::১::
এর আগে সর্বশেষ কবে জ্বরে ভুগেছিলাম মনে নেই। তবে এটুকু নিশ্চিত করে স্মরণ করতে পারি সাড়ে ছয় বছরের কম হবেনা। কানাডায় আসার পরে এবারই প্রথম জ্বরে পড়লাম। বাংলাদেশে যে সমস্যায় প্রতি বছর অন্তত দুই বার জ্বরে ভুগতাম, সেই টনসিলের ব্যথায় এবারো ভুগলাম। এখানে এরা বলে গলার ইনফেক্শন। শুক্রবার সারারাত ঘুমাতে না পেরে শনিবারে সকাল ৯টার মধ্যেই ওয়াক-ইন ক্লিনিকে হাজির হলাম। ১ ঘন্টা বসে থেকে ডাক্তার এসে ১ মিনিটের মধ্যে সমাধান দিয়ে দিলেন। ডাক্তার কানে আর গলায় টর্চের মতো একটা জিনিস দিয়ে আলো ফেলে দেখে বললেন, 'ইউ নীড টু গেট রিড অফ দ্যাট'। আমি ভাবলাম টনসিল অপারেশনের কথা বলছে নাকি। তারপর খস খস করে প্রেসক্রিপশনে ফাইমক্সিল লেখা দেখে বাঁচলাম। আহারে দেশে থাকতে এই ফাইমক্সিলের জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো নাকি! মোড়ের দোকান থেকে কিনে খেয়ে নিলেই হতো। এখানে আবার ডাক্তার ছাড়া কেউ এ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশনে লিখবে না, আর প্রেসক্রিপশন না থাকলে ফার্মেসীওয়ালাও ওষুধ দেবে না। যাহোক, গলার ইনফেকশন থেকে ব্যথা, তা থেকে জ্বর। জ্বর আর ব্যথা কমালাম ৫০০মিলি এ্যাডভিল দিয়ে। গলা সারতে হয়তো আরো দিন দুয়েক লাগবে।
::২::
সচলে ঢুকিনা কয়েক ঘন্টা হবে হয়তো, অথচ মনে হচ্ছে কতদিন। এর মধ্যে যখনই একটু ভালো লেগেছে তখনই কয়েকবার ঢুঁ মেরেছি। জ্বীনের বাদশাহর পোস্টটা দেখেছি। আরো কার কার পোস্ট যেন দেখলাম। মুখফোড়ের লেখা পড়লাম, কাগুর কার্টুন দেখলাম। 'কপি' মানে যে বান্দর সেটা আগে জানতাম না।
::৩::
ক্লাস এইটে ঢাকায় না আসলে হয়তো আমিও বগুড়া আযিযুল হক কলেজে পড়তাম। সেখানে পড়া হয়নি, যাওয়া হয়েছে মাত্র দুয়েকবার। আব্বা শিক্ষকতা করতেন, সে কারণেই বোধহয় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি এক ধরনের মায়া আছে। ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনা নিয়ে খবরের শেষ নেই। এমন কোন দিন যায়নি যেদিন এদের নিয়ে পত্রিকায় খবর বের হয়নি। এসব নিয়ে আজকাল কেউ লেখালেখিও করেনা। প্রথম আলো-তে ছবির স্লাইড-শো দেখছিলাম আর ভাবছিলাম হায়রে, এই যদি হয় ছাত্রদের অবস্থা! খবরের লিংক এখানে।
::৪::
আওয়ামী লীগের দুইজন মানুষকে যদি নির্বাচিত করতে বলা হয় তাহলে আমি বেছে নেব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর হাছান মাহমুদ-- এই দুজনকে। তাই, পত্রিকায় এই দুজন মানুষ কোনো ইস্যুতে কী বললো সেটা পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি। আজ প্রথম আলোতে দেখলাম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদানের জন্য বিশেষ পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই একটা বিষয়ে দলীয়করণ হলেও আমার আপত্তি থাকবেনা যদি পুরস্কারটা যোগ্য ব্যক্তি পায়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ পুরস্কারের নাম হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জাতীয় পুরস্কার। এ ছাড়া গাজীপুরে সরকারি জমি স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখার জন্য চার হাজার একর জায়গা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে একটি সাফারি পার্ক গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা জানান।মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাত মাস মেয়াদে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় সরকার আশপাশের গ্রামের লোকদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী ৭৬টি গ্রামের লোকদের এ কার্যক্রমে কাজে লাগানো হবে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশরক্ষায় পলিথিনবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে। এ জন্য একটি পৃথক টাস্কফোর্স গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ টাস্কফোর্স অবৈধ পলিথিন উত্পাদন বন্ধ এবং বিপণন কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
আমার এবং নিসর্গের পক্ষ থেকে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি রইল ধন্যবাদ ও সমর্থন। সেই সাথে অভিনন্দন জানাই সরকারকে গাজীপুরে সাফারী পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের জন্য। সেটা বঙ্গবন্ধুর নামে হলেও কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। যেভাবেই হোক, বাঁচতে হলে বন বাঁচাতে হবে।
মন্তব্য
আপনার টনসিলরে মাইনাস... এখন জলদি চাঙ্গা হয়ে ওঠেন মিয়া।
এযুগের ছাত্রদের কথা আর কি বলি... ওদের কীর্তিকলাপ বেশি পড়লে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়বেন...
কৌস্তুভ
জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন পিপিদা!
বন্যপ্রানী সংরক্ষনে অবদানে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষনার উদ্যোগকে স্বাগতম! দলীয়করণ না করে যোগ্য ব্যক্তিকেই পুরস্কার দেওয়া হোক, সেই কামনা করি।
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
গেট ওয়েল সুন পিপিদা, আপনার ই-বুকের লেখায় হাত দিলাম- আপনি অসুস্থ থাকলে ক্যাম্নে কী...
ছাত্রদের খবরটা আজকের প্রথম আলোতে বেশ ফলাও করেই এসেছে দেখলাম। আগে খালি ঢাকা কলেজ আর বিভাগীয় ভার্সিটিগুলোতে এই জাতীয় ঘটনা ঘটতে দেখতাম। এখন আর বাছাবাছি নাই...
_________________________________________
সেরিওজা
ঢাকা কলেজে তেমন কিছুই ঘটেনা। বড় ভাইরা একটু দেশচিন্তা করে, সেইটা দোষের কিছু না!! মানুষ খামোখা আমাদের কলেজের নামে আজেবাজে কথা ছড়ায়। হিংসুটে সব।
নহক
তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দোস্ত শরীরের যত্ন নিস, রাত বিরেতে হরিণের ছবি কিছুদিন না তুললেও চলবে
বাঁচতে হলে বন বাঁচাতে হবে--আসলেই এর সাথে কোন কম্প্রোমাইজ নাই।
দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই, তবে সব দলেরই দুর্বৃত্ত আছে।
বেশি করে লিকুইড খান আর বিশ্রাম নিন। তারপর ফুলফর্মে ফিরে আসুন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সিরিজ করে ফেলেন। পড়তে বেশ ভাল লাগল।
-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে একটি পরামর্শ হল ওয়াকিং-ক্লিনিকে না যাওয়া। তার চেয়ে ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক ভালো, যদি যাওয়ার সুযোগ থাকে। অন্যথায় একজন ফ্যামিলি ফিজিসিয়ান নিয়ে রাখা ভাল। সব সময় ফ্যামিলি ফিজিসিয়ানের কাছে গেলে সেই ডাক্তার একজন রোগীর পুরো হিস্ট্রি জেনে থাকেন, যে কারণে চিকিৎসা সেবা ভাল পাবেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি।
আশাকরি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুইডা কতাঃ
১. এইডারে সিরিজ করেন।
২. সুস্থ হইয়া উঠেন তাড়াতাড়ি, ইবুকের কাম আছেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাল লাগল আপনার দিনলিপি পড়ে।
আরো লিখুন।
জ.ই.ন.
সুস্থ হয়ে উঠুন ।
ভালো লাগছে।
বন বাঁচাতে হবে ।
সুন্দরবনে গিয়েছিলাম বাঘের কথা চিন্তা করে খারাপ ই লাগছিলো ।
বাঘের সংখ্যা কমছে ব্যাপক ভাবে । বাঘের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে কিছু করা যায় কীনা তাও ভাবা উচিত ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
দ্রুত সেরে উঠুন!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুস্থ হয়ে উঠুন দ্রুত। সিরিজ আকারে চাই আমিও।
আমি তিন সপ্তাহ মতন ব্রংকাইটিসের ওষুধ খেলাম। কী সব অ্যান্টিবায়োটিক যে দেয়... রাস্তার মোড়ের ফার্মেসিগুলোকে আমিও অনেক মনে করছিলাম এই কয়টা দিন।
ভালো হইতে পয়সা লাগে না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
টাইফয়েড জ্বরে ভুগলাম ২০ দিন, একেবারে নেই করে দিছে আমারে, এত শারীরিক কষ্ট জীবনে পাই নাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই শুভকামনাই রইলো।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
- আমি তো প্রতি বছরই নিয়ম করে জ্বরে ভুগি। এইটা এইসব আউলা টাইপের আবহাওয়ার সাথে মেড ইন বাংলাদেশ কাঠবডির ডুয়েট সঙ্গীতে সিঙ্ক না হওয়ার ফল! আপনি এতোদিন টিকলেন কেমনে পিপিদা?
তবে এইখানে একটা জিনিসে বেশ উপকার পাইছি। দেশে থাকতে নিয়ম করে হাঁচি দেয়া হতো, সর্দি লেগে যেতো। এখন বেশ শান্তিতে আছি।
আরে, ব্যাটা মানুষের একটু আধটু জ্বর জারি হলে মন্দ না! যাইহোক, গুটে বেসারুং পিপিদা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন