"কোথাও কেউ নেই" নাটকটি নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে অর্জন করেছিলো বাঁধভাঙা জনপ্রিয়তা, বাকের ভাইয়ের চরিত্রকে আসাদুজ্জামান নূর এতো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, সেই অতুলনীয় অভিনয়ের সুবাদে ঘরে ঘরে তখন বাকের ভাইয়ের জয়গান। পাড়ার মাস্তান, কিন্তু ভালো মানুষ বাকের ভাইয়ের বিবেক রয়েছে, সে বিবেক টাকার কাছে বিকিয়ে যায়নি, কপালদোষে মাস্তান হলেও ঠিক কাজটি করতে বাকের ভাই পিছ পা হন না। বাস্তব জীবনে সেরকম মাস্তান দুর্লভ হলেও কল্পনা করতে বাঁধা নেই, তাই বাকের ভাইয়ের ফাঁসীর আদেশ হলে রাস্তায় রাস্তায় মিছিল বের হয়, ভয়ে হুমায়ুন আহমেদ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান ক'দিনের জন্য।
নব্বইয়ের দশক শেষ হয়ে আসে, হুমায়ুনের লেখাও ম্লান হয়ে যায়, বাকের ভাইয়ের কথাও জনমানুষের মন থেকে মুছে যায়।
নব্বইয়ের দশকের শেষভাগের এক রোদেলা বিকেলে আমার মাথায় হঠাৎ ভুত চেপে বসে, একটা বেমক্কা আকারের বড়সড় হেডফোন কিনতেই হবে। বুয়েটে সদ্য প্রথম বর্ষে পড়ি, তখন সেটার হিড়িক চলছে, কানঢাকা জাহাজের হেডফোন কানে লাগালে বাইরের সব শব্দ চাপা পড়ে যায়।
পলাশীর মোড় থেকে রিকশা চেপে বন্ধু প্রদীপ্তের সাথে যাই বায়তুল মোকাররম স্টেডিয়াম মার্কেটে তখনো বসুন্দরা সিটির ঝকমকে বাজার খুলতে বহুদিন বাকি। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির বাজার বলতে ওটাই। বাজারে অবশ্য ঠকে যাওয়ার বিশাল সম্ভাবনা, বেকুব ক্রেতাদের মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে বিক্রেতারা সদা তৎপর। খেয়াল করে জিনিষ না কিনলে দুই তিনগুণ দাম দিতে হবে নির্ঘাত। চোখ কান খোলা রেখে আমরা তাই হাতড়ে বেড়াচ্ছি হেডফোনের সম্ভার। সস্তা চীনা নকল হেডফোনের ভীড়ে খাঁটি জাহাজী মাল পাওয়া দুস্কর, দোকানদার নকল মাল গছাতে সদা সচেষ্ট, তাকে ঝাড়ির উপরে রেখে বিজ্ঞ চেহারা করে দুই বন্ধু সর্দারী করছি। হেডফোন দুই একটা পছন্দ হয়ে যায়, কিন্তু না পরে কিনলে ঠকে যাবো, সেই জন্য পরখ করতে থাকি।
এমন সময়ে ঘটল অভাবনীয় ঘটনা, পছন্দ হওয়া হেডফোনটা মাথায় পরে দেখতে যাওয়া মাত্র ডান পাশটা খুলে এলো অনায়াসে। বেকুব বনে গেলাম, কারণ জিনিষটা আগে থেকেই আলগা ছিলো, টেরই পাইনি।
দোকানী তো ঈদের চাঁদ পেয়ে গেল মুহূর্তেই, সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে রীতিমত ঘিরে ধরলো আমাদের। "মাল ড্যামেজ কইরা ফালাইসেন", "ক্ষতিপূরণ দেন", এহেন হুমকির বন্যা বয়ে গেলো। হেডফোনের দিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, সুকৌশলে সুপার গ্লু দিয়ে জোড়া লাগানো ছিলো, সেই সুপার গ্লু দিয়ে এটা ঠিক করার প্রস্তাব শুনে দোকানী রীতিমত ডিপজলের মতো অট্টহাসি হাসলো।
বাধ্য হয়ে বললাম, ঠিক আছে, কিনেই নেই, দাম কতো? এতক্ষণ যেসব হেডফোনের দাম চাইছিলো ২০০-৩০০ টাকা, ঝোপ বুঝে কোপ মারার সুযোগে দোকানী এখন চেয়ে বসলো ৮০০ টাকা!! আমার বন্ধুটিও সুবোধ বালক, অবস্থা দেখে ঘাবড়ে মুখ চুন, পকেটে আমাদের কারোরই ৪০০ টাকার বেশি নেই,বহুদিন ধরে পেপারে পড়ে আসা হেডলাইনগুলো ভেসে এলো, দোকানে আটকে রেখে গণপিটুনি দেয়াতে এই মার্কেট আর ঢাকা কলেজের সামনের মার্কেটগুলোর দুর্নাম দীর্ঘদিনের। দোকানীর মতিগতি দেখেও তাই মনে হলো, চ্যালাদের হাত নিশপিশ করছে যেনো আমাদের দুজনকে বাগে পেয়ে।
বুকে একটু সাহস এনে প্রতিবাদ জানালাম, ভাঙা জিনিষ কেনো এই দামে কিনবো ... কিন্তু দোকানী নাছোড়বান্দা, জরিমানা করে ছাড়বেই। আমাদের প্রতিবাদ দেখে দোকানী তার চ্যালাকে আদেশ দিলো, "অই, নুরা ভাইরে ডাক তো"!!
নূরা ভাই কে, জানিনা, কিন্তু বুঝতে বাকি রইলোনা, স্টেডিয়াম মার্কেটের বাঁধা মাস্তান "ভাই" তিনি, বেয়াড়া ক্রেতাদের শায়েস্তা করে "বানাইয়া দেয়া"র কাজটা তিনিই করে থাকেন। বুয়েটে আর আস্ত অবস্থায় ফেরত যাওয়া হবে কি না, চিন্তায় পড়ে গেলাম, দোয়া দরুদের স্টক হাতড়াতে থাকি।
আধা মিনিটেই নুরা ভাই হাজির। টিপিকাল মাস্তান চেহারা, সিনেমার পাতা থেকে উঠে আসা, গলায় সোনালী চেইন, টি শার্ট জিন্স, আর খোঁচা খোঁচা দাড়ি। গাঁজা খোর লাল চোখে রাগরাগ ভঙ্গীতে আমরা দুই গোবেচারার দিকে তাকালেন, তার পর দোকানীর দিকে চেয়ে খেঁকিয়ে উঠলেন, "কি হইসে"?
দোকানী বিজয়ের হাসি হেসে বললো, আমরা দুইজনে মিলে হেডফোন ভেঙে ফেলেছি, কাজেই নুরা ভাই যাতে একটু সাইজ করে দেন। আর প্রমাণ হিসাবে ভাঙা হেডফোন তুলে ধরলো নুরা ভাইয়ের কাছে।
আমাদের অবস্থা তখন কেরোসিন, আজ বোধহয় নুরা ভাইয়ের হাতে "বানানো" হতে হবে... এহেনো চরম মুহূর্তে নুরা ভাই হেডফোনটা হাতে তুলে নিলেন, একবার সুপারগ্লু দিয়ে আগে লাগানো-এখন ভাঙা টুকরাটা দেখলেন, তার পর দোকানী আর আমাদের দিকে চাইলেন।
তার পর?
অবাক করে দিয়ে আমাদের দিকে চেয়ে বললেন,"ভাই, আপনারা এখান থেকে চলে যান তো এখনই"!!
আমাদের হতভম্ব চেহারা তো আর দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু দোকানী ততোধিক হতভম্ব নুরা ভাইয়ের কথা শুনে, মিন মিন করে বলতে যাচ্ছিলো হেডফোনের কাহিনী, কিন্তু নুরা ভাইয়ের প্রকান্ড চিৎকারে চুপ মেরে গেলো, ভাঙা হেডফোন নিয়ে গোবেচারা দুজনকে হেনস্তা করার জন্য নুরা ভাই কষে কয়েকটা গালি দিলেন দোকানীকে। তার পর আবারো আমাদের দিকে চেয়ে বললেন, "ভাই আপনারা চলে যান"!!
মত পাল্টানোর আগেই আমরা আর অপেক্ষা করিনি, এক দৌড়ে পগাড় পার। হেডফোন আর সেদিন কেনা হয়নি, হেডফোন কেনার শখও চলে যায় চিরতরে।
কিন্তু কী দেখে নুরা ভাই মাস্তানীর রোল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, আজো জানা হয়নি। আর মাস্তানদের মধ্যে যে দুই একজন বাকের ভাই থাকে, অন্ধকারের মধ্যে থেকেও ন্যায়নীতি, বিবেক চলে যায় না সবার -- সেই বিশ্বাস পাকা হয়েছিলো সেদিন।
হয়তো মানুষ কখনোই ১০০% খারাপ হয় না। মিলগ্রাম যাই বলুন না কেনো , হয়তো মানুষ সব অবস্থাতেই কিছুটা মনুষ্যত্ব বজায় রাখে।
পৃথিবীটা তাই আজো টিকে আছে ...
(রচনাকাল অক্টোবর ২০০৮)
মন্তব্য
লেখাটা খুবই ভালো লাগল রাগিব ভাই। অনেকদিন পর কাউকে পঞ্চতারকা দিচ্ছি।
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হাহাহাহা, সুন্দর লেখা, পড়ে মজা পেলাম । আমার মনে হয় নুরা ভাই মাইর দেওনের মূডে আসিল না। তার উপর দোকানদার নিজে না গিয়া ডাইকা পাঠানোতে আর প্রেষ্টিজ পাংচার হইসে, তাই দোকান্দারের উপরি পার্ট টা নিল, হাহাহা।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
ভাল লেখা। যদিও আগেই সামহোয়ারে পড়েছিলাম।
তাই কি রেটিং ১ দিলেন? কিছু মনে করবেন না, এমনি জানতে চাইলাম। আপনি না দিয়ে থাকলে দু:খিত।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আপনার এই ধারণাটা বাজে রকমের, মন্তব্যে তাই আপত্তি রইল।
কে কয় তারা দিল তা জানার জন্য মডুদের কাউকে অনুরোধ করে দেখুন।
ঠিক আছে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সুন্দর লেখা... পাঁচ তারা।
=============================
ভালো লাগলো রাগিব ভাই।
সত্যি হয়তো মানুষ সব অবস্থাতেই কিছুটা মনুষ্যত্ব বজায় রাখে, হয়তো।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ভাল লাগল লেখাটা। আসলেই, কোনও মানুষের ভেতর থেকেই বোধহয় মনুষ্যত্ব পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না।
তবে বর্তমানে, মানে ২০০৮-এ এরকম বিবেকবান "ভাই" লোকের দেখা পাওয়া যাবে কি না, তা-তে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
আমার ধারনা নূরা ভাই সেদিন বিশেষ রকমের "High" অবস্থায় ছিলেন ... Higher than the sun..."High" অবস্থায় মানুষ সেরকম উদার হইয়া যায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হা হা হা। ভালো থিওরী।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হা হা হা। দারুণ অভিজ্ঞতা।
এই লেখা নিয়ে কিছু বলব না । লেখার শিরোনাম দেখে ভয়াবহ অবাক হয়েছি । গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বাকের ভাই ( আসাদুজ্জামান নূর), বাকের ভাইয়ের গুণধর পূত্র আর আমি । এই তিনজন কে নিয়ে যে তুলকালাম ঘটনা ঘটে গেলো ,( এবং পরবর্তী ঘটনা সমূহ) তার পর পর এই পোস্ট দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি । বেশ কাকতলীয়।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ঘটনাটা কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইয়ে মানে.. আমারও জানতে ইচ্ছে করছে ঘটনাটা কি?
*******************************
আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে, অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি, আমি বারেবার আসব ফিরে
ঘটনাটা এইখানে বলা সম্ভবত ঠিক হবে না ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আমার হয়েছিল উলোটা। এক দোকানে আমি কিছু কিনেছি আর একটা জিনিস দাম করেছি কিন্তু কিনি নাই নিউমার্কেট দুবাই মার্কেটে। ব্যাটা আমার টাকা বেশীটা ফেরত দেয় না বলে না ঐটাও নিতে হবে। আমি বলেছি এক্ষন টাকা ফেরত দিবেন নইলে লাথি মেরে দোকানের বাকী সব ভেঙ্গে দিবো। ব্যাটা ভয় খাইছে টাকা ফেরত দিয়ে দিছে। লেডিস কন্সেশন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
=============================
মহিলা মাস্তান !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
- মেয়েরাও মাস্তান।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার টাকা আটকে রেখে ব্যাটাগিরি ফলাইব আর আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে মাস্তানী ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
শেষ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ছিটেফোটা মনুষ্যত্বের ছোঁয়াটা থেকে যায় বলেই হয়তো আমাদেরও শেষ ভরসা ওটাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পোস্টটা খুব ভালো লাগল। আসলেই আপাত-মন্দ মানুষের মধ্যে একজন করে বাকের ভাই থাকে হয়ত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রাগিব ভাই,
লেখাটি ভালো লাগলো...
তবে সত্যি কথা কি জানেন, গল্পের বাকের ভাইয়ের মতো বাকের ভাইদের এ সমাজ টিকে থাকতে দেয় না বেশিদিন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আউটলায়ার কেইস।
খুব মজা পেলাম!
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!
চমৎকার লেখা। ভালো লাগলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মনে পড়ে গেল, অনেক আগে এক ঘোর দুর্বিপাকের সময় কক্সবাজারের এক "বাকের ভাই" সুমনের সঙ্গে খাতির হয়ে গিয়েছিল ঘটনাক্রমে এবং কোনও স্বার্থ ছাড়াই সেই সময় দিনে কয়েকবার তিনি স-সাঙ্গপাঙ্গ এসে খবরাখবর নিতেন এবং প্রস্তাব দিতেন নানাবিধ সহায়তার। তাঁর প্রস্তাবিত সহায়তা গ্রহণ করতে হয়নি শেষ অবধি, তবে মুগ্ধ হয়েছিলাম তাঁর আচরণে।
পরে ঢাকায় বেড়াতে এসে তিনি এসেছিলেন আমাদের বাসায়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন