ম্যাচ থ্রেড: বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড

তানিম কোপাচ্ছে

আশুকে নিছে দেখা যায়। আজ খেলতে না পারলে হয়তো এটাই ওর শেষ ম্যাচ হয়ে যাবে।

ইমরুল কায়েস আউট

এইটার চ্যানেল ১-৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা ...

বলতে না বলতেই আরেক জন শেষ

দুইটা আউটই ফাও হলো। ইমরুল হেঁটে ক্রিজ থেকে বের হয়ে গেল। জুনায়েদ নিজের কল-এ অলস ভাবে দৌঁড়ে রান-আউট হলো। দেখি মুশফিক কয় হালি বল নষ্ট করে...

২৫০ করলেও কোন লাভ নাই। এই মাঠে ৩০০র কাছাকাছি করতে হবে। অবস্থাদৃষ্টে তেমন আশাবাদী হতে পারছিনা। দুইটা ফাউ আউট হলে কেমনে চলে?

তামিমও আউট। যেন পুরানো বাংলাদেশকেই দেখছি! দেখি আশু কী করে। আশু গেলে ঘুমাতে যাবো।

নাহ্, এগুলা মানুষ হইলো না!

আগের দুইটা আউটের ধাক্কা তো তাও সামাল দেওয়া যায়, কিন্তু তাইম্যার আউট কেমনে হজম করি? এই তিনটারেই কান ধরে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করানো উচিৎ।

গেল তামিম ইকবাল।

ব্যাটসম্যানদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে আয়ারল্যান্ড কোন ঘটনাই না। যেমনে খুশি বাড়ি দিলেই হল।

এরা এমন কেন?

উটপোঁদদার বুদ্ধিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে কী বিপদে পড়া গেল!

অলসতা। ৩ জনকেই মাঠের চারপাশে হাঁটানো উচিত এক ঘন্টা করে। সাকিবেরও তো দেখি পা নড়ে না। এই ভাবে অবহেলা করে আবার ধরা খাবে। পিচটা একটু স্লো মনে হচ্ছে, এটাই একমাত্র ভালো দিক।

সাকিব ভাগ্যক্রমে জীবন পেল!

আজকে হারা আছে কপালে।

আর কি! খুদাপেজ!

আয়ারল্যান্ড'কে অগ্রিম শুভকামনা।

সাকিব আউট। মেজাজ চরম খারাপ।

যাক।

গত বিশ্বকাপের ফলাফল বজায়ে থাকলো।

রাত ৩টার সময় রীতিমত গোসল দিয়ে পরিপাটি হয়ে খেলা দেখতে বসছিলাম যাতে ঘুম না ধরে... এমন ঢিলামি করলে কেম্নে কী?

তবে পিচ এমন স্লো, মনে হচ্ছে ২২০ হলেও ভালো ফাইট দেওয়া যাবে। স্পিন জিন্দাবাদ।

মুশফিকুর-রকিবুলকে কমসে কম ১০০ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করতে হবে। আশুর উপর সিম্পলি ভরসা করা যায় না।

এভাবেই চলুক আপাতত। পরে রানের চাকা সচল করা যাবে নে।

ব্যাটিং অর্ডারের একটা ব্যাপার বুঝলাম না... আগের খেলায় কেন রকিবুলের আগে মুশফিক নামলো? আর এই খেলায় কেন মুশফিক-রকিবুলের আগে সাকিব নামলো? সিচুয়েশন বিচারে কোনোটারই হিসাব মিলে না।

হায় রে আশরাফুল!

আশরাফুলকে দলে ঢোকানোর জন্য আলুর ক্রীড়া র্ভস্রাবদের প্রাণান্তকর চেষ্টা সফল হয়েছে। ৬ বলে ১ রান করে আশু ব্যাট বগলে প্যাভিলিয়নে ফিরত গেছে। এই ব্যাটটা উটপোঁদের পুটকি দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হোক।

শুন্য রানে আউট হলে তাকে বলে "হাঁস" মারা। ১ রান করে আউট হলে তাকে বলে "উট" মারা।

আশরাফুল ৬ বলে ১ রান করে উটপোঁদ মারলো।

২০০ করতে পারবে বলে মনে হয় না। মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

১৮০ হয়া গেছে। আর চিন্তা নাই।

দেখে নিয়েন সবাই, আমরা কোপানি বোলিং করে জিতে যাব আজ।

যাক, মনে হইতেছে এটলিস্ট ২০০ হবে

একটা অফটপিক প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে। বাংলাদেশের জার্সির পেট-পাছা কালো কেন? দূর থেকে দেখে মনে হয় প্যান্ট ভিজায়ে ফেলসে...

বাংলাদেশে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্য আজ শুক্রবারে জুম্মার নামায বাদ দেয়া দায়ী।

দুইটা গেছে।

আশু এর মধ্যেও লেগে বল ফেলে। ধইরা ধাপড়া দেওয়া দরকার।

কঁচু ব্যাট করছে ফাযিলগুলা। সব কয়টারে ধরে আজকে সারারাত আশুর গান শোনতে বাধ্য করা উচিৎ।

আরে, আশু হালায় কামটা করলো কী!!!!

আশরাফুল এক উইকেট পেয়ে সেরেনা উইলিয়ামসের মতো সেলিব্রেট করলো, আরেক উইকেট পেয়ে মোহাম্মদ আলীর মতো।

রানরেট কোনো রকমে ৫-এর ঘরে তুলতে পারলেই দেখা যাবে অবস্থা।

অর মায়রে বাপ! হোয়াট আ ক্যাচ!!!

আমি থাকলে সমস্যা হতে পারে; তাই দূরে আছি। আপনারা জিতিয়ে নিয়ে আসেন

টেস্ট

শুভ'র দারুণ ক্যাচ।

কিন্তু শুভরে আজকেও নামানো হলো না কেনো বুঝলাম না!
বোলিং তো বটেই, ব্যাট'টাও তো সে আশুর চেয়ে ভালোই চালাতে জানে।

মনৈতেছে আশা আছে।

এখন দরকার বোথা'রে একটা কড়া করে গুঁতা দেয়া আর মুনি'কে একটা কনি!

৭ টা গন, গন গনা গন

৮

৮ টা গেছে।

ঢাক্কিতাকিন ঢাক্কিতাকিন ঢাক্কিতাকিন ঢাক...

৯

স্টেডিয়ামের ডিজে তো মারাত্মক রসিক দেখা যাচ্ছে। আমার ফেভারিট গান বাজাচ্ছে!
গানের সাথে মাঠে থাকা আশুর নাচাটা দেখতারলে মনটা ভরতো!

জিতলাম!

১০

... প্যাকেট। ২৭ রানের জয়।

আজকা না জিতলে খবরই আছিলো ধুগোনী'র ভাইয়েরা।

ধুগো ভাই, ইয়া হাবিবি

আসেন, বুখে আসেন সবাই... কী একটা খেলা জিতলাম রে!!!!!!!!

কাউকে দোষ দেওয়ার নাই আজকে। প্রত্যেকে কিছু না কিছু করসে। এইটা হইলো বাঘের মতো খেলা!

শফিউল

মনে হচ্ছে এতক্ষণে চেপে রাখা দম ছাড়তে পারলাম। অসাধারণ শফিউল! সাকিব ও তার দলকে অভিনন্দন!

বস...জিতাইলো তো স্টেডিয়ামের দর্শক......যাউকগা...।ইয়াহু.......
..অস্পৃশ্য ।

জিতছে, কিন্তু হার্টের উপর অনেক চাপ গেছে। বুড়া হইছি, এখন আর এতো চাপ নিতে কষ্ট হয়। আর কয়টা রান থাকলে এই চাপটা এড়ানো যাই তো আর কি। তাও জিতছে শেষ পর্যন্ত, এটাই যা। ব্যাটিং নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে।

সাবাস, শেষমেষ জয় আমাদের হলো!

