এতদিন জানতাম ব্লু জে (Blue Jay, Cyanocitta cristata) হলো আমাদের দেশের নীলকন্ঠ পাখি। কিন্তু উইকিপিডিয়া বলছে ভিন্ন কথা। Indian Roller (Coracias benghalensis) যেটা নাকি আসল নীলকন্ঠ পাখি সেটাকে স্থানীয়ভাবে Blue Jay নামেও ডাকা হতো। যাহোক, ব্লু জে -কে আমি কানাডার নীলকন্ঠ বলেই ডাকব।
গত কয়দিন যাবত মাইনাস ১৫ ডিগ্রী থেকে আজ তাপমাত্রা এক লাফে প্লাস ৪। তার উপর রবিবার। মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম অজিবওয়ে ন্যাচার পার্কের উদ্দেশ্যে। সেই মতো ক্যামেরার ব্যাগ নিয়ে আমি রেডি। মেয়ে বলে বাইনোকুলারও নিতে হবে। ৫ বছর বয়সেই বাপের লাইন ধরে ফেলেছে!
লাল জ্যাকেট পড়া পাখি, আমার ময়না পাখি।
উইন্টারে এখানে আগে আসা হয়নি। গাছে একটা পাতাও নেই, বরফের চাদরে পুরা পার্ক ঢাকা। শীতের আগে যে নালাতে নকশী কাছিমের ছবি তুলেছিলাম সেটা এখন জমে বরফ হয়ে আছে। তাই বলে স্কেটিং যাতে না করে তাই বড় করে ওয়ার্নিং দেয়া। রবিবার বলে গুটিকতক লোক এসেছে স্কী হাতে নিয়ে। এখানে পাহাড়ি ঢাল তো নেই-- স্কী কোথায় করবে মনে মনে সে প্রশ্ন করতেই দেখি একজন ঐ বরফের উপরেই স্কী পায়ে দিয়ে হাঁটছে। মনে হলো হাঁটা প্যাকটিস করতেই এসেছে।
মেয়েকে নিয়ে আমি মিউজিয়ামের ভিতর ঢুকে পড়ি। খরগোশটা আজকেও ঘরের ভেতর লুকিয়ে আছে। ড়্যাটল স্নেক দেখা শেষ করে বারান্দার দিকে এগিয়ে যাই। সেখানে আছে বার্ড হাইড। লুকিয়ে লুকিয়ে পাখি দেখার বন্দোবস্ত আরকি। পাখি আপনার ৫ মিটারের মধ্যেই আসবে খাবার খেতে কিন্তু আপনাকে দেখতে পারবেনা। এই হলো বার্ড হাইড। বসার জন্য আবার চেয়ারও পাতা আছে। সেখানে বসে বসেই আমার দেড়-ব্যাটারি (১৩৫মিমি) লেন্স দিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম। আকাশ ততটা পরিষ্কার নয়। তার উপর এত ছোট লেন্স দিয়ে পাখির ছবি তোলার মানে লগি দিয়ে চাঁদ নাড়ানোর মত অবস্থা (এ বিষয়ে মহামান্য অরূপের পোস্ট পড়ে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি)।
১. কাঁচের আড়ালে খুব কাছ থেকে তোলা ব্লু জে
২. ব্লু জে: দূর থেকে তোলা, ১০০% ক্রপ
৩. ঠান্ডা থেকে বাঁচার প্রাকৃতিক উপায়।
ছবির টেকনিক্যাল বিষয়:
ডিজিটাল যুগে ছবি তোলা কোনো বিষয় নয় যদি থাকে আপ্রোপ্রিয়েট সরঞ্জামাদি আর একটু সেন্স। গাছের ডালে বসা ছবিগুলো বেশ দূর থেকে নেয়া। ছবিতে কোনরকম ডিজিটাল কারচুপি করা হয়নি মূল ছবি থেকে ১০০% ক্রপ করা ছবি এগুলো। তাই খানিকটা কালার এ্যাডজাস্ট করা হয়েছে আসল টোন আনার জন্য। আর ৩০-৪০%এর মতো শার্প করা হয়েছে।
ব্লু জে'র প্রথম ছবিটি ব্লু জে'র ইংরেজী উইকিপিডিয়ার পাতায় দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দিতে দিলনা। পারমিশনের ব্যাপার স্যাপার কী যেন বলল। তাই উইকিমিডিয়া কমনস-এ দিয়েছি।
মন্তব্য
পাখি নিয়ে লেখাটা খুব ভাল লাগল। ছবিতে পাখির পিঠ দেখতে পেলে মনে রাখতে সুবিধা হত।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
Blue Jay নামে সার্চ দিলেই অনেক ছবি গুগলে পাবেন। নিচের ছবিতে পিঠ খানিকটা দেখা যাচ্ছে।
পাখিটার পিঠের দিকটা দারুন !
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আজকে আমাদেরও ৪৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল। আমিও ফটুক তুলছি।
পোস্টাবোনে কালকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কৈ, আপনিতো পোস্টালেননা?
আপনার ময়না পাখিটা তো দেখতে খুব সুন্দর!! কেমন গুটু গুটু মায়া মায়া চেহারা। তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আর আপনার জন্য শুভকামান
অন্য ছবিগুলোও দারুন !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইগুলা ক্যাম্নে সম্ভব?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ময়না পাখি, ময়না পাখির বাবা'র লেখা এবং তোলা ব্লু জে'র ছবি সবই বড়ই সৌন্দর্য্য। পাখিটা এতো সুন্দর দেখেই ইচ্ছা করছে মাথায় একটু হাত বুলায়।
-------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ফাটাফাটি ছবি! বিশেষ করে ব্লু জে'র প্রথমটা। আপনার আরো বেশি লেখা উচিত, পিপিদা।
নীল পাখী থেকে লাল পাখীটা বেশী সুন্দর
আপনি এতো ভালো ছবি কেন তোলেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সবাইকে ধন্যবাদ।
কয়েকদিন একটু এই পাড়ায় কম আসা হচ্ছিলো .... প্রজন্ম ফোরাম থেকে লিংক ধরে আসলাম। সকাল সকাল এই একটা ভাল কাজ করলাম। চমৎকার বর্ণনা ও ছবি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বরাবরের মতোই চমৎকার সব ছবি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
- আমরার পিপিদা জিন্দাবাদ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইদানিং সচলে আসার সময় পাচ্ছিনা, আর আপনার মন্তব্যগুলাও মিস করছি।
- ইদানিং সময়ের বড্ড টানাটানি যাচ্ছেগো পিপিদা। আগের মতো সচলে সময় দেয়া যাচ্ছে না, মন্তব্য তো দূরের কথা! তবে অচিরেই এই অচলাবস্থার নিরসন ঘটবে বলে প্রবল আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন