েছি ?

আমার একটা পোস্ট সচলে যে কজন পাঠক পড়েছেন, কোন কোন পোস্টেতো দেখি তিন দিনে '৫বার পঠিত' লেখা রয়েছে, অথচ সেই পোস্ট দেয়ার পর আমার ব্যক্তিগত ব্লগস্পটের ম্যাপকোতো ভিজিটর দেখাচ্ছে '৬৮ প্লেস টু ডে (৭৮ ভিউ)'। এর কী অর্থ দাঁড়াচ্ছে ? আবার এমনও জগাখিচুরী এবং অধিকতর স্বাধীন ব্লগ রয়েছে যেখানে হয়তো খুব একটা লেখা হয়ে উঠে না। কিন্তু একই পোস্ট সেখানে দিয়ে দেখা গেলো যে দুদিনের মধ্যেই ২০০ বার পঠিত বা তারো বেশি। অথচ সেখানে লিখে হয়তো তেমন তৃপ্তি পাচ্ছি না তবু। একে কী দিয়ে ব্যাখ্যা করবেন ?


আমার পরিচিত বন্ধুস্থানীয় এমন কম্পু টেকনোক্র্যাট ব্যক্তি রয়েছেন সেদিন আমার অনুরোধে এড্রেস নিয়ে সচলায়তন ভিজিট করে তিনি মুগ্ধ। অথচ অত্যন্ত রুচিবান এই লোকটি অন্য বড় ব্লগ সম্পর্কে বহু আগে থেকেই ওয়াকেবহাল এবং তিনি গত দশ বছর যাবৎ এমন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত যেখানে প্রধান কাজই কম্পিউটার কমিউনিক্যাশন্স সম্পর্কিত।
ব্লগ নিয়ে আলোচনায় এসব ছোট ছোট বিষয়ও হয়তো বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে তার সুলুক সন্ধান করতে হলে। ক্রমশই বেগবান হয়ে উঠা নতুন ভার্চ্যুয়াল সংস্কৃতি হিসেবে ব্লগ বা ব্লগিং নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটা সময়োপযোগী এবং অনেক বেশি আলাপ আলোচনার দাবী রাখে।
ধন্যবাদ আপনাকে, ভাবনার বিষয়ই বটে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে মন্তব্য শুরু করছি। সবার মন্তব্যের মাধ্যমে কয়েকটা জিনিস উঠে এসছে যেটা বেশ ভালো লাগছে।

প্রথমেই বলা ভালো এটা নিতান্তই আমার চিন্তা ভাবনা। এটা ঠিক যে যা বলতে চেয়েছিলাম তা একেবারে পরিস্কার করে বলিনি। তার কারণ আছে। তবে শামীম ভাই, রেজওয়ান ভাই আমার ভাবনার কাছাকাছি গিয়েছেন।

অচ্ছুৎ বলাই আর আরিফ জেবতিকের মন্তব্যের জবাবে বলার কিছু নাই। একেবারে যা বলার তা আপনারাই বলে দিয়েছেন। এর সাথে দ্বিমত করার কিছু নাই।

রেজওয়ান ভাইয়ের মন্তব্যে যেটা উঠে এসেছে তা হলো লেখকই তার পাঠক তৈরী করবে। এর সাথে আমি একমত।

আমি যে ব্যাপারটা মিস করছিলাম সেটা হলো বাংলা ব্লগের পরিধি আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় কমিউনিটি ব্লগ বলতে আমি যা বুঝিয়েছি সেখানে নতুন লেখকের সংখ্যা বাড়েনি। তাতে সমস্যার কিছু নাই। আমার কাছে ভালো লাগেনা তখনই যখন দেখি ব্লগ-পরিধি সম্প্রসারণের সাথে সাথে সেই আগের জিনিস বা আগের ধারার পুনারাবৃত্তি।

এক লেখা সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে, তাতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু রেজওয়ান ভাই যেমনটা বলেছেন-- লেখকই পাঠক তৈরী করে-- সেখানে এসেই সমস্যাটা বাধে। পাঠক ঠিকই কিন্তু ভালো লেখা খুঁজে নেয়, ভালো লেখক যেখানেই লিখুক সেখান থেকেই পাঠক তাঁর লেখা পড়ে নেন। সাথে সাথে এটাও ভাবনার উদ্রেক করে যখন ভালো লেখকের সেই লেখার সাথে পাঠকের দ্বিতীয়বার দেখা হয়ে যায় তখন ব্যাপারটা পাঠকের দৃষ্টিকোণে কেমন অনুভূত হয়।

