না, কোন সুরা পানের কথা বলছিনা। বলছি পান-সুপারির কথা। আজ অনেকদিন পরে সাজানো পান দেখে খাওয়ার শখ হয়েছিল। তার আগে বলে রাখি হিমু নাই বলে এই ফাঁকে হিমুর পেটেন্ট করা শিরোনাম মেরে দিলাম।
এই লেখা পড়ছেন অথচ পান খাননি এমন কেউ আছেন কি? মনে হয় না। জীবনের এই জিনিস কেউ একবারো খায়নি এমন কাউকে পাওয়া কঠিন। আজ সহপাঠি তানভীর ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে ভাবী এই জিনিস নিয়ে এলেন। ছবি তোলার সময়ই মনে হলো আজ রাতেই একটা পোস্ট দিতে হবে।
আমাদের ছোটবেলায় আব্বা পান খেতেন, সিগারেটও খেতেন। তার জন্য প্রায়ই কচি'র দোকান থেকে পান কিনে আনতে হতো। কচি দেখতে মোটেই কচি নয়, চকচকে এবং দুষ্টু দুষ্টু চেহারা। ফর্সা মুখে কালো গোঁফ আর পান খেয়ে লাল ঠোঁট। আমি তখন অনেক ছোট। ওয়ান বা টু-তে পড়ি। ১ টাকা দিয়ে চারটে পান পাওয়া যেতো। আব্বা দুপুরের খাওয়ার পরেই পান আনতে দিতো। খয়ের ছাড়া, শুকনা সুপারি, আর শাহজাদী জর্দা দিয়ে পান। মুখস্ত করা শব্দমালা গরগর করে কচির দোকানে গিয়ে বলতাম আর কচি পান বানিয়ে কাগজ দিয়ে কোণের মত করে মুড়ে একপাশে চুন আর সাথে যে কয়টা পান সে কয়টা পানের বোঁটা দিয়ে আরেকবার মুড়ে হাতে ধরিয়ে দিতো। পান আনার বিনিময়ে কখনো সখনো ২৫ পয়সা বা ৫০ পয়সা মিলতো।
আমরা তখন বগুড়ায়। দেশের বাড়ি থেকে জ্যাঠা এলেন। মুরুব্বীদের সাধারণত পান দিয়েই প্রথমে আপ্যায়ন করার রীতি। তাঁকেও যথারীতি পান দেয়া হলো। উনি আবার কাঁচা সুপারি ছাড়া খান না। কোথায় থেকে যেনো কাঁচা সুপারি এনে দেয়া হলো। পরিমাণে হয়তো বেশীই খেয়েছিলেন বলে পান খেয়ে মাথায় পাক ধরে বিছানায় পড়ে গিয়েছিলেন। পাখা দিয়ে বাতাস করে, মাথায় ভেজা গামছা দিয়ে মুছে ওনাকে স্বাভাবিক করা হয়েছিল বলে মনে পড়ে।
বড় হওয়ার পর আব্বার জন্য দোকানে গিয়ে আর পান আনতে হতোনা। সে কাজটা খালাতো ভাই-বোনদের করতে হতো। এর পর একসময় বাসাতেই বিরা বিরা পান কেনা শুরু হল। নিউ মার্কেট থেকে খুঁজে খুঁজে রাজশাহীর পান কেনা হতো। ঢাকায় শাহজাদী জর্দা পাওয়া যেতোনা। তার বদলে কেনা হতো ভারতীয় "বাবা" জর্দা। মারাত্মক তার ধক। শোনা যায় বাবা জর্দার কৌটা দিয়েই নাকি ককটেল বানানো হতো।
কলেজে উঠে পান খেয়েছি বলে মনে পড়েনা। মতিঝিলের আরামবাগে যে জায়গায় কলেজ ছিলো, সেখানে আদৌ কোনো পানের দোকান ছিল কীনা তাও জানিনা।
যতই বড় হতে থাকি, পানের সাথে সম্পর্ক দূরে সরতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে রাতে হলে থাকা হতো। মধ্যরাতে নাজিমউদ্দিন রোডে রাতের খাওয়ার পরে পানের দোকান থেকে বেশ কয়েকবার মিষ্টি জর্দা দেয়া পান খেয়েছি। কিন্তু কেন যেন ছোটবেলায় বিয়ে বাড়ীতে খাওয়া পানের মতো স্বাদ পেতাম না। পানের সাথে নিজের সম্পর্ক দূরে সরতে থাকলেও বিশেষ পার্বণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমে রুমে দেখতাম অন্য এক পানের মহোৎসব।
পান নিয়ে কত কথাই বলা যায়। সিলেট অঞ্চলে নাকি এক ধরনের মিষ্টি পান পাওয়া য়ায়। সেখানে নাকি খাওয়ার পরে পান খাওয়াটা একটা নিয়মিত ব্যাপার।
জর্দা ছাড়া পানের উপকারিতার কথাও বেশ শোনা যায়। হজমে সহায়ক, মুখরোচক, আরো কত কী। প্রবাসে এসে পান পাওয়া যায় এমনটা জানতামই না। আব্বা-আম্মা যখন এখানে বেড়াতে এসেছিলেন, তখন পানের খোঁজে বের হলাম। আব্বা পান ছাড়া একদম চলতে পারেননা। অবস্থা এমন হলো ৪০০কিমি দূরে টরন্টো থেকে হলেও পান আনতে হবে। পরে স্থানীয় সিলেটি ভাইয়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানলাম ওনারা ডেট্রয়েট থেকে এনে দিতে পারবেন। দাম একটু বেশী পরবে-- ১ ডলারে দুইটা! যাহোক, পাওয়া গিয়েছিল সেটাই বেশী। পরে অবশ্য ঘনঘন কিনতাম বলে দাম কমিয়েছিলেন। তখন ১ পাউন্ড পানের দাম দিতাম ১২-১৩ ডলার।
পানের কাহিনী আপাতত এখানেই শেষ। তবে সেদিন এক বন্ধুকে কুকুরে কামড়েছিল। প্রবাসে দৈবের বসে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা এবং পরবর্তী বিষয়াদি নিয়ে আরেকটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা রাখলাম।
মন্তব্য
পান খাইতে জটিল লাগে...মহেশখালির পান...সাঁচী পান...আহা কতদিন খাইনা!
ছোটবেলায় পান অনেক মজা পাইতাম...পরে ঢাকায় বেশিরভাগ পান খাইলে মুখ ছুঁলে যেত।
চুন-খয়ের ছাড়া মজা কম। জর্দা খাই নাই...তবে চমন বাহার ছোটবেলায় প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল...
----------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমিও খাইনি!
বলেন কী? তাহলে একবার খেয়ে দেখেন। ততটা খারাপ জিনিস নয়। অন্তত সিগারেটের চেয়ে ভালো, এটুকু বলতে পারি
লেখা পড়ে একটা পান বিষয়ক ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সত্য ঘটনা।
তখন আমি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট খুব সম্ভবতঃ। যেখানে থাকি সেখানে কিছুই পাওয়া যায়না। একরাতে এক বাঙালীর বাসায় ভরপেট খেয়ে ডর্মে ফিরছি। দেখি ডর্মের ফ্রন্টডেস্কের পাশে একটি ছেলে বসা। তাকে আমি অল্প চিনি। সে এসেছে কুক আইল্যান্ড থেকে। অবাক হয়ে দেখি তার হাতে তিনটে পান পাতা আর গোটা দুয়েক সুপারী। আমি যদিও পান খাইনে (বা করিনে), কিন্তু সে রাতে ভয়ানক পান খেতে ইচ্ছে হোল। বোধকরি ভরপেট খেয়েছিলাম বলেই হয়তো বা।
আস্তে তার কাছে গিয়ে গল্প শুরু করে দিলাম। অবাক হয়ে জানলাম যে প্যাসিফিকের অনেক দ্বীপেই পান খাওয়াটা রীতিমত সার্বজনীন। প্রেসিডেন্ট থেকে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সবাই পানখোর। বেচারা ছাত্রটি কার কাছ থেকে নাকি পাঁচ ডলার দিয়ে ওই পানসুপারী কিনেছে। সে আমলে পাঁচ ডলার অনেক টাকা ছিল।
আরো অবাক হয়ে দেখলাম যে সে সিগারেট ভেঙে তামাক বের করছে পানের মধ্যে দেবে বলে। ব্যাস-আমিও শুরু করে দিলাম বাংলাদেশে কত রকমের জর্দা পাওয়া যায় তার কাহিনী। প্রায় আধা ঘন্টা ভ্যাজর ভ্যাজর করার পর তার মন গললো। আমাকে শুধোলো,"তুমি কি একটু পানের ভাগ চাও?"
সেরাতে শিখেছিলাম যে শুধু কথায় চিঁড়ে না ভিজলেও পান-সুপারী পাওয়া যায়।
পুনঃ- কাকতালীয় ভাবেই পান নিয়ে সচলে একটি গল্প পোস্ট করেছি ক'দিন আগে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
মজার ঘটনা।
থা-মো-পা 'র কথা বলছেন তো? জানি।
আমি খেয়ে দেখছি, ভালোই লাগছে। তাইওয়ানেও পান খাওয়ার একটা ব্যাপক প্রচলন আছে, কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের দেশের চেয়েও বেশী। তবে এরা কাচা সুপারী খায়, আর জর্দা বা খয়ের চেনেনা। তাইওয়ানিজ পান নিয়া একটা লেখা দিতে হবে। এখানে রাস্তার পাশে অর্থনগ্ন মেয়েরা ছোট টং দোকানে পান আর সিগারেট বিক্রি করে। দশ খিলি পানের একেকটা প্যাকেট বাংলা টাকায় প্রায় তিনশ । সবচে জনপ্রিয় পানের ব্রান্ড ০০৭।
ছবি দেখ, এইটা একটা পানের দোকান
ব্যবসা তো তাহলে ভালই হওয়ার কথা।
দোকান দেইখ্যা পান খাইতে মঞ্চায়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়লাম এজন্যই যে, কোথাও পানের দুর্নাম করা হলো কিনা তা তদন্তের জন্য। ধন্যবাদ যে পানের সুনাম করেছেন।
আপনারা নাহয় প্রবাসে আছেন। কিন্তু দেশে থেকেও যারা আমার পান খাওয়া নিয়ে বিদ্রূপ করে, তাঁদেরকে একটা কথাই শুনিয়ে দেই। আর তা হলো, আমরা পোশাকে আষাকে খাবারে আড্ডায় কোথাও কোন বাঙালি ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি, কেবল আমার মুখের মজানো পানটা ছাড়া। তবে যাই বলেন, আমার কাছে জর্দা ছাড়া পান আর ঘাসের মধ্যে কোন ফারাক নাই। জর্দার মৌ মৌ গন্ধই যদি না ছড়ালো তো কিসের পান ! হা হা হা!
ছবিটা দারুণ হয়েছে পিপি দা ! আবারো আমার দুই মেগাপিক্সেলটাকে পানিতে ফেলে দেয়ার ইচ্ছা জাগছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পানের দুর্নাম করি কিভাবে, জিনিসটা তত খারাপ না। তবে আপনার জন্য খানিকটা দু:সংবাদ আছে। উইকিতে কয়েকটা লাইন যোগ করতে যেয়ে পড়লাম সুপারিই নাকি ক্যান্সারের জন্য দায়ী (ধারনা করা হয়)।
দুই মেগা পিক্সেল দিয়েই অন্য সচলদের আপনি মুখে চুনকালি মেরে দিচ্ছেন সেটা লক্ষ্য করেছেন কি?
আমার বাঙালি ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে আমি ক্যান্সারকেও বুকে নেবো পিপি দা।
দুই মেঃপিঃ দিয়ে আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন কেন পিপি দা ! আমি নিজেই তো চুন আর কালির সমাহার ! তাই আপনাকের বৈচিত্র্যময় রঙিন মুখগুলো প্রাণ ভরে উপভোগ করি, আর বাইরে প্রশংসা করেও ঈর্ষা করি মনে মনে। ইশ্, আমি যদি এরকম পারতাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ছবিটা দারুন
আমি তেমন 'পানখোর' নই । চট্টগ্রামে 'লাভ লেইন' নামক জায়গায় বিখ্যাত এক পানের দোকান ছিল। মাঝেসাঝে সেখানে খাওয়া হতো। আমার ভালো লাগত অবশ্য নিউ মার্কেটে ডায়মন্ড রেস্টুরেন্টের পান। ডায়মন্ডের বিরিয়ানি খেয়ে পান খাওয়া ছিল ফরজ। এর বাইরে বিয়ে বাড়ির পান ছাড়া আর তেমন পান খাওয়া হয় নি। শুনছি, এখন নাকি ঢাকায় কোন এক দোকানে হাজার টাকা দামের পান পাওয়া যায়! উহা কী জিনিস দেখতে মঞ্চায়। পারলে কেউ ফটুক দিয়েন।
তানভীর ভাই, থ্যাংকস!
আমার ১৫ গোষ্টির সবাই পানখোর (বাড়ি সিলেট)।
মা, নানা-নানী, মামারা সবাই পানখোর। আমরাও চান্সে পান খাই। মা খান তাই ছুটির দিনগুলোতে বেশ ভালো করেই খাওয়া হয়। তবে খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করে ফেলি। না হলে ফুকলা দাঁত। আমাদের (বিশেষ করে সিলেটিদের।) বিদেশ এসেও পানের হাত থেকে রক্ষে নেই।
দেশে থাকতে রাস্তার পাশের পান দোকান থেকে পান খেলেও ওদের বিভিন্ন রকমের লিকুয়িড জাতীয় জিনিস /জর্দা থেকে দুরে থাকতাম।
আমার কিছু সিলেটি বন্ধু আছে যারা খাওয়ার পর সুযোগ পেলেই পান খায়। প্রথম দিকে একটু অবাক লাগতো। পরে শুনেছি ওটাই নাকি কালচার।
ছবিটা অসাধারণ!
পান খেয়েছি কয়েকবার। খেতে খারাপ না। বেশ মজাই লাগে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সুপারী মুখে দেয়া মাত্রই আমার মাথা ধরে যায়। আর সুপারী ছাড়া পান খাওয়ার মানে কী?
ছবির প্রশংসায় গলে গেলাম। ভালো লাগে ছবি নিয়ে প্রশংসা। সুপারি খেলে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায়
পান খাইতে ভালা পাই না। জীবনে সম্ভবত দুইবার খাইছিলাম।
কিন্তু আপনার দেওয়া ছবি দেইখা হঠাৎ পান খাইতাম মঞ্চায়।
লেখা খাসা হইছে। কুত্তা প্রসংগে লেখা দেন পড়ুম।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। কারণটা বুঝতেই পারছেন.. কুকুর নিয়ে শিঘ্রই লেখা প্রকাশ করবো। এই লেখাটা প্রথম পাতা থেকে সরে গেলেই ওটা দিয়ে দেবো।
পান অতি ভালো জিনিস, তবে এই বিদেশে ঝালপাতা ছাড়া জোটে না। তায় মিষ্টিপানের মশলাটশলাও ঠিক মতো পাওয়া যায় না, আমি জর্দার কদরদান নই, তাই মিষ্টিপানই ভালোবাসি। মশলার বিকল্প উপকরণ কিছু খুঁজে নিয়েছি, কী আর করা।
চমৎকার একথালা বিরিয়ানি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সেরে একখিলি পান, আহা!
ঠিক, ভারী খাবারের পরে সুপারি ছাড়া পান খেতে দারুণ লাগে। আমার আবার সুপারি খেলে গলা বন্ধ হয়ে যায়
এমনিতে আমার পানদোষ নাই, তবে মুঘলাই খানা খেলে তারপর একটা মিষ্টিপান না হলে ঠিক জমে না৷ দিল্লী অঞ্চলে সাধারণত বড় বড় রেস্টুরেন্টের বাইরেই একটা করে দুর্দান্ত পানের ঠেক থাকে৷ লক্ষ্নৌ ঘরাণার পান আবার একটু আলাদা৷
----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমি আলীগড়ের পথে কোথাও এরকম পানের দোকান দেখেছিলাম মনে পড়ে। তখন ক্যামেরা ছিলনা সাথে। আপনার এরকম ছবি থাকলে দিতে পারেন।
আমারো পানপ্রীতি আছে। তবে খাওয়ায় নয়; করায়!
লেখাটি একেবারে ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আহেম!
থ্যাঙ্কু বিপ্লব ভাই।
ছবিটা এত্তো সুন্দর, যে দেখেই মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলি এক খিলি পান...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পিপিদার শিরোনাম দেখে আমিও আৎকা খেয়ে উঠেছিলাম। যাকগা হিমুতো নাই।
পান না খেলে জীবন বৃথা বিশেষ করে বিরিয়ানী খাবার পর। আমি ছোটবেলা থেকে দাদুর কাছ থেকে পান খেতাম। তবে ধানমন্ডি চারে আর বসুন্ধরায় যে পানের দোকান হয়েছে, এসো পান খাই, ঐটার পান যে খায় নাই তার বাঙ্গালী জীবন পান পাতা। মুখে দিলে ঠান্ডা রসে মুখ শীতল হয়ে যায়, যদিও দাম অনেক।
মামুন ভাই যা ছবি দিলো না পানওয়ালীদের, ঢাকার ফ্লিমের নায়িকারা ফ্লিম লাইন ছেড়ে পান লাইন ধরে ফেলবে ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আশা করি হিমু কোন আপত্তি করবেনা।
পিপিদা আপনার সুন্দর সাজানো পানের ছবি দেখেতো পান চিবানো্র তৃষ্ণা জাগ্রত হয়ে গেল। পান খুব বেশী কখনই খেতাম না, কিন্তু ভারী খানাপিনার পর মাঝে মাঝে খেতে খারাপ লাগতো না।
ধানমন্ডিতে একটা দোকান আছে পান সুপারী নামে। কত যে বাহারী নামে পান বিক্রি হয় সেখানে। আর বিয়েতে পানের ডালা সাজানো শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজনের হলুদে সাজানো ডালার ছবি দিলাম।
প্রজাপতি,
সুন্দর ছবি ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পান সুপারী দোকান কবে হয়েছে? শুনিনি তো?
পিপিদা পান সুপারী দোকানের বয়স ৪-৫ বছরতো হবেই, ধানমন্ডি ৪ নাম্বারের মাথায়। দেশে গেলে খেয়ে আমাদের জন্য আনতে ভুলেন না যেন।
ছবিটা সুন্দর
রাগিব ভাইয়ের মত আমিও পান খাই নাই কখনো
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বস, চমন বাহারের কথা মনে আছে? পান আমাকে টানে না, টানে নানা রকমের বাহারী জর্দা, আমার নানী, দাদী ২জনেই পানের আসক্ত, দাদী পানের সাথে তামাকও খেতেন, গুলও মাজতেন। আর নানী নানা রকমের জর্দার ভক্ত, অন্যান্য জর্দার পাশাপাশি তিনি নারিকেল দিয়ে বানানো একটা রঙিন জর্দা খেতেন, আর ফাঁক তালে আমি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
.. আমি কিন্তু নিজেও পান খাইনা, মাঝে মধ্যে দুয়েকটা ছাড়া। এই ছবি যেদিন তুলেছি সেদিনও কোন পান খাইনি
পান খাওয়াখাওয়ি পরে, ছবি দেখেই মাথা ঘুরতেছে! এত্তো সুন্দর!
ছোটবেলায় পান খেতাম, তাও বিশেষ করে বিয়েবাড়িতে। এখন আর খাওয়া হয় না। বহু বছর পর কয়েক মাস আগে একটা খাইছিলাম। পান খেতে আসলে ভালোও লাগে না, খারাপও না।
ছবিটা তোলার পরে যেমন ছিল তেমনই রেখে দিয়েছি। পোস্ট প্রসেসিংয়ে সাদা-ব্যালান্স করে বাদামী টোনটা সরিয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু দেইনি।
- ভাইরে কী আর বলি দুঃখের কথা। আমার মা, খান্দানী পানখোর। আমার ময়ের মা, অহ্ সে এক মহাখোর ছিলেন বটে! সুন্দরী ফর্সা মহিলা, লাল টুকটুক হয়ে থাকতো মুখ সবসময়। বয়সের ভারে চামরায় ভাজ পড়ে যাওয়ায় সেই ভাজ ধরে পানের রস আবার গড়িয়ে পড়তো। সেটা আবার রুমাল দিয়ে মুছতেন তিনি। পুরাই রাজসিক ব্যাপার স্যাপার। আমার মায়ের নানি কেমন খোর ছিলেন, সেটা জানা যায়নি আমার দ্বারা। তবে টাইম মেশিনে এক্সেস পেলে প্রথমেই গিয়ে দেখে আসবো ভদ্রমহিলার পানপ্রীতি! আমার জানার খুব শখ, আমার মা, খালারা ইভেন মামারা (বড় মামা যখন পান খাওয়ার মুডে থাকেন, তখন তিনি নিজেও জানেন না কয়টা খেয়ে ফেলেছেন বিগত পাঁচ মিনিটে!) এতো ভয়ানক, গিনেজবুকে ঠাঁই করে নেয়ার মতো "আমরা পান খাইয়ে পরিবার" ক্যামনে হলো!
সেদিন মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তাঁর ছয়মাস বয়সী নাতনী পানের প্রতি কতো আকর্ষণ দেখায়। শুনে মা খুব আক্ষেপ করে বললেন, "আর কইস না। এইটা থাবা দিয়ে পান হাতে নেয়, তারপর ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফালায়া দেয়!"
আমি কই সাব্বাশ!
সেদিন শখ করে অবশ্য আমিও খাইছি। ছোটবেলায় খেতাম জিভ লাল করার জন্য। কিন্তু প্রতিবারেই খেয়াল করে দেখেছি। পান খাওয়ার পর মুখ ভারী হয়ে থাকে। জিভ নাড়াতে পারি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাক, এই পোস্টে বেশ কয়েকজন এসে বলে গেছেন তারা পান খাননা। আপনি যে কাহিনী বর্ণনা করলেন তাতে এখন বলতে পারি গড়ে সবাই পান খায়
লেখা
ঢাকায় পান-সুপারি দোকানে ৭০-২০০ টাকা দামের পান বিক্রি হয় ওটা লিখেছিলাম গত বছর এক পোস্টে।
একটু আগে গুগ্লিং করে আরেকটা ইন্টারেস্টিম জিনিশ পেলাম -
অনলাইন উপহার, পান-সুপারি প্যাকেজ। সর্বনিম্ন মূল্য ৮ ডলার ৫৭ সেন্ট।
দুনিয়া বড়ো রঙিলা...
কী বাহারি নাম-- পান-ই-আফসানা, হায়দ্রাবাদী পান, পান-ই-খুশ বাহ্ বাহ্ বড়ই রঙিলা
পান আমাকে টানে না। তবে বাড়ি গেলে কখনো যদি বাজারে যাই, তবে বাপের জন্য পান ঠিকই কিনি। বাপ আবার পুরাই পানখোর কী'না। এককালে বিড়ি খেতেন। এখন বিড়ি খাওয়ার দুঃখ ভোলেন বেশি বেশি পান খেয়ে।
আর টান! তোমার নামই তো পান থো! মানে, পান রাইখা দে, ছাইড়া দে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভালো বিষয়। তবে, পান আমার অপছন্দ।
আমি বন্ধুদের গ্লাসে পানি খাই, মুখেরটাও খেতে পারি, কিন্তু মা-বাবা'র গ্লাসে পানিও খাই না, কারণ ওই পান - যে আপনকেও দূরে ঠেলে দেয়।
ছোটবেলায় একবার রাত জেগে পড়ছিলাম আম্মার তত্ত্বাবধানে। পরীক্ষা ছিল পরদিন সকালে, খুব সম্ভবত 'পরিবেশ পরিচিতি: বিজ্ঞান'। তো, রাতে শুধু আমি আর আম্মাই ছিলাম ওই রাত অব্দি জেগে। আম্মা শোয়ার একটু আগে নিজে খাওয়ার সময় আমাকেও আদর ক'রে একটু পান দিয়ে দিলেন। না, সেদিন মুখ থেকে ছুঁড়ে ফেলিনি, তবে বুঝেছিলাম এই পান আহার আমার পোষাবে না জীবনে। আম্মা-আব্বার জন্য জীবনে পান কিনতে হয়েছে অনেকই আমার, কিন্তু নিজে আর কোনোদিনই খাইনি। পানের নির্গত স্বাদের গন্ধে, এমনকি পানের বোটা ছেঁড়া প'ড়ে থাকতে দেখলেও, আমার উল্টি আসে।
আর, অন্য পান তো করিই না।
আপনেও দেখি নটরডেমিয়ান আর ঢাবিয়ান ব'লে সন্দেহ হৈতেছে!
---------------
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সন্দেহ না, একেবারে ১০০%
...............................
নিসর্গ
তাইলে আসেন, "চিমটি থাপ্পড় লাল"! এইটা চিনেন?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
না তো
সত্যিই না জানলে বলি (জাইনাও আমারে মামু বানাইতেছেন না আশা করি )-
দুইজনের একই জিনিস হইলে, ধরেন এক জায়গায় আলাদা আলাদাভাবে গিয়েও জামার রঙ মিলে গ্যালো, কিংবা ধরেন একজনের একটা খুব-পছন্দের মুভি আরেকজনেরও খুব পছন্দ, এইরকম ক্ষেত্রে প্রথমজনকে চিমটি আর থাপ্পড় দিতে দিতে ওই কথাটা বলে দ্বিতীয়জন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখাইয় ছবি বড়ই সৌন্দর্য হইয়াছে।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
থ্যাংকস।
পান খাওয়া হয় না তেমন। বিশেষ বিশেষ দিন বন্ধুরা মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে গেলে, একটা খাওয়া হয়, তাও যেমন তেমন না, অনেক আয়োজন করে খাওয়া। এই জর্দা, ঐ "পান পছন্দ", ঐ সুপারি.. হেন-তেন করে দেখা যায়, এক খিলি পানের দাম পরে ৩/৪ টাকা!!
ঢাকায় গুলশানের দিকে পান বিক্রি করে এরকম একটা দোকানই আছে।
সর্বনিম্ন মূল্য ১০/- আর সর্বোচ্চ মনে ২০০/- - ২৫০/-
- মুক্ত বয়ান
বাদলা দিনে সিনারটুকরাওয়ালাএকহাফস্টারেরকাচ্চির পর ফ্রিজ থেকে বেরকরা দুইটা লাভলেনের ঠান্ডা পান।
ঢেঁকুর!
তবলা ছাড়া গান আর জর্দা ছাড়া পান
...........................
Every Picture Tells a Story
জর্দা আছে তো মুস্তাফিজ ভাই, একটু মিষ্টি আরকি
নতুন মন্তব্য করুন