যেদিন ব্যাটিং-এ ফেল মারে সেদিন বোলার-ফিল্ডাররা কোপানি শুরু করে দেয় নির্মমভাবে। আবার যেদিন বোলাররা ক্রনিক্যাল আমাশয়ে ভুগতে থাকে, সেদিন ব্যাটিং হয় মারাত্মক। কিন্তু এই দুইটা ডিপার্টমেন্টই সমানতালে ভালো করতে পারে না কেন? সমস্যা'টা কী?

জিতছি, আনন্দ... কিন্তু আয়ারল্যান্ডের লগে জিইতা অতো আনন্দ করা ঠিক না... এইটা তো পাওনা বিজয়।
এই বিজয় দেইখা সাকিব বাহিনী যেন না লাফায়, ব্যাটিংয়ে ম্যালা উন্নতি না করতে পারলে পরের ম্যাচ আর জিততে হইবো না

আরেকটু হইলে এই জোয়ান বয়সে আমার ইন্তেকাল হইত আর কি...যেই ম্যাচ হইল...

বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনের দুঃখে ঘুম দিচ্ছিলাম। সিটি কর্পোরেশন কে ধন্যবাদ, কারণ মশক বাহিনীর কারনেই কারনেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। টিভি ছেড়ে আশরাফুলের নৃত্য দেখে অবাক হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়েছিলাম আর কি...

শফিউল মারাত্মক না হইলেও ভালো বোলিং করেছে। তামিম অসাধারন ক্যাচ ধরেছে...বাকিরাও ভালো ফিল্ডিং করেছে। তবে ব্যাটিং ভালো হয় নাই দেখে কিঞ্চিৎ টেনশনে আছি।

জেতার জন্য অভিনন্দন সাকিব বাহিনীকে। গর্জে উঠো টাইগাররা !!!

সকল কৃতিত্বই আসলে নান্টু ঘটকের।

আরেকটা ব্যাপার। বেচারা শফিউল ইংরেজিতে কাঁচা, কিন্তু কেন আমাদের খেলোয়াড়দের মাঠে গিয়ে ইংরেজিতে সাক্ষাৎকার দিতেই হবে? একজন দোভাষী নিয়োগ করা হোক প্রয়োজন হলে। বেচারা এত ভালো খেলেও ইংরেজি বলার ভয়ে কাঁচুমাচু হয়ে সে কী একটা বাজে দৃশ্য! এইটা কোনো কথা হলো? ইনজামামের বাচ্চা তো ঠিকই উর্দুতে ভগর ভগর করতে থাকে!

আমাদের খেলোয়াড়রা মাঠে ইংরেজি সেকেণ্ড পেপার পরীক্ষা দিতে নামে নাই। তাদের মনে হীনম্মন্যতা দূর করার রাস্তা রাখা হোক, অভিলম্বে দোভাষী নিয়োগ করা হোক। শফিউল, পরের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যামেরার সামনে সিনা টানটান করে বাংলায় কথা বলবা। ডরাইলেই ডর ... !

ম্যাচ জিতেছি সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি আর প্লেয়ারদের মনোবলের কারনে। সাকিব নিজেও দলের স্পিরিটের কথা উল্লেখ করেছে।

পাকিস্তানের শেষ খেলায় দেখলাম উমর আকমলের সাথে রমিজ রাজা উর্দুতে কথা বলল আর সাক্ষাতকার শেষে ইংলিশে একটা সারমর্ম দিয়ে দিল। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এশিয়ান দেশগুলোর জন্য এরকম ব্যবস্থা রাখলেই পারে। ইংরেজী না জানাটাতো কোন অপরাধ না। বেচারা শফিউল নিজের অনুভুতির কথাগুলো ঠিক মতো গুছায় বলতেও পারল না!
-রু

কোপা রে কোপা

ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আমাদের আছে , দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে
জয়ের জন্য অভিনন্দন

আমরা জিতে গেছি।

এই পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে আর হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গেল ।