মামু কাহিনী

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: বুধ, ১৬/০১/২০০৮ - ১১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মামু, অর্থাৎ আইন-শৃংখলা রক্ষী পুলিশ বাহিনীর সম্পর্কে বাঙালি হওয়ার সুবাদে মনে মনে একটা ভীতি জন্মগত ভাবেই প্রোথিত হয়ে গেছে ... তাই নীল-জামা, কালো-জামা দেখলেই একটু আঁতকে উঠে ভিজা বিড়াল সেজে রই। এহেন এই মামুর সংস্পর্শে দেশে পড়তে হয়নি বেশি, একবার এরশাদ মিঞার লটবহরের গার্ডের তাড়া খাওয়া বাদে।

তবে চোরের দশদিন, গৃহস্তের/মামুর শেষদিন। কপালে সেই মামুদের মুখোমুখি হওয়া লেখা ছিলো, বিদেশ বিভুঁইয়ে এসেই তা হতে হলো। তাও আবার পিস্তল হাতে রীতিমত ধাওয়া।

নাহ, ভিজা বেড়ালের মতো শান্ত-শিষ্ট লেজ-বিশিষ্ট এখানেও আমি, তবে ধাওয়া খাওয়ার কাহিনীটাও বিচিত্র। সদ্য দেশ থেকে এসে তখন ক্যাম্পাসের মধ্যে এক দেশী আর এক পাকির সাথে বাসা ভাড়া নিয়েছি। গাড়ি-টাড়ি কিছুই নাই, চলা ফেরার জন্য কিনলাম এক সাইকেল। কিন্তু যেই বান্দার কাছ থেকে কেনা, আমাকে আবুল পেয়ে ধরিয়ে দিলো এক রদ্দি মার্কা মাউন্টেইন বাইক। মাস দুয়েকের মধ্যে চাকার টিউবের রফাদফা।

দেশে থাকতেও আমার সাইকেল ছিলো, কিন্তু দেশের মতো মোড়ে মোড়ে তো আর সাইকেলের চাকা মেরামতের দোকান আর ৫টাকায় পাংচার মেরামত করা পিচ্চি নাই। নিজে মেরামত করতে গিয়ে ধরা খেয়ে তাই বিরক্ত হয়ে পেছনের চাকাটা খুলে নিয়ে মাইলখানেক হেঁটে সাইকেল বিক্রির দোকানে নিয়ে ঠিক করালাম।

মার্চ মাস ... স্প্রিং ব্রেক এর বন্ধ ... ক্যাম্পাসের সব চ্যাংড়া পোলাপাইন ফুর্তি করতে বীচ টাইপের জায়গায় কেটে পড়েছে। বিদেশ থেকে আসা "খ্যাত" গ্র্যাড স্টুডেন্টরাই পড়ে আছে ... সেই তালিকায় নাম লেখানো আমি চাকা ঘাড়ে করে বাসায় ফিরে, অ্যাপার্টমেন্টের বাইরের রাস্তায় বসে সাইকেলে চাকা ফিট করা শুরু করলাম। খোলা যতটা সহজ, লাগানো ততোটা না, তাই প্লায়ার্স আর রেঞ্চ হাতে প্যাঁচ দিতে দিতে নাভিশ্বাস উঠার দশা।

এমন করে চাকায় প্যাঁচ মারতে কখন আমি ব্যস্ত, সামনে কার যেনো ছায়া পড়লো। ফিরে তাকিয়ে তো হার্টফেলের দশা ... রীতিমতো পিস্তল হাতে RAB স্টাইলে পোজ মেরে এক কালো-পোষাকের বিশালদেহী মামু দাঁড়িয়ে। বাজখাই কণ্ঠে আমাকে জিজ্ঞেস করে, "এই, তুমি কী করো?"

এমনিতেই মামুকে ভয়, তায় আবার পিস্তল হাতে! কাপড় চোপড় নষ্ট হয়নি, কিন্তু খাবি খাওয়ার জোগাড়। আজ অবধি ইংরেজি বলি প্রথমে বাংলাতে বাক্য বানিয়ে তারপরে ট্রান্সলেট করে। পিস্তলের মুখে তো আর তা সহজে হয়না ... আমতা আমতা করতে করতে মুখ থেকে সাইকেল মেরামতি সংক্রান্ত জগাখিচুড়ি কিছু বেরুলো বলে টের পেলাম। আমার অশ্বেতাঙ্গ চেহারা, আর মার্চ মাসের অল্প শীতেও বঙ্গের বিশাল জ্যাকেট গায়ে জবুথবু হয়ে থাকা দেখে মামুর সন্দেহ আরো বাড়লো। ক্যাম্পাস আবার সাইকেল চোরের আড্ডা খানা। পরিচিত সবারই সাইকেল চুরি একবার হলেও গেছে। ব্যাটা তাই পিস্তল আরো বাগিয়ে ধরে প্রশ্ন করলো, "কই থাকো তুমি?"

পাশের অ্যাপার্টমেন্টটা দেখিয়ে কাজ হলোনা ... আর গোদের উপরে বিষফোড়ার মতো আমার দুই রুমমেটও ঐ সময় বাসার বাইরে ... আমার কাছে চাবিও নাই। ভাগ্য ভালো, দিন দুয়েক আগেই ঠিকানা সহ স্টেট আইডি বানিয়ে এনেছিলাম। গ্রীজমাখা হাতে তড়ি ঘড়ি করে মানিব্যাগ খুলে ওটাই বাড়িয়ে ধরলাম। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেক দেখে মামু ব্যাটা একটু আশ্বস্ত হলো, আমি পাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা।

পিস্তলটা নেমে আসলো, আর দেখি, মামু ওয়াকি টকি বের করে বলে, "Cancel the alert, I don't need backup" !!!! মানে আমার জাব্বা জোব্বা অশ্বেতাঙ্গ চেহারা আর হাতে রেঞ্চ দেখে মামু আমাকে শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বা নিদেনপক্ষে সাইকেল-চোর পার্টির নেতা বলে মনে করেছিলো, আর গোটা কয়েক মামু-গাড়ি ডেকে ফেলেছিলো কাছে আসার আগে!

যাওয়ার সময় মামু রীতিমত ঝাড়ি দিয়ে গেলো, spring break এর সময়ে বীচে মাস্তি না করে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আছি কেনো, এই ব্যাপারে। নাকে খত দিয়ে আমিও প্রায় মুচলেকা দিলাম, আর সাইকেল মেরামতির কাজে নামবোনা ... দরকার হলে ঘাড়ে করে নিয়ে যাবো দোকানে।

পরের সপ্তাহেই আবারো মামু দর্শন হলো, তবে সে আরেক কাহিনী। এও ঐ সাইকেল নিয়েই। সাইকেল-চোর-চক্রকে ধরার জন্য মামু পিস্তল নিয়ে টহল দিচ্ছে এলাকাতে, আগের সপ্তাহে হাতে নাতে তার প্রমাণ পেয়ে আমি বিগলিত, তাই সাইকেলের ইউলকের বদলে কেবল লক (তারের) দিয়ে বাড়ির খুঁটিতে বাইরে বেঁধে রেখেছিলাম। দু'দিনের মাথায় সাইকেল গায়েব! এবার মামু ডাকার পালা আমার ... কোনোদিন আর সাইকেলের দেখা পাবো না যেনেও মনের কষ্টে মামুর কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে বিশাল এক রিপোর্ট লিখালাম। এক "মামী" এসে সরেজমিন তদন্তও করে গেলো, আর জানালো, ক্যাম্পাসে কোথাও সাইকেলটা দেখতে পেলেই যাতে মামু ডাকি। ওরা আবার RAB এর মতো তৎপর না ... বিষ্ণুমুর্তির মতো নিজে থেকে কিছু খুঁজে নাকি দেখাটা ওদের কাজ না।

একই সপ্তাহে হলো দুইবার মামু দর্শন, আর ঘটনার কেন্দ্রে থাকা সেই সাইকেলটার বিদায়। এর পরেও একবার মামু দর্শন হয়েছে, অবশ্য তা হাইওয়েতে টিকেট দিয়ে কমিশন পাওয়ার আনন্দে উদ্বেল ছোট শহরের মামুর সাথে। বেকুব চেহারা করে সদ্য আম্রিকা আগত ভাব দেখিয়ে ঐবার নিস্তার পেয়েছি। সাইকেল এখন কঠিন মোটা ইউলকে বেঁধে রাখি, আর রাডার ডিটেক্টর দিয়ে মামুর শনি দৃষ্টি খেয়াল করে রাস্তায় চলি। হাজার হোক, মামু বলে কথা ...


মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

মামু এলো লাঠি নিয়ে পালাই পালাই...

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

গৌতম এর ছবি

ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে স্কুলের সামনের রাস্তায় 'মামু' দেখে কেঁদে দিয়েছিলাম। পরে মামু আমাকে চকলেট খাইয়ে একেবারে সিটে বসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাহা এর ছবি

মামী কেন?? মামুর মতনই নাকি ??

..হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে...

ফারুক হাসান এর ছবি

সিঙ্গাপুরে মামুরা বোধহয় হলোম্যান, অদৃশ্যমানব। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের সহজে দেখা যায় না। তবে একটা গোল বাধিয়েছেন তো ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যে পঙ্গপালের মতন উড়ে এসে হাজির হবে।
লেখাটা রসালো হয়েছে- বলাই বাহুল্য!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মামা কাহিনীর পর মামু কাহিনী! জাঝা


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানভীর এর ছবি

আম্রিকা আসার পর আমিও একখানা সাইকেল কিনেছিলাম। সরল মনে ভেবেছিলাম বড়লোকের দেশ আম্রিকায় কে আমার এই দুই পয়সার সাইকেল চুরি করবে। লক একখান লাগাইতে হয়, তাই ইউ-লক-টক না, পয়সা কম দিয়া বাচচাদের সাইকেলের লক লাগাইছিলাম ইয়ে, মানে... দুই দিনের পর তিন দিনেই সাইকেল গেল হাওয়া হয়ে মন খারাপ ...মামুর কাছে আর যাই নাই...এতই দুঃখ পাইছিলাম...এই দেশের চোরও দেখি আমাগো দেশের চোরের মত ছিঁচকে চুরি করে....মামুও যদি আবার আমাগো মামুগো মতো হয় চোখ টিপি

তবে আমার মামু বিষয়ক অভিজ্ঞতা মোটেও খারাপ না। এরপর যে এপার্টমেন্টে উঠেছিলাম তার ম্যানেজারই ছিল আমাদের ক্যাম্পাসের এক মামু। এমন ফ্রেন্ডলী মামু কাম বাড়ীর ম্যানেজার আমি কখনোই দেখি নাই। আগে তো তিন তারিখের মধ্যে পই পই করে বাড়ীভাড়া দেয়া লাগত...এইখানে পুরা বাংলাদেশী স্টাইল...যখন খুশী তখন হাসি...মামু বলত, 'তোমরা স্টুডেন্ট মানুষ, যখন সুবিধা হবে তখন মাসের কোন এক সময় দিও।' আমরাও আনন্দে যখন মনে পড়ত এই মাসের ভাড়া দেয়া হয় নি, শুধু তখনই অফিসের দিকে যেতাম। আর তখন মামুবিষয়ক বা অন্য কোন প্রব্লেম হলে তার জন্য ঘরে মামু তো আছেই। ক্যাম্পাসে টহল দেয়ার সময় দেখা হলে সে যখন হাত তুলে পরিচিতের হাসি দিত, তখন নিজেকে একটু হলেও হোমড়া-চোমড়া মনে হত; আশেপাশে থাকা অন্য মামু আর স্টুডেন্টদের দিকে তাকিয়ে তখন এমন ভাব নিতাম, আমি কিন্তু মামুর লোক, আমাকে বেশী ঘাঁটাস না চোখ টিপি

========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যাওয়ার সময় মামু রীতিমত ঝাড়ি দিয়ে গেলো, spring break এর সময়ে বীচে মাস্তি না করে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আছি কেনো, এই ব্যাপারে।
-

বলি তাও বীচে গেলেন না আপনে? আমারে এমনে কেউ ডর দেখাইলে তো লুঙ্গু ফেলেই লৌড় লাগাতাম! লগে অবশ্য 'মামী' (মতান্তরে খালা {আপনা খালা না} )-রেও অফার দিতাম লগে যাওনের। চোখ টিপি

_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

গীতিকবি এর ছবি

তখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আসিয়াছি। ছাত্র হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করিবার জন্য একটি বাহন অতীব প্রয়োজন। দেশ হইতে কেবল আসিয়াছি অনেক খরচ হিসাব করিতে হইতেছে। সব কিছুর মূল্য পঞ্চাশ দিয়া গুণ করিয়া হিসাব করিতেছি আর ভিমরি খাইতেছি। বাসা হইতে বাসে যাতায়াত করা খুব বেশী সুবিধাজনক নয় বলিয়া সবার মুখে শুনিলাম। কাজেই বাহন হিসেবে সাইকেলটাকেই সমীচীন মনে হইল। নতুন সাইকেলের দাম শুনিয়া পিছাইয়া যাইতে হইল। অতঃপর এক বন্ধু বলিল - কোন সমস্যা নাই এইখানে এক লোক আছে যে কিনা পুরাতন সাইকেল বিক্রি করে, খুব কম দামে। বন্ধুটি আমাকে ওই ব্যক্তির নিকট লইয়া গেল। তাহার সহিত কথা বলা আরেক বিপত্তি। পোর্টোরিকোর লোক, নাম "হোসে" - ইংরেজী এক বর্ণও বোঝে না, বলিতেও পারে না। হাতের ইশারায় কথা বলিতে হইবে। তাহার বাসায় পুরাতন সাইকেলের সমারোহ দেখিলাম। একটি সাইকেল পছন্দ হইল। আমি ভাল দামাদামি করিতে পারি এই মর্মে বন্ধু মহলে একটি সুনাম ছিল। সাইকেলটির দাম জানিতে চাহিলাম। ইংরেজীতে বলিলাম। হোসে কিছুই বুঝিল না। তাহার পর অনেক কষ্ট করিয়া ইশারায় এবং কথায় কোন ভাবে সাইকেলটির দাম জানিতে চাহিলাম। হোসে হাতের আঙ্গুল দিয়া দাম জানাইল - দশ ডলার। যেহেতু হোসে ইংরেজী বোঝে না আমি আর কষ্ট করিয়া ওর সাথে ইংরেজী না বলিয়া বরং বাংলায় কথা বলিতে শুরু করিলাম আর আঙ্গুল দিয়া ইশারা করিলাম। আমার বন্ধুটি আমার এই কীর্তি দেখিয়া পাশে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া হাসিতে লাগিল। কোনভাবে হোসেকে বলিলাম দশ ডলার হইলে চলিবে না। হোসে মুহূর্তের মধ্যে দুই হাতের দশ আঙ্গুল হইতে একটি হাত সরাইয়া ফেলিল। অর্থাত্‌ সে পাঁচ ডলারে রাজী। আমি অবশেষে সাইকেলটি মাত্র দুই ডলারে হোসের নিকট হইতে কিনিয়া আনিলাম। বাসায় আসিয়া আমরা তৃপ্তি সহকারে অন্যান্য সবার নিকট হোসের সহিত আমাদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করিলাম এবং তাহা লইয়া ব্যাপক হাসাহাসি করিলাম। কয়েক মাস পরে আমার সাইকেল খানা চুরি হইল। আমি নিশ্চিত হোসের বাসায় গেলে সাইকেলটি পাওয়া যাইত। হয়তোবা সে আবারো দুই ডলারে সাইকেলটি অন্য কাহারো কাছে বিক্রি করিয়াছে। যাহা হউক দুই ডলারের সাইকেলের জন্য কোন মামার শরণাপন্ন হই নাই। ঠিক করিলাম গাড়ী কিনিতে হইবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা কাজে যোগদান করিয়াছি - নিজেকে কিছুটা অবস্থাপন্ন মনে হইতে লাগিল।

সাইকেল লইয়া আপনার লেখাটি পুরাতন স্মৃতি জাগ্রত করিল। খুব ভাল লাগিল লেখাটি। মামাদের লইয়া এই সচলায়তনে আমার একটি লেখা আছে "মামা কাহিনী"

____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

শেখ জলিল এর ছবি

বেশ রসালো লাগলো মামু কাহিনী। মন্তব্য গল্পগুলোও বেশ। যাই ওদিকে মামা কাহিনীও পড়ে আসি!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

মামীর রূপ বর্ণনা নাই কেন্‌? মামা এবং মামীর রূপের আরেকটু তুলনামূলক আলোচনা থাকলে আরো ভাল হতো। বাংলাদেশের মামীরা তো সব চিকনু।

ফেরারী ফেরদৌস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।