উইকিপিডিয়াকে মোটামুটি একটা আন্তর্জাতিক চিড়িয়াখানা বলা যেতে পারে, নানা কিসিমের মানুষজন নানা মতলবে আনাগোনা করে এইখানে। আমার মতো বেকুব কয়জনায় মনের সুখে জ্ঞান যোগ করে, কিন্তু বিপুল পরিমান মানুষ ঐখানে আসে অন্য ধান্ধায়। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় গলাবাজি, কিংবা জাতীয়তাবাদের ছড়াছড়ি তো আছেই, তার সাথে গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো আছে, "আমি কী হনু রে" সিনড্রোমে (আকীহরে) আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
"আকীহরে" সিনড্রোমের মোদ্দা কথা হলো, নিজেই নিজেকে বিখ্যাত মনে করা, তার পর বিদ্যাসাগরের সেই অমৃত বাণীকে আক্ষরিক ভাবে নেয়া ("আপনা ঢাক আপনি বাজাইও। অপরকে দিলে ফাটাইয়া ফেলিতে পারে")। এহেন আকীহরে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা উইকিতে হাজির হয়, তার পর প্রথম সুযোগেই নিজের একটা জীবনী লিখে ফেলে।
জীবনী নিবন্ধের ক্ষেত্রে উইকির বেশকিছু মাপকাঠি আছে। যেমন, লেখকদের ক্ষেত্রে নামকরা গণমাধ্যমে লেখকের লেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা থাকলে, কিংবা লেখক পুরষ্কার পেয়ে বসলে, তারপর তাকে গুরুত্বপূর্ণ ধরা যায়। রাজনৈতিক পাতি নেতারা গুরুত্বপূর্ণ না, কিন্তু কোনো সংসদ বা অন্য পদে নির্বাচিত হলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এসবের মধ্যেও অনেক ফাঁক বা গ্রে এরিয়া আছে। তবে মোটামুটি ভাবে সাধারণ হিতাহিত কাণ্ডজ্ঞান থেকেই বোঝা যায়, কে আসলেই খ্যাতনামা, আর কে অখ্যাত।
সমস্যাটা দাঁড়ায় যখন আকীহরে ব্যক্তিরা হাজির হয়। শুরুতেই এরা নিজের নামে একটা এন্ট্রি খুলে বসবে। "দ্রুত বিচার আইন" এর মতো উইকিতেও "দ্রুত অপসারণ" প্রক্রিয়া আছে, তার মাধ্যমে ট্যাগ করে দেয়া যায় হাবিজাবি এন্ট্রিগুলো (যেমন "আক্কাস একজন বাংলাদেশী ছাত্র। তার বাড়ি অমুক স্থানে। ফুন লম্বর ০১৭-১২৩৪৫৬৭৮।" এরকম)। কিন্তু আকীহরে ব্যক্তিটি একটু চালাকচতুর হলেই ধরে ফেলবে, দ্রুত বিচারের খড়গ থেকে বাঁচতে হলে দুই একটা আসল/নকল "সূত্র" দিয়ে ফেলতে হবে। সেটা দিয়ে ফেললে আমলাতান্ত্রিকতায় আর ওটা দ্রুত অপসারণ করা যাবে না, যেতে হবে অপসারণ প্রস্তাবনা, অথবা অপসারণের ভোটে। ঐ অপসারণ ভোটের সময়ে একজন প্রস্তাব রাখে, আক্কাসের জীবনীটি অমুক নীতিমালার অধীনে অপসারণ করা হোক, আর বাকিরা আলোচনা করে একমত, অথবা "মানিনা" এই মতে। অবশ্য যেকোনো মতের সপক্ষে বলতে হয়, কোন যুক্তিতে -- যুক্তি-ফুক্তি ছাড়াই "আক্কাসরে ভালা পাই তাই মানি না" এই রকম কথা বললে ঐটা আমলে আনা হবে না। ৫ থেকে ৭ দিন এই ভোটের পালা চলে তার পর একজন প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেয়, হ্যাঁ নাকি না জয়যুক্ত হয়েছে, তার পর নিবন্ধ রাখা হয় বা মোছা হয়।
বাংলাদেশের লোকদের জীবনী নিবন্ধগুলোর উপরে নজর রাখি, আগে উইকি কি এইটা মানুষে না বুঝলেও ইদানিং "সচেতনতা" বেড়ে গেছে, তাই এখন সপ্তায় না হলেও মাসে একটা দুইটা আকীহরে জীবনী যোগ হয়। বাংলাদেশী উইকিপিডিয়ানদের সংখ্যা বেশ কম, সেই সুযোগে আকীহরেরা নানা ভুজুং ভাজুং দেয়ার চেষ্টা করে, হাবিজাবি জিনিষকে "রেফারেন্স" বলে দাবী করে বসে।
উদাহরণ দেয়া যাক, লন্ডনপ্রবাসী জনৈক ব্যক্তি (নাম বলবোনা) পেশায় সম্ভবত ব্যবসায়ী, আর শখ হলো মহাকাশ সম্পর্কে পড়া, নিজের পয়সায় একটা "উপন্যাস" ছাপিয়েছেন। এই ব্যক্তির হঠাৎ আকীহরে রোগ পেয়ে বসলো, ব্যস, শুরু করে দিলেন নিজের নামে জীবনী। তাও আবার ছদ্মনামের একাধিক উইকি ইউজার অ্যাকাউন্ট থেকে (নাম আলাদা কিন্তু কাম দেখলেই বুঝি একই লোকের কাজ)। এই লোকের কাজ হলো বিভিন্ন থিওরি বের করা, তার পর দাবী করা সেই নাকি প্রথম ব্যক্তি যে ঐরকম থিওরি বের করেছে। বলাবাহুল্য, তার এইসব তত্ত্ব ছাপা হয়না কোনো গবেষণা জার্নাল কিংবা কনফারেন্সে, তার প্রকাশের ভেন্যু হলো বিভিন্ন নিউজগ্রুপ বা নিজের সাইট।
বাংলাদেশের মিডিয়ার একটা সমস্যা আছে, বিজ্ঞান বিষয়ক অনেক কিছুকেই যাচাই বাছাই না করেই এরকম প্রতারকদের কথা ফাটিয়ে লিখে (বাঙালির কৃতীত্ব এরকম ধাঁচে, "নয়ন সুপারকম্পিউটার", "কচির শূণ্য থেকে বিদ্যুৎ দ্রষ্টব্য)। তো, জনাব আকীহরে "জ্যোতির্বিদ" এরকম কিছু রিপোর্ট লিখিয়ে নিয়ে তার পর "বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিকাল অ্যাসোসিয়েশন"কেও পটিয়ে ফেললেন, তার পর কায়দা করে সেই সমিতির "অনারারি মেম্বার" হিসাবে "মর্যাদা" অর্জন করলেন। ব্যস, আকীহরে হিসাবে নিজের জীবনীতে ঐটাও ফাটিয়ে যোগ করে দিলেন, হাজার হলেও বিদেশী কারো পক্ষে নাসা আর বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিকাল অ্যাসোসিয়েশনের পার্থক্য করা কঠিন, তাই নাসার ফেলো আর বাস এর অনারারি ফেলোর পার্থক্য ধরতে না পেরে অপসারণের ভোটে জেতা যাবে সহজে, এই ধান্ধায়। সেবার অনেক কষ্টে সৃষ্টে এই আকীহরে "জ্যোতির্বিদ" এর ধাপ্পাবাজি প্রমাণ করতে পারা গেছিলো।
--
গত সপ্তাহে আরেক আকীহরে এলো, তার অবশ্য পথ অন্য, সে হলো আকীহরে গায়ক। বাংলাদেশের সঙ্গীত ধারা সম্পর্কে আগে হালনাগাদ ছিলাম, ইদানিং দূরে থাকলেও এতো দূরে নাই যে বিশ্বকোষীয় কাউকে চিনবো না। "জ্যা" আদ্যাক্ষরের এই গায়কের এন্ট্রি দেখে তাই ঘাবড়ে গেলাম, এমনই কি বয়স হলো যে এমন "বিখ্যাত" গায়ককে চিনি না!! এই আকীহরে আবার একগাদা পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে এসেছে তার ছদ্মনামের উইকি একাউন্ট থেকে।
খোঁড়াখুড়ি শুরু করলাম, তার পর বেরুলো অন্য ঘটনা, ডেইলি স* নামের পত্রিকার একাধিক শাখা, উদীয়মান পাতা, আর জীবনধারা পাতায় ঐ আকীহরে গায়কের নামের উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু দুই আলাদা কলাম লেখকের লেখাতেই বিশাল এক প্যারাগ্রাফ হুবুহু মিলে যায়। পরে আরেক বাংলাদেশী উইকিপিডিয়ান নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী জানালো, ঐ পত্রিকার এসব পাতায় সাধারণত স্কুল কলেজের ছাত্ররা লিখে থাকে, তাই সম্ভবত আকীহরের বন্ধু বান্ধব টাইপের কেউ চোথা অনুসারে লিখেছে। আকীহরে আবার নিজের "মাইস্পেইস" পাতাকেও "রেফারেন্স" টেনেছিলো, পরে বেরুলো ঐ বিশাল প্রশংসামূলক কথামালা আসলে তার নিজের মাইস্পেইসের আত্মজীবনী থেকে নেয়া।
বলাই বাহুল্য, আকীহরে গায়কটির আত্মজীবনীও মানদন্ডে পাত্তা পায়নি, পটল তুলেছে ক'দিন আগে।
---
আকীহরেদের আপাতত ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে, কিন্তু এদের দৌরাত্ম ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একসময় নিজের ওয়েবপেইজেই এদের আনাগোনা সীমিত ছিলো, কিন্তু এখন ফেইসবুকে ফ্যান ক্লাব নিজেরটা নিজেই খুলে বসা* থেকে শুরু করে উইকিতেও হানা দেয়া শুরু হয়েছে। আর তার উপরে বাংলাদেশের বাংলা পত্রিকাগুলো জব্বারীয় পুরানো কাগু-বাংলা নিয়ে বসে থাকাতে সার্চ করা সেখানে অসম্ভব, কাজেই কে আসলে বিখ্যাত, আর কে আকীহরে, তা বোঝা কষ্টকর। উইকির এটা একটা দূর্বলতা, তবে উল্লেখযোগ্যতার নীতিমালার কড়া প্রয়োগ, আর সবকিছুর রেফারেন্স প্রদান বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে আকীহরেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা ওখানে করা হয়।
অবশ্য অনেক সময়ে আকীহরেরা নানা ফ্যাসাদেও পড়ে যায়, যেমন আকীহরে জীবনী অপসারণের প্রস্তাবনাতে অনেক সময়েই ঐ ব্যক্তিটি কীরকম নগন্য তা নিয়ে বিশাল আলাপ হয়, এবং মোছার সপক্ষের লোকেরা নানা প্রমাণ হাজির করে। গুগলের কল্যাণে এক সময়ে অনেক আকীহরের নাম দিয়ে সার্চ করলে এই সব মর্মান্তিক আলোচনাই চলে আসতো, বাস্তব জীবনে মাথা কাটা যাবার মতো সব কথা আকীহরেকে খোঁজা ব্যক্তিদের চোখে এসে যেতো। বিপুল সংখ্যক আকীহরের "মানহানী" হচ্ছে বলে উইকিকে মামলার ভয় দেখানোতে এখন আর ঐ আলোচনার পাতা গুলা গুগলকে দেখতে দেয়া হয় না।
হাজার হলেও, আকীহরে সিনড্রোম বলে কথা ... সমালোচনা সহ্য করা, কিংবা নিজেদের আসল রূপের প্রকাশ সওয়াটা তাদের পক্ষে অনেক অনেক কঠিন ...
মন্তব্য
হ। আমিও দেখছি দু' একটা। তয় হাসিই পাইছে খালি এদের একটা ট্যাগ করা যায়- 'উইকি বিনোদন'।
আমি কলকাতার যে অঞ্চলে জন্মেছি উইকিতে তার নিবন্ধে একবার কিছু তথ্য যোগ করেছিলাম। তখনই এই প্রশ্নটা মনে এসেছিলো যে কী ক'রে নির্ণিত হবে যা লিখলাম সত্যি কি না, মানে উইকি অনুমোদন কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁদের পক্ষে তো সব কিছু জানা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। অন্য সাইটের রেফারেন্সই বা কদ্দুর বিশ্বাসযোগ্য? আপনার লেখা পড়ে সেই সব জিজ্ঞাসা আবার ফিরে এলো। এ বোধ হয় ইন্টারনেট যুগের অবধারিত সমস্যা, অনেক কিছু ভালোর সাথে এই সব উৎপাত আসবে হাত ধ'রে।
"আকীহরে" নামকরণটা চমৎকার হয়েছে। এরা উইকিতে নাম তুলে কী মোক্ষ পায় জানার ইচ্ছে আছে, চেনেন নাকি এমন কাউকে? তাহলে জিজ্ঞাসা করতাম।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
এই ঘটনা তো অনেকেই ঘটিয়েছে। কয়েকজনের নাম বলতে ইচ্ছে করছে (তাহারা কবি ও লেখক বলে নিজেদের দাবী করেন), কিন্তু খোলা মাঠ বলে কিছু বললাম না।
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন ছিল। উইকিপিডিয়ায় কি বিষয় বা বিভাগ অনুসারে প্রসাশক নির্ধারণ করা হয়? যেমন- ধরুন, আপনি কম্পিউটার বিষয়ক বিভাগের জন্য প্রসাশক- অন্য কেউ পদার্থবিজ্ঞানের জন্য। এরকম কিছু কি প্রচলিত আছে?
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
দারুন মজা লাগলো আকীহরে গপ্পো
আমার তো এখনই একটা জীবনী লিখে ফেলতে ইচ্ছে করছে!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মানুষের এই বেয়াড়া প্রবণতার কারণটি আমি কিছুতেই আন্দাজ করে উঠতে পারি না!
ধরা যাক, কায়দা-কীর্তি করে আমি নিজের জীবনী প্রকাশে সক্ষম হলাম উইকিতে। কিন্তু তাতে আমার-নাম-উইকিতে-আছে জাতীয় আত্মতৃপ্তি ছাড়া আর কী কী পার্থিব বা অপার্থিব লাভ আমার হবে, তা থেকে যায় বোধাতীত হয়েই।
হয়তো আমিই এই পৃথিবীর অনেক সরল সত্য বুঝি না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জায়গামতো পয়েন্ট আউট করছেন
এইটা যাদের মাথায় ঢুকেনা তারাই এইসব আকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসক রাগিব হাসানের কাছে উইকিপিডিয়ায় "আকন্দ চাচ্চু" এবং "ত্রিভুজ রামছাগলের" জীবনী লিপিবদ্ধ করার আকুল আবেদন জানাই।
ত্রিভুজ রামছাগল সঙক্রান্ত একটা কাহিনিতো ছিলো। রাগিব ভাই সেটা লিখলো না ক্যানো বুঝতেছি না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরও একজন প্রস্তর যুগের ব্লগার, যিনি মত প্রকাশে সকাল দুপুর বিকেলে ৩ বার অবস্থান পাল্টান, তিনিও উইকিপিডিয়ায় হেব্বি একটা ঝাড়ি খেয়েছিলেন বলে দেখেছিলাম। তাকে বলা হয়েছিল - এটা নিজস্ব মত প্রকাশের জায়গা নয়।
ছাগুরাম উইকিপিডিয়ায় নিজের জীবনীতে কী লিখেছিল তা জানার খুব ইচ্ছা হয়।
আছে তো। খুঁইজা দিমু নিকি?
স্কিপ্ট কিডি দের ষড়যন্ত্র সব।
অনেকদিন আগে উইকিতে ত্রিভুজের ট্রলিং করা নিয়ে আরেকটা পোস্ট পড়ে শখ হইছিলো সেখানে আমার জীবনীও লিখুম... মাঝে ভুলে গেসিলাম... এখন তো আবার ইচ্ছা করতেসে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এক কাজ কর্, তুই আমারটা লেখা শুরু কর্, আমি লিখি তোরটা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ওয়ান্স আপন এ টাইম দেয়ার ওয়াজ এ মুরুব্বি লিভিং ইন সিলুট... হি হ্যাড এ বাড়ি, বউ, পিচ্চি অ্যান্ড এ ভটভটি... হিজ বাড়ি, বউ, পিচ্চি এন্ড ভটভটি ওয়াজ গুড। সো হি ওয়াজ অলসো গুড...
এম্নে লিখা শুরু করুম, ভাবতেসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
নিকট ভবিষ্যতে রইচুদ্দিন নামের একজনের আকিহরে নিবন্ধ উইকিতে আসিবেক । তিনি বত্তমানে ফেসবুকে নিজের নামে ফেন পেজ খুলে নিজেই সবাইকে ইনভাইট করে বেরাচ্চেন , উহা শেষ হইলেই উনি উইকিতে হানা দেবেন আসা করি ।
হে হে হে
সে আর বলতে
বৃদ্ধ শাইসু? হে হে হে
- ওরফে ব্যর্থ লয়চুদা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জটিল মজা পাইছি
আমিও জীবনী লিখুম
-------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
হাসি লাগল। বহু আগে এরকম একটা ঘটনা করেছিল ত্রি* নামের একজন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নাহ, উইকির লোকেরা বড়ই বেরসিক। ফেসবুকের ওই কাহিনী সত্য নাকি? কোন লেখক শুনলাম নিজের ফ্যানক্লাব খুলে নিজেই ইনভাইটেশন পাঠাচ্ছে?
ইনফর্মেশন টেকনোলজির বুমের সাথে সাথে এইসব উটকো ঝামেলা থাকবেই। স্প্যামিংয়ের নতুন নতুন কৌশল বেরোবে, স্প্যামিং ঠেকানোর কৌশল ও আসতে থাকবে। এই রিলে রেসটাই মজা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দারুণ মজারু হয়েছে, ধন্যবাদ। উইকিতে বাংলা ভাষার লেখকদের নামের তালিকা দেখলে এমন আরো অনেক আকীহরের দেখা পাবেন। সম্ভব হলে এদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার ব্যবস্থা করবেন।
আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে "নিজের ঢাক নিজে পিটাইও......" উক্তিটি কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নয়। একটু যাচাই করে দেখবেন প্লিজ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কি কি যোগ্যতা থাকলে একজন সফল 'আকীহরে' হওয়া যায়, তা তো রাগীব ভাই বললেন না ! সবারই একটু খায়েশ-আহ্লাদ থাকে না !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হরিদাসপালোম্যানিয়া
আহারে
আমার লিজের হাতে লিজের নামে একখান জীবনী নিখার ষক হইছল
দিলেন তো বারোটা বাজিয়ে
এখন তো নোক বাড়া করতে হোবে নেকানোর জন্য
০২
শব্দটা আকীহরে না হয়ে হবে মুকীহরে (মুই কী হনু রে...)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
- রাগিব ভাইরে কাঠখোট্টা কিসিমের ভাবতাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সচলদের বঞ্চিত করে যাচ্ছেন!
তো কিছু পড়ে টরে এখন আমার শখ জাগছে একটা জীবন-কুণ্ডলী লেখার। আছেন কোনো ভাই-বেরাদর যিনি আমার হয়া লিখবেন? না লিখলে আওয়াজ দিয়েন, এই অধম নিজেই নিজের ঢাক লৈয়া হাঁটে নামিয়া পড়িবে। বিসমিল্লাহ...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাম মাইরা লাভ নাই। শালী বণ্টন অনেক আগেই শ্যাষ।
amio wiky hoite chaiiiiiiiiiiii
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এত কড়াকড়ি করার কী দরকার রে ভাই
আলাদা একটা কিছু খুলে দেয়া যায় না এদের জন্য?
রাগিবের লেখার ভিন্ন দিক দেখলাম।
ব্যাপক মজার।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বেশ মজার লেখা, রাগিব। আর ছবিটিও বেশ ভাল ফিট করেছে বিষয় বস্তুর সাথে। 'আকিহরে'-রা যত স্মার্ট হবে ততই উইকিপিডিয়ার এডমিনের জন্য এদের মোকাবেলা বেশি রোমাঞ্চকর হবে। কাজেই পরের লেখায় একটি নির্দেশিকাই বরং আসুক - 'আকিহরে'দের জন্য।
দারুন মজা পেলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
সময়াভাবে খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ নেই। তবে কয়েকটা (ইংরেজীতে) লক্ষ্য করলাম
(১) প্রখ্যাত গায়িকা ইভা রহমানের নাম নেই! মাহফুজুর রহমান কি করছেন?
(২) সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খানের পাতায় তাসলিমার বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিষোদ্গার করা হয়েছে। ডাক্তার হিসেবে তিনি মেধাবী ছিলেন বলেই আমার ধারণা।
(৩) মতি মিয়ার জীবনীর স্টাব রাগিব শুরু করেছেন। তবে সেটাকে সুবিশাল পল্লবিত বৃক্ষ করেছেন অন্য কোন ভক্ত।
(৪) মাহফুজ আনামের পাতা অসংখ্য ইংরেজী ভুলে ভর্তি। কোন শত্রুর কাজ?
(৫) মাহফুজের মেয়ে তাহমিমার পাতায় সাইটেশনহীণ দাবি থাকাতে আপত্তি আছে।
(৬) হুমায়ুন আহমেদের পাতায় অনেক ব্যক্তিগত আপত্তিকর কথা আছে। কেউ বাদ দিচ্ছে না কেন ?
(৭) ঢাকা বিমান বন্দরের যে সব কালেক্টর অব কাস্টমস নিয়মিত বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কার পেতেন, তাঁদের নাম নেই !
এসবের বাংলা ভার্সনের কি হবে ?
হে হে হে ---দারুউউউউন !!!
এক্কেবারে নত হয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম। দুর্দান্ত লেখা। রাগিব ভাইয়ের অন্য একটি দিকের সাথে পরিচয় হল আমারও।
আমারও খায়েশ হচ্ছে নিজের নামে একটা কিছু খুলতে। অধম ব্লগার বইলা আমার শখ-আহ্লাদ নাই?!
[আমার সবটুকু কথা সন্ন্যাসীজীই বলে দিয়েছেন...]
তুমি আমারে নিয়া একটা ব্লগ লিখ, আমি তোমারে নিয়া একটা লিখি ... তারপরে সেই ব্লগগুলি যার যার রেফারেন্স হিসাবে দিয়া দিমু, কি কও?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ব্লগ কেন, রীতিমত ই-বুক করা যায়। পার্মুটেশন-কম্বিনেশন করে সবার যার যারটা লিখবো। দিন বদলের রেফারেন্স।
হা হা হা। লেখা পড়ে সেরকম মজা পেলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
উইকিপিডিয়ায় দেখি একেবারেই গণতন্ত্র নাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই।
উইকিপিডিয়ার সেন্সরশিপের তেব্র নিন্দা জ্ঞাপন করি।
ভাইয়েরা, যে যে আমার মতো নিজেই নিজের জীবনী অদূর ভবিষ্যতে উইকিতে যোগ করতে চান, তারা আমার সঙ্গে উদাত্ত কণ্ঠে কণ্ঠ মিলান-
রাগিব হাসানের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও
আমাদের আত্মজীবনী, উইকিতে থাকতে হবে...
(হোহোহো)
ব্যাপক মজা পাইলাম রাগিব ভাই। সৃষ্টিকর্তা এদের দিলে শান্তি দিক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি একটি অ--তি সরল প্রশ্ন করতে চাই, "খ্যাতি" কি খুব জরুরি কিছু? আসলেই? তাহলে খ্যাতিমান রা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে এত আড়ালে রাখবার জন্য এত পয়সা উকিল এগুলো ব্যয় করেন কেন? বিখ্যাত না হলে কি খুব সমস্যা?? আমি আসলেই বুঝতে পারিনা। আসলেই অপারগ আমি
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
উইকিতে লেখার জন্য একটা একাউন্ট খুলছি, কিন্তু কি লিখবো বুঝতে পারছি না; বড়ো সমস্যা হলো এখানে কোনো বইপত্র নাই, রেফারেন্স নাই। তবে তাড়াতাড়িই লিখবো। আর প্রত্নবিদ্যা অধ্যায়টিতে ঢোকা যায় না কেন? টেকনলজি-অজ্ঞতায় আরো কতো প্রশ্ন যে আপনাদের করবো আর কতোদিন যে আপনারা সহ্য করবেন, বুঝতেছি না।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
নতুন মন্তব্য করুন