২০১১/২/১১ শুক্রবার
যাযাবরের মত সপ্তাহটা কেটে গেল। দক্ষিণে দুইদিনের সফর শেষে ঘরে একরাত কাটিয়ে আবার উত্তরের পথে যাত্রা। এবার গন্তব্য টরন্টো। টরন্টোর কথা মনে হলেই টরন্টোতে প্রথমদিন ড্রাইভ করার স্মৃতি মনে পড়ে। দুই ঘন্টা ধরে ঘুরেও যখন গন্তব্যে পৌঁছুতে পারছিলাম না তখন হাতের কাছে যে রেস্টুরেন্ট পাওয়া গেল সেখানেই ক্ষুধা মেটানো হয়েছিল। এমন নয় যে গন্তব্য অচেনা ছিল। সমস্যা ছিল--এই লেনে বাঁয়ে মোড় নেয়া যাবেনা তো সেই লেনে অবশ্যই ডানে মোড় নিতে হবে। এরপর কয়েকবার গিয়েছি, অবশ্যই জিপিএস সহ। সেই থেকে টরন্টো আমার কাছে আঙ্গুর ফল টক--এর মত।
এবার অফিসিয়াল কাজে যাবো, তাই রিস্ক নিলাম না। কর্পোরেট গাড়ি বুকিং দেয়া থাকলেও শেষ মুহূর্তে ড্রাইভ করতে মন চাইলো না। সিদ্ধান্ত পালটে ট্রেনের টিকিট কেটে ফেললাম। ভিয়া রেইলে (VIA Rail) আরাম করে যাওয়ার সুযোগ ফেলে ৫ ঘন্টা ধরে ড্রাইভ করার কোন মানেই হয়না। ভিয়ায় বসে ওয়াই-ফাই দিয়ে সচলায়তনে জমে থাকা কয়েকটা পোস্ট পড়ে ফেললাম। আর তখনই শিমুলের কথা মনে পড়ল।
শিমুল হারিয়ে গেছে। কাছে থেকেও অনেক দূরে অমিত আর বিপ্র। দূরে চলে গেছে কিংকু। অথচ চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই এমভি জিমান-এ একসাথে ভ্রমণের স্মৃতি।
বৃহস্পতিবারে কাজ শেষ হয়ে গেল ৩টার সময়। বাকী সময় কিভাবে কাটাই সেই চিন্তা করতে করতে অমিতকে মেইল দিলাম। অমিত আসলে ভালোই হবে। অন্তত কোথায় ভালো খাবারের দোকান আছে সেটা জানা যাবে। মোবাইল দিয়ে গুগল ম্যাপে কয়েকটা পেয়েছি, কিন্তু টরন্টোতে এত্ত ঠাণ্ডা! দশ মিনিট হাঁটলেই মনে হয় পা জমে যাচ্ছে। অমিত আসবে সেই আশায় দুপুরে কিছুই খাইনি--এক সাথে খাব বলে। কিন্তু ফিরতি মেইলে অমিত জানালো আজ আসতে পারবেনা। পরদিন (শুক্রবার) আসবে। কী আর করা, গুগলে দেখলাম ৯৯ জেরার্ড স্ট্রিটে একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে। হেঁটে ইয়ঞ্জ থেকে জেরার্ড-এ পড়তেই ভুলটা বুঝতে পারলাম। ইস্ট না ওয়েস্ট সেটা দেখা হয়নি। ঠাণ্ডা এত বেশী যে গ্ল্যাভস খুলে মোবাইলে দেখে নেব সেই ইচ্ছাটাও মাটি চাপা দিলাম। ইস্টেই হাঁটা ধরলাম। তিন-চার মিনিট পরে ইউনিভার্সিটির মেইন এন্ট্রান্স। আরে এটা তো শিমুলের ইউনিভার্সিটি! এখানেই শিমুল একদিন পড়তে আসতো। ইশ্ শিমুল থাকলে কী না ভাল হতো! আরো কিছুদূর হাঁটার পর ৯৯ জেরার্ড পেলাম। কিন্তু ক্ষুধার্ত পেটে ৯৯ জেরার্ড ইস্টে ইউনিভার্সিটির কোন বিল্ডিং আমি অবশ্যই আশা করিনি। একেই বলে কপাল। রেস্টুরেন্ট নিশ্চয়ই ওয়েস্টে হবে। যেতে হলে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটতে হবে। শিমুল থাকলে এই ভুলটা নিশ্চয়ই হতো না। শিমুল, তুমি না বলেছিলে আবার আসবে? তুমি কিভাবে হারিয়ে গেলে শিমুল?
শুক্রবার বিকালে হোটেলের স্টোরেজ থেকে ব্যাগ বুঝে নেই। সকালেই চেকআউট করেছি। লবিতে বসে সময় কাটাই। অমিত অনেক দূরে থাকে। আসতে কমপক্ষে এক ঘন্টা লাগবে। এত কষ্ট করে আসবে ভাবতেই খারাপ লাগলো। ইয়ঞ্জ আর ব্লর ইন্টারসেকশনে সাবওয়ে স্টেশনের বাইরে অমিতের সাথে দেখা হলো। অমিতের শহরে অমিতের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম।
আমার আবার খাবারের বাতিক আছে। হালাল খাব, নয়তো ভেজিটেরিয়ান। অমিতের শহরে এসেছি, এই শহর তার হাতের তালুর মত চেনা। টুকটাক গল্প করতে করতে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে হাজির হই। মজার বিষয় হলো খাবার সার্ভ করে দেশী স্টাইলে। প্লেটে ভাত তুলে কী কী নেব সেটা বলে দিলে আইটেমগুলো সাজিয়ে তুলে দেয়। আরো মজার বিষয় হলো, বিল দিতে হবে খাওয়ার পরে।
আবার শিমুলের প্রসঙ্গ চলে আসে। অমিতের সামনে বারবার শিমুল শিমুল করছিলাম দেখে মাঝে মাঝে নিজেরই অস্বস্তি লাগছিল। কিন্তু আমি জানি, শিমুলের লেখা আমি যেমন পছন্দ করি, তেমনি পছন্দ করে অমিত। শিমুল দেশে আছে, ফেসবুকে আছে, সম্ভবত ভালো আছে, এবং নিশ্চয়ই ব্যস্ত আছে। প্রসঙ্গ ঘুরে সচলায়তনে আসি। আলোচনা হয়, চিন্তা হয়, ভবিষ্যতের কথা হয়। হিমুর কথা হয়, আরো কার কার যেন কথা হয়। নতুন খোলা ব্লগ-সাইট নিয়ে কথা হয়, অধিকাংশ ব্লগেই যা খুশি তাই (কিংবা যাচ্ছেতাই) লেখা হচ্ছ-- সেসব নিয়ে কথা হয়।
গল্পে গল্পে সাড়ে ছয়টা বেজে যায়। অমিত কাশ্মীরী চা'র অর্ডার দেয়। আমি ঘড়ির দিকে তাকাই। হাতে ২০ মিনিট রেখে অমিতকে বলি, অমিত ট্রেন ৭টায়। অমিত বলে, 'কোন সমস্যা নেই, আপনাকে ইউনিয়ন স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে আসবো'। আমি বলি, 'ট্রেন মিস করলে কিন্তু নিজের পয়সা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে, আর থাকার খরচও পকেট থেকে দিতে হবে।' অমিত অভয় দেয়, 'থাকা নিয়ে সমস্যা হবে না।'
কাশ্মীরী চা-এ এক চুমুক দিয়েই বুঝতে পরি এই চা না খেলে টরন্টো ট্রিপই বৃথা হয়ে যেত। আয়েশ করে খেতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সময় তো আয়েশ করতে জানে না।
আমরা হাঁটা শুরু করলাম।
একটু পরেই অমিতকে রেখে চলে যেতে হবে, ভাবতেই খারাপ লাগছিল। সাবওয়ের বাড়তি তিনটা কয়েন অমিতকে দিতে চাইলাম, ও নিলো না। বললো, 'রেখে দেন, টরন্টো এলে কাজে লাগবে'। আমি জোর করলাম না।
গেট নাম্বার ২৫-এ বোর্ডিং হবে। বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। 'অমিত, তুমি চলে যাও'। ও গেল না। অনেক কথা হলো। এক সময় অমিতকে রেখে আমি ট্রেনে উঠে গেলাম।
পাখি উড়ে যায়, ফেলে যায় তার পালক। বাসায় ফিরে শিমুলের ফেলে যাওয়া ক্যাপটা আবারো দেখলাম। কিংকু মাঝে মাঝে ছবি পোস্ট করে ফ্লিকারে। কয়দিন আগে লন্ডনে গিয়েছিলাম, বিপ্রর সাথে ফোনে কথা হয়েছে। সময় কত দ্রুত চলে যায়! স্মৃতিগুলোই কেবল রয়ে যায় আগের মতো।
মন্তব্য
পিপিদা, খুব মন খারাপ হল আপনার লেখা পড়ে। পুরানো বন্ধুরা সুন্দর সোনালী।
লেখাটা দুই কলামে লিখেছেন? আমার মজিলায় কেমন জানি দেখাচ্ছে?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম, প্রথম মন্তব্যের জন্য। কদিন ধরে এত ব্যস্ততা যাচ্ছে যে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই একটু হাত-ঝাড়া দিলাম।
কলাম সরিয়ে দিলাম।
সেবার উইন্ডজর ট্রিপে পীল আইল্যান্ড থেকে ফেরার ঠিক আগে আমি আর অমিত ভাই লেক ইরিতে বেশ অনেকক্ষণ গলা পর্যন্ত ডুবে ছিলাম ... সেই সময় একথা সেকথার ফাঁকে হঠাৎ অমিত ভাই বললেন, ভেবে দেখ লাইফ কী অদ্ভূত, দুই বছর আগে তুমি ছিলা ঢাকায় আর আমি টরন্টো; কেউ কাউকে চিনতাম না মাঝে মাঝে খালি একজন আরেকজনের ব্লগে কমেন্ট দিতাম ... আর আজকে আমরা উত্তর আমেরিকার এক লেকে ডুবে ডুবে আড্ডা দিচ্ছি ...
যে কথাটা সম্ভবত আমাদের দুইজনেরই মাথায় ছিল কিন্তু কেউ বলি নাই সেটা হচ্ছে আজ বাদে কাল আবার একেকজন একেকদিকে ছড়িয়ে যাব, আবার হয়তো ব্লগ-ফেসবুক ছাড়া আর কোন যোগাযোগ থাকবে না ...
আমি এসব ভেবে এখন আর খুব বেশি মন খারাপ করি না ... লাইফ হচ্ছে জার্নি, চলার পথে অনেক চমৎকার মানুষের সাথে দেখা হবে, চমৎকার কিছু সময় কাটবে; সেই সময়গুলিই হচ্ছে এ্যাচিভমেন্ট ... পুরান কথা মনে হলে আমি তাই ফেসবুক থেকে পুরান এ্যালবামগুলি দেখা শুরু করি; চমৎকার সময়গুলির কথা ভেবে খুশি হওয়ার চেষ্টা করি; আই ফীল লাকি দ্যাট আই ওয়েন্ট থ্রু দীজ মোমেন্টস ...
লেখাটা নস্টালজিক করলো পিপিদা, বহুদিন পর কমেন্ট করতে গিয়ে বুঝলাম লগিন সিস্টেম, পেজ লেআউট, কমেন্ট বক্স সবকিছুই বদলে গেছে
লাইফ হচ্ছে জার্নি, চলার পথে অনেক চমৎকার মানুষের সাথে দেখা হবে, চমৎকার কিছু সময় কাটবে; সেই সময়গুলিই হচ্ছে এ্যাচিভমেন্ট ...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যাক, তোমাকে লগিন করাতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে
দারুণ লাগলো লেখাটা। এরকম কতজনকেই পেছনে ফেলে আসতে হয় জীবনে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জ্বী, নিনা ভাই
গঠনা কী পিপি? গঠনা কী এমিল ভাই?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঘটনা সামান্যই পাণ্ডবদা; হিমু ওনার নতুন নাম দিয়েছিল-- নিসর্গ নাগর। সেটাকে সংক্ষিপ্ত করেছি আরকি
হুম
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাগ্যিস হালুম করেননি
খুব ভালো লাগলো। মানে দুঃখ দুঃখ ভালো লাগা আর কি।
নিউ জার্সীতে ড্রাইভ করেছেন কখনো? না করে থাকলে, ভুলেও করেন না। বাঁয়ে কি, কোথাও কোথাও ডানেও মোড় নেওয়া নিষেধ। রাস্তা চেনা না থাকলে মনে হবে দুঃস্বপ্ন দেখছেন। -রু
আসলে ততটা দু:খ-দু:খ করে লিখতে চাইনি, তবুও কিছুটা দু:খ-দু:খ ভাব এসেছে। নিউ জার্সীতে কোনদিন যাইনি। যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছিনা। অবশ্য অসম্ভব কিছুই নাই, দেখা যাবে আপনার সাথেই নিউ জার্সীতে কোনএকদিন দেখা হয়ে গেছে।
পিপি'দাঃ
এমন করে লিখলেন! একটা গানের লিংক খুঁজে নিয়ে আসি... তারপর বাকী কথা
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত সাবলিল গদ্য। ধন্যবাদ।
নুর নবী দুলাল
চট্টগ্রাম
ভেবে ভেবে ব্যথা পাবো—মনে হবে পৃথিবীর পথে যদি থাকতাম বেঁচে।
লেখা ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ, কবি।
এখন তো ব্লগেও অনেকের দেখা নেই! কিংকু ভাইরে দেখলাম চাইর বছর পর! শিমুল ভাই সহস্র বছর পর সেদিন একটা পোস্ট দিলেন! আর পিপিদা, আরেকটু হলেই আপনার নাম ভুলে যাচ্ছিলাম!
যৌথ পরিবারের সেই মজাটা আগের মতো নেই আর এখন...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমারে দেবনা ভুলিতে ....
কী কও মিয়া, আমি তো প্রায়ই লগিন করি। টুকটাক পড়িও, কিন্তু মন্তব্য করা হয়না। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। একটু মানে ভালোই আরকি। পড়াশোনা শেষ করার চেষ্টা করছি। টার্নিং পয়েন্টে বসে আছি এখন। পুরানো মানুষ দিয়ে আগের মত না হলেও নতুনদের নিয়ে আগের মত হয়ে যাবে। সেরকম নতুন অনেককেই দেখা যাচ্ছে। আশা করি সেরকম জমজমাট দিন আবারো আসবে।
আহারে পুরানো দিনে কি মজাটা ছিলো !!
শিমুল ভাই, কিংকু ভাই, ইশতি ভাই, সন্ন্যাসীদা, এমন কি এই চমৎকার পোস্টটা লেখা পিপিদাকে পর্যন্ত মিস করতে হয় আজকাল...
সবাই বেশি বেশি লিখুন প্লিজ।
শিমুল আসলেই হারিয়ে গেছে।
একে-তাকে ধরে শিমুলকে বিয়ে দিয়ে দেন পিপিদা। দেখবেন সুড়সুড় করে পুরোদমে আবার ফিরে আসছে!
কেনো? সেইটা তখনই বুঝা যাবে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার মন্তব্যে শিমুল-কে ধুগো দিয়ে রিপ্লেস করতে বলতেছেন নাকি
ইয়ে মানে পিপিদা, আপনি মুরুব্বী মানুষ। মুখে মুখে না বলি ক্যামনে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
পড়লাম, বস্।
ভাই, বস্ তো আপনি
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জীবন হয়তো এমনই! হারিয়ে যেতে হয়, হারিয়ে যেতে দিতে হয়!
শিমুল কে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্যার, আপনি তো চাবি, তালা দুইই হারিয়েছেন দেখছি। অবশ্য আপনাকে দোষ দেয়া যায়না। সব দোষ আমরা শিমুলের ঘাড়েই তুলে দেবো।
আমি ভাবছিলাম ফেব্রুয়ারি মাস, শিমুল-পলাশ (ফুল) নিয়ে কিছু একটা লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক।
লেখাটা ভালো লাগলো পিপিদা। তিন দিন আগে একা একা স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেললাইন, রেলগাড়ি, আর ট্রেনে ভ্রমণের উত্তেজনায় উচ্ছ্বসিত ছোট ছোট পোলাপানদেরকে দেখছিলাম, এক বছর আগের মতোই। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে, ঐ স্টেশনেই আমার সাথে আরেকজন দাঁড়িয়ে থাকতো ঐ ট্রেনের অপেক্ষাতেই, এক বছর পরে আর দাঁড়ায় না, আর কখনো দাঁড়াবে না। আমিও হয়তো ঐ ট্রেনটার জন্যেই ঐখানে অপেক্ষায় থাকবো না, কিন্তু আমি জানি অন্য আরেকটা ট্রেনের অপেক্ষায় আরেকটা স্টেশনে থাকবো আমি, আর আমার পাশে থাকবে অন্য কেউ। তারপর তাঁরাও থাকবে না, বা আমি থাকবো না তাদের পাশে... কিন্তু কিছু যায় আসে না আসলে, সবাই থেকে যায় মনে, আর একটা বুঝ থাকে, এখন দুনিয়াটা অনেক ছোট হয়ে গেছে, একটা মেইল, একটা ফোন কলের দূরত্ব শুধু... জীবনের স্টেশনগুলোতে নতুন মানুষদের সাথে আলাপ হওয়া আর তাদেরকে ফেলে অন্য স্টেশনে যাত্রা করা, এটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক, তাই না?
ভালো থাকুন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
-অতীত
শিমুল অমিত কিংকু ইশতি সন্ন্যাসীদা আকতার ভাই মৃদুলদা আনিস ভাই এদের লেখা খুব মিস করি... কোথায় যে হারায়ে গেলো এগুলা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। তবে শুধু লেখনীতে জীবনের আর কতটুকু আসে?
কিছু মানুষ জীবনে ক্ষণকালের দেখায় আর অশরিরী উপস্থিতিতেও গভীর চিহ্ন রাখে...... সব অতীত-কে অতীত বলে, আর ' এ জীবনের ভ্রমণকাহিনী' বলে হয়তো উড়িয়ে দেয়া নাও যেতে পারে.... অসম্পূর্ণ গল্প হয়তো সম্পূর্ণ হবার খাতিরে নয়, দীর্ঘায়িত গল্প হতেই ঘূর্ণির আবর্তে ফিরে আসে... শুধু সৌভাগ্যবান মানুষের বেলায় হয় - তা নয়। হয়তো হয় 'নিয়তি' ব'লে!
লেখা আর মন্তব্যে 'পছন্দ' দেয়ার একটা অপশন মাঝে ছিলো। সেটা কি এখন গায়েব?
নতুন মন্তব্য করুন