আমেরিকা-আমেরিকা-আমেরিকা। আমার এবং আমার চারপাশের অনেকের জীবনেই আমেরিকা এমন একটা স্থান দখল করে নিয়ে আছে যার প্রভাব উপেক্ষা করা যায়না। একবার এক বন্ধু বলছিল দেশে থাকতেও আমরা ভারতের দিকে মুখ করে থাকতাম, আর বিদেশে (কানাডায়) এসেও সেই একই অবস্থা; ভারতের বদলে কেবল আমেরিকা। বন্ধুটি সম্ভবত দূরদর্শন থেকে শুরু করে কোরবানীর ভারতীয় গরুর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কেবল সময়ের স্কেলে-- নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর জন্য অনেকেই এখানে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। চার লিটার দুধ এপারে সাড়ে পাঁচ ডলার আর ওপারে আড়াই ডলার। অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্যি। তাই বন্ধুটি প্রায়ই দুধ আর গ্রোসারি থেকে শুরু করে বাক্স-বাক্স চিকেন কিনে আনে আমেরিকা থেকে। ওখানে সবকিছুই নাকি সস্তা।
নদীর এপার থেকে সন্ধ্যায় আমেরিকা যেমন দেখায়, ২০০৯। ছবি-লেখক।
দেশের কাউকে যখন বলি আমরা থাকি কানাডার অমুক শহরে, যার পাশ দিয়ে ডেট্রয়েট নদী আর ওপারেই আমেরিকা। বাসা থেকে দুই মিনিট হাঁটলেই নদীর পাড়ে গিয়ে আমেরিকা দেখা যায়। গল্পে গল্পে আমেরিকা দখল করে নেয় কানাডার স্থান। সম্ভবত বক্তা এবং শ্রোতা উভয়েরই আমেরিকার প্রতি এক অনিবার্য মোহ রয়েছে, আর সে কারণেই বারবার গল্পে, আড্ডায়, জীবন-যাপনে উঠে আসে আমেরিকার প্রসঙ্গ।
আম্মা-আব্বা যেবার এখানে বেড়াতে এলেন, মনে আছে এয়ারপোর্ট থেকে প্রথমেই যেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা ডেট্রয়েট নদীর পাড়। সবে সন্ধ্যা নেমেছে। ডেট্রয়েট নদীর উপর এ্যাম্বাসাডর ব্রিজের নীচে তখন সারি সারি আলোর নাচন। আর সেই দোলায় দুলছে নদীর ঢেউগুলো। আম্মার মুখ দিয়ে দ্বিতীয় যে বাক্যটি বের হয়েছিল, তা ছিল আমেরিকা নিয়ে--"আমেরিকার এত কাছে!"
সেই আমেরিকা নিয়েই এই লেখার চিন্তা মাথায় এল। গত কয়দিন থেকে কী লিখবো আর কিভাবে লিখব শুধু সেটাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কোথায় থেকে শুরু করবো তা ঠিক করতে পারিনি। ঠিক আছে, বর্ডার ক্রসিং দিয়েই শুরু করি।
বর্ডার ক্রসিং
ইউএস বর্ডার পার হতে গিয়ে যতটা আতঙ্ক আর অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি তার সাথে সম্তবত বিসিএস পরীক্ষার ভাইভারও তুলনা চলে না। নটর ডেম কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় টেকার পরে একটা ভাইভা দিতে হোত। এখন কি সিস্টেম জানিনা, এত এত জিপিএ পাঁচ ওয়ালাদের আবার ভাইভা নিয়ে কী করবে! ভাইভা দিতে গিয়ে দেখি এক ছেলে এসেছে তার মায়ের সাথে। ছেলেটি টেনশনে দরদর করে ঘামছে আর সমানে বিড়বিড় করছে। সম্ভবত যত দোয়া-কালাম জানে সেটাই পড়ছিল। এই হল ভাইভার টেনশন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল নটর ডেমের ভাইভা নিছক ফর্মালিটি--কাউকে কখনোই বাদ দেয়না। পরে জেনেছিলাম ভাইভাতেও অনেককেই বাদ দেয়। কাছের এক বন্ধুর জীবনেই সেই দুর্ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছিল।
যা বলছিলাম-- বর্ডার ক্রসিং। বাংলাদেশে জন্মাবার অপরাধে ইউএস বর্ডার পার হওয়ার সময় আমাদের যেতে হতো বিশেষ একটা রেজিস্ট্রেশনের মধ্যে দিয়ে। এর নাম এনসিয়ারস-- ন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ট্রি-এক্সিট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম। সেই প্রসঙ্গে আসছি, তবে তার আগে বলে রাখি আমাদের এখান থেকে দুই ভাবে ইউএস যাওয়া যায়: ব্রিজ দিয়ে অথবা ডেট্রয়েট নদীর তলদেশ দিয়ে বানানো টানেল দিয়ে। কোন এক অজানা কারণে নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়ার চেয়ে খোলা আকাশের নীচ দিয়ে যাওয়া নিরাপদ মনে হোত। তাছাড়া ব্রিজ একেবারে ঢিল ছোঁড়ার দূরত্বে (কথার কথা আরকি), এক টানেই চলে যাওয়া যায়।
আগস্টের সন্ধ্যায় ডেট্রয়েট নদী, ২০০৯। ছবি- লেখক।
কানাডা-আমেরিকার বর্ডার বলা যায় অর্ধেক খোলা। অর্থাৎ কানাডা থেকে আমেরিকায় ঢোকার সময় ব্রিজে উঠে পড়লেই আপনি কানাডার বাইরে চলে গেলেন। ব্রিজের ওপারে গিয়ে ইউএস কাস্টমস-এর বুথ। তেমনি ইউএসএ থেকে কানাডায় আসার সময় ওপারে কোন চেকপোস্ট পার হতে হয় না, সরাসরি কানাডিয়ান কাস্টমস-এর চেক পোস্টে হাজির হতে হয়। ব্যাপরটা যে এরকম সেটা প্রথম যেদিন আমেরিকা যাই সেদিন বুঝতে পারি। ধারনা ছিল কানাডার বাইরে যাওয়ার সময় কানাডিয়ান কাস্টমস পার হতে হবে। তাই অবাক হই যখন বিনা বাধায় কানাডা থেকে বের হয়ে ব্রিজের উপরে উঠে পড়ি। একবার কানাডা ছাড়লেন তো ফেরার আর উপায় নেই। কারণ ব্রিজের উপর কিংবা টানেলের ভিতর কোন অবস্থাতেই ইউ টার্ন নেয়া সম্ভব নয়। এখানে প্রকাশ্যে ও গোপনে ক্যামেরার নজরদারি চলে ২৪/৭।
চলবে।
মন্তব্য
এত্তো ছোট পোস্ট?! মাত্র আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলাম
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নামান প্লিজ
আচ্ছা, কানাডার পাসপোর্ট থাকলেও (বাংলাদেশে জন্মগ্রহনকারীদের জন্য) এনসিআরএস এর মধ্যদিয়ে যেতে হবে?
বেশী ছোট হয়ে গেছে? আমার মনে হচ্ছিল বড় হয়ে গেল কিনা--এমনিতেই পড়ে না, বড় হলে তো আমার লেখা কেউই পড়বে না।
এখন আর NSEERS নেই, উঠিয়ে দিয়েছে। কষ্ট কম। তবে সেই স্মুতিগুলো লিখে রাখার জন্যই পুরনো ঘটনার অবতারণা। পরের পর্বে বর্ডার ক্রসিংএর সময় প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা আর ঘটনা নিয়ে লিখবো। আগামী সপ্তাহে দেয়ার ইচ্ছে আছে।
থ্যান্কু পিপি'দা - আগামী হপ্তা পর্যন্ত্ মুখ হা করে থাকবো কিন্তু বলে দিলাম
হুমম - উইকিতে দেখলাম এনসিআরএস আপাতত বন্ধ
আরেকটু ঘাটাঘাটি করতেই উইন্ডসর আর ডেট্রয়েটের ক্রাইম-রেটের অবিশাস্য তুলনা দেখলাম! মাত্র এক মাইলের ব্যাবধানে এতো পার্থক্য!
খুব ভাল লাগল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষাতে আছি। ফটোগুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনার ফটো-ব্লগ থাকলে, দয়াকরে যদি লিংকটা দিতেন, তাহলে একবার ঢু মারতাম। শুভ কামনা রাইল।
খালি ফটো ব্লগ কি ভালো? সচলরা কিন্তু অন্য গ্রহের প্রাণী, খালি ফটোব্লগে মন ভরে না। হা হা . . .
ছবিটা অসাধারণ
পরের পর্বের জন্য(পপ্পন)
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
কোনটা? উপর না নীচের টা? ধন্যবাদ।
দুটাই, উপরেরটা নীল রংটা খুব সুন্দর।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
পোস্টটা বেশী ছোট হয়ে গেলো। পড়ে মন ভরলো না। পরেরটা আরো বড় করার দাবী রেখে গেলাম।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
দ্বিতীয় ছবিটা চমৎকার!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ভালইতো লাগছিলো পিপিদা, কিপ্টেমি করে থেমে গেলেন কেন?
এই ধরনের লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে। লেখা ছোট হওয়ার অনুযোগটা আমিও করে গেলাম।
... কেন যেন মনে হয় ৫০ বছর পর মানুষ আমেরিকা-আমেরিকা করার বদলে চায়না-চায়না করবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হুট করে যেন শেষ হয়ে গেল পরের পর্ব পড়ার আগ্রহ হচ্ছে।
এত্তো ছোট খুব ভাল লাগছিল পরতে । তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন প্লীজ ।
অতি বড় আমেরিকা বিদ্বেষীও আমেরিকার গল্প শুরু হলে কান পেতে শোনে, কাজেই লেখা পড়বে অনেকেই। ক্ষুদ্রায়তনের লেখা কেবলই আপনার আলসেমী বিশেষ, এই অনুযোগ জানিয়ে গেলাম
ঐদিন একটা পোস্টার দেখলাম। জন লেনন আর ইয়কো ওনো একটা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ায়া আছে (ছবি আসল কিনা জানি না)। লেখা: Don't Hate What You Don't Understand! তাই আরেকটু বুঝার জন্য আম্রিকাবিষয়ক লিখা পড়ি
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার দৃষ্টি খুব একটা সুক্ষ্ণ না, অনিন্দ্য। শুধু অভিজ্ঞতার বিবরণ পাবেন:)
হুম! হুট করেই শেষ হয়ে গেল ..... অপেক্ষা পরের পর্বের জন্য।
শুরু হইতে না হইতে শ্যাষ!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
facebook
আমিও একটা পোস্ট লেখার আইডিয়া পেয়ে গেলাম। নায়াগ্রার এপার থেকে ওপারের কানাডা
চলুক!!
লিখে ফেলেন, আপনি ওপার থেকে কেমন দেখেন সেটাও জানা হবে তাহলে।
অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের জন্য।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এত্ত ছোট্ট লিখলেন!
আমেরিকার অনেকেই কিন্তু ক্যানাডার অনেক কিছুর দিকে এমন ভাবেই তাকিয়ে থাকে। সস্তা চিকিৎসা আর ওষুধ, সুলভ উঁচুমানের শিক্ষা, বেকার ভাতা, শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন আর প্রায় অনুপস্থিত আগ্নেয়াস্ত্রজনিত আপরাধ... এমন আরও অনেক কিছু।
ইদানিং ক্যানাডার ব্যাঙ্ক বি-মো আমেরিকার অনেকগুলো বড় বড় ব্যাঙ্কও কিনে নিয়েছে - সেটা দেখে মনে হয় ওখানে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বিপর্য়যটাও আমেরিকার মত খারাপ ছিলো না। নাকি একেবারেই ছিলো না?
আপনি আসছেন নাকি আমেরিকায়?
ব্যাংকিং বিপর্যয় আমরা একেবারেই টের পাইনি। ওভারল রিসেসন কী তা তেমন টের পাইনি কারণ সেই সময়টাতে ইউনিভার্সিটিতে ছিলাম।
কানাডার স্বাস্থ্য সেবা ফ্রি হলেও আমি অনেক আমেরিকান বন্ধু যাদের কানাডায় আত্মীয় স্বজন আছে, তাদের কাছে শুনেছি আমেরিকাতেই নাকি সেবার মান বেশী ভালো (যদি কাভারেজ থাকে)। কানাডায় জিনিসটা ফ্রি। সেদিক থেকে অবশ্যই এগিয়ে আছে। তবে কানাডায় কিছু সমস্যা আছে যেমন স্পেশালিস্টের কাছে দেখা করতে চাইলে ৪-৬ মাসের লাইন। এরকম কয়েকবার হয়েছে-- যে কারণে দেখা করা দরকার সেই কারণ/লক্ষণ ৬ মাস বসে থাকেনি। ফলে স্পেশালিস্টের সাথে সাক্ষাত হয় বাতিল করতে হয়েছে নয়তো এমনিতেই দেখা করে আসতে হয়েছে।
প্রেগন্যান্সির শুরুতে আমার বৌএর স্কিন এলার্জি দেখা দেয়, আর স্পেশালিস্ট এর দেখা পাইসিলাম বাচ্চা কোলে করে নিয়ে গিয়ে।এলার্জি মনে হয় পালায়সিল - দেখা দেয় নি
আগ্রহ নিয়ে শুরু করলাম। আশা করি সিরিজ চালু থাকবে।
ক্যানাডাতে দুইবার গিয়েছি, দুই উপকূলে। প্রতিবারই জিনিসপত্রের দাম খচ করে এসে বুকে বিঁধেছে। যদি আপেলের সাথে আপেলের তুলনা করতে হয় তাহলে বলতে হবে জিনিসপত্রের দাম চড়া হলেও কানাডা অনেক বেশি বাস যোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ। মার্কিন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সস্তা হলেও চিকিৎসাসেবার খরচ মারাত্মক।
আপনি আসছেন নাকি এই মুল্লুকে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কানাডা অনেক বেশী শান্তিপূর্ণ সেটা নিয়ে দ্বিমত করব না। কানাডায় মনের মত চাকুরি থাকলে আর বরফে সমস্যা না থাকলে বসবাস করে আরাম আছে।
ভ্যাঙ্কুভারে বরফ সমস্যা কম শুনছি.
..................................................................
#Banshibir.
হুম। তবে লিভিং কস্ট অনেক বেশী। ইন ফ্যাক্ট, যে কোন বড় শহরেই খরচ বেশী। সেটা কানডা বা আমেরিকা সবখানেই।
লেখা ভাল লেগেছে! মনে পড়ছে, আনিসুল হক ও জাফর ইকবাল স্যারের অতি সুখপাঠ্য দুটি বই পড়েছিলাম আমেরিকা নিয়ে। আর হুমায়ুন আহমেদের 'যশোহা বৃক্ষের দেশে', 'হোটেল গ্রেভার ইন' তো অনন্য! আপনার লেখা পড়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ আম্রিকাকে আরো জানতে পারব, সেই আশাই করছি।
ভাই, আপনি আমাকে পঁচাইলেন কিনা বুঝলাম না
পুলাপাইন আম্রিকা থেইকা বিড়িও কিন্যা আনে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
টোবাকো মনে হয় সহজে আনা যায় না। আমি ঠিক জানি না অবশ্য। পয়সা দিয়ে কে বিষ কিনে খেতে চায় বলুন
স্বাগতম! ফোন নাম্বার কি আগের গুলোই আছে?
হে হে... আসি আগে
হুট করে শেষ হয়ে গেল... ২ আসুক
উপরের নীল আর নিচে দূরের বর্ণিল-
কানাডা তে কেউ বেশি সময় থাকে না - আম্রিকা পাড়ি দেয় । আপনি দিচ্ছেন মনে হচ্ছে
হা হা.. কাজ যেখানে শ্রমিক যাবে সেখানে।
আম্রিকায় স্বাগতম। কানাডাবাসীরা যখন কানাডার কথা বোঝাতে 'নর্থ আম্রিকা' বলে তখন তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও বুঝতে পারি
হে হে... আপনি তো ভালো পয়েন্ট ধরেছেন।
আম্রিকা আবার আসতেছেন নাকি? মিশিগান থেকে ঘুরে এসেছি, কাজিন বলছিল কানাডা মাত্র দুই/তিন ঘন্টা দূরে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মিশিগান তো অনেক বড় স্টেট, আপনি কোথায় এসেছিলেন? আমি সামনের সপ্তাহের পরে আবার হয়তো যাবো।
আসলেই লেখা ছোটু হয়ে গেছে পিপিদা, প্রথম ছবিটা চমতকার, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
পিপিদা কদ্দিন পর!
এহ এটা কিছু হল পিপিদা! কেবল শুরু করলাম পড়া। স্ক্রল করতেই দেখি লেখা শেষ! অবিচার।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কানাডা বনাম আমেরিকা কিছু তেমন জানা নেই। কখনও কখনও মনে হয় মার্কিনিরা কানাডাকে মনে হয় নিজেদের উপনিবেশ মনে করে।
তবে কানাডার যা তেলভাণ্ডার তাতে মনে হয় অর্থনীতির ভবিষ্যত খারাপ না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ছবিটা কি উইন্ডসর থেকে তোলা?
সাইফ শহীদ
জ্বী, দুটোই এপার থেকে তোলা।
ছবিগুলো তোলার পরদিনই কি আমরা উইন্ডজর গিয়েছিলাম?
সিরিজ চলুক!
না শিমুল, সম্ভবত আরো আগের তোলা-- ২০০৯ এর জুন/জুলাইয়ে দিকে।
আমেরিকা নিয়ে মুগ্ধতাটা একদম বুঝতে পারি না, সবাই কি এখনও ঘুমে আমেরিকান ড্রিম দেখে?
পরের পর্ব আশা করি বড় হবে।
আশা করি বড় করতে পারবো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পরের লেখা পড়ার অপেক্ষায়।
ইউএস ডট কম / ২ কবে আসবে?
নতুন মন্তব্য করুন