কার ওয়াশ
এর আগে একবার সন্ধ্যার একটু পরে বের হয়েছি। হঠাৎ ঠ্যাস করে একটা শব্দ হলো। মনে হল গাড়ির উপর কী যেন পড়েছে। গাড়ী থামিয়ে নেমে আসলাম। আশেপাশে কেউ নাই। পেছনে গিয়ে দেখি গাড়ির ট্রাংক-এর উপর কে বা কারা ডিম ছুঁড়ে মেরেছে। কুসুম ছড়িয়ে একাকার অবস্থা। কিন্তু কাউকে না দেখে সন্দেহ বেড়ে গেল। ভালো করে খোলসের আকৃতি দেখে মোটামুটি নিশ্চিত হলাম পাখির ডিম। ছবিও তুলে রাখলাম। কিন্তু গাড়ির উপর ল্যাপ্টানো ডিমের ছবি নিশ্চই দেখতে ভালো লাগবেনা-- তাই দিচ্ছি না।
পাখির প্রতি আলাদা টান আছে বলেই, নাকি দৈবক্রমে-- আমার পার্কিং স্পেসটা ঠিক ঠিক গাছের সবচেয়ে ব্যস্ত ডালটার নীচে। সেখানে ঘুঘু-রবিন-শালিক থেকে শুরু করে বাদামি ও কালো-রঙের কাঠবেড়ালিদের বিস্তর যাতায়াত। আশেপাশের গাছগুলোর ডালে ডালে থোকায় থোকায় ব্ল্যাকবেরি। পাখি সেগুলো খায় আর পায়খানা করে আমার গাড়ির উপর। পাখির পায়খানাকে এরা বলে বার্ডড্রপ-- কী সুন্দর নাম! এরকম আগেও হয়েছে; পয়সা দিয়ে সেই ময়লা সাফ করে নিয়ে আসি আর বিকেলেই নামে ঝমাঝম বৃষ্টি। টাকা পুরাই গচ্চা। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে গত দুইদিনের জমানো পায়খানা নিয়ে আজ সকালে ভ্রূ কুঁচকে ঠিক করলাম গাড়ি আজ ধুতেই হবে। তারপর কী মনে করে যেন গেলাম না।
বিকেলে নামলো ঝমাঝম বৃষ্টি। গত সপ্তাহের তালপাকা গরমের পরে একটু খানি স্বস্তি। বেঁচে গেল কার ওয়াশের খরচ।
ব্ল্যাক এন্ড ডেকার
ব্ল্যাক এন্ড ডেকার নামে একটা ব্রান্ড উত্তর আমেরিকায় খুব জনপ্রিয়। কিন্তু কোনো এক কারণে আমার সাথে এর কখনোই মিটমাট হয় না। ঘটনার শুরু সেই ২০০৪ সালে, বউ যখন আমার সাথে যোগ দিলো। তখন কানাডায় নতুন। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। বাচ্চা ছোট। কোন এক কারণে এসব দেশের গারবার আর হাইঞ্জ খাওয়ানোয় আমার প্রবল অরুচি। খাবার পিশে খাওয়ানোর দরকার। তাই গরিবের ভরসা ওয়াল মার্ট থেকে কিনলাম ২৫ ডলারের ব্লেণ্ডার। ১ ডলার খরচ করতেই যেখানে হিসাব করতে হতো, সেখানে ২৫ ডলার অনেক বড়। যাই হোক, কাজের কাজ হচ্ছিল ভালোই। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেটা গেল বিগড়ে।
দোকান থেকে জিনিস কিনে ব্যবহার করে সেটা যে আবার ফেরত দেয়া যায় সে জ্ঞান তখনো হয়নি। ওপাড়ে বোনকে দু:খের কথা জানাতেই বললেন ফেরত দিয়ে আসতে। আমি বলি, রিসিট তো নাই। তারপরেও বোনের পিড়াপিড়িতে ওয়াল মার্টে নিয়ে গেলাম ফেরত দিতে। বললাম এটা কাজ করেনা। রিসিট চাইল। বললাম রিসিট নাই, ফেলে দিয়েছি। আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই পোড়া ব্ল্যাক-এন্ড-ডেকার ফেরত নিয়ে আমাকে বলল শেলফ থেকে আরেকটা পিক করে নিতে। এত অবাক আমি কানাডায় এসে তখনো হইনি।
কিন্তু সেই অানন্দও মাটি হয়ে গেল সপ্তাহ দুয়েক পরে। এটারও একই অবস্থা। ইন্তেকাল করলেন। তবে এবার রিসিট ছিল। পর পর দুইবার জ্বলে যাওয়ার পর ঠিক করলাম অন্য ওয়াল মার্ট থেকে বদলে আনি। শহরের মাউন্টেনের উপরে আরেকটা ওয়াল মার্ট আছে। সেখান থেকে প্রায় ডবল দামের আরেকটা কিনে আনলাম। ভাবলাম প্রথমটার টাকা তো আশা করিনি যে ফেরত পাবো, তাই বেশি দাম দিয়ে নতুন একটা নিলাম। শুধু দামের বাড়তি অংশটুকু পে করলাম।
এর মধ্যে নতুন বাসায় উঠলাম। ভেবেছিলাম পুরোনো বাসায় হয়তো কোন ইলেক্ট্রিকাল সমস্যার কারণে ওগুলো জ্বলে যাচ্ছিল। আমাকে অবাক করে দিয়ে মাসখানেক পরেই আবার সেই ব্লেণ্ডার ইন্তেকাল করল
চরম বিরক্তির সাথে ঠিক করলাম ব্ল্যাক-এন্ড-ডেকারের আর কোন জিনিই কিনব না। বদল হিসেবে জিই-র একটা ম্যানুয়াল ব্লেণ্ডার কিনে বাকি টাকা ক্রেডিট রিসিট হিসেবে নিয়ে এলাম। সেই ব্লেন্ডার প্রায় ৪ বছর চালিয়েছি।
আবারও ব্ল্যাক-এণ্ড-ডেকার
কিন্তু সেই একই ভুল আমি আবারো করলাম। গত সপ্তাহের প্রচণ্ড গরমে পরিবারের কথা চিন্তা করে ঠিক করলাম এবার একটা এসি কেনা যাক। কানাডায় এসে এতদিনেও আমার বাসায় এসি নাই শুনে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে আমাকে স্পেশাল অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে কি না।
যাই হোক ওয়াল মার্টের তিনটা শোরুমের একটাতেও যখন কোনো এসি পাওয়া গেল না তখন আরো কয়েক জায়গায় ঢুঁ মারলাম। সেখানেও পছন্দ (বাজেট) মত কিছু পাওয়া গেলনা। সব এসি নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। হওয়ারই কথা-- যা গরম পড়েছে এবার!
শেষ পর্যন্ত ক্যানাডিয়ান টায়ারে এসি পাওয়া গেল-- সেই ব্ল্যাক এন্ড ডেকার। উপায় নাই দেখে কিনে আনলাম। সবই ঠিক আছে খালি একটু শব্দ করে। মনে হয় আমি লঞ্চে চড়ে বরিশাল যাচ্ছি। এত শব্দ যে টেলিফোনে কথা বলা মুশকিল, টিভি দেখতে গেলে ভলিউম বাড়িয়ে ৮০-৮৫ এ দিতে হয়! চরম বিরক্তি লাগা শুরু হলো। কোনমতে রাত পার করে পরদিন নিয়ে গেলাম ফেরত দিতে। কিন্তু বিধি বাম। এসি নাকি ফেরত দেয়া যায় না। উল্টো আমি কেন এসি কেনার আগে “রিসার্চ” করিনি সেটা নিয়ে একটা বক্তৃতা দিয়ে দিল।
কী আর করা। বাসায় ফিরে আবার সেই লঞ্চের ইঞ্জিন ইনস্টল করলাম। হায়রে ব্ল্যাক-এণ্ড-ডেকার!
ধন্যবাদ:
বুনোহাঁস-এর শুধরে দেয়া বানানগুলো আপডেট করা হলো
২০১০-০৭-১১ বিকাল ৫:৩৪
মন্তব্য
হে হে.. গরম এবার বেশীই পড়ছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কানাডাতেও গরম পড়ে! কানাডার কথা শুনলেই আমার মনে হয় এক দঙ্গল বরফের উপর দিয়ে বস্তা গায়ে দিয়ে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে। আমেরিকার শীতেই আমি কুপোকাত, তাই কেউ যখন কানাডায় যেতে বলে আমার কাঁপুনি শুরু হয়ে যায়।
আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে। তবে একটা জিনিস জানলাম, ব্ল্যাক এন্ড ডেকার কখনই কিনুম না।
অনন্ত
ভাই, কানাডায় যে গরম পড়ে এটা বিশ্বাস করানো আসলেই কঠিন। তবে শীতের দেশে যখন গরম পড়ে, সেটা হয় ভয়াবহ। মনে পড়ে ২০০৫ সালে এরকম গরম পড়েছিল। অনেকটা আলু সেদ্ধ হওয়ার মতো গরম। এবারেও সেরকম অবস্থা। ভাগ্যিস আমার এ্যাপার্টমেন্ট টপফ্লোরে নয়।
আমেরিকার কোন কোন স্থানে কিন্তু কানাডার অনেক স্থানের চেয়ে বেশী শীত পড়ে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকের জায়গাগুলোতে।
হে হে হে হে হে...
কি মাঝি, ডরাইলা?
হাসেন ক্যান? সূর্যের আলোর গতিপথ নির্ণয় করা শেষ হইছে?
এই পোস্টটার মূল্য কত, একবার ভাবসেন? কানাডা থেকে নাকি পচুর ভিজিট হয় সচলে, ব্ল্যাক অ্যান্ড ডেকারের সম্ভাব্য কাস্টোমার তাতে কতজন, চিন্তা করে দেখেন।
পোড়া-পাড়া, ভাঙা-চোরা যাই থাক ফেলে দিয়েন না
পাখি ভালু পাই, পাখি ভাই ভালু পাই, পাখিদের সব কিছুই ভালু পাই...
''চৈত্রী''
হে হে হে, কইত্থিকা কী! পাখি থেকে পাখি ভাই! লাইকালাম।
কুটুমবাড়ি
আমেরিকা কানাডার সবাইরেই শুনি এখনি গরমে বেশ কাহিল। গত কয়েকদিন এখানেও গা বিজ বিজ গরম। গরমের সিজিন তো সবে শুরু। এখনই এরকম হইলে অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে কি করুম?
---
আমার এইখানে হইল গাংচীলের আড্ডাখানা। নামেই গাংচীল, এইগুলা সারদিন থাকে ডাঙাতেই। আর কামের মধ্যে দুই, খায় আর হাগে। আর সেই সাদা সাদা হাগার যে কি পাওয়ার। জানালার কাঠের চৌকাঠে পড়লে বার্নিশ গলাইয়া দেয়। গাড়ীর গায়ে পড়লে তো কথা নাই, গুয়ের দাগ উঠে গেলে যাবে, কিন্তু তার আউটলাইন দেখা যাবে জীবনভর।
আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ । পাওয়ারফুল গাংচিলের ছবি দিয়েন তো দুই-একখান । চিনে রাখব ।
ফাহিম হাসান
আমি তো ৫/৬ বছর দেখলাম। আবহাওয়া/জলবায়ু আসলেই পরিবর্তিত হয়েছে বা হচ্ছে। খুবই আনপ্রেডিক্টেবল।
আপনার জন্য দরকার: http://www.birdshitremover.co.uk
পাখির পায়খানাকে এরা বলে বার্ডড্রপ-- কী সুন্দর নাম!
হা... হা... হা...
সুমিমা ইয়াসমিন
- অস্ট্রেলিয়াতে বলে "বার্ড'স"। জর্মনদেশে কী বলে, সেইটা বদ্দা বলবেন (কারণ আমি জানি না)। এক হাগুর কতো নাম!
ব্ল্যাক-এণ্ড-ডেকার কি সবচেয়ে কমদামী ব্র্যান্ড পিপিদা? সব কিছুই বানায় এরা? যেমন এখানে আছে "ইয়া" ব্রান্ড। আমার ধারণা এরা সূঁই থেকে শুরু করে বিমানের পার্টস পর্যন্ত বানায়। কিন্তু কোয়ালিটি, "অই আরকি!"
অজিল্যান্ডে এমন ব্র্যান্ডের নাম "হোম ব্র্যান্ড"। কমদামে পেয়ে ডিমডুম যা আছে সবই হোম ব্র্যান্ড দিয়ে চালিয়ে দিতাম। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম, এতো ডিম খাওয়ার পরেও শরীরে দুর্বল পাই না ক্যান! দোস্তকে এক কথা জানাতেই বললো, "এইত্তা ডিম আমাগো দেশী মুরগীর ডিম না ব্যাটা। খাইলে দেখবি খালি ঘুমে ধরে। এগুলা মনেহয় খেলনা মুরগী থাইকা পাড়াইয়া আনে!"
গরমের কথা আর কী কমু পিপিদা! জান পুরা শ্যাষ। যেখানেই ফ্যান কিনতে গেছি, শুনি "সব শেষ, বেচা হইয়া গেছে"। এক সপ্তাহ ঘুইরা একটা ফ্যান কিনলাম কালকে। ঘরে আইনা ফিট করতে করতে গাও দিয়া দরদর কইরা ঘাম পড়া শুরু করলো। কোনোমতে ফিট কইরা তাকাইয়া দেখি উলটা লাগাইছি। আবার পাচড়াপাচড়ি কইরা খুইলা, তারপর সিধা কইরা লাগানোর মতো তাকত পাইলাম না। প্লাগ লাগাইয়া দেখলাম বাহ্, ভালোই চলে। বাতাস লাগাটাই বড় কথা, উলটা না সিধা সেইটা কোনো ব্যাপার না!
এখন সেইভাবেই চলতেছে। ফিটিং-এ আপ-সাইড-ডাউন হইলেও দেখতে কিউটই লাগতেছে।
আমি মনেহয় ফ্যানের প্রেমে পড়ে গেছি গো পিপিদা। রাতের বেলা একটু পর পর উঠে দেখতেছিলাম ফ্যানটা ঠিক আছে কি না! গায়ে বাতাস লাগতেছে, তারপরেও চোখ খুলে ফ্যানটাকে এক নজর না দেখে ঘুমাতে ইচ্ছা করতেছিলো না। এখন ইচ্ছা করতাছে ফ্যানটারে কোলে নিয়া বইসা থাকি সারাদিন রাত!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন নতুন তো এরকমই হয়
কোন দেশী ফ্যান এটা? উল্টো করে লাগালেন ক্যামনে? তাহলে ফ্যান উল্টো করে বাতাস খান এখন। গরম এবার ভয়াবহ। আজ এখানে বেশ ভালো। কালকের বৃষ্টিতে সব ঠান্ডা হয়ে গেছে।
ব্ল্যাক-এন্ড-ডেকারের নানা দামের জিনিস আছে। দাম মাঝারী থেকে উচ্চ-মাঝারী। কম দামের মধ্যে আছে টোস্টমাস্টার। ওদের ৮ ডলারের টোস্টার আমি দুই বছর ব্যবহার করেছি।
আপনাদের ইয়া হয়তো একই জিনিস, শুধু আলাদা নাম।
ফ্যান ক্যাম্নে উল্টা লাগায় ধুগোদা?? এইটা এট্টু ছবি তুলে দেখাবেন নাকি?!
ফ্যানের ব্লেডগুলি উল্টা হলে বাতাস উলটো দিকে যাবে না?!
যাইহোক, আপনার বারবার উঠে গিয়ে ফ্যান দেখার কথায় আমার নিজের যন্ত্রণাদানকারী সব হোম অ্যাপ্লায়েন্স মেরামতির দিন মনে পড়ল...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আচ্ছা, কাকের ইয়েকে কি 'বার্ড ড্রপ' বলা উচিত?!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হা হা .. কাক-ড্রপ বলতে পারেন। কিংবা আরো শর্টকাট-- কাগু। এই কাগু কিন্তু সেই কাগু নয়। জীবিত কাগুর সাথে নামের মিলের জন্য কাগু সম্প্রদায় দায়ী থাকবেনা।
পিপিদা, আপনার গাড়ির উপর নিয়মিত "বার্ডস ড্রপ" এর কাহিনী পড়ে আমার এক বন্ধুর কথা মনে পরল। বেচারা যেখানেই যাক না কেন কাক তার উপর তার কীর্তি সারবেই। ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে আমরা প্রথম প্রথম গুনতাম তারপর সেই বছরই যখন বাইশ না তেইশ বারের মত হয়ে গেল তারপর গুণা বাদ দিছি। কি লাভ কাক আর তার ভালবাসায় বাধ সাধার
কানাডা সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, দারুণ শীতের দেশ বুঝি কিন্তু লেখা পড়ে বুঝলাম কতকিছু বাকী আছে জানার এই দুনিয়ায়
এই দিনলিপি সিরিজটা ভাল লাগছে, তাই সম্ভব হলে আরেকটু নিয়মিত দিয়েন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড় ভায়া। আপনাকে তো অনেকদিন দেখিনা।
দিনলিপি লেখার মত কিছু পেলে অবশ্যই লিখবো। কিন্তু লেখালেখিতেই আমার যত সংকোচ। সচলায়তনে এত ভালো ভালো লেখা পড়ে নিজে লিখতে লজ্জাবোধ করি। (বানানো কথা নয়, মনের কথা।)
ব্ল্যাক-এণ্ড-ডেকার এর টুলস্ গুলো বেশ কাজের
...........................
Every Picture Tells a Story
... কানাডায় গরমের তীব্রতার কথা শুনে অবাক হলাম। তাপমাত্রা কত এবার ??
... ব্ল্যাক এন্ড ডেকার কি রকম নামী ব্রান্ড ?? খাস বঙ্গীয় সন্তান বলেই হয়তো, নাম শুনেছি বলে মনে পড়ে না...
_________________________________________
সেরিওজা
ব্ল্যাক এন্ড ডেকার খুব পরিচিত ব্র্যান্ড, বিশেষ করে আমেরিকা-কানাডায়। এরা সবকিছু বানায়। আসলে বানায়না, চায়না জিনিসের উপর ওদের ব্র্যান্ড বসায় কেবল। বাংলাদেশে যে জিনিস পাওয়া যায় রে ভাই, এখানে সেগুলো পাওয়া যায়না। অথবা পাওয়া গেলেও সেগুলো আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।
দিনলিপি, বিশেষ করে প্রাত্যহিক টুকিটাকি নিয়ে লেখা দিনলিপির একটা অদ্ভুত আকর্ষণ আছে আমার কাছে৷
পাখিদের কথা আর বলবেন না৷ এখানে আমাদের আবাসনে আমার ফ্ল্যাটের খোলা পার্কিং৷ আমার গাড়িটার আদর করে নাম দিয়েছিলাম 'কালীতারা'৷ রবিবারে আমি সাধারণত: বাড়ি থেকে বেরোই না৷ সোমবারে অবধারিত দেখব কালীতারার মাথায় মুখে পাখিরা তাদের স্মৃতি রেখে গেছে৷
তবে তৃতীয় বিশ্বে গাড়ি ধুতে তেমন সমস্যা হয় না .......... এই আর কি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সেটাই। এখানে তো নিজের বাড়িটারি না থাকলে গাড়ি ধুতে নগদ চলে যায়। মাঝেমাঝে বৃষ্টি হলে তাই ভালই লাগে।
ঐ এরিয়ায় এত গরমের মানেটা কী? ফেইসবুকে গরম বিষয়ক গরম গরম স্ট্যাটাস দেখতাছি!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
হুমম। কয়েকদিন খুবই খারাপ অবস্থা গেল। এখন ঠিক আছে। এখানের অনেক কিছুরই ঠিকঠিকানা নাই, দেখা যাবে সামনে মাসেই শীত চলে আসছে। শীত আমার ভালোই লাগে
- আজকে, অদ্য রোজ শনিবার, আমাদের এইখানে তাপমাত্রা চল্লিশ (সেলসিয়াস) স্পর্শ করিবে বলিয়া ঘোষণা দেওয়া হইয়াছে। কালকে চৌত্রিশেই আমার অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছিলো, আজকে কী হবে- ভাবতে পারতেছি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিউমিডিটি আছে? এখানে ৩৪ + হিউমিডিটি মিলে মাঝে মাঝে ৪০ হয়। এরা বলে হিউমিডেক্স
আজকে এখানে ২৪ (হিউমিডেক্স ২৮, কী মজা)।
- হিউমিডিটি? পিপিদা, বাতাস আসতেছে পূব দিক থেকে। এখন দুপুর আড়াইটায় হিসাব মতে ৩৫ আর অনুভব হচ্ছে ৩৭। বাতাস ভয়ানক শুষ্ক। এই হারে বাড়তে থাকলে দম নিতে ঝামেলা শুরু হবে আরেকটু পরেই।
আমি কমেন্ট না করলে তাড়াতাড়ি ১১২-তে ফোন করে বৈলেন ধুগো অজ্ঞান হয়ে কাইজ হয়ে পড়ে আছে! আরেকটা ব্যানারও রেডি করে রাখতে হবে। দাঁত ভেটকানো একটা নেকাবি ছবির সাথে "এইমাত্র খাজাবাবা ধুগো অসংখ্য ভক্তিকা রেখে তিরোধান করলেন" এই লাইনটা লাগাতে হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ.ট. নাইন-ইলেভেনের পরে আমাদের দেশে এলো ওয়ান-ইলেভেন। আপনাদের নাম্বার দেখছি আরো একধাপ উপরে
- হ। ওয়ান টুয়েলভ!
দুই ধাপ নিচে ওয়ান টেন-ও আছে, কিন্তু সেইটায় ঝামেলা আছে। ঐটা মামুদের, ব্যাটারা খালি প্রশ্ন করে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পিপিদা ব্যাস্ততায় নিয়মিত সচল ঢুঁ মারা হচ্ছে না। কিন্তু আপনার এই লেখাটা আর সবার মন্তব্যগুলি পড়ে আমি মনে মনে এবং দাঁত বের করে বেশ খানিক হাসলাম আর মন ভাল হয়েছিল দিন দুয়েক আগে, সেটা আজকে জানাবার সময় পেলাম। কী কী যেন নিজের মজার কথা বলতে চেয়েছিলাম এখন ভুলে গেছি।
আরো এমন লেখা ঘন ঘন দিন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন