নর্দমার লাগোয়া পুরনো আমলের রংচটা পাঁচতলা বাড়িটা মূর্তিমান বিভীষিকা যেন। কোন বিকারগ্রস্থ যে এই বাড়িটা বানিয়েছিল- তার রুচিবোধের প্রশংসা করতেই হয়। স্টাইলের ছিটেফোঁটা নেই; বারান্দার শ্রী নেই; সামনে লন, ভেতরে গ্যারেজ - এমনকি পিছনের দেওয়ালে প্লাস্টার পর্যন্ত নেই। চর্তুদিকে অজগরের মতো কালো বুকের নর্দমা জড়ানো বাড়িটা যেন দ্বীপ এক। তার উপর সিমেন্টের স্লাইড ফেলে আসা যাওয়ার পথ। সেখানে সান্ত্রী - নিশিদিন ঘর আগলে রাখা আশি বছরের বয়োঃবৃদ্ধ মরচে ধরা লোহার পেল্লাই গেইট; খুলতে বাঁধতে বিকট ধাতব শব্দ- মাথা ধরে আসে। তারপর ও মাসে দু-একবার আমাকে এখানে আসতে হয়। এ যন্ত্রণা হয়তো সারাজীবন চলবে। গত বিশ বছরে যেখানে এ বাড়ির ক্রমশ অবনতি ছাড়া সামান্যতম উন্নতিও হয়নি সেখানে উন্নতির আশা মরীচিকা এক। সেই কত আগে একবার চুনকাম করা হয়েছিল- স্থানে স্থানে শেওলা ধরা দেওয়ালগুলো এখনো সে স্বাক্ষী বয়ে আছে। এক অদ্ভুত বিষণœতা সেখানে। পুরো এলাকাটাই বিষণœতা ভরা - পা রাখলেই মন খারাপ হয়ে উঠে। কি ফুরফুরে মেজাজ ছিল তখন। নতুন মোবাইল কিনেছি। আর এখানে এসে- বাড়িটাই অপয়া, বিষণœতার স্বর্গরাজ্য। নর্দমার পেট গুলানো গন্ধলেবাস গায়ে চাপিয়ে কলিংবেলে হাত রাখা মাত্রই সে বিষণ্নতা আমাতে জাকিয়ে বসল। কানের চারপাশে রিক্সার টুং-টাং, ট্যাক্সির ভটভট, হকারের হাঁকডাক। ঘড়ি ধরা পাঁচ মিনিট সেই নরকুন্ডে দদ্ধ হবার পর যখন দ্বিতীয়বারের মতো বেল চাপতে যাব- লৌহ পালোয়ানের ধাতব আর্তনাদ। এবারও সে - আমি আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারি। এ বাড়িতে মেয়েটার দাম নিতান্তই কম। এ কথা সে কখনো মুখফুটে বলেনি; ইশারায়ও নয় - তার চোখ সব কিছু জানিয়ে দেয়। আমার সামনে অনেক অনেক কাজ করে সে; না জানি পিছনে আরো কত !
বাড়িতে দুটো কাজের লোক থাকতে তোর এতো কষ্ট করে গেইট খোলার দকার কি ? আমার তো মনে হয় তোকে এ বাড়িতে গেইট খোলার জন্যই রাখা হয়েছে।
গেইট সব সময় আমি খুলি; তোকে বলল কে ? আসলে বেল শুনে আমি বুঝে ফেলি এটা তুই। আমার ছোট ভাই আমাকে দেখতে এসেছে - আমি কি না এসে পারি।
কিন্তু, আমি তো অন্যদের মতো একবার বেল চাপি। বোঝার প্রশ্নই আসে না।
দেখ - এটা বুঝতে পারলে তুই তো আমার সমান হয়ে যেতি; ছোট ভাই থাকতি না। একে বলে ট্যালিপ্যাথি-
আরে সর্বনাশ! তাহলে তো তোকে চেম্বার খুলে দিতে হয়। টেলি বিশেষজ্ঞ মেঘলারাণী-
ফাজিল কোথাকার। বড় বোনের সাথে শয়তানি!
বলতে গিয়ে সে অভ্যেসবশত বেশ জোরে আমার কান টেনে ধরে।
উঃ! লাগে তো! ছেড়ে দে না বোন-।
চিৎকারটা একটু জোরেই হয়েছিল। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া দু-একটি উৎসুক মুখ গলা উঁচিয়ে দেখে। এত বড় বড় দুটো ছেলেমেয়ের বাচ্চাসুলভ আচরণে বেশ মজা পেয়েছে তারা। এতক্ষণে আমার বোনের টনক নড়ে। তড়িঘড়িতে গেইট বন্ধ করে সে- এ কাজে বেশ সিদ্ধহস্ত; দিনে কতবার যে কাজটি ওকে করতে হয়- কে জানে।
মা কেমন আছে রে ? শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে প্রশ্ন করে সে।
ভালোই। কাল-পরশুর দিকে আসতে পারে। আজকেই আসতে চেয়েছিল-
নিয়ে আসলিনা কেন ?
বাসায় গেলে তো-। অফিস থেকে সুপার মার্কেট; মোবাইল কিনে তোর এখানে।
তোর না মোবাইল সেট আছে- বেশ দামী।
আমি তো তোর জন্য কিনেছি।
হঠাৎ এত সুবুদ্ধি।
তোর মনে না থাকতে পারে; আমার আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চান্স পাওয়ার পর খুব খেপিয়েছিলি তুই - বেশি কিছু না; শুধু একটি মোবাইল সেট- ইঞ্জিনিয়ার সাহেব। মনে পড়ে ?
সে অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল একবার। সেখানে আশ্বিনের কালো মেঘ। তৎক্ষনাৎ মুখ ফিরিয়ে নিল- ‘ঘরে চল’। কিছু একটা হয়েছে ওর। না জানি কোনো বিষণœতা ওতে ভর করল! বিয়ের পর থেকে এমন হয়ে পড়েছে সে। অথচ আগে- কি উচ্ছল! সব সময় হাসত মেয়েটি; সব কিছুতেই অসাধারণ। দোষের মধ্যে একটাই- কাঁচা মাছের গন্ধ সহ্য হতো না ওর। মাছের বাজারের পাশ দিয়ে গেলেই গা গুলানো ভাব দেখাত সে। আমি ক্ষেপানোর রাজা- কথায় কথায় উস্কানি দিতাম
তোর বিয়ে হবে মাছ বিক্রেতার সাথে। ঘরভর্তি মাছ; তোর গা থেকেও মাছের গন্ধ বের হবে রে-
ওয়াক্!
সে বমির ভাব করত। আমি মজা পেতাম। হাতাহাতিও মাঝেমধ্যে- বয়সে সে আমার এক বছরের বড়। আমার স্কুল মাস্টার বাবার সংসারে এ এক আর্শিবাদ। ঘরের সবকটি কাজই সে করত (মাছ কাটা ছাড়া)। অংকে অসাধারণ মাথা ছিল ওর; পারতনা ইংরেজি। অবশ্য এত কাজের ফাঁকে পড়ার সময় হয়ে উঠত না ঠিকটি। আমি চির অলস- একগ্লাস পানিও ঢেলে নিয়ে খাইনি কখনো। স্বপ্নীল ছিল দিনগুলো- বোনটিকে দেখলে সেসব স্মৃতি বারবার মনের পর্দায় উঁকি দিয়ে উঠে। ভাবনার অবসরে সে প্রশ্ন তুলে মোবাইলটা কত দিয়ে কিনলি ?
আরে, দাম দিয়ে কি হবে। দেখনা - এটা দিয়ে ছবি তোলা যায়, ভিড়িও করা যায়, নেট আছে-
সে তীব্রদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। ঐ দৃষ্টির সামনে নিতান্তই অসহায় আমি- বিড়ালের থাবায় বন্দী ইঁদুরছানা। কম্পিত গলা ভেদে বেরিয়ে আসে-
ছাব্বিশ হাজার সাতশ টাকা।
সে তেমনভাবেই চেয়ে থাকে। ক্ষণপরে লম্বা এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পিছু ফেরে।
মোবাইলটা দেখবি না!
তুই বস। আমি চা বানিয়ে আনি।
সে দেখবে না। বড় একরোখা মেয়েটি- অনেক বড় কিছু হতে পারত হয়তো। অথচ এখানে - বিষন্নতাবিলাসী দীর্ঘশ্বাসকন্যা। -কে দায়ী! -আমি? -আমার পরিবার? -না কি অন্য কিছু! শেষের দিনগুলোর কথা আমার মনে পড়ে যায়। অযাচিতভাবে মেট্রিকে ফেল করে বসে আমার বোনটি। সেই থেকে শুরু- একটি মাত্র ঘটনা অসম্ভব রকমের উচ্ছল মেয়েটিকে পুরোপুরি বদলে দিল। টানা দুই মাস খুব কেঁদেছিল সে- সকাল সন্ধ্যা সব সময়। কাঁদতে কাঁদতে চোখ দুটি গেল বুঝি। হয়তো তাই। -মাঝে মাঝে প্রচন্ড রকমের মাথাব্যাথা হতো ওর; মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদত। প্রথমে আমল দেয়নি কেউ। -এ তো শোক। আহা! ফেল করে বসল এত ভালো মেয়েটি! খেয়াল হলো এক বছর পর। ততদিনে সে দ্বিতীয়বারের মতো মেট্রিক ফেল আর আমার বাবা সদ্য রিটায়ার্ড। আমি অবশ্য পাশ করেছিলাম- বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু, আমার বোন -আরে সর্বনাশ! মেয়ে তো চোখেই দেখে না- পরীক্ষা দিবে কিভাবে ?
ডাক্তার এলো।
-না! অবস্থা জটিল। অপারেশন লাগবে বোধ হয়।
আরেকজন আরো ভালো-
এ দেশে চিকিৎসা হবে না এ রোগের। বাইরে নিতে হবে। অনেক টাকার ব্যাপার-।
বাবার মাথায় হাত। এখনো পেনশনের টাকা আসা শুরু হয়নি। তার উপর ছেলের কলেজ- দুসপ্তাহে তার বয়স দ্বিগুণ বাড়ে। আর আমার বোন; ওর নামের মতোই দিনে দিনে সে মেঘাচ্ছন্ন- শুকিয়ে অর্ধেক হতে থাকে। কি হবে এবার! এমন সময় প্রস্তাবটা আসে। বাবার বন্ধু ইসমাইল চাচা - মাছের ব্যবসা তাঁর।
মেঘলার বিয়ের ব্যাপারে অতি উৎসাহী-
বুঝলেন ভাবী। আপনার মেয়ের জন্য এর চেয়ে ভালো ছেলে আর পাবেন না। শহরের উপর পাঁচতলা বাড়ি। চার চারটা মাছের আড়ত। আর টাকা পয়সার কথা কি বলব- অঢেল!
ছেলের বয়স নাকি খুব বেশি?
ছেলের আবার বয়স কি। ঐ ছেলের জন্য কত জন মেয়ে নিয়ে বসে আছে জানেন- ফিরেও দেখেনি। খালি আমি বললাম দেখে- হাজার হোক, বন্ধুর জন্য কিছু একটা তো করা লাগে।
কিন্তু-
আবার কিন্তু কিসের ভাবী। মেয়ের বাপ রিটায়ার্ড। তার উপর মেয়ের অবস্থা দিনে দিনে যা হচ্ছে -কিছুদিন পর তো ভালো-খারাপ কোনোভাবেই চালানো যাবে না। আবার ছেলে একটাওতো আছে। ওকে পড়ানো লাগবে না ?
নুন আনতে পান্তা নেই- ছেলে পড়ানো।
সেটাই তো বলছি। আল্লাহর রহমতে, ওদের টাকার অভাব নেই। মেয়েটার বিয়ে দেন। একটিমাত্র শালা -ওরা তো ফেলে দিতে পারবে না। আপনার ছেলের লেখাপড়ার খরচ ওরাই চালাবে।
দেখি; আপনার বন্ধু-
ওর কথা শুনেছেন তো মরেছেন। একমাস পর প্রোভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতে আসবে -সব তো খেয়ে শেষ করে দিবে সে। আমি ওেক চিনি না! তখন মেয়ে বিয়ের টাকা পাবেন কোথায় ?
কথাগুলো মাকে জেঁকে ধরেছিল। বাবার পেনশনের দুহাজার টাকা হাতের মুঠোয় ধরে কি যেন ভাবত মা। আর আমার মেঘবতী বোন ব্যাথাওয়ালা মাথা নিয়ে কি সব জটিল হিসেব কষত সারাক্ষণ।
এক মাস সমান তিরিশ দিন, চারজন লোক, দুই হাজার টাকা- জীবনের একমাত্র হিসেব।
মাসখানেকের মধ্যে ফান্ডের টাকা চলে এল; সাথে ইসমাইল চাচা। অমনি কি এক আশ্চর্য শক্তিতে প্রচণ্ড দৃঢ় আমার হাড় জিরজিরে মা- আমার মেয়ে আমি যেখানে খুশি বিয়ে দিব; কার কি তাতে!
মেঘলার বিয়েতে ধুমধাম হয়েছিল খুব। ও চলে যাওয়ার পর ওর হিসেবের অঙ্কটিও সোজা হয়ে উঠেছিল। অঙ্কটি আরো সোজা করে দিয়েছিল আমার সুবিবেচক বাবা- কি এক দুঃখবোধ বুকের মাঝে পুষে একমাস পরে মরেই গেল লোকটি। তারপর; দুইটি লোক। দুই হাজার টাকা। অবশ্য আমার লেখাপড়ার খরচটা মেঘলার স্বামীই চালাত। মেঘলাকেও ডাক্তার দেখিয়েছিল ওরা বেশ দামী ডাক্তার; পাঁচশ টাকা ভিজিট। একপলক দেখেই জানা হয়েছিল তাঁর। কমদামী হাতুড়েগুলোকে বেশ অনেক্ষণ গালাগালি করলেন তিনি- এ চোখের রোগ নয়। শরীরে ভিটামিনের অভাব। সাতশ টাকার মাল্টিমিটামিনেই সারে।
তারপর, অনেক বছর কেটে গেছে। দুলাভাইয়ের টাকায় পড়ে পড়ে আমি এখন বিরাট ইঞ্জিনিয়ার- কথায় কথায় টাকা উড়াই- আরো অনেক কিছু। প্রতি মুহূর্তে কত হিসেব- এইসব জায়গায় না এলে আগের কথাগুলো মনেও পড়ে না।
ভাবনার অবসরে বোন চা নিয়ে আসে। এখন অনেকটা স্বাভাবিক সে। চোখ রহস্য। চা সাজাতে সাজাতে বেশ সাবলীল ভঙ্গিতে বলে-
আমার গা থেকে কি মাছের গন্ধ বের হয়, শোভন ?
হঠাৎ এ কথা!
ওর চোখেমুখে কৌতুক। বেশ রহস্য মাখিয়ে সে বলে তুই তো বেশ ভালো ইঞ্জিনিয়ার; অনেক জটিল জটিল হিসেব করিস। একটা সোজা অঙ্ক করে দিতে পারবি ?
বল।
একজন ডাক্তারের ভিটি যদি পাঁচশ টাকা হয় আর এক বোতল মাল্টিমিটামিনের দাম যদি হয় সাতশ টাকা; তাহলে তোর এই ছাব্বিশ হাজার সাতশ টাকার মোবাইলের বিনিময়ে কতগুলো মেয়েকে মাছের গন্ধ থেকে বাঁচানো যাবে ?
আমি নিরুত্তর তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। উত্তরটা সেই দিয়ে দেয়।
তোরা তো ইঞ্জিনিয়ার; কোটি কোটি টাকার হিসেব করিস। শত-হাজারের হিসেব তোদের দিয়ে হবে না রে। কোনোদিনও না।
এককাপ চা এর ধোঁয়া ধোঁয়া বিষন্নতায় আমাকে ডুবিয়ে আবারো চলে যায়। বিছানার উপর থেকে আমার নতুন কিনা মোবাইলটি দাঁত কেলিয়ে ভেংচি কাটে যেন।
অনেকক্ষণ পর রুমে একজন মানুষ আসে- আমার মাছ ব্যবসায়ী দুলাভাই। তার কণ্ঠে বিগলিত ধ্বনি আরে, শালা মিয়া যে। নতুন মোবাইল। এক সে বেশিদিন ভাল লাগে না বুঝি ?
কি যে বলেন। ভাবলাম, সারাজীবনতো আপনার কাছ থেকে নিয়েই গেলাম। এবার কিছু দিয়ে যাই।
লেখক: প্রত্যয়, বুয়েট।
মেইল:
মন্তব্য
আমার কাছে মনে হলো অসাধারণ একটি গল্প! ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভালো লাগলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাল লাগল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমারো ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দুলাভাইকে আবার আনলেন কেন? আগ পর্যন্তই তো ভালো লাগতেছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেশ ভালো লাগলো। নিয়মিত এরকম লেখা চাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সবাইকে ধন্যবাদ.............আমার গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়ার আগ্রহ য়ে আপনারা রাখতে পেরেছেন- এটাই আমার জন্য বিরাট পাওনা। আগে জনকন্ঠ ও অন্যদিনের সাহিত্য পাতায় লিখতাম। পাঠকের অভাবে তা ছেড়ে দিয়েছিলাম দু-বছর আগে। এটা আমার তিন বছর আগের গল্প। আমি ভাবতাম আমার ভিতরের লেখকটা মরে গেছে। এখন মনে হচ্ছে আপনাদের আগ্রহ তাকে আবার ফিরিয়ে আনবে............
জীবনের সব আশা য়েখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।
নতুন মন্তব্য করুন