আজ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি। বাংলাদেশে হয়তো কিছুই না, কিন্তু কানাডার ঠান্ডায় যারা অভ্যস্ত তাদের জন্য সাক্ষাৎ দোজখ। ভাগ্য ভালো তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে বাতাসের বেগও আছে। অনেকদিন পরে আজ তাই ক্যামেরাটাকে ব্যায়াম করালাম। সেই সাথে একটু হাঁটাহাঁটিও হলো।
আজ শুক্রবার। জুম'আর দিন। এই দিন সাধারণত একটু ভালো পোষাক-আশাক পড়ি। সপ্তাহের বাকি চারদিন নাক-মুখ গুঁজে টেবিলে বসে থাকতে থাকতে কোনকিছুতেই নজর দেয়ার সময় থাকেনা। তাই আজকেই যত সব আয়োজন।
সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা সব শেষ। এই সেমিস্টারে একটা কোর্স পড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। গ্রেড সাবমিট করার পর থেকে শুরু হয়েছে আরেক জ্বালা। সবারই এক আবদার, গ্রেডটা একটু কার্ভ করে দাও, নাহলে স্কলারশীপ থাকেনা; পাশ করিয়ে দাও নাহলে উইথড্র করতে হবে ইত্যাদি। যাহোক সেসব নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে... দেখা যাক কতদূর কি করতে পারি।
পরীক্ষা শেষ তাই ক্যাম্পাস ফাঁকা। সেই সাথে অতি উজ্জ্বল একটা দিন। শুরুটা ২ডিগ্রি দিয়ে শুরু হলেও বেলা গড়াতে না গড়াতেই ২৪ডিগ্রি। দুপুরের পরে সেটা ৩০এ গিয়ে উঠল। ফাঁকা ক্যাম্পাসে ডিলন হলের দুইটা ছবি তুললাম। ক্যামেরার সেটিংসএ ছেলেমানুষি একটা ঝামেলা করেছিলাম বলে খুব একটা সুবিধার হয়নি-- তাই সিউডোএইচডিআর করে ফেললাম (হাঃ হাঃ , ফাঁকিবাজি আরকি)
বিকালের দিকে পরিবার নিয়ে রিভারসাইডে ঢুঁ মারলাম। আজ পার্কিং পাওয়া যাবেনা আগেই বুঝেছিলাম। তাই একটু দূরে ইউনিভার্সিটির মধ্যে পার্ক করে ফিরে আসি।
গরমে সবার অবস্থা ততটা খারাপ যদিও হয়নি, তবুও এরকম গোসল করতে পারলে মন্দ হতোনা।
ছবি ২: যে স্নান কখনো শেষ হয়না...[উৎসর্গ ধূ.গো. ]
হাঁটতে হাঁটতে রেলিংয়ের উপর দেখি Ring billed Gull বসে আছে। বাংলা নাম জানিনা তাই ওর নাম দিলাম আংটিমুখো। একেবারে ছোঁয়ার দূরত্বে। ও যেন বুঝতে পেরেছে আমারতো অরূপের মতো লম্বা লেন্স নাই।
ছবি ৩: আংটিমুখো.. জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে।
আস্তে আস্তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো। বাতাসের ঝাপটায় একটু একটু শীতল আমেজ পেলাম। নাহ, আর থাকা যাবেনা, শেষে সর্দি লেগে যেতে পারে। সূর্য ডোবার একঘেয়ে দৃশ্য-- তবুও শেয়ার করলাম। ভালো লাগলেও লাগতে পারে।
মন্তব্য
"যখন সন্ধ্যা নামে" চমতকার লেগেছে। পাকা কম্পোজিশান।
ব্রীজের বাকি অংশটা নিতে পারলেও হয়তো আরো ভালো লাগতো। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়, এত লম্বা ব্রীজ, এক ফ্রেমে আসেনা।
ভালো লাগলেও লাগতে পারে? ফাইজলামি করেন নাকি?
এই রকম সূর্যাস্ত দেখলে মন উদাস হইয়া যায় গো দাদা!
ধন্যবাদ পাঠক ভাই।
ছবিগুলো চমৎকার সেইসাথে লেখাটা.
আংটিমুখো নামকরণ ভাল লেগেছে। আর ছবি ২য়টা। আর কারো জন্য না হলেও এই গ্রামে থাকা বালকটার জন্য লিখেন।
কোন গ্রামে থাকেন ভাই? কতদিন গ্রাম দেখিনা! অবশ্য কানাডা পুরাটাই একটা শহুরে গ্রাম...
ফাটাফাটি। যখন সন্ধ্যা নামে দেখে তো পুরাই ফিদা হয়ে গেলাম।
হাঃ হাঃ হাঃ.. ফিদা মানে কী রায়হান?
শেষ ছবিতে উলম্বপ্রায় খাড়া দাগটি কিসের ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সম্ভবতঃ উড়োজাহাজের নির্গত ধোয়া।
স্থির বাতাসে এটা এতোটা স্পষ্ট হয়।
শীত প্রধান দেশে এটা নিয়মিত বিষয়।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ঠিক। ওপারে ডেট্রয়েট এয়ারপোর্ট। উল্লম্ব সাদা রেখাদুটি উড়োজাহাজের নির্গত ধোঁয়া, ইংরেজিতে বলে Aircraft contrail. ছবির মাঝ বরাবর ছোট একটা কালো স্পটের মতো আছে-- ওটা একটা পাখি।
ছবি দেখেই গোসল করতে ইচ্ছে করছে...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সর্বপ্রথম আর সর্বশেষ ছবিটা সবচেয়ে ভাল লাগল।
---------------------------------
--------------------------------------------------------
থ্যাংস।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আচ্ছা একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল,
কোন ক্যামেরা দিয়ে তুলেছিলেন ছবিগুলো ?
-----------------------------------
--------------------------------------------------------
বাচ্চা ভূঁত, আমার ক্যামেরা ক্যানন ৪০ডি।
হেঃ হেঃ ডরাইসি।
অনেক ভাল ক্যামেরা এইটা।
---------------------------
--------------------------------------------------------
আপনি এখনো বাচ্চা তো তাই ডরাইছেন। অরূপের কি কি আছে আর মুস্তাফিজ ভাইয়ের কি কি আছে সেগুলা শুনলে আপনাকে ভুতপাতালে নিতে হবে।
ছবিগুলো দারুন। সী গাল কে যদি বাঙলায় গাঙচিল বলে তাহলে রিং বিল গাল হতে পারে আংটিচঞ্চু গাঙচিল।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
চঞ্চুর কোন সহজে-উচ্চারণ-করা-যায় এমন বাংলা হলে ভালো হয়.. সেজন্যই মুখো বা মুখি বলেছিলাম। তবে যেকোনটাই ঠিক আছে, হয়তো এর বাংলা নামও আছে আমি জানিনা। ধন্যবাদ জিজ্ঞাসু।
ও এইজন্য আপনি মুস্তাফিজ ভাইকে দশ-বাইশ বলেন ??? হা হা ... এত দেরিতে বুঝলাম! :
আরো বেশি ছবি চাই পোস্টপিছু। পিপিদার মতো ফোটোগ্রাফার চাইরখান দিয়া কাইটা পড়লে ক্যাম্নেকী?
এত কম সময় ধরে ছবি তুলেছি যে ভ্যারিয়েশন নাই, বেশি হলে একঘেয়ে লাগতো। এই সামারে নিয়মিত ছবি তুলবো আর সচলদের জ্বালাবো।
কি সুন্দর! কি সুন্দর!
---------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
৭ মাস পরে আজ ঘরের জানালা খুললাম।
ছবি 'যখন সন্ধ্যা নামে'
আপনি কিন্তু অনেক অনিয়মিত। পড়াশুনার চাপ যাচ্ছে নাকি? আপনার মিতা'র খবর কী?
- ২ নম্বরটা দেখেই বুজছিলাম!
হিমু'র কথায় সহমত। পাখিটার বাংলা নাম করেন "আঙুরীঠুঁইট্টা" শুদ্ধ ভাষায় "অঙ্গুরীঠুঁটি"!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এ..ই যে আপনার অপেক্ষায় বসে ছিলাম.. আপনারা দুই বন্ধুই মাশাল্লা.. নাম করণের ব্যাপারে জুরি নাই।
কি বলেন!! আপনিতো এমনিতেই ভালো মার্কস দেন। আমিতো আপনার ম্যাথ কোর্সে ১০০ তে ১০০ পাইছিলাম
অ্যানিওয়ে, ছবিগুলো খুবই ভালো হয়েছে।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
শামীম তুমি দেখি কিছুই গোপন রাখতেছনা।
আহারে ! পিপিদার কাছে অঙ্ক শেখার সুযোগ পাইলে ভাল হইতো ।
--------------------------------------
--------------------------------------------------------
আপনার চার নম্বর 'সন্ধ্যারঙ' ছবিটা বড় বেশি নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত ! এটা দেখে আমার আরেকটা নিঃসঙ্গতার কথা মনে হলো-
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, আপনার কালেকশন দেখে হিংসে হচ্ছে। হেন বিষয় নেই যে আপনার কাছে তার ছবি নেই।
স্টেশনের ছবিটা আরো নি:সঙ্গ মনে হতো যদি আরেকটু পরে ছবি তুলতেন। দেখে মনে হচ্ছে সকাল বা দুপুরের একটু পরে তোলা হয়েছে। (কিছু মনে করবেন না, আমার স্বভাবই হলো সমালোচনা করা ) তবে স্টেশনটা আসলেই নিঃসঙ্গ।
ঠিকই বলেছেন। কটকটে দুপুরের তোলা। তেমন সময় ছিলো না বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করার।
এইটা কেমন হয় ? কিঞ্চিৎ এডিট করা-
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ছবির ডানদিকের অংশটা পুরাটাই ঘোলা হয়ে গেল কিভাবে? কারসাজি নাকি ?
...............................
নিসর্গ
আহ! একদম দুনিয়া ভুলিয়ে দেওয়া ছবিসব!
এমন একটা সন্ধ্যা পাবার কত আশা যে করি!
হ্য় সে আসেনা, ন্য় আমি থাকি বন্দী!
আরো দিবেন এমন, বড় সুন্দর!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার সন্ধ্যার ছবিগুলোও কি কম?
মন্তব্য করবো না। বেশি ভাল। ধুর, করেই ফেললাম।
আপনার প্রায় পোস্টগুলোতেই আমি এই কাজ করি। সেদিন বাংলায় গান গাই লেখাটা পড়তে গিয়ে ৫ বছর আগে বিদেশে প্রথম আসার ঘটনার কথা মনে পড়ল। গানটা শুনে সেদিন কেঁদে ফেলেছিলাম। এই যা, মন্তব্য তো ওখানেই লেখার দরকার ছিলো।
৯চলুক)
দেখা যাক, যতদিন একঘেয়ে না হয় ততদিন চলতে পারে
শেষের ছবিটা যারপরনাই মারাত্মক। অসম্ভব ভালো লাগসে।
নতুন মন্তব্য করুন