মে ১০, ২০০৯
প্রিয়,
তুমি নেই আজ সাত দিন হলো। ভেবেছিলাম প্রতিদিন একটা করে চিঠি লিখবো। লিখেছিও, মনের খাতায়। সেগুলো আর কাগজে লেখা হবেনা। তাই ঠিক করলাম এখন থেকে লিখে রাখবো।
আজ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে ফিরোজা রঙের শাড়িতে, ছোট একটা টিপ, লাল লিপস্টিক আর হাতে চিকন লাল চুড়িতে। আমরা কখনো হাত ধরে হেঁটেছি কি? খুব বেশীবার নয় হয়তো। অনুভূতিগুলোর প্রকাশ হতে দেইনা আমরা কেউই। কী অদ্ভুত! চোখের আড়াল হলেই সেসব মনে হয়। এবার আমরা নিশ্চই হাত ধরে হাঁটবো, একসাথে। মামনিকে কি মাঝখানে রাখবো নাকি এক পাশে? কি জানি.. জানিনা।
তুমি যাওয়ার পর আজই প্রথম বাজারে গিয়েছিলাম। রাতে দুধ দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে করছে অনেকদিন পরে। তাই কলা কিনে আনলাম। আপেল কিনে খাওয়া হয়না, শুধু নষ্ট হয়, তাই কম করে কিনেছি; মাত্র তিনটা। আর কিনলাম সালাদের একটা প্যাকেট।
একপট ভাত দিয়েই দুপুরের খাওয়া হয়ে যায়। কোনকোনদিন সবটুকু শেষ করতে পারিনা। আজ পুরোটাই খেলাম। একটু ব্যায়াম করছি বলে ক্ষুধা লাগে বেশি। ব্যায়াম? কেন? হা হা.. কী করবো বলো.. কিছু একটা তো করতে হবে।
এ কয়দিন প্রায় প্রতিদিনই ঘুরতে বেরিয়েছি। সন্ধ্যার দিকে বাসায় থাকতে ইচ্ছে করেনা। এত বড় বাসায় একা একা ভালো লাগেনা। ভয় অবশ্য লাগছেনা। তুমি যাওয়ার পর বেডরুমে আমি একদিনও থাকিনি। পড়ার ঘরেই থাকা হয়। একই রুটিন প্রতিদিন। অধিকাংশ সময়ই কম্পিটারের সামনে বসে থাকা হয়। প্রফেসর কাজ দিয়েছে, সেগুলো করছি। আব্দুলও কিছু কাজ দিয়েছে।
তোমরা চলে যাওয়ার একদিন আগে ডেভনশায়ার মলের কতগুলো ছবি আজ প্রসেস করলাম। তোমার মেইলে পাঠিয়েছি। পেলে জানিও। সাইজ ছোট করে দিয়েছি যাতে ডাউনলোড করতে সময় কম লাগে। বেশী বড় হলে হয়তো দেখতেই পারবেনা।
এখন ১৬ডিগ্রি। ঠান্ডা গেলেও জ্যাকেট পড়েই বের হই। তোমরা তো গরমে পুড়ছ, এখানে সামার বুঝি এবার আর আসবেনা। এখন বিকেল ৬টা ২৫। দেখি একটু বাইরে বের হই।
তুমি একটা গান শোনো:
|
ইতি-
মন্তব্য
ব্যক্তিগত চিঠি কি ভুল করে এইখানে পেস্ট করলেন?!!!
ভালো থাকেন, ভাবীকেও ভালো থাকতে দেন।
বেটি গেছে কই পিপিদা? আম্নেরে কষ্ট দিতেছে দেখি বিয়াপক!!! ঠিকানা দেন, ফিরতি ফেলাইটে তুলে দেই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সাড়ে সব্বোনাশ!!!!!!!!!!!!! একী পিপিদা!!!!!!!!!!
আরে, পিপিদা তো দেখি হেভি রোমান্টিক!
ইতির পর নামটা লিখে দেন।
নতুন মন্তব্য করুন