বিকেলের রঙ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১০/২০০৯ - ৮:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন কিংকং তার ব্লগে লিখেছিল জীবনটা বোধহয় ১৪ইঞ্চি মনিটরে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কথা একেবারে বাড়িয়ে বলা নয়। অল্পবিস্তর সবারই মনে হয় একই অবস্থা। সকাল সাড়ে ছয়টায় দিন শুরু হয়, সুর্য ওঠারও দেড় ঘন্টা আগে। ভাবতেই অবাক লাগে। দেশে থাকতে কোনদিন সূর্য ওঠার আগে উঠেছি বলে মনে পড়েনা। তেমনটি হতো শুধুমাত্র গ্রামে গেলে কিংবা দেহঘড়িতে ব্যাপক কোন পরিবর্তন ঘটলে। এখানে দিনের প্রায় নব্বই ভাগ সময়ই কাটে মনিটর নিয়ে। আমার পড়াশুনার যে ধরন, তাতে কাজকারবার সব এই চোদ্দ ইঞ্চি মনিটরের সামনেই। তার উপর এক ট্যাবে জিমেইল, আরেক ট্যাবে সচলায়তন: এ দুটো খোলা থাকবেই।

ফল (Fall) অবশেষে এলো। প্রকৃতি হলুদ হলো, লাল হলো, কমলা হলো, পাকা আমের মতো রঙ ধারণ করলো। কিন্তু আকাশ তার গোমরা মুখ আলোকিত করলোনা। হঠাৎ ঘন্টা খানিকের জন্য হয়তো সূর্য দেখা দেয়, বাকী সময় আবারো সেই মেঘলা অন্ধকার। গত দুইদিন তেমনি আলোকিত ছিল। হলে হবে কি, বউয়ের মিডটার্ম পরীক্ষা, তাই ঘরদোর-বাচ্চা দেখাশোনার সাময়িক ভার আমার উপর।

সেদিন রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০০৯। মেয়ের সময় কাটাতে সাথে নিয়ে বাইরে বের হই। ঝকঝকে রোদ, ১৭ডিগ্রি সেলসিয়াস, সুন্দর আবহাওয়া। উইন্ডজরের সমস্যা হলো প্রচণ্ড বাতাস। সেদিক থেকে এখন ভালই আছে- বাতাস নেই বললেই চলে। আমার হাতে ক্যামেরার ব্যাগ। মেয়েকে ক্যামেরার ব্যাটারি কেন কিনে দিচ্ছিনা সেটা নিয়ে কিছুক্ষণ গাঁইগুঁই করে বাইনোকুলার ঘাড়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।

ইউনিভার্সির কাছাকাছি (ওয়াইনডট আর আসকিন এভিনিউ) একটা জায়গায় ম্যাপল গাছগুলোর গায়ে যেন আগুন ধরে গিয়েছে। ছবি তুলে সেটা দেখানো অসম্ভব। তবুও ডকুমেন্ট হিসেবে রাখার জন্যই তোলা। এসব ছবিতে ডিটেইলস আনতে হাই কোয়ালিটির লেন্স দরকার; আমার সেটা নেই। অথবা ক্লোজআপ করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে পুরো পরিবেশটা ধরা সম্ভব নয়।

ছবি: ১ (বড় করে দেখাও)
IMG_4388

ছবি: ২
IMG_4379

ছবি: ৩
IMG_4384

ছবি: ৪ (আমার মেয়ের তোলা)
IMG_4390

আমার দেখাদেখি মেয়েও ছবি তুলতে চায়। প্রথম প্রথম ক্যামেরা দিতে ভয় পেতাম। এখন দেই। বাচ্চাদের গুরুত্ব না দিলে তারা দায়িত্ববান হতে শেখেনা। আমি ক্যামেরা ধরে রাখি, ও লুক থ্রু করে। অটো ফোকাস করা নিজেই শিখেছে: সাটার রিলিজ বাটনে অর্ধেক চাপ দিলে ফোকাস হয়, পুরা চাপ দিলে ছবি ওঠে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে শিশুরা কিভাবে পরিবেশ থেকে শিখে ফেলে। এমন না যে এদের হাতেকলমে শিখিয়ে দিতে হয়! শিশুরা বড়ই আজব জিনিস।

উপরের কাঠবিড়ালীর ছবিটি (ছবি:৪) মেয়ের তোলা। ছবি তোলাতে ওর হাত পাকছে তা বেশ টের পাচ্ছি। কাঠবিড়ালীটা বাঁ পাশে ঘাসের উপরে ছিল। আমি বললাম, মা ওটার ছবি তোল। ক্যামেরা তাক করতেই লাফিয়ে লাফিয়ে সরে গেল ওটা। মেয়ে নিজেই ক্যামেরা প্যান করে ফোকাস করে ছবি তুলে ফেলল। ভাবিনি এত সুন্দর করে কম্পোজ করতে পারবে (বাচ্চাদের সাপেক্ষে)। এসএলআর ক্যামেরা বড়দের হাতে দিলেও অনেকেই ক্যামেরা আনুভূমিক রাখতে পারেনা। সে তুলনায় ভালই তুলেছে।

যখনই বাইরে বের হই, তখনই সে ধরে নেয় ন্যাচার পার্কে যাচ্ছি। তাড়া দিচ্ছিল কখন ন্যাচার পার্কে যাবো। বাইনোকুলারের সদ্ব্যবহার করতে হবে তো! নিয়ে গেলাম পার্কে। ততক্ষণে বিকেল হয়ে প্রায় আঁধার নেমে এসেছে। রবিবার বলে একদল মানুষ পিকনিক করতে এসেছে। আহারে, কয়দিন পরেই এগুলো ঢেকে যাবে বরফের সাদা চাদরে।

ছবি: ৫
IMG_4398

মেয়েকে শেখালাম কিভাবে বাইনোকুলার এ্যডজাস্ট করতে হয়। টিউনিং রিংটা একটু শক্ত, নিজে এখনো ঠিকঠাক করতে পারেনা। স্বল্প পানিতে ম্যালার্ড ভেসে বেড়াচ্ছে খাবারের খোঁজে-- সেই দৃশ্যই দেখছে নিবিষ্ট মনে।

সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসি ঘরে, আবারো বন্দি হই চোদ্দ ইঞ্চি মনিটরের পর্দায়। জীবনটা এভাবেই চলে যাচ্ছে। কবে যে তীরন্দাজের মতো ঘুরতে ফিরতে পারবো!

বি.দ্র. এটি ছবিব্লগ নয় হাসি


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

১ নাম্বার ছবিটা দুর্দান্ত! কনট্রাস্টটা চমৎকার লাগছে দেখতে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু। ১ নাম্বারটার বড় ছবিটি এখানে দেখা যাবে।
...............................
নিসর্গ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিমুর মত আমারও। তবে দ্বিতীয় (ও/এবং তৃতীয়) ছবিটার মতো ছবিগুলোকে এইচডিআর করলে 'লেগে যাওয়া আগুন'টা বোধহয় একটু হলেও ধরা যায় ক্যামেরায়। নাকি ভুল বললাম পিপিদা?

পিপিকন্যা তো বাপের নাম রাখবে মনে হচ্ছে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কি জানি, ট্রাই তো করিনি। আর র ফাইলগুলোও ডিলিট করে দিয়েছি। এগুলো তেমন উল্লেখযোগ্য ছবি নয়। শুধু সময়কে ধরে রাখার জন্য তোলা আরকি। ফটো আর্ট হিসেবে না নিয়ে ফটোজার্নালিজম হিসেবে নেয়া যেতে পারে হাসি আমাকে দিয়ে আর্ট হয়না।

তবে একটা বিষয় দেখলাম, ফলের ছবি কিছুতেই ক্যামেরায় ধরতে পাচ্ছিনা। কেউ কি কোন টিপস দিতে পারেন? ভালো লাইট একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। সকালের রোদে কিংবা বিকেলের-- কোনটাতেই তো সুবিধা হচ্ছেনা।

সাফি এর ছবি

গাছ যেদিকে, তার বিপরীতে যখন সূর্য থাকে, ওই সময়টায় আমি সাধারনত ভালো ছবি পেয়েছি। এজন্য সচরার যেটা করি, পশ্চিম দিেক গাছগুলোকে রেখে ভোর ৬টায় যেয়ে হাজির হই। ছবি উত্তম হয়েছে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সেরকম লোকেশনও কিন্তু চাই।
...............................
নিসর্গ

জি.এম.তানিম এর ছবি

পাতার রঙ খুবই সুন্দর... কেমন যেন স্বপ্নের মতন...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রেশনুভা এর ছবি

প্রথম ছবিটার গাছের শাখা-প্রশাখার উপর আলো-ছায়ার খেলাটা চমৎকার। সুন্দর সব ছবি।

ভুতুম এর ছবি

১নংকেও ম্লান করে দিয়েছে ৪নং। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন। দারুনতর। দারুনতম।

মহসীন রেজা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রং তো নয় যেন আগুনের গোলা, আপনার কাছে আসতেই হবে ক্যামেরাটা কিন্না লই খালি, ঝাড়ু দিয়া পিটায়ও বাসা থিকা ভাগাইতে পারবেন না দেঁতো হাসি

১,২ দেখলে বুকের মাঝে কেমন শান্তি শান্তি হয়, মনে রঙিন নেশা ধরে। রঙিন পানি খাইতে মন চায়, খালি যদি রঙিন পানি খাইতে সুস্বাদু হইত ইয়ে, মানে...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তুই আসলেই পাগলা রে। তুই ডাক্তার হইলি কিভাবে?

(পোয়েটিক তুইতোকারি)

...............................
নিসর্গ

মৃত্তিকা এর ছবি

খুবই সুন্দর ছবি পিপিদা, বিশেষত ১,২,৩।
১ নং সংগ্রহে নিলাম হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

আমার আবার ৩ নংটাই বেশী পছন্দ হল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অম্লান অভি এর ছবি

বিদ্যুতের তার আর ল্যাপটা ২ ছবিটাকে একটু ম্লান করল। সামগ্রিক ভাবে বেশ সুখপাঠ্য এবং মনোরমও। শিশুরা শুধু শেখে না ওরাই সবচে ভালো অনুকরণকারী হয় কারণ কোন বোধ যুক্ত করে না অনুকরণের প্রকাশ বা ব্যবহারের সময়। যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনুকরণে নিজের বোধ যুক্ত হয়। তাই ওর ছবিটা বাবার ঝোক আর ষ্ট্যাইল পূর্ণ অনুকরণীয়ই হয়েছে। আমার দেখা কালো কাঠবিড়ালি এটাই প্রথম। তাই ছবি ৪ সংগ্রহে রাখব।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ, অভি ভাই।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

১ আর ৪ আসলেই অসাধারণ। সত্যি, চমৎকার...

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ওডিন এর ছবি

প্রতিভাবান বাচ্চাকাচ্চা দেখলে আমি নিজের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটু হীনমন্যতায় ভুগি, নাইলে বলতাম চার নম্বরটা সবচে বেশি সুন্দর! এখন বলবো ১,২,৩, আর বাকিগুলা।
আপনার পিচ্চি বড় হয়ে দুর্দান্ত একজন ইকো-ওয়ারিওর হোক- এই আশা রাখি! প্রকৃতিপ্রেমিক প্লাস প্রকৃতিযোদ্ধা!

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ ওডিন!

আমিও চাই প্রকৃতির প্রতি ওর ভালোবাসা জন্মাক। মেয়েরা সাধারণত বাবাকেই অনুসরণ করে, আমার মেয়েও অনেকটা সেরকমই। হাসি
...............................
নিসর্গ

মূলত পাঠক এর ছবি

সুন্দর ছবি।

ফলের ছবি আমি একভাবে তুলে দেখেছি, যাতে আগুন লাগাটা না এলেও একটা মায়াবী ব্যাপার হয়। কোনো ছাতার মতো ছড়ানো (মানে কিছুটা ছায়াচ্ছন্ন হতে হবে) গাছের নিচে থেকে সেই গাছেরই পাতার মিড-শট বা ক্লোজ-আপ তুললে থ্রি-ডি এফেক্ট আর আলোছায়ার খেলা দুটোই আনা সম্ভব। তবে অনেক খুঁজে অ্যাঙ্গেল বের করতে হয়, কারণ অতো কাছ থেকে কখনো একগাদা ডালপালা এসে যায়, কখনো রঙের বৈচিত্র্য কম পড়ে যায়, আবার কখনো আলোর দিকে ছবি আসে। চেষ্টা করতে হবে আকাশ কম বা একেবারে না আনার, কারণ ক্যামেরা বেশি আলোকিত এলাকা পেলেই বাকিটা অ্যাডজাস্ট করে, ফলে পাতা অন্ধকার দেখায়। এই কম্পিউটারে ছবি নেই, বাড়িরটায় খুঁজে কখনো পোস্ট করবো।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠক ভাই। আপনার টিপস্-টা চেষ্টা করে দেখবো। আজকে আবারো মেঘলা দিন ছিল। গতানুগতিক মেঘলা দিনের মতোই, কোন আলো নেই। ছবি তোলা রীতিমতো অসম্ভব।

তবে পাতার ছবির চে আমার বেশী পছন্দ (বা ইচ্ছে করে) পুরো পরিবেশের ছবি তুলতে। কিন্তু এটাতে কিছুতেই সফল হচ্ছিনা মন খারাপ

চোখে যা দেখছি , ক্যামেরায় তার বিন্দুমাত্র আসছেনা।

...............................
নিসর্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবি খুব সুন্দর!!!
ভাল থাকুন।
সৈয়দ আফসার

আলমগীর এর ছবি

একটা আগুনলাগা ব্যানারের দাবী জানাই।

মামুন হক এর ছবি

তোর থেকে তোর মেয়ের তোলা ছবি বেশি ভাল্লাগছে হাসি
( মোটেও পোয়েটিক তুই-তোকারী না )

দ্রোহী এর ছবি

আমি যে কিছুই পারি না তা বারবার অনুভব করি সচলায়তনে এসে।

লেখা পড়ে ও ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছবির মতো সুন্দর!
...........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এক নাম্বার ছবিটা দারুণ! ব্যানার করে ফেলেন ওটা দিয়ে!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাই, উজানগাঁ যেরকমন একটা ব্যানার দিয়েছে, তার কাছাকাছি কিছু একটা করতেও আমার অন্তত এক বছর লাগবে হাসি

দেখি চেষ্টা করে দেখবনি।

অনিকেত এর ছবি

পিপিদা, ফাডাফাডি ছবি।
আমার ভুট তিন লম্বরে।
আপনার তোলা ছবি গুলো দেখতে দেখতে আমার স্ক্রীনেও আগুন ধরে গেল।

ভিন্ন প্রসঙ্গ ১: আমাদের পিপি কন্যার নাম কী?
ভিন্ন প্রসঙ্গ ২: আপ্নার উইন্ডজরের নাম শুনে মনে হল---উইন্ডের ঠেলায় জ্বর আসে যেখানে---হে হে হে ---

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য। আসলে কার যে কোন ছবি ভালো লাগে সেটা বোঝা কঠিন। আমার ভালোলাগার সাথে প্রায়ই অন্যদের ভালোলাগার দ্বন্দ্ব হয়।

পিপিকন্যার নাম তাসফিয়া।
উইন্ডজরের নাম শুনলে এমন ভাবনা ঠিকই আছে। এখানে শীত বেশ উইন্ডি হয়। হে হে হে ..
...............................
নিসর্গ

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

বাহ্ কি সুন্দর ছবিগুলো! ৪ নং ছবিটা বেশ! পিপিকন্যা কিছুদিন পর তো সচলে ফটোব্লগ দিবে দেখছি।

-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

সিরাত এর ছবি

এই টপিকটা নিয়ে একটা ফিলোসফিকাল পোস্ট লিখে ফেলা যায় - প্রকৃতি আর উত্তরাধুনিক মানুষের সম্পর্ক। হাসি

ভাল ছবি। সামান্য হিংসা লাগলো, ভালও লাগলো। এটা কোন জায়গা?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরে সিরাত যে, ভুল করে নাকি? দেঁতো হাসি

প্রকৃতি আর উত্তরাধুনিক মানুষের সম্পর্ক। বুঝিনা ভাই, জ্ঞান কম হাসি

ছবিগুলো কানাডার, উইন্ডজরে (উইন্ডজর আবার অনেক দেশেই আছে)।

রানা মেহের এর ছবি

প্রথম ছবিটা দেখে কেমন ব্যাথা ব্যাথা করলো চোখে
হঠাত রোদে চোখ খুললে কেমন আরামদায়ক ব্যাথা হয়না? সেরকম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্নিগ্ধা এর ছবি

'ফল' আমার অতি প্রিয় একটা সময়! চমৎকার সব ছবি! অনেকদিন আপস্টেইট নিউ ইয়র্কের ছোট একটা লেক দিয়ে ঘেরা পাহাড়ি শহরে ছিলাম। ফল যে সেখানে কী অপুর্ব বলে বোঝাতে পারবো না!

আমার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরলে আপনার মেয়ে এবং মেয়ের তোলা কালো (!) কাঠবেড়ালির ছবিটা দেখাবো। তার ফলে কী হবে জানি যদিও, তাও দেখাবো ...... অনেকদিন ধরেই তিনি একটা বাচ্চাদের ক্যামেরা চাচ্ছেন ... ইয়ে, মানে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবি দেখে যদি নতুন একজন ফটোগ্রাফার জন্মায় সেটা তো সৌভাগ্যের বলতে হবে হাসি বাচ্চাদের ক্যামেরা নয়, একটা ভালোই কিনে দেন। আমেরিকাতে ১৫০ ডলারের মধ্যে সুন্দর ক্যামেরা হয়।

এখানে দেখুন: http://www.photoprice.ca/product/02793. ফাইনাল দামটা ক্যানডার জন্য করা, আমেরিকার মধ্যে ফ্রি শিপিং (জেএন্ডআর, বিএন্ডএইচ এরা সেরা)।

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

কাঠবিড়ালি টাকে বেশি জোস লাগছে। হাসি arআর ছবিগুলাও।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রানা মেহের এবং পরী, দুজনকেই অশেষ ধন্যবাদ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মনে হচ্ছে একটা ক্যামেরা নিয়ে চলে যাই আপনার বাড়ি, সময়ে অসময়ে এরকম ছবি তোলার জন্য! কন্যাকে আদর!

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ও আচ্ছা! মেঘলা দিনে এইরকম রূপকথার গাছগুলোর ছবি কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর আসার কথা, তুলে দেখবেন একটু?

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিকাছে, চেষ্টা করে দেখতে হবে। সময় বের করতে পারাই ছবি তোলার চেয়ে বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর তো ...

অতিথি লেখক এর ছবি

পিচ্চির তোলা ছবিতে ৫তারা ! (আমার 1পিস ছোটবোনের নামও তাসফিয়া) আদর রইলো... *তিথীডোর

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ্ তাই নাকি? তাসফিয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
...............................
নিসর্গ

যূথচারী এর ছবি

ছবির কথা পরে, ছবি তো ভালই। কিন্তু জীবনটা যে ১৪ ইঞ্চি মনিটরে ডুবে যাচ্ছে, এটাই আসল জিনিস। পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে...। মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার- অনলাইনে থাকি প্রায় সারা দিন-ই। কিন্তু স্ক্রীনের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না। নিজেকে ছোট ছোট লাগে। মানে- মনে হয়, একটা বাক্স বা খাঁচার ভিতর বন্দী হয়ে আছি। (তবে ভালো ব্যাপার হলো- কাজের ধরনের কারণেই হোক বা অন্য যে কারণে- আজকাল অনেক বেশি আদিম জীবন কাটাচ্ছি)

ছবিগুলো দারুন। মাঝে মাঝে মনে হয়, এইসব ছবি টবি দেখি- ধানক্ষেত এবং বটগাছ দেখতে দেখতে ত্যক্ত হয়ে গেলাম! উইন্ডসর তো সমুদ্রের কাছে বলে শুনেছি, তারপরেও প্রচুর বরফ পড়ে নাকি? সমুদ্রের বাতাসে বরফ সব গলে যাওয়ার কথা না?

কন্যা ও পিতার যৌথ প্রচেষ্টায় সৃষ্ট পোস্টটা ভালো লাগলো।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যূথচারী ভাই, ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।

উইন্ডজর হলো দক্ষিণ-পশ্চিম কানাডার উষ্ণতম স্থান। এখানে বেশ বাতাস, বরফ পড়ে কিন্তু সেটা জমেনা। সেতুলনায় টরন্টো, কিংবা অটোয়াতে বরফ জমে বেশী। উইন্ডজরে রাস্তার পাশে এক-দেড় ফুট বরফ হয়তো জমে, কিন্তু অন্য শহরে আমি ৩/৪ ফুট পর্যন্ত বরফ দেখেছি।
...............................
নিসর্গ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।