মেসেজটা গেল কিনা বুঝলাম না।
অনেক সময় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও অনেকে দেখেনা। অনেক আবার দেখতেও চায় না। অনেকে দেখে ; দেখে শুনে কাজের সময় কর উল্টোটা।
হিমুর পর্যটন শিল্পে বেলুন নিয়ে লেখাটা চুরি করে পোস্ট করেছিলাম। সাথে ছিল কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে প্রকাশ করা একটি ছবি। লেখাটির নীচে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম "নেট"-এর কথা। এই নেট এত সাধারণ একটা সূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যে পত্রিকা এবং ব্লগে প্রায়ই দেখা যায় এই "নেট"-সূত্রের ব্যবহার।
আমার সেই লেখাটিতে অনেকেই মন্তব্য করেছেন; অনেকে হয়তো শেষের দুই লাইন খেয়াল করেছেন, অনেকে করেননি। লেখাটি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলাম মেধাস্বত্বের বিষয়টি।
উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হয়েছে বলা যায় না। একটা কারণ হতে পারে যে হিমুর লেখার রেশ তখনও ছিল এবং সবাই জানতো এটা হিমুর লেখা। তবে অধিকাংশ পাঠকই সম্ভবত বুঝতে পারেননি কেন হিমুর লেখা আমি কপি-পেস্ট করলাম।
প্রতিক্রিয়া
ধরা যাক আপনার একটি লেখা কাল অন্য একটি ব্লগে বা কোন পত্রিকায় আপনার অনুমতির তোয়াক্কা না করে আপনার নামে ছাপিয়ে দেয়া হল। কিংবা ধরুন আপনার নামে নয়, অন্য একজনের নামে আপনার লেখাটি ছাপিয়ে দিল। কেবল লেখাই নয়, লেখার মতো ছবির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য। ফটোগ্রাফাররা ভেবে দেখুন আপনার ছবিটি অনুমতি না নিয়ে কোন প্রকাশনা সংস্থা কিংবা কোন দৈনিক পত্রিকা তাদের বলে চালিয়ে দিল। আপনিই বলুন এক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? আপনার অনভূতিই বা কেমন হবে?
আমাদের অনেকেরই ধারণা অন্যের ছবি ইচ্ছেমত ব্যবহার করা যায় কোনরকম কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করেই। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। এমনটি ফ্রি ছবিও (যেমন উইকিপিডিয়ার ছবি) ব্যবহার করার শর্ত থাকে যে ছবির মূল শিল্পীকে ক্রেডিট দিতে হবে।
উদাহরণস্বরুপ ক্রিয়েটিভ কমনস এট্রিবিউশন শেয়ার এ্যালাইক লাইসেন্সের আওতায়--
You are free:
to share – to copy, distribute and transmit the work
to remix – to adapt the work
Under the following conditions:
attribution – You must attribute the work in the manner specified by the author or licensor (but not in any way that suggests that they endorse you or your use of the work).
share alike – If you alter, transform, or build upon this work, you may distribute the resulting work only under the same or similar license to this one.
সচেতনতা
কপিরাইট বিষয়ক সচেতনতা আমাদের মধ্যে একদিনে হয়তো আসবে না। উচ্চ-শিক্ষার ক্ষেত্রেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মেধাস্বত্বের উপর ততটা জোর দিতে দেখা যায় না। আরেকটি কারণ হতে পারে মেধাস্বত্ব ভঙ্গের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া/দণ্ড আমরা চারপাশে খুব বেশী দেখিনা। যার ফলে আমরা ধরেই নেই মেধাস্বত্ব ভঙ্গ বড় কোন অন্যায় নয়। আমি নিজেও একসময় তেমনটাই ভাবতাম। এখন আস্তে আস্তে বদলাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই আপনাদের প্রতিও একই আহবান জানাচ্ছি।
প্রত্যাশা
বাংলা ব্লগ কিংবা বাংলা রাইটার্স ফোরাম হিসেবে সচলায়তন একটি উচ্চতা অর্জন করেছে। এটিকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে আসুন আমরা সচলায়তনে লেখালেখি বা ছবি ব্যবহারের সময় মেধাস্বত্ব মেনে চলি। বিশেষত:
মন্তব্য
এই সচেতনতা সহজাত হয়ে উঠতে বাঙ্গালীর আরো সময় লাগবে মনে হয় । আমরা তো সব ব্যাপারেই ঢিলামি আর উদাসীন্য । ব্লগের লেখা পত্রিকাগুলোর মেরে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কমার তো লক্ষণ দেখি না । দেখা যাক কি হয় !
সহমত।
অঃটঃ ধূসর গোধূলি ওরফে ধূগো'দার ধূসর অংশটারও কপিরাইট দেয়া হোক।
ঠিক এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম
কিছুটা সময় লাগবে হয়ত দেশে।
আমারও প্রত্যাশা থাকবে সচলায়তন নিজের স্ট্যান্ডার্ডটা ধরে রাখতে পারবে।
এই লেখাটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
বক্তব্যের সাথের সহমত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_________________
[খোমাখাতা]
দেশে এটা হতে ঢের দেরি আছে। কোন এক প্রয়াত সম্পাদক যে সচলদের লেখা চুরি করে ছাপিয়ে তার কাগজ বের করলো, তাকেই এখন দেশে 'নায়্ক' হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে! এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে সচলেই কিছু লোকজন আছে যারা আপনাকে দুই কথা শুনিয়ে দেবে।
খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা নিয়ে একটা লেখা আসা অবশ্যই উচিত ছিল। ধন্যবাদ লেখার জন্য। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের সবারই সচেতন হওয়া উচিত। তবে ব্যক্তিগত একটা মত শেয়ার করি। মূল বক্তব্যটা এভাবে উপস্থাপন না করলেও হয়ত হতো। একটা খারাপ কাজ যে কেন খারাপ, তা বোঝানোর জন্য নিজেকে সেটা করে না দেখালেও তো চলে। হয়ত বোঝাতে পারলাম না ঠিক। তবে যা-ই হোক, আশা করি আমরা সবাই মেধাস্বত্বের ব্যাপারে ভবিষ্যতে অনেক বেশি যত্নবান হবো।
ধন্যবাদ প্রহরী।
বলে রাখি, ঐ লেখাটি হিমুর অনুমতি নিয়েই করেছি। অন্যায় হয়েছে যে হিমুর লেখাটি যে অনুমতি নিয়ে পোস্ট করেছি সেটার উল্লেখ না থাকায়। আর যে ছবি দিয়েছি সেটার কপিরাইট আমারই
তবে এটা ঠিক, দেশে এই বিষয়ে সচেতনতা আগের চেয়ে বাড়ছে। আশাকরি এই বাড়ন্তের গতি আরো দ্রুত হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত।
কাগজে দেখলাম, নামী দামী বিশ্ববদ্যালয়েও নাকি প্রজেক্ট-টিউটোরিয়ালে ব্যাপক কপি-পেষ্ট চলছে। আর, চলচ্চিত্র-সঙ্গীতের জগতেও ওই একই গল্প। সর্বস্তরে সচেতনতা জরুরি।
পিপি'দা প্রথম লেখাটায় সবাই হাসছে দেখে আমিও কিছু বুঝতে পারিনি। পরে অবশ্য বুঝেছিলাম।
এই লেখার সাথে জোড়ালো সহমত প্রকাশ করে গেলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
একটা প্রশ্ন ছিল। ধরুন আমি আমাদের কাছে আপাত অপরিচিত কিন্তু আফ্রিকার স্থানীয় একজন শক্তিমান লেখকের কোন লেখা অনুবাদ করি, এবং লেখকের সাথে যেহেতু যোগাযোগের কোন উপায়ও নেই, সে অনুদিত লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে সচলায়তনের আপত্তি থাকতে পারে কি? লেখকের নাম উল্লেখ করে সূত্র দিলেও এটাও কি মেধাস্বত্ব আইন ভঙ্গ করে?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সহমত
এহ্হে... ছবিপাপে আমিই তো মনে হয় সবচেয়ে বড় পাপিষ্ঠ কির্মিনাল এইখানে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে "ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট" এই জাতীয় কোন কথা দিয়ে দায় সেরেছি।
কিন্তু এখন কি করা? ভবিষ্যতের কথা পরে, কিন্তু আগেরগুলির ক্ষেত্রে কি করব - বেশির ভাগেরই তো সুনির্দিষ্ট সূত্র ভুলে গেছি ?
****************************************
আমার লাস্ট ব্লগে "পরে দিচ্ছি" দোষে দুষ্ট, তবে লিংক যোগ করে দিলাম এবার
একটা ইস্যু হচ্ছে, ইন্টারনেট থেকে পাওয়া ছবির লিংক উল্লেখ করা সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল, সেটা সহজেই করা যায়। কিন্তু, সব ছবির ব্যাপারে অনুমতি নেয়াতো একটা সমস্যা। আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যেটা করি, গুগল ইমেজ সার্চ দিয়ে দরকারী ছবি নিয়ে লিংকসহ ব্লগে যোগ করি, কিন্তু অনুমতি যে কীভাবে নিতে হবে, জানি না!
আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বিদেশী ভাষার কপিরাইটেড বই ব্লগে ধারাবাহিক অনুবাদ করা। বাণিজ্যিক ভাবে প্রকাশ করার আগে মনে হয় কেউই অনুমতি নিতে যায় না, কারণ শুধু ব্লগে লিখার জন্য এটা অনেক খরচান্ত ব্যাপার, এই ক্ষেত্রেই বা কী করা যায়?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এখানে আসলে নিরাপদ থাকতে হলে সবকিছু অনুমতিক্রমে করাই উচিত। কিন্তু অনুমতি না নিলেও যদি সূত্র উল্লেখ করে ছবি বা অনুবাদ অলাভজনক কাজে ব্যবহার করেন, তাহলে তা একেবারে নিশ্চিতভাবে কপিরাইট লংঘন জাতীয় কিছু নয়। হলফ করে বলা সম্ভব নয়। কপিরাইট অধিকারী মামলা করলে তখন আদালতের বিচার্য যে সেটা কপিরাইট লংঘন হয়েছে কিনা।
কপিরাইট ব্যাপারটা নিয়ে আরো বোঝাবুঝির প্রয়োজন আছে। কপিরাইট কি লেখকের একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা করে? যুক্তরাষ্ট্রের গান মুভি বইয়ের কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের হাত ধরে সেইরকম একটা চিত্র মানুষের মনে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনি যদি কপিরাইট আইনের মূল উৎস, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ফেরত যান, কপিরাইট আইনের উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার হবে। কপিরাইট অধিকারকে আপনি যদি সম্পত্তির অধিকারের সমতুল্য মনে করেন, তাহলে বিনা অনুমতিতে সূত্র উল্লেখ করে কপি করলেও সেটা চুরি, কোনো অন্যথা নেই। কিন্তু কপিরাইট আইনকে কিন্তু লেখকের বা স্রষ্টার সম্পত্তির মতো একচ্ছত্র অধিকার বানানোর জন্য আনা হয় নি। কপিরাইট মূলত লেখকের লাভের জন্যে নয়, পাবলিকের সুলভে প্রাপ্যতা লাভের নিমিত্তে লেখক বা প্রকাশককে দেয়া এক প্রকারের প্রণোদনা। অর্থাৎ পাবলিকের কাছে প্রাপ্য হওয়াটা এখানে আগে। কিন্তু লেখক যদি না লিখে, প্রকাশক যদি না ছাপায়, পাবলিক পাবে কী করে? এজন্যে কপিরাইটের সাময়িক মনোপলি হলো লেখক প্রকাশকের প্রতি একধরনের প্রণোদনা।
ফলে অনেকে বলছেন, পাবলিকের কাছে প্রাপ্যতা যেসব ক্ষেত্রে অঢেল, যেমন ইন্টারনেট, সেখানে কপিরাইটের বাড়াবাড়ি এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। অঢেল সম্পদে কেনো পাবলিকের প্রাপ্যতার অধিকার আছে, এর জন্যে আমার মৌলিক অধিকারের প্রথম খসড়া লেখাটা পড়তে পারেন। ওহ্ সরি, লেখাটা তো মুছেই ফেলেছি। কেউ পড়তে চাইলে মেইল করতে পারি।
এ ব্যাপারে রিচার্ড স্টলম্যানের Free Software, Free Society বইটার আঠারো নম্বর চ্যাপ্টারটা পড়তে পারেন (Misinterpreting Copyright—A Series of Errors)। কয়েকটা লাইন দিচ্ছি:
মজার ব্যাপার যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্যান্য অধিকাংশ রাষ্ট্রই, যেমন কানাডা এই কমনসেন্সের উপর ভিত্তি করে ইন্টারনেটে কপিরাইটের কড়াকড়ি করছে না। কিন্তু খোদ যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে সংবিধানেই এই উদ্দেশ্যের কথা লিখিত, সেখানে কর্পোরেটরা ফেডারেল সরকারকে চাপ দিয়ে সোপা টোপা করিয়ে নিচ্ছে। কর্পোরেটরা কীভাবে মানুষের অধিকার সংকোচনে সরকারকে ব্যবহার করে, তার উদাহরণ। এখন তারা কানাডাকেও চাপ দিচ্ছে অনুরূপ আইন করার।
পরিশেষে, ইন্টারনেটে কপিরাইটের ব্যাপারটা এতো সরল নয়। কৃতজ্ঞতা স্কীকার করে লেখকের কৃপার উপর নির্ভর করতে পারেন, বা বলতে পারেন আমি ছোটো, আমাকে মেরো না। বিপদে পড়লে আমাকে পাশে পাবেন । তবে পরামর্শ দেবার জন্যে আমাকে ফাসানো চলবে না!
চমৎকার মন্তব্য।
কপিরাইটের কয়টা বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নই।
চাই বাংলাদেশ পাইরেট পার্টি
এভাবে উদ্যোগ নিলে, আলোচনা হলে, সচেতনতা অবশ্যই বাড়বে। সচেতন না হলে কী ক্ষতি হয় তার দু-একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হওয়াও দরকার। এখনতো তাও পাদটীকা, রেফারেন্স, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি বেশ ব্যবহার হয়, আগে আরো কম ছিলো বলে আমার ধারণা।
আমাদের দেশে পত্রিকাওয়ালারা কোন ওয়েব সাইট থেকে কোন কিছু সংগ্রহ করলে তথ্য সুত্র হিসাবে সেই ওয়েব সাইটের নাম না লিখে লিখে ইন্টারনেটে প্রাপ্ত অথবা তথ্য সুত্রঃ বিভিন্ন ওয়েব সাইট। আবার কি অদ্ভূত, বিবিসি , গার্ডিয়ান কিংবা টাইমস থেকে কিছু কপি করলে সেই পত্রিকার নাম অনায়াসে ছেপে দিচ্ছে অথচ অন লাইনের তথ্য সুত্রের বেলায় ওয়েব সাইটটির পুরো নাম লিখাকে মনে করে সেই ওয়েব সাইট ওয়ালাদের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়ে যাচ্ছে !
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
একটা সময় ছিল ঘরে ঘরে ইন্টারনেট ছিল না, তখন পত্রিকায় বিশেষ কোন লেখা বা ছবি ছাপিয়ে বলে দেয়া হতোঃ ইন্টারনেট। ধরে নেয়া হতো ইন্টারনেটে সাতখুন মাফ। সেই যুগ অনেক আগে বিলীন। তবু এখনো প্রচুর পত্রিকায় এই প্রবণতা রয়ে গেছে। আগামীতে নিক রেজিষ্ট্রেশানের কপিরাইট আইনও বানাতে হবে। ব্লগের নিকও চুরি ছিনতাই হতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নিকের নামটার উপর কি নিকধারীর সার্বিক ও একচ্ছত্র অধিকার আছে, যেখানে আসল নামের উপরেই নামধারীর সেটা থাকে না? আলোকিত করুন।
আসল নাম প্রমাণ করার মতো কাগজপত্র আমাদের আছে। কিন্তু নিক প্রমাণের কোন দলিলপত্র নেই। যে কেউ চাইলে আমার বা আপনার নিক নিয়ে অন্য একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশান করে লেখা শুরু করতে পারে। যেমন আমার সচলের এই প্রোফাইল ছবিটা চুরি করেছে একজন বছরখানেক আগে। সে এটা ফেসবুকে তার প্রোফাইল পিক হিসেবে ব্যবহার করছে। লোকজন ভাবতে পারে ওটা আমার। অনেক অনুরোধ করেও তাকে ওই ফটো বদলাতে রাজী করতে পারিনি। এসব ব্যাপারে আইনী সহায়তা পাবারও কোন উপায় দেখি না। তাই বলছি নিকের ক্ষেত্রে এটা ঘটা আরো সহজ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেকের অজ্ঞতার কারনেও ভুল গুলো হয়ে থাকে। যদিও লেখা নিয়ে এমন কোন ভুল হয়নি কিন্তু অনেক সময় লেখার মাঝে ছবি যোগ করেছিলাম এবং তার লিঙ্ক দেইনি আর সেই ভুলও অজ্ঞতার কারনেই হয়েছে। এই আলোচনা মনে হয় এই প্রথম সচলায়তন এই পেলাম এবং জানলাম।
কৃতজ্ঞতা এবং সামনের দিক অবশ্যই মনে থাকবে।
এই ভাবে যদি যারা নতুন ব্যবহার কারী তাদের সাথে তথ্য গুলো শেয়ার করা যায় তবে আমার মতো অনেকেই জানবেন এবং পরিহার করবেন।
'মেধাসত্ত্ব' কথাটির মধ্যে কিছু শুভংকরের ফাঁকি। আগ্রহীরা রিচার্ড স্টলম্যানের এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।
Did You Say “Intellectual Property”? It's a Seductive Mirage
http://www.gnu.org/philosophy/not-ipr.html
এ ছাড়া কপিরাইট ধারণাটা নিয়েও অনেক রকম ভুলবোঝাবুঝি চলছে-
Misinterpreting Copyright—A Series of Errors
http://www.gnu.org/philosophy/misinterpreting-copyright.html
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুর্বল শরমশক্তির কারণে ভুল করে নজু ভাইয়ের একটা কৌতুক আরেকজনের মুখে শুনে লিখে ফেলসিলাম।
পরে বিব্রত এবং লজ্জিত হয়ে আবার ট্যাগে "নজু ভাইয়ের কৌতুক" কথাটা অ্যাড করে দিসি।
এইটা যে কোন মামলায় পড়ে, ঠিক বুঝতেসি না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন