বহুদিন পরে আজ লিখতে বসলাম।
গতকাল থেকেই সচলে লগড-ইন আছি। বাসায় এবং অফিসে দুইখানেই। সাধারণত শত ব্যস্ততার মাঝেও সচলে লগিন করি এবং দুয়েকটা পোস্টে ধুম ধাম মন্তব্য করি। এবার কয়েকদিন তার ব্যত্যয় ঘটেছে। উত্তর আমেরিকায় পিএইচডি করার সবচেয়ে বড় হার্ডল হলো কম্প্রিহেন্সিভ পরীক্ষা। এই ফালতু (আসলে ফালতু নয়) সিস্টেম যে কেন রাখছে সেটাই বুঝিনা। আমার এখানে তিন-তিনটা পরীক্ষা দিতে হলো। সবগুলোই লিখিত পরীক্ষা। বিশ মিনিট আগে শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে এলাম। আগামী ১ বছর এর মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবেনা ভেবেই মনটা ফুরফুরে লাগছে।
আমাদের বাড়িতে শুটিং
গত কয়েকদিন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বাসাটা শহরের যে অংশে সে অংশটি পরিপাটি, ছিমছাম, নিরিবিলি আর নিরাপদ বলে পরিচিত। কিন্তু গত দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দুইটি ড্রাইভ বাই শুটিং হয়েছে। উত্তর আমেরিকায় ড্রাইভ বাই শুটিং বলতে গাড়ি চালাতে চালাতে রাস্তার মানুষকে গুলি করে মারা বোঝায়। ভয়ে আমরা সবাই অস্থির। পরে জানা গেলো ড্রাইভ বাই শুটিং নয়, ভিক্টিম আর সাসপেক্ট পূর্ব পরিচিত।
এই ঘটনা ঘটার ১০ দিনের মাথায় তার চে ভয়ংকার ঘটনা ঘটল। ঈদের রাতে সুপারভাইজারের বাসায় ডিনারের দাওয়াত খেয়ে রাত সাড়ে দশটায় ফিরে দেখি ১০-১২টা পুলিশের গাড়ি দিয়ে আমাদের বিল্ডিংএর আশেপাশে ঘিরে রেখেছে। হলুদ টেপ দিয়ে পুরা এলাকা বন্ধ। জানা গেলো আমরা আসার ১০-২০ মিনিট আগেই বাসার মেইন লবির মধ্যে একজন আরেকজনকে গুলি করে গাঢ় রঙের এসইউভি নিয়ে পালিয়েছে।
ভয় কিছুটা তো পেলাম। বেডরুমের জানালা দিয়ে পুলিশের কর্মকান্ড দেখতে দেখতে রাত বারোটা বেজে গেল। তার পর দরজায় টোকা। জানি, পুলিশ। খুলে দিলাম। জিজ্ঞেস করলো আজকের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি কীনা। বললাম আমরা ঘটনার পরে এসেছি। নাম আর জন্ম তারিখ লিখে নিল। সব এপার্টমেন্টেই (বাংলাদেশে বলে ফ্ল্যাট) ওরা যাচ্ছিল।
কলকাতার দাদা এবং তুমি প্রসঙ্গ
গুনে দেখলাম এই নিয়ে চার জন কলকাতার বাঙালির সাথে আমার কথা হলো। আগের দুই জন হ্যামিলটনে, ম্যাকে পিএইচডির ছাত্র। আমি তখন মাস্টার্স করি। বয়সে আমার থেকে বড়, উপরন্ত বড় ভাইদের বন্ধু। আমাকে তুমি করেই বলেছিলেন।
এবার কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের একটা কোর্স অডিট করছি। প্যাটার্ন রিকগনিশন। পুরাটাই স্ট্যাটিসটিক্যাল টুলের ব্যবহার তা আগে জানা ছিলনা। সেখানে কলকাতার দুই দাদার সাথ দেখা হলো। জানালাম আমি পিএইচডির ছাত্র, এবার ৩য় বর্ষে। ওনারা মাস্টার্স করতে এবারই এসেছেন। আমাকে অবাক করে দিয়ে তুমি করে বলা শুরু করলো। (চিন্তিত)। কিছুটা বিরক্ত হলেও বুঝতে দেইনি।
জানতে চাইছি কলকাতায় কি এমনটাই চলন? প্রথম দেখাতেই কাউকে তুমি করে বলা?
