বাঙালিদের নামের গড়ন কেমন, এই নিয়ে কৌতুহল জেগেছিলো এক সময়। গণকবিদ্যাতে মাথা নষ্ট করার সুবাদে অভ্যাস হয়ে গেছে, সবকিছুর অ্যালগরিদম খোঁজা। তাই বাঙালিদের নামের রেগুলার এক্সপ্রেশন তথা কোন ফরমুলাতে বাঙালি নাম বানানো চলে, তা নিয়ে চিন্তা করতে গেলাম।
গিয়ে বেমক্কা ঝামেলা, বিদেশী যেমন ইংরেজদের বা মার্কিনীদের মতো বাঙালি নামের তো আগা মাথা নেই। উদাহরণ দেই -- মার্কিনীদের নাম হয় অনেক সময়েই ত্রিপদী -- প্রথম নামটিকে ওরা খ্রিস্টীয় নামও বলে, মাঝের নামটি ওরা কালে ভদ্রে ব্যবহার করে, তবে প্রায় সবারই থাকে, আর দাদী নানী চাচা খালা মামা ইত্যাদি আত্মীয়দের কারো নামে দেয়া হয় বলে শুনেছি, আর শেষের নামটি? সেতো মার্কিনীদের বংশপরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই মার্কিনী নামের ফরমুলা অনেকটা এরকম
মার্কিনী নাম = (প্রথম নাম) (মাঝের নাম)? (শেষ নাম)
(কম্পু-অবিজ্ঞানীদের জন্য টীকা, ? চিহ্নটি বোঝাচ্ছে এই অংশটি ০ বা ১ বার থাকবে, মানে মাঝের নাম একটি হবে অথবা থাকবেই না।)
অনেকের আবার সিনিয়র জুনিয়র, ৩নম্বর এমন লেজুড় থাকে, সেটাকে ফরমুলাতে যোগ করলে পাই
মার্কিনী নাম = (প্রথম নাম) (মাঝের নাম)? (শেষ নাম) (ক্রমবাচক লেজুড়)?
এখানে প্রথম নামটি আবার অনেক ক্ষেত্রেই বাইবেলে বর্ণিত শ-কয়েক নামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, যদিও শেষ নামটি অজস্র অজস্র রকমের হয়। তাই দেখবেন, মার্কিনী বা ইংরেজদের প্রথম নাম টম,জন, পিটার, উইলিয়াম, জর্জ -- এইসব বাইবেলীয় মহামণিষীদের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে, কোনো ক্লাসরুমে "জন, কৈ গেলা" বলে ডাক দিলে হয়তো গোটা দশেক জন জবাব দেবে।
রুশদের নামেরও ফরমুলা আছে, যেমন
রুশ নাম = (ব্যক্তিগত নাম) (বাপের নাম) (গুষ্টির নাম)
যেমন, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন মানে হলো এই চাঁদুর নাম হলো ভ্লাদিমির, বাপের নামও ভ্লাদিমির, আর তাদের বংশের নাম পুতিন।
আরবদের নামের বিশাল সিস্টেম, তাদের নাম হলো এরকম
আরব নাম = (ইসম) | (কুনিয়া) | (নাসাব) | (লাকাব) | (নিসবা)
যেখানে ইসম হলো ব্যক্তিটির মূল নাম, কুনিয়া হলো তার ছেলে/মেয়ের থেকে আসা নাম, নাসাব হলো পিতৃবংশের নাম, লাকাব হলো উপাধি জাতীয় নাম যা দিয়ে ব্যক্তিটির বৈশিষ্ট্য বোঝায়, আর নিসবা হলো ব্যক্তিটির পেশা।
মাথায় প্যাঁচ খাবার আগে একটা উদাহরণ দেই,
আবু করিম মুহাম্মদ আল-জামিল ইবনে নিদাল আবদুলআজিজ আল ফিলিস্তিনি
এর মানে হলো, করিমের বাপ, মুহাম্মদ, দেখতে বড় সুন্দর, নিদালের ছেলে, আবদুল আজিজের নাতি, ফিলিস্তিননিবাসী।
দক্ষিণ ভারতীয়দের নামের আবার বেজায় অদ্ভুত সিস্টেম। ওদের নাম সর্বসাকুল্যে একটাই হয়। লাস্ট নেইম, সারনেইমের বালাই নেই। (আমার এই সিস্টেমটা বেশ পছন্দ হয়েছিলো, কিন্তু তার পর মনে হলো আমার স্কুলের ক্লাসে চারজন বাবু ছিলো, তাদের এক পর্যায়ে বাবু-১ থেকে বাবু-৪ পর্যন্ত নাম্বারিং করা হয়েছিলো)!
উদাহরণ হিসাবে এই ভদ্রলোকের নাম দেখুন - অরবিন্দ নামটাই তিনি ব্যবহার করেন কেবল। সামনে পিছনে কিছু নেই। এমনকি ওনার রিসার্চ পেপারগুলোতেও একই অবস্থা (ভাবখানা অনেকটা বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো, এক নামেই পরিচিত)।
নাম তো আর অঢেল নেই, তাই বাবু-১ থেকে বাবু-৪ এর মতো দশা সহজেই হতে পারে, তা এড়াতে অনেক সময় দক্ষিণ ভারতীয়রা নিজেদের পেশা বা বর্ণ বা বাড়ির নাম লাগিয়ে দেয়। অথবা লাগিয়ে দেয় বাপের নাম।
কিন্তু আরো ইন্টারেস্টিং হলো এদের আদ্যাক্ষর পদ্ধতি -- ধরা যাক একই ক্লাসে দুইটা গোপাল আছে, একজনের বাপের নাম রাম, আরেকজনের বাপের নাম শ্যাম। এখানে দক্ষিণীরা সহজ সিস্টেম করে ফেলেছে, স্কুলের খাতায় নাম লেখাবার সময়ে প্রথমজনের নাম হবে আর. গোপাল (R. Gopal), আর দ্বিতীয় জনের হবে এস গোপাল (S Gopal)। এজন্য অনেক দক্ষিণীর নামেই দেখবেন এরকম আদ্যাক্ষর, কিন্তু ওটা দিয়ে কী হয়, তা আর বলা নেই। যেমন বিখ্যাত গণিতবিদ রামানুজানের নাম খুঁজলে দেখবেন, এস রামানুজান। এস দিয়ে অনেক খানে "শ্রীনিবাস" হয়, তা বলা আছে, কিন্তু আসলে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝেই ফেলেছেন, রামানুজানের বাপের নাম ছিলো শ্রীনিবাস, আর রামানুজান মোটেও তাদের পদবী টদবী না।
চীনাদের নামের সিস্টেম আবার উলটো, মানে বংশপদবী আগে, তার পর বসবে নাম। অবশ্য বিদেশে আসলে অন্যদের সুবিধার জন্য ওরা নিজের নামটাও উলটে নেয়। তাই হং চ্যাং জাতীয় কারো নাম যদি দেখেন মার্কিন মূলুকে, তাহএল বুঝবেন চীনারা নিজদেশে তাকে চ্যাং হং বলেই ডাকবে।
শুরুটা করেছিলাম বাঙালি নামের ফরমুলা বের করার ইচ্ছা নিয়ে, কিন্তু লেখা বিশাল হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, তাই যতি টানলাম এখানেই। ৩ ফুটি তুষারে চাপা পড়েছে মায়ানগর, আঁতেল শিরোমণি দুই একজন ছাত্র ছাড়া আর সবাই লেপমুড়ি দিয়ে রয়েছে, তাই পড়াবার ঝামেলা থেকে মুক্ত আপাতত। কাজেই বাঙালি নামের ফরমুলাটা নাহয় আগামী পর্বের জন্যই জমা থাক ...
(শিরোনামটি অর্থহীন ছড়ার অপচেষ্টা। নাম এর সাথে "দাম", "ঘাম", "গাম", "চাম", "জাম", "ধাম" এসবের মিল পেলেও মাথায় আর কিছু আসলোনা। কাজেই আপাতত এটাই শিরোনাম রইলো)
মন্তব্য
মজার লাগলো স্যার
তুমুল, চ্রম পোস্ট
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ইন্টারেস্টিং! এই ভাবে কখনও চিন্তা করা হয়নি।
বাঙালি নামের ফরমুলা নিয়ে আপনার আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম।
মজার।
তবে বাঙ্গালীর নাম এখনো R&D পর্যায়ে আছে...ফরমুলা তৈরি করা যায় নি আজ অবধি। তুমি যেমন "আবু জালাল মুহাম্মদ শেখ বুরহান হামিদ রেজা" পাবে, তেমনি আছে...নীলিম অর্ণব...আমার কলেজে এক বন্ধু ছিল যার নাম ছিল "মিস্টার"..
রিসার্চ চালিয়ে যাও...অ্যালগরিদম থাকলেও বেশ জটিল হবে বলেই আমার ধারনা
শীতের ছুটি উপভোগ কর...আরো মজার লেখা দিও...ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
চ্রম!
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। বাঙালি নামের ফরমুলা সম্পর্কে জানতে চাই!
দারুণ পোস্ট! আমাদের দেশের অনেকের ডাকনাম পশ্চিমে গিয়ে বংশনাম হয়ে যেতে দেখেছি। ভুল ফর্মুলা দিয়ে (বর্ণনা) পার্স করতে গিয়ে এই হাল।
----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~
দারুণ লেখা! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
এ প্রসঙ্গে একটা অফটপিক: কারো নাম যদি শুধু এক শব্দের হয়, তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে? বিশেষ করে আইনগত? এরকম কি কোনো নিয়ম আছে যে এক শব্দের নাম হওয়া যাবে না? ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রায় সব সাইটেই রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে ফার্স্ট নেম ও লাস্ট নেম দিতেই হয়, একটি দিয়ে কাজ সারার উপায় নেই। এটা কেন? এখন 'অরবিন্দ' যদি ইমেইল আইডি খুলতে চান, তাহলে তাঁকে কি আরেকটা লেজুড় লাগাতেই হবে? না লাগিয়ে এর সমাধান কী হতে পারে?
এক শব্দের নাম রাখা হলে এর প্রতিক্রিয়া বাঙালি মানসে কেমন হবে, সে সম্পর্কে একটা আলোচনা পরবর্তী পর্বগুলোতে থাকলে মন্দ হয় না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার এক নিকটাত্মীয়ের নাম এক শব্দের এবং উনার ভোগান্তি হয়েছে প্রচুর, মুলত দেশের বাইরে। শেষ পর্যন্ত উনি উনার নামটা দুইবার লিখেন, মানে যেটাই ফার্স্ট নেম সেটাই লাস্ট নেম...যেটাই লেজ, সেটাই মুড়ো
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার বাচ্চার নাম এক শব্দে রাখা যায় কিনা ভাবছিলাম। তাইলে তো সমস্যা হয়ে গেলো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বস, মাত্র ৪ তারিখে বিয়ে আর ৭ তারিখে বৌভাত গেল। এরই মধ্যে !!! ক্যামেন্কী !!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এক গৌতম সংসার ছাড়ছিল, সেইটা আরেক গৌতমরে পুষাইতে হইব না?
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
গৌতম কিন্তু বিয়া কইরা সংসার ছাড়ছিল!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাচ্চা ছেলে, যাও লেবেঞ্চুস খেয়ে আসো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অভিনন্দন গৌতম...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাঙালীর নামের কোন ফরমুলা নাই?
নাকি পুর্ন গনতন্ত্র এখানে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি আর দূর্ভোগের শেষ নাই। দেশে থাকতে তো তারপরেও চালিয়ে নেয়া যাচ্ছিল, আমেরিকা এসে বিশাল ক্যাচালে পড়েছি। নাম সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে যে সমস্ত ডট নামের মাঝে আমদানি হয়েছিল তাদের বহন করার ক্ষ্যাম্তা এইখানের SSN অফিসের নাই। ফলে এখন পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে।
আমার মত লম্বা নাম যাদের তাদের ক্ষেত্রে এলগরিদম করাটা বোধহয় কঠিন হবে; আর বাঙালিদের নাম বিভিন্ন ভাবের এবং বিভিন্ন ভাষা থেকে উদ্ভূত বলে এর ফরমুলা দেয়া অত সহজ হবে না।
আশা করছি ভাইয়া আপনি শ্রেণী আর জন্মসাল ভেদে আলাদা আলাদা এলগরিদম দেবেন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমার নাম হচ্ছে বাংগালীদের ঢং এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পুরা নাম নূর-এ-ফায়জা বর্ষা। এক খালার শখ করে এক মিশরীয় রাজকুমারীর নাম অনুসারে রেখেছে ফায়জা। মায়ের শখ মেয়ে বিজ্ঞানী হবে কুদরত-ই-খুদার মতো, তাই -এ- যোগ করছে ( নকল হবে বলে -ই- এর পরিবর্তণ করে -এ- রেখেছে)। আমি আবার ম্যাট্রিকের সময় নিজের ডাক নামটাও যোগ করেছি। সব মিলিয়ে ব্যাড়াছ্যাড়া!!!
এইখানে কোনো কার্ডে আমার পুরা নাম আসেনা। -এ- টার ড্যাসতো আসেইনা। বোন বুদ্ধি করে ডাক নাম ( বিপা) বাদ দিয়েছে তাই তার নাম নূর-এ-নাজিয়া।
আমার বংশের নামের বাহার আছে। আমার মায়ের নাম ছুটি। আরো নাম হলো ----- ঢেউ, ভ্রমর, শুধু, কমা।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আরো কিছু দেশের/জাতীয়তার মানুষের নামের ফর্মুলা দেন না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অফটপিক: চশমাঅলা যুবক-রবির ছবিটা পলাশ দা পাইলো কই !
টপিক: ব্যাড়াছ্যাড়া পোস্ট রাগিব ভাই ! সিরিজ শেষ না করলে এই ত্যাড়াব্যাড়া যাইবো না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দারুণ লেখা! আমিও পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার নিজেরই নাম নিয়া ঝামেলা আছে। অ্যাপারেন্টলি আমার 'ভালো' নামটা খুব জবরদস্ত কিছু না, শুনলে মনে হয় ডাক নাম। তাই প্রায়ই নিজের নাম বলার পরের প্রশ্নটা থাকে 'ঠিক আছে, তা তোমার ভাল নামটা কি?'
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বইমেলায় "শিশিরার্দ্র মামুন" নামের এক লেখকের একটা বই বেরিয়েছে। তার নামের ফর্মুলাটা বের করতে পারলে জানায়েন।
আমি একটা গল্প লিখছি, "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও ইয়াজুজ মার্কেটে কবি সম্মেলন রহস্য" ... ওখানে ইয়াজুজি কবিদের নাম নিয়ে হাল্কা ফরমুলামুলি আছে।
আমার পদবী চৌধুরী, কিন্তু ব্যাবহার করতে হয় নামের শুরুতে; বাপ মার হুকুম। এই যন্ত্রণা আমার আর চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত ছাড়া আর কারো আছে বলে মনে পড়ছে না। মোহাম্মদ, আহমদ এসব নামের আগা বা মুড়োর যেকোনো একটাতে বেশ মানিয়ে যায়, কিন্তু নামের আগায চৌধুরী কেমন জানি লাগে।
আমার পুরো নাম চৌধুরী রায়হান জামিল। বংশের নিয়ম রক্ষা করতে গেলে বিদেশে শেষনাম হয় জামিল, আর শেষনাম ঠিক রাখতে গেলে বংশের মুখে চুনকালি দিয়ে রায়হান জামিল চৌধুরী হয়ে যেতে হয়। বিরক্ত হয়ে ঠিক করেছি শালার চৌধুরী, জামিল কোনোটাই রাখবো না; জামিল রায়হান হয়ে রায়হান নামে নতুন বংশের জন্ম দেবো।
ডিজিয়েফাইয়ের প্রাক্তন উপপ্রধান চৌধুরী ফজলুল বারি আপনার কেউ হন নাকি?
সর্বনাশ! নাম তো আসলেই পাল্টাতেই হবে দেখছি।
স্প্যানিয়ার্ডদের নামের ফরমূলা বেশ বিচিত্র।
(নিজের নাম) (বাবার বংশের নাম) (নানার বংশের নাম)
ধরা যাক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। গাব্রিয়েল তার নিজের নাম, গার্সিয়া তার বাবার বংশের নাম, মার্কেজ তার নানার বংশের নাম।
আমি যদি গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের কোনো মেয়েকে বিয়ে করি, আর আমাদের যদি কোনো পুত্র হয়, ধরলাম তার নাম রাখা হলো আন্তোনিও, তখন আন্তোনিওর পুরো নাম হবে আন্তোনিও আজাদ গার্সিয়া।
- দোস্ত, মার্কেজের ছোট মেয়েরে আমার লগে বিবাহ দিয়া এই সিস্টেমে তাইলে আমার পুলার নামটাও বাইর কইরা দে'না একটু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনিরের ছেলের নাম সোলায়মান হলে, সোলায়মান হোশেন গার্সিয়া ...
সাবাশ ধুগো। মার্কেজের নাতির নাম বাংলা রাখতে পারসে
দারুন লাগলো রাগিব ভাই। আমি এখানে দুজন ইরানি ছেলেকে চিনি যারা একজন আরেকজনের কাজিন। ওদের ফার্স্ট নেম ওদের নিজেদের নাম, মিডল নেম ওদের বাবার নাম আর লাস্ট নেম দাদার নাম। যেহেতু তারা চাচাত ভাই, তাই ওদের দুজনারই লাস্ট নেম একই। অনেকটা হিমু ভাইয়ের স্প্যানিশ কিসিমের দেখা যায়! আবার একজন আফগানি ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়েছে, যে নিজের পরিচয় দেয় সবসময় তার ছেলের নামে - আবু ইউসুফ।
আরেকটা কথা এখানে মনে হয় সব চাঙ্কুই নিজেদের একটা জো / জন / রয় মার্কা নাম রেখে দেয়
মজা তো!
নেপোলিয়ন আসার আগে এই নিচু দেশে কেউ শেষনাম নিয়ে মাথা ঘামাতো না। অনেকটা আরব দের মত, অমুকের ছেলে তমুক যার পেশা চমুক বলেই সবাই চিনতো। নেপোলিয়ন এসে বলল, না না না, এরকম হলে তো চলবে না। তাই গ্রামে গ্রামে খাতা নিয়ে লোক বসে গেল, এসো তোমাদের নাম দিয়ে দিই।
তারফলে যেটা হল, এখানের বেশীরভাগ নামগুলোই হয়ে গেল জায়গা বা পেশার নামে। যেমন অমুক ফন জাইস্ট (জাইস্ট নিবাসী অমুক) বা তমুক ফিসার (জাউল্লা তমুক) আর যারা উদ্বাস্তু তাদের নামগুলো হয়ে গেল তারা নাম লেখার সময়টিতে কোথায় ছিল, যেমন অমুক ফন ডাইক (অমুক যে বাঁধের ওপরে ছিল) তমুক ফন সে (তমুক যে সাগরের তীরে থাকে), চমুক ফন স্ত্রাত (রাস্তায় দেখা চমুক)।
কিন্তু ওলন্দাজেরা কৌতুকপ্রীয় জাতী। এত ভাল একটা মশকরার সূযোগ তারা ছেড়েদেবে?কিছু কিছু শেষ নাম দেখুন, বুঝবেন কি বলছি। অমুক নাক্তখেবোরেন (অমুক যে জন্মের সময় নেংটু ছিল), তমুক সেল্ডেনতাউস (তমুক যাকে সবসময় বাসায় পাওয়া যায় না)।
তবে কিছু কিছু সত লোকও ছিল যারা তাদের শেষ নাম লিখেছিল, অমুক সন্দার ফন্ যার মানে দাঁড়ায়, 'অমুক, যার কোন শেষ নাম নেই'।
হাসতেই আছি
- জার্মানরাও দেখি আম্রিকানদের মতো তিনপদী নাম ব্যবহার করে। আর সিস্টেম ঐটাই, মাঝের নামটা কেবল খাতায় আর কলমে থাকে। সব জায়গায় ব্যবহৃত হয় প্রথম আর শেষেরটাই।
আমার এক বান্ধবী, নাম আনিয়া (খ্রীষ্টীয় নাম) ক্যাথারিনা (মাঝের নাম) ব্লুম (পারিবারিক পদবী)। কিন্তি এমনকি তার জাতীয় পরিচয়পত্রেও আমি কেবল আনিয়া ব্লুমই দেখেছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশনে আছে তার পুরো নামটাই।
জার্মান নামগুলোর মধ্যে একটা মজা আছে। সেটা হলো পারিবারিক নামের মধ্যে এমনসব নাম দেখা যায় যেগুলো শুনে তাব্দা খেয়ে যেতে হয়। ঐ নামের মানেই কেমন জানি। যেমনঃ উপরে বর্ণিত আনিয়া'র নামের পারিবারিক অংশ ব্লুম মানে হলো ফুল। এখন তার নামের সাথে ফুল কথাটা গেলেও তার ভাইয়ের নামের সাথে ফুল কথাটা কেমন শোনায়?
তাছাড়া আমাদের সুপরিচিত মাইকেল শুমাখার- এই শুমাখার শব্দের অর্থ হলো খাঁটি বাংলায় মুচি।
আলেকজান্ডার কখ - মানে হলো বাবুর্চী। (কিন্তু এই নামে আমি বেশ ভালো একজন টেক্স ল'ইয়ারকে চিনি। সে মোটেও রান্না করতে পারে না।
তামারা ক্লাইন - ছোট(খাটো)। যে তামারার কথা বললাম, নাম দেখে তাকে মেলাতে গেলে বিশাল সমস্যা।
টোবিয়াস লাংগে - বিশাল। কিন্তু টোবিয়াসকে দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই।
জার্মানীর বর্তমান প্রেসিডেন্ট, হো(য়ে)র্স্ট কোহলার - চারকোল ব্যবসায়ী। আমার ধারণা ভদ্রলোক চারকোল কী জিনিষ সেটাই চিনেন না।
আরও অনেক পারিবারিক নাম আছে জার্মান, যেগুলো শুনলেই একচোট হাসি পায়, যখন বাংলায় সেগুলো অনুবাদ করি।
আরবী নাম নিয়ে আমি বড়ই টেনশনে আছি। এসেসসি'র রেজিস্ট্রেশন করার সময় এরকম কেউ যদি বাংলাদেশে চলে আসে, তাইলে তো নির্ঘাৎ সমস্যায় পড়ে যাবে। নামের জায়গায় ঘরই আছে আটত্রিশটা। এই ব্যাটা বাপ-দাদা চৌদ্দ গুষ্ঠীর নাম ঐখানে ঢুকাবে ক্যামনে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মজার লেখা। পরের পর্ব আসুক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুন!! আশা করি বাঙালির নামের কোন আগা মাথা পাবেন না। প্রচুর ভ্যরাইটি। গ্রাম, মফস্বল, শহর তিন জায়গায় তিন রকম ভ্যারাইটি পাবেন।
আমার নিজের নামের কথাই বলি। আমার পুরো নাম "মোহাম্মদ নাজিউর রহমান চৌধুরী (তানভী)" । ভালই লম্বা। এর মধ্যে ক্লাস নাইনে ওএমআর রেজিস্ট্রেশনের সময় ক্লাস টিচার দা চালালেন, বলেন মুহাম্মদটা আপাতত বাদ দিয়া দাও , নাইলে আমেরিকায় যাইতে প্রব্লেম হইবো। তো বাদ গেল মুহাম্মদ, আমি অবশ্য চৌধুরীটাও বাদ দিতে চাইসিলাম, কিন্তু বাপজান তার বংশগত টাইটেল ছাড়তে দিতে কোনো মতেই রাজি হয় নাহ!! শেষ পর্যন্ত সার্টিফিকেটে নাজিউর রহমান চৌধুরী দিলাম। তবে এমনি তে আমি চৌধুরীটা কাজে লাগাই নাহ।
আমিই তানভী |
পরের পর্বের জন্য তাকিয়ে থাকলাম।
রাগিব ভাই, দারুণ পোস্ট। আর সচলায়তনে আমার প্রথম কমেন্ট আপনার এই পোস্টে। এই পোস্টটা আমি আমার ফেবুতে শেয়ার করেছি। আমার নিজের নাম নিয়ে খুব মজাদার একটা গল্প আছে। সমস্যাতে তো হরদম পড়তেই হয় এই নাম নিয়ে। কোনটা যে লাস্ট নেম, আর কোনটা যে ফ্যামিলি নেম, আবার কোনটা যে নিক নেম!! জিআরই এর ফর্ম পূরণ করে দেখি নামের একটা অংশ হাওয়া। আবার আম্রিকার দিকে ফর্মগুলো একরকম, ইউরোপে আরেক রকম। কী যে ঝামেলা লাগে মাঝেমাঝে!
আপনার অ্যালগোরিদমের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------
।।সাদাত।।
বাঙালিদের নামের কোনও অ্যলগোরিদম পাওয়াটা বেশ কষ্টের হওয়ার কথা।আমাদের নামকরনের সময় আরবি অথবা ফারসিকে প্রাধান্য দেওয়া হয় যেটার সংগে বংশগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে (না থাকাটাই স্বাভাবিক), যদিও ডাকনামটা বাংলা/ইংরেজি/কিছুমিছু একটা হইলেই হয়।
মুসলিম বোঝানোর জন্য কেন আরবি নাম রাখতে হবে, এই জিনিসটা আমার মাথায় ঢোকে না। খোদ আরবে কি ইসলাম আসার আগে বা পরে নামের কোনও পার্থক্য ছিল ?
আবু মোহাম্মদ ওমর শেহাবউদ্দীন আইয়ু্ব
ডাকনাম আর পারিবারিক পদবী আমি ব্যবহার করি না - এ ২টা হল মণি, আর তালুকদার
আপনার এলগরিদমের টেস্ট ইনপুটের জন্য দিলাম।
- এমনিতেই যে বড় নাম, তার সাথে মণি আর তালুকদার যোগ হৈলে ওএমআর মেশিন তো দূরের কথা, সচলের টেক্সট বক্সের বাউণ্ডারিই শেষ হয়ে যাবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিজের নাম মনে রাখতে না পাইরা যে প্রথমবার জিআরই পরীক্ষা দিতে পারস নাই -- ওইটা তো কইলি না !
আইসল্যান্ডারদের নামের ক্ষেত্রে ব্যক্তি নামের পূর্বে পিতারনাম+সন(son/পুত্র) যুক্ত হয়...
যেমন মার্কেজের ছেলের নাম গার্সিয়া হলে হবে "মার্কেজসন গার্সিয়া"
_________________________________________
সেরিওজা
আমি এক কবিতা পেয়েছিলাম যার ওপর দিকে প্রায় কাছাকাছি সাইজের ফন্টে দুই লাইনে লেখা ছিল :
নিবিড় অপরাহ্ন
রূপালী নক্ষত্র
অন্য সব কবিতার দিকে তাকিয়ে দেখলাম কবির নাম আর কবিতার নামের ফন্ট সাইজ প্রায় সমান। সাহিত্য পত্রিকার নতুন স্টাইল।
আমি প্রায় আধঘণ্টা ধরে যুক্তি দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছিলাম, কোনটা আসলেই একটা মানুষের নাম হওয়ার উপযুক্ত।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অনেককিছু জেনে গেলাম এক ব্লগে এক বসাতেই। কনসেপশান ক্লিয়ার হয়ে গেল
রিজভী
--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
আমি-ও ডাচদের নামকরনের মজার বিষয়টা তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম! কিন্তু দুর্দান্ত ভাই-এর পোস্টের পর সেটা নিরর্থক!
খুবি মজা পেলাম ভাই আপনার ওই মন্তব্যটা পড়ে! হাসতেই আছি!
বাহরাইনীদের নামকরনটা-ও বেশ মজার! ওদের প্রত্তেকেরই নাম কমপক্ষে ১০-১১ শব্দের! কিন্তু ডিটেইলসটা আমার পুরোপুরি মনে নাই, এ ব্যাপারে একটু জানালে খুব খুশি হব!
বিয়াফক মজারু পোস্ট
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
রাগিব ভাই লেখা ভাল পাইলাম ।
আরব দের নাম তো মাশাল্লাহ!
পরের পর্ব চাই ।
আমার গুগল ক্রোম তো আরেক মজার কাজ করল!!!
ক্রোমে ট্রান্সলেটর আছে, সে বলতেছে This page is in Spanish!! Would you like to translate it?!!!
বোহেমিয়ান
শাহেনশাহে তরিকত বিশ্বওলী আখেরী মোর্শেদ হযরত মাওলানা শাহ্ ছুফী খাজাবাবা ফরিদপুরী নকশবন্দী মুজাদ্দেদী (কূঃ ছেঃ আঃ) - এই নামরে কোন ফর্মুলায় ফেলবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাইয়া, একটা বিশাল ধাধার সমাধান হলো এই লেখাটা পড়ে। আমি এখানে একটা কলেজে পার্ট টাইম ক্লাস নিচ্ছি। সেখানে ১১-১২ জন চীনা ছাত্র-ছাত্রী ছিল। আমাকে যে এ্যাটেনডেন্স শিট দেয়া হতো সেটায় তাদের নাম লেখা থাকতো এক রকম অথচ কখনও যদি তাদের সাদা কাগজে এ্যাটেনডেন্স দিতে বলতাম তাহলে সাইন করতো ঠিক উল্টা করে, অর্থাৎ ফার্স্ট নেইম হয়ে যেতো লাস্ট নেইম আর লাস্ট নেইম চলে যেতো ফার্স্টে। পরে আমি যখন এক্সেলে এ্যাটেনডেন্স তুলতে যেতাম তখন মাথা খারাপ হয়ে যেতো। আজ বুঝলাম তাদের এই নাম পরিবর্তনের রহস্য!
টুইটার
ঘুরতে ঘুরতে কেমনে কেমনে যেন এখানে এসে লেখাটা পড়ে ফেললাম। ব্যাপক রিসার্চের আলামত দেখে হতভম্ব। মজাও পেলাম সেই রকম।
- আমি মাঝে মাঝেই আমার খালি মাথাটা ঘামাই। নামের উৎস নিয়ে না, বরং নানা দেশে গিয়ে নামের কী হাল দাঁড়ায় সেটা নিয়ে। এই যেমন বাংলাদেশের নিরীহ নামধারী 'সেলিম', পোড়ার জর্মনদেশে পা রেখেই হয়ে যান, 'জালিম'। রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে-সর্বখানে, সর্বসাধারণ উচ্চস্বরে 'জালিম' বলে ডাকবে, সাড়া দেয়া ছাড়া সেলিন ওরফে জালিমের কিচ্ছু করার নেই।
জার্মানরা যেমন তেমন, আম্রিকানদের তো খাইছলত মহা খারাপ, কোথাও আংরেজী 'ইউ' দেখলেই সেটাকে 'আ' বানিয়ে উচ্চারণ করতে উঠেপড়ে লাগে। স্বনামধন্য 'ফ্রাংকফুর্ট' এয়ারপোর্ট হয়ে যায়, "ফ্র্যাংক-ফার্ট"।
তো ভাবছিলাম, 'বুলবুল' নামের কেউ যদি আম্রিকা গিয়ে হাজির হন তাহলে কী হতে পারে! "বুলবাল", "বালবুল" নাকি শব্দের মধ্যকার দুইটা 'ইউ'কেই পাপিষ্ঠ, হতচ্ছাড়া আম্রিকানরা 'আ' বানিয়ে উচ্চারণ করবে?
আহারে বেচারা 'বুলবুল'!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ লেখা! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
নাম নিয়ে এতোকিছু! কতো কিছু যে জানলাম, দারুন লেখা।
এটা নিয়ে আরো পর্ব আসার কথা ছিলো না?
নবজাতক ভাতিজাটার নাম রেখেছি ঋদ্ধ জ্যোতির্ময়। কেউ আপত্তি তোলেনি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন