দু-একদিন ধরে একটা নতুন আইডিয়া মাথায় ঘুরছে। নতুন কিছু নয়, ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে সফলও। বস্তুতঃ ক্ষুদ্র ঋণেরই আরেকটা সংস্করণ। তবে আমার মনে হয় এই কন্সেপ্টটায় পুরনো সমস্যাগুলো দূর হবে।
আমরা যারা প্রবাসে আছি তারা বোধহয় সবাই একটা প্লাটফর্ম খুঁজি দেশকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু দুর্যোগের সময় ছাড়া সেরকম প্লাটফর্ম মেলা ভার। তো এরকম যদি একটা কিছু করা যায় যার মধ্য দিয়ে সাহায্য করতে চান এমন মানুষদের সাথে সাহায্য পেতে চান এমন মানুষদের মিলিয়ে দেয়া যায় তাহলে এই অভাবটা মিটবে।
ধরুন এমন একটা ওয়েবসাইট খোলা হল, যেখানে আগ্রহী দরিদ্র উদ্যোক্তারা তাদের প্রকল্প তুলে ধরবেন আর যারা সেই প্রকল্প অর্থায়ন করতে চান তারা ইচ্ছামত ঋণ দেবেন বিনা সুদে। সাধারণ ক্ষুদ্র ঋণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগটা যে তারা খুব উঁচু সুদে ধার দেন। এতে সে অভিযোগটা আর থাকে না। অন্যদিকে সাধারণ দান করার মাঝে যে বিচ্ছিন্নতা থাকে – টাকাটা কোথায় কিভাবে খরচ হল তা জানার কোন উপায় থাকে না – সেটাও থাকে না। সেইসাথে একই দান বারবার ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হয়। যখন একজন উদ্যোক্তা টাকাটা ফিরিয়ে দেবেন তখন আরেকজনকে সেই টাকাটা দেয়া যায়।
এই কনসেপ্টটাকে কাজে লাগিয়ে www.kiva.org১ আজকে পৃথিবীতে সফলতম সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর একটি। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের কোন কার্যক্রম নেই। আপনাদের কি মনে হয়? এই ধরনের কোন প্রকল্প কি নেয়া যায় বাংলাদেশে? কি কি বাঁধা থাকতে পারে – সরকারী বা বেসরকারী?
১। এই সংস্থাটির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ পরিশোধের হার ৯৯% এর বেশি!!
মন্তব্য
এদের প্রশাসনিক/ব্যবস্থাপনা কাঠামো নিয়ে লিখলে অন্যরা হয়তো বললে পার্বেন সেটা কতোদূর বাস্তবায়ন করা যাবে দেশে.. আমাদের বড় বাঁধা বিশ্বাস এবং মতের মিল।
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
সব আইডিয়াই সেই ক্ষুদ্র ঋণ কেন্দ্রীক হতে হবে কেন আমি বুঝিনা। আউট অফ দ্যা বক্স চিন্ত করা প্রয়োজন। স্বতন্ত্র আইডিয়া হিসেবেই তো এটা ভাল একটা আইডিয়া। কাঠামোগত ব্যাপারগুলো জানতে পারলে ভালো হত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাল আইডিয়া। গুঁতিয়ে দেখা যায়।
মন্দ হয় না!
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
কাঠামোগত ব্যাপারটা হল - একটা স্থানীয় প্রতিনিধি থাকে, যেটা বেশির ভাগ সময়েই এন জি ও। তারা উদ্যোক্তা আর দাতাদের মাঝে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তবে তাদের কাজ শুধু উদ্যোক্তাদের ইন্টারনেটে নিয়ে আসা, তাদেরকে প্রকল্প লিখতে সাহায্য করা এসবের মাঝেই সীমিত।
এধরণের প্রকল্পের মূল সমস্যা হল সরকারী অনুমোদন পাওয়া, উপযুক্ত স্থানীয় প্রতিনিধি খুঁজে পাওয়া, অন্য প্রতিষ্ঠানের বাধা ইত্যাদি।
আর সব কিছুই শেষ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের দিকে যায় কারণ কাউকে মাছ ধরতে শিখিয়ে দিলে তাকে আর প্রতিদিন খাওয়াতে হয় না।
আরো বিস্তারিত কথাবার্তা হোক । দেশে বিদেশে মিলে আমারা যারা আছি-একটা ফান্ড গড়া যেতে পারে নিজেদের উদ্যোগে । সেই ফান্ড থেকে ওরকম কিছু করা যায় কিনা?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন