আজ অক্টোবরের ১০ তারিখ। ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরে বেশ ঠান্ডা। রাতে ফ্রস্ট ওয়ার্নিং দিয়েছে। তার মানে রাতের কোন এক সময় তাপমাত্রা শুন্যের কাছাকাছি চলে আসবে যার ফলে মাটির কাছাকাছি বা রাস্তার উপরে হালকা বরফ জমতে পারে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একদিন এদের পূর্বাভাষ সঠিক হয়েছে। সেটা ছিল শনিবারের বৃষ্টি সম্পর্কিত। ওয়ার্নিং ইস্যু করতে এরা ওস্তাদ। কিছুমিছু একটা সম্ভাবনার কথা ঝুলাবেই ঝুলাবে। আজই দুপুরে একটু রোদ উঠেছিল। গাছের পাতারা সবুজ-কিংবা-আধা-সবুজ থাকতে থাকতেই বাতাসের ধাক্কায় পড়ে যাচ্ছে। লাল হওয়ার সময় আর পেলনা। এবার বুঝি ফল (Fall) আর আসেবেনা।
এবার কেন যেন ফলের অপেক্ষায় রয়েছি। সুপ্ত একটা বাসনা হয়তো রয়েছে এর রঙ ক্যামেরায় ধরার। গত দুই বছরের কথা মনে পড়ছে-- গতবারের আগেরবার চোখের সামনে পাতাগুলো কী সুন্দর হলুদ হয়ে গেল, তার পর লাল, তারপর গাঢ় লাল। তারপর ঝরে পড়া। আর গতবার হলুদ হতে হতে হঠাৎ একদিন ঝড়ে সব পড়ে গেল। এবার রঙিন হওয়ার আগেই বাতাসে সব পাতা পড়ে যাচ্ছে।
নতুন সেমিস্টারে সময় কিভাবে যেন চলে যাচ্ছে। একদম সময় করতে পারছিনা। ফটোগ্রাফিতেও আগের মত আগ্রহ পাচ্ছিনা। হয়তো পরিবেশটাই দায়ী। ক্যামেরায় ধরার মতো কিছু হয়তো নজরে পড়ছেনা। অধিকাংশ সময়ই পড়াশুনা নিয়ে কাটাতে হচ্ছে। ২ বছর তো গেলো এবার কিছু একটা দেখাতে হবে। সুপারভাইজার নিয়মতি তাড়া দিচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে মিটিং; কিছুনা-কিছু অগ্রগতি দেখানো চা-ই চাই। সেরকম কিছুমিছু কাজ হয়েছে বটে।
অনেকদিন ধরে বাইরে যাওয়া হয়না। সর্বশেষ বোধহয় রঁডিউ প্রাদেশিক পার্কে গিয়েছিলাম। শীত শুরুর আগেই ঘোরাফেরা শেষ করে নিতে হবে। দেখি কাল হয়তো লন্ডনের দিকে যাবো। আবহাওয়া ভালো থাকলে হয়তো আশেপাশের লেক থেকে ঘুরে আসা যাবে। চাইকি একটা ফটোব্লগও দেয়া যেতে পারে।
আজ বিপ্র'র সাথে অনেকদিন পর কথা হলো। লন্ডনে গেলে কাল হয়তো ওর সাথে আবারো দেখা হবে। অনেকদিন পরে লিখে ভালই লাগছে। লেখার বিষয় না থাকলেও টুকটুক করে দুইএক প্যারা আসলে লেখা উচিৎ। ধারাবাহিকতা রাখলে বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হবে।
মন্তব্য
ফটোব্লগটি দ্রুত পাঠানারে দোস্ত! বঙ্গ থেকে চাতকের মত চেয়ে আছি।
আর খবরদার লেখা কিন্তু চালিয়ে যাবি আর যাই হোক একটা সিন্ধুতো তৈয়ারী হোক। নাকি?
এস হোসাইন
--------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
আপনি কে ভাই? একেবারে তুইতে চলে গেলেন যে । চিনতে পারছিনা তো।
হু ঠাস করে ঠান্ডা পড়ে গেল। আজকে অবশ্য ওয়েদার খুব সুন্দর ছিল। আপনার আগের ফলের কিছু ছবি পুষ্টান।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হুম....ফলের ছবির অপেক্ষায় থাকলাম।
বিদেশ থাকলে কত সুন্দর সুন্দর গল্পের প্লট পাওয়া যায়!!
ভালো লাগলো আপনার লেখা।
দলছুট।
গল্প কোথায় পেলেন দলছুট? এটাতো সামান্য ব্লগরব্লগর। আপনি এখান থেকেও গল্পের প্লট পেলে তো দারুণ ব্যাপার। একটা লিখে ফেলুন ঝটপট
এইবার ওয়েদার আসলেই বেজায় খ্রাপ। ঠান্ডা অনেক আগেভাগেই পড়ে যাচ্ছে। আর লন্ডনে আরো জঘন্য ব্যাপার হচ্ছে বৃষ্টি। আমিও দৌড়ের উপ্রে আছি, কিভাবে সময় চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। দেখা যায় লিখতে গেলে একই ত্যানা বারবার প্যাঁচানো হয়ে যায়। তাছাড়া লেখার মান নিয়ে যেভাবে জরিপ টরিপ শুরু হয়েছে তাতে আর দু'এক প্যারা লেখার সাহস পাই না...
গুগল ম্যাপে ঠিকানাটা দেখে রেখেছি, ভার্সিটির কাছাকাছিই ... কাল দেখা হবে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমিও বেশ ভয়ে ভয়েই প্রথম পাতায় দিলাম। প্রথমে নিজের ব্লগেই দিয়েছিলাম।
আমিও ভাবতেছি আগামী সপ্তাহে দু'এক প্যারার একখান ব্লগ লেখুম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দোস্ত ফলের কিন্তু একটা চমৎকার বাংলা প্রতিশব্দ আছে-- শরৎ।
শরৎকাল বললে কি একটু খাপছাড়া শোনাতো?
আমাদের শরৎ (বা হেমন্ত) আর এইখানের ফল কিন্তু এক না, দুইটার চরিত্র আলাদা ... ফল শুনলেই টকটকা লাল রংয়ের কথা মনে হয়, সেটা শরৎ-হেমন্ত দিয়ে বোঝানো যাবে না মনে হয় ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
শরৎ মানে তো অটাম। তাইনা? এদের ফল কি অটাম? ওহ তাইতো। ঠিকাছে ঠিক করে দেই। (নাহ, কিংকুর মন্তব্যের পরে আবার ফলেই ফিরে গেলাম )
আমাদের এইখানে ফল বলেনা, অটাম বলে।
ফলের সাথে মনেহয় মেলেনে চরিত্রে তাই আরকি !
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ভালো লাগল।
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ, পিপিদা ছবির পোস্ট মারেন না আজকাল। মাইরা দেন একটা সুযোগ বুইঝা...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আমিতো পরীক্ষার ফল ভেবেছিলাম।
আমরাও শীতের অপেক্ষায় আছি!
....................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
বলেন কি - আমার তো খাওন দাওনের ফলের কথা মনে হইছিলো - মনে করছি পিপিদা গাছ লাগাইসে - তাতে ফল ধরতাসে না - সারাদিন ল্যাবে বসে ক্ষিদা লাইগা গেসে, ক্ষিদা প্যাটে পড়াশুনা করলে যা হয়
গাছ লাগইতেছি, ফল ধরতে সময় লাগবে
আমাদের এখানেও প্রকৃতির একই অবস্থা। পাতায় রঙ লেগেছে, ঝরেও যাচ্ছে সহসা। ছবিটি তুলে সাথে সাথেই আপলোড করলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সবখানেই দেখি একই অবস্থা! আমাদের এখানেও আপনার ওখানের মতোই মনমরা ভাব।
ছবিটা ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আহা পুরানো ফলের ছবি দিন না৷ আপনার নিশ্চয় ঘ্যামা সব ছবি আছে, তাই দিন না কটা৷
আর "ফল' এর বাংলা শরত্ হয় না ঠিক৷ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ঠিকই বলেছেন৷
আমি ভাবছিলাম শুধু লন্ঠন নিয়ে একটা ছবিব্লগ দেব, কিন্তু ছবিগুলো মোবলিতে তোলা, ভাল না৷ তাই আর ভয়ে ভয়ে দিলাম না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দেয়ার মতো ছবি নাইগো দময়ন্তী, সেজন্যই তো অধীর হয়ে বসে আছি। কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক
আপনার লন্ঠন ব্লগ দিননা, দেখি।
হে হে।
এইখানে গ্রীষ্ম আসতে আর মাত্র ক'দিন বাকি ভাই! পৌনেপাৎলুন পইরা বারবিকিউ করুম খালি।
আরামে আছেন বোঝাই যাচ্ছে।
ফাঁকিবাজি পোস্টে মাইনাস
তাহলে আপনাকে কী দিবো আপনিই বলেন
কয়দিন পরে তো আপনাদের সামার শুরু হচ্ছে; ঘোরাঘুরি করেন আর সামারের ঝকঝকে ছবি দিয়েন।
ডোরা সাপ জোসনা খাইল চাইটা-পুইটা, আর একটা নীল ঘোড়া হঠাত করে চিঁচিঁ করে উড়াল দিল, এক্কেবারে হ্রদের মাঝখানে --- এইরকম একটা লেখা ছাড়েন। আগে না একবার দিছিলেন।
বস, ঐসব লেখা কালেভদ্রে বের হয়। ঐরকম ভাব তো আর আসেনা। পেপার, প্রোগ্রাম, সিমুলেশন, থিউরি এসব এখন আমাকেই নীল ঘোড়া বানিয়ে ফেলেছে। নিজেরই এখন চিঁচিঁ করার দশা।
আমাগো এইখানে বসন্তকাল চলতেসে কিন্তু এমন আজিব আবহাওয়া গত কয়েক বছরে দেখিনাই। বৃষ্টি হইয়া ঠান্ডা ধরায়ে দিচ্ছে। আর সামনে আসতেসে আমাদের গরম কাল, এইবার যে গরমকালে কি ম্যাজিক দেখতে হয় কে জানে !!!
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
এগুলা কি তাহলে গ্লোবাল ওয়ার্মিংএর উপসর্গ?
ভাবগতিক একেবারেই সুবিধের নয়। তাইতো মনে হচ্ছে ...
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
সঠিক।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
নতুন মন্তব্য করুন