মন্তব্য
আমার পর্যবেক্ষণ বলে বাংলাদেশীরা আপনি দিয়ে শুরু করে তুমি ও তুই তে যায় আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা তুমি দিয়ে শুরু করে দ্রুত তুই তে যায়।
----------------------------------------------------------------------------
জাহিদুল ইসলাম
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমারও তাই পর্যবেক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীরা দেখেছি প্রথম দেখাতেও স্বাচ্ছন্দ্যে তুমি করে ডাকেন। প্রথম প্রথম কানে লাগতো। এখন তো বেশ ভালোই লাগে।
আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছি, আমার মা-খালাদের দেখেছি পাড়াতো বন্ধু বা আমাদের বন্ধুদের মা'দের আপা আর আপনি করে ডাকতে। এখানে কলকাতার মায়েরা দেখি একে অন্যকে নাম ধরে ডাকেন আর তুমি করে বলেন। এটাও বেশ লাগে আমার।
শুভ প্রত্যাগমন
জি ভাইয়া, ওরা সবসময় তুমি বলে। এইটা ওদের প্রথার মতো। আপনির চল কম। এইটা আমদের কানে একটু খট করে লাগে।
গোলাগুলি করতে মঞ্চায়
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ঢিশ-ঢিশ-ঢিশ-ঢিশ-ঠা-ঠা-ঠা-ঠা-ঢিচউয়া
প্রহরী নিশ্চই সাপ্লাই দিতে পারবে
যাক অনেকদিন পর আপনের লেখা পাওয়া গেলো
-----------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
পশ্চিম বঙ্গে না শুধু উত্তর বঙ্গেও এমনটা হয়।
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনেকদিন পর লিখতে এসেই খারাপ সংবাদ দিলেন... সাবধানে থাকবেন। এরকম আধুনিক দেশেও যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই দশা হয়, তাহলে তো চিন্তারই কথা...
পুনশ্চ. আমি আবার ভাবসিলাম আপনার বাসায় কোনো কানাডিয়ান সুপারস্টারের শুটিং হলো নাকি
আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম
কলকাতার "ঘোড়ার পিঠে চেপেছি" টাইপের বাংলা শুনলেই বুঝি ওরাও আমাদের বাংলা শুনে আড়ালে হাসে
ধন্যবাদ।
দলছুট।
===========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।
শুটিং শুনে আমি আবার ভাবলাম আপনি হিরো হয়ে গেলেন কী না?
কলকাতার অধিকাংশ মানুষকেই দেখেছি প্রথম কথা থেকেই তুমি বলে, ছোট বড় সবাইকেই। আমি নিজে ছোটবড় সবাইকে আপনি বলি। কিন্তু ওদের এই ব্যাপারটা ভালো লাগে আমার।
শেষ উপশিরোনামে কলকাতার বদলে কলতা হয়ে গেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু ভাই। ঠিক করে দিলাম। তাড়াহুড়া করে লিখতে গিয়ে এরকম হয়েছে। যাক কলকাতার ব্যাপারটা বিস্তারিত জেনে ভালো লাগলো। আমারই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনার লেখা ছবি ছাড়া কেন?
আপনি এখনো শহীদ হননি!
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম...
কয়েকটা ড্রাইভ বাই শুটিং করতে মন চায়...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমিও আশ্চর্যবোধক হইয়া আছি ! আপনার পোস্ট ছবিহীন !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লীলেন ভাই এবং রণদা,
ছবি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ সচলে এখন অনেক ভালো ভালো ছবি পোস্ট হইতেছে। যদি ভাল ছবি তুলতে পারি কখনো তখন দেবো।
আপনাদের আশা আমাকে করেছে ধন্য।
পিপিদা অনেকদিন পর আপনার লেখা পেয়ে ভালো লাগলো।
আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার বাসায় কোন নাটক বা অন্যকিছুর শুটিং করা হয়েছে, পরে দেখি ঘটনা সিরিয়াস। সাবধানে থেকেন ।
----------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
সাসপেক্টের বিরুদ্ধে কানাডা-ব্যাপি গেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়েছে। টরন্টোর লোকজনও সাবধানে থাকবেন। আমেরিকাতে বোধহয় এসব ডালভাত।
জাহিদ ভাই, যুধিষ্ঠির, বন্যরানা, বর্ষা, উদ্ভ্রান্ত পথিক, অনিন্দ্য রহমান, প্রহরী, রায়হান, স্কোপ, শাহেনশাহ বাদশা, একজন অতিথি লেখক -- আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ
সুহান রিজওয়ান ভাই, আপনি সচল হয়েছেন কবে মনে পড়ছেনা। হয়তো দেখেছি কিন্তু মনে করতে পারছিনা। সচলপ্রাপ্তিতে বিশেষ অভিনন্দন।
কম্প্রিহেন্সিভ শেষের অভিনন্দন ভাইয়া!
শুটিং দেখতে মঞ্চায়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অনেকদিন পরে লিখলেন৷
পশ্চিমবঙ্গে "তুমি'র চল একটু বেশীই৷ খুব বয়স্ক বুড়োসুড়ো লোক দেখলে সাধারণত: "আপনি' বলে লোকে৷ আবার সুনীতি চাটুয্যে ধরণের কিছু লোকও আছেন যাঁরা কচি বুড়ো নির্বিশেষে সবাইকে "আপনি' বলেন৷ তবে এঁরা সংখ্যায় বেশ কম৷
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী যদি কিছুদিন উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লী হরিয়ানা অঞ্চলে কাটিয়ে তবে বাইরে যান, তাহলে অনেকসময় স্বভাব বদলে যায়৷ উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লী হরিয়ানা অঞ্চলে আপনাদের মতই ব্যপক "আপনি'র প্রচলন৷ ওখানে ৩-৪ বছরের শিশুকেও বয়স্ক লোকেরা বলবেন "বেটা আপ ক্যায়সে হো?' (বেটা, আপনি কেমন আছেন?) কিম্বা বেটা/বেটি আপ কুছ লোগেঁ? (বাচ্চা, আপনি কি কিছু খাবেন?) ইত্যাদি৷ ওঁদের অনেক শব্দও বাংলাদেশে ব্যবহৃত শব্দের সাথে মেলে৷ যেমন জ্বি (হ্যাঁ অর্থে) বা নাশতা (জলখাবার বা টিফিন অর্থে)৷
আবার মহারাষ্ট্রে লোকে অবাধে "তুই' বলে৷ স্বল্প পরিচিত লোকও আমাকে দিব্বি জিগ্যেস করেছে "তু কাসা আহে? (তুই কেমন আছিস?) এদিকে দিল্লী অঞ্চলে কাউকে "ভাই' কিম্বা "ভাইয়া' বলা মানে বেশ সম্মান দেওয়া৷ ওদিকে মুম্বাইতে অচেনা কাউকে দুমদাম "ভাই' বলে ডাকলে মারধোরও খেতে হতে পারে৷ কারণ মুম্বাইতে আঞ্চলিক পরিভাষায় ভাই মানে ডন বিশেষ (দাউদ ইব্রাহিম টাইপ৷)
শেষ কথা হল, আপনি যখন ব্যপারটা পছন্দ করছেন না, তখন ওঁদের সরাসরিই বলে দেখুন না৷ আশা করি ওঁরা আপনার কথা শুনলে আপনাকে "আপনি' করেই উল্লেখ করবেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দময়ন্তী, বিস্তারিত লেখার জন্য। ভাগ্যিস প্রথম দর্শনেই আমার বিরক্তির কথাটা ওনাদের জানিয়ে দেইনি! তাহলে ওনারা কী লজ্জাই না পেতেন। ভালো থাকবেন।
অনেকদিন পরে লিখলেন৷
পশ্চিমবঙ্গে "তুমি'র চল একটু বেশীই৷ খুব বয়স্ক বুড়োসুড়ো লোক দেখলে সাধারণত: "আপনি' বলে লোকে৷ আবার সুনীতি চাটুয্যে ধরণের কিছু লোকও আছেন যাঁরা কচি বুড়ো নির্বিশেষে সবাইকে "আপনি' বলেন৷ তবে এঁরা সংখ্যায় বেশ কম৷
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী যদি কিছুদিন উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লী হরিয়ানা অঞ্চলে কাটিয়ে তবে বাইরে যান, তাহলে অনেকসময় স্বভাব বদলে যায়৷ উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লী হরিয়ানা অঞ্চলে আপনাদের মতই ব্যপক "আপনি'র প্রচলন৷ ওখানে ৩-৪ বছরের শিশুকেও বয়স্ক লোকেরা বলবেন "বেটা আপ ক্যায়সে হো?' (বেটা, আপনি কেমন আছেন?) কিম্বা বেটা/বেটি আপ কুছ লোগেঁ? (বাচ্চা, আপনি কি কিছু খাবেন?) ইত্যাদি৷ ওঁদের অনেক শব্দও বাংলাদেশে ব্যবহৃত শব্দের সাথে মেলে৷ যেমন জ্বি (হ্যাঁ অর্থে) বা নাশতা (জলখাবার বা টিফিন অর্থে)৷
আবার মহারাষ্ট্রে লোকে অবাধে "তুই' বলে৷ স্বল্প পরিচিত লোকও আমাকে দিব্বি জিগ্যেস করেছে "তু কাসা আহে? (তুই কেমন আছিস?) এদিকে দিল্লী অঞ্চলে কাউকে "ভাই' কিম্বা "ভাইয়া' বলা মানে বেশ সম্মান দেওয়া৷ ওদিকে মুম্বাইতে অচেনা কাউকে দুমদাম "ভাই' বলে ডাকলে মারধোরও খেতে হতে পারে৷ কারণ মুম্বাইতে আঞ্চলিক পরিভাষায় ভাই মানে ডন বিশেষ (দাউদ ইব্রাহিম টাইপ৷)
শেষ কথা হল, আপনি যখন ব্যপারটা পছন্দ করছেন না, তখন ওঁদের সরাসরিই বলে দেখুন না৷ আশা করি ওঁরা আপনার কথা শুনলে আপনাকে "আপনি' করেই উল্লেখ করবেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
রাগিবের পদ্ধতিই ভালো লেগেছে।
একজন তাঁর কালচার অনুযায়ী বলছে, আপনি আপনার কালচার অনুযায়ী বলবেন। ঐ কালচারের চাপে নিজের কালচার ছেড়ে দেবেন কেন?
গোলাগুলির কথা পড়ে ভয় পেয়েছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই, গোলাগুলির দেখে তো ভয়ই পেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের আস্বস্ত করেছে যে তারা ঐ এলাকায় টহল বাড়িয়েছে, বিল্ডিংএর মালিক এখন ২৪ঘন্টা মানব-সিকিউরিটি বসিয়েছে (আমাদের সিসিটিভি নেই)। নানা কারবার। ভাবছিলাম ছেড়ে চলে যাবো, তার আগেই এত কিছু!
অনেক দিন পরই লিখলেন। সাবধানে থাকবেন কিন্তু।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ইরাদা আছে, পিএইডি যেদিন শেষ হবে,
- দিগম্বর বেশ নিয়ে একটা দৌড় দিব।
- না পারলে, একই বেশে গাড়ী নিয়ে একটা চক্কর দিব।
- তা নাও পারলে, মেরিবেনরঙ (স্থানীয় নদীর নাম) এ একটা গোসল দিব।
তাহলে আপনাকে নিয়েই তখন কস্কি মমিন পর্ব লেখা যাবে।
পিপিদা,
বহুৎদিন পর লেখার ছিপি খুললেন!!
আপনার পশ্চিম-বঙ্গীয় অভিজ্ঞতা শুনে আমার নিজের কিছু ঘটনা মনে পড়ে গেল।
১। একজনের সাথে দেখা হয়েছিল যে শুরুতেই 'তুই' করে কথা বলা শুরু করে দিয়েছিল---কারণ? জানিনা। আমিও তার সাথে বাকীটা সময় 'আপনি' চালিয়ে গেছি--কারণ? আগে তারে জিগান---
২। আমি যে ল্যাবে কাজ করি---সেখানে সিনিয়র একজন দাদা ছিলেন। তো একদিন কম্পিউটার ল্যাবে বসে তার সাথে আলাপ করছি।একটু সামনে বসে আছেন দেশ থেকে বেড়াতে আসা আমার এক স্যার। তো আমার সেই দাদা আমাকে একটা জিনিস ব্যাখ্যা করছেন এই ভাবেঃ
'বুঝলি তো, 'মালটা' এই পাশের সিলিন্ডার থেকে ঐপাশের সিলিন্ডারে চলে যাবে এই ছোট্ট ক্যাপিলারি দিয়ে। তারপর মালটা বের করে নিবি। মালটা যখন ঠান্ডা হয়ে আসবে তখন মালটাকে এসিটন দিয়ে----তারপরে আবার ওই চেম্বারটাতে মালটা ঢুকিয়ে দিবি'। পরে সন্ধ্যায় যখন আমার সেই স্যারের সাথে দেখা করতে গেছি, স্যার দেখলাম গল্প করছেন, 'মাল' শুনে প্রথমে কী রকম ভড়কে গিয়েছিলেন, সেটা নিয়ে। পরে অবশ্য দেখেছি পশ্চিম্বঙ্গের প্রায় অধিকাংশ দাদারাই 'মাল'ভক্ত। সেদিন গিয়েছি একজনের বাসায়। তাদের নাটক হচ্ছে পুজো উপলক্ষে। সেইখানে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বা নেপথ্য সঙ্গীত দিচ্ছি। তো সেখানেও শুনলাম, ইয়ে তারেক, তোমার মালটা এইদিকে পাস করো দিকি ভাই----
অভিনন্দন!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বাহ্ আসলেই অনেক দিন পরে, তোরে অনেক মিস্কর্ছি। সচলে ওয়েল্কাম ব্যাক
জানতে চাইছি কলকাতায় কি এমনটাই চলন? প্রথম দেখাতেই কাউকে তুমি করে বলা?
আপনিও তুমিই বইলেন, নইলে আবার মাইন্ড খায়। উনারা বয়স নিয়ে খুব কনশাস থাকেন.............।।.।।...।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- শুটিং শুনে ভাবলাম বাহ, আমাদের পিপিদা তাহলে সিনেমায় নাম লেখালেন বুঝি! ওমা, পরে বুঝলাম ওটা আসলে শ্যুটিং, মানে গোলাগুলি... ঢিঁচ্চুউ!!
পরীক্ষা টরীক্ষা সব সিস্টেম লস পিপিদা। এইসব থেকে যতো পারেন দূরে থাকেন। আপনি একদিন আপনার সুপারভাইজারকে বলতে পারেন যে দেখো আমরা সাম্যবাদীর দেশে আছি। তাই আমি যেরকম পরীক্ষা দেই তেমনি তোমারই উচিৎ আমার মতো করে পরীক্ষা দেয়া। আর এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করবো আমি। হিসাব খাল্লাস। যদি রাজী না হও তাইলে আমারে আর পরীক্ষা দিতে কবার পারবানা কলাম, হুঁ!
আপনার ফটুক তোলার কী হলো? চলছে কেমন? অনেকদিন হলো আপনার সেরকম সেরকম কোনো ফটুক দেখতে পাচ্ছি না। এইটা তো হতে দেয়া ঠিক না। আমাদেরকে কানাডার মহিয়সী রমনী আর প্রকৃতি— দুই থেকেই বঞ্চিত করছেন গো দাদা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন