এলোচিন্তা ২ – ট্র্যাজেডির সেই নায়কেরা

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইম্বলডন শেষ হয়ে গেলো মাত্র, এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাডোলে পড়ে উইম্বলডন নিয়ে আগ্রহ আরও কম। অথচ দুই দিনে ১১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে খেলা বিশ্বরেকর্ড করা ম্যারাথন ম্যাচটি হয়ে গেলো এবারেই।

টেনিস খেলাটা অবশ্য আমার বেশি পছন্দ না, গলফের মতো এটাও বেশ এলিটিস্ট খেলা। ফুটবলের সুবিধাটা এখানেই, কিচ্ছু লাগে না, কেবল একটা বল থাকলেই হলো, অথবা বলের মতো কিছু একটা। আমার বাবাদের সময়ে গ্রামে সেই বলটাও থাকতো না, কিন্ত সমস্যা হয়নি তাতে, বলের বদলে জাম্বুরা দিয়ে দিব্যি খেলা চলেছে। সে তুলনায় টেনিস খেলতে গেলে সরঞ্জাম লাগে বিস্তর।

হয়তোবা একারণেই টেনিস খেলাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো পিছিয়ে আছে অনেক। ১০০ কোটি মানুষের দেশ ভারত থেকে টেনিসে ভালো ফল করা খেলোয়াড় বেরিয়েছে তাই বেশ অল্পই। এই অল্প কয়েকজনের মধ্যে হয়তোবা সবচেয়ে ভালো ফল করেছিলেন লিয়ান্ডার পেইজ আর মহেশ ভূপতির জুটি। টেনিসে একক সাফল্যগুলোই বেশি খবরে আসে, কিন্তু লিয়ান্ডার পেইজ ১৯৯৯ হতে ২০১০ অবধি ১২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস ফাইনালে গেছেন, আর ৬বার শিরোপা জিতেছেন। মিক্সড ডাবলসে গেছেন ১০টি ফাইনালে, জিতেছেন ৫ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা।

পেইজ ট্র্যাজেডির নায়ক নন, কিন্তু টেনিসের জগতে কোনো কোনো খেলোয়াড়কে যেন তাই মনে হয়। টেনিসের সবচেয়ে আরাধ্য শিরোপা উইম্বল্ডন, তা জেতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকে সব তারকার। এই ক্ষেত্রে ট্র্যাজেডির নায়ক হিসাবে বলতে হবে ইভান লেন্ডলকেই, আশির দশকের বিশ্ব সেরা টেনিস তারকা হয়েও জিততে পারেননি তিনি উইম্বলডনে একবারও।

এরকম ট্র্যাজিক হিরো অবশ্য ফুটবলে আছে গাদায় গাদায়। মেসির কান্না হয়তো সবার চোখে পড়েছে ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায় লগ্নে, কিন্তু এমনও অনেক বিশ্বসেরা খেলোয়াড় ছিলেন, যাঁরা বিশ্বকাপ জেতা তো দূরের কথা, বিশ্বকাপে খেলারই সুযোগ পাননি। ঘানা এবার বিশ্বকাপে খেলেছে বটে, কিন্তু ঘানার কালজয়ী ফুটবলার আবেদি পেলে আশির দশকে ক্লাব ফুটবলে চরম সাফল্য পেলেও সেসময়ে ঘানা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি। ১৯৯১ হতে ৯৩ পর্যন্ত পর পর ৩ বছর আবেদি পেলে আফ্রিকার সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্বকাপ রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরেই। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে আবেদি পেলের দুই ছেলে ঘানার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আবেদির চেয়েও দুর্ভাগ্যবান বলতে হবে জর্জ উইয়াহ-কে। ১৯৯৫ সালে উইয়াহ একই সাথে ফিফার বিশ্বের সেরা ফুটবলার, ইউরোপের সেরা ফুটবলার, ও আফ্রিকার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পান। কিন্তু বিধি বাম, উইয়াহর দেশ লাইবেরিয়াও বিশ্বকাপে আসতে পারেনি, ফলে ফিফার বিশ্বসেরা ফুটবলারদের মধ্যে উইয়াহ্ই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি বিশ্বকাপে খেলেননি।

তবে ফুটবলে ট্র্যাজেডির নায়ক বলতে হলে সবার উপরে যাঁর নাম আসবে, তিনি হলেন জর্জ বেস্ট। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১১ বছর খেলেছেন বেস্ট, এর মধ্যে ৬ বছর দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন, জিতেছেন ইউরোপের সেরা সব কাপ। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে তাঁর দেশ উত্তর আয়ারল্যান্ড বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি। ট্র্যাজেডির নায়কদের মতোই জর্জ বেস্টের ক্যারিয়ার আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে এসেছে, মদে আসক্তি তাঁর দেহকে আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দিয়েছে, ২০০৫ সালেই অকালে প্রয়াণ হয় বেস্টের।

---

ট্র্যাজেডির নায়ক ভাবলে অবশ্য আমার মনে পড়ে মহাভারতের কর্ণ আর রামায়ণের রাবণের কথা। কর্ণের পুরো জীবনটাই ট্র্যাজেডি – জন্মের সময়েই কুমারী মা কুন্তি জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন কর্ণকে, তাঁর ভাইরা রাজ পরিবারে বড় হলেও কর্ণ মানুষ হয়েছেন রাজবাড়ির রথচালকের ঘরে। দুর্যোধনের বন্ধুত্ব আর তাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন আজীবন, দল পালটে পাণ্ডবদের সাথে যোগ দেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণের কূটবুদ্ধিতে অর্জুন কায়দা করে হত্যা করেণ কর্ণকে, ষষ্ঠ পাণ্ডবের জীবনাবসান হয় এভাবেই।

পৌরাণিক এসব চরিত্র নিয়ে সিনেমা হচ্ছে ইদানিং, হালের বলিউডের রাজনীতি সিনেমাটি অনেকটা কর্ণেরই কাহিনী। বাংলাদেশের মিডিয়াতে পৌরাণিক কিছু নিয়ে ইদানিং আর কিছু বানানো হয় না, যদিও এক সময় রহিম-বাদশা-রূপবান অথবা এরকম কাহিনী নিয়ে সিনেমা হয়েছে, আর যাত্রা পালা তো হয়েছে বটেই। বাংলার যাত্রাশিল্প মরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, সরকারী কালাকানুনের চাপে পড়ে লোকনাট্য হারাতে বসেছে। বিটিভিতে এক সময় নিয়ম করে বছরে প্রায় দু’বার দেখানো হতো। একবার হতো দুর্গা পুজার সময়ে, অমল বোস দুর্দান্ত অভিনয় করতেন অসুরের চরিত্রে। বহুকাল বিটিভি দেখিনি, এখনো দুর্গাপুজার সময়ে যাত্রাভিনয় দেখানো হয় কি না জানিনা। অথবা হীরামণের সেই লোককাহিনীগুলো, বিটিভিতে প্রতি সপ্তাহে দেখানো হতো যা আশির দশকে।

যাত্রার প্রখ্যাত শিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসের অনেক অভিনয় দেখেছি একসময়ে, অমলেন্দুর একটা বাঁধা চরিত্র ছিলো ট্র্যাজেডির আরেক নায়ক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। দেড়শ বছর কেটে গেছে, কিন্তু এখনো মাইকেলের কবিতাগুলো, তাঁর সনেটগুলো পড়ে অবাক হয়ে যাই, কী প্রচণ্ড চমৎকার সুর ফুটে উঠেছে অমিত্রাক্ষর ছন্দে। সাগরদাড়ির জমিদার পরিবারের ছেলে মাইকেল বিখ্যাত কবি হবার জন্য এক সময় জাত, ধর্ম, ভাষা, দেশ – সব ত্যাগ করে বিদেশে গিয়েছেন, কিন্তু এক সময় কপোতাক্ষের কথা তাঁর মনে পড়েছে, দেশের ভাষা ত্যাগ করে বিদেশে যাবার ভ্রান্তি বুঝতে পেরেছেন। মেঘনাদ বধ কাব্যে মাইকেল ট্র্যাজেডির নায়ক হিসাবে রাক্ষসপতি রাবণকে তুলে ধরেছেন, চিরাচরিত সাহিত্যের ভিলেন রাবণের ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্লেষণ করেছেন এই মহাকাব্যে। মাইকেলের লেখায় তাই রাবণ অনেকটা ট্র্যাজিক হিরো। হয়তো বা মাইকেলের নিজের জীবনের ট্র্যাজেডিগুলো রূপকের মাধ্যমে এসেছে। মধু কবির জীবনের শেষ অংশটাও কেটেছে দারিদ্রে, কপর্দকশূন্য মাইকেল মারা যান ১৮৭৩ সালে, কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন মধু কবি।

ট্র্যাজেডির নায়ক মধু কবির পরম্পরা অবশ্য রয়ে গেছে, দ্বিতীয় স্ত্রী হেনরিয়েটার ঘরে তাঁর দুই সন্তান – নেপোলিওন ও শর্মিষ্ঠা। কয়েক পুরুষ পরে মধুসূদনের নাতি মাইকেল দত্তনের ঘরে জন্মান জেনিফার দত্তন, ভারতের হয়ে ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে বাস্কেটবল দলে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে তাঁর ঘর আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। মধু কবির ট্র্যাজেডি অবশ্য তাঁর এই নাতিকে স্পর্শ করেনি, ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক সাফল্য লাভ করেন মধু কবির এই বংশধর। আর, তার নাম?

লিয়ান্ডার পেইজ ।


মন্তব্য

কেমন সুর [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা কেমন যেনো অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে; কি যেন বলতে গিয়েও বললেন না !

অবশ্য লেখার শিরোনাম এর সাথে ব্যাপারটা মিলে যায়

-- কেমন সুর

অতিথি লেখক এর ছবি

একটু শিহরণ লাগল। অনেকটা দ্য ডা ভিঞ্চি কোডের যীশুর বংশধর খুঁজে পাওয়ার মত। আমার ধারণা ছিল, মধুসূদনের কোন বংশধর এখন আর বেঁচে নেই। এখন দেখি, সে আমাদের ভালই চেনা।

সজল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লিয়েন্ডার পেইজের এই পরিচয়টা জানা ছিলো না।
অসাধারণ লাগলো লেখাটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দারূণ লাগলো ...

কখনো বিশ্বকাপ না খেলা গ্রেট ফুটবলারদের মধ্যে আরেকটা নাম সবার আগে আসবে, আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ... ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিনের জরিপে ডি স্টেফানো গত শতাব্দীর চতুর্থ সেরা খেলোয়াড় [পেলে, ম্যারাডোনা এবং জোহান ক্রুয়েফের পর] ... ঊনিশশো ছাপ্পান্ন থেকে ষাট পর্যন্ত টানা পাঁচ বার রিয়েল মাদ্রিদকে ইউরোপীয়ান চ্যম্পিয়ন বানানো এই খেলোয়াড়ও বিভিন্ন কারণে পর পর চারটা বিশ্বকাপ মিস করেছেন ...

প্রথমে ঊনিশশো পঞ্চাশে তাঁর দেশ আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে অংশ নেয়নি ...ঊনিশশো চুয়ান্নতেও আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ খেলেনি, ডি স্টেফানো স্পেনের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু ফিফা অনুমতি দেয়নি ... এরপর স্পেনের নাগরিকত্ব নিয়ে ঊনিশশো আটান্নতে তিনি স্পেনের হয়ে খেলার অনুমতি পান, কিন্তু সেবার স্পেন কোয়ালিফাই করেনি ... ডে স্টেফানোর শেষ সুযোগ আসে ঊনিশশো বাষট্টিতে, অনেক খেটেখুটে সেবার স্পেনকে বাছাইপর্ব পার করে মূল পর্ব শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে ইনজুরিতে পড়েন, এই বিশ্বকাপও শেষ ...

সাম্প্রতিক সময়ে এমন ট্রাজিক হিরো হিসেবে আসবে রায়ান গিগসের নাম ... গত বিশ বছর ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দাপটের সাথে খেলে আসার পরও গিগস কখনোই ওয়ার্ল্ডকাপ খেলেননি, খেলবেনও না ... কারণ তাঁর দেশ ওয়েলস ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

তাসনীম এর ছবি

অসাধারণ...এটা জানতামই না।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

লিয়ান্ডের পেজের এই উত্তরাধিকার আগেই জানতাম, পড়েছিলাম কলকাতার আনন্দবাজারি কোন পুজো সংখ্যায়। অনেককে বলে বিস্মিত করে নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ানোর অশ্লীল কিন্তু অমোচনীয় সুখ অনুভব করেছি বারবার।

তবে একটা কথা।


যাত্রার প্রখ্যাত শিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসের অনেক অভিনয় দেখেছি একসময়ে, বিটিভিতে নিয়ম করে বছরে প্রায় দু’বার দেখানো হতো। একবার হতো দুর্গা পুজার সময়ে, অমলেন্দু দুর্দান্ত অভিনয় করতেন অসুরের চরিত্রে। বহুকাল বিটিভি দেখিনি, এখনো দুর্গাপুজার সময়ে যাত্রাভিনয় দেখানো হয় কি না জানিনা। অথবা হীরামণের সেই লোককাহিনীগুলো, বিটিভিতে প্রতি সপ্তাহে দেখানো হতো যা আশির দশকে।

সাধারণত ওই চরিত্রে অভিনয় করতেন অমল বোস। এখনো তিনি টুকিটাকি অভিনয় করেন। মূলত, 'ইত্যাদি'-র নানা-নাতির স্কিডগুলোই তাঁকে বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ করে তোলে। এখন অবশ্য নানি দখল করেছেন সেখানে নানার স্থান।
নটসম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাস যাত্রাপালায় আধুনিকতা ও ভিন্নমাত্রার পথপ্রদর্শক। তিনি চট্টগ্রাম নিবাসীই ছিলেন, বাড়ি সীতাকুণ্ড। ছিলেন রেলওয়ের চাকুরে। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না বিশ্বাস। অন্তত এক মেয়ের নাম মোটামুটি সবাই জানেন, অভিনেত্রী-পরিচালক অরুণা বিশ্বাস। এক ছেলেও আছেন।


অমলেন্দুর আরেকটা বাঁধা চরিত্র ছিলো ট্র্যাজেডির আরেক নায়ক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

যাত্রামঞ্চে শুধু মধু কবি নন, মাও সে তুঙ, লেনিনসহ আরো নানান আধুনিক মাপের যাত্রাপালা তুলে এনেছিলেন যাত্রামঞ্চে।

ধন্যবাদ।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার লেখা।

সেই কৈশোর থেকেই ব্যাক্তি মাইকেল মধুসূদন দত্ত আমাকে আকর্ষণ করে। সর্বশেষ গোলাম মুরশিদের ‘মধুর খোঁজে’ পড়ে চমৎকৃত হয়েছিলাম। লিয়ান্ডার পেইজের এই কানেকশনের কথা একেবারেই জানতাম না...!!!

বাউলিয়ানা এর ছবি

উরে! মাইকেল মধুসূদনের বংশধর লিয়েন্ডার পেইজ!

নেক্সট টাইম থেকে ফেদেরারের সাথে সাথে তারেও সাপোর্ট। আফটার অল তারতো এদেশের কিছু হিস্যা আছে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রিয়তে নিলাম ...

_________________________________________

সেরিওজা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বাহ্ ইন্টারেস্টিং!

http://en.wikipedia.org/wiki/Leander_Paes

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জামান সরকার  এর ছবি

আপনার লেখাটা খুবই সুন্দর হয়েছে. মাইকেল মধুসূদন দত্ত -এর কথা তুলতেই যশোরের কথা মনে আসে। আরো মনে আসে রবি শংকর এর কথা যার আদি পৈত্রিক বাড়ি নড়াইলে। সে হিসাবে রবি শংকর এর মেয়ে Norah Jones এর মধ্যেও বোধয় বাংলাদেশের রক্ত মিশে আছে কিছুটা হলেও।

আলমগীর এর ছবি

খুব ভাল লাগল পড়তে।

সিরাত এর ছবি

কর্ণ - ষষ্ঠ পান্ডব। আমি এত কষ্ট পেয়েছিলাম মহাভারতের ঐ অংশটা পড়ে।

প্রাঞ্জল ভাষায় দারুণ লিখেছেন।

বিপ্রতীপ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা... চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

অতিথি লেখক এর ছবি

দারূন লাগল। অনেক কিছুই জানা ছিল না। বিশেষ করে লিয়ান্ডার পেইজের পরিচয়টা।

অনন্ত

কাকুল কায়েশ এর ছবি

মাইকেল মধুসূদনের বংশধর লিয়েন্ডার পেইজ - তথ্যটা জেনে বিস্মিত ও একইসাথে চমৎকৃ্ত হলাম! এখন থেকে তো ওকে সাপোর্ট করতেই হয়!!

টেনিস খেলার জন্য সরঞ্জামের সমস্যা ছাড়াও আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে বলবয়ের অভাব! বল যখন নেটে লাগে তখন বারবার বলটা নিয়ে আসতে খুবই 'পেইন' লাগত (অনেকগুলা বল থাকা সত্ত্বেও)! এছাড়া মাঝে মাঝে স্ম্যাশ করতে গিয়ে যখন সেটা প্রায়ই 'ছক্কা' হয়ে যেত, তখন ওই বল এনে খেলায় কনসেন্ট্রেন্ট করা খুবই কষ্টকর!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

কৌস্তুভ এর ছবি

মধুকবি আর লিয়েন্ডারের সম্পর্কটা জানতাম না। আর কি যোগাযোগ দেখুন, আপনার এই উইম্বলডন আর লিয়েন্ডার নিয়ে লেখাটা সেদিনই পড়লাম যেদিন লিয়েন্ডার উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলস জিতলেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাহ্, বেশ ঝরঝরে লেখনিতে অজানা, দারুণ একটা ব্যাপার জেনে নিলাম।

অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহারটা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত করেছিলেন না প্রথম?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অমিত এর ছবি

লেখাটা বেশ ভাল লাগল

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

মধুকবির আরেক বংশধর অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। বেশ কয়েক/অনেক বছর আগে সম্ভবত প্রথম আলোয় তার একটা সাক্ষাৎকার বা তার সাথে আলাপচারিতার একটা বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগা আর বিস্মিত হওয়ার এক যুগপৎ অনুভূতি। চমৎকার লেখা।।

দৃপ্র

অতিথি লেখক এর ছবি

এই শ্রেষ্ঠ খেলোয়াররা অমর থাকবেন তাদের কীর্তি দিয়ে.....

অতিথি লেখক এর ছবি

এই শ্রেষ্ঠ খেলোয়াররা অমর থাকবেন তাদের কীর্তি দিয়ে.....

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।