বাহাত্তর ঘন্টা বা তার বেশি সময়ও কিন্তু একটা ভালো লেখাকে মন থেকে মুছে ফেলতে যথেষ্ট নয়। তবে এটাও না মেনে উপায় নেই যে লেখকের স্বাধীনতা আছে তার লেখাকে বেশী বেশী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার।

অভ্রনীল আর মাহবুব ভাইদের মন্তব্যে আরকটা বিষয় উঠে এসেছে। সেটা হল এখনকার পাঠক ফোরামের মত জায়গা থেকে হয়তো ব্লগে উঠে এসেছে। সেটা অনেকাংশেই ঠিক। সেকারণেই বোধ হয় আজকের পত্রিকা থেকে কপি করে পোস্ট দেয়া, কিংবা 'আমি একটা মোবাইল কিনব- পরামর্শ চাই' ধরনের পোস্টের সংখ্যা ব্লগে কম নয়। হিমু যেমনটা বলেছেন --

সেখানে দেখবেন গানের কলি, খবরের কাগজে প্রকাশিত খবর, সিনেমার লিঙ্ক দিয়ে মানুষ পোস্ট দিচ্ছে, তাতে সাড়াও পড়ছে। এটাও সেই গ্রুমিং, চুলকাচুলকি। ব্লগারদের কাছে অস্তিত্বের জানান দেয়ার মতো একটা ব্যাপার হয়ে গেছে এখন।
- এটাই এখন বাস্তবতা, একে অস্বীকার করাটা হয়তো ঠিক হয়নি।

@বিপ্রতীপ, তোমার মন্তব্যের জবার মনে হয় আর দেয়ার দরকার নেই। বর্জ্য বলতে আমি ঠিক কপি-পেস্ট করাটাকে বোঝাইনি। ব্লগের বিস্তার, লেখার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্লগারের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বর্জ্যের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাই বুঝিয়েছি (হিমুর কোট করা মন্তব্য দ্রষ্টব্য)। আমার মত ব্লগারের সমস্যা এটাই যে যা বোঝাতে চাই তা ইউনিভার্সালি বোঝাতে পারিনা।

পরিশেষে নিবিড়, অভ্রনীল, সন্ন্যাসী দাদা, হিমু, মাহবুব, পান্ডব ভাই, জুলিয়ান ভাই, বিপ্র, নজরুল ভাই, কীর্তনাশা, রাফি, আরিফ জেবতিক, বলাইদা, রানা মেহের, আকতার ভাই, রেজওয়ান ভাই, রেজা মামা, শামীম ভাই, স্নিগ্ধা, দিগন্ত এবং সবশেষে ধূসর গৌধূলি ও খেকশিয়ালকে ধর-তক্তা-মার-পেরেক টাইপের ধন্যবাদ।

এই মন্তব্য লেখার মাঝেই আরো তিনট মন্তব্য এসেছে-- বসুদা, ভুঁতের বাচ্চা আর বিপ্লবদা। সবাইকে ধন্যবাদ।

@বসুদা, বর্জ্য বিষয়ক আমার ব্যাখ্যাটা দিয়েছি। আশা করি একমত হবেন।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সুন্দর লাগলো আলোকপাতটি পড়ে। ব্লগ লেখক আর পাঠককে যতো কাছে এনে দিয়েছে, আর কোনও মাধ্যম অতোটা পারে নাই, এটাই ব্লগের সাফল্যের কারণ বলে মনে করি।

ব্লগারই মনে হয় আগে, তারপর কমিউনিটি ....

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সাম্প্রতিক কিছু ব্লগ দেখলাম যাদেরকে একটা সুত্রে ফেলা যায়:
নতুন ব্লগ = দুই মুঠা সামহোয়্যারইন মডেল + এক মুঠা সচলায়তন + তিন আঙ্গুলের এক চিমটি নিজস্ব পলিসি
তারপর, ঘুটা, ঘুটা.... ব্যাস হয়ে গেল সবার জন্য ব্লগ।

একটা জিনিস আমার মনে হয় এভিডেন্ট যে সামহোয়্যার আর সচলায়তন দুটি অনুসরনীয় ট্রেন্ড তৈরী করেছে। বাংলা ব্লগিংয়ে তৃতীয় ধারা আসবে কিনা জানিনা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী আর কমু। সবাই সবকিছু কইয়া দিয়েছে।

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।